ছন্দে হয়েছিলাম বন্দি
সন্ধির শর্ত এঁটে,
পূর্ণ, পুরান শূণ্য-
দেখি, শ্লোক গেঁটে।।
বলনে, শক্তি ভারী
-উর্ধ্বমূখী চলন যার,
বলি হরি, কূল-মানে
আমি চাই পুজিঁবার।।
হাসিঁমাখা মুখে আমি
স্বরসতীর নাম লই,
পুজাঁর ঢালা নিয়ে
অভিরাম দুঃখ সই।।
স্বপ্ন দেখি, চাদেঁর আলো
অন্ধ কুটিরে বসি,
হৃদয়ের অটুট বিশ্বাস
ক্রমশ:ই পড়ছে খসি।।
নগ্ন পায়ে আমার আশা
বুকের উপর বসি,
-গর্দান চেপে ধরে,
তিরস্কারের বলন কষি।।
নিঃশ্বাস ক্রমশই হয় ক্ষীণ
তবু. বেহায়া মন,
চয়নিকার পিছেই ছুটে,
করে নিলর্জ্জ পণ।।
দিন কাঁটে কোলাহলে
-অবুঝ বির্দীণতায়,
সন্ধ্যায় জেকে বসে,
যৌবিক জড়তায়।।
রাত্রি দ্বি-প্রহরে
শুনি, চেনা শব্দ,
-সময়ের ধীর চলা
এ, জীবনের জব্দ।।
দু,চোখে অশ্রু ঝড়ে
-কালের গভীরে,
স্মৃতি গুলো কুড়ে খায়
শতাব্দীর সমীরে।।
বেচেঁ আছি এখনো
এটাই নাকি সত্য !!
ভাল লাগার পথ ধরে
-বাচিঁতে-ই, মত্ত।।
মূলহীন- ভুল চলা
কেলে ফোটাঁ পদ্ম,
রসহীন, কেনুকথা
-এ বিষাদের গদ্য।।
এটাই বুঝি ইতিকথা
-অসীমের চেনাপথ,
আশা নিয়ে উষা আসে
চিরচেনা অভিমত।।