Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Sazzadur Ahamed

Pages: [1] 2 3 ... 14
1
বিল গেটসের নিট সম্পদের পরিমাণ ১৩ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। এটা ফোর্বস সাময়িকীর সম্পদশালীদের তালিকায় আজ রোববার সকাল ৯টার হিসাব। প্রতিদিন যদি তিনি এক কোটি ডলার করে খরচ করেন, তবে ১৩ হাজার ৫৪০ দিন, অর্থাৎ ৩৭ বছরের বেশি লাগবে সে টাকা ফুরাতে।

তবে বিল গেটস বা বিলিয়নিয়ারদের সূচকে অন্য যাঁদের সম্পদের হিসাব দেখানো হয়, তা নিট সম্পদের পরিমাণ। মোট সম্পদ ও মোট দায়ের ব্যবধান। সেই সম্পদ কেবল নগদ অর্থ নয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার আছে, জমি কেনা আছে, বাড়িঘর আছে, ঘরের ঘটিবাটির সম্ভাব্য দামও হয়তো অন্তর্ভুক্ত আছে। এত কথার অর্থ হলো, তিনি চাইলেই এক দিনের নোটিশে সব সম্পদ নগদ অর্থে রূপান্তর করতে পারবেন না। তবু আমরা যেহেতু খাতা-কলম নিয়ে বসেছি, হিসাবটা কষেই ফেলি চলুন।

বিজ্ঞাপন
আগেই বলা হয়েছে, মাইক্রোসফট সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের নিট সম্পদ ১৩ হাজার ৫৪০ কোটি ডলারের। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭০১ কোটি টাকা (বাংলাদেশ ব্যাংকের গতকালের হিসাব অনুযায়ী ডলারপ্রতি ৮৫ টাকা ৬৫ পয়সা ধরে)।

এবার চলুন পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার পরিমাণ জানা যাক। জাতিসংঘের পপুলেশন ডিভিশনের ওয়েবসাইটে সর্বশেষ ২০১৯ সালের প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেখানে ২০২০ সালে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রাক্কলন দেওয়া আছে ৭৭৯ কোটি ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৯ জন। যেহেতু সর্বশেষ নির্ভরযোগ্য তথ্য সেটাই, চলুন আমরা তা দিয়েই হিসাব কষি।

বিল গেটসের নিট সম্পদের পরিমাণকে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় ১ হাজার ৪৮৭ টাকা ৭৮ পয়সা। ২০২১ সালে এসে মানুষ যদি কিছুটা বাড়ে তবে সে পরিমাণ আরও কমবে।

যাহোক, হিসাব কষা শেষ। এবার চলুন নিজ নিজ কাজে মনোযোগ দিই। দু-চার পয়সা রোজগার করার সেটাই বোধ হয় একমাত্র উপায়।


2
তিন ধরনের তথ্য সমাজের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো হলো মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন ও ম্যালইনফরমেশন। নতুন আরেকটি শব্দ এসেছে মিডইনফরমেশন, অর্থাৎ কোনো তথ্য পুরোপুরি সঠিক কিংবা ভুল বলে সিদ্ধান্তে যাওয়া যাচ্ছে না, এমন তথ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা যা দেখি, তার সবই নির্ভুল সংবাদ নয়। অথচ অর্থ উপার্জনের নেশায় অনেকে যেনতেনভাবে নানা তথ্য প্রচার করছেন ইন্টারনেটে। এতে কোন তথ্য সঠিক, আর কোনটি ভুয়া, তা শনাক্ত করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুল তথ্য ছাড়ানো নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস (ক্যাম) অক্টোবর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।

‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া সংবাদ: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস–বিষয়ক জাতীয় কমিটি-২০২১। মুঠোফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সাইবার প্যারাডাইসের পৃষ্ঠপোষকতায় মাসব্যাপী সচেতনতামূলক এ কর্মসূচি চলছে। ২০০৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে এবং ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস পালন শুরু করে সিসিএ ফাউন্ডেশন।

বিজ্ঞাপন
গতকাল শনিবার রাতে আয়োজিত ওয়েবিনার অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করে ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন ক্যাম জাতীয় ক‌মি‌টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও আইসাকা ঢাকা চ্যাপ্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর ফারুক খন্দকার। সঞ্চালক ছিলেন কমিটির সদস্যসচিব ও সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিসিএ ফাউন্ডেশন) উপদেষ্টা ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা ট্রিবিউনের সহযোগী সম্পাদক আবু সাঈদ আসিফুল ইসলাম ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবের মিডিয়া স্ট্যাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের অধ্যাপক দীন এম সুমন রহমান।

সুমন রহমান বলেন, একদম মিথ্যা কিংবা অর্ধসত্য তথ্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হয়। এটিই ভুয়া সংবাদ। মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন, ম্যালইনফরমেশন—এই তিন ধরনের তথ্য সমাজের জন্য ক্ষতিকর। নতুন আরেকটি শব্দ এসেছে মিডইনফরমেশন, অর্থাৎ কোনো তথ্য পুরোপুরি সঠিক কিংবা ভুল বলে সিদ্ধান্তে যাওয়া যায় না, এমন তথ্য।

এ ছাড়া মিসইনফরমেশন মানে ভুল তথ্য। অজ্ঞতা বা অসতর্কতার কারণে এমন ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। ডিসইনফরমেশন হলো কোনো ব্যক্তি, সামাজিক গ্রুপ, সংগঠন বা দেশকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য ভুল তথ্যের ইচ্ছাকৃত ব্যবহার করা। ম্যালইনফরমেশন হলো তথ্যটি সঠিক। কিন্তু সঠিক তথ্যকে কোনো ব্যক্তি, সামাজিক গ্রুপ, সংগঠন বা দেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার।

অধ্যাপক সুমন বলেন, কোনো তথ্য ইন্টারনেটে প্রকাশিত হলে সেই ওয়েবসাইট যদি কোনো প্রতিষ্ঠিত বা মূল ধারার সংবাদমাধ্যম হয়, তাহলে সেটি সাধারণত ভুল তথ্য দেবে না।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ডিজিটাল লিটারেসিও বাড়াতে হবে। প্রতীকী ছবি
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ডিজিটাল লিটারেসিও বাড়াতে হবে। প্রতীকী ছবিআনস্প্ল্যাশ
সুমন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মনিটাইজেশন সিস্টেম, অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রচার করে আয় করার সুবিধার জন্য অনেকে বিভিন্ন নামে ওয়েবপোর্টাল পরিচালনা করছেন। এই প্রেক্ষাপটে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে এমন একটা ইনফরমেশন ইকোসিস্টেম গড়ে উঠুক, যেন ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধ করা যায়। একইসঙ্গে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ডিজিটাল লিটারেসিও বাড়াতে হবে। কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ভুয়া তথ্যের প্রচার ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, কিন্তু সব সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ এমন উদ্যোগ নিচ্ছে না।’

সাংবাদিক আসিফুল ইসলাম বলেন, ‘ইন্টারনেট এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। এটির অপব্যবহার করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে যখন কোনো ভুল তথ্য ছড়িয়ে কেউ সমাজের ক্ষতির চেষ্টা করে, তখন সেটি প্রতিরোধের জন্য একজন গণমাধ্যমকর্মী কিংবা গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।’

এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনে করেন, সোশ্যাল মিডিয়ার নিউজ ফিডে যা আসে, সেটিই কিন্তু ‘সংবাদ’ নয়। একজন গণমাধ্যমকর্মী যখন কোনো তথ্য পান, তখন তার কর্তব্য অবশ্যই যেন তিনি তথ্যটি যাচাই করে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করেন। এর মাধ্যমে দর্শক বা পাঠক সঠিক তথ্যটি পাবেন এবং উপকৃত হবে সমাজ।

ইন্টারনেটে ভুয়া তথ্য ছড়ানো ঠেকাতে সচেতনতা খুব জরুরি বলে মন্তব্য করেন ওমর ফারুক খন্দকার। এ ছাড়া নিউজপোর্টালগুলোতে প্রতিটি নিউজে পাঠকের রেটিং সিস্টেম চালু করা যেতে পারে। তাহলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছাড়ানো তথ্য ঠেকাতে সচেতন পাঠকেরা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবেন।

3
ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়ন এবং ফিন্যান্সিয়াল প্রযুক্তির উদ্যোক্তাদের উদ্যোগকে সহায়তা করতে বাংলাদেশে চালু হয়েছে ফিনল্যাব বিডি। এটুআই, ইউএনসিডিএফ ও এমএসসির উদ্যোগে ফিন্যান্সিয়াল ইনোভেশন ল্যাব বাংলাদেশ-ফিনল্যাবের উদ্বোধন করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করার মাধ্যমে নিম্ন ও মাঝারি আয়ের জনগোষ্ঠীকে সেবা দেবে ফিনল্যাব বিডি। আজ রোববার অনলাইন আয়োজনের মাধ্যমে এই ফিনল্যাব বিডির উদ্বোধন করা হয়। 

বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মূল স্তম্ভগুলোর একটি হলো ‘ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন’। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করছে এবং এতে ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখন তাদের প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা। এ ক্ষেত্রে ফিনল্যাব বাংলাদেশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রযুক্তি ও ডিজিটাল-ফার্স্ট পদ্ধতিকে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বলেন, বাংলাদেশের বাজারে ফিনটেকের উদ্ভাবন ও সক্ষমতা বাড়াতে ফিনল্যাব বাংলাদেশ কাজে আসবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যপূরণে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও নিরাপদ, সুরক্ষিত ও দক্ষ পেমেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে যাবতীয় পেমেন্ট সিস্টেম পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ফিনল্যাবকে পূর্ণ সহায়তা দেবে।

এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য সেবার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনকে আরও সহজ করতে কাজ করছে এটুআই। তিনি জানান, শুধু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে এ ল্যাব কাজ করবে।

জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (ইউএনসিডিএফ) এশীয় অঞ্চলের সমন্বয়কারী মারিয়া পারডোমো বলেন, ডিজিটাল আর্থিক সেবার মান বৃদ্ধি করে সমাজের মধ্যে বিরাজমান ব্যবধান কমিয়ে আনতে আর্থিক সেবা ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।

4
বয়স ১৬ বছরের কম হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের জন্য অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় এমন একটি আইনের খসড়া পেশ করা হয়েছে। ফেসবুক-টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো যদি সেই নিয়ম মানতে ব্যর্থ হয়, তবে ‘মাল্টিমিলিয়ন’ ডলার জরিমানার বিধান থাকবে। খবর রয়টার্সের।

অনলাইনে কমবয়সীদের তথ্যের সুরক্ষার জন্য প্রস্তাবিত আইনটি বাস্তবায়িত হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেকোনো উপায়ে ব্যবহারকারীর বয়স জানতে হবে। আর শিশুদের তথ্য সংগ্রহের সময় অবশ্যই তাদের মঙ্গলকে প্রাধান্য দিতে হবে। এ প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ আছে, তেমনই আছে অনলাইন ফোরাম রেডইট, ডেটিং অ্যাপ বাম্বলও।

‘অনলাইন প্রাইভেসি বিল’ নামের প্রস্তাবিত সে আইন পাস হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বয়স নিয়ন্ত্রণে কঠোরতম দেশগুলোর একটি হবে অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় একধাপ এগোবে দেশটি। সংবাদমাধ্যমের কনটেন্ট নিজেদের প্ল্যাটফর্ম দেখাতে চাইলে ওই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে চুক্তি করা এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। তা ছাড়া অনলাইনে ভুয়া তথ্যের প্রসার রোধেও কঠোর হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মিশেলিয়া ক্যাশ বলেন, ‘(অস্ট্রেলিয়ার) তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা এবং ন্যায্য ব্যবহার নিশ্চিত করছি আমরা। নির্দিষ্ট মানদণ্ড না মানলে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুতর শাস্তি দেওয়ার কথা আছে আমাদের আইনের খসড়ায়।’

ফেসবুকের সাবেক এক কর্মী প্রতিষ্ঠানটির গোপন অনেক নথি ফাঁস করলে মার্কিন আইন প্রণেতাদের রোষানলে পড়ে ফেসবুক। নথিগুলোতে বলা হয়, মুনাফার আশায় কমবয়সীদের মানসিক স্বাস্থ্যে কুপ্রভাব ফেলছে জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি ফেসবুক।

অস্ট্রেলিয়ার মানসিক স্বাস্থ্য এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডেভিড কোলম্যান জানান, শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো কীভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে, তা ফেসবুকের নিজস্ব গবেষণাতেই দেখানো হয়েছে।

এদিকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ফেসবুকের পাবলিক পলিসিবিষয়ক পরিচালক মিয়া গারলিক বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি পর্যালোচনা করে তাঁরা বুঝেছেন ‘আমরা আজ যে উদ্ভাবন ও নতুন প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা পাচ্ছি, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাইভেসি আইন বাস্তবায়নের গুরুত্ব অনুধাবন করা হচ্ছে।’

প্রস্তাবিত আইন না মানলে অস্ট্রেলিয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভারের ১০ শতাংশ, আইনটি ভেঙে যত আয় করেছে তার তিন গুণ কিংবা এক কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা করার বিধান করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ ২১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা করা যায়।

তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘ইনফরমেশন কমিশনার’ আজ সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, বেশির ভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ন্যূনতম বয়স ১৩ করা হয়েছে, তবে তা যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা নেই প্রতিষ্ঠানগুলোর।


5
সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য তথ্য সংগ্রহে মা-বাবার সময় ও শ্রম বাঁচাতে একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন আসছে। আগামী মাসে এই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে ডেটাফুল। প্রথম বাংলাদেশ ওপেন ডেটা সামিটের সমাপনী দিনে এ কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞাপন
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তিন দিনব্যাপী সামিটের শেষ দিন সোমবার (২৫ অক্টোবর) অ্যাপ্লিকেশনটির ডেমো তুলে ধরেন ডেটাফুলের প্রতিষ্ঠাতা পলাশ দত্ত। তিনটি থিমে বিভক্ত সামিটের এ দিনের থিম ছিল জনকল্যাণে উন্মুক্ত ডেটার ব্যবহার।
পলাশ দত্ত বলেন, এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে অভিভাবকেরা এক ক্লিকে তাঁদের পছন্দের স্কুল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এ জন্য তাঁদের সময় ও অর্থ ব্যয় করে স্কুলে-স্কুলে যেতে হবে না। এই অ্যাপ্লিকেশনে অভিভাবক চাইলে তাঁর পছন্দের একাধিক স্কুলের তথ্য তুলনাও করতে পারবেন।

এদিন আমেরিকাভিত্তিক ওপেন ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ এবং নেপালের ফ্রিডম ফোরামও অতিথি হিসেবে তাদের ডেটাভিত্তিক জনকল্যাণমুখী কাজের ওপর আলোকপাত করেন।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে আয়োজিত বাংলাদেশ ওপেন ডেটা সামিটের শেষ দিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডেটাফুলের গবেষক ও সামিট সমন্বয়কারী মো. আবু বকর সিদ্দিক।

তিন দিনব্যাপী সামিটে অংশ নেওয়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এটুআই, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ও সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট, ভারতের ডেটালিডস, নেপালের ফ্রিডম ফোরাম ও জার্মানির ডিডব্লিউ একাডেমি।

6
গণমাধ্যমে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ গবেষণাপত্র ফাঁস করে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন। এখন কর্মহীন, তবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই তাঁর। কারণ ‘সঠিক সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি’ কিনেছিলেন তিনি, জানিয়েছেন দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট ইবের প্রতিষ্ঠাতা পিয়ের ওমিদিয়ারের মালিকানাধীন অলাভজনক সংস্থা গত বছর একটি সংগঠনে দেড় লাখ ডলার দেন। সে সংগঠনটি এখন হাউগেনের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। তবে হাউগেন বলেছেন, ওই তহবিল থেকে তিনি কেবল ভ্রমণের জন্য অর্থ নেন।

ফেসবুকের এই গোপন নথি ফাঁসকারী দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘অদূর ভবিষ্যতের জন্য আমি ভালো আছি, কারণ সঠিক সময়ে আমি ক্রিপ্টো কিনেছিলাম।’

বিজ্ঞাপন
হাউগেন আরও বলেন, শারীরিক কিছু সমস্যা এবং ‘ক্রিপ্টো বন্ধুদের’ সঙ্গে যোগ দিতে তিনি এখন পুয়েরতো রিকোয় থাকছেন। তবে বিটকয়েন নাকি অন্য কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেছেন, তা বলেননি হাউগেন।

গত সপ্তাহে পলিটিকোর প্রতিবেদনে প্রথম জানা যায়, অলাভজনক সংস্থার মাধ্যমে ফ্রান্সেস হাউগেনকে সাহায্য করছেন ইবের বিলিয়নিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পিয়েরে ওমিদিয়ার। ওমিদিয়ার বরাবরই ‘বিগ টেক’ হিসেবে খ্যাত বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। হাউগেন সে অর্থে কেবল ভ্রমণ ব্যয় মেটাতে রাজি হয়েছেন, বাকি খরচ তিনি নিজের টাকায় করছেন বলে জানিয়েছেন।

গণমাধ্যম এবং সরকারের সঙ্গে যোগাযোগে হাউগেনকে সাহায্য করছে লুমিনেট নামে ওমিদিয়ারের আরেকটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রে হাউগেনের মূল জনসংযোগ প্রতিনিধি বিল বার্টন কাজ করেন সেন্টার ফর হিউমেন টেকনোলজিতে। সেটাও ওমিদিয়ারের তহবিলে গড়া।

লুমিনেটের এক মুখপাত্র বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, ‘ফ্রান্সেস হাউগেন যখন প্রকাশ্যে এলেন, যে ইস্যুগুলো তিনি সামনে আনলেন, সেগুলো নিয়ে যেন বেশ আলোচনা হয়, তা নিশ্চিত করতে তাঁকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় লুমিনেট।’

7
দেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা চালু করা হলো। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আজ সোমবার রাজধানীর পান্থপথের পানি ভবনে এর উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বিদ্যমান পাঁচ দিনের আগাম বন্যা পূর্বাভাস উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। এতে প্লাবন মানচিত্রের সাহায্যে বন্যা শুরু হওয়ার তিন দিন থেকে তিন ঘণ্টা আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠী পর্যায়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।’

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এই প্রকল্পে সাহায্য করছে বাপাউবো, এটুআই, গুগল, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ।

বিজ্ঞাপন
গুগল ম্যাপস এবং গুগল আর্থের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্থানের বন্যা সতর্কতার ভিত্তিতে প্লাবনের দৃশ্যপট নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রান্তিক জনসাধারণের কাছে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে এসএমএসে পূর্বাভাস পাঠানোর বিষয়টি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সঙ্গে চলমান রয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ‘২০২০ সালে পরীক্ষামূলকভাবে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে পূর্বাভাস দেওয়া শুরু করা হয়েছিল। ২০২০ সালে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা নদীতীরবর্তী ১৪টি জেলার ৩৮টি উপজেলায় এই কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হয়। ২০২০ সালে ৩ লাখ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মাধ্যমে ১০ লাখ স্মার্ট নোটিফিকেশন পাঠিয়ে বন্যাকবলিত এলাকার জনগণকে সেবা দেওয়া হয়। এর সফলতার ভিত্তিতে দেশজুড়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী এবং গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ুসি মাতিয়াছ বক্তব্য দেনন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাপাউবোর মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ।


8
তথ্য ও যোগযোগপ্রযুক্তি বিশ্ব সম্মেলন ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির (ডব্লিউসিআইটি) ২৫তম আসর। আগামী ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনের এবারের আয়োজক বাংলাদেশ।

 আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কথা জানায়। ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের (উইটসা) উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলন হবে।

বিজ্ঞাপন
এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুয়ালাইজার’। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১১ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডব্লিউসিআইটি অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনটি অনলাইনেও হবে। এ আয়োজনের পাশাপাশি এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০২১ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আধুনিক ইন্টারনেটের জনক হিসেবে খ্যাত ভিন্টন গ্রে সার্ফ, রবার্ট এলিয়ট কান, রাদিয়া পার্লম্যান এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবক টিমোথি জন বারনার্স লি ভার্চুয়্যালি যুক্ত হবেন। এ ছাড়া ইন্টেলের চেয়ারম্যান ওমর এস ইশরাক, নাসা থেকে ডাউগ কমস্টক, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের কমিশনার ভিক্টর ক্যালিস, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের বিলেল জামৌসি, আইএমডি স্মার্ট সিটি অভজারভেটরির সভাপতি ব্রুনোল্যানভিনসহ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ অংশ নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ২০২১ সাল বাংলাদেশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বছর। এ বছর ডব্লিউসিআইটিসহ অনেক বড় বড় আয়োজন করছে বাংলাদেশ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুরো বিশ্বের বৈষম্য, নারী–পুরুষের বৈষম্য দূর করতে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি। এই খাতের মাধম্যে হার্ডওয়্যার শিল্পের বিকাশ ঘটছে, মানুষের হাতে ইন্টারনেট পৌঁছে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত হয় আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে।

ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে উইটসা মহাসচিব জেমস এইচ পোজেন্ট বলেন, এ ধরনের আয়োজন শুধু বৈশ্বিকভাবে তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার ঘটানোই না স্বাগতিক দেশকেও তুলে ধরা। বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেক এগিয়েছে এবং প্রযুক্তিগতভাবে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেবে বলে তিনি আশা করেন।

তথ্য প্রযুক্তি খাতের সদস্যদের একটি নেতৃস্থানীয় কনসোর্টিয়াম উইটসা ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বের ৮০টির বেশি দেশ তাদের সদস্য। উইটসার সদস্যরা বিশ্বের তথ্য প্রযুক্তি বাজারের ৯০ শতাংশেরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করে। ডব্লিউসিআইটি তাদের সিগনেচার ইভেন্ট।

ডব্লিউসিআইটিতে অংশ নিতে হলে https://www.wcit2021.org.bd/ সাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহিদ উল মুনীরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব জিয়াউল আলম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল মান্নান।

9
সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছিল না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের। একের পর এক নেতিবাচক ঘটনা, এরপর সাম্প্রতিক নথি ফাঁসের ঘটনা যেন কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে ফেসবুকের। এত কিছুর পরও ফেসবুকের আয় কিন্তু কমেনি, বরং আগের তুলনায় বেড়েছে অনেক। বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা অর্জন করেছে।   

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের এই সময়ে ফেসবুকের মুনাফার পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।

বিজ্ঞাপন
বিবিসি বলছে, এটি অ্যাপলের আইওএস১৪ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন গোপনীয়তা আপডেটের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। অ্যাপলের এমন পদক্ষেপের কারণে ফেসবুকের পক্ষে ব্র্যান্ডগুলোর জন্য নির্দিষ্ট ক্রেতাশ্রেণি লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন প্রচার কঠিন হয়ে পড়েছিল।

ফেসবুকের সাবেক এক কর্মীর সাম্প্রতিক অভিযোগের মধ্যেই এমন খবর এসেছে। এক সাক্ষাৎকারে ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, মুনাফা করার ক্ষেত্রে ফেসবুক এর ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার বিষয়টি মোটেও ভাবে না।

বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ফাঁস হওয়া নথিগুলোতে দেখা যায়, ফেসবুক যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং যৌনাচারের প্রচার করে, এমন বিষয়বস্তু নিয়মিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

গত সোমবার ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ এক ভিডিও কনফারেন্সে ফেসবুকের বিনিয়োগকারীদের বলেন, ‘যা দেখছি তা হলো, আমাদের প্রতিষ্ঠানের একটি মিথ্যা চিত্র প্রকাশে ফাঁস হওয়া নথিগুলো ব্যবহারের চেষ্টা করেছে একটি চক্র।’

গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ৯১ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।

ফেসবুক বলেছে, অ্যাপলের গোপনীয়তার আপডেটটি বছরের শেষ প্রান্তিকে ডিজিটাল ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে। তবে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য করার আশা করছে ফেসবুক।

10
নভোচারীরা রকেটে চড়ে পৃথিবী ছাড়েন ঠিকই, তবে ব্যাকপেইন (মেরুদণ্ডে ব্যথা) ছাড়তে পারেন না। গবেষকেরা বলছেন, বেশির ভাগ নভোচারীদের মধ্যে ব্যাকপেইনের সমস্যা দেখা দেয় এবং তাঁদের সে সমস্যা সম্পর্কে যত জানা যাবে, পৃথিবীর রোগীদের ততই উপকার হতে পারে।

নভোচারীদের ব্যাকপেইন হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। মহাকাশ ভ্রমণ মানুষের মেরুদণ্ডে কেমন প্রভাব ফেলে, তা জানতে আগের গবেষণাগুলো আবারও পর্যালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির একটি দল। তাঁরা এর পেছনে মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ বলের অভাব, রকেটে চড়ার শারীরিক ধকল এবং খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিগুণের পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন।

বিজ্ঞাপন
গবেষণাপত্রটির সহলেখক ও বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক স্টিভেন কোহেন বলেছেন, মহাকাশচারীদের ব্যাকপেইনের কারণ অনুসন্ধান হয়তো অন্যদের সমস্যা সমাধানে কাজের তথ্য দিতে পারে।

একটি গবেষণায় ৭২২টি মহাকাশ অভিযানের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৫২ শতাংশ নভোচারীর মধ্যে ভ্রমণ শুরুর দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ব্যাকপেইন দেখা দেয়। ৮৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যথা হালকা হলেও অভিযান ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করতে বাধা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

সামরিক হেলিকপ্টারের চালক ও ক্রুদের নিয়ে করা আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা ভ্রমণের সময় মাধ্যাকর্ষণ বলের তারতম্যের মুখে পড়েছেন, তাঁদের প্রায় অর্ধেকের মধ্যে মৃদু ব্যাকপেইন পাওয়া গেছে। আর সাধারণ মানুষের চেয়ে পাইলটদের মধ্যে সচরাচর মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা থাকে বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ২০১০ সালে করা এক গবেষণায় পাওয়া যায়, নভোচারীদের মধ্যে ডিস্ক হার্নিয়েশনের আশঙ্কা চার গুণ বেশি থাকে। আবার পৃথিবীতে ফিরে আসার এক বছরের মধ্যে ব্যথা শুরু হওয়ার আশঙ্কাও থাকে বেশি।

গবেষণাপত্রটির মূল লেখক যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের জনস হপকিনস হাসপাতালের চিকিৎসক র‍্যাডোস্টিন পেনশেভ বলেন, মানুষের মেরুদণ্ডে ইংরেজি হরফ এস-আকৃতির বক্রতা থাকায় তা মাধ্যাকর্ষণ বল সহ্য করতে পারে। নমনীয়তা এবং ভার ও আঘাত সহ্য করতে পারার কারণও সেটাই।

র‍্যাডোস্টিন আরও বলেন, মাধ্যাকর্ষণ বল কমে যাওয়ায় এ বক্রতা যদি সোজা হয়ে যায়, তবে নভোচারীদের মধ্যে তা তীব্র ব্যাকপেইনের কারণ হতে পারে। আবার পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাঁদের মেরুদণ্ডের স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে।


ওই গবেষকেরা নভোচারীদের ব্যাকপেইন রোধ, নির্ণয় ও সারানোর উপায় নিয়ে করা পুরোনো গবেষণাগুলোও ঘেঁটে দেখেন। সেখানে সুনির্দিষ্ট ব্যায়াম, বিশেষ স্পেস স্যুটের ব্যবহারসহ বেশ কিছু পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো নিয়ে আরও বেশি গবেষণা করলে হয়তো ব্যাকপেইন সারানোর সম্ভাব্য চিকিৎসা সম্পর্কে জানা যাবে।

আইসোমেট্রিক, স্কোয়াট, লাং ও বেঞ্চ প্রেসিং অনুশীলনের মাধ্যমে নভোচারীরা ব্যাকপেইন রোধ করতে পারেন। মহাকাশ কেন্দ্রগুলোতে এই ব্যায়ামের যন্ত্রপাতি রাখা হয়েছে এরই মধ্যে। ব্যায়ামের পাশাপাশি ম্যাসাজ, ভিটামিন ডি ও ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা, নিউরোমাসকুলার ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন ও নেগেটিভ প্রেশার ডিভাইসের ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে বলেও জানানো হয়।

11
ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়ি পাতা হয়। সেই ঘটনা একযোগে প্রকাশ করে ১৭টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সেই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো তৈরিতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এই মানবাধিকার সংগঠনই স্মার্টফোনে পেগাসাসের উপস্থিতি পরীক্ষা করার টুলকিট দিয়েছে। সেটির নাম মোবাইল ভেরিফিকেশন টুলকিট, সংক্ষেপে এমভিটি। সঙ্গে ব্যবহারের বেশ লম্বা–চওড়া নির্দেশিকাও প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি।

অ্যাপলের আইওএস এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিভাইসে কাজ করে মোবাইল ভেরিফিকেশন টুলকিট। তবে অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় আইফোনে যে বেশি নির্ভুল ফল পাওয়া যায়, তা অ্যামনেস্টির নির্দেশিকায়ই বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুলকিটটি ব্যবহার করতে চাইলে ভিন্ন একটি কম্পিউটারে স্মার্টফোনের ডেটার ব্যাকআপ নিয়ে সেই ব্যাকআপে পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাতে হবে। আর সে কাজে কমান্ড লাইন ব্যবহার করতে হবে। বেশির ভাগ অপারেটিং সিস্টেমে কাজটি করা গেলেও নির্দেশিকায় অ্যাপলের ম্যাকওএস কিংবা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ বলা চলে, কারিগরি দক্ষতার পাশাপাশি খানিকটা ধৈর্যেরও প্রয়োজন আছে।

মোবাইল ভেরিফিকেশন টুলকিট ব্যবহারের নির্দেশিকা এবং ইনস্টল করার ফাইল একই ওয়েবসাইটে পাবেন। ফাইল নামিয়ে ব্যবহারের আগে সে ওয়েবসাইট থেকে নির্দেশিকা ভালোভাবে পড়ে নিতে ভুলবেন না।

নির্দেশিকায় কেবল ম্যাকওএস এবং লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে কাজটি করার কথা উল্লেখ করা রয়েছে। তবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটারে লিনাক্স ব্যবহারের সুযোগ আছে উইন্ডোজ ১০-এ। আপনি চাইলে সেই নির্দেশিকা দেখে নিতে পারেন মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট থেকে। এরপর অ্যামনেস্টির নির্দেশিকায় লিনাক্সের অংশটুকু অনুসরণ করতে হবে।

মন্তব্যে এক পাঠক জানিয়েছেন, মোবাইল ভেরিফিকেশন টুলকিটের ওয়েব ঠিকানাটি কাজ করছে না। নির্দেশিকার ওয়েবসাইটটি কোনো কারণে এই মুহূর্তে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাই ওয়েব ঠিকানা হালনাগাদ করে মূল ওয়েবসাইটের ঠিকানা যুক্ত করা হলো। ব্যাপারটি নজরে আনার জন্য পাঠককে ধন্যবাদ। (২৭ জুলাই, ২০২১)

12
টিভিতে তখন বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের খেলা চলছিল। হারারেতে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি। মাঠে দর্শকদের আসনসংখ্যা এমনিতেই কম, তবে সেখানে কোনো দর্শকের দেখা নেই। করোনাকাল শুরুর পর থেকে মাঠের খেলার চালচিত্র এমনই।

অন্যদিকে লকডাউনে ঘরে থাকার সময়টাতে বেড়েছে ভিডিও গেমের বাজার। সেটা জয়স্টিক হাতে টিভির সামনে হোক, মুঠোফোনে হোক কিংবা কম্পিউটারের সামনে। মানুষ গেম খেলার যন্ত্র (কনসোল) কেনায় যেমন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে, তেমনই নতুন গেম কেনায় টাকা খরচ করতেও দ্বিধা করেনি।

একই মেয়াদে দুই ধরনের খেলা হেঁটেছে ভিন্ন পথে। হয়তো সে কারণেই মাথায় প্রশ্ন এল, মাঠের খেলার বাজার কি পর্দার খেলার (পড়ুন ভিডিও গেম) বাজারের চেয়ে ছোট হয়ে আসছে? গুগলে খানিকটা ঘাঁটতেই সম্ভাব্য উত্তর মিলেছে। তবে সে উত্তরে যাওয়ার আগে ভিডিও গেমের আরেকটি খবর জেনে নিই চলুন।

বিজ্ঞাপন
ভিডিও গেম এখন হলিউডের চেয়ে বড়
দিন কয়েকের ব্যবধানে দুটি প্রতিবেদনে বলা হলো, ভিডিও গেমের বাজারে পা রাখছে নেটফ্লিক্স। ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটি তা নিশ্চিতও করেছে। করোনাকালে টিভি সিরিজ আর সিনেমার মতো বিনোদনের বর্ধিঞ্চু খাত থেকে কেন অজানা পথে পা বাড়াল প্রতিষ্ঠানটি? সে উত্তর মিলবে আরেকটি সংবাদ প্রতিবেদনে।

গত জানুয়ারিতে মার্কেটওয়াচ জানাল, করোনার প্রভাবে ভিডিও গেমের বৈশ্বিক বাজার এখন চলচ্চিত্রের বৈশ্বিক বাজারের চেয়ে বড়। কেবল চলচ্চিত্র নয়, এর সঙ্গে উত্তর আমেরিকার ক্রীড়া খাত যোগ করলেও ভিডিও গেমই এগিয়ে থাকবে।

একই প্রতিবেদনে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসির তথ্য উপস্থাপন করে বলা হলো, গত বছর ভিডিও গেম শিল্প থেকে আয় ২০ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২১ সালজুড়ে সে সংখ্যা বাড়বে বৈ কমবে না।

অন্যদিকে মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রশিল্পের আয় ১০ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। ২০২০ সাল তো মন্দাই গেল। এ বছরও খুব ভালো সাড়া নেই। আর পিডব্লিউসির অনুমান অনুযায়ী, ২০২০ সালে উত্তর আমেরিকার ক্রীড়া খাতের আয় সাড়ে সাত হাজার কোটি ডলারের আশপাশে। এই দুটি খাতেই করোনার বড় প্রভাব পড়েছে।

এখন বলুন, ভিডিও স্ট্রিমিং সেবার পাশাপাশি গেম স্ট্রিমিং সেবায় মনোনিবেশ করলে কি নেটফ্লিক্সকে দোষ দেওয়া যায়?

এবার চলুন আমাদের প্রথম প্রশ্নে
ব্যবসায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যাকসেনচার এ বছর এপ্রিলের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক ভিডিও গেমশিল্প নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, এখন গেমিং খাত থেকে মোট আয় ৩০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রত্যক্ষ আয় ২০ হাজার কোটি, বাকিটা পরোক্ষ। প্রবৃদ্ধির এমন হারের পেছনে মোবাইল গেমিংয়ের বড় ভূমিকার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে দ্য বিজনেস রিসার্চ কোম্পানির ‘স্পোর্টস গ্লোবাল মার্কেট রিপোর্ট ২০২১’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক খেলার বাজার ২০২০ সালের ৩৮ হাজার ৮২৮ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০২১ সালে ৪৪ হাজার ৭৭ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থাৎ কিছুটা পুনরুদ্ধারের পথেই হাঁটছে।

সেদিক থেকে দেখলে মাঠের খেলা এখনো ডিভাইসের খেলার চেয়ে বড়। তবে করোনাকালে পার্থক্যটা ক্রমেই কমে এসেছে। এখন এই ধারা অব্যাহত থাকবে নাকি করোনা–পূর্ব ধারায় ফিরে যাবে, তা-ই দেখার বিষয়।

13
প্রতিবার অলিম্পিকের মৌসুম এলে গেমিং কমিউনিটিতে একটি প্রশ্ন ঘুরেফিরে জিজ্ঞেস করতে দেখা যায়, অলিম্পিকে কবে ইস্পোর্টস যুক্ত হবে? ইস্পোর্টস হলো ভিডিও গেমের প্রতিযোগিতা। একদল পক্ষে বলে। আরেক দল বিপক্ষে। আমরা পক্ষে-বিপক্ষে না গিয়ে যুক্তিতর্ক নিয়ে আলোচনা করি চলুন। শুরু করা যাক অলিম্পিকে নতুন ক্রীড়া যুক্ত করার পূর্বশর্ত দিয়ে।

কী সেই পূর্বশর্ত
ডিজিটাল ট্রেন্ডসে বলা হয়েছে, অলিম্পিকে নতুন কোনো খেলা যুক্ত হতে হলে সেটির বেশ কিছু যোগ্যতা থাকতে হয়। শুরুতেই সে খেলার একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফেডারেশন থাকতে হবে। ফুটবলে যেমন ফিফা, ক্রিকেটে আইসিসি। এরপর সেই ফেডারেশনকে পরখ করে স্বীকৃতি দেবে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)।

ইস্পোর্টসের তেমন একটি ফেডারেশন এক দশকের বেশি সময় ধরেই আছে। ২০০৮ সালে গঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল ইস্পোর্টস ফেডারেশন। সে সংগঠনই যাবতীয় ইস্পোর্টস কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার কথা। এখন সেটিকে আইওসির স্বীকৃতি পেতে হবে।


বিজ্ঞাপন
আরেকটি পূর্বশর্ত হলো, খেলাটিকে বৈশ্বিক হতে হবে। পুরুষদের বেলায় অন্তত চারটি মহাদেশজুড়ে কমপক্ষে ৭৫টি দেশে খেলতে হবে। নারীদের ক্ষেত্রে অন্তত তিনটি মহাদেশের ৪০টি দেশে সেটি জনপ্রিয় হতে হবে।

ইস্পোর্টসের সে যোগ্যতাও আছে। ৬টি মহাদেশের অন্তত ১৫০টি দেশের নারী ও পুরুষ ভিডিও গেমের প্রতিযোগিতায় যুক্ত হন।

শেষ পূর্বশর্তটি হলো, সেটাকে অন্তত ‘খেলা’ হতে হবে। ক্রীড়ার সংজ্ঞায় সেটিকে শারীরিক কার্যক্রম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে দক্ষতা বা শারীরিক শক্তির প্রয়োজন হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা প্রতিযোগিতামূলক।

14
মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭টি দেশের মধ্যে ১৩৫তম। বাংলাদেশের পেছনে আছে দুটি দেশ—আফগানিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
 ইন্টারনেটের গতি নিয়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা প্রতিষ্ঠান ওকলার গত মাস জুনের হিসাবে এ চিত্র উঠে এসেছে। ওকলা প্রতি মাসেই এ চিত্র তুলে ধরে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোড গতি ১২ দশমিক ৪৮ এমবিপিএস। আপলোডের গতি ৭ দশমিক ৯৮ এমবিপিএস।

বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে উগান্ডারও পেছনে বাংলাদেশ
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে উগান্ডারও পেছনে বাংলাদেশ
ওকলা বলছে, বাংলাদেশের অবস্থান জুন মাসে এক ধাপ পিছিয়েছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গড় গতিও সামান্য কমেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাবে, মে মাস শেষে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহারকারী দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৭৫ লাখ। সর্বশেষ ৯০ দিনে একবার কেউ ইন্টারনেটে সক্রিয় হলেই তাঁকে গ্রাহক হিসেবে গণ্য করা হয়। বিটিআরসির হিসাবে, ব্রডব্যান্ডের গ্রাহকসংখ্যা ৯৮ লাখের কিছু বেশি।

ওকলার তথ্য বলছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গতির ইন্টারনেট রয়েছে সংযুক্ত আরব-আমিরাতে। ডাউনলোডের গতি ১৯৩ এমবিপিএসের বেশি। এরপরে শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, কাতার, নরওয়ে ও সাইপ্রাস।

বাংলাদেশের পেছনে আছে দুটি দেশ—আফগানিস্তান ও ভেনেজুয়েলা
বাংলাদেশের প্রতিবেশী ও সমপর্যায়ের অর্থনীতির দেশের মধ্যে ভিয়েতনাম ৫৮, মালয়েশিয়া ৮৯, কম্বোডিয়া ৯১, নেপাল ১০৫, মিয়ানমার ১০৯, পাকিস্তান ১১৪, ভারত ১২২ এবং শ্রীলঙ্কা ১২৯তম অবস্থানে রয়েছে। সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা পাঁচটি দেশ হলো ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও সুদান।

দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি যে কম, তা গত মার্চে বিটিআরসির এক জরিপেই উঠে আসে। এতে দেখা যায়, ঢাকার গ্রাহকেরা চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবায় (ফোর-জি) ৩ থেকে ৬ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট পাচ্ছেন। অথচ, বিটিআরসির বেঁধে দেওয়া মান অনুযায়ী, গ্রাহকদের সর্বনিম্ন ৭ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দিতে হবে।

জরিপটি হয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। ২৩ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা বা ড্রাইভ টেস্ট চালানো হয়। এতে যাচাই করা হয় যে, বিটিআরসি ২০১৮ সালের সেবার মান বেঁধে দিয়ে যে বিধিমালা জারি করেছিল, সে অনুযায়ী অপারেটরেরা গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে কিনা।

দেশে ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ৩৮ এমবিপিএসের কিছু বেশি। আপলোডের গতি ৩৭ এমবিপিএসের মতো।
ওকলার হিসাবে বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে ১৮১টি দেশের মধ্যে ৯৮তম অবস্থানে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে গত মাসের চেয়ে দুই ধাপ পিছিয়েছে। দেশে ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ৩৮ এমবিপিএসের কিছু বেশি। আপলোডের গতি ৩৭ এমবিপিএসের মতো।

ব্রডব্যান্ডে সবচেয়ে বেশি গতি মোনাকোতে, ২৬১ এমবিপিএস। সবচেয়ে কম তুর্কমিনিস্তান, ৪ দশমিক ৪৯ এমবিপিএস। ভারতের অবস্থান ৭০তম, গতি ৫৮ এমবিপিএস। পাকিস্তান ১৬৪তম, গতি ১২ দশমিক ৭৭ এমবিপিএস।

15
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফটিসি) ২০১৫ সালে ঠিক করেছিল, ডাউনলোড এবং আপলোডের গতি সেকেন্ডে যথাক্রমে ২৫ এবং ৩ মেগাবিট (এমবিপিএস) হলে, সেটাকে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ বলা হবে। তবে গত মার্চে দেশটির চার সিনেটর এফটিসির সে নীতিমালা বদলে ব্রডব্যান্ড সংযোগের ভিত্তি গতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবিট করার আহ্বান জানিয়েছে।

আমরা অবশ্য নিত্যদিনের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারলেই খুশি। তবে প্রশ্ন হলো, কত গতির ইন্টারনেট সংযোগ নিত্যদিনের কাজে প্রয়োজন। সে বিষয়েও এফটিসির একটি নির্দেশনা আছে। তবে সে ওয়েবপেজেই এফটিসি জানিয়েছে, সেটি প্রমিত মান নয়। এদিকে গত মার্চে সিনেটের প্রতিবেদনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে নানা কাজে প্রয়োজনীয় গতির তালিকা প্রকাশ করেছে সিনেট।

কাজ   প্রয়োজন   হলে ভালো হয়
ই-মেইল   ১ এমবিপিএস   ১ এমবিপিএস
ওয়েব ব্রাউজিং   ৩-৫ এমবিপিএস   ৫-১০ এমবিপিএস
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম   ৩-৫ এমবিপিএস   ১০ এমবিপিএস
ভিডিও কল   ৩-৫ এমবিপিএস   ১০-২০ এমবিপিএস
এইচডি স্ট্রিমিং   ৫-১০ এমবিপিএস   ১০-২০ এমবিপিএস
অনলাইন গেমিং   ৩-৬ এমবিপিএস   ২৫-৩৫ এমবিপিএস
ফোরকে স্ট্রিমিং   ২৫ এমবিপিএস   ৩৫ এমবিপিএস
এখানে অবশ্য আরও অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন একই ইন্টারনেট সংযোগ কতগুলো ডিভাইসে একসঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে, মূল কাজের পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা খরচ হচ্ছে কি না ইত্যাদি।

Pages: [1] 2 3 ... 14