Religion & Belief (Alor Pothay) > Islam & Science
Question-answer
shibli:
প্রশ্ন-১. যে কোন হাক্কানী পীরের মুরীদ না হলে নাকি জান্নাতে যাওয়া যাবে না কথাটি কি ঠিক?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, আমরা সকলেই তো হাক্কানী পীরের মুরিদ। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। তবে তিনি পীর নামে পরিচিত নন। তিনি একমাত্র পথ প্রদর্শক আল্লাহর প থেকে নির্বাচিত।
প্রশ্ন-২. যিকির কাকে বলে?
উত্তর: যিকির অর্থ স্মরণ। কোরআন মজীদে নামাজকেও যিকির বলা হয়েছে। অর্থাৎ সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণ করা হচ্ছে যিকির। আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলা আল্লাহকে ভুলে না যাওয়াই যিকির।
প্রশ্ন-৩. নিজের ছেলেমেয়েকে আদর করে আব্বা আম্মা বলে ডাকা ঠিক হবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, নিজের ছেলে মেয়েকে এভাবে ডাকলে তাতে কোন গুনাহ হবে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে এভাবে ডাকার সময় যেন আপন মা-বাবা পাশে না থাকেন। এতে তারা মনুণÅ“ হতে পারে। তুমি আমার বাবার মত অথবা মায়ের মত ইত্যাদি বলাই ভাল।
প্রশ্ন-৪. যদি ফসল দিয়ে নিজের পরিবারের খাদ্যের চাহিদাই না মেটে এমতাবস্থায় কি ওশর দিতে হবে?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, ফসল পেলে তো ওশর দিতেই হবে। কারণ যে ভাগ আপনি দিয়ে দিবেন সেটা আপনার নয়। ওশর হচ্ছে গরীবের ন্যায্য অধিকার/ পাওনা। ফসলের পরিমাণ ২৭ মণের কম হলে হানাফী মতে ওশর না দিলে তি নেই।
প্রশ্ন-৫. শিক হিসেবে কাস নেওয়ার সময় দেখা যায় কিছু ছাত্রী মুখ ঢেকে রাখে এতে করে তাদের মুভমেন্ট বোঝা যায় না। মুখ কি ছতরের মধ্যে পড়ে?
উত্তর: জ্বি না, মুখ খোলা রাখারও অনুমতি রয়েছে। মুখ খোলা রাখা যাবে বলেও একটি মত যেহেতু রয়েছে তাই ছাত্রীদের জন্য মুখ খোলা রাখাই উত্তম।
প্রশ্ন-৬. ফুলহাতা ব্লাউজ ঢিলেঢালা কাপড় ও আঁচল টেনে মাথায় দিয়ে চললে কি পর্দা রা হবে?
উত্তর: আপনাকে হিজাব পালন করতে হবে। অর্থাৎ যেভাবে কাপড় পরলে গোপন অংগগুলো ফুটে উঠেনা সেভাবে কাপড় পরিধান করতে হবে। শালীন ও মার্জিত পোশাকের মাধ্যমে হিযাব পালন করতে হবে।
প্রশ্ন-৭. আমার স্বামী নেই ছেলে বড় হয়েছে তার আর্থিক সংগতি নেই আমার সাথে হজ্বে যাওয়ার। কার সাথে আমি হজ্বে যাব বা আমার করণীয় কি?
উত্তর: আপনার উপর হজ্ব ফরজ হতে হলে দুইজনের হজ্বে যাবার টাকা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে পূর্বে হজ্ব করেছেন এরকম কাউকে দিয়ে আপনি বদলি হজ্ব করিয়ে দিতে পারেন।
প্রশ্ন-৮. কেউ যদি ভুল বুঝে আত্মহত্যা করে থাকে আল্লাহ কি তাকে মাফ করবেন?
উত্তর: ভুল বুঝে করলে আল্লাহ তাকে মা করতে পারেন। আÃহত্যা করা তো নাজায়েজ। কিন্তু কোন মানুষ যদি স্বাভাবিক অবস্থায় না থাকার কারণে বা ভুল বুঝে আত্মহত্যা করে তাহলে আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে বিষয়টি ফায়সালা হবে। হতে পারে বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ কারণে আল্লাহ মাফ করে দিবেন।
প্রশ্ন-৯. অনেক পিতা মাতা রাগের মাথায় সন্তানদের অনেক রকম কথা বলে থাকেন। সেই কথা শুনামাত্র সন্তান যদি অনেক রকম কাজ করে ফেলে এতে করে কে গুনাহগার হবে পিতামাতা না সন্তান?
উত্তর: যিনি অন্যায় করবেন তিনিই দায়ী হবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। সেই কাজে যদি কেউ প্রত্য সহযোগিতা করে তাহলে তিনিও দায়ী হবেন। মা বাবা যদি সন্তানের সাথে অন্যায় আচরণ করে সেজন্য তারা দায়ী হবেন। কিন্তু সন্তানের কোন অধিকার নেই মা বাবার সাথে অন্যায় আচরণ করার এবং সেজন্য সন্তানকেই দায়ী হতে হবে।
প্রশ্ন-১০. কেউ যদি অসুস্থ হয়ে কষ্ট সহ্য করতে না পারে মৃত্যু কামনা করে তার কি গুনাহ হবে?
উত্তর: এ ব্যাপারে একজন ঈমানদারের দায়িত্ব হল সবর করা। আর সবর না করে কেউ যদি সজ্ঞানে এমনটি কামনা করেন তাহলে তিনি গুনাহগার হবেন।
প্রশ্ন-১১. আমেরিকাতে শেয়ারের ব্যবসা করা যাবে কি?
উত্তর: শেয়ার ব্যবসা কিন্তু নাজায়েজ নয়। যে কোম্পানীর শেয়ার আপনি কিনবেন সেটি যদি সুদের না হয় তারা যদি লাভতির ভিত্তিতে ব্যবসা করে তাহলে সেটা জায়েজ।
প্রশ্ন-১২. অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য গ্রামে বা পঞ্চায়েত কর্তৃক বেত্রাঘাত বা পাথর মারা বা শাস্তি দেয়া কি ইসলামী বিধান মতে সঠিক?
উত্তর: এভাবে বিচার বহির্ভূত শাস্তি দেয়া ইসলামে বৈধ নয়। বিচার করার অধিকার রাখে কেবল ইসলামী রাষ্ট্রের আদালত। যে কোন আদালতের বাহিরে কেউ বিচার করার এখতিয়ার রাখে না।
প্রশ্ন-১৩. কেউ যদি বিয়ের আগে কারও সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে পরে অনুতপ্ত হয়ে দুজন দুজনকে বিয়ে করে এবং তওবা করে তারা কি মা পাবে?
উত্তর: বড় গুনাহ করার পরেও কেউ যদি তওবা করে অনুতপ্ত হয় তাহলে আল্লাহ মাফ করে দেন। আল্লাহ কোরআন মজীদে বলেছেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল গুনাহ মা করে দেন, তিনি মাশীল ও দয়ালু।â€
প্রশ্ন-১৪. আমার মৃত বাবাকে প্রায়ই স্বপ্নে দেখতাম তিনি আমার প্রতি রাগানি¦ত, আমাকে স্বপ্নে মারতে আসতেন। পরে আমি আলাদা নফল নামাজ পড়ে তার জন্য দোয়া করি এবং স্বপ্নে দেখি তিনি শান্তিতে আছেন। এটার মানে কি? নফল নামাজ পড়ার কারণে এটি হয়েছে কি?
উত্তর: হতে পারে নফল নামাজ পড়ে দোয়া করার কারণে আর আপনার আব্বাকে বিরূপ দেখছেন না। কিন্তু বিষয়টি আল্লাহ ভালো জানেন। তবে একটি কাজ করতে পারেন, আপনার নিজের কোন ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে সেটি দূর করার চেষ্টা করুন এবং আপনার আব্বার মাগফেরাতের জন্য বেশি দানখয়রাত ও ভালো কাজ করুন।
প্রশ্ন-১৫. সুদের টাকা কোন অভাবীর বাড়ি নির্মানের জন্য দেয়া যাবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, দেয়া যাবে।
প্রশ্ন-১৬. দূর সম্পর্কের আত্মীয় রিক্সাচালক কিছু টাকা ধার নিয়ে সামর্থ থাকা সত্ত্বেও দিচ্ছে না। ঐ টাকা কি যাকাত হিসেবে বাদ দেয়া যাবে?
উত্তর: জ্বি না, ঐ টাকা যাকাত হিসেবে আদায় দেখানো যাবে না। তাকে আপনি যাকাত দিয়ে বলতে পারেন যে ভাই তুমি আমার পাওনা টাকাটা কি দিতে পারবে? তবে পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার শর্তে যাকাত আদায় করলেও যাকাত আদায় হবে না।
প্রশ্ন-১৭. আরবী লেখা কোন ঠুঙ্গা বা কাগজ পেলে কি পুড়িয়ে ফেলতে হবে? না হলে কি করা উচিত?
উত্তর: পুড়িয়ে ফেললেও অসুবিধা নেই পানিতেও ফেলা যেতে পারে। আরবী ভাষাও সম্মান পাওয়ার অধিকারী। কারণ এটি জান্নাতের ভাষা, কোরআনের ভাষা।
প্রশ্ন-১৮. ডাক্তারী পড়ার সময় ছাত্রছাত্রীরা মানব দেহ কাটাকাটি করে। এটি কি জায়েজ?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, জ্ঞান অর্জনের জন্য একটি করা যায়েজ।
প্রশ্ন-১৯. আমার মা ৩ লাখ টাকার জমি বিক্রি করেছেন। ১ লাখ টাকা মা'র নামে ইসলামী ব্যাংকে জমা আছে। ২ লাখ টাকা দিয়ে আমি ব্যবসা করছি। প্রশ্ন হলো এখন কে কোরবানী করবে। আমি নাকি মা?
উত্তর: পরিবারের প থেকে যে কোন একজন কোরবানী করলেই তা আদায় হয়ে যাবে।
প্রশ্ন-২০. দাড়ি রাখার সুন্নত তরীকা কি? ১ মুষ্ঠি পরিমাণ নাকি কম রাখলেও চলবে?
উত্তর: দাড়ি ১ মুষ্ঠি রাখলে ভালো তবে ১ মুষ্ঠি না রাখলেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
প্রশ্ন-২১. অজু করার মাঝখানে যদি অজু ভঙ্গ হয়ে যায় তাহলে কি প্রথম থেকে আবার অজু করতে হবে?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ পুনরায় অজু করতে হবে।
প্রশ্ন-২২. একাগ্রতার জন্য চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়া কি শুদ্ধ হবে?
উত্তর: চোখ খোলা রেখে নামাজ আদায় করাই হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়ম। একাগ্রতার জন্য যদি কেউ বন্ধ করে নামাজ পড়েন তাহলেও নামাজ হবে। তবে চেষ্টা করা উচিত চোখ খোলা রেখেই একাগ্রতার সাথে নামাজ আদায় করার।
প্রশ্ন-২৩. আমার ৭ মাস বয়সের বাচ্চার গলায় তাবিজ দেয়ায় সে এটি চুষতে থাকে এবং পেটে অসুখ হয়ে যায়। তাবিজ কি ইসলাম সম্মত?
উত্তর: তাবিজ ব্যবহার কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। আপনার বাচ্চার গলা থেকে তাবিজ খুলে ফেলাটাই উত্তম কাজ হবে।
প্রশ্ন-২৪. একজন ব্যভিচারী যদি তওবা করে চরিত্রকে সংশোধন করে তিনি কি মা পাবেন?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলে ভবিষ্যতে আর সেটি না করার প্রতিজ্ঞা করলে আল্লাহ পাক তাকে মা করে দেবেন।
প্রশ্ন-২৫. আমি জীবনে অনেক ভুল করেছি সে জন্য তওবাও করেছি। তারপরেও সেগুলো মনে পড়ে যায় এবং টেনশন করি কাজ কর্মের ব্যঘাত ঘটে। শুধু মনে হয় আল্লাহ মা করেন নি। আমার করণীয় কি?
উত্তর: অনুতপ্ত হওয়া তওবা করা, ভুল থেকে ফিরে আসা আল্লাহর নিকট খুবই পছন্দনীয় কাজ। তবে আল্লাহর মা ও রহমত থেকে নিরাশ হওয়া কিন্তু বড় অপরাধ। শয়তান আপনাকে এরূপ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করে তুলছে। অতএব আপনাকে শয়তানের ওয়াস ওয়াসা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
প্রশ্ন-২৬. কোন লোক যদি অন্যায় করে কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে আর না করার প্রতিজ্ঞা করে এবং পরবর্তীতে আবারও অন্যায় করে তাহলে কি হবে?
উত্তর: কেউ এ ধরনের কাজ করলে সে গুনাহগার হবে।
প্রশ্ন-২৭. কোন মানুষের সাথে অন্যায় করে তার কাছে মা না চাইলে কি আল্লাহ মা করবেন?
উত্তর: কোন বান্দার হক নষ্ট করলে বান্দা মা না করলে আল্লাহ মা করবেন না।
প্রশ্ন-২৮. কোন লোক যদি হজ্ব করে এসেও পাপ করে তার কি হবে?
উত্তর: এ ধরনের কাজ করলে তিনি গুনাহগার হবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে তার কি হবে সেটি জেনে আপনার কি লাভ? আপনি এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবেন সেই চেষ্টা করতে হবে।
প্রশ্ন-২৯. বাবা মা'র পাপর শাস্তি কি সন্তানরা ভোগ করবে?
উত্তর: জ্বি না, মা বাবার পাপের শাস্তি সন্তানরা ভোগ করবে না। কারো পাপের জন্য অন্য কেউ দায়ী হবে না আল কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী।
প্রশ্ন-৩০. একজন হজ্ব ফরজ হওয়ার পরেও হজ্ব না করে মারা গিয়েছেন। তার জানাজা কি পড়া যাবে? কারণ রাসূল (সঃ) বলেছেন, যার উপর হজ্ব ফরজ হয়েছে অথচ সে হজ্ব না করে মারা গেল সে ইহুদী বা নাছারা হোক তাকে আমার কোন দায় নেই।
উত্তর: আসলে এই হাদীসখানা সত্যই। কিন্তু তাই বলে তার জানাজা পড়ার ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা কোরআন হাদীসে নেই।
প্রশ্ন-৩১. মৃত ব্যক্তির জন্য দান কিংবা দোয়া করলে তার উপকার হয় কিন্তু যিনি করেন তিনি কি উপকৃত হন?
উত্তর: যিনি মৃত ব্যক্তির জন্য এগুলো করেন তিনিও সমভাবে উপকৃত হন বা সমান সওয়াব পেয়ে থাকেন। বরং দানকারী সওয়াব পাওয়া আরো বেশী নিশ্চিত।
প্রশ্ন-৩২. ইসলামের দৃষ্টিতে কবর ও মাজারের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর: আমি যেভাবে কবর ও মাজারের পার্থক্য করেছি এটি সঠিক নয়। ইসলামের দৃষ্টিতে সবই কবর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশ্ন-৩৩. অনেকেই যাকাত, দান খয়রাত করেন নিজেকে তুলে ধরার জন্য। এটা যে ঠিক নয় সেটা বলতে গেলে হয়তো তারা দান খয়রাতই বন্ধ করে দেবেন। তাতে অনেক গরীব দুঃখী বঞ্চিত হবে। তাই তাদের কি বলা যাবে যে ঢাক ঢোল পিটিয়ে হলেও যাকাত দাও।
উত্তর: যাকাত যারা ভুল তরিকায় দিচ্ছেন তাদের বুঝানো উচিত তারা যেন সঠিক তরিকায় দেন। তাদেরকে নিন্দা বা র্ভৎসনা করে বলা উচিত নয়। তাদের সঠিক বিষয়টি জানতে দেয়া এতে যাকাত দেয়া বন্ধ হলেও করবে না আবার যাকাতের সওয়াব থেকেও বঞ্চিত না হন।
প্রশ্ন-৩৪. কোন সন্তানকে ত্যাজ্য করলে ঐ সন্তানের বাবার সম্পত্তিতে কোন হক থাকে কি?
উত্তর: আসলে সন্তানকে ত্যাজ্য করার কোন বিধান ইসলামে নেই। সন্তান ভালো মন্দ যাই হোক বাবা মা'র সম্পদের উপর তার উত্তরাধিকার থাকবেই।
প্রশ্ন-৩৫. মাযহাবের কোন বিষয় কোরআন হাদিস পরিপন্থী হলে সেটা মানা নিষেধ। তাহলে কোরআন সুন্নাহর বাইরে মাযহাবের প্রয়োজনটা কি?
উত্তর: কোরআন হাদিস মানার ব্যাপারে অবশ্যই বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোরআন হাদীসের সাথে সংগতিশীল অনেক কিছু আমরা মেনে চলতে পারি। যেখানে গবেষণা আছে সেখানে মতপার্থক্য আছে। গবেষণা সেখানেই হতে পারে যেখানে কোরআন হাদিস থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায় না। এ ধরনের কোন বিষয়ে যদি কেউ ভালো নিয়তে কোন একটি মতকে মেনে নেন তাহলে গুনাহগার হবেন না। কারণ আল্লাহ জানেন কে শরিয়তের প্রতি আন্তরিকতা সহকারে এটি পালন করছে।
প্রশ্ন- ৩৬. তাবিজের উপর বিশ্বাস করা যাবে কি?
উত্তর: কোরআন হাদিস থেকে উপকৃত হওয়া যায়। এর মধ্যে শেফা রয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাবিজের মাধ্যমে ব্যবসা হিসেবে এটা করা যাবে। যদি করা যেতো তাহলে অবশ্যই হাদিসের মাধ্যমে এর অনুমতি থাকত এবং তাবিজের চর্চা রাসূল (সঃ) নিরুৎসাহিত করেছেন।
প্রশ্ন-৩৭. অযুর সময় প্রতেক অঙ্গ ধোয়ার সময় কি দোয়া পড়তে হবে? না হলে অযু হবে না?
উত্তর: এভাবে অঙ্গ ধোয়ার সময় দোয়া পড়ার কোন নিয়ম জানা যায় না। এ ধরনের দোয়া পড়ার বিধান সহীহ্ হাদীস থেকে পাওয়া যায় না।
প্রশ্ন-৩৮. আমার বাসায় মাঝে মাঝে যে লোক কাজ করে থাকে তাকে আমি খাবার দিয়ে থাকি। ঐ খাবার কি রোযার ফিদিয়া হিসেবে ধরা যাবে?
উত্তর: যিনি আপনার কাজ করছেন তাকে যদি আপনার খাবার দেয়ার কথা থাকে তাহলে ঐ খাবার ফিদিয়া হিসেবে ধরা যাবে না। নিঃস্বার্থভাবে কাউকে খাওয়াতে হবে। তাহলেই ফিদিয়া আদায় হবে। অন্যথায় নয়।
প্রশ্ন-৩৯. আমার পিতা আমাকে জমি দিয়ে আবার তা ফেরত নিয়ে ভাইদের দিয়ে দিয়েছেন। আমি ধৈর্য ধরে আছি এটা কি ঠিক আছে?
উত্তর: ধৈর্য ধরে আপনি সঠিক কাজটি করছেন। এটাই করা উচিত। আপনার কিসমতে যা আছে সেটি আপনি পাবেন।
প্রশ্ন-৪০. ঔষধ খাওয়ার সময় কি বিসমিল্লাহ বলা যাবে?
উক্তর: জ্বি হ্যাঁ, বলা যায়।
শ্ন-৪১. পুরুষ এবং মহিলাদের নামাজের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?
উত্তর: রাসূল (সঃ) বলেছেন, “তোমরা যেভাবে আমাকে নামাজ পড়তে দেখ সেভাবে নামাজ আদায় কর।†একই নিয়মে পুরুষ মহিলা নামাজ পড়বে এটিই সুন্নত তরিকাহ্।
প্রশ্ন-৪২. ফাসিক বিয়েতে কি তালাক কার্যকর হবে?
উত্তর: যে বিয়ে অবৈধ সেটিতে তালাকের প্রশ্নই আসে না।
প্রশ্ন-৪৩. মসজিদে বা বোনদের নামাজ আদায়ের ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কি?
উত্তর: মা বোনদের মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারে তাগিদ বা বাধ্যতামূলক করা হয় নাই। তবে তাদের যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এটা তাদের অধিকার। রাসূল (সঃ)-এর পেছনে মহিলারা নামাজ আদায় করেছেন।
প্রশ্ন-৪৪. তাহলীল কি জায়েজ?
উত্তর: তাহলীলের বিধান ইসলামে রয়েছে।
প্রশ্ন-৪৫. গরু দিয়ে আক্বীকা করা যাবে কি?
উত্তর: আক্বীকা গরু দিয়ে করার কথা নয়। রাসূল (সঃ)-এর সময় গরু দিয়ে আক্বীকা করা হয়েছে বলে জানা যায় না। তাই ছেলে হলে দুইটি ছাগল আর মেয়ে হলে ১টি ছাগল দিয়ে আক্বীকা করতে হবে। বা দুম্বা দিয়েও দেয়া যেতে পারে। এর গোশত আত্মীয়-স্বজন, গরীব বা নিজেরাও খাওয়া যেতে পারে।
প্রশ্ন-৪৬. মৃত ব্যক্তির নামাজের কাফফারা কিভাবে দিতে হবে?
উত্তর: প্রকৃতপে নামাজের কোন কাফফারা নেই।
প্রশ্ন-৪৭. একজন আত্মীয় মোটামুটি ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালায়। ঐ ব্যক্তির মেয়ের বিয়ের জন্য যাকাতের টাকা দ&a
shibli:
প্রশ্ন-৪৭. একজন আত্মীয় মোটামুটি ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালায়। ঐ ব্যক্তির মেয়ের বিয়ের জন্য যাকাতের টাকা দেয়া যাবে কি?
উত্তর: যার ২৫/৩০ হাজার টাকা জমা না থাকে বা সাড়ে সাতভরি স্বর্ণ না থাকে তাকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে। আপনার বর্ণনা অনুযায়ী ঐ লোককে যাকাত দেয়া যাবে।
প্রশ্ন-৪৮. স্বামী যদি স্ত্রী সন্তানদের কিছু টাকা দিয়ে বলে এটা তোমাদের দিলাম। আবার যদি ঐ টাকা ফেরত চায় এবং ঐ টাকা থেকে স্ত্রী যদি কিছু টাকা স্বামীকে না বলে রেখে দেয় সেটাকি ঠিক হবে?
উত্তর: না বলে কারও টাকা রাখা যাবে না। টাকা দিয়ে আবার নিয়ে যাওয়াটাও ঠিক হবে না।
প্রশ্ন-৪৯. স্ত্রী যদি স্বামীকে না বলে ধান চাল বা টাকা পয়সা দিয়ে সংসারের কোন কাজ করান সেটা কি ঠিক হবে?
উত্তর: এই কাজটিও স্বামীকে জানিয়ে পরামর্শ করে করতে হবে। তবে যদি দৈনন্দিন বিষয়াদি হয় যে ব্যাপারে স্বামীর আপত্তি থাকবেনা তাহলে সে ব্যাপারে কোন কথা নেই।
প্রশ্ন-৫০. ফরজ নামাজে ভুল হলে কি সহু সিজদা দিলে চলবে নাকি পুনরায় নামাজ পড়তে হবে?
উত্তর: যে কোন নামাজেই ভুল হলে সহু সিজদা করতে হয়। যদি ওয়াজিব ছুটে যায়। আর ফরজ ছুটে গেলে নামাজ পুনরায় পড়তে হবে।
লুৎফুন্নেছা সেলিম, হাতিরপুল
প্রশ্ন-৫১. কুরবানীর গরুতে মৃতব্যক্তির নাম দেয়া যাবে কিনা? অনেকে বলেন, মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী হয় না। আলাদাভাবে ছদকা দিতে হয় এবং এর গোশত শুধুমাত্র মিসকীন ও ফকীরকে বিলিয়ে দিতে হয়। কোনটি সঠিক।
উত্তর : কুরবানীর ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো জীবিতদের পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া। রাসূল (সা:) ও তার সাহাবীগণ তাদের নিজেদের ও পরিবারের প থেকে কুরবানী করেতেন। মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী তিন ধরনের হয়ে থাকে।
(১) জীবিতদের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়ার সময় মৃতদের পক্ষ থেকেও কুরবানীর নিয়ত করা যেমন এক ব্যক্তি তার নিজের ও পরিবারের জীবিত ও মৃত সকলের পক্ষ থেকে কুরবানীর নিয়ত করলো। এটা যায়েজ কেননা রাসূল (সা:) তার নিজের ও পরিবারের জীবিত মৃত সকলের পক্ষ থেকে কুরবানী করে ছিলেন। সে আলোকে যদি কেউ পশুতে মৃত ব্যক্তির নাম দেয় তবে তা যায়েজ হবে।
(২) মৃত ব্যক্তির ওসিয়ত মোতাবেক তার পক্ষ থেকে কুরবানী করা। অম না হলে এই ওসিয়ত পালন ওয়াজীব। এর দলিল হলো আল্লাহর বাণী। (বাকারা-১৮১)
(৩) পৃথকভাবে মৃতদের পক্ষ থেকে কুরবানী করা যেমন- নিজের পক্ষ থেকে কুরবানী করার পাশাপাশি মৃত বাবা বা মায়ের পৃথকভাবে কুরবানী করা এটাও যায়েজ। অনেক ওলামাদের মতে এর সওয়াব সাদাকার মতোই মৃতদের নিকট পৌঁছাবে, তবে মৃত ব্যক্তির জন্য কুরবানীকে খনস করা নয় কেননা নবী (সা:) তার কোন মৃত আত্মীয়-স্বজনের পে কুরবানী করেন নি। তিনি তার চাচা হামজা বা তার কোন মৃত ছেলে বা মেয়ের পক্ষেও কুরবানী করেননি। তিনি তার স্ত্রী খাদিজার পক্ষেও কুরবানী করেননি।
কুরবানীর গোশ্ত বণ্টনের ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য নেই। অধিকাংশ আলেমগণের মতে এক তৃতীয়াংশ আহার করা, এক তৃতীয়াংশ আÃীয়দের দেয়া, এক তৃতীয়াংশ দান করা উত্তম।
প্রশ্ন-৫২. দশ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্টে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে জমা দিচ্ছি। ৫ বছর হয়ে গেছে। এ জমাকৃত টাকার কি যাকাত দিতে হবে? একাউন্ট আমার নাতির নামে এবং তার বয়স ৭ বছর চলছে।
উত্তর : নগদ কিংবা ডিপিএস হিসেবে ব্যাংকে যদি যাকাতের নেসাব পরিমাণ পৌঁছে এবং এক বছর পূর্ণ হলে এতে যাকাত দিতে হয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন যদি তোমার কাছে ২০ দিনার থাকে এবং পূর্ণ এক বছর অতিক্রান্ত হয় তাহলে অর্থ দিনার যাকাত দিবে আর এর অতিরিক্ত থাকলে একই হিসাবে যাকাত ধার্য করা হবে। (সুনান আবু দাউদ, তিরমীযি)
অধিকাংশ ওলামাদের মতে শিশুর সম্পদের উপর যাকাত ওয়াজিব হয়। কেননা আল্লাহ বলেছেন, তাদের সম্পদ থেকে যাকাত নাও এর মাধ্যমে তাদেরকে তুমি পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করবে। তবে ইমাম আবু হানিফা (র:) মতে ছোটদের সম্পত্তিতে যাকাতুল ফিতর ওশর ছাড়া অন্যকোন যাকাত ওয়াজিব হয়না। যেভাবে সালাতুল সওম তাদের ওপর ফরজ হয়না। অধিকাংশ ওলামাদের বক্তব্য হলো শারীরিকভাবে উপযুক্ত না হওয়ার কারণে ছোটদের ওপর সালাতুল সওমের মতো শারীরিক ইবাদত ফরজ হয়না। তবে যাকাত যেহেতু আর্থিক ইবাদাত তাই নেসাব পরিমাণ অর্থ থাকার কারণে তাদের প থেকে তাদের অভিভাবক যাকাত পরিশোধ করবেন তারা বালেগ হওয়া পর্যন্ত। আল্লাহ ভালো জানেন।
প্রশ্ন-৫৩. নামাজ শুরুর পর সুরা ফাতেহা পড়ার পূর্বে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়তে হয়। তারপরে অন্য কোন সুরার পূর্বেও কি আবার বিসমিল্লাহ পড়তে হয়?
উত্তর: অন্য কোন সুরার শুরু থেকে যদি আপনি পড়েন তাহলে বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। কারণ সুরার শুরুতে তো বিসমিল্লাহ রয়েছে। আর যদি কোন সুরার মাঝখান থেকে তেলাওয়াত শুরু করেন তাহলে বিসমিল্লাহ না পড়লেও হবে।
shibli:
“The Prophet (sal Allahu alaihi wa sallam) said: ‘Whoever supports two little girls until they come of age, will be on the Day of Judgement as close to me as this,’ and he brought two fingers together.†[Muslim]
“Those who spend in causes seeking the pleasure of Allah remain in His shelter. Angels send blessings on them and pray for increase in their wealth.†[Muslim]
shibli:
“A believer never gets satisfied doing good until he or she reaches Jannah.†[Tirmidhi]
mir:
????????????????????????????????????
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version