Valuable Quote from Holly Quran (কুরআনের অমূল্য বানী)

Author Topic: Valuable Quote from Holly Quran (কুরআনের অমূল্য বানী)  (Read 32201 times)

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #60 on: May 07, 2013, 07:26:52 PM »
যারা আল্লাহ তা'আলার উপর ঈমান আনে আল্লাহ তা'আলাই তাদেরকে (যালেমদের) থেকে রক্ষা করেন, এতে সন্দেহ নেই, আল্লাহ তা'আলা কখনো বিশ্বাস ঘাতক ও না শোকর বান্দাকে ভালোবাসেন না'
[সূরা আল হাজ্জ, আয়াত ৩৮]
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #61 on: May 17, 2013, 10:27:48 AM »
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।

 [সূরা বনী ইসরাঈল: 23-24]
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #62 on: May 17, 2013, 10:28:39 AM »
আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার জননী তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস। অবশেষে সে যখন শক্তি-সামর্থের বয়সে ও চল্লিশ বছরে পৌছেছে, তখন বলতে লাগল, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এরূপ ভাগ্য দান কর, যাতে আমি তোমার নেয়ামতের শোকর করি, যা তুমি দান করেছ আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ কর, আমি তোমার প্রতি তওবা করলাম এবং আমি আজ্ঞাবহদের অন্যতম।
[সুরা আহক্কাফ, আয়াত ১৫]
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #63 on: May 17, 2013, 10:29:22 AM »
আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। আমি এগুলো যথাযথ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না। নিশ্চয় ফয়সালার দিন তাদের সবারই নির্ধারিত সময়। যেদিন কোন বন্ধুই কোন বন্ধুর উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না। তবে আল্লাহ যার প্রতি দয়া করেন, তার কথা ভিন্ন। নিশ্চয় তিনি পরাক্রমশালী দয়াময়। [ সুরা আদ-দুখান, আয়াত ৩৮ -৪২]
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #64 on: May 17, 2013, 10:30:00 AM »
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তাআলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। আল্লাহ তাআলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে। (সুরা বাকারাঃ আয়াত ২৭৫-২৭৬)
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #65 on: May 17, 2013, 12:40:12 PM »
" মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা বিশ্বাস করি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না। আমি তাদেরকেও পরীক্ষা করেছি, যারা তাদের পূর্বে ছিল। আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন যারা সত্যবাদী এবং নিশ্চয়ই জেনে নেবেন মিথ্যুকদেরকে। যারা মন্দ কাজ করে, তারা কি মনে করে যে, তারা আমার হাত থেকে বেঁচে যাবে? তাদের ফয়সালা খুবই মন্দ। যে আল্লাহর সাক্ষাত কামনা করে, আল্লাহর সেই নির্ধারিত কাল অবশ্যই আসবে। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। যে কষ্ট স্বীকার করে, সে তো নিজের জন্যেই কষ্ট স্বীকার করে। আল্লাহ বিশ্ববাসী থেকে বে-পরওয়া। আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদের মন্দ কাজ গুলো মিটিয়ে দেব এবং তাদেরকে কর্মের উৎকৃষ্টতর প্রতিদান দেব।
[সূরা আল আনকাবুত , আয়াত : ২-৭]
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline Emran Hossain

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 180
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #66 on: May 18, 2013, 02:17:11 PM »
Very excellent post for every one .

Emran Hossain
Deputy Director- F & A

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #67 on: May 21, 2013, 11:02:31 AM »
হে প্রতিপালক ! তুমি আমার ও আমার মাতা-পিতা প্রতি যে নিয়ামত দিয়েছো এর শোকরগোজারী করার তাওফীক দাও এবং আমাকে এমন সব নেক আমল করার তৌফিক দাও যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার দয়ার আমাকে তোমার নেক বান্দাদের মধ্যে শামিল করে দাও। [সূরা আন-নামল ১৯]
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline Emran Hossain

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 180
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #68 on: May 21, 2013, 12:35:10 PM »
Dear Arefin Sir,

Thank you for your Excellent post. By this ayate karima Allah Sobhan Watala declared to us Follow the Allah, Prophet (SA) and UlilUm (That means Alahe Baite Prophet (SA)) .


Emran Hossain

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #69 on: May 24, 2013, 08:29:41 PM »
যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।
[সূরা আল মুজাদালাহ , আয়াত -২২]
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #70 on: May 25, 2013, 10:10:50 AM »
“হে আসমান যমীনের সৃষ্টিকর্তা! দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানেই তুমি আমার অভিভাবক। আমাকে ঈমানের সাথে মৃত্যু দান করো এবং আমাকে সৎ কর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করো।” [সূরা ইউসুফ ১০১]
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline shilpi1

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 135
    • View Profile
আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই জয় পরাজয়, অথবা সফলতা ব্যর্থতার হিসেব কষে এগুতে হয়। জীবনের কোনো ক্ষেত্রে সফল্য এলে যেমন আমরা খুশির স্রোতে ভাসি, ঠিক তেমনি কোনো ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে অনেকের জীবনেই নেমে আসে হতাশার অন্ধকার।

কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার ওপর যদি আমাদের পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস থাকে তাহলে জীবনের এসব কঠিন মুহূর্তেই নিশ্চিন্ত থাকা সম্ভব। দুনিয়ার জীবনের কোনো ব্যর্থতা তখন আখিরাতের পুরস্কারের তুলনায় বড় হয়ে উঠতে পারে না। জীবনের হিসেব তখন আমাদের ইচ্ছাধীন না রেখে আল্লাহর ওপর  ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে সুখে শান্তিতে থাকা সম্ভব। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কুরানে সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব এ বলেছেন
"যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট।" (সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব -৩)

আমরা অনেকেই মানুষ হয়ে সীমিত ক্ষমতার অধিকারী অন্য কারো ওপর অনেক বেশি ভরসা করে থাকি, আর ফল স্বরূপ অনেক ক্ষেত্রেই আশাহত হই। কিন্তু আল্লাহ হচ্ছেন অসীম ক্ষমতার অধিকারী, তিনিই পারেন যাকে ইচ্ছা সাহায্য করতে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এই সম্পর্কে বলেন,
 “আর তুমি ভরসা কর এমন চিরঞ্জীব সত্ত্বার ওপর যিনি মরবেন না।” (সূরা আল ফুরকান: ৫৮)

মানুষ হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার সৃষ্ট জীব, তাই তার অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, আর তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মানুষ অনেক সময়ই ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে না। কিন্তু আল্লাহর ওপর ভরসা করলে আল্লাহ তার প্রতিদান অবশ্যই দেবেন। আর মুমিনদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা আল্লাহর ওপর আস্থা রাখে, এই বিষয়ে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন,
 “আর আল্লাহর ওপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত।” (সূরা ইবরাহীম : ১১)
তাকদিরে বিশ্বাস স্থাপন করা ইমানের মূল সাতটি বিষয়ের একটি। অর্থাৎ আমাদের জীবনের প্রতিটি ঘটনা, ভালো কিংবা মন্দ যা-ই ঘটুক না কেন তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আমাদের কাছে আসে, এই বিশ্বাস আমাদের রাখতে হবে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,
"আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিরেকে কোনো বিপদ আসে না এবং যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।"

Offline shilpi1

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 135
    • View Profile
চাকরি করা বা চুক্তিভিত্তিক কাজ করা মানুষের অন্যতম অধিকার।

বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণার ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদে মানুষের কাজ করার অধিকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ অনুচ্ছেদে এটাও বলা হয়েছে, মানুষ কাজ বা পেশা বেছে নেওয়ার ব্যাপারে স্বাধীন।

এদিকে নারীর কর্মসংস্থানের বিষয়টি বর্তমান যুগের বিষয়। গত দুই শতকে নানা ধরনের ঘটনা ও পরিবর্তনের ফলে নারীর কর্মসংস্থানের ঝোঁক এবং প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে।

শিল্প বিপ্লবের পর কল-কারখানাসহ নানা ধরনের কর্মক্ষেত্রের সংখ্যা বহু গুণ বেড়েছে। পুঁজিপতিরা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন ও উৎপাদন-ব্যয় কমাতে তাদের কারখানায় সস্তা শ্রম শক্তি নিয়োগের পথ খুঁজছিলেন। আর নারীকেই তারা বেছে নিয়েছেন এ জন্য।

 নানা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে এখনও নারীকর্মী ও শ্রমিকরা অপেক্ষাকৃত কম পারিশ্রমিক পাচ্ছেন।

 

বর্তমান যুগেও নারীকর্মী ও শ্রমিকরা শোষণের শিকার হচ্ছেন। নারীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কঠিন ও ব্যাপক শ্রম-সাধ্য কাজ। ফলে অসুস্থ হচ্ছেন তারা।  বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীকে এমন কর্মক্ষেত্রে নিয়ে আসা হচ্ছে; যেখানে তারা কাজ করতে পারছেন না স্বচ্ছন্দে। বিশেষ করে পাশ্চাত্যে নারীর কর্মক্ষেত্রে যে নানা অনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে; তা তাদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। অথচ পশ্চিমা সরকার নারী অধিকারের রক্ষক বলে দাবি করছে। এছাড়া তারা নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করার দাবি করে আসছে!

 

নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের নামে নারীবাদীরা ঘরের বাইরে নানা কর্মক্ষেত্রে নারী ও পুরুষকে একসঙ্গে কাজ করতে উৎসাহ যুগিয়ে থাকেন। পশ্চিমা শিল্প-সমাজের কর্তারাও নারীবাদীদের ওই লক্ষ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে নারীকে টেনে এনেছেন।

 

নারী ও পুরুষের স্বাভাবিক শক্তি-সামর্থ্য, মানসিক অবস্থা ও শারীরিক গঠনের বা আকর্ষণের  পার্থক্যকেও তারা বিবেচনায় আনেননি এক্ষেত্রে। ফলে কর্মক্ষেত্রে ভারসাম্য নারীর অনুকূল না হয়ে পুরুষের অনুকূল হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ এ পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নারী। কর্মক্ষেত্রে শক্তিমান পুরুষের যৌন নির্যাতনের হাত থেকে সুদর্শনা ও  দুর্বল নারীর আত্মরক্ষার কোনো উপায় প্রায় নেই বললেই চলে।

 

পশ্চিমা নারীবাদীদের দৃষ্টিতে সমান অধিকারের অন্যতম অর্থ হল ঘরের বাইরে নারী ও পুরুষের জন্য চাকরির অধিকার নিশ্চিত করা। যে নারী কেবলই গৃহবধূ তাকে পশ্চাদপদ বলে মনে করেন নারীবাদীরা। এভাবে পাশ্চাত্য নারীকে কেবলই সামাজিক ভূমিকায় ব্যস্ত রেখে তাদের মাতৃত্ব ও স্ত্রীর ভূমিকাকে বিলুপ্ত করছে। পশ্চিমে নারী ও মায়েদের ওপর মানসিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে।

অন্যদিকে মানুষের জীবনের জন্য পরিপূর্ণ বা পূর্ণাঙ্গ বিধানের ব্যবস্থা করেছে ইসলাম।

অধিকারের দিক থেকে নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলে ইসলাম।

 

ইসলাম নারীর মালিকানা ও অর্থনৈতিক তৎপরতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর পাশাপাশি নারীর অর্থনৈতিক চাহিদাগুলো পূরণ করা স্বামীর দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেছে। যাতে নারী কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই তার সাংসারিক দায়িত্বগুলো পালন করতে পারেন। এরই আলোকে ঘরের বাইরে কাজ করার কোনো প্রয়োজন নেই নারীর। বাইরে চাকরি করা নারীর জন্য বাধ্যতামূলক কোনো বিষয় নয় বরং তা তাদের ইচ্ছাধীন বিষয়। তারা ঘরের বাইরে যে কোনো বৈধ পেশা বেছে নিতে পারেন। 

 

ইসলামের দৃষ্টিতে নারী সাংসারিক বা পারিবারিক দায়িত্ব পালন ছাড়াও সামাজিক ও অর্থনৈতিক তৎপরতায় জড়িত হতে পারেন। তবে তাদের এ দায়িত্ব এমনভাবে পালন করতে হবে, যাতে স্বামী ও সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালনের কাজটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

ইসলাম নারীর কাজ বা চাকরিকে মর্যাদা দেয়। পুরুষ বা স্বামী নারীকে ঘরে ও বাইরে কাজ করতে বাধ্য করার অধিকার রাখেন না।

ইসলামও নারী ও পুরুষের সমান অধিকারকেও সমর্থন করে। তবে তা পশ্চিমাদের কথিত সমান অধিকারের অর্থে নয়। বরং নারীর প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের আলোকে তাকে কাজ দেওয়ার কথা বলে ইসলাম। কারণ, খুব কঠিন কায়িক শ্রমের কাজ নারীর পক্ষে করা সম্ভব নয় এবং তা ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের স্বার্থেরও অনুকূল নয়।

মার্কিন লেখিকা মিসেস ন্যান্সি লিইঘ ডি-মস  লিখেছেন,‘নারীদেরকে ঘর-সংসারের কাজের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হতে উৎসাহ দেওয়া এবং তাদের বেশি আনন্দ দেওয়ার জন্য ঘর থেকে বের করে আনা–এসবই নারীর জন্য মাত্রাতিরিক্ত টেনশন বা উদ্বেগ ছাড়া অন্য কোনো ফল বয়ে আনেনি। বিপুল সংখ্যক নারী আজ মানসিক চিকিৎসক ও নানা ধরনের ওষুধের সাহায্য ছাড়া জীবন যাপন করতে পারছেন না। যেসব নারী সব সময় এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাচ্ছেন ও এক পেশা ছেড়ে অন্য পেশা ধরছেন তাদের বেশিরভাগই অনৈতিক সম্পর্কের শিকার হয়েছেন ও হচ্ছেন।’

 

ইসলামের দৃষ্টিতে নারী ও পুরুষের পেশাগত পার্থক্য এবং তাদের অধিকারের পার্থক্য এক কথা নয়।  তাদের অধিকার সমান। যেমন, আমিরুল মুমিনিন হজরত আলী (রা.) ও হজরত ফাতিমা (রা.)-উভয়ই উচ্চতর আধ্যাত্মিক মর্যাদার অধিকারী। কিন্তু ঘরের বাইরের কাজগুলো ছিল আলী (রা.)-এর পেশা, আর ঘরের বা ঘরোয়া কাজগুলো করা ছিল বেহেশতি নারীকূলের নেত্রী ফাতিমা (রা.)-এর পেশা।

 

জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রতিভা ও শারীরিক শক্তির দিক থেকে মানুষে মানুষে রয়েছে পার্থক্য। তাই মহান আল্লাহ সবার জন্য তার উপযোগী কাজ নির্ধারণ করেছেন। নারী-পুরুষও এর ব্যতিক্রম নন। যেসব পার্থক্য প্রকৃতিগত তা পরিবর্তন করা যায় না।

 

শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয় মায়ের স্নেহের আচলে। কিন্তু পুঁজিবাদী সমাজ নারীকে চাকরি দেওয়ার অজুহাতে তার মূল কাজ থেকে দূরে রাখছে; যাতে তাদের পুঁজিবাদের সেবায় বেশি ব্যবহার করা যায়।

 

কানাডীয় লেখক উইলিয়াম গার্ডনার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, কর্মজীবী মায়েরা শিশুদের যে ডে কেয়ার সেন্টারে রেখে যান তা কখনও শিশুর জন্য পরিবারের মতো উত্তম নয়। ফেমিনিস্ট বা নারীবাদীরা আজও এ প্রশ্নের জবাব দেননি।

 

উইলিয়াম গার্ডনারের মতে নারীবাদ গড়ে উঠেছে কাজের ব্যাপারে বিপুল সংখ্যক পশ্চিমা নারীর ক্লান্তি, শ্রান্তি ও হতাশার মতো বাস্তবতা থেকে। এসব নারীই তাদের সন্তানকে ডে-কেয়ার সেন্টারে পাঠান ও কম বেতনের চাকরি পেলেও তা আঁকড়ে ধরেন। অথচ এ ধরনের চাকরির প্রতি তাদের কোনো আগ্রহই নেই। সূত্র : আইআরআ

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #73 on: June 02, 2013, 01:33:48 PM »
অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ন হয়েছেন। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
[সূরা মুযযামমিল , আয়াত :২০]
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline russellmitu

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1576
  • Test
    • View Profile
Re: কুরআনের অমূল্য বানী
« Reply #74 on: June 04, 2013, 02:50:47 PM »
GOOD
KH Zaman
Lecturer, Pharmacy