Science & Information Technology > AI Tools

এআই আইন পাসে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ইইউ

(1/1)

Md. Abul Bashar:
এআই আইন পাসে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ইইউ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই প্রযুক্তির ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ন্ত্রণে গত বুধবার একটি আইনের খসড়া প্রস্তাব পাস করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। খসড়া এই আইনের নাম দেওয়া হয়েছে এআই অ্যাক্ট।

ইইউতে আইনের পাসের প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ দিকে পূর্ণাঙ্গ এই আইন পাস হতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রযুক্তির সফটওয়্যার কীভাবে ব্যবহার করা হবে, কীভাবে এর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে, এ নিয়ে ইইউতে দুই বছরের বেশি সময় ধরেই আলোচনা চলছে। তবে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ওপেন এআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি প্রকাশ্যে আসার পর এ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয় ইইউর আইনপ্রণেতাদের মধ্যে। এর ফলে নতুন এ আইনের পাসের উদ্যোগ নেওয়া হলো।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশ এআই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একটি আইনি কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নই প্রথম, যারা কি না এ-সংক্রান্ত আইনের কোনো খসড়া প্রস্তাব পাস করল। এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেই এই আইন পাসের প্রক্রিয়াটি হাতে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে এআই নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি হোয়াইট হাউস একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে। কোনো এআই টুলস প্রকাশের আগে কী কী করতে এবং এর মাধ্যমে যাতে নাগরিক অধিকার খর্ব না হয় সে জন্য এই নীতিমালার পথে হাঁটছে মার্কিন

সরকার। এ ছাড়া চীনও একটি খসড়া তৈরি করেছে। গত এপ্রিলে এটি প্রকাশ করা হয়। চীনের ওই নীতিমালা অনুসারে, কোন এআই টুলস কোন ধরনের তথ্য ব্যবহার করবে, সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে চীন সরকার।

তবে আইন করে এআই সফটওয়্যার কিংবা টুলস কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। কারণ, প্রচলিত আইন বা আইনপ্রণেতাদের ভাবনার চেয়েও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এই প্রযুক্তি। যেমন ইইউর এর আগে এ-সংক্রান্ত যে আইনটি ছিল, সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ছবি, ভিডিও কিংবা লেখালেখি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সে-সংক্রান্ত কোনো ধারণা ছিল না। যদিও চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে এখন কৃত্রিমভাবে ছবি, ভিডি ও লেখা তৈরি করা যাচ্ছে।

ইইউর নতুন এই খসড়া আইন অনুসারে, এআই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বা সফটওয়্যারগুলোকে নতুন এক বিধির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানকে আরও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।






Source: Prothom Alo.

Navigation

[0] Message Index

Go to full version