Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Raihana Zannat

Pages: 1 ... 7 8 [9]
121
জাপানি গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিনটেনডোর হাইব্রিড ভিডিও গেম খেলার যন্ত্র (কনসোল) সুইচ বাজারে আসার পর থেকেই বিক্রির রেকর্ড গড়ে চলেছে। যদিও প্রথম যখন সুইচের ঘোষণা দেওয়া হয়, তখন অনেকেই এর জনপ্রিয়তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কনসোলটির এমন বিক্রির হার বিশেষজ্ঞদের কাছে বিস্ময়ের বিষয়। কারণ এর দাম ধরা হয়েছিল ২৯৯ ডলার, যা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রাখতে পারত। সুইচকে যেখানে এক্সবক্স ওয়ান ও প্লে স্টেশন-৪-এর সঙ্গে তুলনা করা হয়, সেখানে দুটিরই দাম কম। এ ছাড়া নিনটেনডো সুইচের গেমের তালিকাও ছিল অন্যগুলোর চেয়ে কম। তারপরও সুইচ বাজারে আসার পর বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর নিনটেনডোও বেশ উঠে পড়েই লাগে কনসোলটিকে আরও সমৃদ্ধ করতে। আর এ জন্যই গেমপ্রেমীদের কাছে নিত্যদিনের উপকরণ হিসেবেই শোভা পাচ্ছে গেম খেলার এ যন্ত্র। নিনটেনডো সুইচের কয়েকটি সুবিধার কথা থাকছে এখানে—

কাজ করে দ্রুত
সুইচ ব্যবহার করার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এটি খুব দ্রুত কাজ করে। এক্সবক্স ওয়ান বা প্লে স্টেশন-৪ ব্যবহার করতে বিরক্তির অভিজ্ঞতা প্রায়ই হয়। কিন্তু সুইচ বেশ দ্রুত কাজ করে এবং ব্যবহার করতেও সহজ। গেমের যেকোনো সময় হোম বোতাম চেপে সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে ড্যাশবোর্ডে আসা যায়। যদিও এই সুবিধা এক্সবক্স ওয়ান ও প্লে স্টেশন-৪-এ আছে, কিন্তু তা সুইচের মতো এত দ্রুত নয়। নিনটেনডোর এই কনসোল ব্যবহারকারীকে অনেকাংশেই স্মার্টফোন ব্যবহারের অভাব পূরণ করবে।

স্লিপ মুড সুবিধা
স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রবণতা ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশি থাকে, কারণ খুব সহজেই এটি চালানো যায়। যেকোনো সময় পকেটে নেওয়া যায়। চোখের পলকেই চালু করা যায় এবং যখন ইচ্ছা তা ব্যবহার করতে করতেই বন্ধ করা যায়। আর এই দিকটি বিবেচনা করেই কনসোলটিতে স্লিপ মুড যুক্ত করা হয়েছে। ফলে ব্যবহারকারী এটিকে ল্যাপটপ বা ট্যাবের মতো ব্যবহার করতে পারবেন। স্লিপ মুড চালু করলেই কনসোলটিতে খুব কম ব্যাটারি খরচ হবে। তা ছাড়া কনসোলটিতে যে অবস্থায় স্লিপ মুড চালু করা হবে, ঠিক সেই অবস্থাতেই ফিরে আসবে মুডটি বন্ধের পর। এই সুবিধা এক্সবক্স ওয়ান ও প্লে স্টেশন-৪-এ আছে, তবে সুইচে সুবিধাটি নিখুঁতভাবে কাজ করে।

সহজেই গেম নামানো ও হালনাগাদ করা যায়
একজন গেম প্রেমিকের কাছে নিনটেনডো সুইচ ব্যবহারের আত্মতৃপ্তি আনবে এর গতি। কারণ কনসোলটি চালু করা এবং একটি গেম খুলতে খুব একটা সময় লাগে না। এর চেয়েও আনন্দের বিষয় কনসোলটির গেম নামানো এবং সর্বশেষ সংস্করণে হালনাগাদ করে নেওয়ার সুবিধা। একজন গেমার চাইলেই সুইচে একসঙ্গে কয়েকটা গেম নামাতে পারবেন। আর যদি কোনো গেমের হালনাগাদের প্রয়োজন পরে, তাহলে গেম চালু অবস্থাতেই সর্বশেষ সংস্করণ হালনাগাদ করে নিতে পারবেন।


জাপানি গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিনটেনডোর হাইব্রিড ভিডিও গেম খেলার যন্ত্র (কনসোল) সুইচ বাজারে আসার পর থেকেই বিক্রির রেকর্ড গড়ে চলেছে। যদিও প্রথম যখন সুইচের ঘোষণা দেওয়া হয়, তখন অনেকেই এর জনপ্রিয়তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কনসোলটির এমন বিক্রির হার বিশেষজ্ঞদের কাছে বিস্ময়ের বিষয়। কারণ এর দাম ধরা হয়েছিল ২৯৯ ডলার, যা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রাখতে পারত। সুইচকে যেখানে এক্সবক্স ওয়ান ও প্লে স্টেশন-৪-এর সঙ্গে তুলনা করা হয়, সেখানে দুটিরই দাম কম। এ ছাড়া নিনটেনডো সুইচের গেমের তালিকাও ছিল অন্যগুলোর চেয়ে কম। তারপরও সুইচ বাজারে আসার পর বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর নিনটেনডোও বেশ উঠে পড়েই লাগে কনসোলটিকে আরও সমৃদ্ধ করতে। আর এ জন্যই গেমপ্রেমীদের কাছে নিত্যদিনের উপকরণ হিসেবেই শোভা পাচ্ছে গেম খেলার এ যন্ত্র। নিনটেনডো সুইচের কয়েকটি সুবিধার কথা থাকছে এখানে—

কাজ করে দ্রুত
সুইচ ব্যবহার করার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এটি খুব দ্রুত কাজ করে। এক্সবক্স ওয়ান বা প্লে স্টেশন-৪ ব্যবহার করতে বিরক্তির অভিজ্ঞতা প্রায়ই হয়। কিন্তু সুইচ বেশ দ্রুত কাজ করে এবং ব্যবহার করতেও সহজ। গেমের যেকোনো সময় হোম বোতাম চেপে সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে ড্যাশবোর্ডে আসা যায়। যদিও এই সুবিধা এক্সবক্স ওয়ান ও প্লে স্টেশন-৪-এ আছে, কিন্তু তা সুইচের মতো এত দ্রুত নয়। নিনটেনডোর এই কনসোল ব্যবহারকারীকে অনেকাংশেই স্মার্টফোন ব্যবহারের অভাব পূরণ করবে।

স্লিপ মুড সুবিধা
স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রবণতা ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশি থাকে, কারণ খুব সহজেই এটি চালানো যায়। যেকোনো সময় পকেটে নেওয়া যায়। চোখের পলকেই চালু করা যায় এবং যখন ইচ্ছা তা ব্যবহার করতে করতেই বন্ধ করা যায়। আর এই দিকটি বিবেচনা করেই কনসোলটিতে স্লিপ মুড যুক্ত করা হয়েছে। ফলে ব্যবহারকারী এটিকে ল্যাপটপ বা ট্যাবের মতো ব্যবহার করতে পারবেন। স্লিপ মুড চালু করলেই কনসোলটিতে খুব কম ব্যাটারি খরচ হবে। তা ছাড়া কনসোলটিতে যে অবস্থায় স্লিপ মুড চালু করা হবে, ঠিক সেই অবস্থাতেই ফিরে আসবে মুডটি বন্ধের পর। এই সুবিধা এক্সবক্স ওয়ান ও প্লে স্টেশন-৪-এ আছে, তবে সুইচে সুবিধাটি নিখুঁতভাবে কাজ করে।

সহজেই গেম নামানো ও হালনাগাদ করা যায়
একজন গেম প্রেমিকের কাছে নিনটেনডো সুইচ ব্যবহারের আত্মতৃপ্তি আনবে এর গতি। কারণ কনসোলটি চালু করা এবং একটি গেম খুলতে খুব একটা সময় লাগে না। এর চেয়েও আনন্দের বিষয় কনসোলটির গেম নামানো এবং সর্বশেষ সংস্করণে হালনাগাদ করে নেওয়ার সুবিধা। একজন গেমার চাইলেই সুইচে একসঙ্গে কয়েকটা গেম নামাতে পারবেন। আর যদি কোনো গেমের হালনাগাদের প্রয়োজন পরে, তাহলে গেম চালু অবস্থাতেই সর্বশেষ সংস্করণ হালনাগাদ করে নিতে পারবেন।

জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়
মনোযোগ আকর্ষণ করার মতো নিনটেনডো সুইচের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, আপনি চাইলেই এটি নিজ ঘরে বন্ধুদের সঙ্গে টিভিতে সংযুক্ত করে যেমন খেলতে পারবেন, তেমনি আবার স্মার্টফোনের মতো বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকেও খেলতে পারবেন। আপনি হয়তো নিজ ঘরে সুইচকে ডকে রেখে টিভিতে খেলছেন। কিন্তু হুট করে আপনার বাইরে যেতে হচ্ছে। তখন শুধু সুইচের স্লিপ মুড চালু করতে হবে এবং সঙ্গে নিলেই হবে। কাজ শেষ হওয়ার পর কনসোলটি চালু করলেই ঠিক যেখানে গেম ছেড়েছিলেন, ঠিক সেখান থেকেই শুরু করতে পারবেন। তা ছাড়া এটি স্মার্টফোনের মতো খুব সহজেই বহন করা যায়। ফলে গেমারদের নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে খুব সহজেই মানিয়ে নেয় নিনটেনডো সুইচ।

বিল্ট-ইন স্ক্রিন শট বোতাম
কনসোলটির আরেকটি চমৎকার বৈশিষ্ট্য, এটিতে বিল্ট-ইন স্ক্রিনশট বোতাম আছে। আর এটি খুব দ্রুত কাজ করে। যেকোনো গেম খেলার সময় খুব সহজেই যেকোনো দৃশ্যের স্ক্রিনশট নেওয়া যায়। পরে মাইক্রো এসডি মেমোরি কার্ডে করে স্ক্রিনশটগুলো নেওয়া যাবে। তা ছাড়া সরাসরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার সুবিধাও থাকছে। মূলত ভিডিও গেম নিয়ে যাঁরা লেখালেখি করেন, তাঁদের জন্য এটি বেশ কাজের বস্তু।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

122
তার ছাড়া ব্যাটারি চার্জ করা যাবে এমন ল্যাপটপ কম্পিউটার এনেছে ডেল। ‘ডেল লেটিটিউড ৭২৮৫’ মডেলের এই ল্যাপটপের চার্জ হবে তার ছাড়াই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শোতে এমন ল্যাপটপ তৈরির ঘোষণা দিয়েছিল ডেল। সেটি বাজারে ছাড়া হলো গত বুধবার।
প্রাথমিকভাবে এর দাম ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০০ ডলার এবং এতে রয়েছে ইন্টেল কোর আই৫-৭ ওয়াই ৫৪ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট রম এবং ১২৮ গিগাবাইট এসএসডিসহ চমকপ্রদ কিছু হার্ডওয়্যার। এতে ২৮৮০x১৯২০ পিক্সেল রেজল্যুশনের ১২.৩ ইঞ্চি পর্দা রয়েছে। এ ছাড়া ল্যাপটপটিতে রয়েছে ‘উইন্ডোজ হ্যালো’ সমর্থনযোগ্য একটি ফ্রন্ট ক্যামেরা। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী নিজের মুখচ্ছবি ব্যবহার করে কম্পিউটারে সাইন ইন করতে পারবে।
অ্যাপলের ম্যাকবুকের মতোই এই ডেল ল্যাপটপে রয়েছে দুটি থান্ডারবোল্ট ৩ ইউএসবি-সি পোর্ট, মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট, সিম কার্ড স্লট এবং একটি হেডফোন জ্যাক। এর চার্জিং পদ্ধতি প্রস্তাবিত গ্যালাক্সি এস ৮ ফোনের মতোই। অর্থাৎ ল্যাপটপটিকে চার্জ করতে একে প্রথমে চার্জিং ম্যাটের ওপর স্থাপন করতে হবে। ডেল লেটিটিউড ৭২৮৫ নামের এই হাইব্রিড ল্যাপটপে তার ছাড়াই ৩০-ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে, যা একটি ল্যাপটপ চার্জের জন্য যথেষ্ট। ল্যাপটপটির জন্য অবশ্য ব্যবহারকারীকে আলাদাভাবে একটি তারহীন চার্জিং কি-বোর্ড এবং চার্জিং ম্যাট কিনতে হবে। যার জন্য অতিরিক্ত আরও ৫৫৫ ডলার খরচ করতে হবে। ল্যাপটপটি কি-বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই চার্জিং ম্যাট প্রথমে ট্যাবলেটটিকে এবং এরপর কি-বোর্ডকে চার্জ করবে।
(collected)

123
ব্যস্ত জীবনে সময়ের বড় অভাব। সকাল থেকে রাত অবধি তো নানা কাজে ছুটছেন। এর মধ্যে ব্যায়ামের জন্য একটু সময় বের করার ফুরসত কোথায়? তাই বলে নিজের জন্য খানিকটা সময় তো ব্যয় করতেই হবে। নইলে হিসাব মেলানোর সময় লাভের চেয়ে ক্ষতিটাই দেখা যাবে বেশি।

সপ্তাহে সাত দিন, মানে ১০ হাজার ৮০ মিনিট। এর মাঝে মাত্র ১৫০ মিনিট সময় বের করা সত্যিকার অর্থে খুব কষ্টকর হওয়ার কথা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম করাই যথেষ্ট। মাঝারি ব্যায়াম মানে জোরে হাঁটা, সাইকেল চালনা, সাঁতার কাটা, অ্যারোবিকস ইত্যাদি।

এই হিসাব মেলাতে প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা সময় বের করতে যদি না-ও পারেন, পাঁচ দিনে ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখুন। তা-ও না পারলে তিন দিনে (মানে এক দিন পরপর) ৫০ মিনিট করে সময় বের করুন। একেবারেই সম্ভব না হলে সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন ব্যায়াম করুন। যেভাবেই হোক, সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের এ হিসাব মেলানোর ব্যবস্থা করুন।

ভারী ব্যায়াম করতে পারলে সপ্তাহে ৭৫ মিনিট রাখলেও চলবে। জোরে দৌড়ানো বা ব্যায়ামাগারে নির্দেশিত ব্যায়াম হলো ভারী ব্যায়াম।

অফিসে বা ঘরে হয়তো অনেক কাজই করা হয়, তবু ব্যায়ামের জন্য আলাদা করে সময় বের করা জরুরি। অফিসের চেয়ারে বা বাড়ির কাজকর্মে যতটাই কর্মঠ হোন, সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই।

(copied)

124
Faculty Forum / বুকে কেন পানি জমে?
« on: July 16, 2017, 10:00:11 AM »
কেউ বলেন বুকে পানি জমেছে, কেউ বলেন ফুসফুসে। আসলে বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে এ রকম পানি জমে ফুসফুসের আবরণী পর্দা বা প্লুরার মধ্যে। নানা রোগের কারণে এ সমস্যা হয়। অনেক সময় এই পানি বেরও করার প্রয়োজন হয়। তবে ফুসফুসেও পানি জমতে পারে।

ফুসফুসের নিজস্ব কিছু রোগের কারণে ফুসফুসের আবরণীতে পানি জমে। আবার ফুসফুসের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই—এমন কয়েকটি কারণেও ফুসফুসে পানি জমে। যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ক্যানসার হলে এ রকম পানি জমা স্বাভাবিক। আবার হৃদ্‌রোগ, যকৃৎ ও কিডনির অকার্যকারিতা, অপুষ্টির কারণেও পানি জমতে পারে। ফুসফুসের আবরণীতে পানি জমলে রোগীর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বুকের পাঁজরের ওঠানামা কমে যায়। পাশাপাশি বুকে ব্যথা, কাশি ইত্যাদি থাকতে পারে।

কারণ দূর করাই হলো এই পানি জমা সমস্যার মূল চিকিৎসা। অতিরিক্ত পানি জমে গেলে রোগীকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য পানি বের করে নেওয়া হয়। বারবার পানি জমলে অনেক সময় বিশেষ পদ্ধতি, যেমন প্লুরোডেসিস, টিউব থোরাকোস্টোমি করা হয়। পানির কারণে ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষতি হলে অনেক সময় অস্ত্রোপচার (ডিকরটিকেশন অব লাং) করতে হয়। পানি জমার কারণ নির্ণয় ও সমাধান না করলে নানা জটিলতা হতে পারে।

(copied)

125
Faculty Forum / ছোট মাছ কেন খাবেন??
« on: July 16, 2017, 09:55:57 AM »
দেশে নানা ধরনের ছোট মাছ পাওয়া যায়। পুঁটি, ট্যাংরা, মলা, ঢেলা, কাচকি, ফলি ইত্যাদি মাছ জনপ্রিয়। এসব মাছে অসম্পৃক্ত চর্বি আছে, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ডিম ছাড়ার আগমুহূর্তে মাছে অসম্পৃক্ত বা উপকারী চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া ছোট মাছে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। আয়রন, প্রোটিন, ফসফরাস, লাইসনি ও মিথিওনিনেরও উৎস ছোট মাছ। তবে এতে আয়োডিনের পরিমাণ কম থাকে। জেনে নিন কয়েকটি উপকারী ছোট মাছের কথা—

* পুঁটি: প্রতি ১০০ গ্রাম পুঁটি মাছে আছে ১০৬ ক্যালরি শক্তি। এর ১৮.১ গ্রাম প্রোটিন, ২.৪ গ্রাম চর্বি, ১১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। দাঁত ও হাড়ের গঠনে এটি সাহায্য করে।

* ট্যাংরা: ১০০ গ্রাম ট্যাংরা মাছে ১৪৪ ক্যালরি শক্তি মিলবে। এতে প্রোটিন ১৯.২ গ্রাম, চর্বি ৬.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭০ মিলিগ্রাম। আয়রন আছে ২ মিলিগ্রাম। রক্তশূন্যতার রোগীদের ট্যাংরা মাছ খাওয়া উচিত।

* মলা: রাতকানা রোগ, ভিটামিন ‘এ’-র স্বল্পতাজনিত চোখের সমস্যা রোধে মলা মাছ খুবই কার্যকর। এতে ক্যালসিয়াম অনেক। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এই মাছে, যা হৃদ্‌রোগীদের জন্য ভালো। ১০০ গ্রাম মলা মাছে প্রায় ৮৫৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম আছে। আরও আছে ৫.৭ মিলিগ্রাম আয়রন, ভিটামিন ‘এ’ ২০০০ ইউনিট এবং ৩.২ মিলিগ্রাম জিংক।

* কাচকি মাছ: ১০০ গ্রাম কাচকি মাছে ১২.৭ গ্রাম প্রোটিন আছে। আছে ৩.৬ গ্রাম চর্বি, ৪৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ মিলিগ্রাম আয়রন। এই মাছ কোটারও ঝামেলা নেই, ধুয়ে বেছে খেয়ে নেওয়া যায়।

* ফলি: কাঁটাযুক্ত এই মাছের প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিন ২০.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৭ মিলিগ্রাম ও ফসফরাস ৪৫০ মিলিগ্রাম।

ছোট মাছে প্রোটিন ও জলীয় অংশ বেশি বলে দ্রুত জীবাণুতে আক্রান্ত হয়। তাই এসব মাছ কেনার পর দ্রুত রান্না করে ফেলা উচিত। ফ্রিজ থেকে বের করে দীর্ঘ সময় বাইরে না রাখা ভালো। কম তাপে এসব মাছ রান্না করবেন। ভাপে করলে আরও ভালো। ধুয়ে অনেকক্ষণ বাইরে রেখে দিলে অক্সিজেনের সংস্পর্শে খাদ্যগুণ কিছুটা নষ্ট হয়। আবার মাছ সেদ্ধ করে পানি ফেলে দেওয়াও ভালো নয়। তবে ছোট মাছে ইউরিক অ্যাসিড বেশি বলে গেঁটে বাতের রোগীদের কম খাওয়া ভালো। আবার ফসফরাস বেশি বলে কিডনি রোগীদেরও কম খাওয়া উচিত।

(copied)

126


উৎসবের নিমন্ত্রণে নানা রকমের উপাদেয় খাবার খেতে তো ভালোই লাগে। কিন্তু হজম ঠিকমতো না হলেই মন-মেজাজ খারাপ হয়। বেশি ভারী ও তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেয়ে শুরু হতে পারে পেটব্যথা, পেট ফাঁপা, ঢেকুর ওঠা, পায়ুপথে বাতাস নির্গমন বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা। এগুলোর বেশির ভাগই হজমে গন্ডগোলের কারণে হয়ে থাকে।

বদহজম, অ্যাসিডিটি, পেটে অতিরিক্ত গ্যাস, ঢেকুর ও বাতাস নির্গমনের মতো বিরক্তিকর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিছু পরামর্শ মেনে চলতে পারেন:

* খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করবেন না। সময় নিয়ে, ধীরে-সুস্থে ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া শেষ করবেন। তাড়াহুড়া করে খেতে গিয়ে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। তা ছাড়া পেটে খানিকটা বাতাসও ঢুকে যায়।

* খাওয়ার সময় ও মাঝখানে বেশি পানি পান করলে পাকস্থলীর অ্যাসিড দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভালো করে খাবার ভাঙতে পারে না। তাই খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। খাওয়ার সময় বেশি পানি নয়। খাওয়া শেষে আবার একটু সময় পর পানি পান করবেন।

* একেক জনের একেক ধরনের খাবার হজম করতে সমস্যা হয়। যাঁদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তাঁরা দুধ ও দুধের তৈরি খাবার খেতে পারেন না। অনেকের মিষ্টিজাতীয় দ্রব্যে (যেমন: ফলের রস বা জুস, চকলেট ইত্যাদি) সমস্যা হয়। কারও সমস্যা হয় রুটি, যব বা ডালজাতীয় খাবারে। কার কোনটাতে সমস্যা, সেটা তিনিই ভালো ধরতে পারবেন। তাই বদহজমের রোগীর দুধ নিষেধ বা মিষ্টি নিষেধ—এ জাতীয় কথা ঢালাওভাবে বলা যায় না।

* ধূমপান, চুইংগাম চিবোনো ও স্ট্র দিয়ে জুসজাতীয় কিছু খেলে পেটে গ্যাস হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই এ ধরনের অভ্যাস বর্জন করুন।

* পেটে গ্যাস সমস্যা তৈরি করতে পারে কৃত্রিম চিনি, অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবারও। তাই এগুলো খেতে হবে হিসাব করে।

* কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেট ফাঁপে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে আঁশযুক্ত খাবার খান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
(copied)

127
Faculty Forum / নবজাতকের জন্ডিস
« on: July 12, 2017, 04:43:29 PM »
৬০ শতাংশ পূর্ণ গর্ভকাল (টার্ম) নবজাতকের এবং ৮০ শতাংশ প্রি-টার্ম অর্থাৎ অকালজাত নবজাতকের মধ্যে প্রথম সপ্তাহে জন্ডিস দেখা যায়। তবে এর বেশির ভাগই নির্দোষ জন্ডিস
অধ্যাপক প্রণব কুমার চৌধুরী
বিভাগীয় প্রধান, শিশুরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
জন্মের পর অনেক শিশুরই জন্ডিস হয়ে থাকে। নবজাতকের রক্তে উচ্চ বিলিরুবিন মাত্রার কারণে এ জন্ডিস হয়। ৬০ শতাংশ পূর্ণ গর্ভকাল (টার্ম) নবজাতকের এবং ৮০ শতাংশ প্রি-টার্ম অর্থাৎ অকালজাত নবজাতকের মধ্যে প্রথম সপ্তাহে জন্ডিস দেখা যায়। তবে এর বেশির ভাগই নির্দোষ জন্ডিস, যাকে ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস বলে।

ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিসের বৈশিষ্ট্য হলো:
 ভূমিষ্ঠ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর শুরু হয়।
 টার্ম নবজাতকের ৩-৫ দিন বয়সে এবং প্রি-টার্ম নবজাতকের ৫-৭ দিনের মধ্যে বেশি বাড়ে।
 ২ সপ্তাহ বয়সের মধ্যে এমনিই সেরে যায়।
 রক্তে বিলিরুবিন মাত্রা ১৫ মি গ্রাম/ডেসির নিচে থাকে।
 এটা সাময়িক জন্ডিস, কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।

ঝুঁকিসম্পন্ন জন্ডিস বা প্যাথলজিক্যাল জন্ডিস
 ভূমিষ্ঠ হওয়ার প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেখা দেওয়া
 বিলিরুবিনের মাত্রা ১৫ মি গ্রাম/ডেসির বেশি
 ২ সপ্তাহ বয়সের পরও যাচ্ছে না
 যদি বিলিরুবিন মাত্রা ০.৫ মি গ্রাম/ডেসি/প্রতি ঘণ্টায় বাড়তে থাকে বা ২৫ মি গ্রাম/ডেসির বেশি হয় তবে তা বিপজ্জনক বলে গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিরোধ:
 গর্ভাবস্থায় অবশ্যই মায়ের এবিও, আরএইচ রক্ত গ্রুপ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে
 সকল নবজাতকের জন্ডিসের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ৩-৫ দিন বয়সে বিলিরুবিন পরীক্ষা করা উচিত
 বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর শিশুকে হলদেটে মনে হলে বাবা-মা যেন অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন
 শিশুকে যথাযথভাবে মাতৃদুগ্ধ পান চালিয়ে যেতে হবে
 যেসব নবজাতক উচ্চমাত্রার জন্ডিসে আক্রান্ত ছিল, পরে তাদের শ্রবণশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা ফলোআপ করতে হবে।
(copied)

128
হঠাৎ হঠাৎ গলা বা বুক জ্বলতে থাকে। কখনো টক পানিতে মুখ বা গলা ভরে আসে। জিভ তিতা লাগে। কমবেশি সবাই ভোগেন এই সমস্যায়। পাকস্থলী থেকে সৃষ্ট অ্যাসিড বা অম্ল ওপরের দিকে উঠে এলে এমন হয়। একে বলে গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিসঅর্ডার।

কিছু অভ্যাস বদলালে এ সমস্যার সমাধান করা যায় সহজেই। একনজরে দেখা যাক সেগুলো:

একেবারে ভরপেট খেলে এই সমস্যা বেশি হয়। যাঁদের অ্যাসিডিটি হয়, তাঁরা সারা দিনে ভাগ করে অল্প অল্প করে খেতে পারেন। পেট খানিকটা খালি রেখেই খাবার শেষ করতে হবে। খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করা যাবে না। ধীরেসুস্থে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে।

খেয়েই শুয়ে পড়া ঠিক না। খাবার পরপরই চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে অ্যাসিড ওপর দিকে ঠেলে উঠতে পারে। ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে ফেলা ভালো। খাওয়ার পর বসে বই পড়া যায়। টিভি দেখা যায়। অথবা খানিক হাঁটাহাঁটিও করা যেতে পারে।

কিছু খাবার সমস্যা বাড়ায়। যেমন: তৈলাক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, মসলাদার খাবার, বেশি পেঁয়াজ, রসুন, পুদিনা, চা-কফি, চকলেট ইত্যাদি। বুক জ্বলার সমস্যা থাকলে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

অ্যাসিডিটি কমাতে অনেকে কার্বনেটেড-জাতীয় পানীয় পান করেন। এ ধরনের পানীয়, যেমন: সেভেন আপ বা পেপসি পান করলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায়। তবে এগুলো থেকে আরও অ্যাসিড হতে পারে। তাই পানিই বেশি পান করতে হবে।

যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের বুক বা গলা জ্বলার সমস্যা বেশি হয়। ওজন কমাতে পারলে সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

ধূমপান অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দেয়। তাই ধূমপান না করলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি মেলে।

খাওয়ার পর ভারী কাজ বা পরিশ্রম না করাই ভালো। হালকা হাঁটাহাঁটি চলবে। কিন্তু ভারী ব্যায়াম নয়।

রাতে ঘুমের মধ্যে অনেকের গলা জ্বলতে থাকে। মনে হয় অ্যাসিড ওপরে উঠে আসছে। মাথা একটু উঁচু করে শুলে কিছুটা স্বস্তি মেলে। পা থেকে মাথার দিকটা অন্তত ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি উঁচুতে রাখা যেতে পারে। দুটো বালিশ ব্যবহার করা ভালো।

নানা রকমের ওষুধের কারণেও অ্যাসিডিটি হতে পারে। ব্যথানাশক এমিট্রিপটাইলিন, ইস্ট্রোজেন বা বিসফোসফোনেট-জাতীয় ওষুধে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে নেওয়া ভালো।

(copied)

129
Faculty Sections / আমি কেন সেলফি তুলি?
« on: July 12, 2017, 04:27:12 PM »
সপরিবারে এক ভদ্রলোক গিয়েছেন বিয়ের দাওয়াতে। সেখানে এক বন্ধুর বোন হঠাৎ করে তাঁর স্ত্রীকে বলল, ‘ভাবি, ভাই যে মেয়েদের সঙ্গে এত সেলফি তোলে, আপনি কিছু বলেন না?’

ভদ্রলোকের স্ত্রী হাসে, আর জানায় যে সে তো ফেসবুকেই নেই। বন্ধুর বোন এবার বলে, সে কারণেই তো এত সেলফি তোলেন। দাওয়াতের শেষে বন্ধুর বোন ভদ্রলোকের সঙ্গে একটা সেলফি তুলতে চায়। তিনিও হাত লম্বা করে তুলে ফেলেন।

ঘটনাটা সত্যি। সেই ভদ্রলোকের কাছ থেকে আরো জানা গেল তাঁকে তাঁর এক বন্ধু বলেছেন, আপনি যে ম্যাচিং ম্যাচিং সেলফি ফেসবুকে দেন ভাবি কিছু বলে না? শেষে বলেন ভালোই লাগে কিন্তু।

ওই ভদ্রলোক আর তাঁর স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া ভালো। যাঁদের সঙ্গে তিনি সেলফি তোলেন, স্ত্রী তাঁদের চেনেন। ফলে গৃহশান্তি বজায় রয়েছে। না হলে কবেই না গৃহদাহ শুরু হয়ে যেত!

কথা হচ্ছে আসলেই আমরা কেন সেলফি তুলি? অক্সফোর্ড অভিধানে সেলফির সংজ্ঞায় বলা হচ্ছে এটা এমন এক ছবি, যেখানে নিজেই নিজের ছবি সাধারণত স্মার্টফোন বা ওয়েবক্যাম দিয়ে তোলা হচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সংজ্ঞার নিচেই লেখা আছে মাঝে মাঝে ঠিক আছে কিন্তু প্রতিদিন সেলফি প্রকাশ করা ঠিক নয়।

সেলফি এ যুগে আত্মপ্রকাশের সহজ একটা উপায়। মানুষের মধ্যে আত্মপ্রেম বা নার্সিসিজমের যে ব্যাপারটা রয়েছে, কিংবা আত্মকেন্দ্রিকতা—সেগুলোও কারণ সেলফি তোলার। অস্বীকার করার উপায় নেই।

রবার্ট কর্নেলিয়াস ১৮৩৯ সালে ক্যামেরা দিয়ে যে আত্মপ্রতিকৃতি তুলে হালের সেলফির সূচনা করেছিলেন, তা এখন আর একজনের নিজের একক ছবিতে আটকে নেই। ফেসবুকে তো বেশির ভাগ দলগত সেলফিই দেখা যায়। এখানে ‘সেলফ’ মানে নিজের সঙ্গে জড়িয়ে যায় আরও কজন, কখনো কোনো একটা বড় দল। ১০-১২ থেকে ১৬-২০ বা তার চেয়েও বেশিজনের দলকেও একসঙ্গে দেখা যায় সেলফিতে। এক হাতে এত জনকে নিয়ে সেলফি তুলতে গেলে ফ্রেমে সবাইকে পাওয়া যায় না, সেই সমাধানও বেরিয়ে গেছে—সেলফি স্টিক। মোদ্দা কথা হলো, উদ্‌যাপন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের এই যুগে সেলফি উদ্‌যাপনের অংশই।

সেলফি যেমন আত্মপ্রকাশের মাধ্যম, তেমনি আত্মপ্রচারও কি হয় না? নানা তরিকার আত্মপ্রচার রয়েছে। অভিজ্ঞতায় দেখেছি—আমি ভালো আছি, সুখে আছি, জীবনকে উপভোগ করছি এটা জানান দেওয়ার জন্য যেমন সেলফি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম; তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কিংবা জনপ্রিয় মানুষের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে, সেটাও তুলে ধরা যায় সেলফিতে। তারকাখ্যাতিসম্পন্ন মানুষেরা আবার বিপত্তিতেও পড়েন এই সেলফির কারণে। ‘অটোগ্রাফ না, এটা তো ফটোগ্রাফের যুগ’—ভক্তরা তাই প্রিয় তারকা, প্রিয় ব্যক্তিত্বকে দেখলেই এগিয়ে যান। ক্যামেরা তো এখন কোনো ব্যাপারই না। হাতের স্মার্টফোন ধরে তারকার পাশে দাঁড়িয়েই ক্লিক! তারকা আর কী করবেন, ভক্তের সঙ্গে হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকেন।

কিছুদিন আগে দেখা গেল, বনানীতে ধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কিছু সেলফি রয়েছে বেশ কজন তারকার সঙ্গে। এমন ঘটনার পর এমন ছবি ছড়াতে সময় লাগে না। তারকা বা বিখ্যাত ব্যক্তির তখন বিব্রত হওয়া ছাড়া কিছুই তো আর করার থাকে না।

সেলফি তোলার ইতিহাস তো অনেক পুরোনো। প্রথম চন্দ্রবিজয়ীদের একজন বাজ অলড্রিন ১৯৬৬ সালে মহাকাশে নিজে নিজের ছবি তুলেছেন। তারপরও যুগের পর যুগ সেলফি তেমন একটা আলোচনায় ছিল না। স্মার্টফোন আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে সেলফিও জনপ্রিয় হয়ে উঠল। ২০১০ সালের পর থেকে এ ধারা ঊর্ধ্বমুখী। ২০১৩ সালে অক্সফোর্ড অভিধানেও ঢুকে গেল সেলফি শব্দটি। স্মার্টফোনে সামনের ক্যামেরা এল, সেলফি তোলার বিশেষায়িত ফোনও এল। সেলফি যাতে সুন্দর হয়, সে জন্য বিশেষ বিশেষ অ্যাপ-ফিল্টার সবই তো রয়েছে। ফলে সেলফির জয়জয়কার যেন এক অব্যাহত ধারা। রাষ্ট্রপ্রধান, বিশ্বনেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—সবারই সেলফি দেখা যায়।

সেলফিতে নিজের চেহারা কেমন লাগছে, এ ভাবনা কমবেশি সবার মধ্যেই থাকে। ছেলেমেয়ে দুপক্ষেরই। মেয়েদের মধ্যে বিশেষ করে কম বয়সীদের মধ্যে পাউট ফেস, ডাক ফেস করে সেলফি তুলতেও দেখা যায়। ‘ক্যামেরা ওপরে ধরেন, আমাকে মোটা লাগছে’—সেলফি তোলার সময় এমন কথা মাঝেমাঝেই শোনা যায়। কীভাবে নিজেকে সুন্দর দেখাবে সেটাই আসল কথা।

সেলফিতে তাৎক্ষণিক একটা ব্যাপার রয়েছে। মুহূর্ত ধরে রাখা, তখনই সেটা ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করার যে সুবিধা, এটা তো অনেকেই আমরা নিতে চাই। হয়তো কোথাও বেড়াতে বা খেতে গেছেন বন্ধুবান্ধবসহ। কিংবা পরিবারের সঙ্গে। বেড়ানো কিংবা খাওয়ার সঙ্গে প্রধান অনুষঙ্গ হলো সেলফি তুলে পোস্ট করা। এ কাজটা করার জন্য হয়তো অন্যদের একটু দেরি হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাৎক্ষণিক বা সরাসরি সম্প্রচারের মতো একটা আনন্দ পাওয়া যায়। ছবি দেওয়ার পর একটু পরপর ফেসবুক খুলে দেখা ‘কয়টা লাইক পড়ল’—এও এক অভ্যাস। ফেসবুকে যথেষ্ট সংখ্যক বন্ধু থাকার কারণে আর প্রতিদিনই ফেসবুক ঘাঁটাঘাঁটির জন্য নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারি, কোন ধরনের সেলফি বেশি লাইক পায়। একাধিক ওয়েবসাইটের সঙ্গে তা মিলেও যায়। সবচেয়ে বেশি লাইক পায় কয়েক ধরনের সেলফি। সন্তান বা পরিবারের সঙ্গে তোলা সেলফি জনপ্রিয়তায় রয়েছে এগিয়ে। পোষা প্রাণীর সঙ্গে তোলা সেলফিও লাইক পায় বেশি। তবে আমাদের দেশে এ ধারাটা কম। ভ্রমণের ছবিতে লাইক পড়ে প্রচুর। সে ভ্রমণ যদি হয় পরিবারের সঙ্গে, তবে লাইক বেড়ে যায় তরতর করে। ফেসবুকে জনপ্রিয় এমন কেউ যদি আপনার বন্ধুতালিকায় থাকে, তবে তাঁর সঙ্গে একটা সেলফি তুলে তাঁকে ট্যাগ করে দিলেই লাইকের বন্যা বয়ে যায়। খুব পরিপাটি সাজপোশাকে সেলফি তুললে তাতেও বেশি লাইক পড়ে। না কিনে বেশি লাইক পাওয়ারও নানা হিসাব-নিকাশ রয়েছে। কোন সময়ে ছবিটা পোস্ট করা হচ্ছে, এটা একটা বিষয়। ফেসবুকের প্রথম দিকে দেখতাম, রাত ১০টার পর সক্রিয় বন্ধু কমে যাচ্ছে। এখন তা উল্টো। রাত যত গভীর হয়, ফেসবুক তত সরগরম।

ছবি যেমন কথা বলে, সেলফি তেমন কথা বলে; বরং একটু বেশিই বলে। বন্ধুদের কোনো এক দলের ৬ জনের সেলফি প্রায়ই দেখতাম। কিছুদিন পর দেখা গেল দলটি চারজনের। পরে জানা গেল, দুজনের সঙ্গে বাকিদের বন্ধুত্ব কমে গেছে। আবার এক দম্পতির হাসিখুশি, ঘন ঘন সেলফি চলল বেশ কয়েক মাস। তারপর তাঁদের আর কোনো ছবি দেখা যায় না ফেসবুকে। আরও কিছুদিন পর দেখা গেল দুজনের একা একা ছবি। অবশেষে জানা গেল, তাঁরা আর একসঙ্গে থাকছেন না। সম্পর্ক, সামাজিক অবস্থান-এসবই প্রকাশ করে সেলফি।

সেলফি তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনা এমনকি প্রাণনাশের ঘটনাও ঘটছে। ১৩ এপ্রিল চলন্ত ট্রেনে সেলফি তুলতে গিয়ে কলকাতা শহরের কাছে লিলুয়া স্টেশনে চার বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনার কথা প্রায়ই শোনা যায়। নিজের বীরত্ব দেখাতে গিয়ে বিপজ্জনক জায়গায় সেলফি তুলতে যান অনেকে। তখনই ঘটে বিপত্তি। তাই স্থান-কাল-পাত্র মাথায় রেখেই সেলফি তোলা ভালো। সেলফিকে সময় আর জীবনের উদ্‌যাপন হিসেবে নেওয়াটাই তো আসল।

সুন্দর সেলফি তুলতে

* বিভিন্ন কোণ থেকে ক্যামেরা ধরে দেখুন।

* আপনার কাঁধ ছবির ফ্রেমের কোথায় তা দেখুন। বেখাপ্পা লাগলে ক্যামেরার অবস্থান পরিবর্তন করুন।

* আলোতে দাঁড়ান।

* নতুন কোনোভাবে পোজ দিন।

* মজার কোনো কিছু করতে পারেন।

* সেলফি স্টিক, স্মার্টফোন ক্যামেরার জন্য বাড়তি লেন্স ব্যবহার করতে পারেন।

* পারলে পুরো শরীরের ছবি তুলুন।

* সুন্দর পটভূমি বেছে নিন।

* আলোর বিপরীতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলবেন না।

* নিজেকে প্রকাশ করুন।

(copied)

130
স্বামী-সন্তানহারা ইজাতন বেওয়ার (৭৫) সংসারে কোনো পুরুষ মানুষ নেই। এই বয়সেও অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। কাজ জুটলে ছয় ও সাত বছরের দুই নাতি-নাতনি চাঁদনী ও মাহিনের মুখে ভাত জোটে।
এক সপ্তাহ ধরে চারদিকে বন্যার পানি থই থই। যমুনাপারের গ্রাম রোহদহের মানুষ দলে দলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু নাতি-নাতনিকে নিয়ে স্বামীর বসতভিটা আঁকড়ে ধরে পানিবন্দী ঘরে এই কয়েক দিন পড়ে ছিলেন ইজাতন। পানি হুহু করে বাড়তে থাকলে নিরুপায় হয়ে অনাহারী দুই শিশুকে নিয়ে তিন দিন আগে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবাইশা ইউনিয়নের রোহদহ পুরোনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ওঠেন তিনি। পলিথিন টেনে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে সেখানে আশ্রয় নেন। পেছনে যমুনার ভয়াল স্রোতের গর্জন। রাতে দুই শিশুর ভয়ে ঘুম আসে না।
বৃদ্ধা ইজাতনের ঘরে একমুঠো চাল নেই। অনাহারী দুই নাতি-নাতনি ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। এ বৃদ্ধার দুই ছেলেমেয়ের একজনও বেঁচে নেই। এই দুই নাতি-নাতনি তাঁর মৃত মেয়ের সন্তান।
গত শনিবার পুরোনো বাঁধে খবর পৌঁছায়, এক কিলোমিটার অদূরে নতুন বিকল্প বাঁধে সরকারি ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।
ত্রাণের আশায় বৃদ্ধা ইজাতন গত শনিবার বানের পানি মাড়িয়ে দিনভর রোহদহ পুরোনো বাঁধ থেকে নতুন বাঁধে দিনভর ছুটোছুটি করেন। কিন্তু দিন শেষে খালি হাতে বাঁধে ফেরেন ইজাতন।
আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে রোহদহ পুরোনো বাঁধে বৃদ্ধা ইজাতন বেওয়ার ঝুপড়ি ঘরে গিয়ে দেখা যায়, ঝুপড়ি ঘরের ভেতরে একটি পাতিলে পাটশাক সেদ্ধ করছেন। দুই নাতি-নাতনি চাঁদনি ও মাহিন চুলার কাছে থালা পেতে বসে নানির রান্না শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছে।
কী দিয়ে রান্না হচ্ছে, জিজ্ঞাসা করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ইজাতন বেওয়া। তিনি বলেন, ‘রোহদহ গাওত একনা ঘর আছে। কিন্তু ঘরত এক মুঠো চাল নাই। সাত দিন ধরে পানিবন্দী। সবার বাড়িত বন্যার পানি। কেউ কাজে লেয়না। আজ বিয়ানবেলা ওবাড়ি থ্যাকে একনা পাটের শাক চ্যায়া আনছি। সেকনা কোনা সেদ্ধ করিচ্চি। কিন্তু ছল দুডা তো ভাত খাতে চাচ্চে। ভাত পামো কোনটি? খিদায় জানডা বার হয়্যা যাচ্চে, কেউ অ্যাকনা চাল দিলে দুডা ছলক নুন দিয়ে পান্তা খাওয়াবার পারনুহুনি।’
ইজাতন বেওয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোহদহ গ্রামের অবস্থা সম্পন্ন কৃষক ছিলেন তাঁর স্বামী ছমির উদ্দিন শেখ। যমুনা নদী জমিজমা ভিটেমাটি সব গিলে নিঃস্ব করেছে। ছমির শেখ মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। ইজাতন বলেন, ‘যমুনা হামার সব শ্যাষ করে দিচে। ঘরবাড়ি, বসতভিটা সব গিলে খাচে। এখন বানের ঢলত ভাসিচ্চি। খিদার জ্বালায় না খ্যায়া মরিচ্চি।’
বৃদ্ধা ইজাতন বেওয়ার মতোই অসহায় চার শিশুকে নিয়ে ক্ষুধার সঙ্গে লড়ছেন তাঁর বিধবা পুত্রবধূ মরিয়ম নেছা। গত বছর চায়ের দোকানে বিদ্যুতায়িত হয়ে স্বামী কমর উদ্দিন মারা যাওয়ার পর থেকেই সংসারে হাল ধরেন মরিয়ম। রোহদহ বাজারে চা বিক্রি করে সারা দিনে যে উপার্জন হয়, তা দিয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকন্যা মুগলি (৭) এবং নাতি নিহাদ, লিমন ও নাতনি লিমার মুখে ভাত জোটে। মুগলি ছাড়া তিনজন পড়ালেখা করছে রোহদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মরিয়ম বলেন, যমুনায় পানি বেড়ে যাওয়ায় ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে রোহদহ বাজার প্লাবিত হয়। চায়ের দোকান বন্ধ হওয়ায় পুঁজি ভেঙে কয়েক কেজি চাল কিনেছিলেন। আট দিন ধরে পানিবন্দী। ঘরের চাল-ডাল সব শেষ। চার দিন আগে পুরোনো বাঁধে এসে উঠেছেন। মরিয়ম নেছা বললেন, ‘এখন পাটশাক, কচুশাক সেদ্ধ কর‍্যা খাচ্ছি। কিন্তু ছোট অবুঝ শিশুরা ভাত খ্যাবার চায়। একটু ইলিপের জন্য অনেক ছুটোছুটি করেছি, পাইনি।’

(copied)

131
Faculty Forum / The Real Reason Why Facebook Introduced 'Reactions'
« on: June 22, 2017, 09:19:32 AM »
You may have noticed a very interesting feature, that’s been widely liked (or love reacted to) by Facebook users, that has just made its way to messages and comments - FB reactions 😍


It has given users the previously unavailable ability to express their true emotions on social media. When people see cute cat videos, they can express their love. When they see funny prank videos, they can express their laughter. When they see Comey’s testimony - well okay, they haven’t made a reaction for that yet (but I’m sure it’s being prototyped in Menlo Park as we speak).
To explain why reactions were created, we need to understand a little bit about Facebook’s revenue model. Facebook’s revenue is primarily driven by advertising - those ads on the right-hand side of your news feed, ads promoting candy crush-esque apps, ads that appear before you can watch that cool BuzzFeed video your roommate shared.

Facebook charges a premium for advertising through its platform, and companies are willing to pay it. That’s because Facebook is the best at targeted advertising.

Let’s say you develop a game for teenagers and call it War of the Worlds. Instead of advertising to the 1.9 billion Facebook users of the world, Facebook lets you do something special.

You can advertise to teenagers.
In Metropolitan cities.

Who have liked the pages candy crush, ninja jump, and jetpack joyride.
You have just narrowed down your targeted advertising audience from 3.7 Billion people to an audience of 50 Million people who are much more likely to download your application.

This is where reactions catalyze the whole model. But let’s connect the dots a little more succinctly, so this makes sense.

See, impactful targeted advertising works based on personality. You want to advertise your product to personalities most likely to buy/download/adopt your product.

Let’s create a (very very basic) personality* for John Smith in 2016:

Male
21 years old
Lives in San Francisco
Likes the pages Apple, Android, Bill Gates
Recently liked a video introducing the iPhone 8
Based on this information alone, I know a few things about John. He's young. He likes technology. I have a better idea of what to advertise to him - let's show him ads for phones. He seems like he would like buying an Android or iOS-powered smartphone.

But now, let's introduce reactions into the equation

I now know that John 'loves' every video released by Google that talks about new Android features. John is 'wowed' by the new camera in the latest Samsung phone. John gets 'angry' every time he sees a news article talking about the superiority of Apple products.

Let's show him advertisements for Samsung phones, and avoid Apple products at all costs. He is much more likely to buy a Samsung Android phone, and so Apple doesn’t need to waste their time or money advertising to John.

This article was originally taken from a stream on prophetsharing.co.
Featured in: Business Strategies, Marketing & Advertising, Social Media

132
Faculty Forum / Domestic Violence - A curse to Womanhood
« on: June 22, 2017, 09:12:37 AM »
During my practice into criminal cases, I have handled several alimony, divorce cases and dowry death matters. What I observed is that many women choose to silently suffer through the domestic violence. In the dowry death cases, I have seen the opponent lawyer asking a question in their cross examination of victim's family member "If your daughter/sister was harassed and assaulted these many years, why did not she lodge a criminal complaint against the culprits". There is no answer to prove this. Was that fault of the woman who silently suffered and succumbed to the domestic violence? Does her silence give a right to her in laws to assault her again and again?

         Having tolerance for everything is God given trait to women. And the extra tolerance is taught by her family during the upbringing. The first assault done by anyone damages her dignity and her confidence to live life with same spirit. Whenever any man assaults a woman in the family, it creates negative impact on entire family and the upbringing of children. The children grow up in the trauma which may cause mental disorders in their behavior. Just to reveal the intensity of domestic violence I would like to quote a real time example. A well educated woman and her kids get assaulted by her drunkard husband regularly. The kids grow up under extreme panic. The daughter of that family discloses the fact of regular assaults to her boy friend. No wonder, on one fine day he assaults her repetitively over a petty argument. The girl does not lodge any kind of complaint and just lets it go. The girl did not find anything wrong in the assaults made on her as she has already experienced this at home. This is the impact of domestic violence on women. Another incident out of the series of assaults from same man, the son follows the footprints of his father and assaults his wife one day out of an issue. Tell me how the mother of that son would be feeling when she sees her son following the footsteps of his father. These repetitive incidents of violence reminds her of her own story. There is no end to her suffering.

   A woman tolerates all the assaults just to save her relation, family and kids. She gets paid in the form of violence for her care, love and support to the family. A woman can at any time take recourse of law and scatter her family into pieces. She chooses family over her self respect and keeps suffering from inside without complaining to anybody. We see men assaulting women but have we seen a woman assaulting her husband. I do not say that there is 0% of assaults by women. But those are rarest of rare scenarios at least in India. People enjoy the view of a woman getting assaulted but if a woman tries to assault a man, the society can not take it at all.

In India, the women can opt for legal remedy under The Protection of Women from Domestic Violence Act 2005. This act gives protection to the victim against the future violence. Under this Act, the Court may grant any of the following reliefs such as: monetary relief, appoint of protection officers, protection order, Shared household, residence orders and custody orders and medical reliefs in case of any injuries.

I wonder how many women are coming out of the shell and approaching to the court in case of domestic violence. Only the person who goes through the pain can understand what it feels like to be a victim.

I urge to all the readers of this article to spread a word on this issue and to help in ending the violence on the sisters/daughters/wives/girl friends/female counterparts. Only RESPECT is the thing a woman always wish for.

Let us pledge to eradicate the violence against women and make a better living for them.

-
Advocate. Nilambara Chavan
Featured in: India, Professional Women, Social Impact

133
At its F8 developers conference, Facebook unveiled Messenger Chat Extensions for creating in-app experiences, including sharing and playing songs from Spotify and Apple Music.

Facebook Messenger is getting into the music-sharing game, thanks to Spotify and Apple Music.

Facebook has announced that Spotify and Apple Music will both be integrated into Messenger, allowing users to share playable links to songs, albums, and playlists directly in-app. This integration is part of Facebook’s new Chat Extensions for its Messenger Platform, first unveiled at the F8 developer conference.

According to Spotify, users will be able to search the catalog from the Messenger app, which will also surface their recently played music. Once a song link in shared, recipients will be able to play a 30-second clip. They will have to go to the main Spotify app to listen to the full song.

Our new gaming site is live! Gamestar covers games, gaming gadgets and gear. Subscribe to our newsletter and we’ll email our best stuff right to your inbox. Learn more here.
Apple has not disclosed how the Apple Music integration will work, but it’s safe to assume that it will be something similar to Spotify. Facebook will begin rolling out the integrations “very soon.”

In addition, Spotify has created a Messenger bot that will give users playlist recommendations based on their mood, activity, or genre.

Why this matters: When Apple turned iMessage into a platform for third-party apps, it integrated with Apple Music because duh. But Apple is also open to outside platforms—first with the release of an Android app, and now Facebook Messenger support. This allows as many people as possible to discover and sign up for Apple Music.

However, no amount of third-party integrations will change the fact that both Spotify and Apple Music are still closed ecosystems. If people really want to share music on Messenger or any other messaging app, they’re still better served sending a YouTube or SoundCloud link, which doesn’t require a membership and plays longer than 30 seconds.

This story, "Facebook will let you play songs from Spotify and Apple Music inside Messenger" was originally published by Macworld.

134
Google makes a lot of money from online advertisements. In what appears to be a surprising move at first glance, the company is likely to introduce an ad blocking feature that could be turned on by default in desktop and mobile versions of its Chrome browser, according to a news report.

The move by Google is seen as more defensive rather than a change of heart by the company on the issue of ad blockers, reported The Wall Street Journal, citing people familiar with the company’s plans.

By bundling its own ad blocker as a feature in Chrome, the most popular browser according to Net Market Share, the company appears to be expecting users to use the default blocker rather than the blockers that have proliferated on the market. It will then allow only certain acceptable ads to be shown, according to the Journal, which said that the feature could be announced within weeks.

Our new gaming site is live! Gamestar covers games, gaming gadgets and gear. Subscribe to our newsletter and we’ll email our best stuff right to your inbox. Learn more here.
Adblocks have been seen as a threat for advertising companies. Google, for example, pays to be a part of the “Acceptable Ads” program from Eyeo, the developer of AdBlock Plus, which then lets advertising on Google’s search engine and some of the other ads it powers to pass through Adblock Plus filters, according to WSJ.

The ads that will be considered acceptable will be as defined as such by the Coalition for Better Ads. The industry group, which has Google as a member, released in March its Better Ads Standards, identifying the kind of ad experiences that “fall beneath a threshold of consumer acceptability.”

Apart from the apparent incongruity of Google getting into ad-blockers, the measure by the company will impact what kind of ads users of the Chrome browser will see and which they won’t. Unless they disable the feature, their web experience will continue to be determined by Google. The company could still decide not to go ahead with the plan, WSJ said.

“We do not comment on rumor or speculation,” Google said in a statement on Wednesday in response to the report. “ We’ve been working closely with the Coalition for Better Ads and industry trades to explore a multitude of ways Google and other members of the Coalition could support the Better Ads Standards,” it added.

Pop-up ads and prestitial ads that load before the content were some of the ad types that were found in a survey of 25,000 users to be the least preferred ad experiences by mobile users, while desktop users objected to pop-up ads, auto-playing videos with sound, large sticky ads and prestitial ads with a countdown, according to the Coalition.

Google is also considering blocking all advertising that figures on web sites with offending ads, instead of only the offending advertisements, according to WSJ. This measure would require the site owner to ensure that all of their ads meet the standards to avoid having all advertisements blocked on Chrome.

http://www.itnews.com/article/3191288/internet/google-reportedly-plans-ad-blocking-feature-for-chrome-browser.html

Pages: 1 ... 7 8 [9]