প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় আর কত দিন নষ্ট করবে আমাদের দেশের এই কচি শিশুদের মেধা

আর কতদিন ? ছোটবেলা থেকে যে কি পড়াশুনা করে এসেছি তা এখন বুঝতে পারছি। হায়! দুঃখ একটাই যে দেশের গুণীজনরা বুঝতে পারছে না। আসলে তারা বুঝতে পারছে না নাকি বুঝেও না বোঝার চেষ্টা করতে তা বুঝে উঠতে পারছি না। মাতৃভাষা বাংলার কথাই ধরি, ছোটবেলা থেকে আমরা সবাই সমাস, সন্ধি এইসব পরে আসছি কিন্তু কতজন ছাত্রছাত্রী তা ঠিকমত পড়ে বা বুঝে এসেছে। প্রতি শ্রেণীতেই এগুলো পড়াতাম কিন্তু কিছুই মনে থাকতো না কিংবা কিছুই বুঝতাম না। ভাবতাম আমি হয়তো গবেট টাইপের ছাত্র তাই কিছু পারি না। কিন্তু না অনেকের সাথেই আলাপ করে দেখলাম যে, না, শুধু আমার না, বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীর একই অবস্থা।
আমাদের যদি প্রতি শ্রেনীতে একগাদা ব্যাকরণ না দিয়ে প্রতি শ্রেনীতে যদি ব্যাকরণের একটি একটি করে বিষয় বুঝানো হয় তাহলে সবাই ভালমত বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে পারতো। এমনই অবস্থা ইংরেজী ক্ষেত্রেও। অংকের কথা না হয় বাদ-ই দিলাম। শুধু শুধুই ছাত্রছাত্রীদের মাঝে গণিতভীতি চাপিয়ে দেয়া হয়।
এখন একটু অন্য বিষয়ে আসি। "হিসাববিজ্ঞান" খুবই মজার একটি বিষয়। দেখেছি অনেকেই হিসাববিজ্ঞান খুব পারে কিন্তু আসল বেপারই কেউ বলতে পারে না। কাউকে যদি কোন একটি লেনদেনের ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয় করতে দেয়া হয় তাহলে কোনটা ডেবিট আর কোনটা ক্রেডিট তা তো নির্ণয় করতে পারে কিন্তু কেন ডেবিট হল আর কেন ক্রেডিট হল তা অনেকেই ব্যাখ্যা করতে পারে না। তাহলে এই বিদ্যার লাভ কি হল

এভাবেই মুখস্ত করে ভাল ফলাফল নিয়ে পাশ করে কি লাভ

যখন শুনলাম যে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হতে যাচ্ছে তখন তা জেনে খুব ভাল লেগেছিল যে যাক এইবার মনে হয় কিছুটা পরিবর্তন আসবে কিন্তু না, আমি হতাশ।
ভেবেছিলাম মুখস্ত বিদ্যা ছেড়ে হয়তো সবাই এবার তাদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাবে কিন্তু না, কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে গাইড বই এসে গেল আর আগের মতই সবাই সেই মুখস্ত বিদ্যার হাল চালানো শুরু করল।
এর ফলাফল কি জানেন ? সবাই এসে সমস্যার সম্মুখিন হয় যখন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে।
সারা জীবনতো মুখস্ত বিদ্যার হাল চালিয়ে এসেছে, যখন পরীক্ষায় কোন কনসেপচুয়াল প্রশ্ন করা হয় তখনই সবার মাঝে হায়-হুতাশ শুরু করে দেয়।
এইসবকে কি বিদ্যা বলে বিবেচিত করা যায়
