Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Sports Zone => Cricket => Topic started by: Anuz on November 10, 2019, 09:28:02 AM

Title: অবিশ্বাস্য স্বপ্ন বাস্তবেই রূপ দেওয়ার ইচ্ছা বাংলাদেশের
Post by: Anuz on November 10, 2019, 09:28:02 AM
টি-টোয়েন্টি সিরিজে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কাল ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দেশের ক্রিকেটের সাম্প্রতিক দুঃসময়ে দারুণ এক সাফল্যের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। সিরিজের আগে সেটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও খেলোয়াড়দের পরিশ্রম ও চেষ্টাতেই এই সাফল্য এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এবার সিরিজ জেতাও সম্ভব বলে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ।

রাজকোটে ভারতের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেও সিরিজের প্রথম ম্যাচে দিল্লি কাঁপিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিমরা। ফলে ১-১ সমতায় সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে নাগপুরে পা রাখতে পেরেছে আফিফ হোসেন, সৌম্য সরকাররা। খেলোয়াড়েরা কাল সিরিজ নিশ্চিত করতে উদ্‌গ্রীব বলে জানিয়েছেন কোচ রাসেল, ‘খেলোয়াড়দের অবদান দিতেই হবে। কয়েকটা সপ্তাহ খুব কঠিন সময় গিয়েছে। কিন্তু খেলোয়াড়েরা শেষ দশ দিন কঠোর পরিশ্রম করেছে। অনুশীলনে তারা সর্বোচ্চটা দিয়েছে। সেখানে তাদের সাফল্যের আশা ফুটে উঠেছে। তাই তারা বিদেশের মাটিতে এসেও দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে। দুই সপ্তাহ আগেও যদি কেউ বলত নাগপুরে আসার আগে সিরিজে ১-১ সমতা থাকবে, কেউ সেটা বিশ্বাস করত না। অথচ কাল আমাদের জন্য বড় একটি সুযোগ অপেক্ষা করছে এবং খেলোয়াড়েরা এর জন্য খুবই রোমাঞ্চিত।’

টি-টোয়েন্টি মানেই যেন ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং। গায়ের জোর দেখানোর জায়গা। এই ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তবে নিজেদের শক্তিকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছেন বাংলাদেশ কোচ, ‘আমি মনে করি না আমরা কখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপের মতো শক্তিশালী হতে পারব। যারা চাইলেই মাঠের বাইরে বল পাঠাতে পারে। শারীরিকভাবে আমরা তাদের মতো নই। আফিফ, মোসাদ্দেক এবং লিটনরা আকারে তাদের চেয়ে ছোট। কিন্তু আমরা গতি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি, রানিং-বিটুইন নিয়ে কাজ করছি, ফাঁকা জায়গা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি দুই রান বের করে নেওয়ার। ওভারে ৬টা দুই রান কিন্তু ২টা ছয়ের সমান। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং ধসের মাঝে আফিফ ও মোসাদ্দেক দারুণ করেছে। ওটাই টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ের ধরন। প্রতি ম্যাচে এটা করে দেখানো কঠিন। কখনো দুই ওভার ব্যাট করার সুযোগ মেলে। আবার কখনো ৮ ওভার টিকে থাকার জন্য ব্যাটিং করি। আমি মনে করি টি-টোয়েন্টিতে ৬ ও ৭ নম্বরে ব্যাটিং করা খুবই কঠিন।’

গত ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ১৩ ওভারেই বাংলাদেশ এক শ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় যেটা আর পরে ধরে রাখা যায়নি। তবে এসব থেকেই দল শিখছে বলে জানিয়েছেন কোচ, ‘আমরা ১২.২ ওভারেই ১০০ রান তুলেছি। ভারত ১০০ রান করতে সময় নিয়েছে ১১ ওভার। সুতরাং তারা আমাদের চেয়ে ১ ওভার এগিয়ে ছিল। এটাই আমাদের ব্যাটসম্যানদের বিশেষ করে আফিফ, সৌম্য-মোসাদ্দেকদের শিক্ষণীয় সময়। প্রতিটা ভুল থেকেই আমরা শিখছি। আগামী বছর যখন আমরা বিশ্বকাপে যাব, এই ধরনের মুহূর্তে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’