Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - protima.ns

Pages: 1 ... 15 16 [17]
241
খুব সহজে ভীষণ সুস্বাদু দই বড়া তৈরির একটি দারুণ রেসিপি! -
ইফতারির টেবিলে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে দই বড়া। এই খাবারটি অনেকেই বাইরে থেকে কিনে খান, যদিও বাড়িতেই খুব সুস্বাদু দই বড়া তৈরি সম্ভব। খুব কঠিন মনে হয় দই বড়া তৈরির কাজটি? তাহলে ঝটপট দেখে নিন আতিয়া আমজাদের দই বড়া তৈরির খুব সহজ একটি রেসিপি।
উপকরণ

কালো খোসাসহ মাসকলাই-এর ডাল ১ কাপ
বেকিং সোডা ১ চা চামচ
টক দই ১ কাপ
মিস্টি দই ১ কাপ
টালা জিরার গুঁড়ো ২ টে চামচ
টালা শুকনা মরিচের গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
তেঁতুলের ক্বাথ ১/২ কাপ ( ১/২ চা চামচ করে লবণ, বিট লবণ, মরিচের গুঁড়ো ,জিরার গুঁড়ো ও ১ চা চামচ চিনি আলাদা ভাবে মিশিয়ে নিবেন)
কাঁচা মরিচ বাটা ১ চা চামচ
পুদিনা পাতা বাটা ১ টা চামচ
বিট লবণ ১ চা চামচ
লবণ ১ চা চামচ বা পরিমান মতো দ-এ মেশানোর জন্য
পানি ১/৪ কাপ ও ৪ কাপ আলাদা আলাদা
লবণ ৫ টে চামচ পানিতে দেয়ার জন্য
তেল ১ কাপ
প্রনালি

    -১ লিটার পানিতে বেকিং সোডা গুলে মাসকলাই-এর ডাল ৮-১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন এবং পানি ঝরিয়ে পাটায় বা ব্লেন্ডারের সাহায্যে মিহি পেস্ট করে নিন। খেয়াল রাখতে হবে পেস্ট যেন ঘন হয়।
    -কাপ পানিতে ৫ টা চামচ লবন গুলিয়ে রাখুন।
    -ডালের পেস্টে ১/৪ কাপ পানি দিয়ে কাঁটা চামচের সাহায্যে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে ৫/৭ মিনিট।
    -এবার তেল গরম হলে ডালের পেস্ট দিয়ে ছোট ছোট বড়া ভেজে লবণ মেশানো পানিতে দিয়ে ১৫/২০ মিনিট চুবিয়ে রাখুন।
    -এই ফাঁকে দই-এর সসটি রেডি করতে হবে। তেঁতুলের ক্বাথ ও টালা মরিচের গুঁড়ো ছাড়া বাকি সব উপাদান মিশিয়ে ১/৪ কাপ পানি দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন এবং চেখে দেখুন সব ঠিক আছে কিনা। না হলে স্বাদ অনুযায়ী এ্যাডজাস্ট করুন।
    -এবার বড়া গুলো পানি থেকে তুলে দই-এ আলতো করে দিয়ে দিন ও ঘন্টা খানিক ভিজতে দিন।
    -তেঁতুলের ক্বাথে চিনি, বিট লবন, লবণ, টালা জিরার গুঁড়ো ও টালা মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে রাখুন।
    -তেঁতুলের ক্বাথ ও স্বাদ মতো টালা মরিচের গুঁড়ো দই বড়ার ওপরে ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।


242
পুরো রমজান মাস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূরে রাখুন ২টি সহজ কাজে
রমজান মাস মানে সংযমের মাস। খাবারের প্রতি সংযম রেখে খারাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখার শিক্ষা গ্রহণের মাস। কিন্তু এ মাস ঘিরেই যেন খাবারের উত্‍সব লেগে যায় ভোজনরসিক বাঙালীদের ঘরে ঘরে। ইফতারের থালা উপচে পড়ে নানা রকম খাবারে। ইফতারের নানা পদে বিশেষভাবে প্রাধান্য পায় বিভিন্ন তেলে ভাজা খাবার। ফলাফল, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, বুক-পেট জ্বালাপোড়া, ব্যথা। অথচ মাত্র দুটি ছোট্ট কাজ করে পুরো রোজার মাস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রাখতে পারবেন দূরে। তাও আবার প্রিয় খাবার খাওয়া বাদ না দিয়েই! কী সেই কাজ দুটি? জেনে নিন।

১. ইফতার শুরু করুন খেজুর দিয়ে। শুরুতেই অনেকখানি পানি বা শরবত পান করে ফেলবেন না। পানীয় জাতীয় জিনিস ধীরে ধীরে ইফতারের অন্য খাবারের ফাঁকে ফাঁকে খান। ইফতার করা শেষ হলে আধা ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা আদা চিবিয়ে খান। রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে খানিকটা লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ভাজাভুজির খাওয়ার কারণে যে গ্যাসের সমস্যা হতো, তার সম্ভাবনা কেটে যাবে অনেকাংশে।

২. সেহেরিতে চেষ্টা করবেন কম তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেতে। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম হবে। সেহেরিতে যা-ই খান না কেন, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন। সেহেরি খাবার পর আধা কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ সাদা সিরকা মিশিয়ে পান করুন।

উপরের দুটি কাজ যদি পুরো রমজান অনুসরণ করতে পারেন, তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আপনার কাছ থেকে থাকবে বহু বহু দূরে।

243
শুধুমাত্র তুলসী পাতার ব্যবহার করে সমাধান করুন ৬ রকমের শারীরিক সমস্যা:
সেই প্রাচীনকাল হতেই নানা শারীরিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহার হয়ে আসছে তুলসী পাতা। তুলসী পাতার ঔষধি গুণের কারণে এটি বহুকাল ধরেই সমাদৃত ঘরোয়া চিকিৎসায়। ছোটোখাটো নানা শারীরিক সমস্যা থেকে শুরু করে মারাত্মক দৈহিক সমস্যাও দূর করতে কার্যকরী এই তুলসী পাতা। আজ জেনে নিন শুধুমাত্র তুলসী পাতার ব্যবহারে নানা শারীরিক সমস্যা সমাধানের দারুণ উপায়গুলো।

১) গলাব্যথা ও সর্দি কাশি দূর করে
ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠাণ্ডা লেগে সর্দি কাশি হয়ে যায় এবং গলা ব্যথার সমস্যাও দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করবে শুধুমাত্র তুলসীপাতা। নিয়মিত তুলসী পাতার রস পান করলে ও তুলসী পাতা ফোটানো পানি দিয়ে গার্গল করলে দ্রুত সমস্যার সমাধান পাবেন।

২) মাথাব্যথা উপশম করে
অনেক সময় মানসিক চাপ, মাইগ্রেন বা অন্যান্য অনেক কারণেই মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। মাথাব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে শুকনো তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে এই পানির ভাপ নিন। খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

৩) দাঁতের সমস্যা দূর করে
দাঁতের জীবাণু দূর করতে তুলসী পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জুড়ি নেই। এছাড়াও মাড়ির ইনফেকশন জনিত সমস্যা দূর করে তুলসী পাতা। সমস্যা দূর করতে শুধুমাত্র তুলসী পাতা চিবিয়ে রস শুষে নিন।

৪) জ্বর নিরাময়ে
১ মুঠো তুলসী পাতা ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করলে নানা ধরণের জ্বর যেমন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। এছাড়াও সাধারণ ঠাণ্ডা জ্বর হলে তুলসী পাতার চা তা দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করে।

৫) কিডনির সমস্যা দূরে রাখে
তুলসী পাতার রস দেহ থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করার ক্ষমতা রাখে। নিয়মিত তুলসী পাতার রস পান করলে কিডনির সমস্যা, কিডনি ড্যামেজ এমনকি কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়।

৬) কানের ইনফেকশন দূর করে
অনেক সময় কানের বিভিন্ন কারণে কানের ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করতে চান তাহলে কানে কয়েক ফোঁটা তুলসী পাতার রস ফেলে দিন। তুলসী পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটোরি উপাদান কানের ইনফেকশন ও প্রদাহ দূর করবে।







 


   
       
       
     
       

244
 আনারস ও দুধ একসাথে খেলে কী হয়?
আনারস ও দুধ একসাথে খেলে কিছুই হয় না। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কোন না কোন খাবার অথবা কোন বিশেষ দুইটি খাবারের সংমিশ্রন সমন্ধে কুসংস্কার আছে। এদের কে বলা হয় "ফুড ট্যাবু"। এসব কুসংস্কার এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, কোন না কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এইসব "ফুড ট্যাবু" এর উদ্ভব হয়। আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া ঘটে- এটা সেরকম ই একটা "ফুড টাবু"। এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
আনারস ও দুধ একসাথে খেলে যা ঘটে :

আনারস এসিডিক একটা ফল। দুধে আনারস মেশালে দুধ ফেটে যেতে পারে। ফেটে যাওয়া দুধ খেলে আপনার খুব বেশি হলে পেট খারাপ হতে পারে, কিন্তু বিষক্রিয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। দুধের সাথে অন্য যে কোন এসিডিক ফল খেলেও আপনি একই সমস্যায় পরতে পারেন। তাছাড়া আপনারা সবাই জানেন যে আমাদের পাকস্থলী এসিডিক। তাই পেট এ যাওয়ার পর দুধ ফাটবেই, সেটা আপনি আনারসের সাথে না খেলেও।

- কাচা আনারস প্রবল রকম কটু ও তিক্ত স্বাদের। এটি বমি উৎপাদনকারী এবং কিছুটা বিষাক্ত। কেউ কাঁচা আনারসের সাথে দুধ খাওয়ার ফলে কোন ধরনের দুর্ঘটনায় এই "ফুড ট্যাবু" এর উদ্ভব হতে পারে।

- আনারস এসিডিক। খালি পেটে আনারস খেলে প্রচন্ড পেটে ব্যথার তৈরী হয়। কোন গ্যাস্ট্রিক এর রোগীর খালি পেটে আনারসের সাথে দুধ খাওয়ার ফলে এই "ফুড ট্যাবু" এর উদ্ভব হতে পারে।

- ল্যাকটোস ইনটলারেন্স নামে একটি রোগ আছে, যেই রোগের রোগীরা দুধ হজম করতে পারেনা। ল্যাকটোস ইনটলারেন্স এর কোন রোগীর ঘটনাবশতঃ দুধ এর সাথে আনারস খেয়ে ফেলায় পুরো দুধ-আনারস মিশ্রন কে দোষারোপ করে এই ট্যাবুর সূত্রপাত হতে পারে।

ট্যাবুটার উদ্ভব এর কারণগুলো আনুমানিক হলেও, আনারস-দুধের মিশ্রনে যে বিষাক্ত নয় তা প্রমাণিত। বাইরের দেশে মানুষ অহরহই "পাইনএপেল মিল্কসেক", "পাইনএপেল স্মুথি" খায় যা আনারসের সঙ্গে দুধের মিশ্রনে তৈরী হয়। তাছাড়া পাইনএপেল ফ্লেভারের দই এবং কটেজ চীজ (একধরণের পনির) এর সাথে আনারসের টুকরো খাওয়ার প্রচলন ও অনেক দেশে আছে। তারা আনারস-দুধের মিশ্রন খেয়ে দিব্যি বেচে আছে। আনারস-দুধের মিশ্রনের চাইতে আমরা যে ফরমালিন যুক্ত ফল খাই তা অনেক বেশি ক্ষতিকর। ধন্যবাদ
-

245
Faculty Sections / খেজুরের পুষ্টিগুণ
« on: June 18, 2015, 11:04:48 AM »
খেজুরের পুষ্টিগুণ
পুষ্টিগুণের দিক থেকে খেজুরের কোনো তুলনা নেই। সারা বছর এই খাবারটির চাহিদা না থাকায় বাজারে খুব বেশি দেখাও যায় না। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ তাৎপরযপূর্ণ হওয়ায় রোজাদারগণ সর্বপ্রথম খেজুর মুখে দিয়েই ইফতার করেন এবং নিজের অগোচরেই গ্রহণ শরীরের জন্য উপকারী পুষ্টি।

 

যে সকল খাদ্য উপাদান রয়েছে:

    খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল, যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।
    প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ৩২৪ মিলিগ্রাম ক্যালরি থাকে। ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে, তাই খেজুর শিশুদের জন্যও অনেক উপকারী একটি ফল।
    খেজুরে রয়েছে ৭৭.৫% কার্বহাইড্রেট, যা অন্যান্য খাদ্যের বিকল্প শক্তি হিসেবে কাজ করে।
    তাই ক্ষুধা নিবারণের বিকল্প খাদ্য হিসেবে আমরা ২-৪টি খেজুর খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করতে পারি।
    এ ছাড়া খেজুরে রয়েছে ৬৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৭.৩ মিলিগ্রাম লৌহ - যা হাড়, দাঁত, নখ, ত্বক, চুল ভালো রাখতে সহয়তা করে।
    আয়রনের পরিমাণও রয়েছে খেজুরে। তাই রক্তস্বল্পতা ও শরীরের ক্ষয়রোধ করতে খেজুরের রয়েছে বিশেষ গুণ।

 

রোগ নিরাময়কারী:

খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী। হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক, কামশক্তি বর্ধক, মুখে রুচি আনায়নকারী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মুখের অর্ধাঙ্গ রোগ, পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী। খেজুরের বিচিও রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পাতলা পায়খানা বন্ধ করে। এর চুর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়। খেজুর পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমায় উপকারী। এছাড়া খেজুর ফুলের পরাগ রেণু পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করে শুক্রাণু বৃদ্ধি করে বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে।

 

246
Faculty Sections / ঝিঙ্গার ওষুধি গুন
« on: June 17, 2015, 12:16:08 PM »
ঝিঙ্গার ওষুধি গুন :
সব সবজিতে ভেষজ গুণ রয়েছে। ব্যবহারবিধি জানা থাকলে সবজি মাত্রই ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ঝিঙ্গা আর ধুন্দুলের (চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় পরুল) ব্যতিক্রম নয়। অন্য দিকে ঝিঙ্গা আর ধুন্দুলের ভেষজ গুণের কথা বলতে গেলেই যকৃৎ ও প্লীহার (কলজে আর পিলে) কথা এসে যায়।

বৈদিক শাস্ত্রমতে এ দু’টি মানুষের শরীরে যেন দু’টি দৈব্য। এরা যেন দুই ভাই, কাজ করে এরা একযোগে, একজন বিগড়ালে আরেকজনও বিগড়ে যায়; নয়তো বসে যায়। আবার এরা বিগড়ালে ঝিঙ্গা আর ধুন্দুল এদেরকে শাসন ও শায়েস্তা করতে পারে। ঝিঙ্গা ও ধুন্দুলের অপর নাম যথাক্রমে ধারা কোষিতক ও কোষিতক। মহাভারতের অনুসারে ভগবতীর নিজের কোষ হতে তৈরি এ দুই কোষিতকই একই গুণসম্পন্ন; তাই ব্যবহারবিধিও একই, এ জন্য পরবর্তীকালে এদের ব্যবহারবিধি একই সাথে দেয়া হলো।


আয়ুর্বেদ মতে ঝিঙ্গা শীতল, মধুর, পিত্তনাশক, ুধাবর্ধক; তবে বাত, কফ ও বায়ু সৃষ্টি করে। এটি শ্বাসের কষ্ট অর্থাৎ হাঁপানি, জ্বর, কাশি ও কৃমিরোগ উপশম করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে করে ও পেট পরিষ্কার করে। এটি দেরিতে হজম হয় বলে রোগীদের পক্ষে খাওয়া অনুচিত।
ধুন্দুল স্নিগ্ধ, বলকারক, রুচিবর্ধক, বায়ুনাশক, রক্তপিত্ত (নাক ও মুখ দিয়ে রক্তপড়া) ও বাতপিত্ত কমায়, ুধাবর্ধক, কৃমিনাশক ও কফ নিবারক। নিচে ঝিঙ্গা ও ধুন্দুলের ব্যবহারবিধি দেয়া হলো।


শোথের মূত্রকৃচ্ছ্রতা : হৃদরোগ, যকৃৎগত রোগ বা অন্যান্য কারণে শোথ হয়; তাতে প্রস্রাবের কৃচ্ছ্রতাও হয়। সে সময় কাঁচা ঝিঙ্গা ও এর পাতার রস অথবা যেকোনো একটার রস নিয়ে একটু গরম করে রাখতে হবে। সে রস থেকে দুই চা চামচ করে ২ ঘণ্টা পর পর তিন-চারবার আধা কাপ পানির সাথে মিশিয়ে পান করতে হবে। তবে শুধু পাতার রস হলে দুইবার খাবে ও ঝিঙ্গা ফলের রস চারবার দেয়া যাবে। ক’দিন এভাবে খেলে ধীরে ধীরে শোথ ও মূত্রকৃচ্ছ্রতা, সে সাথে মূত্রস্বল্পতার উপশম হবে।


বমির ভাব : চাপা অম্বল, গা প্রায় সময় বমি বমি করে, সে ক্ষেত্রে ঝিঙ্গার পাকা বীজ তিন-চারটা নিয়ে বেঁটে এক কাপ পানি গুলে খেতে হয়। তাতে পেটে বায়ু থাকলে তাও কমে যাবে। বমির ইচ্ছাটাও থাকবে না; তবে বীজ তেতো হলে বমি হয় বলে দুর্বল, বৃদ্ধ, শিশু ও গর্ভবতী মহিলাকে খাওয়ানো যাবে না।


পাথুরী : ঝিঙ্গা লতার শিকড় (আকশী) গরুর দুধে বা ঠাণ্ডা পানিতে মেড়ে পর পর তিন দিন খেলে পাথুরী দূর হয়।
মাথার যন্ত্রণা (শ্লেষ্মাজনিত) : কাঁচা ঝিঙ্গার রস দুই-তিন ফোঁটা নাকে টেনে নিলে এবং সে সাথে দুই চা চামচ রস একটু গরম করে সাত-আট চা চামচ পানিতে মিশিয়ে পান করলে শ্লেষ্মা বেরিয়ে গিয়ে যন্ত্রণা কমে যাবে। এ ছাড়া ঝিঙ্গা শুকিয়ে গুঁড়া করে নস্যি নিলে মাথাব্যথা সারে।


অর্শের রক্ত পড়া : এ রোগকে রক্তার্শও বলা হয়। এতে রক্ত পড়ে, যন্ত্রণাও আছে। এ ক্ষেত্রে কচিও নয়, আবার পাকাও নয় (আধা পাকা) এ রকম ঝিঙ্গা কুচি কুচি করে কেটে রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিতে হয় এবং কাপড় বা চালনিতে চেলে সে গুঁড়া এক গ্রাম মাত্রায় নিয়ে আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে দুইবার করে খেতে হয়।


কুষ্ঠরোগ : আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে কুষ্ঠ কথার অর্থ ব্যাপক। এতে দাদকেও ক্ষুদ্র কুষ্ঠ বলা হয়েছে। যদি দেখা যায়, কিছুতেই কিছু হচ্ছে না বা চিকিৎসাও সম্ভব হচ্ছে না, তখন ঝিঙ্গা পাতার রস এক-দেড় চা চামচ প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে একটু পানি মিশিয়ে খেতে হয়। কুষ্ঠের রূপ নিলে সে ঘায়ে পাতার রস লাগাতে হবে। এভাবে দুই মাস খেলে কিছুটা পরিত্রাণ মিলবে।


চোখে পিঁচুটি বা জুড়ে যেতে থাকা : এটা শ্লেষ্মাধিকারজনিত কারণে অথবা ঠাণ্ডা লেগে যায়। এ সময় ঝিঙ্গার কচি পাতার রস প্রথমে গরম করে তারপর ঠাণ্ডা করে এক-দুই ফোঁটা করে দিতে হয়। ঝিঙ্গার বদলে ধুন্দুলও ব্যবহার করা যাবে।


শোথোদর : ধুন্দুলের পাতার রস বড় চামচে দুই চামচ পান করলে ও পাতা বেঁটে পেটের ফোলা অংশের ওপর লাগালে এ রোগ সারে।

247
হাড়ের ক্ষয় রোধ করে দিন খুব সহজ ৫ টি কাজে
১) মানসিক চাপ দূরে রাখুন

অনেকে না জানলেও, মানসিক চাপের সাথে হাড়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মানসিক চাপে থাকলে আমাদের দেহে নিঃসরণ হয় কারটিসোল নামক একটি হরমোনের যা হাড়ের ক্ষয়ের জন্য বিশেষভাবে দায়ী। তাই মানসিক চাপটাকে যতো দূরে রাখবেন আপনার জন্য ততোই ভালো হবে।
২) দূর করুন ভিটামিন ডি এর অভাব

খাবারের মাধ্যমে আমরা যে ক্যালসিয়াম দেহে নিয়ে থাকি তা হাড় দ্বারা শোষণ হয় ভিটামিন ডি এর মাধ্যমে। যদি দেহে ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে তবে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরেও হাড়ের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয় না। তাই হাড়ের সমস্যা ও ক্ষয় রোধ করতে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে হবে সর্তক ভাবে। মাছ, মাছের তেল, দুধ, সয়া দুধ, ফলমূলে রয়েছে ভিটামিন ডি। সূর্যের আলোর মাধ্যমেও দেহের ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ সম্ভব। ভোরের আলো গায়ে লাগালেও অনেক উপকার পাবেন।
৩) হাড়ের জন্য পুষ্টিকর খাবার

মজবুত হাড়ের জন্য খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। কম ফ্যাট যুক্ত দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে প্রতিদিন। দুধ, ডিম, কাঠবাদাম, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ, সবুজ শাকসবজি, ব্রকলি, প্রচুর পরিমাণে ফলমূল রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। এতে করেই আপনি পেতে পারেন মজবুত হাড়।
৪) বন্ধ করুন ধূমপান ও মদ্যপান

ধূমপানের ফলে হাড়ের ক্ষয় বাড়তে থাকে এবং এরজন্য হাড়ের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়। যারা নিয়মিত ধূমপান ও মদ্যপান করেন তাদের দেহ খাবারের পুষ্টি সঠিকভাবে দেহে সরবরাহ করতে পারে না। খাবার খাওয়ার পরেও পুষ্টি সঠিকভাবে হাড়ে না পৌঁছানোর কারণে হাড় ক্ষয় হতে থাকে। তাই সুস্থ দেহ ও হাড়ের জন্য ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করে দিন আজই।
৫) শারীরিক পরিশ্রম প্রতিদিন

যারা একটানা বসার কাজ করেন তাদের দেহের হাড়ের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায় অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি। যারা একেবারেই শারীরিক পরিশ্রম করেন না তাদের হাড় অপেক্ষাকৃত নরম ও দুর্বল হয়ে পড়ে দ্রুতই। শারীরিক ব্যায়াম, খেলাধুলা, নাচ, সাইকেল চালানো, সাতার কাটা ইত্যাদি বেশ ভালো শারীরিক পরিশ্রম যা হাড়কে মজবুত করে তোলে এবং হাড়ের ক্ষয়রোধে সহায়তা করে।

248
পাকা আম দিয়ে তৈরি করুন অসাধারণ স্বাদের এক হালুয়া!
উপকরণ

আমের পাল্প ৪ কাপ (পাকা আমকে চটকে নিন। আঁশ থাকলে ফেলে দেবেন)
ঘি ১/২ কাপ
কর্নফ্লাওয়ার ১ কাপ
পানি ১ কাপ
চিনি ৩ কাপ
বাদাম ১/২ কাপ
এলাচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
প্রণালী

    -প্রথমে কর্নফ্লাওয়ার পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে।
    -এরপর চিনি এবং আমের পাল্প ভালোভাবে কর্নফ্লাওয়ারের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
    -একটি ননস্টিক প্যানে ঘি গরম করে তাতে আমের মিশ্রণটি দিয়ে নাড়তে হবে। অবিরত নাড়তে হবে।
    -২০/২৫ মিনিট পর বাদাম, এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে হবে।
    -যখন স্টিকি হয়ে যাবে আর হালুয়া, দেখবেন আর প্যানের সাথে লাগছে না, তখন একটি ঘি মাখানো প্লেটে হালুয়া নামিয়ে সমান করে দিয়ে ১ ঘন্টা ঠান্ডা করতে হবে।
    -ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন অসাধারণ মজার আমের হালুয়া।


249

নিমের পাতার ব্যবহার:
রক্ত পরিষ্কার করে
নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এছাড়াও রক্তচলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও নিমের জুড়ি নেই।
চোখ
চোখে চুলকানি হলে নিমপাতা পানিতে দশ মিনিট সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে নিন। চোখে সেই পানির ঝাপটা দিন। আরামবোধ করবেন।
ত্বক
রূপচর্চায় আদিকাল থেকেই নিম ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। আবার ঘরে তৈরি নিমের বড়িও খাওয়া যেতে পারে। বড়ি তৈরি করতে নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন। এবার হাতে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করুন। বড় ডিশে ফ্যানের বাতাসে একদিন রেখে দিন। পরদিন রোদে শুকোতে দিন। নিমের বড়ির পানি একেবারে শুকিয়ে এলে এয়ারটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করুন।

দাঁত
দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই।

চুল
চুলের খুসকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ম্যাসাজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুসকি দূর হয়ে যাবে।

250
রসুনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

নিঃসন্দেহে এটা বলা যায় যে রসুনের প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে কিন্তু তা থাকা সত্ত্বেও সবকিছুরই যেমন ভালো দিকের পাশপাশি কিছু খারাপ দিক থাকে রসুনেরও তেমনি কিছু রয়েছে যা আমাদের জেনে রাখা উচিত। তাই সেগুলোও এখানে উল্লেখ করা হলো

মুখে অপ্রীতিকর গন্ধের সৃষ্টি- রসুনের মূল উপাদান হচ্ছে Allicin যা বিভিন্ন ঔষধি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হলেও এর তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধের জন্য দায়ী। এর কারনে মুখে ও দেহে অপ্রীতিকর গন্ধের সৃষ্টি হয়।

অ্যালার্জির সৃষ্টি- রসুনে কারো কারো ক্ষেত্রে অ্যালার্জি হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসবের লক্ষণ হচ্ছে পেটের সমস্যা, ডায়রিয়া, মুখে ঘা, বমি বমি ভাব ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা।

গর্ভকালে নিরাপদ নয়- রসুনের সাপ্লিমেন্টের রোগ নিরাময়ক বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এটা মনে রাখা প্রয়োজন এই সাপ্লিমেন্ট রক্তের প্লেটলেট এর মোট পরিমানকে কমিয়ে দেয় যার ফলে এটা গর্ভবতি নারীদের ক্ষেত্রে মোটেও নিরাপদ নয়। কারন এর ফলে গর্ভকালে এবং সন্তান প্রসবের সময়ে রক্তপাতের পরিমান বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ঔষধের প্রতিক্রিয়া- যখন কোন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়া হয় তখন বেশি মাত্রায় রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে কারন কিছু কিছু ঔষধের কার্যকারিতাকে রশুন প্রভাবিত করে।

ত্বকের প্রদাহ- শুনতে অবাক হওয়ার মতো হলেও রসুনের কারনে মাঝে মাঝে ত্বকে পোড়া বা ক্ষতের সৃষ্টি হয়। কাঁচা রসুন ব্যবহার করলে বা খেলে দেহের ভেতরে বা বাইরের ত্বকে পোড়ার সৃষ্টি হতে পারে।

লেখিকা
শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
- S

Pages: 1 ... 15 16 [17]