Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Sazzadur Ahamed

Pages: 1 ... 6 7 [8] 9 10 11
106
দেশের মধ্যে ইউটিউবের জন্য সেরা ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতাদের খোঁজে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। একে তারা বলছে, অনলাইন রিয়েলিটি শো। এর নাম ‘বাংলালিংক নেক্সট টিউবার’। সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিযোগিতাটি শুরু হওয়ার পর প্রায় দুই মাস চলবে। যেখানে পর্যায়ক্রমে চূড়ান্ত তিন জন প্রতিযোগীকে সেরা হিসেবে বেছে নেবে তারা। দর্শক ভোট ও বিচারকদের রায়ে সেরা কনটেন্ট নির্মাতাকে পুরস্কৃত করবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কয়েকটি শর্ত মানতে হবে আগ্রহীদের। যাদের ইউটিউবে ৪০ হাজারের বেশি সাবসস্ক্রাইবার রয়েছে তারা আবেদন করতে পারবেন না। বাংলাদেশের নাগরিকরাই শুধু অংশ নিতে পারবেন প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগীকে ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড করে ভিডিওটির ইউআরএল এন্ট্রি হিসেবে ‘বাংলালিংক নেক্সট টিউবার’-এর ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে হবে।

107
আইফোন টেনের দাম ৯৯৯ মার্কিন ডলার হবে। খুব বেশি কি? দীর্ঘদিন ধরেই নতুন এই আইফোন ঘিরে বাজারে গুঞ্জন ছিল। ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে নতুন চমক হিসেবে আইফোন টেনের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল।

অ্যাপল কর্তৃপক্ষের মতে, তারা বরাবরই উন্নত ফোন তৈরি করে। তাদের ফোন প্রিমিয়াম ফোন। ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি।

এক দশক আগে অ্যাপলের বাজারে আনা প্রথম আইফোনের চেয়ে এবারের ঘোষণা দেওয়া আইফোন টেনের দাম দ্বিগুণ। বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চেয়েও এর দাম বেশি। শুধু আইফোন টেনের দাম নয়, ৮ ও ৮ প্লাসের দামও আগের সংস্করণের আইফোন ৭-এর চেয়ে বাড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ মনে করে, ক্রেতারা ভালো নকশার প্রিমিয়াম ফোন চান। এ জন্য তারা বেশি দাম দিতে আগ্রহী। তাই আইফোন টেনের দাম বেশি হলেও এটি ঘিরে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুকের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নেই।

এক দশক আগে অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের হাত ধরে আসা প্রথম আইফোনের দাম ছিল ৪৯৯ মার্কিন ডলার। ওই আইফোনকে স্মার্টফোনের যুগান্তকারী আবিষ্কার বলে মনে করা হয়। টিম কুক দাবি করছেন, প্রথম আইফোনটির মতো আইফোন টেনও এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। প্রথম আইফোনের পর এটাকে বড় অগ্রগতি বলছেন তিনি।

অবশ্য টিম কুকের কথাতে সায় দিচ্ছেন অনেক প্রযুক্তি বিশ্লেষক। তাঁরা বলছেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে আইফোন টেন প্রশ্নাতীত আকর্ষণীয়। এতে এজ-টু-এজ স্ক্রিন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চিপ, ফেসিয়াল রিকগনিশন নতুন সেন্সর, এনিমেটেড ইমোজি, ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করার সুবিধাযুক্ত পোর্টেট মোড সেলফি, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি গেম প্ল্যাটফর্ম ও তারহীন চার্জিংয়ের মতো প্রযুক্তি আছে। অ্যাপলের দাবি, ফোনটি আইফোন ৭-এর চেয়ে দুই ঘণ্টা বেশি চার্জ ধরে রাখতে পারে। তবে আইফোনের প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও প্রায় একই রকম ডিসপ্লে, ফেসিয়াল রিকগনিশন, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি ও তারহীন চার্জিং সুবিধা আছে।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের বিশ্লেষক ব্রায়ান ব্লাউ বলেন, দৈনন্দিন মানুষ যা ব্যবহারে অভ্যস্ত ও ভালো বোঝে, তার সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি সমন্বয়ে অ্যাপল সবচেয়ে ভালো করে। অগমেন্টেড রিয়্যালিটি তাই শুধু আইফোন টেনেই নয়, অন্য মডেলগুলোতেই আইওএস ১১-এর সঙ্গে যুক্ত হবে।

প্রযুক্তি বিশ্লেষক প্যাট্রিক মুরহেড বলেন, অ্যাপল তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধন্যবাদ দিতে পারে। বাজারে দুর্দান্ত প্রতিযোগিতা বিশেষ করে স্যামসাং, গুগল ও হুয়াওয়ের চাপে নতুন আইফোনে বড় চমক দেখাতে বাধ্য হয়েছে অ্যাপল।

মুরহেড বলেন, আইফোন টেনের মধ্য দিয়ে বাজারে সুপার ফোনের একটি ভাগ তৈরি হলো। বর্তমানে বাজারে ফ্ল্যাগশিপ, হাই-এন্ড, মিডরেঞ্জ বিভিন্ন ভাগে স্মার্টফোন বিক্রি হতে দেখা যায়। অ্যাপল তাদের আইফোনের জন্য ঐকান্তিক এক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

অ্যাপলের অন্য যন্ত্রগুলোও উন্নত হচ্ছে। অ্যাপল যে নতুন স্মার্টওয়াচ এনেছে তাতে ফোন কল করার সুবিধা এসেছে। অ্যাপল টিভিতে ফোরকে মানের ভিডিও দেখার সুবিধা এসেছে। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

108
আইফোন ৮, ৭ এস এবং ৭ এস প্লাস একসঙ্গেই ছাড়া হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে আইফোনপ্রেমীদের চোখ আইফোন ৮–এর দিকে। এখন পর্যন্ত বেশ গুজব রটেছে এই ফোনগুলো নিয়ে। তবে এত দিন বেশির ভাগ গুঞ্জনই ছিল এর নকশা এবং কবে উন্মোচিত হচ্ছে—এসব ঘিরে। বিশ্বখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর অনলাইন সংস্করণে ১৯ আগস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই ফোন তিনটির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

 আইফোন ৮

ফোর্বস–এর প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট দাম বলা হয়নি। তবে এই ফোনের দাম এক হাজার ডলারের বেশি হবে জানানো হয়েছে। আর ৫.৮ ইঞ্চির এজ-টু-এজ পর্দা হবে আইফোন ৮–এর। পেছনের ক্যামেরায় থাকবে ভার্টিক্যাল ডুয়েল লেন্স। আর তা খুব সম্ভবত অগমেন্টেড রিয়্যালিটি কর্মক্ষমতার হবে। বিভিন্ন আবহে ছবি তোলার জন্য স্মার্ট ক্যাম নামে একটি সুবিধা থাকতে পারে। ৪কে প্রযুক্তি–সমর্থিত ক্যামেরা হতে পারে। প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাপলের নতুন এ ১১ প্রসেসর। আর চার্জ দেওয়ার জন্য তারহীন ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

 আইফোন ৭ এস এবং ৭ এস প্লাস

৬৪৯ ও ৭৬৯ ডলার দাম হবে ৭ এস এবং ৭ এস প্লাসের। এই ফোনগুলোর নকশায় তেমন কোনো ব্যতিক্রম নেই বাজারে থাকা আইফোনগুলোর চেয়ে। ৪.৭ ইঞ্চি পর্দা হবে ৭ এস–এর। আর ৫.৫ ইঞ্চি পর্দা হবে ৭ এস প্লাসের। দুটি ফোনের পেছনের ক্যামেরায়ই থাকবে হরাইজন্টাল ডুয়েল ক্যামেরা ব্যবস্থা। অবশ্য আইফোন ৭ এবং ৭ প্লাসের চেয়ে উন্নত হবে এর ক্যামেরা। প্রচলিত হোম বটমই থাকছে। আইফোন ৮–এর মতো এ ১১ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে এই দুই আইফোনে। সম্ভবত চার্জ দেওয়ার জন্য তারহীন ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে আইফোন ৭ এস এবং ৭ এস প্লাসে।

ফোর্বস–এর এই প্রতিবেদনের সূত্র কী, তা উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আইফোন ৮ নিয়ে অ্যাপলের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কোনো কিছুও বলা হয়নি।

109
Faculty Sections / ও-তে ওরিও
« on: August 24, 2017, 05:38:06 PM »
ইংরেজি বর্ণ ‘ও’ দিতে যদি শব্দ গঠন করতে বলা হয়, তবে একেকজন একেক রকম শব্দ বলবেন। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ ৮.০-এর নাম নিয়েও একেকজন একেক কথা বলেছিলেন। কেউ বলছিলেন, এর নাম হবে ওটমিল, কেউবা ওরিও। শেষ পর্যন্ত ‘ও’ দিয়ে একটি নাম ঠিক করেছে গুগল। ‘ও’ দিয়ে নাম রেখেছে ‘ওরিও’।

ওরিও হচ্ছে বিখ্যাত মজাদার কুকি। সাধারণত ইংরেজি বর্ণ অনুযায়ী মিষ্টান্নের নামে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নাম রাখা হয়। এর আগে এক্লেয়ার, ফ্রয়ো, জিঞ্জারব্রেড, হানিকম্ব, আইসক্রিম, স্যান্ডউইচ, জেলি বিন, কিটক্যাট, ললিপপ, মার্সম্যালো ও নোগাট নাম রেখেছে গুগল। ‘ও’ নামটির অপেক্ষায় ছিল প্রযুক্তিবিশ্ব।

অ্যান্ড্রয়েড ‘ও’ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের বিটা বিল্ড সংস্করণ উন্মুক্ত করার ঠিক পাঁচ মাস পর এর নাম ঠিক করল গুগল। গতকাল সূর্যগ্রহণ উপলক্ষে অ্যান্ড্রয়েড ৮.০-এর আনুষ্ঠানিক নামকরণ করে গুগল। এ সংস্করণের ‘ওরিও’ নাম দিয়ে জনপ্রিয় ডেজার্টের নামকরণের ধারা বজায় রাখল প্রতিষ্ঠানটি।

গত মার্চ মাসে বিটা সংস্করণ আসার পর থেকে এটি পাঁচটি ডেভেলপার প্রিভিউয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। সর্বশেষ প্রিভিউ সংস্করণটি এসেছে এ মাসের শুরুতে। অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ বা ওরিওতে অনেকগুলো নতুন ফিচার এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে নেটিভ পিকচার-ইন-পিকচার মোড, নোটিফিকেশন ব্যাজেস, স্মার্ট টেক্সট সিলেকশন, সিস্টেম অপটিমাইজেনশন, উন্নত ব্যাটারি লাইফ ও গুগল অটোফিল সিস্টেম। এতে নতুন নকশার ইমোজি এসেছে। এগুলো আরও ব্যবহার বান্ধব হবে।

গুগলের পরবর্তী পিক্সেল স্মার্টফোনে অ্যান্ড্রয়েড ওরিও সংস্করণ থাকবে।
এ ছাড়া কয়েকটি অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাদের ফোনে ওরিও সংস্করণের হালনাগাদ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। ওয়ানপ্লাসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের ওয়ানপ্লাস ৩ ও ওয়ানপ্লাস থ্রিটিতে ওরিও হালনাগাদ আসবে। আসুসের ফোনেও আসবে ওরিওর হালনাগাদ। এ ছাড়া চলতি বছরে নতুন যে স্মার্টফোনগুলো আসবে, তাতে ওরিও ব্যবহৃত হতে পারে। তথ্যসূত্র:আরস টেকনিকা।

110

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রতি মাসেই কোথাও না কোথাও নতুন স্মার্টফোন ছাড়া হচ্ছে। কিন্তু সব স্মার্টফোনই সমানতালে বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে না। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রাহকের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এমন স্মার্টফোনগুলোর তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজি অ্যানালাইটিকস। গ্রাহকেরা গত প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি যেসব ফোন কিনেছেন, এমন পাঁচটি স্মার্টফোনের কথা থাকছে এখানে।

আইফোন ৭
গত প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে অ্যাপলের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন আইফোন ৭। এই ফোনটি গত প্রান্তিকে বাজারে সরবরাহ করা হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ। আর তাতে স্মার্টফোন বাজারের ৪.৭ শতাংশ শেয়ার দখল করে নেয় আইফোন ৭।
আইফোন ৭ প্লাস
আইফোন ৭ প্লাস

তালিকার দ্বিতীয় স্থানটিও অ্যাপলের আরেক স্মার্টফোন আইফোন ৭ প্লাসের দখলে। ৪.২ শতাংশ শেয়ার এই ফোনের অধীনেই ছিল। ২০১৭-এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে অ্যাপল ১ কোটি ৫১ লাখ আইফোন ৭ প্লাস বাজারে সরবরাহ করেছে।
গ্যালাক্সি এস ৮

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৮
তৃতীয় স্থানটি দখলে নিতে পেরেছে অ্যান্ড্রয়েড চালিত কোনো স্মার্টফোন। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের ফ্ল্যাগশিপ ফোন গ্যালাক্সি এস ৮ বাজারে সরবরাহ করা হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ। ২.৮ শতাংশ শেয়ার দখলে নিতে পারে এই স্মার্টফোনটি।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৮ প্লাস
স্যামসাং বাজারে ৯০ লাখের মতো গ্যালাক্সি এস ৮ প্লাস বাজারে সরবরাহ করে ২.৫ শতাংশ শেয়ার অর্জন করতে পেরেছে এই ফোনের জন্য।
শাওমি রেডমি ৪এ

শাওমি রেডমি ৪এ
চীনা স্মার্টফোনের রাজত্ব শুরু তালিকার পঞ্চম স্থান থেকে। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রায় ৫৫ লাখ শাওমি রেডমি ৪এ মডেলের স্মার্টফোনটি বাজারে সরবরাহ করা হয়েছে। আর এতে বাজারে স্মার্টফোনটির শেয়ার দাঁড়ায় ১.৫ শতাংশে।

111
জেলি বিন, কিটক্যাট, ললিপপ বা মার্শমেলো—এসব নাম শুনে নিশ্চয়ই মিষ্টান্নের ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে! তবে প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে এগুলোর অন্য পরিচয়ও আছে। বিশেষ করে যাঁদের স্মার্টফোন গুগলের ‘অ্যান্ড্রয়েড’ অপারেটিং সিস্টেমে চলে, তাঁরা এই নামগুলো চেনেন অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন সংস্করণ হিসেবে। জনপ্রিয় বিভিন্ন মিষ্টান্নের নামে অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন সংস্করণের নামকরণের ধারা এবারও বজায় রেখেছে গুগল। সূর্যগ্রহণের দিনেই গত সোমবার এ বছরের বহুল প্রতিক্ষীত অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণ ৮.০ এর নামকরণ করা হয়, ‘ওরিও’। বিখ্যাত চকলেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ক্যাডবেরির বিস্কুট ব্র্যান্ড ওরিওর নামেই অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণের নামকরণ করা হয়েছে।
গত মার্চে অ্যান্ড্রয়েড ‘ও’ নামে ডেভেলপার প্রিভিউ বা বেটা সংস্করণ উন্মুক্ত করেছিল গুগল। এরপর থেকে অনেকেই জল্পনাকল্পনা করছিল ‘ও’তে কী হবে এ নিয়ে। নামকরণের পরপরই উন্মোচন করা হয় এই অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ। শিগগিরই অ্যান্ড্রয়েডচালিত প্রায় সব স্মার্টফোনেই অ্যান্ড্রয়েড ওরিও হালনাগাদ করা যাবে। উন্মোচনের আগ পর্যন্ত মোট পাঁচবার বেটা সংস্করণকে উন্নতি করা হয়। এ মাসের শুরুতেই শেষ বেটা সংস্করণটি ছাড়া হয়।
ওরিওতে নতুনত্বের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন সুবিধাও যোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত সুবিধাটি হলো ছবি থেকে ছবি বা ‘পিকচার-ইন-পিকচার মোড’। ফোনের পর্দার ছোট অংশে যেকোনো ওয়েবসাইটের ভিডিও চালু রেখে স্মার্টফোনে অন্যান্য কাজ সেরে নেওয়ার সুবিধাই হচ্ছে পিকচার-ইন-পিকচার মোড। এমন সুবিধা অবশ্য স্যামসাংসহ বেশ কয়েকটি স্মার্টফোন এবং ইউটিউবে আগে থেকেই ছিল। এ ছাড়া থাকছে নোটিফিকেশনে নিজের পছন্দসই বিষয়বস্তু সাজিয়ে রাখা, থাকছে বিশেষ কপি-পেস্ট সুবিধা ‘স্মার্ট টেক্সট সিলেকশন’। এই সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারী কোনো কিছু কপি করার সময় পুরো ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর বা ওয়েব ঠিকানা শনাক্ত করতে পারবে। ব্যাটারি ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে ‘স্মার্ট-অপটিমাইজেশন’ সুবিধা যোগ করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণে। রয়েছে নতুন নকশার ইমোজিও।
আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের স্বল্প সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর জন্য নতুন অ্যান্ড্রয়েড ওরিও উন্মুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে গুগলের নিজস্ব স্মার্টফোন পিক্সেল ও নেক্সাস ফোনেই ওরিও ব্যবহার করা হবে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। এ ছাড়া চুক্তি ভিত্তিতে অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতারাও এটি ব্যবহারের সুযোগ পাবে বলে গুগলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। পরবর্তী প্রজন্মের স্মার্টফোনগুলোর জন্য অ্যান্ড্রয়েডকে আরও সহজতর করতেই গুগল এখন কাজ করছে বলেও জানান ওই মুখপাত্র।

112
ছবি শেয়ারের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের প্রতি নাকি কিশোর-কিশোরীর আগ্রহ কমছে! অ্যাপটির প্রতিদ্বন্দ্বী স্ন্যাপচ্যাটেই এখন আগ্রহ দেখাচ্ছে উঠতি বয়সীরা। ঘটনা সত্য। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটারের প্রকাশ করা এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই বলা হয়েছে।

ফেসবুকের মালিকানাধীন অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম ২০১০ সালে প্রকাশ পাওয়ার পরই জনপ্রিয়তা পায়। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবছরই নতুনত্ব এনে সেই জনপ্রিয়তা যথার্থই ধরে রেখেছে অ্যাপটি। সেই জনপ্রিয়তার রেশ ধরে প্রতি মাসেই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করছেন প্রায় ৭০ কোটি ব্যবহারকারী। তবে হঠাৎই উঠতি বয়সী ব্যবহারকারীরা অনাগ্রহ দেখাচ্ছে এই অ্যাপের প্রতি।

ইমার্কেটের করা প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের চেয়ে চলতি বছর কিশোর বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত কমছে ইনস্টাগ্রামে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কিশোর বয়সীদের ওপর জরিপ চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এ মাসেই ইনস্টাগ্রামে প্রায় দেড় কোটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমবে। এদের প্রায় সবার বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তা ছাড়া ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী প্রায় অর্ধকোটি ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কমবে বলে ধারণা করছে ইমার্কেট। গত বছরেও এতসংখ্যক ব্যবহারকারী হারায়নি ইনস্টাগ্রাম।

তবে স্ন্যাপচ্যাটের বেলায় ঠিক উল্টো দৃশ্যের কথা জানাল প্রতিষ্ঠানটি। ইমার্কেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের শেষ নাগাদ কিশোর বয়সী গ্রাহকের দিক থেকে ইনস্টাগ্রাম এমনকি ফেসবুককেও ছাড়িয়ে যেতে পারে স্ন্যাপচ্যাট। ইমার্কেটের একজন বিশ্লেষক অস্কার ওরোজকো বলেন, বেশির ভাগ কিশোর-কিশোরীকে দেখা যাচ্ছে ইনস্টাগ্রাম ছেড়ে স্ন্যাপচ্যাটে চলে যেতে, সংখ্যাটি নিতান্তই কম নয়। তা ছাড়া যাঁরা এখনো ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামে রয়েছেন, তাঁদের খুব একটা আনাগোনা নেই সেখানে।

কিশোরদের ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকের প্রতি অনাগ্রহের কারণ হিসেবে নতুনত্বের অভাবকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেদিক থেকে ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ও নতুন নতুন চমৎকার সব আবহ যোগ করে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে স্ন্যাপচ্যাট। তবে এখনো সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ফেসবুক। আর সেই ফেসবুক তার ইনস্টাগ্রামের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হবে বলে আশাবাদী বিশ্লেষকেরা।

113
ইনফো-সরকার প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে অনিয়ম হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) নেতারা। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ দাবি করেন।

আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার কার্যাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের (আইএসপি) বদলে নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ককে (এনটিটিএন) দেওয়ার প্রস্তাবেই মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে এ খাত।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু গ্রাহকের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজটি আইএসপির বদলে এনটিটিএনকে দিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কাজটি করাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না বলে উল্লেখ করা হয়।

কারণ হিসেবে বলা হয়, গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার এখতিয়ার নেই এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর। এ ছাড়া একনেকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আটটি পর্যায়ের দরপত্রকে দুটি ভাগে ভাগ করে দিয়েছে বিসিসি।

আইএসপিএবি নেতারা বলেন, মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানই দরপত্রে অংশে নেয়। এনটিটিএন লাইসেন্সধারী দেশে আরও তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থাকলেও তারা এই দরপত্রে অংশ নেয়নি, যা বেশ প্রশ্নবিদ্ধ।

প্রতিষ্ঠান দুটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সাড়ে ছয় বছর থেকে সাড়ে সাত বছরের মধ্যে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিসিসি কীভাবে ২০ বছরের কার্যাদেশ দেওয়ার সুপারিশ করেছে, তা নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তোলেন আইএসপিএবির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইএসপিএবির সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ সুব্রত সরকার, পরিচালক মো. কামাল হোসেন, খন্দকার মুহাম্মদ আরিফসহ অনেকে। অনিয়ম বন্ধ করতে তাঁরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

114
পেনড্রাইভ বা ইউএসবি ফ্ল্যাশড্রাইভ নিমেষেই এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে তথ্য স্থানান্তর করা যায়। নিয়মিত ব্যবহারে পেনড্রাইভের গতি কমতে থাকে। পেনড্রাইভের গতি কেন কমে, আর বাড়ানোর কৌশল কী? এসব তুলে ধরা হলো—

 যে কারণে গতি কমে

পেনড্রাইভের বয়স এবং নিয়মিত ব্যবহারে তথ্য স্থানান্তরের গতি প্রতিনিয়ত কমতে থাকে। কোন ধরনের তথ্য পাঠানো হচ্ছে সেটার বিবেচনায় গতি কমে। আবার কম্পিউটারের ইউএসবি পোর্ট ও পেনড্রাইভের সংস্করণের ওপর নির্ভর করে তথ্য ধীরে বা দ্রুত যায়।

 গতি বাড়াবেন যেভাবে

ফাইল সিস্টেম পরিবর্তন: উইন্ডোজ এক্সপি থেকে পরের সব অপারেটিং সিস্টেম ফাইল স্থানান্তরের জন্য NTFS ফাইল সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। আপনার ব্যবহৃত পেনড্রাইভের ফাইল সিস্টেম যদি আগের ফ্যাট সিস্টেমের হয়ে থাকে তাহলে তথ্য স্থানান্তরে সেটি ধীর গতির হবে। ইউএসবি পোর্টে পেনড্রাইভ লাগিয়ে নিন। এরপর পেনড্রাইভে ডান ক্লিক করে Format-এ ক্লিক করুন। File system থেকে NTFS নির্বাচন করুন। Format option এর Quick Format-এ থাকা টিক চিহ্ন তুলে দিন। Start-এ ক্লিক করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এভাবে পেনড্রাইভ ফরম্যাট করতে সময় বেশি নিতে পারে।

ডিক্সে সমস্যা: কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভের মতো পেনড্রাইভের ডিস্কেও সমস্যা তথ্য স্থানান্তরে সমস্যা হতে পারে। যদি ডিস্ক স্ক্যান করে নেওয়া যায় তবে তথ্য স্থানান্তরে দ্রুত হবে। এ জন্য পেনড্রাইভে ডান ক্লিক করে Properties-এ ক্লিক করুন। তারপর Tools ট্যাবে ক্লিক করুন। আবার Check now বোতামে ক্লিক করুন। Automatically fix file system errors এবং Scan for and attempt recovery of bad sectors-তে টিক চিহ্ন দিয়ে Start বোতাম চাপুন। এই কাজটি সম্পন্ন হতেও সময় বেশি নিবে।

ফরম্যাট: পেনড্রাইভের তথ্য স্থানান্তর দ্রুত করার জন্য অনেক ব্যবহারকারীই প্রত্যেকবার ব্যবহারের আগে ফরম্যাট করে নেন। এটি অনেকাংশে বেশ কাজের। কিন্তু অনেক প্রযুক্তিবিদের মতে ঘনঘন ফরম্যাট করার ফলে পেনড্রাইভ তার কর্মক্ষমতা হারাতে পারে। নিয়মগুলো সাবধানে এবং প্রত্যেক মাসে দুই বা তিনবার ফরম্যাট করলে পেনড্রাইভে তথ্য স্থানান্তর দ্রুত হবে।

115
ফেসবুকে খবর পড়তে হলে ব্যবহারকারীকে অর্থ খরচ করতে হবে। ফেসবুক সম্প্রতি এ ধরনের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। খবর প্রকাশক বা সংবাদ সংস্থাগুলোর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ব্যবহারকারী কতগুলো খবর পড়তে পারবেন বা শেয়ার করতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট করা থাকবে। অর্থাৎ নির্দিষ্টসংখ্যক খবর বিনা মূল্যে পড়ার বা শেয়ার করার সুযোগ থাকবে। বেশি খবর পড়তে গেলে অর্থ খরচ করে পড়তে হবে।

ফেসবুকের খবর অংশীদারত্ব বিভাগের প্রধান ক্যাম্পবেল ব্রাউন বলেন, বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফেসবুকে নির্দিষ্ট প্রকাশকের ১০টি খবর পড়ার পর অর্থ খরচ করা লাগবে। গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে এক সম্মেলনে ব্রাউন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সংবাদ সংস্থাগুলো ফেসবুকের কাছে তাঁদের সাবসক্রিপশন সুবিধা দেওয়ার দাবি করছিল।

বর্তমানে ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলস ফিচারটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়।

ব্রাউন বলেছেন, প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনার প্রাথমিক পর্যায়ে আছে ফেসবুক। সাবসক্রিপশনভিত্তিক উন্নত ব্যবসার মডেল দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদ প্রকাশকেরা একজোট হয়ে গুগল ও ফেসবুকের একচেটিয়া বিজ্ঞাপন ব্যবসার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে কংগ্রেসের কাছে অনুমতি চেয়েছে।

বর্তমানে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের অধিকাংশ গুগল ও ফেসবুকের দখলে। খবর সেখানে পোস্ট হলেও প্রকাশকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। গুগল ও ফেসবুক লিংক শেয়ারের ফলে মূল ওয়েবসাইটে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। ফলে সংবাদ সংস্থাগুলো ফেসবুকের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে।

116
কোনো একদিন দাদিমা তার উঠানে বসে প্রিয় আপেলবাগানের মজার আপেল খাচ্ছিলেন। এমন সময় এক চোর সেই আপেল বাগানে ঢুকে সব আপেল চুরি করে নিয়ে যায়। দাদিমা এখন কী করবেন? চোরের সঙ্গে তো আর দৌড়ে পারবেন না বৃদ্ধ বয়সে। তাই বুদ্ধি করে তিনি তাঁর স্টোররুম থেকে স্কি নিয়ে চোরের পেছনে দিলেন ছুট। দাদিমা কি চোরকে ধরতে পারবেন?

আপেল চুরি যাওয়া এবং সংগ্রহের দারুণ এক গতিময় অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি নিয়েই গড়ে উঠেছে গ্র্যানি স্মিথ গেমটি। মিডিওক্রে পাবলিশারের গেমটি গুগল প্লেস্টোরেও বেশ ভালো রেটিং পয়েন্ট দখল করে আছে।

আসলে স্কি খেলার এই গেমে দাদিমাকে কিন্তু চোর ধরতে হবে না। রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় আপেল পড়ে থাকবে। চোরের সঙ্গে রেস করে আগে পড়ে থাকা আপেলগুলো সংগ্রহ করতে হবে। আগেভাগে আপেল সংগ্রহ করতে পারলে গেমারের পয়েন্ট বাড়তে থাকবে। চোরের থেকে যত আগে আপনি বুড়ির হয়ে আপেল সংগ্রহ করতে পারবেন, তত বেশি পয়েন্ট পাবেন।

গেমে জাম্প বাটন দিয়ে সব বাধাকে টপ যেতে হবে। আর দাদিমার লাঠিটা উঁচু থাকলে ভারসাম্য ঠিক থাকবে। এ ছাড়া বড় গর্ত থাকলে মাথার ওপর দড়ি থাকবে। তখন ওই লাঠি বাটন প্রেস করে দড়ি ধরতে হবে। এভাবে বিভিন্ন বাধা পার হয়ে চোরের আগে আপেল সংগ্রহ করতে হবে।

গেম নামানোর ঠিকানা

অ্যান্ড্রয়েড: https://goo.gl/J7RAuM

117
চিকিৎসক কম্পিউটারেই লিখতে পারবেন রোগীর ব্যবস্থাপত্র। আর সে কাজের জন্য ইজিপ্রেস নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছেন সৈয়দ তাকশেদ করিম ও জুবায়ের আহমেদ। এটি রোগী ব্যবস্থাপনার কাজে ও ব্যবস্থাপত্র তৈরিতে চিকিৎসকেরা কাজে লাগাতে পারবেন। হাতে লেখা ব্যবস্থাপত্রের পরিবর্তে ডিজিটাল সুবিধা কাজে লাগিয়ে সহজে ব্যবস্থাপত্র লেখার উদ্দেশ্যেই ইজিপ্রেস নামের এই উদ্যোগ। ৭ জুলাই সফটওয়্যারটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে।

এরই মধ্যে প্রায় ৪০০ জন চিকিৎসক নিবন্ধন করে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা শুরু করেছেন। সহ-উদ্যোক্তা জুবায়ের আহমেদ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জুবায়ের বলছিলেন, ‘এখন স্মার্ট যুগ। আধুনিক পদ্ধতিতে রোগীর ব্যবস্থাপনা করতে চান চিকিৎসকেরা। ইজিপ্রেস চালুর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দারুণ সাড়া পাচ্ছি।’

ইজিপ্রেসের আরেক উদ্যোক্তা সৈয়দ তাকশেদ করিম যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। কানাডায় অ্যারোস্পেস প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করেছেন। জুবায়ের ও তাকশেদ দুজন বন্ধু। পরিচয় ঢাকার নটর ডেম কলেজে পড়ার সময়। এ বছরের শুরুতে এই ইজিপ্রেসের ধারণা নিয়ে তাঁরা কাজ শুরু করেন। বর্তমানে ঢাকার গুলশানের অফিসে সাতজন কর্মী মিলে এই সফটওয়্যারের কাজ চলছে। কারিগরি কাজ ছাড়াও তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে কাজ করছেন তাঁরা।

জুবায়ের জানালেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। তাঁরা চান, ২০১৯ সালের মধ্যে ২৫ হাজার চিকিৎসকের কাছে ইজিপ্রেস সফটওয়্যারটি পৌঁছে দিতে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) নিবন্ধিত চিকিৎসকেরাই শুধু এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারবেন। আর তা ব্যবহার করতে চাইলে এর গ্রাহক হতে হবে। অবশ্য শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে বিএমডিসিতে তাঁদের নিবন্ধন হয়ে গেলে গ্রাহক হতে হবে।

সফটওয়্যারটির উল্লেখযোগ্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে, ওষুধের ডেটাবেস। ওষুধের নাম মুখস্থ না করে ডেটাবেস থেকে বাছাই করে নিলেই হবে। এই তথ্যভান্ডারে নতুন ওষুধের নাম যোগ করা যাবে। সফটওয়্যারটি দিয়ে আগে থেকে ব্যবস্থাপত্রের টেম্পলেট তৈরি করে রাখা যাবে। ব্যবস্থাপত্র চিকিৎসকের অ্যাকাউন্টে থাকবে। রোগীর সব তথ্য সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। রোগীর তথ্য থাকায় রোগ নির্ণয় ও বিশ্লেষণে চিকিৎসকের সুবিধা হবে। ভবিষ্যতে সফটওয়্যারটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছেন উদ্যোক্তারা।

সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন ইজিপ্রেস অ্যাকাউন্ট, একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ও ব্যবস্থাপত্র ছাপানোর জন্য একটি প্রিন্টার। সফটওয়্যারটি যথেষ্ট ব্যবহারবান্ধব ও নিরাপদ দাবি করে জুবায়ের আহমেদ বলেন, যেহেতু চিকিৎসকের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। তাই সফটওয়্যারটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যেতে পারে।

সফটওয়্যারটি আরও উন্নত করার পাশাপাশি আরও বেশিসংখ্যক চিকিৎসকের কাছে এটি নিয়ে যেতে চান উদ্যোক্তারা।

সফটওয়্যার সম্পর্কে জানা যাবে www.easypres.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে।

118
প্রাইজবন্ড মেলানোর ডিজিটাল পদ্ধতি হাতের নাগালেই। স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সহজেই মেলাতে পারবেন প্রাইজবন্ডের ফল। ব্যস্ততার কারণে অনেকেই সংগ্রহে থাকা প্রাইজবন্ডের ড্রর ফল মেলানোর সময় পান না। প্রতি তিন মাস পরপর ড্রর ফল দেখা ও মেলানো কঠিন। এতে অনেকেই পুরস্কার জিতেছেন কি না, তা জানতে পারেন না। ড্রর ফল প্রকাশের পর দুই বছর পর্যন্ত পুরস্কার দাবি করা যায়। পুরোনো প্রাইজবন্ডের ফল জানার জন্য গুগল প্লেস্টোরে রয়েছে প্রাইজবন্ড চেকার নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন। অ্যাপটি তৈরি করেছে টেকনোবিডি ওয়েব সলিউশনস।

প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অ্যাপটির মাধ্যমে প্রাইজবন্ড ডিজিটাল উপায়ে সংরক্ষণ করা যায়। নতুন কোনো প্রাইজবন্ড যোগ করলে সর্বশেষ দুই বছরের ড্রর ফলের সঙ্গে বন্ডের নম্বর মিলিয়ে ফল জানা যায়। ফলে পুরোনো ফল খুঁজতে হয় না। একবার শুধু বন্ডের নম্বর যোগ করলেই হলো। শুধু ফল নয়, নতুন ড্রর ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রাইজবন্ডগুলো ফলাফলের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৎক্ষণাৎ ফল জানিয়ে দেয়।

৩১ জুলাই প্রাইজ বন্ডের ৮৮তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে। প্রাইজবন্ডের ফল জানতে অ্যাপটি গুগল প্লেস্টোর থেকে ‘বাংলাদেশি প্রাইজবন্ড চেকার’ নামে অনুসন্ধান করতে পারেন। ডাউনলোড লিংক https://goo. gl/yuf2pV

অ্যাপটি সাবসক্রিপশনভিত্তিক। এতে ১০টি প্রাইজবন্ড বিনা মূল্যে দেখা যায়। ১০টির বেশি প্রাইজ বন্ড দেখতে চাইলে অবশ্য অর্থ খরচ করতে হবে। অ্যাপটি ইনস্টল করার পর নাম, ই-মেইল এবং ফোন নম্বরের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যায়। প্রাইজবন্ড চেকার অ্যাপটি গুগল প্লেস্টোর থেকে ৮০ হাজারের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ বা তার ওপরের সংস্করণে এটি ব্যবহার করা যাবে। এ বছরের জুন মাসে এর সর্বশেষ হালনাগাদ এসেছে।

119
হৃদ্‌রোগীরা কখন কী ওষুধ খাবেন, কবে কোন চিকিৎসকের কাছে যাবেন আর কোন চিকিৎসককে কোন ব্যবস্থাপত্র দেখাবেন—রোগীকে এ সম্পর্কে সংকেত দেবে ‘ই-হার্ট’ নামের একটি স্মার্টফোন অ্যাপ। এই অ্যাপ ব্যবহার করে আরও নানা সুবিধা পাবেন হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অ্যাপটি প্রকাশ করা হয়। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের (এনএইচএফ) রোগীদের জন্য এনএইচএফ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সহায়তায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির আরবান ল্যাব এই অ্যাপ তৈরি করেছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, এ অ্যাপ ব্যবহার করে নিয়মিত চিকিৎসায় ও ওষুধ সেবন করায় রোগীর সময় সাশ্রয় হবে। রোগীরা হয়রানির হাত থেকে মুক্তি পাবেন এবং চিকিৎসকের সঙ্গে আরও ভালোভাবে যোগাযোগ করা যাবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ অনুষ্ঠানে বলেন, ই-হার্ট অ্যাপ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এনএইচএফের প্রেসিডেন্ট জাতীয় অধ্যাপক আবদুল মালিকের সভাপতিত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার জীবপ্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ হোসাইনী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টি চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

এতে জানানো হয়, এ অ্যাপে রোগীর প্রোফাইল, রিস্ক স্কোর, অ্যাপয়েন্টমেন্ট, ব্যবস্থাপত্র, বিশ্রামের ফলাফল, রিস্ক ট্রেন্ড, ফলোআপ, হার্ট রেইট সুবিধা রয়েছে। হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগীরা অ্যাপটি নামিয়ে নিবন্ধন করে এটি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।

120
মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের মধ্যে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে, যে কিনা পেইন্ট সফটওয়্যারটি চেনে না। কত শত স্বপ্নের আঁকিবুঁকি হয়েছে এই পেইন্টে, তা বলাবাহুল্য। অনেক ডিজিটাল চিত্রশিল্পীর হাতেখড়িও যে এই পেইন্টে, তা-ও বলার অপেক্ষা রাখে না। ৩২ বছর পথচলার পর থামতে হচ্ছে উইন্ডোজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় অঙ্কনভিত্তিক সফটওয়্যার পেইন্টকে। মাইক্রোসফট এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে, আগামী উইন্ডোজ সংস্করণে আর ডিফল্টভাবে থাকছে না পেইন্ট। পেইন্টের আর কোনো নতুন সংস্করণও করবে না মাইক্রোসফট ডেভেলপাররা।

১৯৮৫ সালে উইন্ডোজের প্রথম সংস্করণের সঙ্গেই প্রথম এসেছিল মাইক্রোসফট বা এমএস পেইন্ট। পরবর্তী সময়ে জেডসফট করপোরেশনের তৈরি ‘পিসি পেইন্টব্রাশ’কে লাইসেন্স করিয়ে নেয় মাইক্রোসফট। শুরুর দিকে মাত্র এক বিটের মনোক্রোম গ্রাফিকস সমর্থন করত পেইন্টে। এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রথম জেপিইজি ধরনের ছবি সংরক্ষণের সুযোগ পায় উইন্ডোজ ৯৮ এর গ্রাহকেরা। গত কয়েক দিন আগে মাইক্রোসফটের প্রকাশিত এক তালিকায় এই পেইন্ট অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ফলে চলতি বছরের শেষ দিকে উইন্ডোজ ১০ ফল ক্রিয়েটরস হালনাগাদ থেকে বাতিল করা হতে পারে পেইন্ট এমন ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে ব্যবহারকারীদের মাঝে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ শুরু করে পেইন্টের ভক্তরা। গত সোমবার মাইক্রোসফট তাই আবার ঘোষণা দেয়, পেইন্ট উইন্ডোজের নতুন সংস্করণে ডিফল্টভাবে থাকছে না ঠিকই, তবে পুরোপুরি বাতিলও করা হবে না। উইন্ডোজ অ্যাপ স্টোরে বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে পেইন্ট। মাইক্রোসফট এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এ নিয়ে এক ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফটের মহাব্যবস্থাপক মেগান সনডার্স লিখেন, এমএস পেইন্ট থাকছে, শিগগিরই এটির একটি নতুন স্থান হবে, উইন্ডোজ স্টোরে এটি বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে। গত বছর পেইন্টের নতুন সংস্করণ ‘পেইন্ট ৩ ডি’ উন্মোচন করেছিল মাইক্রোসফট। ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরি করার পেইন্ট ৩ ডি’র বেশ কয়েকটি সুবিধা মাইক্রোসফট ফটোতে থাকতে পারে বলেও জানান সনডার্স।

Pages: 1 ... 6 7 [8] 9 10 11