এতিম প্রতিপালনের ফজিলতঃ

Author Topic: এতিম প্রতিপালনের ফজিলতঃ  (Read 524 times)

Offline ashraful.diss

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 162
  • 'শীঘ্রই রব তোমাকে এত দিবেন যে তুমি খুশি হয়ে যাবে'
    • View Profile
    • Daffodil Institute of Social Sciences - DISS

এতিম প্রতিপালনের ফজিলতঃ

আল্লাহ তাআলার প্রিয় হাবিব, আমাদের নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন এবং ছয় বছর বয়সে মা আমিনাকেও হারান। তারপর তার লালন পালনের দায়িত্ব নিলেন দাদা আব্দুল মুত্তালিব। কিন্তু তিনিও মাত্র দুই বছর পর এ পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। সে হিসাবে তিনি ছিলেন সর্বদিক দিয়েই এতিম।

তাই আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

اَلَمۡ یَجِدۡکَ یَتِیۡمًا فَاٰوٰی وَ وَجَدَکَ ضَآلًّا فَهَدٰی وَ وَجَدَکَ عَآئِلًا فَاَغۡنٰی فَاَمَّا الۡیَتِیۡمَ فَلَا تَقۡهَرۡ ؕ

অর্থঃ তিনি কি আপনাকে এতিম রূপে পাননি? অত:পর আশ্রয় দিয়েছেন। তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অত:পর পথ প্রদর্শন করেছেন। আপনাকে পেয়েছেন নি:স্ব, অত:পর অভাবমুক্ত করেছেন। সুতরাং আপনি এতিমের প্রতি কঠোর হবেন না। [সূরা দুহা : ৬-৯]

একদিকে সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ছিলেন এতিম, অপর দিকে এতিমরা হচ্ছে সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও অসহায়। তাই তাদের প্রতি আল্লাহর করুণা ও রহমত রয়েছে, বিধায় পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এতিম প্রতিপালনে বিশেষ ফজিলত বর্ণিত রয়েছে। নিম্নে তার কিছু বর্ণনা করা হচ্ছেঃ

এক. এতিম প্রতিপালনে জান্নাতের উচ্চাসন লাভ হয়

وعن سهل بن سعد رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: أنا وكافل اليتيم في الجنة هكذا وأشار بالسبابة والوسطى وفر‍ج بينهما. رواه البخاري.

অর্থ: সাহল বিন সা’দ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি  ও এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকব। তিনি তর্জনী ও মধ্য অংগুলি দিয়ে ইঙ্গিত করলেন এবং এ দুটির মধ্যে ফাক করলেন। (বর্ণনায় বুখারি)

এ হাদিসে এটাই প্রতীয়মান হয়, যে ব্যক্তি জান্নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথী হতে চায় সে যেন এই হাদিসের উপর আমল করে এবং এতিম প্রতিপালনের প্রতি ব্রতী হয়। সার্বিক দিক থেকে তার প্রতি গুরুত্ব দেয়। কারণ আখেরাতে এর চেয়ে উত্তম আর কোনো স্থান হতে পারেনা।

অপর এক হাদিসে রয়েছে:

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه قَالَ :قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَافِلُ الْيَتِيمِ لَهُ أَوْ لِغَيْرِهِ أَنَا وَهُوَ كَهَاتَيْنِ فِي الْجَنَّةِ وَأَشَارَ مَالِكٌ بِالسَّبَّابَةِ وَالْوُسْطَى. رواه مسلم

অর্থ: আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আমি ও এতিম প্রতিপালনকারীর অবস্থান জান্নাতে এই দুই অংগুলির ন্যায় পাশাপাশী হবে। চাই সেই এতিম তার নিজের হোক অথবা অন্যের। (বর্ণনাকারী) মালেক বিন আনাস রা. তর্জনী ও মধ্যমা আংগুলি দ্বারা ইশারা করলেন। ( সহিহ মুসলিম)

عَن سَهْلٍ رضي الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَنَا وَكَافِلُ الْيَتِيمِ كَهَاتَيْنِ فِي الْجَنَّةِ وَقَرَنَ بَيْنَ أُصْبُعَيْهِ الْوُسْطَى وَالَّتِي تَلِي الْإِبْهَامَ. سنن أبي داود

অর্থ: সাহল রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি ও এতিম প্রতিপালনকারী  জান্নাতে এই দুই আংগুলির ন্যায় পাশাপাশি অবস্থান করব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার মধ্যমা ও বৃদ্ধা আংগুলিকে কাছাকাছি করে দেখিয়ে দিলেন। (সুনান আবি দাউদ)

দুই. এতিম প্রতিপালনে রিজিক প্রশস্ত হয় এবং রহমত ও বরকত নাজিল হয়

أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا الدَّرْدَاءِ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ابْغُونِي الضُّعَفَاءَ فَإِنَّمَا تُرْزَقُونَ وَتُنْصَرُونَ بِضُعَفَائِكُمْ. سنن أبي داود

অর্থ: আবু দারদা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, দুর্বল অসহায়দের আবেদনে আমাকে সাহায্য কর। তোমাদের দুর্বল-অসহায়দের কারণেই তোমরা সাহায্য ও রিজিক প্রাপ্ত হও। (আবু দাউদ)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: خَيْرُ بَيْتٍ فِي الْمُسْلِمِينَ بَيْتٌ فِيهِ يَتِيمٌ يُحْسَنُ إِلَيْهِ وَشَرُّ بَيْتٍ فِي الْمُسْلِمِينَ بَيْتٌ فِيهِ يَتِيمٌ يُسَاءُ إِلَيْهِ. سنن ابن ماجه

অর্থ: আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন, মুসলিমদের ঐ বাড়ীই সর্বোত্তম যে বাড়ীতে এতিম রয়েছে এবং তার সাথে ভালো ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে নিকৃষ্ট ঐ বাড়ী যে বাড়ীতে এতিম আছে, অথচ তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়। অত:পর তিনি তার আঙ্গুলির মাধ্যমে বললেন: আমি এবং এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এমনভাবে অবস্থান করব। (ইবনে মাজাহ)

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুধমাতা হালিমা বর্ণনা করেন যে, এতিম হওয়ার কারণে শিশু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লালন পালন করার জন্য কেউ সম্মত হয়নি। আমার উট ছিল দুর্বল তাই আমি সবার শেষে গিয়ে পৌঁছি। এরপর আর কোনো উপায় না পেয়ে এতিম মুহাম্মদকে গ্রহণ করি। কিন্তু মহান করুণাময়ের অশেষ করুণায় আমার উট এমন সবল হলো যে, আমি আমার গোত্রের সবার আগে পৌঁছে গেলাম। শুধু তাই নয়, আমার স্তনের দুধ, বকরি ও অন্যান্য সকল বস্তুতে এই এতিম বালকের কারণে কল্পনাতীত বরকত ও রহমত নাজিল হতে থাকল।

তিন. এতিম প্রতিপালনে হৃদয় নম্র হয়

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا شَكَا إِلَى رَسُولِ اللهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسْوَةَ قَلْبِهِ فَقَالَ لَهُ إِنْ أَرَدْتَ تَلْيِينَ قَلْبِكَ فَأَطْعِمْ الْمِسْكِينَ وَامْسَحْ رَأْسَ الْيَتِيمِ. مسند أحمد

অর্থ: আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে তার অন্তর কঠিন মর্মে অভিযোগ করল। তিনি তাকে বললেন, যদি তুমি তোমার হৃদয় নরম করতে চাও তাহলে দরিদ্রকে খানা খাওয়াও এবং এতিমের মাথা মুছে দাও। (মুসনাদে আহমাদ:)

চার. এতিম প্রতিপালন ও তাদের প্রতি সদয় হওয়ায় অত্যাধিক সওয়াব হাসিল হয়

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ رضي الله عنه عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ مَسَحَ رَأْسَ يَتِيمٍ أَوْ يَتِيمَةٍ لَمْ يَمْسَحْهُ إِلَّا لِلهِ كَانَ لَهُ بِكُلِّ شَعْرَةٍ مَرَّتْ عَلَيْهَا يَدُهُ حَسَنَاتٌ وَمَنْ أَحْسَنَ إِلَى يَتِيمَةٍ أَوْ يَتِيمٍ عِنْدَهُ كُنْتُ أَنَا وَهُوَ فِي الْجَنَّةِ كَهَاتَيْنِ وَقَرَنَ بَيْنَ أُصْبُعَيْهِ. مسند أحمد

অর্থ: আবু উমামা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো ছেলে অথবা মেয়ে এতিমের মাথায় একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে হাত বুলিয়ে দেয়, মাথার যত চুল দিয়ে তার হাতটি অতিক্রম করবে তার তত সওয়াব অর্জিত হবে। আর এতিমের প্রতি সে যদি ভাল ব্যবহার করে তাহলে এই দুই আঙ্গুলের ন্যায় সে এবং আমি জান্নাতে অবস্থান করব। রাসূলুল্লাহ তাঁর দুই আঙ্গুলকে মিলিয়ে দেখালেন। (মুসনাদে আহমদ)

পাঁচ. এতিম প্রতিপালন ও তাদের সান্ত্বনা দেয়ায় জান্নাত লাভ হয়

عن عمرو بن مالك رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : مَنْ ضَمَّ يَتِيمًا بَيْنَ أَبَوَيْنِ مُسْلِمَيْنِ إِلَى طَعَامِهِ وَشَرَابِهِ حَتَّى يَسْتَغْنِيَ عَنْهُ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ الْبَتَّةَ .مسند أحمد -

আমর বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি মাতা পিতা মারা যাওয়া কোনো মুসলিম এতিমকে আল্লাহ তাআলা স্বাবলম্বী করা অবধি নিজ পানাহারে শামিল করে। ঐ ব্যক্তির জন্য অবশ্যই জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। ( মুসনাদ আহমাদ:)

ছয়. এতিম প্রতিপালনে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

عَنْ عَائِشَةَ رضي الله عنها أَنَّهَا قَالَتْ:جَاءَتْنِي مِسْكِينَةٌ تَحْمِلُ ابْنَتَيْنِ لَهَا فَأَطْعَمْتُهَا ثَلَاثَ تَمَرَاتٍ فَأَعْطَتْ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا تَمْرَةً وَرَفَعَتْ إِلَى فِيهَا تَمْرَةً لِتَأْكُلَهَا فَاسْتَطْعَمَتْهَا ابْنَتَاهَا فَشَقَّتْ التَّمْرَةَ الَّتِي كَانَتْ تُرِيدُ أَنْ تَأْكُلَهَا بَيْنَهُمَا فَأَعْجَبَنِي شَأْنُهَا فَذَكَرْتُ الَّذِي صَنَعَتْ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّ اللهَ قَدْ أَوْجَبَ لَهَا بِهَا الْجَنَّةَ أَوْ أَعْتَقَهَا بِهَا مِنْ النَّارِ. رواه مسلم

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক অসহায় মহিলা তার দুই মেয়েকে নিয়ে আমার কাছে আসল। আমি তাকে তিনটি খেজুর খেতে দিলাম। সে দুই মেয়েকে একটি করে খেজুর দিলো। আর নিজে খাওয়ার জন্য একটি খেজুর তার মুখে উঠাল। অত:পর দুই মেয়ে ঐ খেজুরটি খেতে চাইল।  সে খেজুরটি তাদের মধ্যে ভাগ করে দিল যেটি সে নিজে খেতে চেয়েছিল। তার এ অবস্থাটি আমাকে বিস্মিত করল। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে সে যা করেছে তা তুলে ধরলাম। তিনি বললেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা এ কারণে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দিয়েছেন অথবা তাকে একারণেই জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন। (মুসলিম)

সাত. এতিম প্রতিপালন করা জান্নাতী লোকদের স্বভাব

আল্লাহ তাআলার তাদের প্রশংসা করে বলেন:

وَيُطْعِمُونَ الطَّعَامَ عَلَى حُبِّهِ مِسْكِينًا وَيَتِيمًا وَأَسِيرًا إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللهِ لَا نُرِيدُ مِنْكُمْ جَزَاءً وَلَا شُكُورًا

আহার্য্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত, এতিম ও বন্দীকে আহার্য্য দান করে এবং (তারা বলে) আমরা তোমাদেরকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে খাদ্য প্রদান করি। অতএব তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান ও  ধন্যবাদ চাইনা। (সূরা ইনসান: ৮)

এখানে জান্নাতিদের প্রাপ্ত নিয়ামতের কারণ উল্লেখ করে বলা হল যে, তারা দুনিয়াতে অভাবগ্রস্ত, এতিম ও বন্দিদের সাহায্য করত। তারা শুধু নিজেদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাহায্য দরিদ্র ও এতিমদেরকে দান করতো এমটি নয়। বরং নিজেদের প্রয়োজন সত্ত্বেও দান করে।

كَلَّا بَل لَا تُكْرِمُونَ الْيَتِيمَ

না কখনই না। বস্তুত: তোমরা এতিমকে সম্মান করনা। (সূরা আল-ফজর: ১৭)

এ আয়াতে কাফিরদের একটি মন্দ স্বভাব বর্ণনা করে বলা হয়েছে, তোমরা এতিমদেরকে সম্মান কর না, তাদেরকে সম্মান না করার উদ্দেশ্য এই যে, তোমরা এতিমের প্রাপ্য আদায় কর না এবং তাদের প্রয়োজনীয় ব্যয় বহন কর না।

এ আয়াতে আরো ইঙ্গিত রয়েছে যে, এতিমদের প্রাপ্য আদায় এবং তাদের ব্যয়ভার বহন করলেই  তোমাদের মানবিক ও আল্লাহ প্রদত্ত ধন সম্পদের কৃতজ্ঞতা সম্পর্কিত দায়িত্ব পালন হয়ে যায় না, বরং তাদেরকে সম্মানও করতে হবে। অপর দিকে নিজেদের সন্তানদের মোকাবেলায় তাদেরকে হেয় মনে করা যাবে না।

আট. আপনজনের মধ্য থেকে এতিম প্রতিপালনে দ্বিগুণ সওয়াব লাভ হয়

عن سلمان بن عامر رضي الله عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: إن الصَّدَقَة عَلَى الْمِسْكِينِ صَدَقَةٌ، وَهِيَ عَلَى ذِي الرَّحِمِ ثِنْتَانِ، صَدَقَةٌ وَصِلَةٌ. سنن النسائي

সালমান ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ বলেন, মিসকিনকে দান করায় একটি সাওয়াব এবং আত্মীয়কে দান করায় দুইটি সওয়াব হাসিল হয়, একটি দানের সাওয়াব এবং অপরটি আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করার সাওয়াব। (বর্ণনায় সুনান আন-নাসায়ী)

আব্দুল্লাহ বিন মাসউদের স্ত্রী জয়নব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, সেই সদকায় কি আমাকে প্রতিদান দেয়া হবে যা আমি আমার স্বামী ও আমার নিজস্ব এতিমের জন্য করে থাকি? তিনি বললেন, এতে তোমার জন্য দ্বিগুণ সাওয়াব রয়েছে, সদকার সাওয়াব ও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করার সাওয়াব। (নাসায়ী)

চলবে..................


Hafez Maulana Mufti. Mohammad Ashraful Islam
Ethics Education Teacher, DISS
Khatib, Central Mosque, Daffodil Smart City
Ashuli , Savar, Dhaka