সাফল্য পেতে প্রয়োজন ধৈর্য
ক্ষতিগ্রস্তদের থেকে নিরাপদ থাকতে মহান আল্লাহ সূরা আসরে যে চারটি গুণে গুণান্বিত হওয়ার কথা আলোচনা করেছেন তার মাঝে ধৈর্য অন্যতম। যা আজ আমাদের মাঝে অনুপস্থিত। যে কারণে আমরা দুনিয়ার জীবনেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি পাশাপাশি পরকালের জীবনেও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হচ্ছি। একজন মানুষ দুনিয়ার জীবনে কখনোই সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে যেতে পারে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সে সবর তথা ধৈর্য ধারণ করে। যুগের আবর্তনে যত মানুষ সফলতার মুখ দেখেছে প্রতিটা সাফল্যের পেছনেই রয়েছে কঠিন ধৈর্যের পরীক্ষা। তাই বলা যেতে পারে সফলতার মূলমন্ত্র হচ্ছে কঠিন পরীক্ষায় পতিত হয়ে সেই পরীক্ষায় ধৈর্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়া।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের কিছু না কিছু দিয়ে পরীক্ষায় ফেলবই : মাঝে মধ্যে তোমাদের বিপদের আতঙ্ক, ক্ষুধার কষ্ট দিয়ে, সম্পদ, জীবন, পণ্য-ফল-ফসল হারানোর মধ্য দিয়ে। আর যারা কষ্টের মধ্যেও ধৈর্য-নিষ্ঠার সঙ্গে চেষ্টা করে, তাদের সুখবর দাও। [বাকারাহ ১৫৫]। মহান আল্লাহ বলেন, ধৈর্যশীলদের তো অপরিমিত পুরস্কার দেওয়া হবে।’ (সূরা যুমার, আয়াত : ১০)।
রাসূল (সা.) বলেছেন, আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকে দুঃখ-কষ্টে ফেলেন।’ (সহিহ বুখারি ৫৬৪৫)।
তাই আসুন! যে কোনো কঠিন বিপদে বা সাময়িক ব্যর্থতায় বিচলিত না হয়ে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে ধৈর্য ধারণ করে তাকেই সবকিছু জানাই, তবেই দুনিয়াবী জীবনে শান্তি পরকালীন জীবনে মুক্তির পথ সুগমের মধ্য দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কবল থেকে মুক্তি নিয়ে সাফ্যল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে পারব।
Source: https://www.jugantor.com/todays-paper/features/islam-and-life/614580/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%A7%E0%A7%88%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF