Science & Information Technology > Science Discussion Forum
কলা দিয়ে বাজানো হচ্ছে পিয়ানো!
Smahmud:
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) দুই শিক্ষার্থীর আবিষ্কার ‘ম্যাকি ম্যাকি’ তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। এই ডিভাইসটি ব্যবহার করে সাধারণ একটি ফল থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত বিদ্যুত পরিবাহী যে কোনো বস্তুকে টাচ প্যাড বা কিবোর্ডে রূপান্তর করা যাবে। ইতোমধ্যে ম্যাকি ম্যাকি ব্যবহার করে কলা দিয়ে পিয়ানো বাজিয়ে তার প্রমাণও দিয়েছেন তারা। খবর বিবিসির।
ম্যাকি ম্যাকির আবিষ্কারক জে সিলভার এবং এরিক রোসেনবাম দু’জনই এমআইটির শিক্ষার্থী। তাদের তৈরি ম্যাকি ম্যাকি ডিভাইসটির ব্যবহার এতোটাই সহজ যে শিশু থেকে বৃদ্ধ, যে কেউ এটি ব্যবহার করে বিদ্যুত পরিবাহী যে কোনো বস্তুকে টাচ প্যাড বা কিবোর্ড হিসেবে কাজে লাগাতে পারবে।
ম্যাকি ম্যাকি ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কেবল একটি ইউএসবি কেবল, বেসপোক সার্কিট বোর্ড এবং একটি অ্যালিগেটর ক্লিপ। ইউএসবি কেবল ব্যবহার করে এটিকে পিসি বা ল্যাপটপের সঙ্গে কানেকশন দিয়ে অ্যালিগেটর ক্লিপটি লাগাতে হবে বিদ্যুত পরিবাহী যে কোনো বস্তুর সঙ্গে। আর সার্কিট বোর্ডটিকে এমনভাবে প্রোগাম করা হয়েছে, যার ফলে আর দশটি সাধারণ কিবোর্ডের মতোই ব্যবহার করা যাবে এই ডিভাইসটি দিয়ে। আর এটির অভিনব ব্যবহারের একাধিক প্রমাণও দিয়েছেন আবিষ্কারক।
এর মধ্যে সবচেয়ে মজার কাজটি তারা করেছেন ম্যাকি ম্যাকি ব্যবহার করে কলা দিয়ে পিয়ানো বাজিয়ে। এছাড়াও একটি বিচ বলকে ম্যাকি ম্যাকির বদৌলতে গেম কন্ট্রোলার বানিয়ে নিয়েছেন তারা। রক্ষা পায়নি এই দুই আবিষ্কারকের বন্ধুমহল। দুই বন্ধুর শরীরে ম্যাকি ম্যাকি কানেক্ট করে তাদের ব্যবহার করেছেন সাউন্ড মেশিন হিসেবে। শুধু তাই নয় পোষা কুকুর বেড়ালের ওপরও ব্যবহার করা যাবে ম্যাকি ম্যাকি।
এ ব্যপারে রোসেনবাম বিবিসিকে বলেন, ‘এই ডিভইিসটির পেছনের মূল চিন্তাটাই এমন যে, আমারদের চারপাশের সবকিছুকেই কনস্ট্রাকশন কিট-এ রুপান্তরিত করা।’ ম্যাকি ম্যাকি সাধারণ মানুষের সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন শক্তি বাড়াবে বলে আশা করছেন আবিষ্কারক।
ডিভাইসটির আরেক আবিষ্কারক জে সিলভার জানান, একাধিক ব্যক্তি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সাধারণ কিবোর্ড ব্যবহার করতে অক্ষম মানুষদের জন্য ম্যাকি ম্যাকি ডিভাইসটিকে কাস্টোমাইজ করে দিতে। সিলভার এটাও জানান যে, সেরিব্রাল প্যালসিতে ভুগতে থাকা এক সন্তানের জন্য এই ডিভাইসটিকে একটি কম্পিউটার ইন্টারফেস হিসেবে রূপ দিতে কাজ করছেন এক বাবা।
আর এই ডিভাইসটি যেহেতু বিদ্যুৎ পরিবাহী বস্তুর ওপর নির্ভর করে কাজ করে, তাই এর ব্যবহার সাধারণ মানুষের জন্যটা কতোটা নিরাপদ -এমন প্রশ্নের উত্তরে এটির ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে নিশ্চিত করেন রোসেনবাম। তিনি জানান, ডিভাইসটি খুবই অল্প বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যা সম্পূর্ন নিরাপদ এবং এর পরিমাণ এতোই কম যে, মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর শরীরে সংযোগ দেয়া হলে বিদ্যুৎ শনাক্তই করা যায় না।
sumon_acce:
sounds very interesting.
sadique:
interesting post,,,,,,,,,,,,,,thanks sir
Mashud:
Important issue.
mhasan:
really !! good to hear and thanks for sharing.
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version