Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - najnin

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 9
46
The other Figures are given below:

47
How to Design Digital Circuit and create output waveform using Quartus II (by using Schemetic Diagram)?

Prepared By: Md. Naimul Islam during the laboratory project of Digital Circuit II.

Supervised By: Mst. Najnin Sultana


1.open quartus ll launching icon ,then u will see a window like this      'Fig. 1'                                                                           
                                                                                                                 
2.select    ‘ new project wizard’

3. then u see another window named ‘introduction’. Then click next. 'Fig 2'
 
3. then u have to select your directory when u see this window like this 'Fig 3'

4.name your project like this type  name may anything ,depend on your choice 'Fig 4'

5. click ‘finish’  'Fig 5'
After that u will see a creating directory like this 
Click ‘yes’

6. now you see a name which you already selected by you  which on your left side on the window like this 'Fig 6'

7. click ‘file’ – ‘new’ . a little window will appear like this  'Fig 7'
Select ‘block diagram ‘

8. then a window like circuit board will appear like this 'Fig 8'
Select symbol of AND gate , 

'Fig 9'
This window will appear and double click the directory-primitives-logic from libraries then u see this    'Fig 10'

You will take your logic gates from here, and also take the input and output pin which also given below in ‘logic’ 'Fig 11'
Pins are like this   

You should rename the all inputs and output pins as a,b,c,d and y from there
How : first 1 click on the pin name, then double click there, and write .connect the pin and gates using ur mouse ,just click and hold from head to the gates tail like this 'Fig 12'
 
9. go to ‘assignments’ –click device and wait for this window 'Fig 13'

Need to select Device family type ‘MAX II’
 
Click one of them like 5M50ZM64C5 1.8v and click ok

10. save ur project 'Fig 14'

11.  go to processing – start compilation 'Fig 15'
And wait for this window

Its take few times, so be patient .
See!! This show successful
So your circuit connection is correct, if u see any error, then you should recheck ur connection again and compile again

12. select new – university program vwf -ok 'Fig 16'


13. 'Fig 17'
 
You will get this window

14. go to edit –set  end time- select 16 us

15. go to edit- grid size – select 1us

16. then u will see this 'Fig 18'

 
17. edit –insert –insert node or bus 'Fig 19'
 
Click node finder and you will see a window like this 'Fig 20'

 
If u don’t see any name on here, just click list


18. select all the nodes to your right side like this 'Fig 21'
 
Press ok

19. now u see 5 waveform but all are like same ,

20. edit-value-overwrite clock and for a select the period 2 'Fig 22'
For b=4
For c=8
For d=16

 
21. you will see the change 'Fig 23'
 

Save ur project as more as u can

22. click simulation-run simulation   then see the the final result 'Fig 24'

U r done!
 
 Thanks for seeing the procedure   :)

48
ধন্যবাদ জহির।

49
আপনাদেরকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

50
Thank you Arefin Sir, Habib Sir and Nusrat madam to read it and inspire me to continue.

51
Red Hat Academy / Re: Create your own proxy in 10 minutes
« on: April 30, 2014, 11:06:34 AM »
I need to try it.

52
টেলিযোগাযোগের আরো কিছু প্রাথমিক বিষয় জানার পর আমরা চলে যাব অত্যাধুনিক টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিগুলো সম্বন্ধে অল্প বিস্তর জানতে। আরো জানবো এই টেলিযগাযোগের বিস্ময়কর সব আবিষ্কারের পিছনে কোন কোন সংস্থাগুলোর অবদান আছে।

অত্যাধুনিক টেলিযোগাযোগের বিষয়টিকে বলে ‘মোবাইল কম্পিউটিং’। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটি মূলত তারহীন যোগাযোগের উন্নততর সংস্করণ। এর আওতায় পড়বে স্যাটেলাইট যোগাযোগ, মোবাইল প্রযুক্তির ২য়, ৩য়, ৪র্থ জেনারেশন, বিভিন্ন ট্রান্সমিশান মাধ্যমের প্রবেশাধিকার/ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, ব্রডকাস্ট সিস্টেম, তারহীন ল্যান, মোবাইল নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ধাপ, মবিলিটির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্যবস্থা। অর্থগোনাল মাল্টিপ্লেক্সিং(OFDM) , একাধিক এন্টেনা সিস্টেম (MIMO), সেলফ ওর্গানাইজিং নেটওয়ার্ক (SON), কগনিটিভ রেডিও (CR) এবং সফটওয়ার রেডিও (SR).

এছাড়াও রয়েছে একটু পুরোনো হলেও (প্রায় ৩০ বছরের) এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তার যোগাযোগ মাধ্যম অপটিক্যাল ফাইবার যোগাযোগ ও সাবমেরিন ক্যাবল।

থাকবে ডিজিটাল ভয়েস যোগাযোগ, সুইচিং এবং আইপিনির্ভর ভয়েস যোগাযোগ (ভিওআইপি)।

প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো, কিন্তু এখনো অনেক কার্যকরী, অতিপরিচিত রাডার সিস্টেম। গত একমাসে মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমান খুঁজে খুঁজে হয়রান কর্তৃপক্ষের অন্যতম নির্ভরযোগ্য তথ্যদাতা টেলিযন্ত্র!

এছাড়াও থাকবে বিভিন্ন ধরণের এনালগ এবং ডিজিটাল মডুলেশান, মাল্টিপ্লেক্সিং এবং কোডিং সিস্টেম।

ঐতিহ্য মানেই নিজস্বতা, আত্মপরিচয়! তাই আমরা পুরোনো আবিষ্কারগুলো যার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, সেগুলো সম্বন্ধেও জেনে নিব সবার শেষে।

53
গ্রাহাম বেলের টেলিফোন আবিষ্কারের পর যে কয়জন ফোন ব্যবহার করতেন তারা সবাই সবার সাথে সরাসরি তার দিয়ে কানেকটেড ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রয়োজন পড়লো সুইচিং-এর। ১৮৯৭ সালে এ।বি। স্ট্রাউজার প্রথম ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সুইচ আবিষ্কার করলেন অনেক বেশি ব্যবহারীকে তুলনামূলকভাবে কম খরচে এবং কম জটিলতায় টেলিফোন কানেকশান দিতে। আমেরিকার মিসৌরিতে কানসাস নগরীতে প্রথম এই সুইচ স্থাপন করা হয়। এই সুইচের বিস্তারিত বিবরণ আমরা পরে জানাবো।

এরপর ১৯০৪-০৬ সালে বিজ্ঞানী ফ্লেমিং এবং লি ডি ফরেস্ট এর হাত ধরে অর্ধপরিবাহী যন্ত্র ভ্যাকুয়াম টিউব ডায়োড এবং ট্রায়োড আবিষ্কারের পর ইলেকট্রনিক সুইচের আগমন ঘটলো। এরই সাথে তারবিহীন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থারও গোড়াপত্তন হলো।

টেলিযোগাযোগের মূল কথা হলো আমাদের কথাকে বা চিঠিকে অনেক দূর পৌঁছে দেয়া যেখানে আমাদের হেঁটে পৌঁছাতে গেলে অনেক সময় লেগে যেত। এদিকে আমাদের শব্দেরও কম্পাংক কম, তাই শুধু তার পক্ষে অনেক দূর যাওয়া সম্ভব হয় না।

এজন্যে টেলিযোগাযোগের মূল যে বিষয়টি সেটি হলো আমাদের কথাগুলোকে বা লেখা চিঠিটাকে (message) প্রথম প্রচলিত মাধ্যম থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল তরঙ্গ-এ রূপান্তর করা হয়। তারপর তাকে আরেকটি উচ্চতর কম্পাংকের (carrier) সাথে মিলিয়ে ট্রান্সমিটার দিয়ে দূরবর্তী স্থানে পাঠানো হয়। এ পদ্ধতিকে বলে ‘মডুলেশান’ (modulation)। তরঙ্গটি যে পথ দিয়ে ভ্রমণ করে তাকে বলে ‘চ্যানেল’ (channel)। এটি তারমাধ্যমও হতে পারে, আবার তারহীন মাধ্যমও হতে পারে। এরপর রিসিভার অ্যান্টেনার মাধ্যমে উচ্চ তরঙ্গটি গ্রহণ করে তাকে ‘ডিমডুলেশান’ (demodulation) এর মাধ্যমে বাদ দেয়া হয় এবং মূল ম্যাসেজ তরঙ্গ বা আমাদের কথাকে বা পাঠানো চিঠিটিকে পুনোরুদ্ধার করা হয়। এছাড়াও পথ দিয়ে যাবার সময়ে চ্যানেলের ভিতরে নানারকম অনাকাংখিত ব্যাপার ঘটতে পারে, বিভিন্ন রকম অপ্রত্যাশিত তরঙ্গ (noise) যুক্ত হয়ে যেতে পারে আমাদের মূল ম্যাসেজের সাথে, এতে করে আমাদের ম্যাসেজ তরঙ্গটির তথ্যের পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে, বিভিন্ন রকম ভুল হতে পারে, সেগুলোকে দূর করতে ট্রান্সমিটার পার্শ্বে আগে থেকে এক ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করা হয়, যাকে বলে ‘এনকোডিং’ (Encoding)। এটা মডুলেশানের আগেই করা হয় এবং মূলত ডিজিটাল টেলিযোগাযোগে এ কাজটি করা হয়। এরই বিপরীত কাজটি করা হয় রিসিভার প্রান্তে, ‘ডিকোডিং’ (Decoding)।

আপনারা, এই টেলিযোগাযোগে মূল বিষয়টিকে তুলনা করতে পারেন আমাদের মনুষ্য যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে। আমরা যদি দূরবর্তী কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে যেতে চাই, পায়ে হেঁটে গেলে অনেকদিন সময় লাগে (গতি কম বিধায়) এবং আমরা খুব অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পারি (শক্তি কম বিধায়)। এখন যদি আমরা সেই জায়গায় রিকশা বা প্রাইভেট কারে বা বাসে বা জাহাজে বা প্লেনে যাই, তাহলে আমরা পরিবহন অনুযায়ী অনেক দ্রুত পৌঁছাতে পারবো, সেগুলোর গতি অবশ্যই বেশি হবে, সেসব যানবাহনের জন্য জ্বালানীর প্রয়োজন পড়বে, যেটি যত দ্রুতগতিসম্পন্ন যান, তার তত বেশি জ্বালানীর প্রয়োজন, এবং সেখানে খরচও বেশি। এই বাস্তবজীবনের উদাহরণের সাথে মেলাতে গেলে আমরা হলাম ‘ম্যাসেজ’, যানবাহন হলো ‘উচ্চ তরঙ্গ’, আমাদের যানবাহনে আরোহণ করাটা হলো ‘মডুলেশান’, আবার গন্তব্যে পৌঁছে যান থেকে নেমে যাওয়া হলো ‘ডিমডুলেশান’, আমাদের পাসপোর্ট বা টিকেট হলো এক ধরণের ‘এনকোডিং’ বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা।



54
প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্য একটি ছোট্ট ধাঁধা! বলুন তো, 'হ্যালো!’ শব্দটা এসেছে কোথা থেকে?

বিজ্ঞানী গ্রাহাম বেল ১৮৭৫ সালে প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন যার মাধ্যমে তিনি প্রথম শব্দকে ইলেকট্রিক্যাল তরঙ্গের মাধ্যমে দূরে প্রেরণ করতে সক্ষম হন। এর আগে মোর্স কোড ছিল শুধু প্রতীক, ডট এবং ড্যাস। গ্রাহাম বেল শব্দ এবং সুরের টোন এবং হারমোনিকস সম্বন্ধে বেশ গভীর জ্ঞান রাখতেন। তাই তার পক্ষে সহজ হয়েছে শব্দকে (acoustic signal) ইলেকট্রিক্যাল তরঙ্গে রূপান্তর করতে। এই আবিষ্কারে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন মি. ওয়াটসন।

টেলিফোনের মাধ্যমে প্রথম পাঠানো শব্দঃ টং (Twang)

আর প্রথম পাঠানো বাক্যঃ মিঃ ওয়াটসন, এদিকে আসো, আমি তোমাকে দেখতে চাই।

মজার তথ্য হলো গ্রাহাম বেলের প্রেমিকার নাম হলো ‘হ্যালো’! এটি আমি জেনেছি মিরপুর ১০ নম্বরে গণজাগরণের মঞ্চের এক বক্তার কাছ থেকে।

বেলের এই টেলিফোন আবিষ্কারের পেছনে অর্থায়ন করেছেন উনার হবু শ্বশুর, কারণ তিনি তখন ৩০ বছর ধরে চলতে থাকা টেলিগ্রাফের মনোপলি বিজনেস ভাংতে চেয়েছেন।

আমেরিকার বিখ্যাত ‘বেল টেলিফোন ল্যাবরেটরী’ এই অবিস্মরণীয় বিজ্ঞানীর নামেই, যেখানে অনেক অনেক বিখ্যাত আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে বিস্ময়কর ‘অপটিক্যাল ফাইবার’। আমাদের প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ডঃ জাফর ইকবাল স্যার এই ল্যাবেই কাজ করতেন, অপটিক্যাল ফাইবারের উপর উনারও কিছু প্যাটেন্ট আছে যতদূর জানি।

প্রথমেই আসা যাক আবিষ্কারের ইতিহাসে,

১। ১৮৩৭ সালে প্রথম টেলিগ্রাফ আবিষ্কারের মাধ্যমেই শুরু হয় ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগের যাত্রা। আর তখন থেকেই পায়রারা অবসরে যেতে লাগলো। আর পায়রাদের অবসরে পাঠানোর মতো বৃহৎ কর্মটি সাধন করলেন বিজ্ঞানী স্যামুয়েল মর্স।

২। বিজ্ঞানী মর্স ১৮৪৪ সালে প্রথম টেলিগ্রাফ পাঠাতে সক্ষম হন। সেটি তিনি পাঠিয়েছিলেন ওয়াশিংটন ডিসি এবং বাল্টিমোরের মধ্যে। তাঁকে সম্মান জানিয়ে সেই ইলেক্ট্রনিক কোডের নাম রাখা হলো ‘মর্স কোড’।

৩। ইলেকট্রনিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে খটমটে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি সূত্র আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী ম্যাক্সওয়েল এর কয়েক বছর পরেই, ১৮৬৪ সালে। আর তিনিই প্রথম অদৃশ্য রেডিও তরঙ্গ এর ধারণা পোষণ করেছিলেন।

৪। মাত্র তের বছর পরেই ১৮৯৪ সালে বিজ্ঞানী হার্জ পরীক্ষামূলকভাবে রেডিও তরঙ্গ প্রমাণ করেই ফেললেন। আর তারই নামানুসারে ফ্রিকুয়েন্সী বা কম্পাংকের একক হলো হার্জ।

55
আমার এই লেখাটি ব্রেকিং নিউজ ডট কম-এ ছাপা হয়েছে, লেখাটি এখানেও শেয়ার করলাম,

http://bit.ly/1iW82Gw

জাতি হিসেবে অনেক অনেক অনুগত, পরিশ্রমী এবং দেশপ্রেমিক হলো কোরিয়ানরা। যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়া আর আমেরিকার টানাহেঁচড়ায় দেশটি চিরে দুই ভাগ করা হয়েছে। একপক্ষ সমাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়ে রাশিয়ার প্রভাবে, অন্যপক্ষ আমেরিকার প্রভাবে পুঁজিবাদী গণতন্ত্রের। এখনো উত্তর কোরিয়া হুমকি-ধমকি দেয়, শাসায় দক্ষিণ কোরিয়াকে একীভূত হয়ে যেতে। জবাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারপক্ষের বা বিরোধীপক্ষের বড় বড় মানুষেরা অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলেন, আমরা তোমাদের সমাজতন্ত্রের সাথে যাব না। কিন্তু আচরণে উত্তর কোরিয়া বড় ভাইস্বরূপ, দক্ষিণ কোরিয়া ছোট ভাই। তাদের কথার সুর নমনীয়, কিন্তু তারা সিদ্ধান্তে অটল। আমেরিকা তাদের গড়ে দিয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। সেই সাথে করেছে খ্রিস্টধর্মের বিস্তার। হাজার হাজার কোটি টাকা তারা খরচ করে দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়নে এবং ধর্মপ্রচারে। সেদেশে পুরুষেরা কাজ করে কারখানার মতো ভারী শিল্পে বা অন্যান্য জটিল ও ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে, নারীরা বেশির ভাগ কাজ করে মূলত অফিসে ডেস্কটপ জবে, দোকানে, শপিং মলে, স্কুলে, মিডিয়ায়।

মিডিয়ায় পাকিস্তানের পরিচয় হলো- সেখানে বোমা পড়ে বেশি, তালেবানরাই মিডিয়ার শিরোনামে। অনেকটা আমাদের দেশের পত্রিকার মতো, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বোমা ফুটলেই শিরোনাম হয়, লেখাপড়া-গবেষণার বিষয়গুলো শিরোনামে আসে না। আজকাল মাদ্রাসাগুলোও একই মিডিয়া আচরণের শিকার। মালালার মতো নারীরা মিডিয়ার ফোকাসে, অবশ্য হিনা রাব্বানীও। কিন্তু পাকিস্তানের নারীরা আমাদেরও আগে সংসদে স্পিকার হয়েছে, সেই ১৯৫৩ সালেই ফাতেমা জিন্নাহ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। স্বৈরশাসক হিসেবে আইয়ুবকে ভোট দেয়ার চেয়ে নারীনেত্রীকে তখন ইসলামী দলগুলোও ইজতিহাদের সহায়তায় সমর্থন জানিয়েছিল। এই তালেবান যন্ত্রণায় অস্থির দেশে বেনজীরও অনেকদিনই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, সরকারের উচ্চপদস্থ নারী কর্মকর্তারা শিরোনাম হন খুব কমই, শিরোনাম হয় ‘মালালা’।

২০১৩ সালে পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতেই সবচেয়ে বেশি বোমা ফুটেছে। কিন্তু মিডিয়ার শিরোনামে সেটি নেই, আছে ভারতের প্রচন্ড দেশপ্রেম, আমেরিকার সাথে ইগোর লড়াই। আছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সংবাদ, সাবমেরিনের খবর, কাশ্মীরের খবর আসে, কিন্তু সেখানে ভারতীয় সেনারাই বীর, কাশ্মীরী স্বাধীনতাকামীরা জঙ্গী। তাদের দেশেও নারী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাদের দেশেও অনেক নারী যৌতুকের বলি হয়, নারীভ্রূণ হত্যা হয় অনেক অনেক বেশি। আছে টাকার বিনিময়ে গর্ভধারণ করার (সারোগেট মাদার) মতো অমানবিক নারীর মানসিক কষ্টের মতো ঘটনা। কিন্তু সেখানে কোন জীবিত ‘মালালা’ শিরোনাম হয় না। হ্যাঁ, গণধর্ষণের শিকার মৃত মেডিকেল ছাত্রী শিরোনাম হয়। তার জন্যে সারাদেশ প্রতিবাদমুখর হয়, অপরাধীদের শাস্তিও হয়।

কিন্তু খুব ভাল করে লক্ষ্য করবেন, কোন যৌতুকের শিকার, কোন ভ্রূণহত্যার নির্যাতনের শিকার জীবিত নারী ‘মালালা’ সংবাদ শিরোনাম হয় না। একসময়ে ভারতে নারীদের জীবন্ত আগুনে পুড়তেও হতো। সেখানে নিরবে, মাথানিচু করে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সীতার মতো সম্ভ্রান্ত পরিবারের নারীকে পাতালে চলে গিয়ে সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু কোন জীবিত সীতা ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজে দাওয়াত পান না। কেন বলুন তো? আর আমরা বাংলাদেশে? আমরা নারী কেমন আছি? কোথায় আছি? খুব কি হতাশার চিত্র? নাকি আশান্বিত হবারও কিছু আছে?

কোরিয়ানদের মতো জাতি হিসেবে আমরা অনুগত, বিনয়ী খুব বেশি না হলেও দ্বিধাবিভক্ত মননে। বিদেশি পরাশক্তির প্রভাবে আমরাও বিভক্ত হয়েছি, সেই ৭১ এ আমরাই আমাদের মেরেছি। আমাদের ভিন্নমতের ভাইদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে, পুড়িয়ে ছাড়খাড় করেছি, হত্যা করেছি, ধর্ষণ করেছি, আজো আমরা বিদেশিদের প্ররোচনায় নিজেদের হত্যা করছি, ভিন্নমতের হলেই করছি। আগুনেও জ্বালাচ্ছি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, গণধর্ষণের মতো ঘটনা আমাদের দেশেও ঘটছে। ক্ষমতার লোভ আমাদের দেখানো হচ্ছে, দেখানো হচ্ছে বিত্তের লোভ, আমরা লোভের ফাঁদে পড়ছি। হত্যা করছি আমাদের দেশের মহান নেতাদের। বীরাঙ্গনা মাতাদের আমরা এখনো মুক্তিযোদ্ধা ভাবতে শিখিনি। তারা এখনো পর্যন্ত মোটাদাগে আমাদের কাছে অচ্ছুৎ। ঘটছে এসিড নিক্ষেপের মতো ঘটনা, যৌতুকের যন্ত্রণা থেকেও এখনো সেভাবে মুক্তি মেলেনি।

তবুও আশার কথা আমরা সংসদের স্পিকার পর্যন্ত গিয়েছি, এমপি হচ্ছি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছি, বৃটিশ পার্লামেন্টের এমপি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে আমাদের ক্ষমতায়ন। গার্মেন্টস শিল্পের মাধ্যমে ঘটে গেছে নিরব বিপ্লব। কৃষিতেও নারীদের অংশগ্রহণ সেই আদিকাল থেকে অনবদ্য। আছেন প্রচুর নারী স্কুল শিক্ষিকা, সেখানেও মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণির নারীদের নিরব বিপ্লব ঘটেছে। উদ্যোক্তা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ ঘটছে উচ্চবিত্ত নারীদের মাঝে, যদিও এখনো সেটি ততটা বিপ্লবের পর্যায়ে যায়নি। আমরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার প্রধান পর্যন্ত পৌঁছেছি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেট খেলছি, এভারেস্ট জয় করেছি, ধীরে ধীরে দীপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে বাংলার নারী কাফেলা।

লেখক: প্রভাষক ও কলামিস্ট

ব্রেকিংনিউজ/এসইউএম

56
Making a Business Plan / Re: 4 TIPS FOR A SUCCESSFUL BUSINESSMAN
« on: March 10, 2014, 05:55:29 PM »
Wise Post!

57
Making a Business Plan / Re: Daffodil outsourcing limited
« on: March 10, 2014, 05:00:40 PM »
I think it's a very good idea!

58
Making a Business Plan / Re: 10 Steps to Starting a Business
« on: March 10, 2014, 04:58:19 PM »
It could be helpful for beginners. Thanks.

59
Teaching & Research Forum / My research publication
« on: March 03, 2014, 06:14:59 PM »
Here is my published paper on "Non-preemptive queueing-based performance analysis of dynamic spectrum access for vehicular communication system over TV White Space".

http://ieeexplore.ieee.org/xpl/articleDetails.jsp?tp=&arnumber=5949133&contentType=Conference+Publications&sortType%3Dasc_p_Sequence%26filter%3DAND%28p_IS_Number%3A5949125%29

60
Teaching & Research Forum / Re: My publication
« on: March 03, 2014, 06:12:06 PM »
congrates mam!

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 9