Famous > Person
এর্নেস্তো "চে" গুয়েভারা
(1/1)
mehnaz:
এর্নেস্তো "চে" গুয়েভারা ছিলেন একজন আর্জেন্টিনীয় মার্ক্সবাদী, বিপ্লবী, চিকিত্সক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ, সামরিক তত্ত্ববিদ এবং কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব।
তরুণ বয়সে ডাক্তারি ছাত্র হিসেবে চে সমগ্র লাতিন আমেরিকা ভ্রমণ করেছিলেন। এই সময় এই সব অঞ্চলের সর্বব্যাপী দারিদ্র্য তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করে। এই ভ্রমণকালে তাঁর অর্জিত অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এই অঞ্চলে বদ্ধমূল অর্থনৈতিক বৈষম্যের স্বাভাবিক কারণ হল একচেটিয়া পুঁজিবাদ, নব্য ঔপনিবেশিকতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ; এবং এর একমাত্র সমাধান হল বিশ্ব বিপ্লব। এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে চে রাষ্ট্রপতি জাকোবো আরবেনজ গুজমানের নেতৃত্বাধীন গুয়াতেমালার সামাজিক সংস্কার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৪ সালে মার্কিন-মদতপুষ্ট কিউবান একনায়ক ফুলজেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাত করার জন্য গ্রানমায় চড়ে সমুদ্রপথে কিউবায় প্রবেশ করেন। অনতিবিলম্বেই চে বিপ্লবী সংঘের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। কিউবার বিপ্লবের পর চে নতুন সমাজতান্ত্রিক সরকারে একাধিক ভূমিকা পালন করেছিলেন।
বিশিষ্ট ডায়েরি-লেখক চে গেরিলা যুদ্ধের উপর একটি প্রভাবশালী ম্যানুয়েল রচনা করেন। তরুণ বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকায় মোটরসাইকেলে ভ্রমণের স্মৃতিকথাটিও তাঁর অত্যন্ত জনপ্রিয় রচনা। বৃহত্তর বিপ্লবে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৬৫ সালে কিউবা ত্যাগ করেন। প্রথমে কঙ্গো-কিনসহাসায় তাঁর বিপ্লব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর তিনি বলিভিয়ায় বিপ্লবে অংশ নেন। এখানেই সিআইএ-মদতপুষ্ট বলিভিয়ান সেনার হাতে বন্দী ও নিহত হন চে। তারিখ হল ৯ অক্টোবর, ১৯৬৭।
যে তাঁকে হত্যা করতে এসেছিল, তিনি তাকে প্রশ্ন করলেন, ‘তুমি কি আমাকে হত্যা করতে এসেছ?’ হত্যাকারীর হ্যাঁ-সূচক জবাবের উত্তরে তিনি তাকে এ কথাটাই বলেছিলেন—‘আমাকে মারতে পারো তবে তাতে বিপ্লবের মৃত্যু নেই।’
চে গুয়েভারা একাধারে ইতিহাসের এক নন্দিত ও নিন্দিত চরিত্র। তার প্রক্রিয়া বিতর্কিত হতে পারে কিন্তু তার উদ্দেশ্য ছিল মহান - বিশ্বের সব নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের জন্য নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য অবলীলায় ত্যাগ করেছিলেন চে। নিজের দর্শন ও বিপ্লব প্রচারের ব্যাপারে তিনি ছিলেন একশত ভাগ সফল।
sadique:
if anyone wants, you can get Che's Diary..,,at www.boiRboi.net
sadique:
ঠোঁটের ওপর হালকা গোঁফ, মুখে দাড়ি, চোখে বিষণ্নতা, অবিন্যস্ত লম্বা চুলের ওপর চ্যাপ্টা গোল টুপি। একনজরেই বলে দেওয়া যায়, এ ছবি আর দশটা ছবির চেয়ে একেবারেই ভিন্ন। অন্যায়, নিপীড়ন আর শোষণবিরোধী সংগ্রামের প্রতীক হয়ে ওঠে এই ছবি; ভেঙে দেয় দেশকালের সীমা। ৪১ বছর আগে আততায়ীর গুলিতে খুন হয়েছেন ছবির মানুষটি, কিন্তু তাঁর সেই ছবি আজও বিশ্বমানবের হূদয়পটে অম্লান।
লাল সালাম ...............
sadique:
আর্নেস্তো চে গুয়েভারা ছিলেন কিউবা বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব। তার প্রকৃত নাম ছিল আর্নেস্তো গেবারা দে লা সের্না। তবে তিনি লা চে বা কেবল চে নামেই পরিচিত। পরিবারের পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার পরিবারে বেড়ে ওঠার কারণে অল্প বয়সেই তিনি রাজনীতি সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান লাভ করেন। তার বাবা ছিলেন স্পেনের গৃহযুদ্ধে রিপাবলিকানদের একজন গোড়া সমর্থক।
সারা জীবন হাঁপানিতে ভোগা সত্ত্বেও তিনি দারুণ মল্যবিদ ছিলেন। তার খেলাধুলার পছন্দ তালিকায় ছিল সাঁতার, ফুটবল, গলফ, শুটিং। চে গুয়েভারা সাইক্লিংয়ের একজন অক্লান্ত খেলোয়াড় ছিলেন। ১২ বছর বয়সে দাবা খেলা শেখেন তার বাবার কাছে। তিনি বুয়েনস আয়ারস বিশ্ববিদ্যালয় রাগবি দলের হয়ে খেলতেন। রাগবি খেলার ক্ষিপ্রতার জন্য তাকে ফিউজার নামে ডাকা হতো। তার বিদ্যালয়ের সহপাঠীরা তাকে ডাকত চানচো বলে, কারণ তিনি অনিয়মিত গোসল করতেন এবং সপ্তাহে একটিমাত্র পোশাক পরতেন।
মেক্সিকো সিটিতে বসবাসের সময় তার সঙ্গে রাউল ও ফিদেল কাস্ত্রোর আলাপ হয়। চে তাদের ছাব্বিশে জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন। সফল কিউবা বিপ্লবের পর বৃহত্তর বিপ্লবে অংশ নেয়ার উদ্দেশে তিনি ১৯৬৫ সালে কিউবা ত্যাগ করেন। প্রথমে কঙ্গো-কিনসহাসায় তার বিপ্লব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর তিনি বলিভিয়ায় বিপ্লবে অংশ নেন। সেখানেই সিআইএ-মদদপুষ্ট বলিভিয়ান সেনার হাতে বন্দি ও নিহত হন চে।
তার মৃত্যুর পর নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছিল, 'একজন মানুষের সঙ্গে সঙ্গে একটি রূপকথাও চিরতরে বিশ্রামে চলে গেল।' টাইম পত্রিকা বিংশ শতাব্দীর সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির যে তালিকা করেছে সেখানে তার নামও রয়েছে।
চে ছিলেন এক বিশিষ্ট লেখক ও ডায়েরি-লেখক। গেরিলা যুদ্ধের ওপর তিনি একটি ম্যানুয়েল রচনা করেন।
sadique:
--- Quote from: sadique on June 14, 2012, 09:17:15 PM ---আর্নেস্তো চে গুয়েভারা ছিলেন কিউবা বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব। তার প্রকৃত নাম ছিল আর্নেস্তো গেবারা দে লা সের্না। তবে তিনি লা চে বা কেবল চে নামেই পরিচিত। পরিবারের পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার পরিবারে বেড়ে ওঠার কারণে অল্প বয়সেই তিনি রাজনীতি সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান লাভ করেন। তার বাবা ছিলেন স্পেনের গৃহযুদ্ধে রিপাবলিকানদের একজন গোড়া সমর্থক।
সারা জীবন হাঁপানিতে ভোগা সত্ত্বেও তিনি দারুণ মল্যবিদ ছিলেন। তার খেলাধুলার পছন্দ তালিকায় ছিল সাঁতার, ফুটবল, গলফ, শুটিং। চে গুয়েভারা সাইক্লিংয়ের একজন অক্লান্ত খেলোয়াড় ছিলেন। ১২ বছর বয়সে দাবা খেলা শেখেন তার বাবার কাছে। তিনি বুয়েনস আয়ারস বিশ্ববিদ্যালয় রাগবি দলের হয়ে খেলতেন। রাগবি খেলার ক্ষিপ্রতার জন্য তাকে ফিউজার নামে ডাকা হতো। তার বিদ্যালয়ের সহপাঠীরা তাকে ডাকত চানচো বলে, কারণ তিনি অনিয়মিত গোসল করতেন এবং সপ্তাহে একটিমাত্র পোশাক পরতেন।
মেক্সিকো সিটিতে বসবাসের সময় তার সঙ্গে রাউল ও ফিদেল কাস্ত্রোর আলাপ হয়। চে তাদের ছাব্বিশে জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন। সফল কিউবা বিপ্লবের পর বৃহত্তর বিপ্লবে অংশ নেয়ার উদ্দেশে তিনি ১৯৬৫ সালে কিউবা ত্যাগ করেন। প্রথমে কঙ্গো-কিনসহাসায় তার বিপ্লব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর তিনি বলিভিয়ায় বিপ্লবে অংশ নেন। সেখানেই সিআইএ-মদদপুষ্ট বলিভিয়ান সেনার হাতে বন্দি ও নিহত হন চে।
তার মৃত্যুর পর নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছিল, 'একজন মানুষের সঙ্গে সঙ্গে একটি রূপকথাও চিরতরে বিশ্রামে চলে গেল।' টাইম পত্রিকা বিংশ শতাব্দীর সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির যে তালিকা করেছে সেখানে তার নামও রয়েছে।
চে ছিলেন এক বিশিষ্ট লেখক ও ডায়েরি-লেখক। গেরিলা যুদ্ধের ওপর তিনি একটি ম্যানুয়েল রচনা করেন।
--- End quote ---
লাল সালাম কমোরেড .........।
Navigation
[0] Message Index
Go to full version