বিভিন্ন কারণেই স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে। কারণ যাই হোক, স্মৃতিভ্রংশ ঘটলে তার ফলাফল সব ক্ষেত্রেই এক রকম। মাথার মধ্যে নিউরন (neuron) হলো সব ধরনের স্মৃতির এক হিসেবে ভাঁড়ার ঘর। যেভাবেই হোক, এই নিউরনরা যদি আক্রান্ত হয় তাহলে স্মৃতি লোপ পায়। মাথার মধ্যে এ নিউরনের কাজ হলো বিভিন্ন সময় যা কিছু ঘটে তার হিসাব রাখা। তাই যদি কখনো নিউরনরা কোনো ঝামেলায় পড়ে তাহলে তাদের জমার হিসাব ভণ্ডুল হয়ে স্মৃতিভ্রংশ ঘটায়। স্মৃতি লোপ পেলে ঘটনাটি ঘটার আগে বা পরের সবকিছুই একদম মুছে যায়। এরকম অবস্থা, এক-আধ সপ্তাহ, মাস বা বছর ধরে থাকতে পারে, আবার কখনো বা সারা জীবন। মজার কথা হলো পুরনো স্মৃতি যদি ফিরে আসে, তাহলে আবার স্মৃতিভ্রংশ অবস্থায় যা যা ঘটেছে তা আর কিছুই মনে পড়বে না। তবে এটাও ঠিক, স্মৃতিভ্রংশ একবার ঘটলে কিছু কিছু ফল থেকেই যায়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এ রকম স্মৃতিভ্রংশ অবস্থা যদি কখনো ঘটে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখানো উচিত। বুড়ো হলে অবশ্য স্মৃতিশক্তি একটু লোপ পায়। তবুও পেটে ঘা, হাই ব্লাডপ্রেসার, হাঁপানি, এরকম রোগের কারণেও গোলমাল দেখা দিতে পারে।