Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Sazzadur Ahamed

Pages: 1 ... 8 9 [10] 11
136
দেশের বাইরে যাচ্ছেন? নিশ্চয়ই প্রথমে মাথায় আসে, দেশটির ভাষা কী এবং সে ভাষা আপনার জানা আছে কি না। আজকাল তো অনেকেই হরহামেশা বিদেশে ভ্রমণ, শিক্ষা অর্জন কিংবা বাণিজ্যের খাতিরে আসা-যাওয়া করেন। এ ক্ষেত্রে ইংরেজির পাশাপাশি আরও কয়েকটি ভাষা রপ্ত থাকলে যোগাযোগব্যবস্থা খুবই সহজ হয়। এমন কিছু অ্যাপ রয়েছে, যা আপনাকে ভিন্ন ভাষায় পারদর্শী করতে সহায়তা করবে।

ব্যাবেল

অনেকেই রয়েছেন, এক জায়গায় বসে কিছু শেখার মতো যথেষ্ট সময় পান না। ব্যাবেল অ্যাপটিকে তাঁদের কথা মাথায় রেখেই সাজানো হয়েছে। প্রতিদিন ব্যস্ততার মাঝে অ্যাপটির যেকোনো ১০ থেকে ১৫ মিনিটের একটি পাঠ নির্বাচন করে অনুশীলন করা যাবে পছন্দের ভাষা। নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিষয়ও নির্বাচন করা যায় অ্যাপটিতে। ব্যাবেল সেই বিষয়েই প্রাসঙ্গিক শব্দ শেখাবে। মাসে ৫ ডলারের বিনিময়ে অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে নামানো যাবে।

প্লে স্টোর: https://goo.gl/KY1g4M

অ্যাপ স্টোর: https://goo.gl/xERVRs

মেমরাইজ

মোবাইল শিক্ষা প্রযুক্তির পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাপ হিসেবে সুনাম রয়েছে মেমরাইজ নামের ভাষা শিক্ষাভিত্তিক অ্যাপটির। কারণ, অ্যাপটি গেম খেলার মাধ্যমে ২০ লাখের বেশি শব্দ ও বাক্য শেখাতে সক্ষম। বিনা মূল্যে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস সংস্করণে নামানো গেলেও বিশেষ সুবিধা পেতে প্রতি মাসে গুনতে হবে ৭ দশমিক ৯৯ ডলার।

প্লে স্টোর: https://goo.gl/xTezjK

অ্যাপ স্টোর: https://goo.gl/ESGoEo

রোসেটা স্টোন

যাঁদের আগ্রহ আছে সবচেয়ে সহজ উপায়ে ভিন্ন ভাষা শেখার, তাঁদের জন্য রোসেটা স্টোন অ্যাপ। ২৪টির বেশি ভাষা শেখার সুযোগ রয়েছে এই অ্যাপে। বিভিন্ন পুরস্কারজয়ী অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস সংস্করণে বিনা মূল্যে নামিয়ে কয়েকটি পাঠ পাওয়া গেলেও সম্পূর্ণ পাঠ শেষ করতে গুনতে হবে ২০০ ডলারের মতো।

প্লে স্টোর: https://goo.gl/b7uMQA

অ্যাপ স্টোর: https://goo.gl/WQF72F

হ্যালোটক

ভাষা চর্চা করা ছাড়া দক্ষতা অর্জন প্রায় অসম্ভব। আর তা যদি কারও সঙ্গে কথা বলে করা যায়, তবে তা বলাই বাহুল্য। আপনার পছন্দের ভাষাটিতে দক্ষ বা সেই ভাষার স্থানীয় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কাজটি করে দেয় হ্যালোটক। অ্যাপটি সে ধরনের কারও সঙ্গেই সরাসরি কথা বা ভিডিও কলের ব্যবস্থা করে দেবে। ভিন্ন ভাষা শেখার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এই অ্যাপ ব্যবহার করতে চাইলে বিনা মূল্যে প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে নামিয়ে নিতে পারেন।

প্লে স্টোর:

https://goo.gl/WtgkFk

অ্যাপ স্টোর: https://goo.gl/qZxyG1

বুসুউ

ভিন্ন ভাষা চর্চা করার জন্য দিনের কিছুটা সময় যাদের রয়েছে, বুসুউ অ্যাপটি তাদের জন্য চমৎকার কাজে দেবে। পছন্দের বিষয়ের পাঠগুলো যেকোনো সময় পড়ার জন্য সংরক্ষণ করা যায় এই অ্যাপে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসের জন্য বিনা মূল্যেই পাওয়া যায় অ্যাপটি। তবে মাসে ৬ ডলারের বিনিময়ে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করে বুসুউ।

প্লে স্টোর: https://goo.gl/ppgh4E

অ্যাপ স্টোর: https://goo.gl/iRwWiE

137
স্যামসাং ইলেকট্রনিকস চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা এবং ব্যাপক পরিমাণ আয় বাড়ার আশা করছে। এক আয় নির্দেশনায় গত শুক্রবার বিষয়টি জানিয়েছে স্যামসাং। আর এর মূল কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন ব্যবসায় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপলকে বিবেচনা করছেন।

স্মার্টফোনের জন্য স্যামসাং বেশি পরিচিত হলেও প্রতিষ্ঠানটির বেশি মুনাফা আসে মুঠোফোন পর্দা ও মেমোরি কার্ডের মতো বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিক্রি করে। এর প্রধান গ্রাহক অ্যাপলসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।

স্যামসাং আশা করছে, তাদের পরিচালন মুনাফা ৭২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২১০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

পরবর্তী প্রজন্মের ওএলইডি পর্দার একমাত্র সরবরাহকারক হিসেবে স্যামসাং নিজেদের দাবি করছে। যেই পর্দা হয়তো আইফোন ৮-এর সফল হওয়ার মূল কারণ হতে পারে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নতুন নকশার জন্য আইফোন ৮ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হবে। আর আইফোনের পুরোনো অনেক গ্রাহক এটির জন্য অপেক্ষা করছেন। অ্যাপল যদি আগামী সেপ্টেম্বরে আইফোন ৮ ছাড়ার পরিকল্পনা করে থাকে, তাহলে সম্ভবত ইতিমধ্যে স্যামসাংসহ বিভিন্ন সরবরাহকারকের কাছ থেকে যন্ত্রাংশের চালান নিচ্ছে।

প্রথমবারের মতো এই প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের পরিচালন মুনাফা অ্যাপলের থেকে বেশি। বিশ্লেষকেরা হিসাব করে দেখেছেন, এই প্রান্তিকে অ্যাপলের পরিচালন মুনাফা ১ হাজার ৫২ কোটি ডলার, যেখানে স্যামসাংয়ের ১ হাজার ২১০ কোটি ডলার। যদিও স্যামসাংয়ের ভাইস চেয়ারম্যান লি জে ইয়ং ঘুষ ও দুর্নীতি মামলায় বিচারাধীন আছেন। তাও স্যামসাং এমন সফলতা অব্যাহত রেখেছে। স

্যামসাং তাদের প্রকৃত আয়ের প্রতিবেদন এই মাসের শেষের দিকে ঘোষণা করবে। অপরদিকে অ্যাপল ঠিক করেছে আগস্টের প্রথম দিন।

138
Faculty Sections / সবার জন্য গণিত
« on: July 10, 2017, 12:00:06 PM »
খুব সহজে গণিতের কিছু হিসাব বের করে ফেলা যায়। শুধু একটু চিন্তা দরকার। যেমন, আপনি আমাকে একটা ধাঁধা ধরলেন। বললেন, ‘আমার কাছে কিছু টাকা আছে, সেই টাকার ২৫ শতাংশ বেশি টাকার পরিমাণ হলো ২৫০ টাকা। এখন বলুন, আমার টাকার ২০ শতাংশ কম টাকার পরিমাণ কত? আর এটাও বলুন, আমার কাছে কত টাকা আছে?’
এর উত্তর বের করার জন্য প্রথমে চিন্তা করব, ২৫ শতাংশ মানে চার ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ আমার কাছে ১ টাকা থাকলে তার সঙ্গে ২৫ শতাংশ যোগ করে আমার টাকা হবে (১+১/৪) = (৪/৪+১/৪) = ৫/৪ টাকা। এখন দেখুন, আমি যদি ২৫ শতাংশ বেশি টাকাকে ৫ ভাগ করে তার ৪ ভাগ নিই, তাহলেই আমার মূল টাকা অর্থাৎ (৪/৪) টাকা পাব। যেহেতু ২৫ শতাংশ বেশি টাকার পরিমাণ ২৫০ টাকা, তাই একে প্রথমে ৫ দিয়ে ভাগ করি। ভাগফল (২৫০/৫) = ৫০। একে ৪ দিয়ে গুণ করলে পাব ২০০ টাকা।
তার মানে আপনার টাকার পরিমাণ ২০০ টাকা। এর ২০ শতাংশ, মানে ২০০ টাকার ২০% = (২০০ টাকার ৫ ভাগের ১ ভাগ) = ৪০ টাকা। সুতরাং আপনার টাকার ২০ শতাংশ কম টাকার পরিমাণ (২০০-৪০) = ১৬০ টাকা।
এ রকম আরেকটি ধাঁধা দেখুন। দুটি সংখ্যা। এদের একটি ঋণাত্মক সংখ্যা, (-৫) ও অপরটি একটি অজানা সংখ্যা। এই দুটি সংখ্যার গড় যদি ২০ হয়, তাহলে অজানা সংখ্যাটি কত? গণিতের এ সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা প্রথমে চিন্তা করব, দুটি সংখ্যার ঠিক মাঝখানের সংখ্যাটিই তাদের গড়। যেহেতু (-৫) থেকে গড় সংখ্যা ২০ পর্যন্ত সংখ্যাগত মান (২০+৫) = ২৫, তাই অপর সংখ্যাটি নিশ্চয়ই ২০ থেকে আরও ২৫ বেশি হবে। অর্থাৎ অজানা সংখ্যাটি (২০+২৫) = ৪৫। এখন দেখা যাক এদের গড় ২০ হয় কি না? এদের গড় হবে
(-৫+৪৫) / ২ = (৪০/২) = ২০। তাহলে প্রমাণ হলো অজানা সংখ্যাটি ৪৫।

নতুন ধাঁধা
এবার একটি কঠিন ধাঁধা: ৩০ জন ছেলেমেয়ে মাঠে খেলছে। এদের মধ্যে ১৫ জন ক্রিকেট খেলতে পারে। ১৮ জন ফুটবল খেলতে পারে। আর ৫ জন এ দুটির কোনোটিই খেলতে পারে না। ওরা গোল্লাছুট বা অন্য কিছু খেলে। এখন বলতে হবে শুধু ফুটবল খেলতে পারে কতজন?

গত রোববারের ধাঁধার উত্তর
প্রথমে গত রোববারের ধাঁধাটি মনে করিয়ে দিই। সেটি ছিল এ রকম:
‘তিনটি ঝুড়ি। ঝুড়ির মুখ ঢাকা। ১ নং ঝুড়িতে লেখা আছে ‘আম’। ২ নং ঝুড়িতে লেখা আছে ‘লিচু’। আর ৩ নং ঝুড়িতে লেখা আছে ‘আম ও লিচু’। কিন্তু আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হলো যে ঝুড়ির লেখাগুলো ভুল। যে ঝুড়িতে আম, সেখানে হয়তো লেখা আছে লিচু। আপনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য এ রকম উল্টাপাল্টা লেখা হয়েছে। এখন যেকোনো একটি ঝুড়ি থেকে একটি ফল বের করুন। আপনি একটিমাত্র ঝুড়ি থেকে একটিমাত্র ফল বের করতে পারবেন। প্রথমে বলুন, আপনি কোন ঝুড়ির ফল বের করবেন? ১ নং, ২ নং নাকি ৩ নং ঝুড়ির ফল? এরপর দেখুন সেটা কোন ফল। এবার বলুন তো, অন্য দুটি ঝুড়ির কোনটিতে কোন ফল আছে? একটি ঝুড়ির ফল দেখে আপনি কীভাবে বলতে পারবেন অন্য দুটি ঝুড়িতে কোন ফল আছে?’
ধাঁধাটা বোধ হয় একটু কঠিনই ছিল মনে হয়। কারণ, খুব কম উত্তর এসেছে। অনলাইনের মন্তব্যে একজনের সঠিক উত্তর পেয়েছি।
সঠিক উত্তরটি হলো, তিনটি ঝুড়ির মধ্যে প্রথমে আপনি ‘আম ও লিচু’ লেখা ৩ নং ঝুড়ি থেকে একটি ফল বের করুন। তাহলেই অন্য দুটি ঝুড়িতে কী আছে তা বলতে পারবেন। কারণ, ধরা যাক আপনি পেলেন আম। যেহেতু ঝুড়ির লেখাগুলো সঠিক নয়, তাই আপনি বুঝে গেলেন ৩ নং ঝুড়িতে আছে আম। এবার আপনি বুঝতে পারলেন, ২ নং ঝুড়িতে যেহেতু লেখা আছে ‘লিচু’, সেখানে তো লিচু নেই, আমও থাকতে পারে না, কারণ আপনি তো আম ৩ নং ঝুড়িতে পেয়ে গেছেন। তাই ২ নং ঝুড়িতে অবশ্যই আছে ‘আম ও লিচু’। আর তাহলে ১ নং ঝুড়িতে নিশ্চয়ই আছে ‘লিচু’।

139
ই-স্পোর্টস গেম টুর্নামেন্ট ‘আরওজি মার্স্টার্স ২০১৭’ শুরু করছে আসুস রিপাবলিক অব গেমারস (আরওজি)। আন্তর্জাতিক এ টুর্নামেন্টে বিশ্বের ৩০টি দেশের পেশাদার গেমাররা অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকেও গেমারদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে আসুস বাংলাদেশ।

আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। ‘আরওজি মাস্টারস ২০১৭: বাংলাদেশ জয়েনস দ্য রিপাবলিক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন পেশাদার গেম খেলোয়াড়েরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে গেমে অংশ নেওয়ার নিয়মকানুনসহ আসুসের নতুন পণ্য সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন আসুস বাংলাদেশ ও দেশীয় পরিবেশক গ্লোবাল ব্র্যান্ডের কর্মকর্তারা।

আসুস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. আল ফুয়াদ জানান, গেমারদের জন্য বিশাল পুরস্কার ঘোষণা করেছে আসুস। এটা বড় একটা সুযোগ। ইতিমধ্যে অনেকেই নিবন্ধন করে ফেলেছেন। ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে।

প্রতিযোগিতায় রয়েছে দুটি খেলা। একটি হচ্ছে—কাউন্টার স্ট্রাইক: গ্লোবাল অফেন্সিভ ও ডোটা: ২।

আল ফুয়াদ জানান, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারছেন। প্রতিযোগিতায় দুটি দলের বিজয়ীরা চার কোটি টাকা জেতার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ীরা ১০ লাখ রুপি পাবেন। ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা। প্রথম পর্বের জাতীয় পর্যায়টি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে দুজন বিজয়ীকে ভারতে আঞ্চলিক পর্যায়ে যাওয়ার সব খরচ বহন করবে আসুস। চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে সিঙ্গাপুরে।

গেমাররা আরওজি মাস্টারস (rog-masters.com) ওয়েবসাইট থেকে নিবন্ধন করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। বিনা মূল্যে নিবন্ধন করা যাবে। ২৫ জুলাই পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ থাকছে।

140
ব্যবসার তাগিদে দেশে দেশে ঘোরার ইতিহাস বেশ আগ থেকেই। প্রযুক্তির কল্যাণে ঘোরাঘুরিসহ অনেক কিছুই সহজ হয়ে উঠেছে। আপনি যদি ব্যবসার কাজে প্রায়ই ভিন্ন জায়গায় যান, তাহলে ব্যবসায়িক ভ্রমণে সঙ্গে রাখতে পারেন এমন কিছু গ্যাজেট, যা আপনার ‘বিজনেস মিটিং’কে করবে অনেকাংশেই সাবলীল। সে ধরনের কিছু গ্যাজেটের তথ্য তুলে ধরা হলো এখানে

পকেট প্রজেক্টর

ব্যবসায়িক কাজে খদ্দেরকে পণ্য বা পরবর্তী পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে প্রজেক্টরের জুড়ি নেই। তবে অনেক হোটেলেই ব্যবসায়িক সাক্ষাতের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে না। তাই সঙ্গে রাখতে পারেন ‘পকেট প্রজেক্টর’। আকারে ছোট হওয়ায় সহজে বহন করা যায় এমন প্রজেক্টরগুলো। প্রায় ৫০ ইঞ্চি পর্দার জোগান দিতে পারা পকেট প্রজেক্টরগুলো কম্পিউটারের পাশাপাশি স্মার্টফোন দিয়েও পরিচালনা করা যায়।

ইউএসবি চার্জিং স্টেশন

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাধারণত অনেক বেশিই প্রযুক্তি পণ্য থাকে। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার, ল্যাপটপ এমন অনেক কিছুই। তবে সব যন্ত্রের চার্জার বহন করতে গিয়েও পড়তে হয় আরেক ঝামেলায়। আবার অনেক হোটেলে চার্জার পোর্টও যথেষ্ট থাকে না। ভ্রমণে সে ক্ষেত্রে সঙ্গে রাখতে পারেন ‘ইউএসবি চার্জিং স্টেশন’। চার্জিং স্টেশনগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড, আইফোনসহ প্রায় জুতসই সব স্মার্ট যন্ত্রের জন্যই পোর্ট দেওয়া থাকে। এ ছাড়া তো থাকছে ইউএসবি পোর্ট।


ব্যবসার তাগিদে দেশে দেশে ঘোরার ইতিহাস বেশ আগ থেকেই। প্রযুক্তির কল্যাণে ঘোরাঘুরিসহ অনেক কিছুই সহজ হয়ে উঠেছে। আপনি যদি ব্যবসার কাজে প্রায়ই ভিন্ন জায়গায় যান, তাহলে ব্যবসায়িক ভ্রমণে সঙ্গে রাখতে পারেন এমন কিছু গ্যাজেট, যা আপনার ‘বিজনেস মিটিং’কে করবে অনেকাংশেই সাবলীল। সে ধরনের কিছু গ্যাজেটের তথ্য তুলে ধরা হলো এখানে

পকেট প্রজেক্টর

ব্যবসায়িক কাজে খদ্দেরকে পণ্য বা পরবর্তী পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে প্রজেক্টরের জুড়ি নেই। তবে অনেক হোটেলেই ব্যবসায়িক সাক্ষাতের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে না। তাই সঙ্গে রাখতে পারেন ‘পকেট প্রজেক্টর’। আকারে ছোট হওয়ায় সহজে বহন করা যায় এমন প্রজেক্টরগুলো। প্রায় ৫০ ইঞ্চি পর্দার জোগান দিতে পারা পকেট প্রজেক্টরগুলো কম্পিউটারের পাশাপাশি স্মার্টফোন দিয়েও পরিচালনা করা যায়।

 ইউএসবি চার্জিং স্টেশন

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাধারণত অনেক বেশিই প্রযুক্তি পণ্য থাকে। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার, ল্যাপটপ এমন অনেক কিছুই। তবে সব যন্ত্রের চার্জার বহন করতে গিয়েও পড়তে হয় আরেক ঝামেলায়। আবার অনেক হোটেলে চার্জার পোর্টও যথেষ্ট থাকে না। ভ্রমণে সে ক্ষেত্রে সঙ্গে রাখতে পারেন ‘ইউএসবি চার্জিং স্টেশন’। চার্জিং স্টেশনগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড, আইফোনসহ প্রায় জুতসই সব স্মার্ট যন্ত্রের জন্যই পোর্ট দেওয়া থাকে। এ ছাড়া তো থাকছে ইউএসবি পোর্ট।

 ব্যাটারি প্যাক

ব্যবসায়িক কাজে যাঁরা খুব বেশি ব্যস্ত থাকেন, তাঁদের ফোনে ব্যাটারির চার্জ থাকাটা খুবই জরুরি। তবে আজকালকার স্মার্টফোনগুলোর নিজস্ব ব্যাটারি খুব একটা সঙ্গ দেয় না। তাই সঙ্গে রাখতে পারেন ব্যাটারি প্যাক বা পাওয়ার ব্যাংক। মানসম্মত ব্যাটারি প্যাকগুলো দীর্ঘক্ষণ আপনার ফোনকে চার্জ করতে সক্ষম।

স্মার্টপেন

প্রযুক্তিযুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বহুগুণ এগিয়ে থাকলেও হাতে লেখার সরাসরি বিকল্পতে যেন এখনো আমরা অভ্যস্ত নই। তবে প্রযুক্তিও কম যায় না, সেই তথা কথিত কলম বা পেনসিলের বদলে এনেছে স্মার্টপেন। স্মার্টপেনগুলোতে হাতের লেখা শনাক্তকরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যাতে আপনি যেখানেই লিখুন না কেন, স্মার্টপেন তা আপনার স্মার্ট যন্ত্রে সংরক্ষণ করতে সক্ষম। সে লেখা পরবর্তী সময়ে স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ থেকে পরিবর্তনও করা যায়। আপনার আগামী ব্যবসায়িক ভ্রমণে গুরুত্বপূর্ণ নোট লিখতে ব্যবহার করতে পারেন স্মার্টপেন।

পকেট জিপিএস ট্র্যাকার

বাণিজ্যের খাতিরে আপনি নানা জায়গা বা দেশ-বিদেশ ঘুরেফিরে থাকেন। ভ্রমণে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সহজেই হারিয়ে যেতে পারে। তাই জরুরি ফাইল, ব্যাগ এমনকি মানিব্যাগেও রাখতে পারেন পকেট ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ বা জিপিএস ট্র্যাকার। এই পাতলা জিপিএস ট্র্যাকারগুলো স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপনার জিনিসপত্রের অবস্থান জানাতে সক্ষম। এ ছাড়া পকেট জিপিএস ট্র্যাকার আপনার স্মার্টফোন থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে সরে গেলে সংকেত বাজাতে থাকবে।

তারহীন ইয়ারবাড

ব্যবসায়ীদের সারা দিন অসংখ্য ফোনকলের সম্মুখীন হতে হয়। তাই দীর্ঘক্ষণ বা ঘন ঘন ফোন কানে ধরা বেশ বিরক্তিকর। তবে আজকাল বাজারে তারহীন ইয়ারবাড (ছোট ইয়ারফোন) পাওয়া যায়। মানসম্মত ইয়ারবাড কানের ভেতরে এমনভাবে আটকে থাকে যেন এর উপস্থিতি টেরই পাওয়া যায় না। ব্যবসায়ীদের এটি খুব উপকারে আসে। তাই সঙ্গে রাখতে পারেন তারহীন ইয়ারবাড। তবে টানা দীর্ঘ সময় ধরে এ ধরনের গ্যাজেট ব্যবহার করা উচিত নয়।

141
মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় এক হাজার কর্মী চাকরি হারাতে পারেন। বিপণন বিভাগের কর্মীরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন। মাইক্রোসফট বলছে, এই বিভাগটিকে ঢেলে সাজাতে চাইছে তারা। জোর দিতে চাইছে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে।

মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও পরিবর্তন আনার বিষয়টি বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেছে।

মাইক্রোসফটের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গ্রাহক ও সহযোগীদের আরও উন্নত সেবা দিতে পরিবর্তন কার্যকর করতে যাচ্ছে মাইক্রোসফট।

মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা মাইক্রোসফটের সফটওয়্যার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ক্লাউড কম্পিউটিং ও ব্যবসায়িক সেবার ওপর জোর দিতে বলেছেন।

মাইক্রোসফট এ বছরের শুরুতে ক্লাউড ও ব্যবসা পরিচালনা সেবা থেকে মুনাফা করার কথা জানায়। অপর দিকে ব্যক্তিগত কম্পিউটিং বিভাগ থেকে মুনাফা কমতে দেখা যায়। এর মধ্যে একসময়ের জনপ্রিয় উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমও রয়েছে। মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ বলেছে, এক বছর আগের তুলনায় ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউড থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত আয় বাড়তে দেখা গেছে। এ ছাড়া অফিস বাণিজ্যিক পণ্য ও ক্লাউড সেবার আয় ৭ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া অফিস গ্রাহক পণ্য ও ক্লাউড সেবার আয় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে অফিস ৩৬৫ সেবাগ্রাহক ২ কোটি ৬২ লাখ ছাড়িয়েছে।

মাইক্রোসফটের ক্লাউড সেবা অ্যাজিউরকে বর্তমানে আমাজন ও গুগলের ক্লাউড সেবার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। বড় বড় সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর বিনিয়োগ করছে।

গত কয়েক বছর থেকে মাইক্রোসফটের কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি চোখে পড়ার মতো। ২০১৪ সালে নকিয়াকে কেনার পর ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল মাইক্রোসফট। ২০১৫ সালে ৭ হাজার ৮০০ এবং ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে মাইক্রোসফট।

বর্তমানে মাইক্রোসফটে কর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ৮৪৯ জন।

142
সংবাদমাধ্যমগুলোয় হোয়াটসঅ্যাপের প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। এক গবেষণার তথ্যমতে জনসাধারণের মাঝে সংবাদ আদান-প্রদান এবং তা নিয়ে আলোচনা করার এক  শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে দাঁড়াচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে ভিন্ন ভিন্ন দেশে মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারে তারতম্য রয়েছে। গবেষণাটিতে চালানো জরিপ অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় শতকরা ৫০ জনের বেশি সপ্তাহে অন্তত একবার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন সংবাদের জন্য। যেখানে সংখ্যাটি যুক্তরাজ্যে ৫ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৩ শতাংশ। এ দুই দেশে সংবাদের জন্য এত কমসংখ্যক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর কারণ হিসেবে ব্রেক্সিট বিতর্কে জনগণের মাঝে ভুল-বোঝাবুঝির ইঙ্গিত করেছে ডিজিটাল নিউজ রিপোর্ট।

‘রয়টার্স ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব জার্নালিজম’ এই গবেষণাটি করেছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার ৩৬টি দেশে এই গবেষণা চালানো হয়। যেখানে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইন্টারনেটভিত্তিক বাজার গবেষণা সংস্থা ইউগভ ৭১ হাজার ৮০৫ জনকে প্রশ্ন করে তথ্য সংগ্রহের জন্য। গবেষণার জন্য অর্থ সহায়তা করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং অন্যদের মধ্যে গুগল উল্লেখযোগ্য।

রয়টার্স ইনস্টিটিউটের ডিজিটাল নিউজ রিপোর্ট ২০১৭ অনুসারে সংবাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং মেসেজিং সেবার জন্য ফেসবুক এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। সংবাদের জন্য শতকরা ৪৭ জন সপ্তাহে অন্তত একবার ফেসবুক ব্যবহার করে।  তবে এ ক্ষেত্রে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যথাক্রমে ইউটিউব এবং কাকাও টক প্রাধান্য বিস্তার     করছে। অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপের ভূমিকাও কম নয়। গোপনে সংবাদ আদান-প্রদান এবং সে বিষয়ে আলোচনার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী হোয়াটসঅ্যাপ ৩৬টি দেশের মধ্যে ৯টি দেশে সংবাদের জন্য দ্বিতীয় জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম। আর পাঁচটি   দেশে হোয়াটসঅ্যাপের অবস্থান তৃতীয়।

হোয়াটসঅ্যাপের এমন উত্থানের পেছনে গবেষণাকারীরা বেশ জোরালো ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন। অ্যাপটিতে ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে বার্তার প্রেরক ও গ্রাহক বাদে অন্য কেউ জানতে পারবে না অ্যাপটির মাধ্যমে কী আদান-প্রদান করা হলো। এমনকি নিরাপত্তা সংস্থাসহ হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষও নজরদারি করতে পারবে না। ফলে তাদের বার্তার গোপনীয়তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে। গবেষক নিক নিউম্যান এভাবে বিশ্লেষণ করেন, ‘তুরস্কসহ কিছু দেশে আমরা হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারে বড় ধরনের বৃদ্ধি দেখেছি, যেখানে ফেসবুকের মতো খোলামেলাভাবে সরকারবিরোধী মত প্রকাশ করা বেশ বিপজ্জনক। সে জন্য জনগণ সেখানে ক্লোজড গ্রুপ ব্যবহার করছে এবং আরও দ্বিধাহীনভাবে তাঁদের মত প্রকাশ করছে।

কিছু জায়গায় রেডিও স্টেশন থেকে শ্রোতাদের বলা হয় ছোট করে অডিও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠাতে। আর কিছু পত্রিকার ওয়েবসাইটে হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করার জন্য আলাদা বোতাম যোগ করা হয়েছে। সংবাদ আদান-প্রদান ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সে বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা করার মতো বড় ধরনের সুবিধা থাকলেও এর খারাপ দিকও রয়েছে। তা হলো মিথ্যা বা ভুয়া সংবাদ। যা সাধারণত অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবহারকারীরা মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর নিয়ম-নীতির দুর্বলতা ও ত্রুটিপূর্ণ অ্যালগরিদম ব্যবহারের জন্যই এমন হয়ে    থাকে।

143
পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকড-ইন সম্প্রতি তাদের নেটওয়ার্কে নতুন একটি অনুসন্ধান সুবিধা যোগ করেছে। যেটি লিংকড-ইনে নিবন্ধনকারীদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি। লিংকড-ইন বলছে, এই নতুন অনুসন্ধান-সুবিধা চাকরি খোঁজার মতো কষ্টকর প্রক্রিয়া সহজ করতে সাহায্য করবে তাদের ৫০ কোটি সদস্যকে।

এই অনুসন্ধান-সুবিধা মোবাইল ও ডেস্কটপ—দুই যন্ত্রেই পাওয়া যাবে। এতে চাকরিপ্রার্থীরা দেখতে পারবেন, কতজন চাকরিদাতা তাঁদের প্রোফাইল দেখছে। এ ছাড়া নতুন যুক্ত হওয়া এই সুবিধার মাধ্যমে লিংকড-ইন সদস্যরা জানতে পারবেন কোন কোন প্রতিষ্ঠান তাঁদের ব্যাপারে আগ্রহী। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়ামাত্রই তাঁরা তা জানতে পারবেন। পাশাপাশি আরও তথ্য জানার জন্য তাঁদের প্রোফাইলে নিয়োগকারীদের যুক্ত করতে পারবেন।

লিংকড-ইনের পণ্য ব্যবস্থাপক চারু জাঙ্গিদ বলেন, ‘আমাদের নতুন এই সুবিধার মূল লক্ষ্য হলো মানুষকে বুঝতে সাহায্য করা, তাঁদের প্রোফাইল দেখে চাকরিদাতারা আসলে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, তা। আর তাঁদের কোন কোন দক্ষতাকে মূল্যবান মনে করছে চাকরিদাতারা। পাশাপাশি আমরা তাঁদের দেখাতে চাই, তাঁদের প্রোফাইল দেখে চাকরিদাতাদের মনে কী কী প্রশ্ন জাগছে এবং কীভাবে তারা তাঁদের প্রোফাইলকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন লিংকড-ইনে এখন ১ কোটিরও বেশি চাকরির তালিকা রয়েছে এবং ৯০ লাখেরও বেশি প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রতি সপ্তাহে দুই কোটিরও বেশি চাকরিদাতা তাদের এই নতুন অনুসন্ধান-সুবিধাটি ব্যবহার করছেন। যাঁদের মধ্যে নিয়োগকর্তা, নিয়োগকারী, অন্যান্য সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীসহ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজনও রয়েছেন।

144

প্রিন্ট সংস্করণ

বিজ্ঞাপন পরিমাপ করার জন্য বেশ কিছু নতুন টুল বানিয়েছে ফেসবুক। এগুলো দিয়ে ফেসবুক পরিচালিত বিজ্ঞাপন প্রচারণার ম্যাট্রিকসে স্বচ্ছতা আরও বাড়বে। জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির উদ্দেশ্য প্রতি মাসেই নতুন বিজ্ঞাপন ম্যাট্রিকস ছাড়া।

আর্থিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফাস্ট পের ডেটা ও প্রযুক্তি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক ব্যারান মনে করেন, ফেসবুকের এই পদক্ষেপে বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনার বর্তমান টুল এবং পরিমাপকগুলোর বেশ উন্নতি হবে। সব মিলিয়ে বর্তমান প্রচেষ্টা সেই সব বিজ্ঞাপনদাতাকে শান্ত করতে পারবে, যারা সম্প্রতি ফেসবুকের বিজ্ঞাপন পরিমাপে হওয়া ত্রুটিতে অখুশি হয়েছিল। বিজ্ঞাপন গণনায় এ পর্যন্ত ফেসবুকের দশবার ত্রুটি ছিল এবং এই মে মাসেই সর্বশেষ ত্রুটি ধরা পড়ে।

নতুন এই ম্যাট্রিকসের কারণে বিজ্ঞাপনের লিংকে ক্লিক করার পর বিজ্ঞাপনদাতারা দেখতে পারবে কতজন ব্যবহারকারী তাদের মোবাইল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছে। ফেসবুক যদি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পরিষ্কার করতে পারে যে তাদের মোবাইল ওয়েবসাইট বন্ধ হচ্ছে না, তাহলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও তাঁদের পেজের জন্য আশাবাদী হবেন।

এ ছাড়া বিজ্ঞাপন লিংকে যে প্রবেশ করছে, সে নতুন গ্রাহক নাকি পুরোনো, তার ওপরও সূক্ষ্ম নজর রাখবে। ফলে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হবে তাঁরা কাদের জন্য অর্থ ব্যয় করছেন। এতে আরও অনেক বিজ্ঞাপনদাতা ফেসবুকের প্রতি আকৃষ্ট হবে। একটি পেজে কতজন অনুসারী যুক্ত হলো এবং কতজন চলে গেল, তাও নতুন ম্যাট্রিকস পর্যালোচনা করবে। এ ক্ষেত্রে কতজন ব্যবহারকারী একটি পেজের তথ্য ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে দেখেছে কিন্তু ক্লিক করেনি আবার ব্যবহারকারীদের দ্বারা পেজটি কতবার সুপারিশ করা হয়েছে তাও জানা যাবে। এই বিষয়গুলো ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট করবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

এই ম্যাট্রিকসগুলো আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ছাড়া হবে। নতুন এই পদক্ষেপ বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে দাম নির্ধারণ ও প্রচারণার কৌশলকে আরও সহজ করবে।

145
পেটেন্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল ও ফিনল্যান্ডের নকিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। অবশেষে বিরোধ মিটিয়ে সমঝোতার পথে হেঁটেছে প্রযুক্তি বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের দুই প্রতিষ্ঠান। গত ২৩ মে মঙ্গলবার করা ব্যবসায়িক চুক্তিতে নানা বিষয়ে সমঝোতা করতে সম্মত হয়েছে অ্যাপল-নকিয়া।

নকিয়া কর্তৃপক্ষ বলেছে, চুক্তির ফলে অ্যাপলের কাছ থেকে অগ্রিম নগদ অর্থ ও চলতি প্রান্তিক থেকে বাড়তি আয়ের সুযোগ হলো নকিয়ার। তবে আর্থিক বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি নকিয়ার কর্তৃপক্ষ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, নকিয়া-অ্যাপলের পেটেন্ট যুদ্ধ দীর্ঘদিন চলবে বলে তাঁরা ধারা ধারণা করলেও দ্রুত তা শেষ হওয়াটা আশ্চর্যের। নকিয়ার প্রধান আইনি কর্মকর্তা মারিয়া ভার্সেলোনা বলেন, চুক্তির ফলে অ্যাপলের সঙ্গে সম্পর্কে উন্নতি হচ্ছে। শত্রু থেকে ব্যবসায়িক অংশীদার হয়েছি।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে অ্যাপল ও নকিয়ার মধ্যে পেটেন্ট লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরে দুপক্ষই আদালতের শরণাপন্ন হয়। নকিয়া পেটেন্ট ভঙ্গের অভিযোগ আনে আর অ্যাপল অভিযোগ করে অতিরিক্ত খরচ নেওয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছয় মাসেই সমঝোতায় পৌঁছেছে তারা।

146
একটা ফিচার ফোনের দাম কত হতে পারে? এক-দুই হাজার নাকি কোটি টাকা! যুক্তরাজ্যের বিলাসবহুল ফোন নির্মাতা ভার্চুর তৈরি একটি ফিচার ফোনের দাম প্রায় তিন কোটি টাকা। দাম শুনে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কারণ এ ফোন তৈরি করা হয়েছে, বিলাসবহুল ফিচার ফোন হিসেবে। সারা দুনিয়ায় মাত্র আটজনের জন্য ফোনটি তৈরি করা হবে। তবে যাঁরা এ ফোন নিতে আগ্রহী, তাঁদের কাছ থেকে ফরমাশ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফিচার ফোন বলে কথা! ভার্চু প্রিমিয়াম ফোনটির নাম ভার্চু সিগনেচার কোবরা। এ ফোন লিমিটেড এডিশন। দাম ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা।

এর দাম এত বেশি কেন? আর কী বা আছে এতে? ভার্চুর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে-ফিচার ফোন হলে কী হবে, এটার বিশেষত্ব এর নকশায়। ফোনটির কোনা বেয়ে সাপের মতো আকার দেওয়া হয়েছে। এতে বসানো হয়েছে ৪৩৯টি রুবি আর ‘সাপের’ দুই চোখে এমারল্ডস দিয়ে তৈরি। ফোনটিকে আরও সুন্দর করতে এতে সোনা ও ক্রিস্টাল ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনের নকশা করেছে ফ্রান্সের জুয়েলারি হাউস বুশেরন। তবে ফিচার ফোন হিসেবে এটি আর দশটা ফিচার ফোনের মতোই। যাঁরা এ ফোনের ফরমাশ দেবেন তাঁদের কাছে বিশেষভাবে হেলিকপ্টারে করে ফোনটি পৌঁছে দেওয়া হবে। গিজচায়না ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ফোনটি ৩৮৮টি যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে যার পুরোটা সংযোজন করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে। চীনের একটি ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে এটি বিক্রির জন্য আগাম ফরমাশ নেওয়া হচ্ছে। চীনে এই ধরনের মাত্র একটি ফোন বিক্রি করা হবে।

ফিচার ফোনে সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। এটা দিয়ে ফোন কল করা ও বার্তা পাঠানোর মতো সাধারণ সুবিধাগুলো থাকে।

147
নতুন আইফোন নিয়ে অনলাইনজুড়ে কয়েক মাস ধরেই চলছে নানা গুঞ্জন। প্রযুক্তিবিষয়ক নানা ওয়েবসাইটে সম্ভাব্য আইফোন ৮ নিয়ে নানা তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর নতুন স্মার্টফোন হিসেবে আইফোন ৮, আইফোন ৭ এস ও ৭ এস প্লাস বাজারে ছাড়বে মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু কবে নাগাদ বাজারে আসবে নতুন এই আইফোন?

বেঞ্জামিন গেসকিন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নতুন আইফোন নিয়ে তথ্য ফাঁস করেছেন। অনলাইনে বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। গেসকিনের মতে, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিশেষ অনুষ্ঠান করে নতুন আইফোনের ঘোষণা দেবে অ্যাপল। আইফোন ৮–কে বলা হতে পারে আইফোন এডিশন। বিশেষ এ সংস্করণ ছাড়াও আইফোনের ধারাবাহিকতায় এ বছর আইফোন ৭ এস ও ৭ এস প্লাস আনতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।

সাধারণত গুঞ্জন নিয়ে কখনোই মুখ খোলে না অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেদের অনুমান প্রায়ই মিলে যায়। গেসকিনের ধারণা, ১৭ সেপ্টেম্বর আইফোনের ঘোষণা দেওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হবে।

সম্প্রতি চীনের মাইক্রোব্লগিং সাইট ওয়েবুতে তিনটি আইফোন মডেলের ছবি ফাঁস হয়েছে।
ছবিতে আইফোনের পেছনের প্যানেলের নকশা দেখানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, আইফোন ৭ প্লাসের উচ্চতা বেশি। এরপর উচ্চতার দিক থেকে রয়েছে আইফোন ৮ ও আইফোন ৭ এস। ৭ এস প্লাসে পেছনে দুটি ক্যামেরা অনুভূমিকভাবে বসানো রয়েছে। ৭ এসে একটি ক্যামেরা থাকবে। আইফোন ৮–এর ক্ষেত্রে খাড়াভাবে বসানো দুটি ক্যামেরা রয়েছে। এতে এলইডি ফ্ল্যাশ মডিউল আলাদা।
আইফোন ৮–এ ফিচার হিসেবে ওএলইডি ডিসপ্লে ও অ্যাপল এ১১ চিপসেট থাকতে পারে। এতে ডিসপ্লেতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর থাকতে পারে।
নতুন আইফোনের দাম নিয়েও নানা গুঞ্জন রয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে, এক হাজার মার্কিন ডলার থেকে দাম শুরু হতে পারে নতুন আইফোনের। তবে বাজারের অন্য ফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার কারণে দাম কিছুটা কমতেও পারে।

148
নতুন কিছু করতে হলে সব বাধা পেরিয়ে দ্রুত এগোতে হবে। ফেসবুক পরিচালনায় এই হলো প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গের দর্শন। কিন্তু মাত্র ১৩ বছরে ১৮০ কোটির বেশি মানুষকে যুক্ত করতে শুধু এই দর্শনটুকু যথেষ্ট ছিল না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফেসবুক পরিচালনায় তাঁর সেরা পাঁচ কৌশল। ২৪ মে লিংকড-ইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হফম্যানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তা-ই জানালেন মার্ক। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি করবে নতুন কোনো ব্যবসায় উদ্যোগ বা স্টার্টআপ। কিন্তু সেটা  যে ফেসবুক হবে, তা কোনো দিন চিন্তাও করিনি।’

দৃঢ় বিশ্বাস থাকাটা জরুরি

ফেসবুকে যখন প্রথম ‘নিউজ ফিড’ চালু করা হলো, তখন মানুষ তা স্বাগত জানায়নি। অনেকেই এ নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সংবাদকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা ফেসবুক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু মার্ক ও তাঁর দল বিশ্বাস করেছিলেন যে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ে কাজ করছেন। আর তাঁদের পথটা সঠিক ছিল। ব্যবহারকারীদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়তে শুরু করে এবং ফেসবুক ব্যবহারের মধ্যমণিতে পরিণত হয় নিউজ ফিড। বিশ্বাস থাকা এবং সেই বিশ্বাস কেন কাজে লাগবে তা জানা থাকলে প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনায় কখন কান দিতে হবে, তা নির্ধারণ করা সহজ হয়।

অনুমান নয়, পরীক্ষা করুন

ব্যবহারকারীদের সেরা অভিজ্ঞতা দিতে ফেসবুক কখনো অনুমাননির্ভর কিছু করে না, সব সময় পরীক্ষা করে দেখে। ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সম্মতির অপেক্ষা না করে কর্মীদের যদি তাঁদের নতুন ধারণা সম্পর্কে তথ্য পেতে প্রয়োজনীয় টুল দেওয়া হয়, তবে দ্রুত এগোনো সম্ভব বলে মনে করেন মার্ক। তিনি বলেন, ফেসবুকে আমরা সব সময় বলি, নিখুঁত করার চেয়ে কোনো কাজ শেষ করাটা জরুরি।

উদ্ভাবনের কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে

ফেসবুকের মুঠোফোন সংস্করণ চালুর শুরুটা সহজ ছিল না। একই সঙ্গে মুঠোফোন সংস্করণে কাজ করা এবং ডেস্কটপ সংস্করণের জন্য নতুন সুবিধা চালু করতে গিয়ে ফেসবুক দল পুরো ব্যাপারটা গুলিয়ে ফেলে। সে সময় খুব কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। মার্ক বলেন, ‘তা হলো পরবর্তী দুই বছরের জন্য নতুন কোনো সুবিধা না!’ তখন সহজ এক অ্যাপ বানানোয় মনোযোগ দিয়েছিল পুরো দল।

দীর্ঘ মেয়াদের জন্য দল

ফেসবুক ব্যবস্থাপনা পর্ষদের বেশির ভাগ সদস্য বর্তমান পদে পৌঁছেছেন দীর্ঘদিন কাজ করার পর। মার্ক বলেন, এর সুবিধা হলো যাঁরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, তাঁরা জানেন কীভাবে কাজটি করতে হয়, তাঁদের মধ্যে আস্থা আছে। অভ্যন্তরীণ নিয়োগের আরেকটি সুবিধা হলো দীর্ঘ মেয়াদে প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি নির্ধারণ করা যায়। মার্ক বলেন, তা ছাড়া এতে সব কর্মীর জন্য একটি সংকেত থাকে যে যদি কাজটা ভালোভাবে করেন তবে তাঁরাও প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে পারবেন।

আপনার চেয়ে ভালো কর্মী নিয়োগ করুন

জাকারবার্গ বলেন, কর্মী নিয়োগের ব্যাপারটা যদি উল্টো হতো তবে কি আপনি তাঁর হয়ে কাজ করতেন? এমন কাউকে নিয়োগ দেবেন না যাঁর হয়ে আপনি নিজে কাজ করবেন না। উদাহরণ হিসেবে মার্ক বলেন, ‘এমন অনেক কিছু আছে যে বিষয়ে শেরিল স্যান্ডবার্গ আমার চেয়ে বেশি পটীয়সী। তাঁর সেই দক্ষতা আমার জন্য ভালো, ফেসবুকের জন্য ভালো।

149
সাইবার হামলায় আক্রান্তের তালিকায় বাংলাদেশের নাম না থাকলেও শুক্রবার থেকে দেশটির প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি খাতে কয়েকটি র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়।
ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখাও র‍্যানসমওয়্যার দিয়ে আক্রান্ত হওয়ার পর ওই এলাকায় ব্যাংকটির সব কম্পিউটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং সব কটি এটিএম বুথ বন্ধ রাখা হয় বলে খবর পাওয়া যায়। তবে নিরপেক্ষভাবে এসব খবর যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ওই ব্যাংকটিকে সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা দিচ্ছেন, এমন একজন ঘটনাটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ-ও বলেছেন, গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যাংকটি যথাসম্ভব গোপনে ও দ্রুত সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে বিনা মূল্যে সাইবার নিরাপত্তা সেবাদাতা ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন বা ক্র্যাফের মহাসচিব মিনহার মোহসিন উদ্দিন বলেছেন, শুক্রবার থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বেশ কিছু অভিযোগ তাঁরা পাচ্ছে। এমনিতে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে র‍্যানসমওয়্যার হামলার বেশ কিছু নজির পাওয়া গেছে। তবে শুক্রবার আর গতকাল শনিবারই পাওয়া গেছে সবচেয়ে বেশি।
ঢাকার কাফরুল এলাকার মাধ্যমিক পড়ুয়া এক কিশোর বলছিল, শুক্রবার রাতে সে দেখে যে তার কম্পিউটারে রাখা ফাইলগুলো খুলছে না। খুলতে গেলেই অদ্ভুত সব বার্তা আসছে এবং একটি ঠিকানা দিয়ে বলা হচ্ছে সেখানে যদি সে ১৫০ ডলার না পাঠায় তাহলে আর এই ফাইলগুলো উদ্ধার করতে পারবে না। এটা একটা র‍্যানসমওয়্যার অর্থাৎ একটি ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে এই কিশোরের কম্পিউটার দখল করে নিয়েছে অজ্ঞাত হ্যাকার, এখন মুক্তিপণ চাইছে।
শুক্রবার থেকে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশের লাখ লাখ কম্পিউটার এ রকম র্যানসমওয়্যার হামলার শিকার হচ্ছে, সারা পৃথিবীই এখন তটস্থ হয়ে আছে এই সাইবার হামলার আতঙ্কে।

150
গত শুক্রবার বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯৯টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা। এ তালিকায় বাংলাদেশের থাকারও ঝুঁকি রয়েছে। এই হামলা ঘটানো হয়েছে  ‘র‍্যানসমওয়্যার’ দিয়ে।

র‍্যানসমওয়্যার হচ্ছে পরিচিত ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর কম্পিউটার প্রোগ্রাম। যা কম্পিউটার বা মুঠোফোন ব্যবহারে বাধা দিয়ে থাকে। এটি একধরনের র‍্যানসম বা মুক্তিপণ দাবি করার মতো ব্যাপার। হ্যাকাররা কম্পিউটার বা মুঠোফোনের মতো যন্ত্রে এই প্রোগ্রাম ঢুকিয়ে দেয় এবং একবার সফলভাবে এটি ঢুকে পড়লে আপনার যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ওই প্রোগ্রাম অর্থাৎ নেপথ্যে থাকা হ্যাকারের হাতে চলে যাবে। এমন কাজ করে তা থেকে মুক্তিপণও দাবি করে হ্যাকাররা।

কয়েক ধরনের র‍্যানসমওয়্যার আছে, এর সব কটিই বেশির ভাগ কম্পিউটার বা মুঠোফোনের ব্যবহারে বাধা দেবে। ব্যবহৃত ফাইলকে এনক্রিপটেড করবে, যেকোনো ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার বিশেষ করে ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহারে বাধা দেয় র‍্যানসমওয়্যার।

 র‍্যানসমওয়্যারের হাত থেকে বাঁচতে

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের নির্মাতা মাইক্রোসফট তাদের এক ব্লগে র‍্যানসমওয়্যার থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু পদ্ধতি বলে দিয়েছে।

 যে ব্যবস্থাগুলো নেওয়া জরুরি

ভালো মানের হালনাগাদ করা অ্যান্টি-ভাইরাস ইনস্টল করতে হেব। ই-মেইল বা ওয়েবসাইটে পাওয়া যেকোনো লিঙ্ক বা অ্যাটাচমেন্ট দেখা মাত্রই ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের স্মার্টস্ক্রিন চালু রাখুন।

ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যারের (ব্রাউজার) পপ-আপ ব্লকার চালু রাখতে হবে। দরকারি ফাইলগুলোর আরেকটি কপি (ব্যাকআপ) নিয়মিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আপনি চাইলেই দরকারি ফাইলগুলোকে ক্লাউড স্টোরেজে রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মাইক্রোসফটের ওয়ান ড্রাইভ বা গুগলের গুগল ড্রাইভে রাখা যেতে পারে।

 ডেটা ফিরে পেতে

কম্পিউটারের তথ্য বা ডেটা ফিরে পাওয়াটা নির্ভর করে কোথায় আপনার ফাইল রেখেছিলেন এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের কোন সংস্করণ ব্যবহার করছেন, তার ওপর। মাইক্রোসফট বলছে ফাইল ফেরত (রিকভার) পাওয়ার আগে ‘উইন্ডোজ ডিফেন্ডার অফলাইন’ ব্যবহার করে কম্পিউটারকে স্ক্যান করে নিন। মাইক্রোসফটের ওয়ান ড্রাইভ সেবাটি ব্যবহার করে মাইক্রোসফট অফিসের কোনো ফাইল সেভ বা তাতে কোনো পরিবর্তন আনলে নিরাপত্তার খাতিরে সেটির একটি ব্যাকআপ কপি তৈরি করে অনলাইনে সিঙ্ক করে রাখে। ওয়ানড্রাইভের অনলাইনে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফাইলে মাউসের ডান ক্লিক করে Version history থেকে তার সর্বশেষ সংরক্ষণ করা কপি ফিরে পাওয়া যাবে। উইন্ডোজ ১০-এ আগে থেকেই ওয়ান দেওয়া থাকে।

অন্যান্য ফাইল ফিরে পেতে

উইন্ডোজ ৮.১ বা ১০ সংস্করণের জন্য ফাইল হিস্ট্রি অন রাখতে হবে। এ জন্য উইন্ডোজের স্টার্ট মেনুতে গিয়ে Settings লিখুন। সেটিংস খুঁজে পেলে তাতে ক্লিক করে খুলুন। সেটিংস উইন্ডো থেকে Update & security-এ ক্লিক করুন। উইন্ডোজের আপডেট এবং সিকিউরিটির বাঁয়ের Backup মেনুতে ক্লিক করুন। এখানে Automatically back up my files এর নিচের অন বাটনে ক্লিক করে সেটিকে চালু করে দিন। এই বাটন না দেখালে ব্যাকআপের জন্য ড্রাইভার চালু করতে হবে।

অনেক র‍্যানসমওয়্যারই ব্যাকআপ নেওয়া বা এনক্রিপ্ট করা ফাইলকে মুছে ফেলে। এ ক্ষেত্রে বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক ড্রাইভ বা পেনড্রাইভ কাজে দেবে।

 র‍্যানসমওয়্যার মুছে ফেলবেন যেভাবে

র‍্যানসমওয়্যার মুছে ফেলাটা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। ব্রাউজার চালু থাকলে সেটিকে আগে বন্ধ করুন। এরপর ভালো মানের হালনাগাদ (আপডেটেড) অ্যান্টি-ভাইরাস দিয়ে পুরো কম্পিউটার স্ক্যান করে নিন। কম্পিউটার স্ক্যানের কাজটি উইন্ডোজকে সেফ মোডে নিয়ে করলে সবচেয়ে ভালো হয়। ব্রাউজার বন্ধ করতে উইন্ডোজ টাস্ক ম্যানেজার খুলতে হবে আগে। টাস্কবারে ডান ক্লিক করে Task Manager খুলুন (Ctrl+Shift+Esc)। টাস্ক ম্যানেজারের তালিকায় থাকা Applications বা Processes থেকে ওয়েব ব্রাউজার খুঁজে নিন। এতে ক্লিক করে End task চাপুন। রেসপন্সের কোনো বার্তা দেখালে Close the program-এ ক্লিক করে বন্ধ করে দিন। পরে আবার ব্রাউজার খুললে restore your session অপশন এলে সেটিকে প্রত্যাখ্যান (ডিক্লাইন) করুন।

Pages: 1 ... 8 9 [10] 11