আজ, অবেলা-অবসয়ে
তোমাকে মনে পড়ে,
বড় তৃষিত অভাগীর মন,
দেখিতে চাঁদবদন মুখ।।
মনে পড়ে আষাঢ়ের শেষ বিকেলে
বসিয়া, কদম তলে-
সারা গা লেপ্টে যেত উড়ানি
-ঢালা বৃষ্টির জলে।।
লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে
তুমি, ভেজা কোলে বসে
আদর-সোহাগে বলতে-
ভালবাসি প্রিয়তম, অবিরাম-অবিরত,
কি মধুর ছিল সেই চয়ণ!
আমি আড়োচোখে, চেয়ে
তোমার শ্যামল নগ্ন বুকে,
হাত বুলিয়ে দিতাম-
অশান্ত ধরনীর বুকে নেমে আসতো সন্ধ্যা
-ঝির ঝির বাতাসে।।
তারপর পৃথিবী ছিল ক্ষণকাল মৌন
হঠাৎ, খোলাকাশে দু‘হাত তোলে
উদাস মনে বলতে-প্রিয়তম
- বড় মধুর এই ছোয়া !
আমি লজ্জায় মুখ ছেঁপে,
শিহরে উঠতাম কেঁপে-
ছলছল নয়নে, অশ্রু ভেজা বদনে
হাত দুখানি ধরে, মিনতি করতাম
ভুলে যাবে না তো কোন দিন
-প্রিয়তম!
তারপর, বিদিশার নেশা..
সময়গত হলো, সবই রয়ে গেল-
স্মৃতির স্বাক্ষর, সেই চেনা পথ,
তুমি গেলে -দূর অজানায়
দিয়ে আখিঁ জল উপহার।।
আজও অনুভবে বুঝি, তাই সদা খোজি
হে, কামনা বিলাশী, বিনোদবর্মন
কি দোষ ছিল আমার ?
দুর্দান্ত আঘাতে, কেন ক্ষত-বিক্ষত করলে
-এই পাষাণী অহল্যার মন।।