Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Abul Bashar

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 12
46
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী কিছু উপায়

বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব আবারও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিন COVID-19 রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এবং মৃত্যের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আমাদের দেশের পরিস্থিতিও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনায় ভাঙছে দৈনিক মৃত্যুর রেকর্ডও। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত হিমশিম খাচ্ছে এত বিপুল পরিমাণ করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে। শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড গড়ছে প্রতিদিন সেখানে। এমতাবস্থায় আমাদের উচিত প্রতিরোধের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া এবং এজন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো বা Immunity Boostকরার দিকে বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে Immune System করার কিছু কার্যকর উপায় সম্পর্কে বলব।

খাদ্যাভ্যাস : সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খান। ফলের রসের পরিবর্তে গোটা ফল চিবিয়ে খেলে ভালো। এতে পুষ্টি সঙ্গে ফাইবারও পাওয়া যাবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন ৮-১০ গ্লাস। ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত তেল-চর্বি ও মসলা  খাবার যতটুকু সম্ভব পরিহার করুন।

ভিটামিনস ও মিনারেল : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Bangladesh Pratidinভিটামিন সি : প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে টক জাতীয় ফল, যেমন- লেবু, কমলা, মাল্টা,  জাম্বুরা ইত্যাদি। এছাড়াও বাজারে ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়, যা ফ্লু উপসর্গে আপনি দিনে ১-২ বার চুষে খেতে পারেন। তবে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া ভিটামিন সি এর কার্যকারিতা বেশি।

ভিটামিন ডি  : এর প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে সূর্যরশ্মি যা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শরীরের কিছু অংশ উন্মুক্ত করে (যেমন মুখমন্ডল, হাত বা ঘাড় আপনি কাজে লাগাতে পারেন। এছাড়াও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- ডিমের কুসুম, মাছের তেল, ওমেগাও, গরুর কলিজা, চিজ এগুলো খেতে পারেন।

জিংক : ফ্লু বা সর্দি-কাশি উপসর্গে, জিংকের বেশ উপকারিতা রয়েছে। জিংকসমৃদ্ধ খাবার গুলো হচ্ছে- আদা, রসুন, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, ইত্যাদি। বাজারে লজেন্স আকারে জিংক সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন ২-৩ ঘন্টা পরপর।

মধু : মধুতে এমন কিছু জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছেন যেমন- হাইড্রোজেন  পারঅক্সাইড, নাইট্রিক অক্সাইড যা RNA Virus এর বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই ফ্লু উপসর্গে মধু বেশ উপকারী তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সাবধানে খেতে হবে।

প্রোবায়োটিক্স : যেমন- দই, চিজ ইত্যাদি খাবারে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা রোগী প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

মানসিক চাপমুক্ত থাকুন : অতিরিক্ত মানসিক চাপে আমাদের শরীরের Sympathetic activity বেড়ে যায় এবং কর্টিসল/Cortisolহরমোন নিঃসরণ হয়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে। তাই মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। টিভি, সোশ্যাল মিডিয়াতে যে খবরগুলো আপনাকে মানসিক চাপে ফেলছে। সেগুলো থেকে দূরে থাকুন। মনকে Divert করার জন্য পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ভালো সময় কাটান, গান শুনুন, বই পড়ুন, মুভি দেখুন বা নতুন কিছু শিখতে মনোনিবেশ করুন। এছাড়া যোগ ব্যায়াম বা মেডিটেশন একটি খুব ভালো উপায় মনকে শান্ত রাখার।

শরীরচর্চা : শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শরীরচর্চা অপরিহার্য। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন আমরা সবাই ঘরে অবস্থান করছি। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট এবং বাচ্চাদের অন্তর ১ ঘন্টা শরীরচর্চা করা উচিত। ঘরে থেকে আপনি যা করতে পারেন হাঁটাহাঁটি, সাইক্লিং, ইয়োগা, ওয়েট শিফ্টিং, সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা শরীর চর্চার উপায় হতে পারে।

ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা : বিশেষ করে ধূমপান, যা সরাসরি আপনার শ্বাসতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেহেতু করোনাভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের রোগ, এতে সংক্রমের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই ধূমপান পুরোপুরি বাদ দিন ও Respiratory Exercise করুন। মদ্যপান পুরোপুরি পরিহার করুন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা : শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অটুট রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প নেই। খাবার পরিমিত খান ও শরীরিকভাবে সচল থাকুন।

ঘুম :  মনে রাখবেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘন্টা করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম আমাদের Immune System Boost 3 Renew করতে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা : আমরা যদি করোনাভাইরাস রোগের সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচতে চাই নিজের ও আশপাশের পরিবেশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। নির্দিষ্ট সময়ে পরপর হাত সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহার্য জিনিসপত্র জীবাণুনাশক পদার্থ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। দরজার হাতল, সুইচ, লিফ্টের বাটন জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখুন ও মাস্ক ব্যবহার করুন। তাই সতর্ক হোন।

ডা. আফরিন সুলতানা, হলি ফ্যামেলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

47
Cyber Security / A Cyberspace Unsafe for Women
« on: April 08, 2021, 03:10:36 PM »
A Cyberspace Unsafe for Women


Adhora Ahmed

Your phone suddenly buzzes to announce a notification. You pick it up, expecting something important. However, the notification comes from the requests folder of one of your text messaging apps. You are almost certain what it looks like; a completely random stranger, most probably a man, sent you an inappropriate text.

If you're feeling indifferent, you just ignore it. If it bothers you too much, you block the person. If you're feeling lighthearted enough to make fun of it, you take a screenshot and send it to your friends. If you believe in its meme potential, your screenshot might even make its way to some subreddit dedicated to hilariously poor attempts at flirting.

Women on social media are familiar with the scenario above. In most cases, we tend to brush off such attempts to breach our online privacy, because these things seem relatively harmless compared to the more pressing issues when it comes to women, such as the recent spike in gender-based violence. However, are such acts really that harmless?

Women are harassed online in many ways, and unsolicited texts are just the tip of the iceberg, along with friend requests from unknown people. You must have come across revolting comments under pictures of female celebrities or of any woman that goes viral, most of which can be classified under hate speech. You most probably have heard stories of leaked private pictures, videos or information without consent – also known as doxxing – and the devastating toll it takes on the victims.

"I have been harassed online by men on many counts. Often, they were in the form of continuous pestering texts that start off nice, but get more degrading with time. Sometimes, their texts are accompanied by inappropriate pictures or videos," shares Fabiha Fairooz*, a freelance writer.
"Once, when I was in high school, a group of boys decided to bully my friends and I in a group chat," says Zareen Tasnim*, who is now completing her undergraduate degree abroad. "They made very weak yet unacceptable attempts at insulting me, which had to do with my financial status, my dual nationality, my looks etc. They were even petty enough to make comments about me sending memes in that group chat."


This is a serious problem which has only increased during the pandemic since we are forced to spend more time online than ever before. According to a recent report by The Daily Star, 80 percent of the victims of cyberbullying in Bangladesh are adolescent girls and women in their early twenties. In another report by Dhaka Tribune, most victims of cyberbullying do not report to the police, hence the statistic does not take into account the cybercrimes that go unreported.

The question arises, why don't people report cybercrimes? Anika Anjum Iftee, Head of Content Development and Marketing at WeMen View, a non-profit social welfare organisation which works to raise awareness against cyber harassment of women, thinks that such cases are generally taken less seriously than physical ones. "It's because there are too many factors to consider. With the ongoing calling out culture, the conversation around things like unsolicited texts could be easily manipulated, which can make the main discourse rather confusing. Also, since how we behave on social media is an evolving process, there is still so much to define and to make laws on concretely. While all of that happens, a lot of us will be unfortunate enough to fall victim to online harassment."

The fact that technology is evolving too fast for us to catch up on the expanding confines of online harassment rings very true. Almost every day, new strides are being made in technology with more opportunities for harassers to abuse them. In this dizzying mess, no wonder tech-savvy women are struggling to deal with a constant barrage of harassment, both big and small. "I don't think there's much to do. In my experience of receiving unwanted texts, I find that confronting these men is very draining because most see no wrong in their actions and will continue to verbally abuse you or others," Fabiha adds.

It is as clear as daylight that the toxic standards most men in this region have been brought up to contribute to their interactions online. The firm belief that they will get away with harassing women in both physical and virtual spaces unfortunately enables them to do so. In addition, the common yet unjust shaming of female victims further encourages these abusers to carry on, as Zareen and her friends had faced, "This cyberbullying incident was reported to the school management, but they didn't fulfil their promises. Instead, they resorted to victim blaming by accusing us of isolating one of our classmates who egged those boys on, even though we weren't friends with her in the first place."

For all kinds of abuse, for too long, women have been putting in all the work to rage against the injustice. In the case of cyber harassment, from tightening privacy settings to filing cases, women still carry the burden to take preventive measures. However, prevention is not the only cure, at least in this case.

In order to see an end to harassment not limited to the digital realm, education comes first, as Anjum explains, "Measures should be integrated into the way we socialise from an early stage. At WeMen View, we want to teach children how to respect other genders and expand to do workshops with parents too. Humility and kindness are very important in the process of learning how to behave. Children need to know about the obvious red flags because if we are not aware of the danger, we won't be ready to tackle it."

In the end, it all comes down to getting acquainted with some very simple, basic concepts: consent and respecting one's personal space, and that these apply to everyone regardless of any parameter that you can think of. If we keep all these in mind, perhaps one day all the spheres we occupy, the virtual one included, can be safe for everyone.



*Names have been changed to protect identity

References

1. The Daily Star (December 10, 2020). 80% of cyberbullying victims are women: Cyber Crime Division of DMP.

2. Dhaka Tribune (September 24, 2019). 70% of women facing cyber harassment are 15-25 years in age.

48
ঘরে গাছ রাখলে কি বেশি অক্সিজেন পাওয়া যায়?

সবুজ গাছের একটা গুণ হলো, বাতাসের কার্বন ডাই-অক্সাইড নিয়ে পানি ও সূর্যের আলোর সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে তার নিজের খাদ্য ও অক্সিজেন তৈরি করে। একে বলা হয় সালোক সংশ্লেষণ। এ জন্যই রোগীদের ঘরে ফুলগাছ ও নানা রকম পাতাবাহার গাছের টব রাখার চল হয়। আশা করা হয় যে গাছের অক্সিজেন বাতাস পরিশুদ্ধ করবে। কিন্তু এখানে মনে রাখতে হবে যে শুধু সবুজ গাছই অক্সিজেন তৈরি করে এবং এ জন্য তীব্র আলো দরকার। তাই রাতে গাছ কোনো অক্সিজেন তৈরি করতে পারে না।

রঙিন ফুল অক্সিজেন তৈরি করে না
রঙিন ফুল অক্সিজেন তৈরি করে নাপেক্সেলস
রঙিন ফুলও অক্সিজেন তৈরি করে না। সুতরাং রাতে ঘরের ফুলগাছ বাড়তি কোনো সুবিধা দেয় না। অন্যদিকে গাছ কিন্তু সব সময় শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইডও ফিরিয়ে দিচ্ছে। এর পরিমাণ খুবই কম, তাই এতে খুব একটা বিপদের ভয় নেই। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে ডাচ জীববিজ্ঞানী ইয়ান ইনঙ্গেনহৌজ সবুজ গাছ ও বাতাসের মধ্যে এই দেওয়া-নেওয়ার ব্যাপারটি আবিষ্কার করেন। ঘরে গাছ রাখলে কোনো উপকার পাওয়া যাবে কি না সে ব্যাপারে তিনি সন্দিহান ছিলেন। আসল ব্যাপার হলো, ফুলগাছের টবে ঘরের বাতাস খুব একটা পরিশুদ্ধ হয় না। তবে ক্ষতিও নেই।

অক্সিজেন তৈরির জন্য গাছের প্রয়োজন তীব্র আলো
অক্সিজেন তৈরির জন্য গাছের প্রয়োজন তীব্র আলোপেক্সেলস
অবশ্য কোনো ছোট ঘরে যদি অনেক গাছের টব রাখা হয় তাহলে হয়তো অক্সিজেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাঠের বড় বড় বটগাছ দিনে সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বাতাসে প্রচুর অক্সিজেন দেয়। সে তুলনায় গাছের শ্বাস-প্রশ্বাসে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ অনেক কম। কিন্তু রাতে শুধু এই ক্ষতিকর গ্যাসটিই অল্প অল্প করে বাতাসে মেশে এবং এটা তুলনামূলক ভারী বলে নিচে জমা হতে থাকে। গাছ যদি খুব বড় হয় তাহলে হয়তো ভোরের দিকে সঞ্চিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কিছুটা বেশিই হয়ে যায়। এ জন্যই বড় গাছের নিচে রাতে ঘুমানো উচিত নয়। এতে শেষ রাতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এ ঘটনা থেকেই গ্রামের অনেকে বলেন, বড় বটগাছে ভূত থাকে, ওরা গলা চেপে ধরে। আসলে সেটা ওই অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইডের ব্যাপার।




Source: Prothom Alo

49
করোনা প্রতিরোধ করতে পারে যেসব ফল

করোনাভাইরাস নিরাময়ে এখন পর্যন্ত কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত সচেতনতার পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধের প্রথম ধাপ হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। যার ফলে শ্বাসযন্ত্র এবং ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করোনাকালে সবচেয়ে কার্যকারি ভিটামিন-সি যুক্ত খাদ্য গ্রহণ। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারার চেয়েও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ভিটামিন সি থাকে।

এছাড়াও আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি দরকার। এ পরিমাণ ভিটামিন সি দিনে মাত্র ২টি আমলকি খেলেই পূরণ করা সম্ভব।
করোনা থেকে বাঁচতে লেবু ও গরম পানি পানের বিকল্প নেই। ভিটামিন সি এর অভাব পূরণে লেবু হলো প্রথম ও প্রধান উৎস। এটি বাজারে সহজলভ্য। করোনায় আক্রান্ত হলে এমনকি সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এসময় লেবু খাওয়ার বিকল্প নেই। সকালে খালি পেটে লেবু রস ও হালকা গরম পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

ভিটামিন সি’ জাতীয় অন্যান্য ফল যেমন- আঙুর, পেয়ারা, আপেল, পেঁপে, শসা, কলা, তরমুজ এসবও নিয়ম করে খেতে হবে। সকালের নাস্তায় একটি কলা ও আপেল বা পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে।

দুপুরে ভাত খাওয়ার আগে কয়েক টুকরো পেঁপে বা তরমুজ খেতে পারেন। আঙুর, পেঁপে, তরমুজ, কলা টুকরো করে সামান্য মধু মিশিয়ে ফ্রুট সালাদ করে খেলে শরীর অনেক পুষ্টি পাবে একসঙ্গে। সকাল বা বিকেলের নাস্তার সময় ফ্রুট সালাদ খেতে পারেন।

প্রতিদিন যদি ফল খেতে ভালো না লাগে; তাহলে টক দই মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেলে ভালো লাগবে। সব ধরনের ফলেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ফোলেট, ডায়েটারি ফাইবার, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এসব পুষ্টি উপাদানসমূহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার সক্ষমতা আছে।

50
করোনার নতুন ও পুরনো রূপের পার্থক্য কী? জেনে নিন লক্ষণগুলো


প্রথম ঢেউ সামলে ওঠার আগেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বিশ্বের একাধিক দেশে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনার পরিবর্তিত রূপ। বাংলাদেশেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনার নতুন রূপ। প্রায় প্রতিদিনই সংক্রমিত করছে হাজার হাজার মানুষকে, যা নিয়ে ফের নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

তবে কি দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দেওয়ার আগে ফের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে বিশ্বে? এই আশঙ্কাতেই দিন গুনছেন বিজ্ঞানীরা। কোভিড পরীক্ষা ও চিকিৎসা পরিকাঠামো এখন আগের তুলনায় অনেক উন্নত। নতুন স্ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ।

বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, সংক্রমণের এই দ্বিতীয় ঢেউ প্রথমটির চেয়ে আরও বেশি কঠিন হতে পারে, যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার পথে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার নতুন স্ট্রেন কেবল ভয় তৈরি করছে না, একই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতেও সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই কারণে সবার জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থার করার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে।

পুরানো বনাম নতুন করোনা স্ট্রেনের পার্থক্য কী?

ভাইরাস এবং অন্যান্য রোগজীবাণু পরিবর্তন এবং প্রকৃতি থেকে পৃথক হিসেবে পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, একটি ভাইরাস তার নিজস্ব প্রতিলিপি বা একাধিক অনুলিপি তৈরি করে, যা সাধারণ ব্যাপার। এই পরিবর্তনগুলোকে ‘মিউটেশন’ বলা হয়। ভাইরাসের এক বা একাধিক রূপান্তরকে মূল ভাইরাসটির ‘রূপ’ বলা হয়।

মিউটেশনগুলোর জিনোমিক সিকোয়েন্সিংও থাকতে পারে, যা তাদের স্বাস্থ্যকর কোষগুলো আরও গভীরভাবে অতিক্রম বা সংযুক্ত করার অনুমতি দিতে পারে। তিনটি সর্বাধিক ঝুঁকির এনফেমাস সিভিডি ভেরিয়েন্টগুলো হল কেন্ট, যুক্তরাজ্য (বি 1.1 .1.7 ভেরিয়েন্ট), দক্ষিণ আফ্রিকা (বি 1.1 .351 ভেরিয়েন্ট) এবং ব্রাজিল (বি 1.1.1 .28.2.1 বা পি 1 ভেরিয়েন্ট), বাস্তব ভাইরাস স্ট্রেন এর রূপসমূহ।

যখন একটি ভাইরাসের স্ট্রেনের দুটি মিউটেশন তৃতীয় সুপার-সংক্রামিত স্ট্রেন তৈরি করে তখন একটি দ্বৈত রূপান্তর উত্থিত হয়। ডাবল মিউট্যান্ট বৈকল্পিক, প্রথম মহারাষ্ট্র রাজ্যে চিহ্নিত, E484Q এবং L452R রূপান্তর মধ্যে ক্রস হিসাবে বিবেচিত হয়। যদিও E484Q রূপান্তরটি L452R মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে বলে জানা গেছে।

নতুন স্ট্রেনের কী আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে?

করোনার নতুন স্ট্রেনের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, ব্যথা এবং গন্ধ চলে যাওয়া। নতুন স্ট্রেনের লক্ষণগুলো আমাদের শরীরে আক্রমণ করার আগে ভাইরাসটি আগের চেয়ে স্মার্ট হয়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ- শ্রবণশক্তি হ্রাস, পেশি ব্যথা, ত্বকের সংক্রমণ আরও কিছু লক্ষণ যা মারাত্মক হয়ে উঠেছে।

বিজ্ঞানীরা এখনও ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন। তবুও, অনেকে মনে করেন যে এটি ইউকে বৈকল্পিকের চেয়ে বেশি সংক্রামক বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর লক্ষণগুলো আরও গুরুতর কিনা তাও অনিশ্চিত। মাস্ক পরা এবং সতর্কতা অবলম্বন করা সম্পূর্ণরূপে নিজেকে রক্ষা করাই একমাত্র উপায়।

51
ইন্টারভিউ, চাকরি এবং বিসিএস

আমার দেশের (বা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যেকোনো দেশের) চাকরির নিয়ম হওয়া উচিত মেধা ও যোগ্যতাভিত্তিক। কোনো অ্যাকাউন্ট্যান্টকে আমি চাকরিতে নিলে আমি পরীক্ষা করব ওর অ্যাকাউন্টিং বিদ্যা কত দূর। ‘প্রোডাক্টের ওপর ডিসকাউন্ট কি রেভেন্যু থেকে কাটা যাবে নাকি কষ্ট অফ গুডস সোল্ড অ্যাকাউন্ট থেকে?’ এই বিষয়ে ওর পড়াশোনা কত দূর, কী কী সার্টিফিকেট আছে ইত্যাদি ইত্যাদি যাচাই–বাছাই করব। সেটাই স্বাভাবিক নিয়ম হওয়া উচিত। এ ছাড়া ও আমার করপোরেট কালচারের সঙ্গে মানাতে পারবে কি না, ওকে ম্যানেজ করা কঠিন হবে কি না, ইত্যাদি বিষয় বুঝে নিতে হবে কথাবার্তার ধরন থেকে। এইটাই সভ্য দেশে স্বাভাবিক ইন্টারভিউর নিয়ম।

যেমন আমি এ মাস থেকেই নতুন কোম্পানিতে নতুন চাকরি শুরু করেছি। আগের কোম্পানির সঙ্গে সাড়ে সাত বছরের মধুর সম্পর্কের সমাপ্তি আমি নিজেই টেনেছি। কেন? কারণ, আমার আগের কোম্পানি অন্য আরেকটা কোম্পানির কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। করপোরেট আমেরিকার অতি সাধারণ ঘটনা। বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে। এত দিন আমরা অন্য কোম্পানিকে কিনতে কিনতে বড় হয়েছি, এবার আমরাই শিকার হয়েছি।

তা এসব ক্ষেত্রে প্রথমেই যে ব্যাপারটা ঘটে তা হচ্ছে, নতুন ম্যানেজমেন্ট এসে কিছু পুরোনো কর্মী ছাঁটাই করে। ওপরের লেভেলের ম্যানেজমেন্ট অদলবদল করে। আপনি খুবই ভাগ্যবান হলে আপনার চাকরির কিছু হবে না। কিন্তু সেটা অনেকটা ভাগ্য নিয়ে লটারির মতো হয়ে যায়। এ জন্য আমি আমার ইমোশনকে কাবু করে নতুন চাকরি খুঁজে সরে পড়েছি। এ ছাড়া এটাও মাথায় রাখতে হবে, এই মুহূর্তে ইকোনমির অবস্থা খুব খারাপ। চাইলেই চাকরি খুঁজে পাওয়া যায় না। আমি সাড়ে সাত বছরের প্রেম দেখিয়ে অফিসের সঙ্গে থেকে গেলাম, তারপর ওরা আমাকে বিদায় বলে দিল, তখন চাকরি খুঁজে পাওয়া কঠিন হতেও পারে। এই রিস্কে আর গেলাম না।

তা আমার চাকরির ইন্টারভিউ হয়েছে ফোনে। করোনা মহামারির কারণে স্বাভাবিকভাবেই এখন সবাই বাড়ি থেকে কাজ করছে। সাধারণত লোকজন জুম ইন্টারভিউ করে। কিন্তু যেদিন আমার ইন্টারভিউ ছিল, সেদিন ডালাসে তুষার ঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ফোনে ইন্টারভিউ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তরুণদের জন্য চাকরির বাজার বাড়ছে না। তবে প্রতিবছর হাজারো চাকরিপ্রত্যাশী তরুণের মধ্যে কেউ কেউ দক্ষতা দেখিয়ে চাকরি পেলেও একটি বড় অংশ দরকারি নানা দক্ষতার অভাবে চাকরি পাচ্ছে না
তরুণদের জন্য চাকরির বাজার বাড়ছে না। তবে প্রতিবছর হাজারো চাকরিপ্রত্যাশী তরুণের মধ্যে কেউ কেউ দক্ষতা দেখিয়ে চাকরি পেলেও একটি বড় অংশ দরকারি নানা দক্ষতার অভাবে চাকরি পাচ্ছে নাপ্রথম আলো ফাইল ছবি
নানা বিষয় নিয়ে কথা হলো। তাঁরা কী কী সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করে, আমরা কী কী দিয়ে কাজ করি, ওদের অফিস পরিবেশ কেমন, আমারটা কেমন ইত্যাদি ইত্যাদি। যেহেতু এখন অনেকেই চাকরির ইন্টারভিউ দেন বা নেন, সেহেতু নিজের অভিজ্ঞতার কিছু জরুরি অংশ শেয়ার করছি। আশা করি কাজে আসবে। আমার এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ! সবই আল্লাহর ইচ্ছা। এই পুরো ঘটনা নিয়ে আলাদা করে আরেকটা লেখা লিখবে। আপাতত এই আজকের বিষয়ে ফোকাসড থাকি। তা মাত্র দুটি ইন্টারভিউ দিয়েই একটাতে পেয়ে গেছি। অপরটিতে ঠিক ফেইল করিনি। ম্যানেজার সরাসরিই বলেছেন, ‘তোমাকে আমার খুব ভালো লেগেছে, কিন্তু আমরা এমন অ্যাকাউন্ট্যান্ট চাইছি, যার সফটওয়্যার ডেভেলপারদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। সহজ ভাষায় একাউন্টেন্ট+বিজনেস এনালিস্ট।’

ইদানীং এই অভিজ্ঞতার লোকদের খুব ডিমান্ড আছে। কেউ যদি এখনো পড়াশোনা শেষ না করে থাকেন, তাহলে বলব অ্যাকাউন্টিং ফাইন্যান্সের সঙ্গে টুকটাক কম্পিউটার রিলেটেড কোর্সও মাইনর হিসেবে করে নিতে পারেন। SQL কোড ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে ফেলুন। এই ফিল্ডের ভবিষ্যৎ ওদিকেই যাচ্ছে।
ইন্টারভিউর একটি অতি কমন প্রশ্ন হলো, ‘তোমার সম্পর্কে কিছু বলো।’

আপাতদৃষ্টিতে অতি নিষ্পাপ প্রশ্ন মনে হলেও এখানে একটি ট্রিক থাকে। আপনি যদি আপনার বউ–বাচ্চা পোষা প্রাণী সংসারের আলাপ শুরু করে দেন, তাহলে কিন্তু আপনি বাদ। আপনাকে আপনার সম্পর্কে বলতে হলে অবশ্যই আপনার প্রফেশন নিয়ে বলতে হবে। আপনার পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, সফলতা, ব্যর্থতা এবং ব্যর্থতা কীভাবে কাটিয়ে উঠেছেন ইত্যাদি নিয়ে বলতে হবে। ভুলেও ব্যক্তিগত আলাপ শুরু করে দিয়েন না। এমন কিছু বলবেন না যা কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। যেমন আপনি ফিকশন রাইটার, বাজারে আপনার বই আছে। আপনার গল্প লোকজন মেরে দিয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে অ্যাকাউন্টিংয়ের কোনোই যোগাযোগ নেই। ম্যানেজারের কিছুই যায় আসে না তাতে। তাই এই বিষয়টা তোলার প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাঁ, যদি ম্যানেজার নিজে থেকেই বলেন যে তিনি ফিকশন বই পড়তে পছন্দ করেন, তখন এই প্রসঙ্গ তুলতে যেন না ভোলেন।
আবার আপনি এতই পণ্ডিত ব্যক্তি যে অ্যাকাউন্টিংয়ের ওপর কোনো বই লিখেছেন ‘সহজ ভাষায় অ্যাকাউন্টিং’ ‘অ্যাকাউন্টিংয়ের খুঁটিনাটি’ বা এই জাতীয় কিছু। তখন কিন্তু আপনার প্রাইমারি ফোকাসই হবে এই বইয়ের প্রসঙ্গ তোলা এবং এই নিয়ে গল্প করা। কারণ ‘আপনাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’!
বোঝাতে পেরেছি?

আরেকটি সাধারণ প্রশ্ন তোমার স্ট্রেন্থ এবং উইকনেসেস কী?
আপনি যদি বলেন, আমার কোনো দুর্বলতা নেই, তাহলে এরা ধরেই নেবে আপনি আপনার দুর্বলতা স্বীকার করতেই ইচ্ছুক না। কাজেই আপনি বাদ। আপনাকে অবশ্যই আপনার দুর্বলতা (প্রফেশনাল হতে হবে, যদি বলে বসেন ‘সুন্দরী নারীর হাসিই আমার দুর্বলতা’ তাহলে পত্রপাঠ বিদায়) স্বীকার করতে হবে এবং একই সঙ্গে সেই দুর্বলতা ঢাকতে আপনি কী কী কাজ করেছেন, সেটা বলতে হবে। যেমন আপনি বলতে পারেন, আমি অমুক তমুক সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করিনি কখনো। তাই আমি কিছু ক্লাস নিয়েছি, শিখছি এবং আশা করি আগামী কয়েক সপ্তাহেই আমি আয়ত্ত করে ফেলব।
‘শক্তি’ কী? সেটার জবাব দেবেন ওরা কী চাইছে, সেটার ওপর ভিত্তি করে। যেমন ওরা চাইছে এমন কাউকে যে এক্সেলে ওস্তাদ। আপনি এক্সেলের ফর্মুলা, পিভট ইত্যাদি ভাজা ভাজা করা পাবলিক। আপনি সেটা ধরেই এগোবেন। ওরা চাইছে টিম প্লেয়ার। আপনি নিজেও দলবদ্ধভাবে কাজ করতে পছন্দ করেন। আপনি সেটা বলবেন। পারবেন না? জব রিকোয়ারমেন্ট ভালো করে পড়ে নেবেন এ ক্ষেত্রে।

আরেকটি সাধারণ প্রশ্ন, আমাদের এখানে কেন জয়েন করতে চান?
এর উত্তরে জীবনেও বলবেন না যে, আমার একটা চাকরি দরকার। বাড়িতে অসুস্থ মা, অবিবাহিত বোন, রিটায়ার্ড পিতা আছে। সংসারের হাল আমার কাঁধে। আজকে সকালে নাশতা করে আসিনি...। এসব ইমোশনাল কথাবার্তা ইন্ডিয়ান আইডল জাতীয় অনুষ্ঠানের পাবলিক খুব খায়, প্রফেশনাল জগতে এর ভ্যালু শূন্য।
আমি শুনেছি তোমরা নাকি ভালো বেতন-ভাতা দাও...এই জাতীয় কথাবার্তাও বলবেন না। আপনাকে ভাববে লোভী। সুযোগ পেলেই অন্য কোথাও দৌড় দেবেন।
এ প্রশ্নের জবাবটা দেবেন এভাবে, ‘আমার ধারণা আমার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা দুইটাই এই কাজের জন্য যথোপযুক্ত। কারণ...। ‘‘আমি এই প্রতিষ্ঠানে চাকরির ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত কারণ এটা আমাকে (এইটা সেটা) করার সুযোগ দেবে...(প্রফেশন রিলেটেড যেন কারণ হয়। যদি বলেন এই চাকরির পাশাপাশি আমি নাটক থিয়েটার লেখালেখি করতে পারব, তাহলে বিদায়।)’’ ঠিক এই কারণেই ইন্টারভিউর আগে অবশ্যই কোম্পানি সম্পর্কেও কিছু ধারণা নিয়ে যাবেন। গুগলের যুগে যা খুবই সহজ। আর পরিচিত কেউ যদি কোম্পানিতে কাজ করে, তাহলে তো কথাই নেই।’
আপনাকে প্রশ্ন করতে বললে বলবেন, ‘আমাকে হায়ার করলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমার থেকে তোমার কি এক্সপেক্টেশন?’ তারপরের প্রশ্ন করবেন, ‘কী করলে এই পদে দ্রুত উন্নতি করা যায়?’
কোম্পানির শেয়ারের মূল্য, প্রোডাক্ট ইত্যাদি নিয়ে কথাবার্তা বলতে পারেন। তাহলে বুঝবে আপনি ভালোই রিসার্চ করা সিরিয়াস পাবলিক। যেমন এক এইটিন হুইলার (বিশালাকৃতির ট্রাক) তৈরির কোম্পানিতে একবার শখের বসে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘দুনিয়া এখন শিফট করছে ইলেকট্রিক গাড়ির দিকে। তোমাদের এই সম্পর্কে পদক্ষেপ কী? তোমরা কি এখনো ডিজেলের ইঞ্জিনই বানাবে? নাকি তোমরাও ব্যাটারিচালিত মোটরের পরিকল্পনা করছ?’
ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজার। এই প্রশ্নের গভীরতায় ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেছে। এই আঁতলামি প্রশ্ন সে আশা করেনি। আমিও শুধু শুধুই জিজ্ঞেস করেছি। আমার কি ঠ্যাকা কে ব্যাটারি গাড়ি বানাইল আর কে ডিজেলের? কিন্তু ইন্টারভিউতে এসব দেখাতে হবে।
উত্তরে সে বলেছে, ‘ব্রাদার আস্কড এ ভেরি গুড কোয়েশ্চেন! সঠিক উত্তরটা আমার জানা নেই।’
এই প্রশ্নটাই চাকরির দৌড়ে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। শুধু ওয়াশিংটনে তিন মাস গিয়ে ট্রেনিং নিতে হবে যখন আমার বউ প্রেগন্যান্ট, তাই ওটাতে আর এগোনো হয়নি। আর ঠিক তখনই আমার তখনকার কোম্পানি আমাকে আরও কিছু নতুন দায়িত্ব দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল আমাকে নিয়ে তাঁদের দীর্ঘ পরিকল্পনা আছে। তাই আমিও মার্কেট থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলেছিলাম।

তরুণদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্যাংকের চাকরি
তরুণদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্যাংকের চাকরি ছবি: প্রথম আলো
আমার কারেন্ট বস আমাকে একটা অদ্ভুত প্রশ্ন করল। ‘আমাদের দলে বেশির ভাগই মেয়ে। তোমার কোনো অসুবিধা নেই তো মেয়েদের সঙ্গে কাজের ব্যাপারে?’
সে এই প্রশ্নটা করেছে, তার মানে এই বিষয়ে তাঁকে এর আগে ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। এবং সেই সঙ্গে এটি ‘বিহেভিয়র’ প্রশ্নও বটে। যেমন অনেকেই সিচুয়েশন দিয়ে বলবে, ‘ধর কোনো এমপ্লয়ির সঙ্গে তোমার বনে না। কিন্তু তোমাদের একই টিমে কাজ করতে হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে তুমি হলে কী করবে?’
এ ব্যাপারে কিছু কথা বলার আছে আমার।

আমার আগের অফিসের আগের বস ছিল একটা মেয়ে। বয়সে আমার চেয়ে কম, কিন্তু অভিজ্ঞতায় আমার চেয়ে অনেক বেশি। আমি করপোরেট অ্যাকাউন্টিংয়ের মাত্র একটি শাখায় কাজ করে অভ্যস্ত। আর সে পাবলিক অ্যাকাউন্টিং করায় বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন শাখায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রাখে। এখন আমার জায়গায় এমন অনেকেই আছে, যারা এই বিষয়টাকে না মেনে কেবল বয়স এবং লিঙ্গের ওপর ফোকাস করে বলবে, ‘আজকে আমি সুন্দরী ব্লন্ড হলে আমার প্রমোশন হতো।’
‘একটা মেয়ের আন্ডারে কাজ করতে হবে?’
কিংবা আরও নোংরা কিছু বলত।

শুধু দেশিদের এই দোষ দেব না। আমাদের সঙ্গেই কাজ করত এক শ্বেতাঙ্গিনী মহিলা, তাঁরও এ স্বভাব ছিল। তাঁর চেয়ে কম বয়সী একটি মেয়ে কীভাবে তাঁর আগে প্রমোশন পেয়ে গেল, সেটা মানতে পারছিল না। এইটা সব যুগে সব সমাজের মানুষের মাঝেই বিদ্যমান।
‘আজ আমার গায়ের রং সাদা না বলে...’
‘আজ আমি হিন্দু/মুসলিম/খ্রিষ্টান/বৌদ্ধ বলে...’
‘আজ আমি পুরুষ/নারী বলে...’
ঘটনার শুরু সেই আদম-ইবলিস যুগে। হজরত আদমকে (আ.) তাঁর জ্ঞান ও অন্যান্য নানা গুনের কারণে সম্মান করতে বলায় ইবলিস কী বলেছিল?
‘আমি আগুনের তৈরি আর ও মাটির!’

চাকরির ক্ষেত্রে এই ব্যাপারগুলো আপনাকে মানতেই হবে। যদি দেখেন চাকরিতে আপনার প্রমোশন হয়নি, তাহলে অভিযোগ তোলার আগে চিন্তা করবেন কী করলে আপনার প্রমোশন হতো। যেমন ধরেন আমি নিজেই আপাতত ম্যানেজমেন্টে যেতে আগ্রহী না। আরও তিন–চার বছর অপেক্ষা করতে চাই। প্রধান কারণ আমার দুই বাচ্চাই ছোট। সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে গেলে এই দুইটাকে সময় দিতে পারব না। ম্যানেজারের দায়িত্ব হচ্ছে নিজের অধীন কর্মচারীদের কাজগুলো ঠিকঠাকমতো হচ্ছে কি না, সেটা নিশ্চিত করা। মানে নিজের কাজের পাশাপাশি অন্যের কাজও করা। আপনি খুব লাকি হলে আপনার অধীন কর্মচারীরা খুব চৌকস হবে। আপনার ওপরও লোড কম থাকবে।

কিন্তু যদি কেউ দুর্বল হয়, তখন? তখন দ্বিগুণ সময় নষ্ট হবে এর পেছনে। আর দিন শেষে যদি আপনার টিমের কোনো ভুলত্রুটি হয়, সেটার জন্য দোষী কিন্তু আপনি। এই কারণেই দেখবেন বিদেশে একটা সড়ক/নৌ দুর্ঘটনার কারণেও মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পদত্যাগ করে ফেলে। আর আমাদের অভ্যাস হচ্ছে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা। সেটা করতে পারবেন না। আপনার দায়িত্ব হচ্ছে কাজ শেষ করা। প্রয়োজনে আপনাকে দিন–রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করে হলেও সেটা শেষ করতে হবে। না হলে বিদায়।

আমি সপ্তাহে ৪০–৫০ ঘণ্টা কাজ করতেই বিরক্ত হয়ে যাই, যেখানে আমার নিজেরই বন্ধুবান্ধব আছে, যারা ৭০–৮০–৯০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে।

আপনাকে দেখতে হবে যে প্রমোশন পেল, সে কি এসব করতে রাজি আছে কি না। আমার এক ভিপি, সিনিয়র ভিপি দুইটাই ছিল কাজপাগলা। এতটাই যে সংসার পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছে। আপনি সেই কমিটমেন্টের জন্য প্রস্তুত কি না। ‘আমি বাঙালি বলে আমার প্রমোশন হয়নি’— জাতীয় আহ্লাদী কথাবার্তা খুবই ফালতু শোনায়। গুগল, মাইক্রোসফট, মাস্টারকার্ড, এলবার্টসন্স, পেপসির (সাবেক) ইত্যাদির সিইও সব ভারতীয়। ওরাও মাইনরিটি। আপনার সঙ্গে ওদের পার্থক্য হচ্ছে, তাঁরা এই আহ্লাদী না করে কাজে ফোকাস করেছে, ফল পেয়েছে।

ইন্টারভিউর সময় আমার পরামর্শ হচ্ছে, আপনি সৎ থাকার চেষ্টা করবেন। অনেকেই অনেক কুপরামর্শ দিয়ে বোঝাবে যে চাপা মারতে, কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বলি, কেউ যদি কোনো এক্সপার্টের সামনে চাপা মারতে শুরু করে, তাহলে খুব সহজেই ধরা পড়ে এবং তখন আপনার অন্যান্য বিষয়ে দুনিয়া উল্টে ফেলা ক্রেডিট থাকলেও আপনাকে ওরা একটা বাটপার হিসেবেই দেখবে এবং বাদ দেবে।

ধরেন, আপনি জীবনেও এপিকর নিয়ে কাজ করেননি। জব রিকোয়ার্মেন্টে দেখলেন আমরা এপিকর এক্সপার্ট খুঁজছি। আপনি সেটা দেখেই রেজুমেতে লিখে বসলেন আপনার দুই বছরের অভিজ্ঞতা আছে এপিকর নিয়ে কাজ করার। আমরা আপনাকে ইন্টারভিউতে ডাকলাম। আমি স্পেসিফিক্যালি আপনাকে প্রশ্ন করব জানুয়ারি ২০২০ সালে একটা ইনভয়েস রেকর্ড করা হয়েছে কি না, সেটা কীভাবে খুঁজে বের করবেন?
আপনার অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি সহজেই বলতে পারবেন তারিখ উল্লেখ করে ‘মাল্টি কোম্পানি জার্নাল ডিটেইল’ থেকে বের করে ফেলবেন। আর আপনি চাপাবাজ হলে ভুগিচুগি বোঝানোর চেষ্টা করবেন, যা বুঝতে আমার বিন্দুমাত্র সময় লাগবে না। মাঝ দিয়ে আপনি আমার এবং আপনার সময় নষ্ট করবেন।

বরং এই ধরনের প্রশ্নের উত্তরে বলবেন, ‘এপিকর নিয়ে কাজ আমি করিনি, তবে আমি BI৩৬০ দিয়ে কাজ করেছি। সেখানে আমরা এইভাবে বের করতাম। আমি নিশ্চিত, এপিকরেও সেভাবেই কোনো উপায় আছে, কারণ আমি মনে করি প্রতিটা সফটওয়্যারই মোটামুটি কাছাকাছি প্রোগ্রামিং ও লজিক দিয়েই তৈরি হয়। শুধু বাটনগুলো এখানে ওখানে আলাদা আলাদা ট্যাবে থাকে।’

তাহলে ম্যানেজার বুঝে নেবেন আপনাকে কাজ শেখাতে তাঁর কতটুকু পরিশ্রম লাগবে। তিনি আপনাকে এই অভিজ্ঞতার কারণে নিয়ে নিতেও পারেন। যদি না অন্যান্য ক্যান্ডিডেটদের মধ্যে কারোর সরাসরি এপিকরে কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকে।
এটুকু বোঝাতে পেরেছি?

আরও অনেকে অনেক প্রশ্ন পেয়ে থাকেন। কমেন্টে সেসব লিখতে পারেন। যদি কমন পড়ে, অবশ্যই উত্তর দেব। না পারলে আমি নিজেই শিখতে আগ্রহী হব।

আমার দেশের একটা ব্যাপারে আমার খুব আফসোস হয়। চাকরির ক্ষেত্রে আমরা ধর্ম, আচার, রীতিনীতি, সাধারণ জ্ঞান ইত্যাদি বাহ্যিক বিষয় নিয়ে এত বেশি মেতে থাকি যে মূল বিষয়টাতেই ফোকাস করতে পারি না। যে করবে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের কাজ, ইন্টারভিউতে তাঁকে জিজ্ঞেস করি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবির নাম কী ছিল। যে করবে ফাইন্যান্সের চাকরি, যাকে জিন্দেগিতে ক্লায়েন্ট ফেস করতে হবে না, তাঁর স্পোকেন ইংলিশ পরীক্ষা করি। আরে ভাই, আমেরিকাতেই স্পোকেন ইংলিশ নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় না যতটা বাংলাদেশে ইন্টারভিউ দিতে গেলে পড়তে হয়। আমরা মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে দিলাম, তারপর উর্দুর বদলে ইংলিশকে এলিট ক্লাসের ভাষা বানায় ফেললাম। বাংলার তকদির সেই বায়ান্নতে যা ছিল, তাই থেকে গেল! অদ্ভুত!
হালের সেনসেশন বিসিএস নিয়ে কিছু বলার ইচ্ছাও নেই। যে পাঁচ বছর কষ্ট করে মেডিকেল পড়ল, যে বুয়েটসহ অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ল, সে কোনো নদীর কয়টা শাখা নদী আর কোনো প্রাচীন পাণ্ডুলিপি কোনো গোয়ালঘরে পাওয়া গেল ইত্যাদি মুখস্থ করে আমলা পদে অ্যাপ্লাই করে! একজন সরকারি মেডিকেল ডাক্তার, যে রোগীর চিকিৎসা করবে, সে পদ্মা নদীর উৎস, গতিপথ ইত্যাদি জেনে কী করবে? আমাকে লজিক্যালি বোঝানোর একটু চেষ্টা করুন, দেখি বুঝতে পারি কি না। রোগীর রোগের সঙ্গে গঙ্গোত্রীর সম্পর্কটা ঠিক কোথায়? ঠিক এ কারণেই মেধা থাকার পরও আমরা জ্ঞান–বিজ্ঞানে বিশ্বে অনেক পিছিয়ে আছি। কেন? কারণ আমরা মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ক্ষয় করি, উদ্ভাবনী বা সৃজনশীলতা দিয়ে নয়। শার্লক হোমসের সেই বিখ্যাত যুক্তি আমরা ভুলে যাই। ‘মানুষের মস্তিষ্ক একটি খালি কামরার মতো। বুদ্ধিমান ব্যক্তি সেই ঘরে সুন্দর সুন্দর আসবাব দিয়ে সাজায়। আর মূর্খ সেটাকে আলতুফালতু জঞ্জাল দিয়ে গুদামঘর বানিয়ে ফেলে।’

এনি ওয়েজ, যার দেশে যেমন রীতি। সবাই ভালো থাকলেই হলো।



52
শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ভার্চ্যুয়াল ইন্টার্নশিপ’

অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই স্নাতক সনদ পেতে হলে শেষ বর্ষে শিক্ষানবিশ (ইন্টার্নি) হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতে যেহেতু ক্যাম্পাস বন্ধ, প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আগের মতো নিয়োগ হচ্ছে না, তাই শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজের সুযোগ কিছুটা কমে গেছে। তবে একই সঙ্গে তৈরি হয়েছে অনলাইনে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ। শুধু শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরাই নন, ঘরে বসে যাঁরা সময়টা কাজে লাগাতে চান, আবেদনের যোগ্যতা অনুযায়ী চাইলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

অনলাইনে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার কয়েকটি সুযোগের কথা জেনে নেওয়া যাক।

বাংলালিংক

বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক শুরু করেছে ‘ভার্চুয়াল ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম’। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। মে-জুন মাসব্যাপী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ পাবেন ইন্টার্নিরা। আবেদন করতে হবে ১১ এপ্রিলের মধ্যে। আবেদন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন। 

বিজ্ঞাপন

ওয়াইএসএসই

শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজের আবেদন গ্রহণ করছে ইয়ুথ স্কুল ফর সোশ্যাল এন্টারপ্রেনার্স (ওয়াইএসএসই)। চার মাসজুড়ে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতিতে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। অ্যাডমিন-এইচআর, মার্কেটিং-পিআর, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। যে কোনো পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও মাইক্রোসফট অফিস সুটে দখল থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যাবে। আবেদন করতে হবে ৫ এপ্রিলের মধ্যে। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

জিইএম অ্যাপারেলস

পোশাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠান জিইএম অ্যাপারেলসে ‘কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট’ ও ‘গ্রাফিক ডিজাইন’ টিমে কাজের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রথম থেকে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এই ‘ভার্চুয়াল ইন্টার্নশিপ’ এর জন্য আবেদন করতে পারেন। গ্রাফিক ডিজাইনে শিক্ষানবিশির জন্য আবেদন করতে হলে অ্যাডোব ফটোশপ ও অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর এর কাজ জানা জরুরি। কাজ করতে হবে ৩ মাস। আবেদনের শেষ তারিখ ১২ এপ্রিল। আবেদনের জন্য ক্লিক করুন এখানে।


Source: https://www.prothomalo.com/feature/shapno/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AA

53
বাসে চ’ড়লেই ব’মি পায়? জে’নে নিন সহজ স’মাধান!


বাসে কিং’বা গা’ড়িতে চ’ড়লে প্রথমে কিছুক্ষ’ণ স্বা’ভাবিক। কিন্তু তারপরই শু’রু হয় অ’স্ব’স্তি । সেইস’ঙ্গে ব’মি ব’মি’ ভা’ব ব’মি। এমন স’মস্যায় প’ড়েন অ’নেকেই। আবার মা’থাব্য’থা, মা’ইগ্রেন, হজ’মের স’মস্যার কা’রণে ব’মি ব’মি ভাব বা শ’রীরে অস্ব’স্তি হয়ে থাকে। আমাদের রান্নাঘরে থাকা সাধারণ কয়েকটি জি’নিসের সা’হায্যে এই ব’মি ব’মি ভাব স’হজেই দূ’র করা স’ম্ভব। চ’লুন জে’নে নেয়া যাক

   

লেবু: এক টু’করো লেবু মু’খে নি’য়ে কি’ছুক্ষণ চু’ষুন। বাসে চ’ড়ার আগে এক গ্লা’স পা’নিতে এক টু’করো লেবুর রস, এক চি’মটি লবণ মি’শিয়ে খে’য়ে নিন। এটি দ্রু’ত ব’মি ব’মি ভাব দূ’র করে দে’বে। ব’মি পে’লে এক টু’করো লেবু নাকের কাছে নিয়ে কি’ছুক্ষণ শুঁ’কে দেখু’ন, এটিও শা’রীরিক অস্ব’স্তি অনেকটাই ক’মিয়ে দেবে।

   

লবঙ্গ: এককাপ পা’নিতে এক চা’মচ লবঙ্গের গুঁ’ড়া দিয়ে ৫ মিনিট সে’দ্ধ ক’রুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে আ’স্তে আ’স্তে এটি খে’য়ে দেখু’ন। এর স্বা’দ যদি ক’টু লা’গে তা’হলে এর স’ঙ্গে এক চা’মচ মধু মি’শিয়ে নি’তে পারেন। এ ছা’ড়া ১-২টি লবঙ্গ চি’বিয়ে খে’য়ে দে’খতে পা’রেন। এটি স’ঙ্গে স’ঙ্গে ব’মি ব’মি ভা’ব দূ’র করে দে’বে।

   

জিরা: এক চামচ জিরা এমন একটি উ’পাদান যা আপনার ব’মি ব’মি ভাব মু’হূ’র্তে দূ’র ক’রে দে’বে। এক চা’মচ জি’রা গুঁ’ড়া ক’রে খে’য়ে নিন। মু’হূর্তের মধ্যে ব’মি ব’মি ভাব দূ’র হয়ে যাবে। এক চি’মটি জিরাও চি’বিয়ে খে’য়ে দে’খতে পা’রেন। উপকার পা’বেন।

   

আদা: দ্রু’ত ব’মি ব’মি ভা’ব দূ’র ক’রতে আ’দা খু’বই কা’র্যকরী একটি উপাদান। এক টুকরা আদা চা’য়ের স’ঙ্গে খান, এটি দ্রু’ত ব’মি ব’মি ভাব দূ’র করে দে’বে। আদা হজ’মের স’মস্যা দূ’র ক’রতে সা’হায্য করে। এক চা’মচ আদা’র রস, এক চামচ লেবুর রস এবং সা’মান্য বেকিং সোডা মি’শিয়ে খে’য়ে দেখু’ন। এটিও ব’মি ব’মি ভা’ব দূ’র ক’রতে সা’হায্য ক’রবে।

54
প্রধান নির্বাহীদের আশা, এ বছরই উত্তরণ


মেঘের আড়ালে সূর্য হাসে—করোনার মধ্যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যেন এই প্রবাদের মতো আশাবাদী বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরা। তাঁরা বিশ্বাস করেন, এ বছরই করোনার কালো মেঘের প্রভাব কাটবে অর্থনীতির ওপর থেকে। তাঁরা আস্থা রাখেন উত্তরণে।

বিশ্বের ৭৬ শতাংশ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বাস করেন, আগামী ১২ মাসের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনীতির উত্তরণ হবে। সম্প্রতি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারসের (পিডব্লিউসি) এক জরিপে এমনটাই উঠে এসেছে। ১০০টি দেশ ও অঞ্চলের ৫ হাজার ৫০ জন প্রধান নির্বাহীর ওপর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি নাগাদ পরিচালিত হয় এই জরিপ। মূলত ২০১২ সাল থেকে প্রধান নির্বাহীদের এই আস্থা জরিপ পরিচালনা করছে পিডব্লিউসি। তবে চলতি বছরেই সর্বোচ্চসংখ্যক সিইও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছেন। সংস্থাটির গত বছরের জরিপে মাত্র ২২ শতাংশ প্রধান নির্বাহী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার বিষয়ে আস্থা রেখেছিলেন। ২০১৯ সালে যা ছিল ৪২ শতাংশ।

কেন আশাবাদী প্রধান নির্বাহীরা
এ বছরে টিকা গবেষণায় উন্নয়ন এবং বিশ্বের অনেক দেশে এই টিকা সরবরাহ গতিশীল হওয়ার সুবাদে নতুন শক্তি নিয়ে প্রবৃদ্ধি ফিরে আসবে বলে আশা করছেন নির্বাহীরা। বিশ্ব এখনো বিপদমুক্ত নয়, তবে সিইওরা বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এবং তাঁদের জন্য একটি পথ এগিয়ে আসছে, এমনটাই মনে করছেন। ৩৬ শতাংশ নির্বাহী এ বছর এবং আগামী বছর তাঁদের আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, ৪২ শতাংশ আশা করছেন, তিন বছর পর্যন্ত এই আয় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

করোনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত অর্থনীতি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা থেকে পিডব্লিউসির গবেষকেরা মনে করছেন, এ বছর বিশ্বব্যাপী ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। যদিও তা আইএমএফের পূর্বাভাসের চেয়ে কিছুটা কম। আইএমএফের পূর্বাভাস হলো, প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৫ শতাংশ।

বিভিন্ন খাতে কোভিডের যে প্রভাব
বিভিন্ন খাতের প্রধান নির্বাহীদের মন্তব্য থেকেই বোঝা যায়, কোভিড সব খাতের ওপর এ রকম প্রভাব ফেলেনি। সংক্রমণ ঠেকাতে নেওয়া লকডাউন, চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বিশ্বের বিভিন্ন শিল্প ও খাতের ওপর আলাদা প্রভাব ফেলেছে। এই অসমতা জরিপে অংশ নেওয়া মুখ্য নির্বাহীদের আত্মবিশ্বাসে প্রতিফলিত হয়েছে। দেখা গেছে, আতিথেয়তা, অবসর, পরিবহন সংস্থা ও লজিস্টিক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্বাহীদের তুলনায় প্রযুক্তি খাতের নির্বাহী অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আস্থা বেশি। প্রযুক্তি খাতের ৪৫ শতাংশ এবং টেলিযোগাযোগ খাতের ৪৩ শতাংশ প্রধান নির্বাহী আস্থা দেখিয়েছেন। অন্যদিকে পরিবহন খাতের ২৯ শতাংশ এবং আতিথেয়তা ও অবসর খাতের ২২ শতাংশ প্রধান নির্বাহী আগামী ১২ মাসের মধ্যে রাজস্ব বৃদ্ধি করার সামর্থ্যে তেমন আত্মবিশ্বাসী নন।

প্রধান নির্বাহীদের দীর্ঘস্থায়ী যে উদ্বেগ
আত্মবিশ্বাস সত্ত্বেও প্রধান নির্বাহীরা খুবই সচেতন বাহ্যিক হুমকির বিষয়ে। জরিপ অনুযায়ী, মহামারি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসংকট হলো এই বছরের তালিকার এক নম্বর হুমকি। ৫২ শতাংশ প্রধান নির্বাহী জানান, তাঁরা খুবই উদ্বিগ্ন এ বিষয়ে। এরপরে সাইবার হামলার ঝুঁকিকে হুমকি হিসেবে দেখছেন প্রধান নির্বাহীরা। জরিপে অংশ নেওয়া ৪৭ শতাংশ প্রধান নির্বাহী এটিকে বড় উদ্বেগ হিসেবে দেখছেন। সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিমা, ব্যক্তিগত ইক্যুইটি, ব্যাংকিং, মূলধন বাজার এবং প্রযুক্তি খাতসংশ্লিষ্ট নির্বাহীদের কাছে এটি প্রধান হুমকি।

গত বছর সবচেয়ে বড় হুমকি ছিল অধিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি। এবার তৃতীয় বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে এটিকে। এ ছাড়া প্রায় ২৮ শতাংশ প্রধান নির্বাহী বর্তমান বিশ্বে বিভ্রান্তিকর তথ্যকে হুমকি হিসেবে দেখেন। গত বছরের চেয়ে এই হার ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ সালে মাত্র ১৬ শতাংশ প্রধান নির্বাহী একে হুমকি হিসেবে দেখতেন।





Source: Prothom Alo

55
কোন রঙের ডিমের কুসুম বেশি স্বাস্থ্যকর?


শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা- ডিমের উপর ভরসা রাখেন বেশির ভাগ মানুষ। ডিম প্রায় প্রতিদিনই সব বাড়িতে বাজার থেকে কিনে আনা হয়। প্রায় সকলেরই ডিম থাকে পছন্দের তালিকায়। তবে সাদা ডিম না কি বাদামি রঙের ডিম- কোনটা ভাল, কোনটা খাওয়া বেশি উপকারি, এ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছেই।

ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-এর গবেষকদের মতে, একটি ৫০ গ্রাম ওজনের ডিমে থাকে ৭২ ক্যালোরি ও ৪.৭৫ গ্রাম ফ্যাট ( যার মধ্যে দ্রবণীয় মাত্র ১.৫ গ্রাম)। সাদা ও বাদামি ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় এক। সুতরাং বাদামি হোক বা সাদা, দুইধরনের ডিমের খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণ যে প্রায় সমান, সে কথা মেনে নিচ্ছেন বিশ্বের বেশির ভাগ পুষ্টিবিদই।

কিন্তু এতো জানা গেল ডিমের খোসার রঙ অনুযায়ী তার খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। এটা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, ডিমের কুসুমের রঙও দুইরকমের হয়- হলুদ আর কমলা। কিন্তু কোন রঙের কুসুমের ডিম বেশি স্বাস্থ্যকর তা জানেন? বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা, কুসুমের রঙ যত গাড়, ওই ডিম তত স্বাস্থ্যকর। কিন্তু জানেন কি, এই ধারণা কতটা সঠিক?
ইউএসডিএ'র গবেষকদের মতে, কুসুমের রঙ নির্ভর করে মূলত মুরগির খাবারের ওপর। আর ডিমের কুসুমের রঙ কমলা হয় ক্যারোটিনয়েড নামের এক রকম রাসায়নিকের প্রভাবে। মুরগি খোলা জায়গায় যত বেশি ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবে, তার ডিম ততই গাড় রঙের হবে। বেশ কিছু খামারে ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া হয় মুরগিকে। যার প্রভাবে ওই সব মুরগির ডিমের কুসুমের রঙ কমলা হয়।

মার্কিন গবেষকদের মতে, দু’টি কারণে কুসুমের রঙ গাড় হতে পারে। এক-  মুরগিটি খোলা জায়গায় যত বেশি ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে এবং প্রাকৃতিক খাবার থেকে পুষ্টি আহরণ করছে অথবা তাকে বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।

মার্কিন গবেষকদরা জানান, খামারের যে কোনও মুরগির চেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর খাবার খুঁজে খাওয়া মুরগির ডিমে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আর রঙও গাঢ় হয়। তাই কুসুমের রঙ যাতে গাঢ় হলুদ বা কমলা হয়, তার জন্য অনেক খামারের মালিক মুরগিকে ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার যেমন লাল ক্যাপসিকাম খাওয়ান। কিন্তু তাতে কুসুমের খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণে খুব বেশি পার্থক্য হয় না।



সূত্র: টুডেডটকম।

56

ভিটামিন ডির স্বল্পতা এবং এর সঙ্গে কোভিড-১৯–এর সম্পর্ক
ভিটামিন ডি আমাদের হাড় ও মাংসপেশির উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সূর্যের আলোয় এসেই আমরা আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি তৈরি করে নিতে পারি। দৈনন্দিন খাবারের মধ্যেও পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি রয়েছে। যেমন: তেলযুক্ত মাছ, ডিম, লিভার ইত্যাদি। কিন্তু যাঁরা এসব খেতে পান না বা বাইরে নিয়মিত সূর্যের আলোয় যেতে পারেন না, যাঁদের কোনো ধরনের ক্রনিক অসুখ (যেমন: ক্যানসার, ফুসফুসের অসুখ) আছে, যাঁরা সিগারেট খান, যাঁরা স্থূল এবং কোনো ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করেন না, তাঁদের রক্তে ভিটামিন ডির পরিমাণ সঠিক মাত্রার চেয়ে কম থাকতে পারে।

আপনারা নিশ্চয়ই এর মধ্যেই জেনেছেন যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকির তালিকায় সবচেয়ে ওপরে রয়েছেন ‘বয়স্ক’ মানুষ। কিন্তু কেন তাঁদের এ রকম হচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কোমরবিডিটি আরেকটা কারণ। যেমন: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও বেশি ওজন।


আরমান রহমানআরমান রহমান
ভিটামিন ডি আমাদের হাড় ও মাংসপেশির উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সূর্যের আলোয় এসেই আমরা আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি তৈরি করে নিতে পারি। দৈনন্দিন খাবারের মধ্যেও পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি রয়েছে। যেমন: তেলযুক্ত মাছ, ডিম, লিভার ইত্যাদি। কিন্তু যাঁরা এসব খেতে পান না বা বাইরে নিয়মিত সূর্যের আলোয় যেতে পারেন না, যাঁদের কোনো ধরনের ক্রনিক অসুখ (যেমন: ক্যানসার, ফুসফুসের অসুখ) আছে, যাঁরা সিগারেট খান, যাঁরা স্থূল এবং কোনো ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করেন না, তাঁদের রক্তে ভিটামিন ডির পরিমাণ সঠিক মাত্রার চেয়ে কম থাকতে পারে।

আপনারা নিশ্চয়ই এর মধ্যেই জেনেছেন যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকির তালিকায় সবচেয়ে ওপরে রয়েছেন ‘বয়স্ক’ মানুষ। কিন্তু কেন তাঁদের এ রকম হচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কোমরবিডিটি আরেকটা কারণ। যেমন: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও বেশি ওজন।

করোনায় আক্রান্ত বয়স্ক মানুষদের দ্রুত শারীরিক অবনতির কারণ খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এর সঙ্গে ভিটামিন ডির স্বল্পতার একটা যোগসাজশ থাকতে পারে। এর মূল কারণ, তাঁরা ধারণা করছেন, ভিটামিন ডির সঙ্গে শরীরের ইমিউন সিস্টেমের কানেকশন। আমাদের শরীরে ইমিউন সিস্টেম তার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে দুই ধরনের বন্দোবস্তের মাধ্যমে। এক হচ্ছে প্রো-ইনফ্লামেটরি ইমিউন সিস্টেম, আরেকটা হচ্ছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ইমিউন সিস্টেম। এই প্রো-ইনফ্লামেটরি ইমিউন সিস্টেমের কাজ হচ্ছে আমাদের ব্যাকটেরিয়া–ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখা। এর জন্য তারা শরীরে পরিমিত পরিমাণে ইনফ্লামেশন তৈরি করে এবং এর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া–ভাইরাসকে শরীর থেকে দূর করে দেয়। আমাদের শরীরে অসুখের যে সিম্পটম আমরা দেখি, যেমন: জ্বর, ব্যথা—এগুলো এই সীমিত ইনফ্লামেশনের জন্যই তৈরি হয়। কিন্তু এই প্রো-ইনফ্লামেটরি ইমিউন সিস্টেম পাগলা ঘোড়ার মতো। একে কন্ট্রোলে রাখতেই আমাদের শরীরে তৈরি হয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ইমিউন সিস্টেম। এই দুইয়ের ব্যালেন্সই আমাদের সুস্থ–স্বাভাবিক জীবন পার করতে সাহায্য করে।

কিন্তু দেখা গেছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে এই প্রো-ইনফ্লামেটরি ইমিউন সিস্টেম বেশি শক্তি অর্জন করতে থাকে, তার ফলে বয়স্ক মানুষের শরীরে একধরনের লো লেভেল ইনফ্লামেশন চলতেই থাকে। এর থেকেই নানা ধরনের ক্রনিক অসুখ সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে যদি ইনফেকশন হয়, তাহলে একজন অল্পবয়স্ক মানুষের শরীর যেমন সফল ইমিউন রিয়াক্সন তৈরি করে, একজন বয়স্ক মানুষ সে রকম কার্যকর ইমিউন রিয়াক্সন তৈরি করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ভিটামিন ডি একটি কার্যকর ভূমিকা রাখে। ভিটামিন ডি পরীক্ষিতভাবে প্রো-ইনফ্লামেটরি সাইটোকাইন উৎপাদনে বাধা দেয়, অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি সাইটোকাইন উৎপাদনে সাহায্য করে। করোনায় আক্রান্ত রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতির অন্যতম প্রধান একটি কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত প্রো-ইনফ্লামেটরি সাইটোকাইন তৈরি হাওয়া (এটিকে সাইটোকাইন স্টর্ম বলে), ভিটামিন ডি এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।

প্রায় ১৯ হাজার বয়স্ক মানুষের ওপর চালানো এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যদি বয়স্ক মানুষের রক্তে ভিটামিন ডির পরিমাণ কম থাকে, তাহলে তাঁদের শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণের (বুকে ইনফেকশন) পরিমাণ বেড়ে যায়। একাধিক কেস-কন্ট্রোল স্টাডিতে দেখানো হয়েছে, সেসব রোগীর রক্তে ভিটামিন ডির পরিমাণ কম আছে, তাদের যদি ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়, তাহলে তাদের বুকে ইনফেকশনের মাত্রা এবং অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরিমাণ কমে আসে।

সাম্প্রতিক করা এটি বড় ধরনের সমীক্ষা, যেখানে ১৫টি দেশের ১১ হাজার মানুষের ওপর করা পরীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য–উপাত্ত এক করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট মানুষকে সর্দি, জ্বর এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে যাদের ভিটামিন ডির স্বল্পতা ছিল, এই সাপ্লিমেন্ট তাদের ক্ষেত্রে বুকে ইনফেকশন হওয়ার চান্স শতকরা ৬০ ভাগ থেকে ৩০ ভাগে নামিয়ে নিয়ে এসেছিল। ২০১৯ সালে আরেকটি সমীক্ষায় ২১ হাজার পেশেন্টের ওপর করা পরীক্ষায় দেখানো হয়েছে, যাদের রক্তে ভিটামিন ডির পরিমাণ কম থাকে, তাদের সর্দি–জ্বর থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার চান্স ৬৪ শতাংশ বেশি থাকে। এই পরীক্ষাগুলোয় স্পষ্টই প্রমাণিত হয়েছে, ভিটামিন ডি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। করোনায় আক্রান্ত একজন বয়স্ক রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতির মূল কারণ হচ্ছে এই শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ (একিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন)।

বিশ্বের সব দেশেই বয়স্ক মানুষের শরীরে ভিটামিন ডির স্বল্পতা পাওয়া যায়। শীতের দেশে এই স্বল্পতার পরিমাণ আরও বেশি, এখানে বয়স্ক মানুষের রক্তে শীতকালে ভিটামিন ডির মাত্রা গ্রীষ্মকালের থেকে কমে আসে। এর মূল কারণ সূর্যের আলো। যেমন আয়ারল্যান্ডে প্রাপ্তবয়স্কদের (৫৫+) মধ্যে প্রতি আট জনে একজন ভিটামিন ডির স্বল্পতায় ভোগে, কিন্তু যদি বয়স্ক মানুষ (৭০–এর ওপরে) ধরা হয়, তাহলে শীতকালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রতি পাঁচ জনে একজন। সে জন্য এ দেশে যাদের ভিটামিন ডির স্বল্পতা আছে, তাদের প্রতিদিন ৪০০ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে বলা হয়েছে। ৫৫ বছরের ওপরে যাঁদের স্বল্পতা আছে, তাঁদের ৬০০ থেকে ৮০০ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে বলা হয়েছে।

আশঙ্কার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে ষাটোর্ধ্ব মানুষের রক্তে ভিটামিন ডির পরিমাণ কত, তা জানার জন্য কোনো স্টাডি আমার চোখে পড়েনি। উপরন্তু, গত বছর বারডেমে প্রায় ৮০০ ও পুরুষ ও নারীর ওপর পরিচালিত এক নিরীক্ষায় দেখা যায়, ৮৬ শতাংশ মানুষের রক্তে ভিটামিন ডির পরিমাণ গৃহীত মাত্রার চেয়ে কম। করোনার এই মহামারির সময় বয়স্ক নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের ডাক্তার–বিজ্ঞানীদের এই ব্যাপারে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

(লেখক: আরমান রহমান, এমবিবিএস, এমপিএইচ, পিএইচডি, ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড থেকে)

57
করোনায় চিকিৎসায় যেসব ঘরোয়া পদ্ধতির কথা বললেন ড. বিজন কুমার শীল

 প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে কিছু পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের র‌্যাপিড ডট ব্লট কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান বিজ্ঞানী। ছাগলের মড়ক ঠেকানোর জন্য পিপিআর ভ্যাকসিন, ডেঙ্গুর কুইক টেস্ট পদ্ধতি, সার্স ভাইরাসের কুইক টেস্ট পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছিলেন ড. বিজন কুমার শীল। সার্স ভাইরাস প্রতিরোধে সিঙ্গাপুর সরকারের একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন। করোনা থেকে বাঁচতে তিনি কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অনুসরণের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো: 

প্রথমত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি বিধান মেনে চলতে হবে। ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার পেয়ারা, লেবু, আমলকি অথবা ভিটামিন ‘সি’ ট্যাবলেট খেতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিদিন রাতে একটি জিঙ্ক ট্যাবলেট খাবেন। ভিটামিন ‘সি’ এবং জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সতেজ, সজীব রাখে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
 
আক্রান্ত হলে গলাব্যথা, শুকনো কফ ছাড়া কাশি কাশি হবে কিন্তু কফ বের হবে না। এটা করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রথম লক্ষণ। অন্য ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্তদের হাঁচি, সর্দি ও নাক দিয়ে পানি পড়ে। তবে করোনা শুকনো কাশি দিয়ে শুরু হয়।
এক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে হালকা রং চা বারবার পান করা, গরম পানি দিয়ে গারগেল করা। এর চেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে আদা, লবঙ্গ ও একটা গোলমরিচ পানি মিশিয়ে গরম করে তার সঙ্গে সামান্য মধু বা চিনি দিয়ে চায়ের সঙ্গে পান করা কিংবা অথবা গারগেল করা।
এর ফলে গলায় যে ভাইরাসগুলো থাকে সেগুলো মারা যায়। এছাড়াও গলায় গরম লাগার ফলে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। রং চায়ের মধ্যে এন্টিসেপ্টিক গুনাগুণও রয়েছে। বারবার শুকনো কাশির ফলে গলার টিস্যু ফেটে যেতে পারে। চা এই ইনফেকশন রোধ করে।

জ্বর হোক বা না হোক এই মুহূর্তে সবার উচিত সকালে ঘুম থেকে উঠে, দুপুরে এবং সন্ধ্যায় গারগেল করা। এর ফলে শরীরে যদি ভাইরাস ঢোকেও তাহলে সেটা আর বাড়তে পারবে না। এটা শুধু করোনা না আরও অনেক ইনফেকশনকে রোধ করতে পারে। কেউ যদি এটা প্রতিদিন করতে পারে, তাহলে তার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

পেটের সমস্যা দেখা দিলে নিমপাতা বেটে সবুজ রসের সঙ্গে এক চামচ হলুদের গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে খেলে তার পেটের ইনফেকশন কমে যাবে। এ সময় এমন রোগীকে এন্টিবায়োটিক খাওয়ালে অনেক সমস্যা হয়।

করোনা শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই আক্রমণ করে না। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে শরীরের মধ্যে বাড়তে থাকে। বাইরে যারা এখনো কাজ করতে বাধ্য তারা বাসায় ফিরে গরম পানি পান করতে পারেন। হালকা রং চা পান করা যেতে পারে। নাক ও মুখ দিয়ে গরম পানির ভাপ নেওয়া, পানির মধ্যে এক ফোঁটা মেন্থল দিলে আরও ভালো হয়।

58
Internet / The reason Zoom calls drain your energy
« on: April 22, 2020, 07:33:21 PM »
The reason Zoom calls drain your energy

 Video chat is helping us stay employed and connected. But what makes it so tiring - and how can we reduce ‘Zoom fatigue’?


Your screen freezes. There’s a weird echo. A dozen heads stare at you. There are the work huddles, the one-on-one meetings and then, once you’re done for the day, the hangouts with friends and family.

Since the Covid-19 pandemic hit, we’re on video calls more than ever before – and many are finding it exhausting.

But what, exactly, is tiring us out? BBC Worklife spoke to Gianpiero Petriglieri, an associate professor at Insead, who explores sustainable learning and development in the workplace, and Marissa Shuffler, an associate professor at Clemson University, who studies workplace wellbeing and teamwork effectiveness, to hear their views.

Is video chat harder? What’s different compared to face-to-face communication?

Being on a video call requires more focus than a face-to-face chat, says Petriglieri. Video chats mean we need to work harder to process non-verbal cues like facial expressions, the tone and pitch of the voice, and body language; paying more attention to these consumes a lot of energy. “Our minds are together when our bodies feel we're not. That dissonance, which causes people to have conflicting feelings, is exhausting. You cannot relax into the conversation naturally,” he says.

    Delays on phone or conferencing systems of 1.2 seconds made people perceive the responder as less friendly or focused

Silence is another challenge, he adds. “Silence creates a natural rhythm in a real-life conversation. However, when it happens in a video call, you became anxious about the technology.” It also makes people uncomfortable. One 2014 study by German academics showed that delays on phone or conferencing systems shaped our views of people negatively: even delays of 1.2 seconds made people perceive the responder as less friendly or focused.

An added factor, says Shuffler, is that if we are physically on camera, we are very aware of being watched. “When you're on a video conference, you know everybody's looking at you; you are on stage, so there comes the social pressure and feeling like you need to perform. Being performative is nerve-wracking and more stressful.” It’s also very hard for people not to look at their own face if they can see it on screen, or not to be conscious of how they behave in front of the camera.

How are the current circumstances contributing?

Yet if video chats come with extra stressors, our Zoom fatigue can’t be attributed solely to that. Our current circumstances – whether lockdown, quarantine, working from home or otherwise – are also feeding in.

Petriglieri believes that fact we feel forced into these calls may be a contributory factor. “The video call is our reminder of the people we have lost temporarily. It is the distress that every time you see someone online, such as your colleagues, that reminds you we should really be in the workplace together,” he says. “What I'm finding is, we’re all exhausted; It doesn't matter whether they are introverts or extroverts. We are experiencing the same disruption of the familiar context during the pandemic.”

Then there’s the fact that aspects of our lives that used to be separate – work, friends, family – are all now happening in the same space. The self-complexity theory posits that individuals have multiple aspects – context-dependent social roles, relationships, activities and goals – and we find the variety healthy, says Petriglieri. When these aspects are reduced, we become more vulnerable to negative feelings.

    Imagine if you go to a bar, and in the same bar you talk with your professors, meet your parents or date someone, isn’t it weird? That’s what we’re doing now – Gianpiero Petriglieri

“Most of our social roles happen in different places, but now the context has collapsed,” says Petriglieri. “Imagine if you go to a bar, and in the same bar you talk with your professors, meet your parents or date someone, isn’t it weird? That's what we're doing now… We are confined in our own space, in the context of a very anxiety-provoking crisis, and our only space for interaction is a computer window.”

Shuffler says a lack of downtime after we’ve fulfilled work and family commitments may be another factor in our tiredness, while some of us may be putting higher expectations on ourselves due to worries over the economy, furloughs and job losses. “There's also that heightened sense of ‘I need to be performing at my top level in a situation’… Some of us are kind of over-performing to secure our jobs.”

But when I’m Zooming my friends, for example, shouldn’t that relax me?

Lots of us are doing big group chats for the first time, whether it’s cooking and eating a virtual Easter dinner, attending a university catch-up or holding a birthday party for a friend. If the call is meant to be fun, why might it feel tiring?

Part of it, says Shuffler, is whether you’re joining in because you want to or because you feel you ought to – like a virtual happy hour with colleagues from work. If you see it as an obligation, that means more time that you’re ‘on’ as opposed to getting a break. A proper chat with friends will feel more social and there will be less ‘Zoom fatigue’ from conversations where you’ve had a chance to be yourself.

    It doesn't matter whether you call it a virtual happy hour, it's a meeting, because mostly we are used to using these tools for work – Gianpiero Petriglieri

Big group calls can feel particularly performative, Petriglieri warns. People like watching television because you can allow your mind to wander – but a large video call “is like you're watching television and television is watching you”. Large group chats can also feel depersonalising, he adds, because your power as an individual is diminished. And despite the branding, it may not feel like leisure time. “It doesn't matter whether you call it a virtual happy hour, it's a meeting, because mostly we are used to using these tools for work.”

So how can we alleviate Zoom fatigue?

Both experts suggest limiting video calls to those that are necessary. Turning on the camera should be optional and in general there should be more understanding that cameras do not always have to be on throughout each meeting. Having your screen off to the side, instead of straight ahead, could also help your concentration, particularly in group meetings, says Petriglieri. It makes you feel like you’re in an adjoining room, so may be less tiring.

In some cases it’s worth considering if video chats are really the most efficient option. When it comes to work, Shuffler suggests shared files with clear notes can be a better option that avoids information overload. She also suggests taking time during meetings to catch up before diving into business. “Spend some time to actually check into people's wellbeing,” she urges. “It’s a way to reconnect us with the world, and to maintain trust and reduce fatigue and concern.”

Building transition periods in between video meetings can also help refresh us – try stretching, having a drink or doing a bit of exercise, our experts say. Boundaries and transitions are important; we need to create buffers which allow us to put one identity aside and then go to another as we move between work and private personas.

And maybe, says Petriglieri, if you want to reach out, go old-school. “Write a letter to someone instead of meeting them on Zoom. Tell them you really care about them.”



Source: BBC

59

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের সাফল্য
মানুষ ফিরে পাবে হারানো দৃষ্টিশক্তি

বয়স বাড়তে শুরু করলে চোখের দৃষ্টি কমতে শুরু করে। অনেক সময় মানুষ পুরোপুরি দৃষ্টিহীন হয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা ক্ষীণদৃষ্টি ও দৃষ্টিহীনদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছেন। তাঁরা এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন যাতে বয়সের সঙ্গে সৃষ্টি হওয়া ক্ষীণদৃষ্টি আবার পূর্ণ দৃষ্টি হিসেবে ফিরে পাওয়া সম্ভব। তাঁরা এ ক্ষেত্রে স্টেম সেল বা ভ্রূণ কোষের বিকল্প হিসেবে ত্বকের বিশেষ কোষ ব্যবহার করেছেন। তাই এতে নৈতিকতার কোনো প্রশ্ন উঠবে না। এ ছাড়া চোখ প্রতিস্থাপনের পদ্ধতিটি হবে সাশ্রয়ী।

ওয়ার্ল্ড অ্যাট লার্জ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকেরা ইতিমধ্যে ইঁদুরের ওপর তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতি প্রয়োগ করে সফলও হয়েছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছ থেকে পদ্ধতিটি মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। গবেষকদের আশা, আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে লাখো মানুষ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন। বিষয়টি তাদের জন্য রোমাঞ্চকর হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের সেন্টার ফর রেটিনা ইনোভেশনের গবেষকেরা ম্যাকুলার ডিজেনারেশন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে যুগান্তকারী এ আবিষ্কার করেছেন। তাঁরা বলছেন, বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় (ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বা এমডি) সমস্যায় ভোগেন লাখো মানুষ। চোখের ম্যাকুলার ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাওয়াকে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বলা হয়। ম্যাকুলা হলো চোখের পেছনে রেটিনার একটা ছোট্ট জায়গা যা দিয়ে আমরা সূক্ষ্ম জিনিসও পরিষ্কার দেখতে পাই। তাঁদের দাবি, তারা যে পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেছেন তা ক্ষীণ দৃষ্টি সমস্যা দূর করে চক্ষুবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ সাময়িকীতে। তাতে গবেষকেরা বলেছেন, তাঁরা স্টেম সেল বা ভ্রূণ কোষের বিকল্প হিসেবে ত্বকের ফাইব্রোব্লাস্ট কোষ থেকে ফার্মাকোলজিক্যাল-রূপান্তর প্রক্রিয়ায় প্রতিস্থাপনযোগ্য ফোটোরিসেপ্টর তৈরি করেছেন। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে নৈতিক ও আইনি বিধিনিষেধ নেই। এ ছাড়া প্রক্রিয়াটি দ্রুত এবং সাশ্রয়ী। তাদের ম্যাকুলার ডিজেনারেশন গবেষণাটি সামগ্রিকভাবে বয়স বাড়ানোর বিষয়টি বোঝার ক্ষেত্রে দারুণ ফলপ্রদ হয়েছে।

গবেষণা নিবন্ধের লেখক সাই চাভালা বলেছেন, জীবনযাপনের প্রক্রিয়ায় সময়ের সঙ্গে ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যেমন কোনো সিডিতে যদি দাগ পড়ে তবে তা লেজারের জন্য তথ্য পড়া কঠিন করে দেয়, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএর ক্ষেত্রে আরএনএ একই সমস্যায় পড়ে। ফটোরিসেপ্টর হলো চোখের নিউরন যা আলোর প্রতিক্রিয়াতে ভিজ্যুয়াল সার্কিটকে ঘুরিয়ে দেয় যা আমাদের দৃষ্টি রাখতে সক্ষম করে। এ ফটোরিসেপ্টর নষ্ট হলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বা চোখের অন্য রোগ হয় যাতে অপরিবর্তনীয় অন্ধত্ব সৃষ্টি করে। নতুন গবেষণায় ফাইব্রোব্লাস্টস কোষকে রাসায়নিকভাবে কাজে লাগিয়ে ফোটোরিসেপ্টারের মতো কোষ তৈরি করা গেছে। এ কোষ ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে দৃষ্টি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

গবেষক চাভালা বলেন, স্টেম সেল বা ভ্রূণ কোষভিত্তিক কৌশলগুলো অত্যন্ত জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। তাঁরা যেটা উদ্ভাবন করেছেন সেটি যুগান্তকারী, কারণ এতে খুব কম সময় লাগে। তাদের রূপান্তরিত ফটোরিসেপ্টর ১৪টি অন্ধ ইঁদুরের শরীরে প্রতিস্থাপন করে দৃষ্টি ফেরানোর পরীক্ষা করা হয়। এতে আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন তাঁরা।

গবেষক চাভালা আরও বলেন, তাঁদের এ আবিষ্কার ভবিষ্যতে চোখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলে আশাবাদী তিনি।


60
Coronavirus: Plasma treatment to be trialled

The UK is gearing up to use the blood of coronavirus survivors to treat hospital patients ill with the disease.

NHS Blood and Transplant is asking some people who recovered from Covid-19 to donate blood so they can potentially assess the therapy in trials.

The hope is that the antibodies they have built up will help to clear the virus in others.

The US has already started a major project to study this, involving more than 1,500 hospitals.
When a person has Covid-19, their immune system responds by creating antibodies, which attack the virus.

Over time these build up and can be found in the plasma, the liquid portion of the blood.

NHSBT is now approaching patients who have recovered from Covid-19 to see if plasma from them can be given to people who are currently ill with the virus.

A statement from the organisation said: "We envisage that this will be initially used in trials as a possible treatment for Covid-19.

"If fully approved, the trials will investigate whether convalescent plasma transfusions could improve a Covid-19 patient's speed of recovery and chances of survival.

"All clinical trials have to follow a rigorous approval process to protect patients and to ensure robust results are generated. We are working closely with the government and all relevant bodies to move through the approvals process as quickly as possible."

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 12