বাংলাদেশসহ বিশ্বের সবদেশে তুলা রফতানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে ভারত। স্থানীয় চাষি এবং তাঁত শিল্পের কথা বিবেচনায় কাঁচা তুলা রফতানি নিষিদ্ধ করার ছয়দিন পরই রোববার সিদ্ধান্ত পাল্টানোর কথা জানালো দেশটি।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা রোববার জানিয়েছেন, ‘তুলা চাষি, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্প এবং বাণিজ্যের কথা বিবেচনা করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি রফতানি নিষিদ্ধ আদেশ স্থপিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তুলা রফতানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আগামী সোমবার একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসবে বলে জানিয়েছেন শর্মা।
গত সপ্তাহের সোমবার তুলা রফতানি নিষিদ্ধ করে সরকারি আদেশ জারির পর বাংলাদেশ ও চীন থেকে তীব্র আপত্তি জানানো হয়। ভারতের তুলা ব্যবসায়ীরাও আপত্তি জানান। এর পরই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এই সিদ্ধান্তটির পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেন। এছাড়া ভারতের কৃষি মন্ত্রণালয়ও এই বলে এর সমালোচনা করে যে, নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাদের কিছুই জানানো হয়নি।
ভারতের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারেও তুলার দাম বেড়ে যায় হু হু করে। নিউইয়র্ক ও ভারতের সবচে বেশি তুলা আমদানিকারক দেশ চীনের বাজারে এর প্রভাব পড়ে ভয়াবহভাবে।
গত ৫ মার্চে তুলা রফতানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত জানার পর কৃষিমন্ত্রী বাণিজ্য ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে বলেন, তাকে অন্ধকারে রেখেই সরকার এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতের তুলা উৎপাদনকারী প্রধান প্রদেশ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন।
এমনকি গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের তুলা চাষিদের একটি প্রতিনিধি দল এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ নিয়ে রাজধানী নয়াদিল্লিতে পর্যন্ত যায়।
উল্লেখ্য, ছয় মাস আগেই ভারত তুলা রফতানির ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়। এর আগে ২০১০ সালের এপ্রিলে তুলা রফতানি নিষিদ্ধ করে তবে সে বছরই আবার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে।
source: http://www.banglanews24.com