IT Help Desk > Online Money Earning

ঘরে বসেই আয় করে পুরস্কার

(1/1)

Hafizur Rahman:
তথ্যপ্রযুক্তির নানা ধরনের কাজের মধ্যে বর্তমানে আউটসোর্সিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে বিদেশের নানা ধরনের কাজ করা যায়। আর এটাকেই বলে আউটসোর্সিং। বাংলাদেশের অনেক মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) এ কাজ করছেন সফলভাবেই।ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্স কাজে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ ভালো। ছেলেদের পাশাপাশি এ কাজে এগিয়ে আছেন মেয়েরাও। পড়াশোনা, সংসার—সবকিছু সামলে সফলভাবে আউটসোর্সিং করছেন মারজান আহমেদ। বর্তমানে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি নিজের সংসার সামলে যশোর থেকেই ইন্টারনেটে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি পেয়েছেন বেসিসের সেরা ফ্রিল্যান্সার পুরস্কার।
http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2012/03/13/2012-03-13-16-14-58-4f5f7282ec64c-5.jpg

‘নানা ধরনের কাজের পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করার আগ্রহ ছিল। সে কারণে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সম্পর্কে জানা ছিল। এই আগ্রহ থেকে ২০১০ সালে পুরোপুরি কাজ শুরু করি।’ বললেন মারজান। কাজের শুরুতে সময় দেওয়ার বিষয়টি ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন ওয়েবসাইট (মার্কেটপ্লেস) থেকে কাজের খোঁজ পান তিনি।মূলত ডেটা এন্ট্রি ও ওয়েব বিপণনের কাজ করেন মারজান। এ পর্যন্ত সফলতার সঙ্গে শেষ করেছেন এক হাজার ৫০টি প্রকল্প। এসব কাজের জন্য প্রতিদিন অনেকটা সময়ই দিতে হয়।
‘কাজটা যখন শুরু করেছিলাম, আস্থা ছিল নিজের প্রতি। সংসার সামলে পড়াশোনার পাশাপাশি যতটা সময় দেওয়া যায়, ততটাই কাজের ক্ষেত্রে দিয়েছি।’ বলেন মারজান। এর পাশাপাশি নিজের নামে ছোট একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে মারজান আহমেদের, যেখানে কাজ করছেন ১০ জন। নিজের এই ছোট অফিসের মাধ্যমেই কাজ করেন তিনি। নারীদের এসব কাজে এগিয়ে আসার ব্যাপারে নিজের উৎসাহের কথা জানালেন জোর গলায়। বললেন, ‘কাজের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কোনো মানে হয় না। পড়াশোনা, সংসার—এসব কোনো বাধা হতে পারে না। ইচ্ছে থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।’ নিজের পড়াশোনার বিষয়ে বলেন, ‘শুরু থেকেই পড়াশোনার প্রতি আলাদা মনোযোগ ছিল এবং এর ধারাবাহিকতায় ফলাফল নিয়েও সন্তুষ্ট ছিলাম।’ স্বামী আবদুল কাইয়ুমের কর্মস্থল যশোর, তাই সেখানে বসেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
বর্তমান ইন্টারনেট বিপণনে মারজান আহমেদের অবস্থান বেশ ভালো। তবে নিজের অবস্থান সবার শীর্ষে দেখতে চান তিনি। ‘আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশ অনেক ভালো করছে। তবে এখন আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে এবং শীর্ষস্থানে যেতে হবে।’ নিজের কাজের প্রতি একাগ্রতা ও সৎ থাকার ব্যাপারে জোর দেন তিনি। নিজের চার বছর বয়সী একমাত্র সন্তান আইমান আওসাফকেও সময় দিচ্ছেন, আবার কাজও করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া এলাকার অনেকেই বিভিন্ন সময় যখন আউটসোর্সিং নিয়ে কাজ করার আগ্রহের বিষয়টি জানান, তখন তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এতে অনেক শিক্ষার্থী কিংবা আগ্রহী ব্যক্তি অফিসে এসে কাজ করে যান। এতে নিজেরও কিছু আয় হয়, হয় তাঁদেরও। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার্থে দেশের বাইরে যাওয়ার স্বপ্নের কথা জানালেন মারজান। তবে যেখানেই থাকবেন, নিজের প্রিয় কাজটি করে যাবেন। মেয়েরাও যে নিজের যোগ্যতা দিয়ে কাজের মাধ্যমে ভালো করতে পারেন, সেটি সবাইকে জানিয়ে দেবেন—এমনই ইচ্ছে আর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলছেন তিনি।

Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-03-14/news/232346

Navigation

[0] Message Index

Go to full version