মহিলারা কোথায় ই'তিকাফ করবে? মসজিদে না বাড়ীতে নামাজের স্থানে?
বর্তমান যুগে নারীদের তেমন নিরাপত্তা নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের দিকে তাকালে সেটাই বলতে হয়। তাহলে, নারীরা ইতি’কাফ কোথায় করবে? মসজিদে? মসজিদে কি তাদের কোন নিরাপত্তা আছে বা মসজিদে কি তারা নিরাপদ? বর্তমান যুগে নারীরা মসজিদে ই'তিকাফ করলে তাদের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হওয়ার কথা। এ জন্য বর্তমানে মিশরীয় ওলামাদেরকেও দেখেছি মহিলাদের মসজিদে ই'তিকাফ করার ঘোর বিরোধিতা করে থাকেন তারা। কারণ, নিকটাত্মীয় স্বজন থেকে তারা দূরে থাকেন। এতে তাদের নিরাপত্তায় সমস্যা হবে।১। বুখারী শরীফের হাদীস:
أن النبي صلى الله عليه و سلم كان يعتكف العشر الأواخر من رمضان حتى توفاه الله ثم اعتكف أزواجه من بعده
অর্থাৎ, রাসুল (সাঃ) ইন্তেকাল পর্যন্ত রমজানের শেষ ১০ দিন ই'তিকাফ করতেন। তার ইন্তেকালের পর তার পূণ্যবতী স্ত্রীগণ ই'তেকাফ করতেন। এর একটা ব্যাখ্যা পেলাম- মহিলারা ই'তেকাফ করবে তবে, শর্ত হল- তারা পুরুষ সমাজের সাথে মেলামেশা থেকে দূরে থাকবে এবং, তাদের ই'তিকাফের জন্য টাংগানো তাবু যেন মুসল্লিদের সমস্যা না করে। আর ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বলেছেন: বাড়ীতে যে স্থানে মহিলারা নামাজ পড়ে সে স্থানে তাদের ই'তেকাফ করা বৈধ। উক্ত অংশটা কপি পেস্ট করে দিলাম।
[ ش أخرجه مسلم في الاعتكاف باب اعتكاف العشر الأواخر من رمضان رقم 1172
( أزواجه من بعده ) أي بعد وفاته صلى الله عليه و سلم وهو دليل استمرار محك الاعتكاف حتى للنساء شريطة أن لا يختلطن بالرجال ولا يضيقن بأخبيتهن على المصلين وقال أبو حنيفة رحمه الله تعالى يصح اعتكافها في مسجد بيتها وهو الموضع الذي تتخذه في بيتها خاصة لصلاتها ]
[/size]
২। বায়হাকীর মা'রেফাতুস সুনানে এসেছে- রাসুল (সাঃ) একবার ই'তিকাফ করতে চেয়েছিলেন। যেখানে ই'তিকাফ করবেন সেখানে গিয়ে দেখেন অনেকগুলো তাবু টাংগানো রয়েছে। সেখানে তাবু রয়েছে- আয়েশা সিদ্দিকা, হাফসা ও যায়নাব বিনতে যাহাশ (রাঃ) এর। সেগুলো দেখে তিনি প্রশ্ন করলে বলা হল যে, সেগুলো আয়েশা সিদ্দিকা, হাফসা ও যায়নাব বিনতে যাহাশ (রাঃ) এর তাবু। রাসুল (সাঃ) বললেন: তোমরা কি এটাকে নেককাজ মনে কর? এর পর তিনি ই'তিয়াফ না করে বের হয়ে গেলেন। পরে, শাওয়ালের ১০ দিন ই'তেকাফ করলেন। (বুখারী শরীফ, মুয়াত্তা মালেক,সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী)ইমাম শাফেয়ী (রহ:) বলেন: এ জন্যই মহিলাদের নিজ বাড়ীর নামাজের স্থান ছাড়া অন্যত্র ই'তেকাফ করাকে আমি মাকরুহ (অপছন্দ) বলি।