Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Fever => Topic started by: Mrs.Anjuara Khanom on September 15, 2018, 11:28:46 AM
-
বর্তমানে দৈনন্দিন কর্মব্যস্ত জীবনে ছুটির তেমন একটা অবকাশ নেই। তাই অনেকেই শরীরের তাপমাত্রা বাড়লেই বা একটু জ্বর জ্বর ভাব দেখলেই প্যারাসিটামল খেয়ে নেন। কারণ জ্বর গায়ে বাড়িতে শুয়ে থাকলে যে চলবে না।
চিকিৎসকদের মতে, শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট না ছাড়ালে জ্বরের ওষুধ না খাওয়াই ভাল। সাধারণ ভাইরাল ফিভার নিজে থেকেই সেরে যাওয়ার কথা। প্রয়োজন কেবল বিশ্রাম আর পর্যাপ্ত খাবার।
চিকিৎসকরা জানান, জ্বর আসলে নিজে কোনও অসুখ নয়, অসুখের উপসর্গ মাত্র। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এখনকার আবহাওয়ার কারণে জ্বরের প্রবণতা বাড়ে। আর শিশু বা বয়স্কদের মধ্যেই জ্বরের ঝুঁকি বেশি।
এ কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি যে, ডায়রিয়া হলে ওআরএস (ORS) দিতে হয় ডিহাইড্রেশনের জন্যে। কিন্তু এ কথা অনেকেই জানেন না যে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়লেও শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়। তাই জ্বর হলে লিকুইড ডায়েটের উপর জোর দিতে হবে। যেমন, গরম দুধ, ফলের রস, সরবত ইত্যাদি।
দৈনন্দিন কর্মব্যস্ত জীবনে ছুটির অভাবে অনেকেই প্যারাসিটামল খেয়ে স্কুলে, কলেজে বা অফিসে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু এই অভ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর। সাধারণ জ্বর হলে গা হাত পা ব্যথা কমাতে অনেকেই অ্যাসপিরিন বা এই জাতীয় ব্যথার ওষুধ (পেইনকিলার) খান। আর না জেনে বুঝে ওষুধ খেলেই বিপদ।
কারণ ডেঙ্গুর মতো মারাত্মক (হেমারেজিক ফিভার) প্রাণঘাতি জ্বরে ব্যথার ওষুধ খেলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক ক্ষতিকর। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই সব ওষুধ খেলে নাক-মুখ দিয়ে বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
তিন দিন হয়ে গেলেও যদি জ্বর না কমে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিন। কারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর (ভাইরাল ফিভার) হলে দু’-তিন দিনের মধ্যেই তা সেরে যায়।
বিডি প্রতিদিন/
-
Informative one............