ChatGPT বর্তমানে বিরাট বিষয়
ChatGPT বর্তমানে বিরাট বিষয়। মূলত এটি হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আপনার করা প্রশ্নগুলির উত্তর স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেবে। ২০২১ পর্যন্ত আপডেট থাকায়, ল্যাংুয়েজ রিলেটেড সব উত্তরই সে দেবে।
কিন্তু, এই ধরুন আপনি ChatGPT কে একটি কবিতা লিখে দিতে বললেন। লিখেও দিল। কিন্তু সেটা কবিতা হলো না কি হলো এটা আল্লাহ্ই জানে। যদিও প্রযুক্তির কাছে এটাই বিশাল ব্যপার। এখানে একটি বিষয় কিন্তু পরিস্কার। যে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কখনো হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স এর সমতায় আসতে পারে না। যদি না আপনি তাকে সেই ক্ষমতা দিয়ে দেন।
মজার ব্যপার হলো। আপনি আবার একই ক্ষেত্রে যদি কোন রোগের মেডিসিন প্রেসক্রাইব করতে বলেন ChatGPT কে, তাহলে সেই চ্যাট বোট উত্তর দিবে যে, সে কোন ডাক্তার না। তাই সে মেডিসিন প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। মানে এরও কিছু লিমিটেশনস আছে। সব তথ্যই সে দিবে বা দিতে পারবে তাও নয়। কিংবা কনফিউজিং উত্তরও দিতে পারে যা হয়তো রিলেটেড না।
সুতরাং, নতুন প্রযুক্তি এসেছে। আপনি প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে সেই সুবিধা নিন। এটার এসিস্টেন্সি নিয়ে কাজের অগ্রগতি সাধন করেন। কিন্তু সৃজনশীলতা ভিন্ন জিনিস। এটা "আমি ভাত খাই, আর "ভাত আমি খাই" এর মধ্যে সীমাবদ্ধ বিষয় না। যা আপনার মাথায় আছে, তা ChatGPT এর মাথায় নাই।
তাই ChatGPT তে বিভোর হয়ে আপনি নিজের সৃজনশীলতা নষ্ট করবেন না। তাকে এসিস্ট্যান্ট বানান। নট সাবস্টিটিউট। এটা দুশ্চিন্তার না বরং বিবেচনার বিষয়। যে, আপনি নিজের সৃজনশীলতা এই প্রযুক্তির হাতে তুলে দিবেন নাকি নিজেই তা প্রাক্টিস করে নিজেকে কর্মক্ষম রাখবেন। সোজা হিসাব।
Source: Social Media