Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Sazzadur Ahamed

Pages: 1 ... 7 8 [9] 10 11
121
তার ছাড়া ব্যাটারি চার্জ করা যাবে এমন ল্যাপটপ কম্পিউটার এনেছে ডেল। ‘ডেল লেটিটিউড ৭২৮৫’ মডেলের এই ল্যাপটপের চার্জ হবে তার ছাড়াই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শোতে এমন ল্যাপটপ তৈরির ঘোষণা দিয়েছিল ডেল। সেটি বাজারে ছাড়া হলো গত বুধবার।
প্রাথমিকভাবে এর দাম ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০০ ডলার এবং এতে রয়েছে ইন্টেল কোর আই৫-৭ ওয়াই ৫৪ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট রম এবং ১২৮ গিগাবাইট এসএসডিসহ চমকপ্রদ কিছু হার্ডওয়্যার। এতে ২৮৮০x১৯২০ পিক্সেল রেজল্যুশনের ১২.৩ ইঞ্চি পর্দা রয়েছে। এ ছাড়া ল্যাপটপটিতে রয়েছে ‘উইন্ডোজ হ্যালো’ সমর্থনযোগ্য একটি ফ্রন্ট ক্যামেরা। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী নিজের মুখচ্ছবি ব্যবহার করে কম্পিউটারে সাইন ইন করতে পারবে।
অ্যাপলের ম্যাকবুকের মতোই এই ডেল ল্যাপটপে রয়েছে দুটি থান্ডারবোল্ট ৩ ইউএসবি-সি পোর্ট, মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট, সিম কার্ড স্লট এবং একটি হেডফোন জ্যাক। এর চার্জিং পদ্ধতি প্রস্তাবিত গ্যালাক্সি এস ৮ ফোনের মতোই। অর্থাৎ ল্যাপটপটিকে চার্জ করতে একে প্রথমে চার্জিং ম্যাটের ওপর স্থাপন করতে হবে। ডেল লেটিটিউড ৭২৮৫ নামের এই হাইব্রিড ল্যাপটপে তার ছাড়াই ৩০-ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে, যা একটি ল্যাপটপ চার্জের জন্য যথেষ্ট। ল্যাপটপটির জন্য অবশ্য ব্যবহারকারীকে আলাদাভাবে একটি তারহীন চার্জিং কি-বোর্ড এবং চার্জিং ম্যাট কিনতে হবে। যার জন্য অতিরিক্ত আরও ৫৫৫ ডলার খরচ করতে হবে। ল্যাপটপটি কি-বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই চার্জিং ম্যাট প্রথমে ট্যাবলেটটিকে এবং এরপর কি-বোর্ডকে চার্জ করবে।

122
ঢাকা শহরে এ বছর প্রতি ১০ জনে ১ জনের চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর প্রাদুর্ভাব চলবে। সব মিলিয়ে এবার শহরের কমপক্ষে ১৮ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

২০১১ সাল থেকে চিকুনগুনিয়া নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করা তিনটি জরিপের ওপর ভিত্তি করে এই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আইইডিসিআর জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মুঠোফোনে একটি জরিপ করেছিল। ৪ হাজার ৭৭৫ জনের তথ্য তারা সংগ্রহ করেছিল। তাদের মধ্যে ৩৫৭ জন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। এই হিসাবে আক্রান্তের হার সাড়ে ৭ শতাংশ। এই সংখ্যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভায় উল্লেখ করেছিল আইইডিসিআর। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এখনো এ ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। এই জরিপ অনুযায়ী, জনসংখ্যার হিসাবে ইতিমধ্যে আক্রান্তর সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৭ হাজার।

আইইডিসিআরের সাবেক পরিচালক মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ২০১১ সালে ঢাকার দোহার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে চিকুনগুনিয়া নিয়ে দুটি এবং ২০১৩ সালে ঢাকা শহরের চারটি থানায় ডেঙ্গুর সঙ্গে চিকুনগুনিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে একটি জরিপ করা হয়। এসব জরিপের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, এ বছর ঢাকা শহরের লোকসংখ্যার ১০ শতাংশ পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্সের জনসংখ্যা বিভাগ বলছে, ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ১ কোটি ৮২ লাখ ৩৭ হাজার। ওই সংখ্যার ভিত্তিতে বলা যায়, ১০ শতাংশ, অর্থাৎ ঢাকা শহরে ১৮ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষের চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

তবে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা শহরে ১০ জনে ১ জন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে—এই তথ্যের সঙ্গে আমি একমত না।’ এর বাইরে আর কোনো মন্তব্য করতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

ঢাকা শহরে এবার চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ শুরু হয়েছে গত ডিসেম্বর থেকে। এ বছরের এপ্রিল-মে থেকে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। দেশের শীর্ষ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতিকে মহামারি বলেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কত মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তা নিয়ে পরিষ্কার তথ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে না। আনুমানিক সংখ্যা জানার কার্যকর কোনো উদ্যোগের কথাও জানা যায়নি।

২০১২ সালে টাঙ্গাইলের পালপাড়ায় চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখন আইসিডিডিআরবি ও আইইডিসিআর যৌথভাবে একটি জরিপ চালায়। তাতে ৪৬০টি পরিবারের ১ হাজার ৯৩৩ জনের মধ্যে ৩৬৪ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এখানে আক্রান্তের হার প্রায় ১৮ শতাংশ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় প্রতিটি পরিবারে চিকুনগুনিয়ার রোগী। কোনো কোনো পরিবারের সব সদস্যই আক্রান্ত। ১০ শতাংশ মানুষ যে আক্রান্ত হবে, এটা কোনো ঝুঁকি ছাড়াই বলা যায়। কারণ, কোনো জরিপেই আক্রান্তের হার ১৫ শতাংশের নিচে পাওয়া যায়নি।

ঢাকা শহরে বস্তির মানুষের মধ্যে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কম। এমন পর্যবেক্ষণ স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক এক মহাপরিচালকের। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বস্তির আশপাশে পরিষ্কার পানি জমে থাকার সুযোগ কম। তাই বস্তিতে এডিস মশার প্রকোপ কম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জরিপেও দেখা গেছে, বস্তিতে এডিস মশা কম। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, বস্তিতে প্রকোপ বেশি হলে আক্রান্তের হার বেড়ে যেত। কারণ, ঢাকার মানুষের প্রায় ৩০ শতাংশ বস্তিতে বাস করে।

তিন জরিপ

আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ২০১১ সালে দোহারে ও শিবগঞ্জে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। রোগটি কত মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে, তা দেখার জন্য অনুসন্ধান করে সংস্থাটি। সে সময় দোহারের ৬৪০ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেছিল আইইডিসিআর। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ নমুনায় চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়।

আর শিবগঞ্জে ৬ হাজার ২৬০ জনের ওপর জরিপ করে সংস্থাটি। তাতে ২০ শতাংশের চিকুনগুনিয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।

২০১৩ সালে রাজধানীর সূত্রাপুর, ধানমন্ডি, মতিঝিল ও আদাবর থানায় ডেঙ্গু নিয়ে জরিপ করে আইইডিসিআর। প্রতি ৯টি বাড়ির পর ১০ নম্বর বাড়ির তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তাতে ৩৩ শতাংশ মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ পাওয়া গেছে। তবে একাধিকবার চাইলেও এসব জরিপের বিস্তারিত তথ্য আইইডিসিআরের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

এসব অনুসন্ধানের সময় আইইডিসিআরের পরিচালক ছিলেন মাহমুদুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগের প্রাদুর্ভাব ছিল ছোট আকারের। আগের তথ্যগুলোর ওপর ভিত্তি করে রক্ষণশীল হিসাবে আমার মনে হয়, এই মৌসুমে ঢাকা শহরের ১০ ভাগ লোকের চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

123
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন ফাইল থেকে একাধিক নির্দিষ্ট ফাইল নির্বাচন করতে চাইলে কি-বোর্ডের CTRL কি চেপে ধরে এবং পরে পছন্দের ফাইলের ওপর ক্লিক করতে হয়। কিন্তু উইন্ডোজ ৭ এবং তারপরের বাকি সব অপারেটিং সিস্টেম থেকে CTRL কি ছাড়াই মাউস দিয়েই একাধিক ফাইল সিলেক্ট করতে পারবেন।

যা করবেন: কাজটি সহজে করতে চাইলে Computer এ গিয়ে Organize থেকে Folder Option-এ ক্লিক করুন। অর্গানাইজার খুলে গেলে View ট্যাব থেকে Use check boxes to select items-এ টিক চিহ্ন দিন। তাহলে প্রতিটি ফাইলের পাশে আলাদা চেক বক্স দেখা যাবে। এবার যে যে ফাইল দরকার তার বাম পাশে টিক চিহ্ন দিলেই ওই ফাইল নির্বাচন সম্পন্ন হবে এবং প্রয়োজনে সেটিকে কপি বা সরানোও যাবে।

124
অনলাইনে বেচাকেনার ওয়েবসাইটভিত্তিক অ্যামাজন এবার ‘এনিটাইম’ নামে বার্তা আদান-প্রদানের (মেসেজিং) অ্যাপ তৈরি করছে। বর্তমানের মেসেজিং অ্যাপগুলোর সব সুবিধা থাকছে এনিটাইমে। এনিটাইমে যুক্ত হতে ফোন নম্বরের প্রয়োজন পড়বে না। এ ছাড়া এর সব তথ্য হাতের যন্ত্রের বদলে জমা হবে ক্লাউডে। বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি থাকছে উচ্চমানের অডিও ও ভিডিও কল করার সুবিধা। থাকছে ছবি, ভিডিও, জিআইএফ ছবি কিংবা ইমোজি ও স্টিকার পাঠানোর সুবিধাও।

এই অ্যাপে নিরাপত্তার বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে। চ্যাট এনক্রিপশনসহ ব্যক্তিগত বার্তা আদান-প্রদানের সুবিধাও থাকছে এনিটাইম অ্যাপে। এতে গেমও খেলা যাবে যোগাযোগকারীর সঙ্গে। থাকছে লেখা রঙিন করাসহ ছবি বা ভিডিওতে বিভিন্ন আবহ জুড়ে দেওয়ার সুবিধাও। আইফোনের নতুন আইওএস ১১ সংস্করণের আই মেসেজের মতো এনিটাইমেও কোনো কিছুর দাম মেটানোর সুবিধা থাকছে। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য থাকছে আলাদা চ্যাটিং সুবিধা, যেখানে দ্রুত স্বয়ংক্রিয় বার্তা প্রেরণসহ পণ্য বেচাকেনাও করা যাবে। এনিটাইম ব্যবহার করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন এবং উইন্ডোজ ও ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটারে।

নতুন মেসেজিং অ্যাপ নিয়ে অ্যামাজন অবশ্য এখনো কিছু জানায়নি। মেসেজিং অ্যাপে ব্যবহারকারী কী কী সুবিধা চায়, এ নিয়ে অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি জরিপ চালিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এনিটাইম উন্মোচন করা হলে এটিই অ্যামাজনের প্রথম মেসেজিং অ্যাপ হবে তা নয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্যবসায়ী গ্রাহকদের জন্য চাইম নামের সেবা তৈরি করে অ্যামাজন।

125
চলতি বছরের প্রথমার্ধে বেশ কিছু নতুন ধারার প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করেছে। যেগুলো স্বপ্ন দেখছে বিশ্বকে পরিবর্তন করার, পরবর্তী ইউনিকর্ন হতে অর্থাৎ ১০০ কোটি ডলারের বাজারমূল্য অর্জন করতে অথবা একটি সফল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে। প্রতিবেদনে থাকছে ২০১৭ সালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টার্টআপ বা উদ্যোগ সম্পর্কে।

এসেনশিয়াল

যন্ত্র তৈরির প্রতিষ্ঠান এটি। অ্যান্ডি রুবিন এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি মূলত আইফোন ও স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজের ফোনগুলোকে টক্কর দেওয়ার জন্য এসেনশিয়াল ফোন নামে একটি স্মার্টফোনের নকশা করেছেন।

অ্যান্ডি রুবিন অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের নির্মাতা। পরে তা গুগলের কাছে বিক্রি করে বেশ কিছু দিন চাকরিও করেন সেখানে। ২০১৪ সালে গুগল ছেড়ে চলে এসে তৈরি করেন স্টার্টআপ ইনকিউবেটর। আর এর ছত্রছায়ায় তখনই এসেনশিয়াল ফোন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। গত মে মাসে এই স্মার্টফোন সম্পর্কে জানান দেন রুবিন। প্রতিষ্ঠানটি বাল্ব থেকে শুরু করে টোস্টার পর্যন্ত সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে স্মার্ট হোম হাব নিয়েও কাজ করছে।

ব্র্যান্ডলেস

এটি প্যাকেটজাত পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠান। যেখানে সাবান থেকে শুরু করে অলিভ অয়েল, এমনকি রান্নাঘরের ছুরি সব পাওয়া যাবে। তাদের উপস্থাপনার ধরন কিছুটা ভিন্ন। প্রতিটি পণ্যের জন্য একটি নির্ধারিত দাম ধরা হয়েছে, আর তা হচ্ছে ৩ ডলার, যা প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকে কেনা যাবে।

টিনা শারকে ও ইডো ল্যাফলার এর প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিটি পণ্যের গায়ে ব্র্যান্ড নাম দিয়ে বড়াই করা হয়। এসবের বাইরে গিয়ে চিন্তা করেছে ব্র্যান্ডলেস। সে জন্যই এই প্রতিষ্ঠানের সব পণ্য পাওয়া যাবে শুধু পণ্যের দাম এবং পণ্যের বর্ণনাসমৃদ্ধ প্যাকেটে। তবে গোপনভাবে ব্র্যান্ডলেস লোগো লাগানো থাকবে।

ফরওয়ার্ড

ফরওয়ার্ড মূলত ভবিষ্যতের চিকিৎসাবিজ্ঞানে রোগনির্ণয়ের যন্ত্র। যেটি গুগল এবং উবারের কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নকশা করা হয়েছে। এ ছাড়া এটি একজন ডাক্তারের সহকারী হিসেবেও কাজ করবে। যন্ত্রটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে একজন ডাক্তার কী বলছেন তা শুনে লিখতে সক্ষম। এটির সেবা গ্রহণ আপাতত ব্যয়সাপেক্ষ। এর সদস্যদের প্রতি মাসে গুনতে হবে ১৪৯ ডলার।

নোমাডিক ভিআর

নোমাডিক ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি আরকেড তৈরি করেছে, যা একজন ব্যবহারকারী ভিআর (ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটি) হেডসেট পরে এবং পিসি ব্যাকপ্যাক বহন করে ঘরের চারদিকে ঘুরতে পারবে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটিতে। বলা যেতেই পারে নোমাডিক ভিআর খুব ভালো সময় ধরতে পেরেছে। কারণ বেশ কিছু বিনিয়োগকারী মনে করছেন, ভবিষ্যতের বিনোদনে এই ভিআর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রথম যাঁরা এটি পরীক্ষা করে দেখেছেন, তাঁদের অনুভূতি অসাধারণ!

ডিপম্যাপ

এই স্টার্টআপ কাজ করছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিত গাড়ির জন্য ম্যাপ তৈরিতে। স্বয়ংক্রিয় চালিত গাড়ির জন্য ম্যাপ তৈরি করার সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো গাড়িটিকে রাস্তা দেখতে হবে এবং তা স্মৃতিতে রাখতে হবে। এর পেছনে যে দলটি কাজ করছে তারা পূর্বে গুগলে কাজ করেছেন। এটি একটি ছোট স্টার্টআপ, তাই অন্যান্য বড় প্রতিষ্ঠানের মতো ঝামেলা না থাকায় সম্ভাবনা রয়েছে অনেক।

126
উন্নত প্রযুক্তির মহাকাশযান তৈরিসহ মঙ্গল গ্রহে বসতি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ সমাদৃত মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্স এবং গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলন মাস্ক। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গভর্নর অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বেশ সমালোচনা করেছেন টেসলা প্রধান।

ওই অনুষ্ঠানে এলন মাস্ক দাবি করেন, মানবসভ্যতার অবসান ঘটাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই যথেষ্ট। তিনি জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বশেষ সংস্করণের সঙ্গে তিনি যুক্ত আছেন। তাই এ ব্যাপারে কতটা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, তা নিয়ে বেশ চিন্তিত মাস্ক।

এবারই যে প্রথম মাস্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সবাইকে সতর্ক করছেন এমনটি নয়। কয়েক বছর ধরেই সতর্কতার বাণী শুনিয়ে আসছেন তিনি। পৃথিবীর অস্তিত্বের জন্য হুমকির কারণ হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্রের পরই মাস্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে দায়ী করেন। এক টুইট বার্তায় ২০১৪ সালে মাস্ক বলেছিলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা পালন করতে হবে। পারমাণবিক অস্ত্রের পরই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ প্রযুক্তির মাধ্যমে কারও যেন ক্ষতি না হয়, এ ব্যাপারে সরকারকে আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন মাস্ক। অনুষ্ঠানটিতে তিনি বলেন, সময় পেরিয়ে যাওয়ার আগেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ও ব্যবহার নিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ এবং নিয়ন্ত্রণ আনা প্রয়োজন। অনেক শিল্পকারখানাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিয়মনীতি ও ঝুঁকির কথা তোয়াক্কা না করেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। আর এতে মানুষ কর্মসংস্থান হারাচ্ছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নীতিমালা প্রণয়নের আগে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরকারকে পরামর্শ করার আহ্বান জানান মাস্ক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হুমকির ব্যাপারে মাস্ককে সতর্ক করতে দেখে কেউ অবাক না হলেও এ বিষয়ে তাঁর সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি করাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন অনেকেই।

127
‘টেলভোতে বলব’ এই স্লোগানে গত বৃহস্পতিবার চালু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের দেশীয় অ্যাপ টেলভো। মাইক্রোট্রেডের সহ-প্রতিষ্ঠান ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ এই অ্যাপ বানিয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে টেলভো ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

ইনভেরিয়েন্ট টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম জমিস উদ্দিন চিশতী বলেন, ‘বিশ্বে প্রচলিত অ্যাপগুলোর যেসব সীমাবদ্ধতা আছে, সেসব সীমাবদ্ধতার সমাধানে টেলভো অ্যাপ আনা হয়েছে।’ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই অ্যাপের উল্লেখযোগ্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে ডায়াল প্যাড কলিং, গ্রুপ ভিডিও কল, কল ওয়েটিং সার্ভিস, একাধিক নম্বর নিবন্ধন ইত্যাদি।

নামানোর ঠিকানা: গুগল প্লেস্টোর: https://goo.gl/F6jKf1

128
ক্যামবিয়াম নেটওয়ার্কসের আয়োজনে রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) শুরু হয়েছে চার দিনের ‘ক্যামবিয়াম সার্টিফায়েড টেকনিক্যাল ট্রেনিং কোর্স’ শুরু হয়েছে। গত রোববার শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ কোর্স কাল বুধবার শেষ হবে। ডিআইইউর উপাচার্য ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম এ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন। ক্যামবিয়াম নেটওয়ার্কসের প্রশিক্ষণ অনুষদের প্রধান মোহিত কারলা ও ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী আনন্দ কাসুলা প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করবেন।

129
লিখিত বার্তা আদান-প্রদানে জনপ্রিয় অ্যাপ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের মেসেঞ্জার। এর ১০০ কোটির বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যবস্থা শুরু হবে।

গত জানুয়ারি মাসে পরীক্ষামূলকভাবে অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন সেবা চালু করে। এ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সন্তোষজনক সাফল্যের পর বিশ্বব্যাপী এই বিজ্ঞাপন সেবা চালুর ঘোষণা দিল ফেসবুক।

একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে ফেসবুক জানায়, খুব শিগগিরই বিজ্ঞাপনদাতারা বিশ্বব্যাপী মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। এ ছাড়া মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের ফোনের পর্দার আয়তন অনুযায়ী এই বিজ্ঞাপনের ধরন ভিন্ন হবে বলে জানায় ফেসবুক। তা ছাড়া বিজ্ঞাপনটি মেসেঞ্জারের কোথায় প্রদর্শিত হবে, তাও নির্ভর করবে ব্যবহারকারীর সক্রিয়তার ওপর। তবে ব্যবহারকারী মেসেঞ্জারে কী বার্তা প্রেরণ করছে তার ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে বলে নিশ্চিত করেছে ফেসবুক। মেসেঞ্জারের নতুন বিজ্ঞাপন সেবার আওতায় বিজ্ঞাপন থেকেই সরাসরি পণ্য কেনা যাবে।

মেসেঞ্জারে এমন বিজ্ঞাপনের কারণে কিছুটা বিরক্ত অনেক ব্যবহারকারী। অনেকেই মেসেঞ্জারে তাঁদের ব্যক্তিগত আলাপচারিতার ফাঁকফোকরে বিজ্ঞাপন ভেসে ওঠাকে ক্ষোভের চোখেই দেখছেন। তবে স্থায়ীভাবে মেসেঞ্জারে এ বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করা না গেলেও একটি বিজ্ঞাপনকে সরিয়ে ফেলার সুবিধা রাখছে ফেসবুক। এ ছাড়া অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনের ফলে মেসেঞ্জারের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট না হয়, সে বিষয়েও যথাযথ খেয়াল রাখবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক।

130
প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন উদ্যোগ (স্টার্টআপ) নিয়ে ইউরোপের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘স্ল্যাশ ২০১৭ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটর’-এ দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে অনুষ্ঠেয় এই আয়োজনে বিনিয়োগকারীদের সামনে নিজেদের উদ্ভাবনী প্রকল্প তুলে ধরতে পারবেন প্রতিযোগীরা।

বাংলাদেশ থেকে এই আয়োজনে প্রতিযোগী নির্বাচনের জন্য ঢাকায় আগামী মাসে শুরু হচ্ছে ‘স্ল্যাশ ২০১৭ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটর’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশে এ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে এমসিসি লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এম-ল্যাব। পৃষ্ঠপোষক কারিগরি সহায়তা দেবে হোয়াইট বোর্ড। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ৩ থেকে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। আগামী ৫ আগস্ট উপস্থাপন প্রতিযোগিতা হবে। এরপর শীর্ষ ১০ প্রতিযোগী নির্বাচন করা হবে। এরপর সেরা তিন এবং সবশেষে বাংলাদেশ থেকে একটি উদ্যোগ হেলসিংকির চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবে।

গত বছর বাংলাদেশ থেকে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিয়েছিল ‘এরএক্স ৭১ লিমিটেড’ এবং ‘টেন মিনিট স্কুল’ নামে দুটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ।

প্রতিযোগিতায় নিবন্ধনের ঠিকানা: https://goo.gl/Qf5MHX

131
ভবিষ্যতের মুঠোফোনগুলোতে হয়তো চার্জ দেওয়ার প্রয়োজনই পড়বে না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এমন একটি ফোন উদ্ভাবন করেছেন, যেটি চালাতে ব্যাটারি লাগবে না। ফোনটির নমুনাও (প্রোটোটাইপ) তৈরি করেছেন তাঁরা।

ব্যাটারি ছাড়া ফোনটি চলবে কীভাবে? ফোনের আশপাশে বেতার তরঙ্গ বা আলোক শক্তি দিয়েই চলবে এটি—এমনটাই বলছেন গবেষকেরা। আর সেই শক্তিও লাগবে খুব সামান্য পরিমাণে।

ব্যাটারি ছাড়া মুঠোফোন তৈরি-সংক্রান্ত একটি গবেষণা নিবন্ধ ‘প্রসিডিংস অব দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি অন ইন্টারঅ্যাক্টিভ, মোবাইল, ওয়্যারেবল অ্যান্ড ইউবিকুইশাস টেকনোলজিস’ সাময়িকীতে ১ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে।

এই মুঠোফোনের জন্য প্রয়োজন মাত্র সাড়ে তিন মাইক্রোওয়াট শক্তি। এ জন্যই ফোনটিতে যুক্ত করা হয়েছে চালের একটি শস্যদানার সমান সোলার সেল। তবে ফোনটিতে সংকেত গ্রহণ ও প্রেরণের জন্য একটি বেস স্টেশন থাকতে হবে। আলোক শক্তি ব্যবহার করে বেস স্টেশন থেকে ৫০ ফুট দূরত্বে এবং বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে বেস স্টেশন থেকে ৩১ ফুট দূরত্বে সংকেত পাঠানো যাবে।

ফোনটি তৈরিতে একটি সার্কিট বোর্ড, কয়েকটি ক্যাপাসিটিভ টাচ বাটন এবং অন্যান্য কিছু উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটির নকশায় থাকছে একটি ইয়ারফোন যুক্ত করার জায়গা এবং বিস্ময়করভাবে এত অল্প পরিমাণ শক্তিতে একই সঙ্গে সিগন্যাল আদান-প্রদানের জন্য কাস্টম বেস স্টেশন।

গবেষকেরা ফোনটির এই কাঠামোতেই মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে স্কাইপিতে কল করতে এবং কল ধরতে সফল হয়েছেন। তবে বিজ্ঞানীরা এই ফোনটিকে আরও উন্নত করতে চান। যাতে একটি ই-ইংক পর্দা যুক্ত করে ভিডিও প্রদর্শনে সক্ষম করা যায় এবং কথাবার্তাকে আরও নিরাপদ করা যায়।

ফোনটি শব্দ প্রেরণ করতে মাইক্রোফোন থেকে উৎপন্ন হওয়া কম্পন ব্যবহার করে তা সংকেত বদ্ধ করে বেতার তরঙ্গ তৈরি করে। শব্দ গ্রহণ করার জন্য ফোনের স্পিকারের কম্পন ব্যবহার করে ওই বেতার তরঙ্গকে শব্দে পরিণত করে। এই শব্দ পাঠানো এবং শোনা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি বোতাম যুক্ত করা হয়েছে।

এই গবেষণাপত্রের একজন সহলেখক ভ্যাসমি টল বলেন, ‘আমরা যে বেস স্টেশন তৈরি করেছি, সেটি এখনো প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। এটিই ব্যাটারি ছাড়া মুঠোফোন সবার জন্য আনতে পারবে। ভবিষ্যতে এ রকম ফোনের নেটওয়ার্ক সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি ঘরে বেস স্টেশনে ওয়াই-ফাই রাউটার যুক্ত করতে হবে।

132
অ্যাপল কম্পিউটার ইনকরপোরেটেড গতকাল বুধবার জানিয়েছে, চীনে প্রথমবারের মতো তারা ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। অবশ্য এককভাবে নয়, ইন্টারনেট সেবাদানকারী স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে ওই সেন্টার তৈরি করা হবে। এর কারণ, গত এপ্রিলে দেশটিতে প্রণীত কঠোর সাইবার নিরাপত্তা আইন, যা মেনেই স্থানীয় প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে অ্যাপল। এ আইন অনুযায়ী ক্লাউড-সেবা চীনা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে।

অ্যাপলের এক মুখপাত্র বলেন, ১০০ কোটি ডলার খরচ করার পরিকল্পনা রয়েছে এই ডেটা সেন্টার তৈরিতে। এটি তাদের পণ্য, সেবার গতি ও নির্ভরযোগ্যতা উন্নত করতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি নতুন বিধিমালাও মেনে চলবে।

 অ্যাপল জানায়, ডেটা সেন্টারটি চীনের গুইঝো প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলে স্থাপন করা হবে। আইক্লাউড-সেবা পরিচালনার জন্য ডেটা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গুইঝো ক্লাউড বিগ ডেটা ইন্ডাস্ট্রিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপলই প্রথম কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান, যারা চীনে নতুন বিধিমালা প্রণীত হওয়ার পর ডেটা সেন্টার তৈরির ঘোষণা দিয়েছে।

গত এপ্রিলে চীন নতুন একটি আইনের ঘোষণা দেয়। এতে বলা হয়, চীনের বাইরে ১ টেরাবাইটের বেশি ডেটা পাঠাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বার্ষিক নিরাপত্তা পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অর্থনীতি, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানবিষয়ক ডেটা রপ্তানির ক্ষেত্রে বাধাও দেওয়া হতে পারে। অ্যাপল বলছে, তারা তাদের সিস্টেমে কোনো ব্যাকডোর রাখবে না। চীনে ইতিমধ্যেই মাইক্রোসফট ও আমাজনের ডেটা সেন্টার রয়েছে।

133
সামনের বছরগুলোতে বাংলাদেশের বাজারে তিনটি বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে কম্পিউটার নির্মাতা ডেল। প্রথমত, গ্রাহকসেবা দিতে বাংলাদেশে সলিউশন সেন্টার তৈরি করা হবে আগামী দুই মাসের মধ্যে। দ্বিতীয়ত, ডেলের যেকোনো গ্রাহক তাঁর সমস্যা সমাধানে সরাসরি কথা বলতে পারবেন ডেলের এজেন্টের সঙ্গে। আর তৃতীয়ত, বাংলাদেশে ডেলের দলকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় মেধাবীদের ওপর জোর দেবে ডেল। বাংলাদেশ নিয়ে এভাবেই ডেলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলছিলেন ডেল-ইএমসির ভাইস প্রেসিডেন্ট চু চে ওয়ে। তিনি এশিয়া এমার্জিং মার্কেট এবং এপিজে নতুন ব্যবসায়ের দায়িত্বে আছেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

চলতি বছরে ডেলে চু চে ওয়ের কাজের দুই দশক পূর্ণ হলো। শুরু করেছিলেন বিক্রয় ব্যবস্থাপক হিসেবে। এই সময়টাতে ডেলে কী ধরনের পরিবর্তন দেখেছেন? উত্তরে বলেন, ‘আমরা কখনো একক কিছু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকিনি। শুরুটা ল্যাপটপ আর ডেস্কটপ কম্পিউটার দিয়ে হলেও ডেল সব সময় সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আর এ কারণেই নতুন নতুন ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করা হয়েছে, নতুন পণ্য বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করা হয়েছে।’ অন্য সব প্রতিষ্ঠানে উত্থান-পতন থাকলেও ডেল সব সময় একই ধারায় এগিয়েছে বলে জানান তিনি। এর কারণ ডেল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। হাসতে হাসতে তিনি যোগ করেন, ‘নামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ডেলের নাম জড়িয়ে আছে। আর কেই-বা চায় নিজের নামের বদনাম করতে!’

সবকিছু তারহীন করতে কাজ করে যাচ্ছে ডেল। শিগগিরই ল্যাপটপের জন্য তার ছাড়া ব্যাটারি চার্জ করার সুবিধা দেবে বলে জানিয়েছেন চু চে ওয়ে। এ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে ডেলের গবেষণা ও উন্নয়ন দল। আর ডেলের কথা বাদ দিলে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, আগামী বছরগুলোতে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে সবচেয়ে বেশি জোর থাকবে।

এ সময়ে চু চে ওয়ের সঙ্গে ছিলেন ডেল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আতিকুর রহমান। বাংলাদেশের বাজারে ডেলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে তিনি গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রে পণ্যের ওয়ারেন্টি সেবা দেওয়ার কথা বলেন।

কাল সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে ডেলের নতুন প্রযুক্তি নিয়ে একটি উপস্থাপনাও করেন চু চে ওয়ে। 

134
ধরুন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে আপনার বসবাস। হুট করে যদি শরীরে সমস্যা দেখা দেয়, তখন শুরুতেই আপনার মাথায় কী চিন্তা আসবে? নিশ্চয় চাইবেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে সেবা নিতে। গ্রামের এমন রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে দূরনিয়ন্ত্রিত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কাজ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) টেলিমেডিসিন কার্যক্রম।

কীভাবে?

এই কার্যক্রমের পরিচালক ও ঢাবির বায়োমেডিকেল ফিজিকস অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সাম্মানিক অধ্যাপক খোন্দকার সিদ্দিক-ই রব্বানী গতকাল বিস্তারিত জানালেন এ ব্যাপারে। প্রথমেই রোগীকে যেতে হবে কাছের কোনো টেলিমেডিসিন সেবাকেন্দ্রে। তারপর কেন্দ্রের উদ্যোক্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দেন। রোগীর কাছ থেকে তথ্য জানা ছাড়াও সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন পরীক্ষণের মাধ্যমে তাঁর অবস্থা জানতে পারেন চিকিৎসক। ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার করা যাক। প্রতিটি টেলিমেডিসিন কেন্দ্রেই রয়েছে বিভিন্ন চিকিৎসা যন্ত্র। যন্ত্রপাতিগুলো হচ্ছে স্টেথোস্কোপ, ইসিজি যন্ত্র, মাইক্রোস্কোপ, এক্স-রে ভিউ বক্স। রোগীর সমস্যা জেনে চিকিৎসক কেন্দ্রের উদ্যোক্তাকে বলে দেন রোগীর কী পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। পরীক্ষার সময় ওই যন্ত্রকে সংযোগ করা হয় কম্পিউটারের সঙ্গে। আর তাই চিকিৎসক তাৎক্ষণিক ফলাফল জানতে পারেন।

নিজেদের তৈরি যন্ত্রপাতি

খোন্দকার সিদ্দিক-ই রব্বানী বলেন, এসব কেন্দ্রে ব্যবহৃত ডিজিটাল যন্ত্রগুলো টেলিমেডিসিন কার্যক্রম দল উদ্ভাবন করেছে। পাশাপাশি দূরনিয়ন্ত্রিত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য নিজেরাই সফটওয়্যার বানিয়েছি। প্রত্যেক রোগীর তথ্যই নিবন্ধিত থাকে এই সফটওয়্যারে। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৮০০-এর বেশি রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের ৭৫ শতাংশই মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখন ২৫টি টেলিমেডিসিন কেন্দ্র রয়েছে।

বর্তমানে আটজন চিকিৎসক রয়েছেন রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য। চিকিৎসকের সংখ্যাটা ধাপে ধাপে বাড়ছে বলে জানিয়েছে খোন্দকার সিদ্দিক-ই রব্বানী। আর শুধু ওই সব যন্ত্রপাতিই নয়, আরও বেশি রোগের সেবা দিতে নানা যন্ত্র উদ্ভাবনের কাজ করছে তাঁদের গবেষণা বিভাগ। এতে কাজ করছেন ১৫ জন। আর তাঁদের উদ্ভাবিত যন্ত্রগুলোর কারিগরি রূপ দিতে কাজ করেন আরও তিনজন। দলটির বানানো যন্ত্র ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিভিন্ন অনুদান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির সহায়তায় চলছে এই টেলিমেডিসিন কার্যক্রম।

শুরুর কথা

খোন্দকার সিদ্দিক-ই রব্বানীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম শুরুর কথা। বলছিলেন, দূর চিকিৎসাসেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমার নেতৃত্বে একটি দল ২০১১ সালে যন্ত্র ও সফটওয়্যার বানানো শুরু করে। ২০১৩ সালে এসে মাঠপর্যায়ে পরীক্ষণ করি। তারপর এই কার্যক্রম চালু করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ঢাবির বায়োমেডিকেল ফিজিকস অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের পরিচালনায় স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিমেডিসিন কার্যক্রম। কারও আগ্রহ থাকলে সুযোগ রয়েছে তাদের নিয়ম মেনে স্থানীয় উদ্যোক্তা হওয়ার।

রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পদ্ধতি আরও সহজ করতে ‘টেলি আপা’ নামক এক পরীক্ষা চালিয়েছিলেন তাঁরা। এর মাধ্যমে স্থানীয় কেন্দ্র থেকে একজন নারী রোগীর বাসায় গিয়ে চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে যোগ স্থাপন করে দিতেন। তবে অর্থের অভাবে এই কার্যক্রমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টেলি আপার মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা নেওয়া রোগীদের ৯৫ শতাংশই মহিলা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছে এই কার্যক্রম। ২০১৬ সালে পায় ব্র্যাক-মন্থন পুরস্কার। এরপর মন্থন সাউথ এশিয়া ২০১৬-এ ‘ফাইনালিস্ট’ সনদ লাভ করে। আর গত জুনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি ফোরামে (ডব্লিউএসআইএস) স্বাস্থ্য বিভাগে ‘চ্যাম্পিয়নশিপ’ পুরস্কার পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিমেডিসিন কার্যক্রম।

ভবিষ্যৎ ভাবনা

দেশের আরও অনেক গ্রামে এই কার্যক্রমকে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে টেলিমেডিসিন কার্যক্রম দলের। খোন্দকার সিদ্দিক-ই রব্বানী বললেন, ‘তৃতীয় বিশ্বের আরও কিছু দেশে এই টেলিমেডিসিন কার্যক্রম শুরু করতে চাই। ইতিমধ্যে কয়েকটি দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পা রাখতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিমেডিসিন কার্যক্রম।

135
এক ভদ্রলোক ফোনে পিৎজার অর্ডার দিতে গিয়ে জানলেন, তিনি কথা বলছেন যান্ত্রিক এজেন্টের সঙ্গে। বিস্মিত হয়ে দেখলেন কথার সূত্র ধরে ওই এজেন্ট তাঁর খাবারের পছন্দ-অপছন্দ, স্বাস্থের অবস্থা, অর্থকড়ির হিসাব, আয়কর, চলাফেরা সম্পর্কে জানে। এই যান্ত্রিক প্রতিনিধির ভিত্তি হলো বট ফ্রেমওয়ার্ক প্রযুক্তি, যাতে মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে গ্রাহকের বিভিন্ন সূত্রের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ব্যাপারটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মতো মনে হলেও, এই ধরনের যান্ত্রিক এজেন্টের ব্যবহার কিছুদিনের মধ্যে ব্যাপক হারে দেখা যাবে।

গত শতাব্দীর প্রথম দিকে আবিষ্কৃত হয়েছিল বিদ্যুৎ—যা শিল্প, কারখানা, গাড়ি, যোগাযোগব্যবস্থা এবং পরবর্তী সময়ে কম্পিউটার উদ্ভাবনে সহায়ক ছিল। এখন আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি। মুঠোফোনে সুপার কম্পিউটারের মতো ক্ষমতা, কৃত্রিম-বৃদ্ধিমত্তার রোবট, স্বচালিত আর উড়ন্ত গাড়ি, নবায়নযোগ্য শক্তি কিংবা মানুষের চেহারা স্ক্যান করে মনোভাব জানা—এ রকম আরও সব প্রযুক্তি দেখা যাচ্ছে, যেগুলো আগের উদ্ভাবনগুলো থেকে আলাদা।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বস্তু, যন্ত্র ও মানুষের মধ্যে নানামুখী প্রযুক্তির একক ও আন্তযোগাযোগ ঘটিয়ে আমাদের জগতে আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে নিয়ম-শৃঙ্খলা, অর্থনীতি ও শিল্পে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনো গাড়ির মালিকানা ছাড়াই বিশ্বের বড় পরিবহনসেবা কোম্পানি উবার কিংবা নিজেদের কোনো হোটেল-রিসোর্ট না থাকার পরেও বিশ্বের বড় আবাসিক হোটেল সেবা এয়ার বিএনবির কথা।

প্রশ্ন হলো, সব প্রযুক্তি কি আমাদের জন্য উপকারী, গ্রহণযোগ্য! বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি সেবা খাতে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন এমন একজন ফরাসি প্রযুক্তিবিদ ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) কথা বলতে গিয়ে জোর দিয়েছেন মানুষের জীবনের মান উন্নয়নের দিকে। কিন্তু উন্নত জীবনের মানদণ্ডের কোনো সঠিক ও গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা কী আছে!

আইওটির কথাই বলি—আপনার ঘরে যে বিদ্যুৎতের মিটার আছে, তা সংযুক্ত হবে আপনার ঘরের ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, এসি এবং অন্যান্য সেন্সরযুক্ত বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক পণ্যের সঙ্গে। এতে আপনার বিদ্যুৎ ব্যবহারের সঠিক পরিমাণ মাপা যাবে, অপচয় কমবে, সাশ্রয় হবে এবং মুঠোফোনের মাধ্যমে আপনি ঘরের বাইরে থেকেও যন্ত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। কিন্তু অসুবিধার দিক হচ্ছে ঘরের গোপনীয়তা ব্যাহত হবে, প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা বাড়বে ও কারিগরেরা কাজ হারাবেন।

একটি বুদ্ধিমান নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় আপনার তথ্যগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকবে। এভাবে সবকিছু সবার কাছে খোলা বইয়ের মতো সহজে চলে গেলে, আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বলতে কী থাকে, আপনি কি স্বস্তিবোধ করবেন! সে জন্যই প্রশ্ন উঠেছে, প্রযুক্তি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে! এসব ভাবনা থেকে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি চলে আসে। আজকাল স্মার্টফোনে বেশির ভাগ অ্যাপ্লিকেশন নামানোর আগে, আপনাকে সম্মত করিয়ে নেয় যে তারা আপনার মোবাইলে বা ল্যাপটপে রাখা ছবি, ভিডিও, কন্টাক্ট লিস্ট, আপনার ঠিকানা বা অবস্থান প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। আবার কোনো একটি সাইটে নিবন্ধন করতে গেলেই তারা আপনার ফেসবুক, গুগল বা টুইটার অ্যাকাউন্টের ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনাকে সাইনআপ করতে বলবে। এভাবে তারা নির্বিঘ্নে আপনার ফেসবুক বা টুইটারে রাখা সব তথ্য জানার, দেখার, সংগ্রহ করার সুযোগ পেয়ে গেল। যেগুলোর সঙ্গে সাইটটি ব্যবহারের আপাত কোনো সম্পর্ক নেই। আপনি হয়তো বুঝতেও পারবেন না, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, ভিডিও, বন্ধুদের তালিকা, আপনার পোস্টের তথ্য কোন ওয়েবসাইট কোথায়, কীভাবে ব্যবহার করছে। আপনার তথ্য যেকোনো অপরাধী দলের কাছে যাচ্ছে না, ফেসবুকের পোস্টের ধরন দেখে, আপনার আর্থিক অবস্থা জেনে ফোনে চাঁদা চাওয়া কিংবা অপহরণের মতো ঘটনা ঘটবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে হ্যাকারদের কম্পিউটার প্রবেশ করে ফাইল হ্যাক করা এবং ফাইল ফেরত দেওয়ার শর্ত হিসেবে মালিকদের কাছে টাকা চাওয়ার ঘটনা সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি আরও প্রকট করে তুলেছে। কিছুদিন আগে পৃথিবীজুড়ে র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণের ঘটনা নিশ্চয়ই মনে আছে।

ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, মেসেঞ্জার বা অ্যাপস ব্যবহার করে এত নিরাপত্তা সমস্যা আসছে, তাহলে ভেবে দেখুন স্মার্টযন্ত্র, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবট, ড্রোন, আইওটি এসব আরও কত রকম নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি করবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এভাবেই প্রযুক্তিগত সিস্টেম, রোবট আর যন্ত্রগুলো আমাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমাদের সমকক্ষÿহয়ে উঠবে, আমাদের শাসন করবে। তবে জার্মানির প্রযুক্তি ভবিষ্যৎ-বক্তা জার্ড লিওনার্ড এই আশঙ্কা করছেন না। তিনি বরং মানুষকে নিয়ে বেশি চিন্তিত। তাঁর মতে, আতঙ্কিত হওয়ার বিষয় হলো মানুষ যেন যন্ত্রের মতো না হয়ে ওঠে! আপনার চারপাশের যন্ত্রগুলো যখন আপনার কাজ করে দেবে, আপনাকে কিছু খুঁজে দেখতে হবে না, মনে রাখতে হবে না, ভাবতে হবে না, আর এসবই আপনার মস্তিষ্ককে করে তুলবে অকার্যকর। জার্ড লিওনার্ডের কথায়—প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করুন, কিন্তু নিজে এর অংশ হয়ে যাবেন না।

Pages: 1 ... 7 8 [9] 10 11