সূরা আর রহমান এর ফজিলত। সূরা ফালাক ও সূরা নাসের ফজিলত।

Author Topic: সূরা আর রহমান এর ফজিলত। সূরা ফালাক ও সূরা নাসের ফজিলত।  (Read 701 times)

Offline frahmanshetu

  • Newbie
  • *
  • Posts: 30
  • Test
    • View Profile
সূরা আর রহমান এর ফজিলত। সূরা ফালাক ও সূরা নাসের ফজিলত।
[/size]


সূরা আর রহমান এর ব্যাপারে আলী (রাঃ) বলেন আমি  রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি  রসূল (সাঃ) বলেছেন প্রত্যেক জিনিসের নিজস্ব একটি সৌন্দর্য আছে  আর পবিত্র কোরআন শরীফের সৌন্দর্য হলো সূরা আর রহমান। [বাইহাকী শুআবুল ঈমান]

যে ব্যক্তি সূরা আর রহমান নিয়মিত তেলাওয়াত করবে তেলাওয়াতকারীর উপর আল্লাহ তাআলার রহমত বর্ষিত হয়।

তার জন্য দোজখের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং জান্নাতের দরজা সমূহ কে খুলে দেওয়া হবে।

যে ব্যক্তি এই সূরাটি নিয়মিত তেলাওয়াত করবে কেয়ামতের দিন তার চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় ঝলমল  করতে থাকবে। দুনিয়াতে তার রিজিক বৃদ্ধি করে দেওয়া হবে,  যে ব্যক্তি লাগাতার ৪০ দিন সূর্য উদিত হওয়ার সময় এই সূরাটি তেলাওয়াত করবে  এবং ‘ফাবি আইয়্যি আ-লা-ই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান’ বলার সময় সূর্যের দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করবে  দুনিয়ার মধ্যে সব কিছু তার অনুগত হবে। তার  স্ত্রী সন্তান তার বাধ্য হবে।

এই সূরাটি পাঠ করে চোখের মধ্যে ফু দিলে চোখের রোগ ভালো হয়ে যাবে।
এই সূরাটি স্বপ্নের মধ্যে পড়তে দেখলে হজ্জ্বে যাওয়া নসীব হবে।
এই সূরাটি নিয়মিত তেলাওয়াত করলে বসন্ত রোগ হতে মুক্তি পাবে।
‘ফাবি আইয়্যি আ-লা-ই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান’ এই আয়াতটি তিনবার পাঠ করে কোন বিচার সালিশের মধ্যে গেলে বিচারকের মন পাঠকারীর উপর সদয় হবে।
যে ব্যক্তি সূরা আর-রহমান ১১ বার তিলাওয়াত করে আল্লাহর কাছে  প্রার্থনা করবে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করবে তার মনের আশা পূরণ করবে।
এই সূরাটি নিয়মিত তেলাওয়াত করলে তেলাওয়াতকারীর সকল অভাব অনটন দূর হয়ে যাবে এবং  আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে। ( নিয়ামুল কুরআন থেকে সংগৃহীত )
পবিত্র কোরআনের শেষ দুটি সূরার গুরুত্বপূর্ণ  ফজিলত।



পবিত্র কোরআনের ১১৪ টি সূরার মধ্যে  সর্বশেষ ২ টি সূরা একটির নাম  হলো সূরা ফালাক্ব আরেকটির নাম হলো সূরা নাস

দুনটি সূরা মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছেন সূরা ফালাকের আয়াত সংখ্যা ৫ টি  রুকু সংখ্যা ১টি  আর সূরা নাসের আয়াত সংখ্যা ৬টি রুকু সংখ্যা ১ টি


এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি সূরার মাধ্যমে কোরআন  শরিফ শেষ করা করেছেন। এই ২ টি সূরার মধ্যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে  আশ্রয় প্রার্থনার করার  জন্য বলা হয়েছে।

হযরত উকবা  ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল (সাঃ)  বলেছেন তোমরা কি জানো আজ রাতে আমার ওপর এমন কতগুলো আয়াত নাযিল হয়েছে  এই আয়াত গুলোর মত এমন কোন আয়াত দেখা ও যায়নি শোনা যায়নি আয়াত গুলো হলো ‘কুল আয়ুজু বি রাব্বিল ফালাক ও ‘কুল আয়ুজু বি রাব্বিন নাস। [-সহি মুসলিম হাদিস নং-৮১৪]

হযরত উকবা  ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উটের পিছনে ছিলাম, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আমাকে বললেন হে উকবা আমি  তোমাকে দুটি উত্তম সূরা শিক্ষা দিব না,  ফলে তিনি আমাকে কুল আউযু বিরাব্বিন নাস ও কুল আউযুবি রাব্বিল ফালাক শিখিয়েছেন। আমি বলে বুঝাতে পারব না আমি এই দুইটা সূরা শিখে কি পরিমাণ আনন্দ পাইছি। [ আবু দাউদ হাদিস নং ১৪৬২]


হযরত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন  হে জাবের তুমি পড় আমি বললাম আমার মাতা পিতা আপনার জন্য কোরবান হোক আমি কি পড়বো। তখন তিনি বললেন তুমি পড়ো “কুল আউযুবি রাব্বিল ফালাক” ও “কুল আউযু বিরাব্বিন নাস” ফলে আমি এই ২ টি সূরা  পড়লাম অতঃপর তিনি বললেন এই দুইটি সূরা পড়তে থাকবে, কারণ এই ২ টি সূরার মতো অন্য কোন সূরা এত সহজে পড়তে পারবে না। [সুনানে নাসাঈ ৮/২৫৪ ও সহি ইবনে হিববান, হাদিস নং-৭৯৬]

হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন তখন উভয় হাত এক সাথে মিলিয়ে সূরা  ইখলাস সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়তেন  তারপরে দেহের যতটুকু অংশে সম্ভব হতো হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার  করতেন। [-সহি বুখারি ৫০১৭, সুনানে আবু দাউদ : ৫০৫৮, জামে তিরমিজি, হাদিস নং-৩৪০২]

Source : shorturl.at/DMNUX