Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Siddiqul Alam (Reza)

Pages: 1 [2] 3 4 ... 13
16
শ্বাসকষ্ট হলে চিত হয়ে শোয়ার বদলে চিকিৎসকরা বলছেন, উপুড় হয়ে শুতে। তাতে কষ্ট কমবে। ধারণাটা নতুন নয়। বস্তুত, শ্বাসকষ্টের উপশমের এই উপায় সাত বছর আগেই দিয়েছিলেন একদল ফরাসি গবেষক। করোনা-যুদ্ধে সেটাই এখন দাওয়াই হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি কোভিড-১৯ পজিটিভ চল্লিশ বছরের এক যুবকের প্রাণ বাঁচাতে তাকে উপুড় করিয়ে শোয়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন আমেরিকার নর্থওয়েল হেলথের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট কর্মকর্তা ডাক্তার মঙ্গলা নরসিংহম। যুবকটি কার্যত নিশ্বাসই নিতে পারছিলেন না। রক্তে দ্রæত কমছিল অক্সিজেনের মাত্রা। তখন তাকে উপুড় করিয়ে শোয়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন সিসিইউ বিশেষজ্ঞ। চিকিৎসা পরিভাষায় যা ‘প্রন পজিশন’ নামে পরিচিত। তাতেই প্রাণ বাঁচে যুবকটির। ভেন্টিলেটর ছাড়াই রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। কিন্তু কীভাবে?
চিকিৎসকদের ব্যাখ্যা, উপুড় অবস্থায় ফুসফুসের যেসব জায়গায় বাতাস পৌঁছতে পারে, চিত হয়ে শুলে তা হয় না। অর্থাৎ উপুড় হয়ে শয়ন করলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ে। কিন্তু চিত অবস্থায় শরীরের ওজন ফুসফুসের উপর চাপ সৃষ্টি করায় অক্সিজেন গ্রহণ ক্ষমতা কমে যায়। পালমোনারি রি-হ্যাবের এই মূলনীতিই প্রতিফলিত হয়েছিল সাত বছর আগে শ্বাসকষ্টের রোগীদের ওপর ফরাসি গবেষকদলের চালানো ‘ট্রায়াল’-এর ফলাফলে। রিপোর্টটি প্রকাশিত হয় ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন’-এ। রোগীদের দু’ভাগে ভাগ করে এক দলকে চিত করে ও অপর দলকে উপুড় করে শোয়ানো হয়। দেখা যায়, উপুড় করে শোয়ানোর জন্য রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা এক লাফে ৮৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৮ শতাংশ। শহরের চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের মতে, ভেন্টিলেটর-সহ পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। এই ‘প্রন পজিশন’ টেকনিক করোনা-যুদ্ধে গেমচেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে। তাদের বক্তব্য, কোভিড রোগীর শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে বা শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দুম করে ভেন্টিলেশনে না দেয়াই ভাল। বরং, আগে এই ‘প্রন পজিশনে’ রেখে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। এমনকি ভেন্টিলেশনে দেয়ার পরও রোগীর ওপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা উচিত।
জানা যাচ্ছে, শুধু আমেরিকা নয়, কোভিড-যুদ্ধে ব্রিটেনের চিকিৎসকদের কাছেও অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এই ‘প্রন পজিশন’। সঙ্কটজনক অনেক রোগীর শ্বাসকষ্ট লাঘব করছে এই টেকনিক।


https://www.dailyinqilab.com/article

17
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে দিশেহারা মানুষ। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো ও সংক্রমণ রোধ করতে মাস্ক পরার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশেও মাস্ক পরা নিয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। ফলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখন প্রায় সবাই মাস্ক ব্যবহার করছেন। কিন্তু প্রতিদিন নতুন নতুন মাস্ক পড়া সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। ফলে পরিষ্কার করে একই মাস্ক বারবার পরছেন অধিকাংশ মানুষ। তবে নির্দিষ্ট রীতি মেনে জীবাণুমুক্ত না করলে তা হতে পারে ভয়াবহ। উল্টো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন তারা।

যদি সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করেন তা ফেলে দিতে হয়। কিন্তু এন৯৫ ও সুতির কাপড়ের মাস্ক বা টেরিলিন কাপড়ের মাস্ক এমনকি ঘরোয়া উপায়ে বানানো মাস্ক পরলেও নির্দিষ্ট রীতি মেনে তাদের পরিষ্কার করতে হবে।

আসুন জেনে নেই কীভাবে মাস্ক পরিষ্কার করবেন :
১. মুখ থেকে মাস্ক খুলতে হবে দড়ি, ফিতে বা রাবার ব্যান্ডের অংশ ধরে। মাস্কে সরাসরি হাত দেওয়া যাবে না। এবার তা সাবান পানিতে ভিজিয়ে কেচে নিন। তাতে মাস্ক জীবাণুমুক্ত হবে।

২. ঝুলিয়ে রাখতে হবে মাস্কের ফিতে বা দড়ির অংশ ধরে। যাতে শুকানোর সময় মাস্কের মূল অংশে ধুলোবালি যেন না লাগে।

৩. এ ছাড়া পানি ফুটতে দিয়ে তাতে লবন দিন। এবার ওই লবন মেশানো গরম পানিতে মাস্ক রেখে ফুটিয়ে নিতে পারেন। তাতেও সহজেই জীবাণুমুক্ত হবে মাস্ক। তবে এ ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনে কড়া রোদে শুকাতে হবে মাস্ক।

৪. শুকানোর পর মাস্ক ৫-৭ মিনিট ধরে ইস্ত্রি করে নিলেই ফের ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যাবে।

৫. কোনোভাবেই ভেজা মাস্ক পরবেন না। এতে সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

18
কভিড-১৯ একটি রোগ। সমগ্র বিশ্ব আজ এই কভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত। পৃথিবী গতিশীল। সেই সঙ্গে গতিশীল মানুষ। কিন্তু আজ একটা ভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত কভিড-১৯ ১৮ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে প্রতিনিয়ত মৃত্যুহার বাড়ছে। আমেরিকা, কানাডা, ইতালি, স্পেনসহ প্রতিদিন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে অস্বাভাবিক হারে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুহার।

* কভিড-১৯ রোগটি SARS-CORONA-2 Virus এর মাধ্যমে হয়। এটি একটি zoonotic virus
* কভিড-১৯ এর উপসর্গ: জ্বর, শুকনো কাশি, গলা ব্যথা, খাবারে অরুচি, মাথাব্যথা, সামান্য সর্দি, শরীর ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া (কিছু কিছু ক্ষেত্রে)।
* কভিড-১৯ এর সংক্রমণ Respiratory Droplet অর্থাৎ হাঁচি/কাশির মাধ্যমে Person to Person Contact অর্থাৎ সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তি/নিকটবর্তী মানুষ।

* কভিড-১৯ এর ব্যাপারে করণীয় :
১. হাত সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ভালো করে ধুতে হবে/পরিষ্কার করতে হবে।
২. মুখ, নাক, চোখে হাত না দেওয়া।
৩. কোনো ধরনের জনসমাবেশে অংশগ্রহণ না করা।
৪. অন্ততপক্ষে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে সম্পূর্ণ আইসোলেটেড বা আলাদা থাকা।
৫. ১ থেকে ২ মিটার কিংবা ৫ থেকে ৬ ফিট একে অন্য থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে রাখা।
৬. ঘরে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কাজ ছাড়া ঘর থেকে না বের হওয়া জরুরি।
৭. মাস্ক শুধু অসুস্থ এবং যারা সরাসরি রোগীর সেবায় নিয়োজিত তারা ব্যবহার করবেন (যেমন- ডাক্তার, নার্স অন্যান্য সেবাকর্মী)।
* ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা: গবেষণা চলছে কিন্তু কোনো টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। প্রতিষ্ঠিত কোনো চিকিৎসা নির্দেশনা নেই।
* করোনায় যে কোনো বয়সী লোক আক্রান্ত হতে পারে। তবে বয়স্কদের কিংবা ডায়াবেটিস, অন্যান্য যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা করোনায় আক্রান্ত হলে জটিলতা বাড়বে।
* ধূমপায়ীদের ঝুঁকি অনেক বেশি সাধারণ মানুষের তুলনায়।

কভিড-১৯ সম্পর্কে আতঙ্কিত হলে চলবে না। সমাজের প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে। এটি বিশ্বব্যাপী করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাসজনিত রোগ কভিড-১৯-এর ব্যাপারে বিশ্বের কোনো দেশই প্রস্তুত ছিল না। কিংবা প্রস্তুত থাকার কথাও না। আর তাই আমরা যে যার অবস্থান থেকে সম্মিলিতভাবে কাজ করব সহযোগিতা-সহমর্মিতার মনোভাব নিয়ে। করোনামুক্ত বিশ্ব এবং বাংলাদেশ দেখব আগামীতে। করোনা প্রতিরোধে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতাই হবে আমাদের মূল অস্ত্র আর এই সচেতনতার মাধ্যমেই আমরা করোনামুক্ত একটি ভোরের প্রত্যাশায় থাকব।

লেখক: কিডনি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সহকারী অধ্যাপক, পোস্ট ডক্টরাল ক্লিনিকাল রিসার্চ ফেলো, ড্রেক্সেল ইউনিভার্সিটি

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

19
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ৩৪ বছর বয়সী কিজমেকিয়া কোরবেট। নর্থ ক্যারেলিনায় জন্ম নেওয়া এই নারী ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) এর গবেষকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের ব্যাপারে।

চলতি মাসের শুরুর দিকেই গবেষণায় এগিয়ে যায় তার দল। তারা চেষ্টা করছেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে করোনাভাইরাস ঠেকাতে। গবেষকরা বলছেন, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন এরই মধ্যে ইঁদুরে প্রয়োগ করা হয়েছে।

ভ্যাকসিনটি কার্যকর হলে ইঁদুরের রক্তের বর্ণ নীল হয়ে যাওয়ার কথা। কিজমেকিয়া দাবি করেছেন, ইঁদুরের শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্তের বর্ণ নীল হতে শুরু করে। তার মানে এটি ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে কাজে দিচ্ছে। এটা সত্যিই অনেক বিস্ময়কর ফল বলেও মনে করেন তিনি।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে এই ভ্যাকসিনের। ২০২১ সালের মাঝামাঝি এই ভ্যাকসিন বাজারে আসতে বলে জানিয়েছেন তিনি।

https://www.kalerkantho.com/online/world

20
বিশ্বজুড়েই করোনাভাইরাসের মহামারি চলছে। আর আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি, কোভিড-১৯ ভাইরাসটি শ্বাসনালীতে সংক্রমণ হওয়ার আগে তা প্রথমে বাসা বাঁধে শ্বাসনালীর উপরের অংশে। এতে গলা ব্যথা, কাশি হতে পারে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি ফুসফুসে পৌঁছে গেলে তখনই রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

করোনার এই সময়ে শ্বাসকষ্ট আছে এমন মানুষদের বিপদও কিন্তু কম নয়। বরং খানিকটা বেশিই। কারণ, এই মারণঘাতী ভাইরাস আক্রমণ করে ফুসফুসে। মানুষ শ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়া অনুভব করতে পারে না। তবে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে শ্বাস নেওয়া সম্পর্কে আমরা সচেতন হই।

শ্বাসকষ্টের বিভিন্ন কারণ হতে পারে। সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসে যেমন শ্বাসকষ্ট হয় তেমনই হৃদরোগের কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এমন কি পেটের সমস্যা, গ্যাস, হজমের সমস্যা, অ্যালার্জি, হাঁপানি, রক্তাল্পতা, কিডনির সমস্যা এমনকি অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও টেনশনেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

কারও যদি অ্যাজমা, সিওপিডি থেকে থাকে তার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই শরীরে সমস্যা দেখা মাত্রই দ্রুত চিকিৎসা করাবেন। বাড়িতে বয়স্ক রোগীরা থাকলে তাদের রক্ষার্থে অবশ্য পুরো ঘরবন্দী থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

http://www.dainikamadershomoy.com/post

21
দিনের পর দিন দেশে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আজ দেশে একদিনেই ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ২৬৬ জন, মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮৩৮ জনে। তাদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

আজ শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

সেব্রিনা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ২৬৬ জন, যা সাকুল্যে এই পর্যন্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৩৮ জন। বয়স বিভাজনে দেখা যায় সর্বোচ্চ সংক্রমিত ব্যক্তির বয়সসীমা ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, শতকরা ২১ ভাগ। এর পরবর্তীতে রয়েছে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়স, শতকরা ১৯ ভাগের মতো এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, শতকরা ১৫ ভাগের মতো। মোটামুটি আমরা দেখতে পাই ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।’

আইইডিসিআর পরিচালক আরও বলেন, ‘নারী পুরুষ বিভাজনে দেখা যায় শতকরা ৬৮ ভাগ পুরুষ। আর নারী ৩২ ভাগ। জায়গার বিশ্লেষণে দেখা যায় শতকরা ৪৬ ভাগ ঢাকা শহরের। এরপরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ, শতকরা ২০ ভাগ। এর পরে নতুন করে আমরা অনেক রোগী দেখতে পাচ্ছি গাজীপুরে। এর পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

ঢাকা শহরে এলাকাভিত্তিক সংক্রমণের তথ্য জানিয়ে ডা. সেব্রিনা বলেন, ‘ঢাকা শহরের মধ্যে আক্রান্ত বা সংক্রমণের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, বড়ভাবে যদি বলি তাহলে সেটা মিরপুরে সবচেয়ে বেশি। আমরা দেখেছিলাম টোলারবাগে সংক্রমণ বেশি ছিল। এখন মিরপুরের বিভিন্ন অঞ্চল এবং টোলারবাগের এই পুরোটা এরিয়া ধরে আমরা যদি বলি, এটা শতকরা প্রায় ১১ ভাগ। এরপরেই রয়েছে মোহাম্মদপুর এলাকা, যেখানে শতকরা ৪ ভাগ পেয়েছি। ওয়ারী, যাত্রাবাড়ী এ সমস্ত এলাকায় শতকরা ৪ ভাগের মতো সংক্রমিত ব্যক্তি পেয়েছি। এর পরে আছে উত্তরা, শতকরা ৩ ভাগ এবং ধানমণ্ডিতে শতকরা ৩ ভাগ।’

http://www.dainikamadershomoy.com/post

22

অপেক্ষায় আছে এক নতুন বিশ্ব
সাধারণত আপাতদৃষ্টে ছোট মনে হওয়া ঘটনাই পরে বড় অর্থনৈতিক দুর্গতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধকি ঋণ খেলাপের হার বাড়তে থাকা অর্থনীতিবিদদের শঙ্কিত করলেও জনপরিসরে তেমন বিবেচ্য কিছু হয়নি। কিন্তু এটিই বিগত মন্দার আগমনী সংকেত। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, গত শতকের তিরিশের দশকের মন্দার কথাও। ১৯২৯ সালে নিউইয়র্ক শেয়ারবাজারে ঘটা পতনকে শুরুতে অত বড় কিছু মনে হয়নি। কিন্তু এটিই ছিল দীর্ঘসূত্রী এক মন্দার সূচনাবিন্দু, যা ইউরোপে উত্থান ঘটিয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকারগুলোর, যা থেকে বিশ্বকে নিয়ে গিয়েছিল বিশ্বযুদ্ধের বাস্তবতায়। তিরিশের ওই মহামন্দা গোটা বিশ্বের খোলনলচে বদলে দিয়েছিল। নতুন করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি এমনই এক বাস্তবতায় এনে দাঁড় করিয়েছে, যা একই সঙ্গে শঙ্কা ও সম্ভাবনা দুইই সামনে এনেছে।

মোটাদাগে এটা সত্য যে বৈশ্বিক এ মহামারির কারণে বিদ্যমান অর্থনৈতিক কাঠামোটি ভেঙে পড়বে। কিন্তু এ সত্যটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে সম্ভাবনার বীজ। বিদ্যমান কাঠামো ভেঙে পড়ার অর্থ হচ্ছে, নতুন কোনো কাঠামোর আবির্ভাব। নতুন বলে, অচেনা বলে তা শঙ্কা তৈরি করবে অধিকাংশের মনে। কারণ, অচেনা রাস্তা তো দীর্ঘ ও ভীতিকর মনে হয়। কিন্তু যদি তাকানো যায়, সম্ভাবনার দিকে তবে আশ্বাসও পাওয়া যায়। কারণ, নতুন পথই দিতে পারে নতুন দিগন্তের আভাস।


অর্থনীতি বিষয়টি আদতে বাতাসের সঙ্গে তুলনীয়। মানুষ বাতাসের সমুদ্রে থেকেও যেমন এর অস্তিত্ব নিয়ে উদাসীন থাকে, অর্থনীতিও তেমনই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, আরও ভালো করে বললে অর্থনৈতিক উৎপাদন ও বণ্টনপদ্ধতির সঙ্গে প্রত্যেক মানুষ কোনো না কোনোভাবে যুক্ত। বাতাসের স্বল্পতা যেমন এর অস্তিত্ব সম্পর্কে সজাগ করে, তেমনি এই মুহূর্তে রোগ প্রতিরোধের অংশ হিসেবে নেওয়া অবরোধব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমে যাওয়াই তার কথাটি বেশি করে মনে করিয়ে দিচ্ছে। সে এখন টের পাচ্ছে যে ব্যাংক বা চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যেমন, পাড়ার মুদি দোকান বা সেলুনটির সঙ্গেও তার অনুরূপ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এর একটি বিকল হলে তার প্রভাব পুরো সমাজে পড়ে।

আর যদি বৈশ্বিক অর্থনীতির কথা বলা হয়, তবে এর বিভিন্ন উপাদান এমন জটিলভাবে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত যে তা ঠিকমতো ঠাওর করতে পারাটাও বিরাট যোগ্যতার বিষয়। এই ঠাওর করার কাজটি করেন অর্থনীতিবিদেরা। আর বৈশ্বিক অর্থনীতির এ গতিপ্রকৃতিই বলে দেয় যে ভবিষ্যতের বিশ্বে কোন রাজনৈতিক মতবাদটি বেশি জনপ্রিয় হবে। এখানে রাজনৈতিক মতবাদটি মূলত উৎপাদন ও বণ্টনব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়।

মনে করা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পর বিদ্যমান কাঠামোর অনেক উপাদানই অকেজো হয়ে পড়বে। ফলে বর্তমানের চেনা বৈশ্বিক অর্থনীতি এমনভাবে বদলে যেতে পারে, যা দেখে আর একে চেনা যাবে না। কথা হচ্ছে, কোন বৈশ্বিক অর্থনীতির বদলের কথা বলা হচ্ছে? এ তো সেই অর্থনৈতিক কাঠামো, যেখানে বিলাস ও বৈষম্য একসঙ্গে উৎপাদিত হয়। এ তো সেই কাঠামো যা মানুষের উন্নয়নের কথা বলে, ধ্বংসের লীলায় মাতে। এ তো সেই অর্থনীতি, যা প্রকৃতি থেকে মানুষকে দূরে ঠেলতেই বেশি তৎপর। এ তো সেই কাঠামো, যা মানুষকেও বিচ্ছিন্ন করে পরস্পর থেকে। এই কাঠামো তো খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো মৌলিক বিষয়গুলোকে একটি বড় শ্রেণির কাছে সোনার হরিণ করে তোলে। তাহলে এমন একটি কাঠামো ভেঙে পড়ার শঙ্কায় মানুষ কেন উতলা হবে?

কিন্তু মানুষ উতলা হবে এবং হচ্ছে। কারণ, নতুন ও অচেনার ভয়; অনিশ্চয়তা। চেনা গণ্ডির বাইরে যাওয়ার ভয়। যদিও এই চেনা গণ্ডি মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এই কাঠামোর চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ হারিয়েছে সমন্বয়হীনতার কারণে। অথচ এই কয়েক দিন আগেও দেশটির ইস্তফা দেওয়া প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স, এলিজাবেথ ওয়ারেনরা বারবার করে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে বলে গেছেন। অথচ এই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসেই প্রথম যে পদক্ষেপটি নিয়েছিলেন, তা হলো—‘ওবামাকেয়ার’ বাতিল। এমনকি এই দুর্যোগেও ট্রাম্প প্রশাসন এই মুহূর্তে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়ন বাতিল করেছেন। এও তো এই কাঠামোরই ফল।

বিদ্যমান কাঠামোর আরেকটি বড় দুর্বলতা এই সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। তা হলো, জরুরি সরঞ্জামের সরবরাহ সংকট। কয়েক দশক ধরে গলা ফুলিয়ে যে বিশ্বায়নের কথা বলা হয়েছে, তা এই মুহূর্তে হঠাৎ করেই অকেজো হয়ে পড়েছে। বিশ্বায়িত পৃথিবীর বাসিন্দা দেশগুলো দ্রুত সীমানাদেয়াল তুলে দিয়েছে। নিজেদের মতো জরুরি সরঞ্জাম মজুত করেছে। ফলে বিশ্বের কারখানা-দেশগুলো কাঁচামালের অভাবে ভুগছে। কারণ, কাঁচামালের জোগানদাতা দেশগুলো দরজায় খিল এঁটেছে। ফলে কর্মী থাকলেও, উৎপাদন উপায় থাকলেও কাঁচামালের অভাবে এমনকি জরুরি সরঞ্জামও তৈরি করা যাচ্ছে না। আবার উৎপাদন উপায় না থাকায় বিপুল কাঁচামাল নিয়ে বেকার বসে থাকতে হচ্ছে জোগানদাতা দেশগুলোকে। সব অসহায়, সহায়ের খোঁজে বেহুঁশ। অথচ বিশ্বায়ন যদি ফাঁপা না হতো, তবে এই সময়েই সবচেয়ে বড় যূথবদ্ধতা দেখত পৃথিবী।

এই ফাঁপা বিশ্বায়নে এক বড় বদল আসতে পারে সামনের দিনগুলোয়। ঠিক কেমন হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক উৎপাদন বৃদ্ধি ও নিজস্ব সরবরাহব্যবস্থা তৈরি একটি উপায় হিসেবে দেখা দিতে পারে। আগে ঠিক যেমনটা ছিল এই ভারতবর্ষের গ্রামগুলো। ভারতবর্ষে গ্রাম বলতে সেই কাঠামোকেই বোঝাত, যা নিজের উৎপাদন দিয়ে নিজে চলার ক্ষমতা রাখে। আবার পাশের গ্রামে আকাল এলে তার পাশেও দাঁড়াতে পারে। বর্তমান সংকট অতীতের সেই কাঠামোয় ফেরার প্রণোদনা হিসেবে কাজ করতে পারে। অবশ্যই তা অতীতের মতো হবে না। এটি হতে হবে উন্নত ও প্রাযুক্তিক সব সুবিধা নিয়েই। অর্থাৎ একটি সমন্বিত উৎপাদন ও বণ্টনব্যবস্থা সামনে আসতে পারে, যেখানে গ্রাম বা এমন কোনো কিছু ক্ষুদ্রতম ইউনিট হিসেবে কাজ করতে পারে।

এই সংকট একইভাবে দেখিয়ে দিয়েছে যে সমাজের একজন মানুষকেও অরক্ষিত রেখে, ঝুঁকিতে রেখে, বাকিদের ঝুঁকিমুক্ত থাকা অসম্ভব। একই সঙ্গে এটি সমাজের প্রতিটি শ্রেণির পরস্পর নির্ভরশীলতার বিষয়টিও অনেক বেশি দৃষ্টিগ্রাহ্য করে তুলেছে। ফলে নতুন একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এই শ্রেণি অবস্থানগুলো পুনর্মূল্যায়িত হতে বাধ্য, যেখানে সবার নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচ্য হবে। সে ক্ষেত্রে সর্বজনীন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়গুলো অনেক বেশি গুরুত্ব পাবে। গবেষণা ক্ষেত্রে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা যেমন সীমানা প্রশ্নটি মুছে দিয়েছেন, তা সামনের দিনে আরও বেগবান হবে নিশ্চিতভাবেই। এটি নিঃসন্দেহে নতুন আলোর দিশা দেবে।

বর্তমান সংকট বিশ্বায়নের মাহাত্ম্য প্রচার করা দেশগুলোর মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে তা হলো, একটি দেশের অন্য দেশের ওপর ঠিক কতটা নির্ভর করা উচিত? ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন এই বিরাট প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে। এই সংকট মৌখিক ঐক্যের প্রকৃত রূপটি প্রকাশ করেছে। ফলে শুধু এই অঞ্চল নয়, প্রতিটি অঞ্চলের দেশগুলোই এমন বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে। করোনা-পরবর্তী বিশ্বকাঠামোয় সবচেয়ে বড় আঘাতটি নিঃসন্দেহে পড়বে বিশ্বায়নের ওপর। এই আঘাত পুরো ধারণাটিকেই ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে পারে—এটা হলো আশঙ্কা। আর আশা হচ্ছে, এই সংকটের পর বিশ্ব সত্যিকারের এক বিশ্বায়নের যুগে প্রবেশ করবে। শঙ্কা হলো, বর্তমান উৎপাদন ও বণ্টনব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। আশা হলো, এর স্থান এমন এক কাঠামো নিতে পারে, যা সব মানুষকে ন্যূনতম সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে নিয়ে আসবে, উৎপাদন ও বণ্টনব্যবস্থাকে দাঁড় করাবে প্রয়োজনের ভিতের ওপর। আর সবচেয়ে বড় আশার কথা হলো, পৃথিবী সুস্থ হয়ে উঠছে। এই সংকট পরবর্তী বিশ্বের মানুষেরা এই পৃথিবীকে হয়তো বুঝতে শিখবে এবং নিজেকে প্রকৃতির এক ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে মেনে নেওয়ার বুদ্ধিমত্তা দেখাবে। করোনা-পরবর্তী বিশ্ব কেমন হবে, তা নির্ধারণের ভার এখনো মানুষের ওপরই আছে—এর চেয়ে বড় আশা আর কী হতে পারে।

ফজলুল কবির: সাংবাদিক
fazlul.kabir@prothomalo.com

23
চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক হিপোক্রাটিস, সক্রেটিস, আলেক্সান্ডারের দেশ গ্রিস। ৪৩০ খ্রিষ্টপূর্বে এথেন্স একটি মহামারি হয়েছিল। তখনকার জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ মৃত্যুবরণ করেছিল। বর্তমান করোনাভাইরাসে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্ত ২ হাজার ১৯২ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১০২ জন, সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২৬৯ জন।

আবারও চ্যালেঞ্জের সময়ে গ্রিস সারা বিশ্বে রোল মডেল হয়ে উঠেছে। বহু শতাব্দীর উত্তরাধিকারী, সাম্প্রতিক সময়ে অর্জন করেছে বিস্ময়কর সাফল্য—গ্রিক আমেরিকান অ্যান্ডি মানাতোস ও মাইক মানাতোস জানিয়েছেন।


গ্রিসের মার্কিন রাষ্ট্রদূত জিফফি পাইট আমেরিকান হেলেনিক চেম্বার অব কমার্সকে একটি বার্তায় গ্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কেরিয়াকোস মিতসোটাকিসকে এই ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে তাঁর বাস্তবিক দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করার জন্য প্রশংসা করেছেন। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের প্রতি গ্রিক জনগণের আনুগত্যের বিষয়টিও তুলে ধরেছিলেন।


আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও নিউজ ওয়েবসাইটগুলো গ্রিস সরকার ও জনগণের প্রশংসা করছে।

১০ এপ্রিল ব্লুমবার্গ ‘সংকট মোকাবিলা করতে গ্রিস পারদর্শিতা কীভাবে দেখায়’ শিরোনামসহ একটি অ্যাড ও নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল। করোনাভাইরাস হুমকির প্রতি গ্রিক সরকারের তাৎক্ষণিক ও সাহসী প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে সেখানে বলা হয়েছে, ‘এথেন্সের প্রথম কোভিড-১৯-এর মৃত্যুর খবর প্রকাশের ৪ দিনের মধ্যে সমস্ত অপরিহার্য দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে ইতালি ও স্পেন যথাক্রমে ১৪ এবং ৩০ দিনের পরে তা করেছে। গ্রিসে অপ্রয়োজনীয় চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মাত্র এক সপ্তাহ পরে এল এটি অন্য দেশের তুলনায় দ্রুত।

দেশটিতে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। পর্যটননির্ভর দেশ গ্রিস করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দায় পড়বে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রিস। আন্তর্জাতিক চিন্তাবিদেরা মনে করেন, গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে পর্যটকদের পাশাপাশি কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরা ছুটে আসতেন এই গ্রিসে, জ্ঞান অর্জনের জন্য ইতিহাসের সাক্ষী এই দেশে, যেখান থেকে শুরু হয়েছে পৃথিবীর প্রথম গণতন্ত্র। নারী মুক্তি আন্দোলন। সাহিত্য, বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র, নাটক, বিশ্বের প্রথম ইউনিভার্সিটি এবং রয়েছে ঐতিহাসিক স্থাপনা। এর জন্য উন্নত বিশ্বের ছাত্রছাত্রীদের জন্য গ্রিস একটি জ্ঞান অর্জনের পাঠশালা। করোনার প্রভাবে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রিস। গ্রিসের পর্যটন মন্ত্রণালয়টি করোনাভাইরাস সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে সমর্থন করার জন্য ১৪ মাসের ভাউচার জারি করবে।

মন্ত্রণালয় একটি প্রাসঙ্গিক প্রবিধান প্রবর্তন করবে, যা পর্যটক ব্যবসার জন্য তাদের ক্লায়েন্টদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ দেবে। পর্যটনমন্ত্রী হারিস থিওহারিস জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট উদ্যোগটি সপ্তাহের মধ্যেই সংসদে আনা হবে এবং সংসদ সদস্যদের অনুমোদনের জন্য যে খসড়া বিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার একটির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

পর্যটন মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ইউরোপীয় কমিশনকে এই পদক্ষেপের সমর্থনের জন্য অনুরোধ করার জন্য একটি চিঠি প্রস্তুত করছে।


https://www.prothomalo.com/durporobash/article

24
ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে ব্যবহৃত এন-৯৫ মাস্ক না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বরগুনার এক চিকিৎসক। তিনি করোনাভাইরাস সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাসেবার ওপরে প্রশিক্ষণ পাওয়া জেলার চার চিকিৎসকের একজন।

কামরুল আজাদ নামের ওই চিকিৎসক বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে একটি লেখা প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমাকে এন-৯৫ মাস্ক দিন অথবা মৃত্যুর মাধ্যমে পালাতে দিন। লোকদেখানো বাজারের ব্যাগের কাপড় দিয়ে তৈরি গাউন দেওয়া বন্ধ করুন।’

কামরুল আজাদ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত। তিনিসহ জেলা চারজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে সংক্রমিত এবং এই ভাইরাসের উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসা ও নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এমন একজন ব্যক্তির কাছ থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এমন লেখা প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।


ফেসবুকের লেখাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে চিকিৎসক কামরুল আজাদ বলেন, ‘আমার হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে এখন তিনজন করোনা পজিটিভ রোগী চিকিৎসাধীন। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২৩ জন। এসব রোগীর চিকিৎসা থেকে শুরু করে নমুনা সংগ্রহ পর্যন্ত তাদের সংস্পর্শে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কেননা এই মানের মাস্কই কেবল পারে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে। কিন্তু আমাদের এন-৯৫ মাস্ক নেই। এ জন্য আমিসহ আমার পুরো টিম ঝুঁকিতে পড়েছি।’

Lifebuoy Soap
এই চিকিৎসকের ভাষ্য, প্রবল ঝুঁকি নিয়েই তিনি ও তাঁর দলের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। নানাভাবে চেষ্টা করেও তাঁরা এন-৯৫ মাস্ক পাননি। আবার সাধারণত আইসোলেশন ইউনিটে যারা দায়িত্ব পালন করেন, তাঁরা সাত দিন দায়িত্ব পালন শেষে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকেন। কিন্তু বরগুনায় চিকিৎসক সংকটের কারণে তাঁদের সেই সুযোগ নেই। উল্টো করোনাভাইরাস সংশ্লিষ্ট রোগীদের পাশাপাশি হাসপাতালের সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে তাই। তাই তিনি যদি সংক্রমিত হয়ে পড়েন, তাহলে তাঁর কাছে আসা সাধারণ রোগীদেরও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি আছে। পুরো জেলায় করোনাভাইরাস ছড়ানো বন্ধের স্বার্থেই দ্রুত এন-৯৫ মাস্কের সরবরাহ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান তিনি।

বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের মতে, করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এ জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য দুটো জিনিস নিশ্চিত করা সবচেয়ে জরুরি। তা হচ্ছে ব্যক্তি সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) ও এন-৯৫ মাস্ক। বরগুনায় পর্যাপ্ত পিপিই এলেও এন-৯৫ মাস্কের সরবরাহ নেই।

জানতে চাইলে বরগুনার সিভিল সার্জন হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, ‘আমাদের এখানে এন-৯৫ মাস্ক এখনো সরবরাহ করা হয়নি। এ কারণে চিকিৎসকেরা চরম ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছেন, এটা সত্য। তাই বলে একজন চিকিৎসকের এমন একটি স্ট্যাটাস দেওয়া ঠিক হয়নি। এতে অন্য চিকিৎসকেরা রোগীর চিকিৎসা দিতে নিরুৎসাহিত হবেন।’ সরকারের কাছে এন-৯৫ মাস্ক চাওয়া হয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, হয়তো দ্রুতই এই মাস্ক পেয়ে যাবেন তাঁরা।’ আপাতত সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করে করোনাভাইরাস সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা আছে বলে জানান তিনি।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘বরগুনার স্বাস্থ্য বিভাগ এন-৯৫ মাস্কের সংকটের কথা আমাকে কখনো জানায়নি। যদি জানাতো তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি চাহিদা অনুযায়ী এন-৯৫ মাস্কের ব্যবস্থা করতাম।’ এখন দ্রুত যাতে এ ধরনের মাস্কের সরবরাহ আসে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

https://www.prothomalo.com/bangladesh/article

25
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কাজে আসতে পারে, এমন ওষুধ নিয়ে ইতোমধ্যেই কাজ করতে শুরু করেছে বিশ্বের অনেক দেশের ছোট-বড় কোম্পানি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ৩৫টি একাডেমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে বলে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ স্বীকৃতি দেওয়া না হলেও পরীক্ষামূলক ব্যবহারে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ফ্যাভিপিরাভির- এই দুইটি ওষুধ নিয়ে বিজ্ঞানীরা আশা দেখছেন।

বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় যেসব ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে, বাংলাদেশের কিছু বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান সেসব ওষুধ তৈরি করতে শুরু করেছে। তবে সবগুলো ওষুধ এখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি। স্বল্পন্নোত দেশ হওয়ার কারণে ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মেধাসত্ত্ব আইন প্রযোজ্য হয় না।

বাংলাদেশের ন্যাশনাল গাইডলাইন অন ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট অব করোনাভাইরাস ডিজিজ-এ করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কয়েকটি ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোও এসব ওষুধ প্রস্তুত করে রাখতে শুরু করেছে।

ইতোমধ্যেই হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের পাশাপাশি ফ্যাভিপিরাভি, ওসেল্টামিভি ও ইভারমেকটিন প্রস্তুত করবে বলে জানিয়েছে বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসকেএফ।

বাংলাদেশের আরেকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিকন ফার্মা ফ্যাভিপিরাভির তৈরি করতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকাকে বেক্সিমকো ফার্মার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, রেমডেসিভির বাদে অন্যসবগুলো ওষুধ প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন। অনুমোদন পাওয়া গেলেই তারা সরবরাহ শুরু করবেন।

এছাড়া জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসও এ ধরনের ওষুধ তৈরি করতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক বিল্লাল আলম বলেন, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ক্লোরোকুইন ও অ্যাজিথ্রোমাইসিন বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। কোম্পানিগুলো নিয়মিত উৎপাদন করছে। এছাড়া ফ্যাভিপিরাভির উৎপাদন শুরু করেছে বেক্সিমকো, ইনসেপটা, বিকন ফার্মাসহ কয়েকটি কোম্পানি। তারা এর মধ্যেই বাজারজাত করার জন্য আবেদন করেছে।

http://www.dainikamadershomoy.com

26
শুধু আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি নয়, করোনা ছড়োতে পারে অপিরচ্ছন্ন থাকলেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনের এমন কিছু অভ্যাস আছে যা করোনার সংক্রমণ বাড়াতে ভূমিকা রাখে। যেমন-

১. হাতের নখ রাখা ও নখ মুখে দিয়ে চিবোনো। অনেকেরই এ ধরনের অভ্যাস আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অভ্যাসে জীবাণু সরাসরি হাত থেকে মুখে চলে যেতে পারে ৷

২. অনেকেরই মুখে ব্রণের সমস্যা থাকে ৷ সেটা আবার অনেকে খুঁটে থাকেন ৷ এই অবস্থায় ভুলেও এ ধরনের কাজ করা ঠিক হবে না। কারণ নখেই থাকতে পারে করোনাভাইরাস৷

৩. যখন-তখন চুলে হাত দেওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করুন। কারণ মাথায় হাত বুলোলে সেটা প্রথমে হাত, পরে সেটা মুখে লেগে ছড়িয়ে পড়তে পারে ৷

৪. অনেকেই দুই-তিন সপ্তাহ পর পর বিছানার চাদর বদলান। কিন্তু এই সময়ে  এটা করা যাবে না। সপ্তাহে অন্তত দুই বার বিছানার চাদর পাল্টান কিংবা পরিষ্কার করুন।

৫. বেসিন যদি টয়লেটের মধ্যে থাকে তাহলে সেখানে টুথ ব্রাশ রাখবেন না ৷ তাহলে সংক্রমণের সম্ভবনা বাড়তে পারে ৷

৬. দাঁতের ফাঁকে অনেক সময় খাবার আটকে থাকলে সেটা আঙুল দিয়ে বের করেন অনেকে। কিন্তু সেটা এখন একেবারেই করবেন না। কারণ আঙুল থেকে করোনা দেহে প্রবেশ করতে পারে।

৭. এই সময় একই প্লেটে খাবার শেয়ার করার দরকার নেই। পরিবারের সদস্য হলেও এখন এই অভ্যাস থেকে দূর থাকুন।

ত্র : নিউজ এইট্টিন

27
রোবটকে এতকাল চাকরিচ্যুতির কারণ ও উচ্চাকঙ্খী ক্ষমতাধর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছিল। কিন্তু এ মারাত্মক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন, কার্যকর ও সংক্রমণবিরোধী চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নির্ভরযোগ্যতা অর্জন করছে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।


চীনের উহান শহরে যে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হয়েছিল, সেখানকার একটি হাসপাতালে রোগীদের দেখানোর কাজে ব্যবহূত হচ্ছে একদল রোবট। সেখানে রোগীর খাবার দেওয়া, তাপমাত্রা মাপা বা যোগাযোগের মতো কাজে রোবট ব্যবহূত হচ্ছে। এমন একটি রোবটের নাম ক্লাউড জিঞ্জার। এটি তৈরি করেছে ক্লাউড মাইন্ডস। বেইজিং ও ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

ক্লাউড মাইন্ডসের প্রেসিডেন্ট কার্ল ঝাও মানুষসদৃশ রোবট তৈরি প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি দরকারি তথ্য দিতে পারে, কথোপকথন চালাতে পারে, নেচে বিনোদন দিতে পারে এবং ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। স্মার্ট ফিল্ড হাসপাতালের পুরোটাই রোবট দিয়ে পরিচালনা করা হয়। ছোট একটি মেডিকেল টিম দূর থেকে ফিল্ড হাসপাতালের রোবটগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। রোগীদের এ ক্ষেত্রে হাতে বিশেষ ব্যান্ড পরতে হয়, যা থেকে রক্তচাপসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

ছোটো এ ক্লিনিকে মাত্র কয়েক দিন রোগীকে রাখা হয়। তবে ভবিষ্যতে সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করে কীভাবে রোগী ব্যবস্থাপনা করা যেতে পারে, সে সম্পর্কে এটি ধারণা দেবে।

থাইল্যান্ড, ইসরায়েলসহ আরও কয়েকটি দেশের কিছু হাসপাতালে রোগীদের চিকিত্সাসেবায় রোবটের ব্যবহার হতে দেখা যায়। ভিডিও কনফারেনে্সর বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে রোবট। এর বাইরে কিছু প্রচলিত পরীক্ষাও করে থাকে রোবট চিকিত্সক।

সিঙ্গাপুরের আলেকজান্দ্রা হাসপাতালে ‘বিমপ্রো’ নামের একটি রোবট ব্যবহূত হতে পারে, যা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীকে খাবার ও ওষুধ দেবে। আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগে রোবট ব্যবহারের কথা ভাবছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর ঘরের বাইরে থেকে কম্পিউটার ব্যবহার করে রোবট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন চিকিত্সক বা স্বাস্থ্যকর্মী। স্ক্রিন ও ক্যামেরা ব্যবহার করে দূর থেকেই কথোপকথন চালানো যাবে।

আলেকজান্দ্রা হাসপাতালের হেলথ ইনোভেশন পরিচালক আলেকজান্ডার ওয়াইপ বলেন, রোবট ব্যবহার করলে আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিকে ষ্পর্শের সংখ্যা কমানো যায়। এতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকি কমে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তথ্য অনুযায়ী, রোবট বা যন্ত্র ব্যবহার করে ভাইরাসের উপস্থিতির বিষয়টি স্ক্যান করে দেখা যেতে পারে। এর বাইরে হাসপাতালে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার ছড়ানো ঠেকাতে বিভিন্ন হল, দরজার হাতলসহ নানা কাজে রোবটের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ঘর জীবাণুমুক্তকরণ রোবটের চাহিদা বাড়ার কথা জানিয়েছে। তাদের লাইটস্ট্রাইক রোবট ইতিমধ্যে ৫০০টি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার হচ্ছে।

জেনেক্সের মিডিয়া সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক মেলিন্ডা হার্ট বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা অনুরোধ পাচ্ছি। হাসপাতাল ছাড়াও জরুরি সেবাকাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান, হোটেল, সরকারি সংস্থা ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছ থেকেও অনুরোধ আসছে।

ফ্রান্সের শার্ক রোবোটিকসের পক্ষ থেকেও ফরমাশ বাড়ার কথা বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কনজুমার টেকনোলজি গবেষণার পরিচালক লিজলে রোবাগ বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে রোবোটিক উদ্ভাবনের গতি বেড়েছে। আমরা এমন এক সময়ে আছি, যেখানে এ প্রযুক্তি প্রয়োজন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সেন্সর ও অন্যান্য সুবিধাযুক্ত রোবটের দাম বেশি হওয়ার কারণ তাতে ইন্টারনেট সুবিধাও থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় ভিড় পর্যবেক্ষণ করতে সেন্সর ও ক্যামেরা যুক্ত ড্রোনের উদ্ভাবন বাড়ছে। সাউথ অস্ট্রেলিয়া ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক কানাডার ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ড্রাগনফ্লাইয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছে। মানুষের ভিড় পর্যবেক্ষণ করে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করার কাজে এ ড্রোন ব্যবহার করা হবে। দূর থেকে মানুষের নাড়ির গতি, তাপমাত্রা, হাঁচি-কাশি শনাক্ত করার জন্য কম্পিউটার অ্যালগরিদম তৈরি করছে দলটি।


https://www.ittefaq.com.bd/print-editio
সূত্র :এএফপি


28
বসন্তকালে সবচেয়ে বেশি রোগবালাই দেখা দেয়। তবে এই সময়ে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই করোনাভাইরাসসহ যে কোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে খেতে পারেন ভিটামিন সি। খেতে পারেন পেঁপে-কলার স্মুদি।

এই স্মুদি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। উভয়েই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে ও শরীর সুস্থ রাখে।

রেসিপিটি কলা এবং পেঁপে দিয়ে তৈরি। দুটি ফলই হজমশক্তি বাড়ায় আর শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি মেটায়।

পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ, ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। কলায় কোলিনসহ সব ধরনের ভিটামিন বি আছে।

আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন পেঁপে-কলার স্মুদি

উপকরণ
পেঁপে- ১ কাপ (চৌকো করে কাটা), কলা- ১টি (কাটা), টক দই (দেড় কাপের চেয়ে কিছুটা কম ), সূর্যমুখী বীজ - ১ চা চামচ, আখরোট- ২ চা চামচ (গুঁড়ো করা), ডুমুর - ১ থেকে ২ চা চামচ (কাটা), মধু / ম্যাপেল সিরাপ- স্বাদ অনুযায়ী।

যেভাবে তৈরি করবেন
পেঁপে এবং কলা ব্লেন্ড করে নিন, দই এবং মধু / ম্যাপেল সিরাপ দিয়ে আবার মেশান। গ্লাসে স্মুদি ঢেলে আখরোট, সূর্যমুখী বীজ এবং ডুমুর দিয়ে সাজিয়ে নিন। চাইলে অন্য ড্রাই ফ্রুট দিয়েও সাজাতে পারেন।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

29
স্তন্যপায়ী প্রাণী বাদুড়ের দেহে নতুন আরও ছয় ধরনের করোনাভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন মিয়ানমারের বিজ্ঞানীরা। তবে নতুন এই ছয় ধরনের করোনাভাইরাস মানুষসহ অন্য প্রাণীর মধ্যে ছড়াতে পারে কিনা তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।


লাইভ সায়েন্স অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা গত ৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনভিত্তিক ‘প্লোস ওয়ান’ জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে বিজ্ঞানীরা বাদুড়ের মধ্যে ওই নতুন ছয় ধরনের করোনাভাইরাস খুঁজে পেয়েছেন। প্রাণী থেকে ক্ষতিকর কোন কোন ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে তা জানতেই গবেষণাটি চলছে। এতে অর্থায়ন করছে খোদ মিয়ানমার সরকারই।

তবে বাদুড়ের মধ্যে নতুন পাওয়া ছয় ধরনের করোনাভাইরাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে পাওয়া কোভিড-১৯, সার্স বা মার্স করোনাভাইরাসের জিনগত খুব একটা মিল নেই।

মহামারী নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ভাইরাসটিও করোনাভাইরাস পরিবারের সদস্য। বিজ্ঞানীরা সর্বশেষ কোভিড-১৯ সহ এখন পর্যন্ত মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস পরিবারের মোট সাত ধরনের ভাইরাসের সন্ধান পেলেন।

মিয়ানমারের গবেষকরা ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১১ প্রজাতির ৪৬৪টি বাদুড়ের লালা ও মল সংগ্রহ করেন। দেশটির তিনটি অঞ্চল থেকে মূলত এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

বিজ্ঞানীরা বাদুড়ের লালা ও মলের নমুনার জীনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করেন এবং মানুষের শরীরে পাওয়া করোনাভাইরাসগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন।

নতুন করোনাভাইরাসগুলো তিন প্রজাতির বাঁদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গ্রেটার এশিয়াটিক ইয়েলো প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে প্রেডিক্ট-কোভ-৯০ ভাইরাস।

রিনকেল-লিপড ফ্রি-টেইলড প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে প্রেডিক্ট-কোভ-৪৭ ও প্রেডিক্ট-কোভ-৮২ ভাইরাস।

এছাড়া হর্সফিল্ডস লিফ-নোজড প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে প্রেডিক্ট-কোভ-৯২, প্রেডিক্ট-কোভ-৯৩ ও প্রেডিক্ট-কোভ-৯৬ ভাইরাস।

তবে নতুন এই ছয় ধরনের করোনাভাইরাস মানুষসহ অন্য প্রাণীর মধ্যে ছড়াতে পারে কিনা তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন মিয়ানমারের গবেষকরা।

তাছাড়া ভাইরাসগুলো যদি মানুষের শরীরে ছড়ায় তাহলে তার প্রভাব কী হতে পারে তা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন আছে। কারণ কোভিড-১৯, সার্স এবং মার্স ছাড়া আরও যে চার ধরনের করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে পাওয়া গেছে সেগুলো ততটা ক্ষতিকর নয়।

প্রসঙ্গত করোনাভাইরাসে প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মধ্যে গোটা বিশ্বে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ছুঁই ছুঁই করছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩২ জনে। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৭৩৪ জনে।

এ মহামারীর কারণে বিশ্ববাসী আজ ঘরবন্দি। চারদিক সুনসান নীরবতা, জনশূন্য। যেন পৃথিবী আজ এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও আল-জাজিরার।

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে । গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছে ২ হাজার ৩৫ জন।

একদিনে যে কোন দেশে করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড এটি। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মারা গেছে ১৮ হাজার ৭৪৭ জন।

সব চেয়ে বেশি মারা গেছে নিউইয়র্কে ৭ হাজার ৮৪৪ জন। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৫৮ জন। এরপরই আছে নিউজার্সি, সেখানে আক্রান্ত ৫৪ হাজার ৫৮৮ জন ও মারা গেছেন ১ হাজার ৯৩২ জন।

https://www.jugantor.com/covid-19

30
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নিকট মুশরিকদের চুক্তি কি করে বলবৎ থাকবে? তবে যাদের সাথে মসজিদুল হারামের সন্নিকটে তোমরা পারস্পরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলে, যে পর্যন্ত তারা তোমাদের চুক্তিতে স্থির থাকবে, তোমরাও তাদের চুক্তিতে স্থির থাকবে। নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকবীদেরকে পসন্দ করেন।
সূরা তওবা : আয়াত ৭

Pages: 1 [2] 3 4 ... 13