Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mohammed Abu Faysal

Pages: 1 [2] 3 4 ... 11
16
টেলিভিশনের পর কম্পিউটার ডিসপ্লেতেও সীমিত আকারে প্রবেশ করেছে ফোরকে (৪কে) প্রযুক্তি। আল্ট্রা হাই-ডেফিনেশন স্ট্যান্ডার্ডের এই ডিসপ্লে মোবাইল ডিভাইসেও দ্রুতই প্রবেশ করবে বলে ধারণা করছিলেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। তাদের ধারণা সত্যি করেই এবারে স্মার্টফোনের জন্য ফোরকে ডিসপ্লে হাজির হয়েছে।
আর স্মার্টফোনের জন্য তৈরি প্রথম এই ফোরকে ডিসপ্লে তৈরি করেছে জাপানের ইলেক্ট্রনিক জায়ান্ট শার্প। সাড়ে ৫ ইঞ্চি আকৃতির এই ডিসপ্লেতে প্রতি ইঞ্চিতে রয়েছে ৮০৬ পিক্সেল।
সম্প্রতি বাজারে আসা স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস৬-এর ডিসপ্লের (প্রতি ইঞ্চিতে ৫৭৭ পিক্সেল) তুলনায় শার্পের এই ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন অনেক উন্নত। সাধারণভাবেই ১০৮০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের এইডি ডিসপ্লের তুলনায় ফোরকে ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন চারগুণ। ফলে স্মার্টফোনের নতুন এই ডিসপ্লেতে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট থেকে শুরু করে সব ধরনের কনটেন্টই আরও বেশি জীবন্ত হয়ে হাজির হবে।
ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন বেশ হলে সাধারণত ব্যাটারির খরচ বেশি হলেও এই সীমাবদ্ধতাকেও অনেকটাই অতিক্রম করছে শার্প। প্রচলিত সিলিকন-নির্ভর ডিসপ্লের বদলে তারা তৈরি করেছে ইন্ডিয়াম গ্যালিয়াম জিংক অক্সাইড দিয়ে। এতে করে এই ডিসপ্লেতে ব্যাটারির খরচও তুলনামূলকভাবে কম হবে।
চলতি বছরেই এমন ডিসপ্লে দিয়ে তৈরি স্মার্টফোন বাজারে আসতে পারে বলে আশা করছে শার্প।


Ref: http://www.ittefaq.com.bd/science-&-tech/2015/04/16/19620.html

17
IT Forum / Intel surprise!
« on: April 09, 2015, 09:56:43 AM »
কম্পিউটারের চিপ বা যন্ত্রাংশ নির্মাতা হিসেবেই সুপরিচিত মার্কিন প্রতিষ্ঠান ইনটেল। এবারে ইনটেল আরও নতুন উদ্ভাবনের পথে হাঁটছে। সম্প্রতি চীনের সেনঝেনে অনুষ্ঠিত প্রযুক্তি সম্মেলনে ইনটেলের প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান ক্রেজনিক নতুন প্রযুক্তি দেখিয়েছেন।
সেনঝেনের অনুষ্ঠানে ক্রেজনিক রিয়েলসেন্সের নতুন ক্যামেরা প্রযুক্তি দেখিয়েছেন যা আগের মডেলের তুলনায় আরও হালকা-পাতলা ও ছোট। এই ছোট ক্যামেরাটি মোবাইল ও ট্যাবে ব্যবহার করা যাবে। ক্রেজনিক ইনটেল আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছয় ইঞ্চি মাপের প্রোটোটাইপ স্মার্টফোন ও উইন্ডোজচালিত ট্যাবের সঙ্গে রিয়েলসেন্সের নতুন ক্যামেরা দেখান।রোবট মাকড়সা নিয়ন্ত্রণ দেখাচ্ছেন ক্রেজনিক।
ক্রেজনিক বলেন, রিয়েলসেন্স থ্রিডি ক্যামেরা পিসি ও ট্যাবলেটে আনতে কাজ করছে ইনটেল। এর আকার ছোট করায় এখন এটা স্মার্টফোনেও ব্যবহার করা যাবে। মাইক্রোসফটের কাইনেক্ট ডিভাইসের মতো রিয়েলসেন্স থ্রিডি ক্যামেরাযুক্ত পণ্যে জেশ্চার কন্ট্রোল সমর্থন করবে।
অনুষ্ঠানে ‘সোফিয়া’ নামের অ্যাটম এক্স ৩ প্রসেসর আনার ঘোষণা দেন ইনটেলের প্রধান নির্বাহী। এই প্রসেসরটি ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যাবে। ইন্টারনেট অব থিংস হচ্ছে সব পণ্যের মধ্যেই ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা।
অ্যাটম এক্স ৩ প্রসেসরটি ট্যাব ও স্মার্টফোনের জন্য তৈরি করা হলেও এটি আইওটির ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যাবে। থ্রিজি ও এলটিই সমর্থন সুবিধার এই চিপটি অ্যান্ড্রয়েড, লিনাক্সসহ বিভিন্ন ডেভেলপার কিট দিয়ে চালানো যাবে।
অনুষ্ঠানে ইনটেলের প্রধান নির্বাহী একটি রিস্টব্যান্ড দেখান যার মাধ্যমে ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই রিস্টব্যান্ডে ইনটেলের চিপ রয়েছে যা মোশন বা নড়াচড়া শনাক্ত করতে পারে। অনুষ্ঠানে এই রিস্টব্যান্ড দিয়ে রোবট মাকড়সা নিয়ন্ত্রণ করে দেখান ক্রেজনিক।

18
অন্ধ এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সাধারণ ছাপা বই পড়ার সুযোগ নেই। তাদের পড়তে হয় আলাদা করে ব্রেইল পদ্ধতিতে ছাপা বই। তবে এবারে অন্ধ এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সাধারণ ছাপা বইয়ের টেক্সট পড়ে শোনার সুবিধা করে দিতে নতুন এক গ্যাজেট তৈরি করেছে ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) একদল গবেষক। 'ফিঙ্গার রিডার' নামের এই ডিভাইসটি হাতের আঙুলে আংটির মতো করে পড়া যায়। এই ছোট্ট ডিভাইসে রয়েছে একটি ক্যামেরা। এই ক্যামেরার সাহায্যেই এই ডিভাইসটি বইয়ে ছাপা প্রতিটি অক্ষরকে স্ক্যান করতে পারে। আর তারপর এই স্ক্যান করা টেক্সট পড়ে শোনায় যন্ত্রটি। ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারে তৈরি ফিঙ্গার রিডার লেখাকে একাধিক ভাষায় অনুবাদ করার ক্ষমতাও রাখে। বই ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যত ধরনের ছাপা টেক্সট পড়তে হয়, তার সবকিছুই এই যন্ত্রটি পড়ে শোনাতে পারবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের। ফলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সামনে বলতে গেলে নতুন করে উন্মুক্ত হয়েছে বিশ্ব। যাবতীয় বই যা এতদিন ধরে পড়তে পারেননি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা, তার সবই পড়ার সুযোগ পাবেন তারা। এতে বিল্ট-ইন থাকা বিশেষ সফটওয়্যার আঙুলের নড়াচড়া শনাক্ত করতে পারে, শব্দ উচ্চারণ করতে পারে এবং বিভিন্ন তথ্য ধরনের তথ্য প্রক্রিয়াজাত করতে পারে। শুধু তাই নয়, এই ছোট্ট ডিভাইসে রয়েছে একটি ভাইব্রেটর। বইয়ের লাইনগুলোতে আঙুল বুলানোর সময় টেক্সটের বাইরে আঙুল চলে গেলে ভাইব্রেশনের মাধ্যমে এই ভাইব্রেটর তা জানিয়ে দেবে। এই ডিভাইস তৈরির সাথে সংশ্লিষ্ট গবেষক প্যাটি মেইস জানিয়েছেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য এর চেয়ে ভালো কোনো সমাধান নেই। তিন বছর ধরে এই ডিভাইসটি নিয়ে কাজ করেছেন এই গবেষক দল। এখনও প্রোটোটাইপ পর্যায়ে থাকা ফিঙ্গার রিডারকে বছরখানেকের মধ্যেই বাজারে নিয়ে আসা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।

Ref:-http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDdfMTZfMTRfMV8zM18xXzE0NTc2MQ==

19
Place / The world's smallest state
« on: January 16, 2014, 01:19:07 PM »
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রাষ্ট্রটির নাম Principality of Sealand। এটি ইংল্যান্ডের একটি অংশে উত্তর সাগরে অবস্হিত। রাষ্ট্রটির আয়তন ৫৫০ স্কয়ার মিটার। জনসংখ্যা সর্বমোট ৩ জন। এখানে আলাদা পতাকা, মুদ্রা, পাসপোর্ট সব কিছুই রয়েছে।

জায়গাটি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর। ১৯৬৭ সালে ব্রিটিশ নাগরিক Major Paddy Roy Bates এবং তার পরিবার এই জায়গাটির সত্ত্বাধিকারী হোন। তারপর তারা এটাকে একটি স্বাধীন মাইক্রো রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষনা দেন। অন্য কোন স্বাধীন রাষ্ট্র এটিকে সার্বভৌমত্ব দেয়নি বা নিজেদের অঙ্গ রাষ্ট্র হিসেবেও ভূষিত করেনি। কিন্তু জামার্নী তাদের সার্বভৌমত্ব দিয়েছে বলে Bates দাবী করেন। স্প্যানিশ প্রোপার্টি ফার্ম InmoNaranja এটিকে মাইক্রো রাষ্ট্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। খুবই স্বল্প জায়গা নিয়ে এই রাষ্ট্রের অবস্হান। মোট জনসংখ্যার তিনজনই Bates পরিবারের সদস্য এবং যথাক্রমে তারা এই রাজ্যের রাজা, রানী এবং রাজপুত্র।

এক নজরে রাষ্ট্রটি।

রাজধানী : HM Fort Roughs
স্হাপিত হয় : ২রা সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ সাল।
জনসংখ্যা : ০৩ জন।

আয়তন : ৫৫০ স্কয়ার মিটার।
ভাষা : ইংরাজী।
মুদ্রা : Sealand Dollar


Ref: Internet

20
Travel / Visit / Tour / Dangerous Airport in the world
« on: December 11, 2013, 03:10:41 PM »
চার্চেভেল এয়ারপোর্ট [ ফ্রান্স ]

বিপজ্জনক রানওয়ের কথা বললে প্রথমেই চলে আসে চার্চেভেল বিমানবন্দরের কথা। বাণিজ্যিক বিমানের চলাচল খুব কম হলেও প্রাইভেট বিমানের আনাগোনা রয়েছে যদিও এ বিমানবন্দরটি হলো একটি স্কি এরিয়া। হলিডের জেমস বন্ড সিনেমাতেও এই বিমানবন্দরটি দেখানো হয়েছিল। তারপর থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে বিপজ্জনক রানওয়ে হিসেবে এটি পরিচিতি লাভ করে। এখানে বিমান উঠানো নামানো দুটি কাজই ভীষণ কঠিন। বিমান দুর্ঘটনার জন্য যত রকম কারণ থাকতে পারে তার সবগুলোই রয়েছে এই বিমানবন্দরটিতে। এখানে রানওয়ে অনেক ছোট এবং খুব ঢালু। বিমান অবতরণের ওপর এখানে পাইলটদের খুব কম গতিতে নামতে হয়, টেক অফ করার সময় খুব কম গতিতে রানওয়ের উঁচু প্রান্তের দিকে যেতে হয়। বিমানবন্দরটির রানওয়ে মাত্র ৫২৫ মিটার এবং এর ব্যাসার্ধ ১৮.৫। এ ছোট রানওয়েতে একটি বিমান মাত্র একবারই উড়তে অথবা নামতে পারে। একই সময়ে অন্য কোনো বিমান এয়ারপোর্ট ছেড়ে যেতে চাইলে অথবা বাইরে থেকে এসে এখানে অবতরণ করতে পারে না। এ ছাড়া অনেক সময় অল্প জায়গায় বিমান ঘুরানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এখানে বিমান ঘুরাতে বেগ পেতে হয়। এসবের পাশাপাশি যোগ আছে ঘন কুয়াশা এবং মেঘের বাড়াবাড়ি। ঘন কুয়াশায় উড়োজাহাজ অবতরণ বা উড্ডয়ন দুটোই বন্ধু থাকে পুরোপুরি। অনেক সময়ই ভারী মেঘের কারণে বিমান শিডিউল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মেঘ এসে রানওয়েতে কুয়াশাচ্ছন্ন করে তোলে বলে রানওয়েতে বিমান উঠানো বা নামানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পাইলটদের কাছে এসব যে প্রাকৃতিক কারণে সমস্যা সৃষ্টি করে তা নয়। অল্প জায়গার কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে বেরিয়ে গেলে দুর্ঘটনার মাত্রাও এখানে বেশি বলেই মনে করেন পাইলটরা।

এ বিমানবন্দরটিকে ভয়ানক বিমানবন্দর বলার আরেকটি কারণ হলো আল্পস পর্বতমালা। অতি উঁচু পর্বতমালা ঘিরে রেখেছে এ বিমানবন্দরটিকে। অনেকবার বহু দক্ষ পাইলটদের কাছেও এয়ারপোর্টের রানওয়ে খুঁজে পেতেই হয়রান হতে হয়। আল্পস পর্বতমালা থেকে মেঘের কুয়াশা রানওয়েতে বিচরণ করে বলে সব সময়ই আলো জ্বালিয়ে রানওয়ে চিহ্নিত করতে হয় পাইলটদের কাছে। এসব ছাড়াও সমস্যার অন্ত নেই এই বিপজ্জনক এয়ারপোর্টে। প্রায়ই জ্বালানি সমস্যা ছাড়াও কারিগরি ত্রুটি সারাতে এ এয়ারপোর্টে কর্তৃপক্ষকে ভুগতে হয়।


বার্রা এয়ারপোর্ট [ স্কটল্যান্ড ]
স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে সাধারণ মানের এয়ারপোর্ট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল বার্রা এয়ারপোর্ট। এর পর বেশ কিছু আধুনিকায়ন হলেও মূলত আগের দুর্নাম খুব একটা ঘুচাতে পারেনি এটি। এই বিমানবন্দরটি স্কটল্যান্ডের অন্তর্গত বার্রা দ্বীপে অবস্থিত বলেই বার্রা এয়ারপোর্ট নাম দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় পর্যটকদের ভোটে এই এয়ারপোর্টকে দেখানো হয়েছে একেবারেই তাদের আগ্রহশূন্য এয়ারপোর্ট হিসেবে। বার্রা দ্বীপপুঞ্জের কাছে অবস্থিত এই এয়ারপোর্টের সি বিচে যারা বেড়াতে আসেন তাদের চোখেও দুর্নাম আছে এই এয়ারপোর্টের। এই দ্বীপের বিশাল বিচের ওপর এ বিমানবন্দরটি তৈরি করা হয় ১৯৭৫ সালে। পৃথিবীর একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যেখানে বিচের ওপর বিমান ল্যান্ড করাতে হয়। এ কারণইে এটি খুব বিপজ্জনক। সি বিচের ওপর দিয়ে বিমান অবতরণের জন্য পর্যটকদের কাছে এই বিমানবন্দরের বিমানগুলো বেশ আতঙ্ক তৈরি করে। শুধু তাই নয়, কান ফাটানো শব্দের পাশাপাশি বিমানের ঘূর্ণায়মান পাখার বাতাসেও সরে দাঁড়াতে হয় পর্যটকদের। এত নিচু হয়ে যখন বিমান সি বিচের ওপর দিয়ে নেমে আসে তখন পাইলটের সামনে একটা চ্যালেঞ্জ এসে দাঁড়ায় এর রানওয়েতে বিমান নামানো। শুধু তাই নয়, এই বিমানবন্দরটি দিনে একবার জোয়ার- ভাটায় ধুয়ে যায়। তখন পাইটলদের অবস্থা হয় আরও সঙ্গীন।

জুয়াংকো ই রাসকুইন [ নেদারল্যান্ড ]
জুয়াংকু ই রাসকুইন বিমানবন্দরের শেষে রয়েছে খোলা উত্তাল সমুদ্র, উভয় পাশে উঁচু পাহাড়। বিমান উঠানো নামানোর সময় সবচেয়ে বেশিবার জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হওয়া বিমানবন্দরগুলোর একটি এটি। এ বিমানবন্দরটি নেদারল্যান্ডের অন্তর্গত ছোট একটি ক্যারিবিয়ান দ্বীপ সাবায় অবস্থিত। এ বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ হয় ১৯৬৩ সালে। এটি সাবা দ্বীপের অধিকাংশ এলাকা নিয়ে অবস্থিত অন্যতম বড় আকারের এয়ারপোর্ট। ছোটখাটো বেশ কয়েকবার বিমান দুর্ঘটনা হলেও সৌভাগ্যকবশত এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দরের একটি ধরা হয় এটিকে। এই এয়াপোর্টের রানওয়েটি সম্ভবত কোনো পাইলটকেই স্বাগত জানায় না- এমনটাই বলা চলে। দুই পাশের উঁচু পাহাড়গুলো বিমান অবতরণের পক্ষে কোনোভাবেই ঠিক নয়। তাছাড়া রানওয়ের শেষ প্রান্তটি সমুদ্রে নেমে যাওয়ায় ভুল করেও যদি পাইলট বিমান টেক অফ করাতে না পারেন তবে বিমানটি গিয়ে সোজা আছড়ে পড়বে সমুদ্রে।

পর্বতময় ভূখণ্ড এই রানওয়েটিকে করে তুলেছে আরও চ্যালেঞ্জিং। অভিজ্ঞ পাইলট ছাড়া এখানে উড়োজাহাজ অবতরণ করার কথা অন্য কেউ ভাবতেই পারেন না।


প্রিন্সেস জুলিয়ানা [ নেদারল্যান্ড ]
প্রিন্সেস জুলিয়ানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যখন প্রথমবার ভয়ানক রানওয়ের বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিতি লাভ করে তখন অনেকেই বলেছিলেন এই এয়ারপোর্টটি বন্ধ করে দিতে। বিশেষ করে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাগুলোকে মোটেই হেলার নয় বলেই মত দিয়েছিলেন অনেকে। এ বিমানবন্দরটি রয়েছে পূর্ব ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সেন্টমার্টিনে। নেদাল্যান্ডের যে অংশে এখনো নিয়মিত বিমান অবতরণে আগে বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য পাইলটদের বলা হয় তার একটি এই বিমানবন্দর। এ অঞ্চলের মধ্যে এটি ২য় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। এ বিমানবন্দরটি যখন নির্মাণ করা হয়েছিল তখন কিন্তু অবস্থা এতটা প্রসারিত ছিল না যে, নিরাপত্তার দিকটি বিবেচ্য হবে। আসলে বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ১৯৪২ সালে। ১৯৪৪ সালে নেদারল্যান্ডের সম্রাজ্ঞী জুলিয়ানা এ বিমানবন্দরে প্রথম ল্যান্ড করলে তার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। বিমানবন্দরের ল্যান্ডিং স্ট্রিপ খুবই ছোট যা প্রায় ২১৮০ মিটার মাত্র। এত ছোট রানওয়ের আসল কারণ ছিল যুদ্ধবিমানের ছোট রানওয়ে ধরে ছুটে চলা। যাত্রী পরিবহনের চেয়েও তাই বিশেষ দৃষ্টি ছিল যুদ্ধবিমানগুলোতে করে গোলাবারুদ পরিবহন।

সি আইস [ এন্টার্কটিকা ]
এন্টার্কটিকা মহাদেশে অবস্থিত এবং পৃথিবীর একমাত্র বরফের বিমানবন্দর এটি। বিশ্বের যত বিপজ্জনক রানওয়ে রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এটি। এন্টার্কটিকায় গবেষণারত গবেষকদের কাছে বিভিন্ন জিনিসপত্র আনা-নেওয়ার জন্য যে তিনটি এয়ারস্ট্রিপের ব্যবহার রয়েছে, এর মধ্যে এটি একটি। এ বিমানবন্দর পাইলটদের কাছে খুবই ভয়ানক বিমানবন্দর হিসেবে খ্যাত। কারণ এখানে পাইলটদের প্রসারিত বরফের ওপর খুব সতর্কতা নিয়ে বিমান অবতরণ করাতে হয়। এন্টার্কটিকায় বরফে ঢাকা রানওয়েগুলোর মধ্যে সি আইস বিশ্বের যে কোনো বিমানবন্দর থেকে আলাদা, শুধু বিমানের ল্যান্ডি এরিয়ার জন্য। এখানে তড়িঘড়ি করে উড়োজাহাজ নামাতে গেলেই অতিরিক্ত ওজনের কারণে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এসব কারণেই পাইলটদের এই রানওয়ে সব সময় এড়িয়ে চলতেই পরামর্শ দেওয়া হয়।

জিব্রাল্টার এয়ারপোর্ট [ জিব্রাল্টার ]
এয়ারপোর্ট বা বিমানবন্দরের ভেতরে রেলগাড়ি ছুটে চলছে এমনটা ভাবতেই হয়তো চোখ কপালে উঠে যাবে অনেকের। শুধু তাই নয়, জিব্রাল্টার এয়ারপোর্টের ভেতর দিয়ে চলে গেছে ভারী গাড়ি চলাচলের জন্য রাস্তাও! বিশ্বাস হতে না চাইলেও জিব্রাল্টারের এই এয়ারপোর্টে ঢুকলে আপনার মনে হবে আপনি বোধহয় কোনো রেলরোড ক্রসিংয়ের ভেতর পড়েছেন! অনেকটা গাড়ি চলাচলের রাস্তার মাঝে এই এয়ারপোর্টের রানওয়ে বানানো হয়েছে। এ কারণেই প্রায়ই উড়োজাহাজ যখন অবতরণ করে তখন বাধ্য হয়ে দুই পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবাক করা বিমানবন্দরটি শুধু জিব্রাল্টার বা ইউএস এয়ারলাইন্সের চলাচলে সারা বিশ্বেই উড়োজাহাজের ভয়ানক রানওয়ে হিসেবে পরিচিত। যারা প্রথমবার এই রানওয়ে ধরে বিমান থেকে অবতরণ করেছেন তারাই জানেন আতঙ্কের রেশ কতটুকু থেকে যায় নিরাপদে অবতরণের পরও। অনেক পাইলটই এই রানওয়ে ধরে নামতে চান না। কারণ একটাই, উড়োজাহাজ তো বটেই সাধারণ যাত্রীদের নিয়েও প্রাণশঙ্কা।

লুকলা এয়ারপোর্ট [ নেপাল ]
লুকলা বিমানবন্দরকে অনেকে তেনজিং-হিলারি এয়ারপোর্ট নামেও চেনেন। নেপালে অবস্থিত এই এয়ারপোর্টটি ২০১০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক ও বিপজ্জনক এয়ারপোর্ট হিসেবে নাম লেখায়।
দ্য হিস্টোরি চ্যানেলের করা এক প্রতিবেদনে এই এয়ারপোর্টকে বিপজ্জনক রানওয়ের এয়ারপোর্ট হিসেবে তুলে ধরা হলে সারা বিশ্বের মানুষের কৌতূহলে এসে দাঁড়ায় এটি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৯০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই বিমানবন্দরটি নেপালের লুকলা শহরে অবস্থিত খুব ছোট একটা বিমানবন্দর। এই এয়ারপোর্টের চারপাশের পরিবেশ জনকোলাহল থেকে দূরে থাকলেও বিমানবন্দরের এক প্রান্ত পুরোটাই পর্বতবেষ্টিত বলে বিমান অবতরণের সময় পর্বতের সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। ২০০৮ সালে এই বিমানবন্দর এভারেস্ট বিজয়ী স্যার অ্যাডমন্ড হিলারির নামে লুকলা এয়ারপোর্টের নাম পাল্টে তেনজিং-হিলারি এয়ারপোর্ট নাম রাখা হয়। বারবার বিমান দুর্ঘটনার ঘটনার তালিকায় একেবারেই পিছিয়ে নেই এই এয়ারপোর্টটি। পাইলটদের কাছে রীতিমতো এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই এয়ারপোর্টটি। বিমান অবতরণের সময় খারাপ আবহাওয়ায় পাহাড় ঘেঁষে মেঘ ছুটে আসায় রানওয়েতে বিমান নামানোর চ্যালেঞ্জে বেশ অনেকেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।


কানসাই এয়ারপোর্ট [ জাপান ]
জাপানের ওসাকায় অবস্থিত এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি কৃত্রিম দ্বীপের ওপর। এ বিমানবন্দরটি লম্বায় ২.৬ মাইল এবং ১.৬ মাইল চওড়া। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে এই বিমানবন্দরটি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে

মেডেইরা [পর্তুগাল]
পর্তুগালের বিমান বন্দরটি নির্মাণ করা হয় ১৯৬৪ সালে। ছোট রানওয়ের মূল বৈশিষ্ট্য নিয়ে এই এয়ারপোর্টের নামডাক থাকলেও একসময় প্রতীয়মান হয় এটিই বিমান বন্দরের সমস্যা। পাশাপাশি যোগ হয়েছে রানওয়ে ঘেঁষে থাকা সুউচ্চ পাহাড়গুলো। বিমানবন্দরের সঙ্গে সুউচ্চ পর্বত ও সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্যও বিমান অবতরণ করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। শুরুতে এ বিমান বন্দরের মূল রানওয়ে ছিল মাত্র ১৪০০ মিটার লম্বা। কিন্তু একসময় পাইলটদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আরও ৪০০ মিটার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০০৩ সালে এর রানওয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে।

ম্যাটিক্যান এয়ারস্ট্রিপ [ লুসোটো ]
ম্যাটিক্যান এয়ারস্ট্রিপের কথা অনেকেই শুনেছেন হয়তো। রানওয়ে ধরে এগোতে থাকলে হঠাৎ শেষ হয়ে যায় রানওয়ে। উড়োজাহাজ যদি টেক অফ করে বাতাসে উড়তে শুরু করে তবে শেষ রক্ষা নইলে গিয়ে আছড়ে পড়তে হবে শূন্য গহ্বরে। পাহাড়ের এক পাশ কেটে বানানো এই এয়ারপোর্টটির সবচেয়ে বড় আতঙ্ক এটিই। হঠাৎ করে শেষ হয়ে যাওয়া রানওয়ে ধরে এগিয়ে যখন বিমানের নাক উঁচু করে বাতাসে ভাসতে শুরু করে তখনকার আতঙ্ক কেটে যাত্রীদের চোখে মুখে শুধু বেঁচে ফেরার আনন্দই অবশিষ্ট থাকে। বিমানের রানওয়ের এই ছোট পরিসরের পাশাপাশি রানওয়ে শেষে থাকা শূন্য ও বিশাল গহ্বরে বায়ুর ঘূর্ণি বিমান অবতরণকে করে তোলে আরও দুরূহ।

Ref:  http://www.bd-pratidin.com/various

21
Golf / Want to understand Golf?
« on: November 21, 2013, 11:54:23 AM »
সর্বোচ্চ উচ্চতায় দেশের পতাকা উত্তোলনের প্রত্যয় নিয়ে দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান এখন অস্ট্রেলিয়ায়। আজ থেকে রয়্যাল মেলবোর্ন গলফ ক্লাবে শুরু হচ্ছে গলফ বিশ্বকাপ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো গলফার অংশ নিচ্ছেন তাতে।
১৯৫৩ সালে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ গলফে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ২৪ বারের চ্যাম্পিয়ন এবং নয়বারের রানার-আপ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন এবং চারবারের রানার-আপ। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে গলফ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য।
সিদ্দিকুর রহমান প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এ আসরে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অনন্য ইতিহাস গড়লেন। মাত্রই কদিন আগে সিদ্দিকুর জিতেছেন হিরো ইন্ডিয়ান ওপেন। সিদ্দিকুরের কারণেই আমাদের প্রায় অনেকেরই অচেনা খেলা গলফটি সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা নেওয়ার সময় এসে গেছে। আসুন, সংক্ষেপে বুঝে নিই গলফ খেলাটি।
আমজনতার মধ্যে একটা ধারণা আছে, গলফ কোটিপতিদের খেলা। আসলেও অনেকটা যেন তা-ই। প্রধানত ইংরেজিভাষী ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতেই গলফ জনপ্রিয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমাগ্রসরমাণ দেশ যেমন—চীন কিংবা ভারতেও খেলাটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
পেশাদার গলফ প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে—ম্যচ প্লে ও স্ট্রোক প্লে। এ ছাড়া বুগি প্রতিযোগিতা, স্কিন গেম, নয়-পয়েন্ট, ফোরবল, বেস্টবল ইত্যাদি নামে আরও কিছু উপ-আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক গলফও প্রচলিত।
যদিও বর্তমান বিশ্বে গলফ আক্ষরিক অর্থেই ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ সবার খেলা, এর পরও গলফ সম্পর্কে একটা বেশ চালু মিথ আছে। ইংরেজি GOLF শব্দটি Gentlemen Only, Ladies Forbidden-এরই নাকি একটি অদ্যাক্ষর মিলিয়ে তৈরি। অবশ্য নারী-পুরুষের সমতায় বিশ্বাসীরা জেনে খুশি হবেন, এই মিথের কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। গলফের উত্পত্তির ইতিহাস সম্পর্কে নেদারল্যান্ড, চীন, পারস্য, রোম প্রতৃতি দেশ নিয়ে নানা মুনির নানা মত থাকলেও আধুনিক গলফ বলতে মূলত ১৫ শতকে স্কটল্যান্ডে জন্ম নেওয়া গলফকেই বোঝানো হয়ে থাকে।

গলফ খেলায় উপকরণের লম্বা তালিকা থাকলেও প্রধান সরঞ্জাম মূলত দুটি—গলফ ক্লাব ও গলফ বল। অন্যান্য উপকরণের মধ্যে থাকে টি, নিশানদণ্ড, বল মার্কার, গলফ ব্যাগ, ক্লাব কভার। বাধ্যতামূলক নয়, তবে গলফাররা গ্লাভস, ক্যাপ, কেডসও ব্যবহার করে গলফের কেতা অনুসরণ করেন। খেলাটার মধ্যেই যে একটা আভিজাত্যের সুর আছে।

গলফে টি ব্যবহার করা হয় প্রথম শটটি খেলার জন্য বলকে মাটি থেকে একটু উঁচুতে রাখতে। নিশানদণ্ড ব্যবহূত হয় দূর থেকে ‘হোল’ চিহ্নিত করার জন্য। খেলার সময় প্রয়োজনভেদে একজন গলফার বিভিন্ন ধরনের সর্বোচ্চ ১৪টি ক্লাব ব্যবহার করতে পারেন। গলফ ক্লাব সাধারণত কাঠ, লোহা, পুটার এই তিন ধরনের বা এদের সংকর হয়ে থাকে।

‘যে খেলা যতটা অভিজাত, সেটা ততটাই উত্তেজনাহীন এবং খেলার প্রক্রিয়াও সাধারণের জন্য যথেষ্ট দুর্বোধ্য’—সাধারণ এই নীতি গলফের ক্ষেত্রে পুরোপুরি প্রযোজ্য নয়। উত্তেজনা ক্রিকেট-ফুটবলের মতো না হলেও নিয়মনীতিতে গলফ খেলা আর দশটা খেলার চেয়ে বেশ সরল। ‘ক্লাব’-এর আঘাতে বলকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থিত হোল-এ ফেলাই হচ্ছে গলফের সারসংক্ষেপ। গলফ গুটিকয়েক ব্যাট-বলের খেলার অন্যতম, যেখানে মাঠের কোনো নির্দিষ্ট আয়তন নেই; বরং ১০০ থেকে ২০০ একরের গলফ খেলার মাঠ বা গলফ কোর্সকে সংজ্ঞায়িত করা হয়ে থাকে বল ফেলার নির্দিষ্ট গর্ত বা হোল দিয়ে।

কিছু ব্যতিক্রম বাদে গলফ ১৮ হোলের খেলা। খেলার ফলাফল নির্ধারিত হয় সব কটি হোল সম্পন্ন করতে নেওয়া সর্বমোট স্ট্রোকের ভিত্তিতে। নির্ধারিত স্ট্রোকের চেয়ে সবচেয়ে কম খেলা স্ট্রোকের ভিত্তিতেই ঠিক করা হয় বিজয়ী।

তাই খেলাটির স্কোরিংও করা হয় প্রতিটি হোলের জন্য নির্ধারিত স্ট্রোক বা ‘পার’-এর সঙ্গে তুলনা করে। ১৮ হোলের জন্য নির্ধারিত সর্বমোট স্ট্রোকের সংখ্যা ৭২। যার মধ্যে চারটি হোল তিন স্ট্রোকের, মোট ১২ স্ট্রোক; দশটি হোল চার স্ট্রোকের, মোট ৪০ স্ট্রোক এবং চারটি হোল পাঁচ স্ট্রোকের, মোট ২০ স্ট্রোক। পারের চেয়ে এক স্ট্রোক কম খেলাকে বলা হয় ‘বার্ডি’। যথাক্রমে দুই, তিন ও চার স্ট্রোক কম খেলার নাম ইগল, অ্যালবাট্রস বা ডাবল ইগল ও কন্ডোর। এই বার্ডি বা ইগলই একজন গলফারের পরম আরাধ্য। যেহেতু গলফ খেলায় কম সংখ্যক স্ট্রোকই একমাত্র বিবেচ্য, তাই একটা বার্ডি বা ইগলের অর্থ হলো পারের চেয়ে -১ বা -২-এ এগিয়ে থাকা এবং জয়ের দিকে অগ্রসর হওয়া। অপরদিকে পারের চেয়ে বেশি স্ট্রোক খেলাকে স্ট্রোকের সংখ্যার ভিত্তিতে যথাক্রমে ‘বুগি’, ডাবল বুগি ও ট্রিপল বুগিতে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

প্রতিবছরই পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিভিন্ন গলফ টুর্নামেন্ট ও চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে থাকে। প্রাইজ মানির হিসাবে প্লেয়ারস চ্যাম্পিয়নশিপ, ওয়ার্ল্ড গলফ চ্যাম্পিয়নশিপ, দুবাই, ইউরোপিয়ান ট্যুর প্রভৃতি প্রতিযোগিতা এগিয়ে থাকলেও ঐতিহ্য ও মর্যাদার দিক থেকে বিশেষ উল্লেখযোগ্য মেজর চ্যাম্পিয়নশিপ বা শুধুই মেজর। মেজরে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়েরাই অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং একজন খেলোয়াড়ের খ্যাতি ও প্রতিপত্তি বহুলাংশে নির্ভর করে মেজরের সংখ্যার ওপর।

প্রতিবছর ‘মাস্টার্স টুর্নামেন্ট’, ‘ইউএস ওপেন’, ‘ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপ’ এবং ‘পিজিএ চ্যাম্পিয়নশিপ’ নামে পুরুষদের চারটি মেজর অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাজ্যের ‘ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপ’ ছাড়া এ চারটি মেজরের তিনটিই যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত হয়। প্রতিবছর মেয়েদের অনুষ্ঠিত মেজর পাঁচটি। বিখ্যাত খেলোয়াড় ও শিরোপার সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বিশ্বের প্রায় ৩৫ হাজার গলফ কোর্সের মধ্যে ৫০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।

সেদিন হয়তো আর বেশি দূরে নয়, যেদিন এ দেশেও ফুটবলের গোলের সঙ্গে একই কাতারে উচ্চারিত হবে গলফের স্ট্রোক আর হোল কিংবা ক্রিকেটের উইকেট-ছয়-চারের সঙ্গে উচ্চারিত হবে বার্ডি-বুগি-পার শব্দগুলো। সিদ্দিকুর রহমান যে পথ আমাদের দেখালেন, কে জানে সে পথ ধরে এ দেশ থেকেও একদিন উঠে আসবে না টাইগার উডস, জ্যাক নিকলাস, বেন হোগান, আর্নল্ড পালমার, গ্রেগ নরম্যান, কেরি ওয়েবরা!

বিদেশ বিভুঁইয়ে দেশের পতাকা এর আগেও অনেকবার সগৌরবে উড়েছে। অধিকাংশ সময়ই সেই পতাকা বহনের গুরুভার হয়তো বইতে হয়েছে ১১ জনের একটি দলকে। দেশের সেই পতাকার ভার সিদ্দিকুরের একার কাঁধে। একজন শেরপা দিনের পর দিন এভারেস্ট জয় করে চলেন কিন্তু দিন শেষের তারার মেলায় তার দেখা পাওয়া ভার। তখন তিনি নিঃসঙ্গ শেরপা। আমাদের নিঃসঙ্গ শেরপা সিদ্দিকুরের জন্য শুভকামনা। তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শকতি!


Ref:-  http://www.prothom-alo.com/sports/article/79039/%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A6%AB_%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BF_%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9D%E0%A6%A4%E0%A7%87_%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A8

22
IT Forum / Charge your Mobile with fire
« on: November 18, 2013, 09:56:32 AM »
সম্প্রতি এমনই এক চার্জার তৈরি করা হয়েছে, যা আপনার মুঠোফোন বা স্মার্টফোনটিকে আগুনের সাহায্যে চার্জ করে দিতে পারবে। ‘ফ্লেমস্টোয়ার’ নামের বিশেষ এই চার্জার আগুনের মাধ্যমে ব্যাটারি চার্জ করতে পারবে। এ চার্জারে রয়েছে একটি ইউএসবি পোর্ট, ছোট স্ট্যান্ড ও পানি রাখার পাত্র। দরকার হবে আগুনের সাহায্যে পানি গরম করার জন্য একটি সমতল জায়গা। এটি থার্মোইলেকট্রিক পদ্ধতিতে স্মার্টফোনের মতো ছোট যন্ত্রকে চার্জ দিয়ে থাকে। তাপমাত্রার পার্থক্যই এই চার্জারে শক্তি উৎপন্ন করবে। এই প্রক্রিয়ায় বেশি ভোল্টেজে পানি গরম হয়ে নিম্ন বা কম ভোল্টেজের (শীতল উপাদান) দিকে বিদ্যুৎ প্রেরণ করে। তারপর ইউএসবি এবং কিছু অতিরিক্ত শক্তির মাধ্যমে এখান থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবে।
যেকোনো ছোট যন্ত্র এই ইউএসবির তারের সাহায্যে এভাবে চার্জ করা যাবে। মজার ব্যাপার হলো, প্রতি এক মিনিটের চার্জে মুঠোফোনে তিন মিনিটের মতো কথা বলা যাবে। সাড়ে সাত ইঞ্চি লম্বা এবং ২ দশমিক ২৫ ইঞ্চি চওড়া এই চার্জার সহজে বহনযোগ্য। শুধু তা-ই নয়, ইচ্ছা করলে এটিকে ভাঁজ করে গুটিয়েও রাখা যাবে। পানি গরম করার জন্য ব্যবহারকারীকে শুধু সমতল জায়গায় একটি শিখা, অর্থাৎ একটি চুলা বা ক্যাম্পফায়ার রাখতে হবে।



Ref: http://www.prothom-alo.com/technology/article/75883/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87_%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C_%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87_%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A0%E0%A7%8B%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8

23
Telecom Forum / In 2019 two-third mobile will be Smartphone.
« on: November 13, 2013, 10:32:32 PM »
স্মার্টফোন বাজারে আসার পর থেকেই প্রযুক্তি বাজারের ধরণ বদলে গেছে। প্রচলিত সব মোবাইল ফোনকে ফেলে দ্রুত সেই জায়গা দখল করতে শুরু করে এই স্মার্টফোন। গত তিন বছরে স্মার্টফোন বিক্রির হার পেরিয়ে গেছে প্রায় সব ধরনের প্রযুক্তি পণ্যকে। প্রযুক্তি পণ্যের গবেষকরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক বছরেও স্মার্টফোন বিক্রির হার বাড়তেই থাকবে। সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ নেটওয়ার্ক যন্ত্রাংশ নির্মাতা এরিকসনও একমত হয়েছে গবেষকদের সাথে। তারা জানিয়েছে, ২০১৯ সাল নাগাদ স্মার্টফোনের বাজারের আকার হবে বর্তমানের স্মার্টফোনের বাজারের প্রায় তিনগুণ। আর তখন বিশ্বের সর্বমোট মোবাইল ফোনের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই হবে স্মার্টফোন। এরিকসনের মোবিলিটি রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এরিকমনের এই রিপোর্ট জানিয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী মোবাইল সংযোগ সংখ্যা বেড়ে হবে ৯.৩ বিলিয়ন বা ৯৩০ কোটি। এর মধ্যে ৫.৬ বিলিয়ন বা ৫৬০ কোটি সংযোগেই ডিভাইস হিসেবে থাকবে স্মার্টফোন। বর্তমানে বিশ্বে স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন প্রায় ১.৯ বিলিয়ন বা ১৯০ কোটি মানুষ। সেই হিসেবে ২০১৯ সাল নাগাদ স্মার্টফোনের বাজারটি বেড়ে দাঁড়াবে তিনগুণে। আর প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের ব্যবহারকারী ফিচার ফোনের ব্যবহারকারীকে অতিক্রম করবে ২০১৬ সাল নাগাদ। স্মার্টফোনের পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্কেও আসবে পরিবর্তন। ওই সময়ে গিয়ে বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষই ডাব্লিউসিডিএমএ বা এইচএসপিএ নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। আর চতুর্থ প্রজন্মের এলটিই নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে প্রায় ৬৫ শতাংশ নেটওয়ার্ক। বিপুল পরিমাণে স্মার্টফোন ব্যবহারের সাথে সাথে তথ্য স্থানান্তরের পরিমাণও বাড়বে উল্লেখযোগ্য হারে। এরিকসন ধারণা করছে, ২০১৯ সাল নাগাদ তথ্য ব্যবহারের পরিমাণ হবে ১০ এক্সোবাইট বা ১০০ লক্ষ টেরাবাইট! এরিকসনের আগের রিপোর্টটিতে অবশ্য ২০১৮ সালে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে অনুমান করা হয়। বর্তমান রিপোর্টে সেই রিপোর্টের কিছু সংশোধনীও এনেছে তারা। আগের রিপোর্টে স্মার্টফোনের বিক্রি যত দ্রুতগতিতে হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, তার চাইতেও দ্রুত স্মার্টফোন বিক্রি হয়ে চলেছে বলে জানিয়েছে তারা।

Ref: http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMTFfMTNfMTNfMV8zM18xXzg1MzAx

24
IT Forum / How to remove send friend request in Facebook those not accept.
« on: November 12, 2013, 12:04:41 PM »
1. Login to your facebook account.
2. Open a new tab & past this link in new tab  https://www.facebook.com/friends/requests/?fcref=none&outgoing=1  or click on this link.
3. Now you see a list those you send to other but not accept by him/her .
4. Now you can cancel those request from list.
4. Top of the list you get another option to see those friend request list you get from other but not accept.
5. Click that option & you will get the list those you get from other but not accept.
6. Now you can remove those request from list.

25
IT Forum / 10 Hidden Features in YouTube.
« on: November 11, 2013, 11:10:31 AM »
১. শেয়ার
ইউটিউবের ভিডিও কনটেন্ট ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে হলে প্রথমে ভিডিওটি চালু করুন। এরপর ভিডিওর মাঝখানে রাইট মাউস ক্লিক করলে একটি মেনু দেখাবে। তাতে কপি ভিডিও ইউআরএল অ্যাট কারেন্ট টাইম-এ ক্লিক করুন। এতে ভিডিওটির ইউআরএল কপি হবে। কারেন্ট টাইমে ক্লিক করলে আপনি যেখান থেকে চান, সেখান থেকে ভিডিও দেখাতে পারবেন।

২.  প্লে/পজ
ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় যদি বিরতি দিতে চান তবে মাউস দিয়ে পজ বাটনে ক্লিক করলেই হয়। কিন্তু এর পরের বার কিবোর্ডের স্পেস বাটন ব্যবহার করুন। মাউসের চেয়ে কিবোর্ডের মাধ্যমে সহজে পজ করা যায়। পুনরায় ভিডিওটি চালু করতে কিবোর্ডের স্পেস বাটন প্রেস করুন। ভিডিওটি চলতে শুরু করবে।

৩. সামনে ও পেছনে টেনে দেখা
আপনি যদি ভিডিও সামনে বা পেছনে টেনে দেখতে চান তখন কিবোর্ডের লেফট অ্যারো কি ও রাইট অ্যারো কি ব্যবহার করতে পারেন। মাউসের মাধ্যমে এ কাজটি করতে বেশি সময় লাগে। অথচ কিবোর্ড ব্যবহার করে দেখুন, যথেষ্ট সহজ হয়ে যাবে।

৪. পরে দেখতে
ধরুন আপনি কোনো ভিডিও দেখছেন। প্রায় মাঝামাঝি অবস্থানে। জরুরি প্রয়োজনে আপনাকে এখন উঠতে হবে। তবে ভিডিও দেখা বন্ধ করলেই আবার শুরু থেকে দেখতে হবে এমন কথা নেই। আপনি চাইলে পরেও যেখানে শেষ করেছেন সেখান থেকেই আবার দেখা শুরু করতে পারেন। এ জন্য ‘ওয়াচ লেটার’ বাটনে প্রেস করুন। এটি দেখতে ঘড়ির মতো। এতে পরবর্তীতে আপনাকে আবার ভিডিওটি খুঁজে বের করতে হবে না। সহজেই আগের ভিডিওতে ফিরে যেতে পারবেন।

৫. বিষয় নিষ্ক্রিয় করে দিন
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ভিডিও দেখতে না চান, তবে আপনি সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারেন। এ জন্য এমবেড কোডে গিয়ে ইউআরএল-এর শেষে ?rel=0 যুক্ত করুন।

৬. রিপিট ভিডিও:
আপনি যদি ইউটিউবের কোনো ভিডিও বারবার দেখতে চান তবে সেটিকে রাখুন ইউটিউব রিপিটারে। এ জন্য ভিডিওটি সিলেক্ট করার পর অ্যাড্রেস বারে ইউটিউব লেখার পর রিপিটার শব্দটি যোগ করতে হবে। অর্থাৎ ইউটিউব অ্যাড্রেস তখন হবে অনেকটা এ ধরনের- http://www.youtuberepeater.com/watch?

৭. কাস্টমাইজড সার্চিং
আপনি যদি সার্চ রেজাল্ট অনুসন্ধান করতে চান, তাহলে নম্বরের কোড ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি হাই ডেফিনিশন (এইচডি) কোনো ভিডিও দেখতে চান তবে কাস্টমাইজড সার্চ বক্সে এইচডি নির্বাচন করুন। এছাড়া আপনি চাইলে বিভিন্ন অপশনও নির্বাচন করে ছোট ও বড় ভিডিও খুঁজতে পারেন। এভাবেই অনুসন্ধান করতে পারেন থ্রিডি ভিডিও। এছাড়া ২০ মিনিটের চেয়ে লম্বা ভিডিও পেতে লিখুন লং। সার্চ বক্সে শর্ট লিখলে সর্বোচ্চ চার মিনিটের ভিডিওর তালিকা দেখাবে।

৮. অন্য ভাষায় খুঁজুন
ইউটিউবে বিভিন্ন ভাষায় আপলোড করা বিষয়বস্তু খুঁজে বের করা যায়। ইংরেজি ছাড়াও অন্যান্য ভাষায় বিষয়বস্তুর উপর নির্মিত ভিডিও দেখতে ইউটিউব পেইজের একেবারে নিচে গিয়ে ল্যাঙ্গুয়েজ অপশনটি পরিবর্তন করুন। এখানে আফ্রিকানস থেকে ভিয়েতনামিজ যে কোনো ভাষায় পরিবর্তন করতে পারেন। এরপর কিবোর্ডের মাধ্যমে নির্বাচিত ভাষায় অনুসন্ধান করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সার্চ বক্সে লেখার সময় কিছুটা পরিবর্তন দেখা যাবে। যেমন হিব্রু ভাষায় লিখতে গেলে তা বাম থেকে ডান দিকে লেখা হবে। এতে পেইজের আকৃতিও নতুনভাবে দেখা যাবে।

৯. এমবেড করুন ভিডিও
আপনি যদি অন্য কোনো ওয়েবসাইটে ইউটিউবের ভিডিও আপলোড করতে চান, তবে শেয়ার বাটনে প্রেস করুন। এবার এমবেড-এ গিয়ে আপনি ভিডিওটি দেখার উইন্ডোর আকার ছোট বড় করতে পারেন।

১০. ধীরগতির ইন্টারনেট
আপনার ইন্টারনেট সংযোগ যদি ধীরগতির হয়, তখন ইউটিউবে ভিডিও দেখতে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন ইউটিউব ফেদার। এখান থেকে আপনি লো ভার্সনের ভিডিও দেখতে পারবেন। এভাবে ভিডিও দেখার সময় কিছু বাটন ও ফিচার দেখাবে না। এতে তুলনামূলক কম সময়ে ভিডিও লোড হবে।

ইউটিউব ফেদার সেট করতে অ্যাড্রেস বারে টাইপ করুন
. এরপর সেখান থেকে ফেদার বেটা সেট করে নিতে হবে।


Ref:  http://bangla.bdnews24.com/tech/article697719.bdnews

26
Telecom Forum / Your iPhone use as Projector.
« on: November 02, 2013, 09:10:51 AM »
গান শোনার যন্ত্র বা ভিডিও স্ট্রিমারের কাজ করে আইফোন। এটা পুরোনো খবর। নতুন খবর হচ্ছে শিগগিরই এই আইফোন আপনার শোবার ঘরের দেয়ালের ওপর মুভি প্রজেক্টর হিসেবে কাজ করবে এবং বড় পর্দায় ভিডিও দেখার সাধ খুব ভালোভাবেই মেটাবে। সম্প্রতি জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত আইএফএ সম্মেলনে প্রযুক্তি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ‘এইপটেক’ একটি নতুন বহনযোগ্য প্রজেক্টর দেখিয়েছে, যার নাম ‘আই ৫৫’। মূলত আইফোন ৫-এর সঙ্গে কাজ করার কথা মাথায় রেখেই এর নকশা করা হয়েছে। তবে আইফোন ৪-এর জন্যও প্রতিষ্ঠানটির ‘পকেট প্রজেক্টর’ রয়েছে। আই ৫৫ এমনই একটি বহনযোগ্য প্রজেক্টর, যা আইফোনের পর্দায় প্রদর্শিত যেকোনো ছবিকে ৬০ ইঞ্চি মাপে বড় করে দেখাতে পারবে। আই ৫৫ প্রজেক্টরে একটি স্পিকারও রয়েছে। এতে আরও আছে একটি ব্যাটারি, যা ভিডিও প্রদর্শনের সময় আপনার আইফোনে চার্জ দিতে থাকবে। ফলে ব্যাটারির ব্যাকআপ নিয়েও চিন্তা করতে হবে না। শুধু তাই নয়, এতে আছে একটি এইচডিএমআই ইনপুট-ব্যবস্থা, যার ফলে একটি অ্যাডাপ্টারের সাহায্যে আইপ্যাড মিনি এবং আইফোনের আগের সংস্করণগুলোও এর সঙ্গে কাজ করবে। এর দাম ৩৫০ ডলার। বর্তমানে শুধু ইউরোপের দেশগুলোতে এর বাজারজাতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


Ref:-  http://www.prothom-alo.com/technology/article/62899/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8_%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87_%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0

27
Telecom Forum / Social Media mostly use in Mobile Phone.
« on: October 29, 2013, 10:16:15 AM »
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো কম্পিউটারের চেয়ে মোবাইল ফোন থেকেই বেশি ব্যবহূত হয়। সম্প্রতি এক জরিপে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। জরিপ পরিচালনাকারী ওয়েবসাইট স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুযায়ী ছবিসংক্রান্ত কাজের প্রায় ৯২ শতাংশই হয় মোবাইল ফোন থেকে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ছবির বিভিন্ন কাজ কম্পিউটার থেকে মাত্র ৮ শতাংশ করা হয়। শুধু মোবাইল ফোনেই মানচিত্রের কাজ ৮৬ শতাংশ, গেমস ৭৮ শতাংশ, আবহাওয়ার খবর ৬৯ শতাংশ, সামাজিক যোগাযোগের কাজ ৬৫ শতাংশ, খুচরা বিক্রির কাজ ৪৬ শতাংশ, বিনোদন সংবাদ ৪০ শতাংশ, ব্যবসার খবর ৩৯ শতাংশ, সংবাদ ৩৮ শতাংশ, স্বাস্থ্যতথ্য ৩৫ শতাংশ, পোর্টাল দেখার ২৫ শতাংশই দেখা হয়। খবর, ব্যবসায়িক কাজ, স্বাস্থ্যতথ্যের মতো কাজগুলো এখনো মোবাইল ফোনের চেয়ে কম্পিউটার থেকেই বেশি ব্যবহার করেন ব্যবহারকারীরা।
জরিপের এমন ফলাফল আশা জাগিয়েছে শুধু মোবাইল ফোন নিয়ে ভাবছে, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। বিশেষ করে কয়েক বছর ধরেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে। মোবাইল ফোনে কীভাবে এসব সেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও উন্নত সেবা পাওয়া যায়, সেসব বিষয়েও ভাবছে শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো।


Ref: http://www.prothom-alo.com/technology/article/59581/%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2_%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87_%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF_%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A7%82%E0%A6%A4_%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%BC

28
Cricket / In test Cricket.
« on: September 30, 2013, 11:46:22 AM »
১৯৪৮-৪৯ সালে একটি তিন দিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মহারাষ্ট্র ও কাটিওয়ার। প্রথম দুই দিনে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৪৪৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন কাটিওয়ারের ব্যাটসম্যান ভুসাহেব নিমবালকার। আর মাত্র ৯ রান করলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন ডন ব্রাডম্যানের ৪৫২ রানের বিশ্বরেকর্ডটি। কিন্তু তৃতীয় দিনে আর ব্যাটই করতে নামেননি নিমবালকার। ইনিংস ঘোষণা করে মহারাষ্ট্রকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল কাটিওয়ার। স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান জমা হয়ে গিয়েছিল বলেই নাকি ইনিংস ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু অনেককে এটাও বলতে শোনা যায় যে, তৃতীয় দিনে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল নিমবালকারের। এ জন্যই নাকি রেকর্ডের লোভে আর মাঠে নামেননি ব্যাট হাতে।

কাছাকাছি ধরনেরই একটা ঘটনা ঘটেছিল ১৯৩৮-৩৯ সালে। ওই সময় টেস্ট ক্রিকেট এখনকার মতো পাঁচ দিনের ম্যাচ ছিল না। ফল নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত খেলা চলতেই থাকত। ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি গড়িয়েছিল নবম দিনে। ইংল্যান্ড ব্যাটিং করছিল ৬৯৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে। ৫ উইকেট হারিয়ে ৬৫৪ রান সংগ্রহও করে ফেলেছিল সফরকারীরা। কিন্তু শেষ কয়েকটা রান আর জমা করা হয়নি স্কোরবোর্ডে। ইংল্যান্ডগামী জাহাজটা ছাড়ার সময় হওয়ায় খেলা ফেলেই ছুটতে হয়েছিল ইংলিশ ক্রিকেটারদের। এটাই টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘতম ম্যাচ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।

টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ম্যাচটি খেলা হয়েছিল ২০০৯ সালে। ইংল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই ম্যাচে মাঠে গড়িয়েছিল মাত্র ১০টি বল। এর পরই মাঠের অনিরাপদ অবস্থার কথা বিবেচনা করে খেলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন আম্পায়াররা।

১৮৭৭ সালের মার্চে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত প্রথম আনুষ্ঠানিক টেস্ট ম্যাচটিতে ইংল্যান্ডকে ৪৫ রানে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ঠিক ১০০ বছর পর মেলবোর্নেই আরেকটি ম্যাচ আয়োজন করা হয় প্রথম সেই ম্যাচটির শতবর্ষ উদযাপনের জন্য। অদ্ভুতভাবে এবারও জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ঠিক ওই ৪৫ রানের ব্যবধানেই। অদ্ভুত পুনরাবৃত্তিই বটে!

একই দিনে চারটা ইনিংস মাঠে গড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে। ২০০০ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচে দেখা গেছে এই বিরল ঘটনাটা। টেস্ট ক্রিকেট এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে এই একবারই।

ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী একই বোলার পর পর দুটি ওভার বল করতে পারেন না। কিন্তু এমন নজিরও আছে ক্রিকেট ইতিহাসে। ১৯৫১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই কাজটা করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের অ্যালেক্স মোইর। চা-বিরতির ঠিক আগের ও পরের ওভারে বল করেছিলেন এই কিউই বোলার। এমন ঘটনা এর আগে ঘটেছিল আর একবারই। ১৯২১ সালের অ্যাশেজ সিরিজের একটি টেস্টে।

টেস্ট ক্রিকেটে টাই ম্যাচের ঘটনা ঘটেছে মাত্র দুইবার। দুটি ম্যাচের সাক্ষীই অস্ট্রেলিয়া। প্রথমবার ১৯৬০-৬১ সালে ব্রিসবেনে, তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয়বারের ঘটনাটি ১৯৮৬-৮৭ সালের। সেবার মাদ্রাজে অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হয়েছিল ভারতের।

খেলার মধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে অনেকেই গালমন্দ করেন প্রকৃতির খামখেয়ালকে। কিন্তু আজ যে একদিনের ক্রিকেটের এত রমরমা, এর মূলে কিন্তু আছে এই বৃষ্টির বাধা। ১৯৭১ সালে ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম যে একদিনের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেটা আদতে একটা পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচই হওয়ার কথা ছিল। বৃষ্টির কারণে প্রথম চার দিন পণ্ড হওয়ায় পঞ্চম দিনেই একটি একদিনের ম্যাচ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৫ উইকেটে। একদিনের ক্রিকেটের প্রথম বলটি মোকাবিলা করেছিলেন জিওফ বয়কট। বোলার ছিলেন গ্রাহাম ম্যাকেনজি।


Ref:--  http://www.prothom-alo.com/sports/article/51773/%E0%A6%AF%E0%A6%A4_%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1_%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F_%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87

29
IT Forum / Record sale the game GTA Five.
« on: September 23, 2013, 09:51:42 AM »
বাজারে আসার মাত্র তিন দিনের মাথায় ১০০ কোটি ডলার আয়ের মাইলফলক পার করল ভিডিও গেইম 'গ্র্যান্ড থেফট অটো'র নতুন সংস্করণ 'জিটিএ ফাইভ'। এর মধ্যে শুধু প্রথম দিনের আয়ই ছিল ৮০ কোটি ডলার। গেইমটির পরিবেশক 'টেক টু ইন্টারেক্টিভ' জানিয়েছে, গেইমে আয়ের দিক থেকে এটি একটি রেকর্ড। এর আগে বাজারে আসা কোনো গেইমই এত অল্প সময়ে 'বিলিয়ন ডলার' বিক্রি করতে পারেনি। গত বছরে বাজারে আসা আরেক জনপ্রিয় গেইম 'কল অব ডিউটি'র 'ব্ল্যাক অপস টু' সংস্করণ প্রথম দিনে আয় করেছিল ৫০ কোটি ডলার। বিলিয়ন ডলার আয় করতে ব্ল্যাক অপস টুর সময় লেগেছিল ১৫ দিন। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের পটভূমিতে তৈরি অ্যাকশনধর্মী গেইমটি আপাতত মাইক্রোসফটের কনসোল 'এক্সবক্স ৩৬০'তে খেলা যাবে।

Ref:--http://www.kalerkantho.com/print_edition/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1372&cat_id=1&menu_id=61&news_type_id=1&index=0#.Uj-7on9ad5I

30
Telecom Forum / New iPhone New OS.
« on: September 22, 2013, 09:55:00 AM »
গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর বাজারে এসেছে আইফোনের দুটো নতুন মডেল—৫এস ও ৫সি। কী থাকছে নতুন আইফোনে, আসছে কী কী পরিবর্তন? এসব নিয়েই আইফোন-ভক্তদের ব্যাকুল প্রতীক্ষার মধ্যেই অ্যাপল ছাড়ল আইফোন ও আইডপ্যাডের নতুন অপারেটিং সিস্টেম আইওএস-৭। একটা বিষয় নিশ্চিত, হার্ডওয়্যারে নয়; নতুন আইফোনে নাটকীয় পরিবর্তন বেশি থাকবে এর সফটওয়্যারেই।নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমের চেহারাটা হয়তো কিছু কিছু ব্যবহারকারীকে নাখোশ করবে। তবে অ্যাপল আশাবাদী, বর্তমান গ্রাহকদের সন্তুষ্টির পাশাপাশি এটি আবার জোয়ার এনে দেবে আইফোনের ব্যবসায়। অ্যান্ড্রয়েডের দাপটে হারানো রাজত্ব আবার ফিরে পেতে মরিয়া অ্যাপল। আইফোন-৫ প্রত্যাশিত ব্যবসা করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্লেষক র‌্যামন লামাস মনে করেন, আইওএস-৭ হতে যাচ্ছে অ্যাপলের জন্য বড় ধরনের এক পরীক্ষা, ‘আমি যেসব প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি, তাতে লোকেরা বলছে, নতুন আইফোন ঠিকই আছে। তবে আমি বরং পরের বছরের মডেলের জন্যই অপেক্ষা করব।’ অ্যাপল অবশ্য আশাবাদী। এই অপারেটিং সিস্টেমে ২০০টিরও বেশি বৈশিষ্ট্য থাকছে। থাকছে উন্নততর মাল্টিটাস্কিং, শেয়ারিং, নতুন ক্যামেরা অ্যাপস। আর অবশ্যই বহুল প্রত্যাশিত আইটিউনস রেডিও। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে এর গ্রাফিকসে।


Ref:- http://www.prothom-alo.com/technology/article/49091/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8_%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87_%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8_%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%93%E0%A6%8F%E0%A6%B8

Pages: 1 [2] 3 4 ... 11