দলিল-খতিয়ান নয়, এখন মাত্র ২ টি প্রমাণ থাকলেই জমি আপনার
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এখন থেকে জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য আগের মতো দলিল ও খতিয়ানসহ বহু কাগজপত্র নয় — মাত্র দুটি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলেই মালিকানা নিশ্চিত হবে। নতুন ভূমি আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী, ওয়ারিশ সূত্রে খতিয়ানমূলক মালিকানা বা ক্রয়সূত্রে নিবন্ধিত দলিল—এই দুইয়ের যেকোনো একটির ভিত্তিতেই বৈধ মালিকানা দাবি করা যাবে।
সরকারের নতুন ভূমি আইন ইতোমধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশিত এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় কার্যকর হয়েছে। আইনটির মূল লক্ষ্য হলো ভূমি জালিয়াতি, দখলবাজি ও দলিল জাল করার মতো অপরাধ বন্ধ করে জমির মালিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে নামজারি, রেকর্ড সংশোধন, খতিয়ান যাচাই—সব প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে করা যাবে।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার করে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দলিল সম্পাদন করে, বা ভুয়া পরিচয়ে জমি হস্তান্তর করে—তাহলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড, এমনকি উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন প্রতিটি ভূমি মালিকের উচিত—নিজের দলিল ও খতিয়ানের তথ্য সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করা, প্রয়োজনে সংশোধন করা। না হলে ভবিষ্যতে আইনি জটিলতায় জমির মালিকানাই হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
Source:https://www.dailyjanakantha.com/law/news/868280