Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Sazzadur Ahamed

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 11
31
চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেন ঝেংফেই যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন, তাদের তৈরি হারমনি অপারেটিং সিস্টেম একবার কার্যকর হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রভাব পড়বে। হুয়াওয়ে ভিন্নপথে হাঁটা শুরু করলে তা থেকে আর ফেরার পথ থাকবে না।

জাতীয় নিরাপত্তার অভিযোগে ওয়াশিংটন হুয়াওয়ের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতি করছে বলে স্বীকার করেছে হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ। হুয়াওয়ের স্মার্টফোনে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার, প্লেস্টোর, সার্চ ও ম্যাপের মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর অনুপস্থিতি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

গত মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাহায্য করার পথই বেছে নিচ্ছে। হুয়াওয়ে যদি মার্কিন সরবরাহকারীদের সঙ্গে কাজের সুযোগ না পায়, তবে বিকল্প পথে হাঁটতে বাধ্য হবে। একবার যদি ওই বিকল্পগুলোর একটি উপযুক্ত হয়ে ওঠে, তখন আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ থাকবে না। হুয়াওয়েকে যদি গুগলের বিকল্প নিতে হয়, তবে তা মার্কিন কোম্পানিগুলোর ক্ষতিই করবে। এটা আমাদের সবার জন্যই জটিল একটি সময়। আশা করি, মার্কিন সরকার তার দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কোনটি ভালো তা বিবেচনা করবে।

হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী বলেন, অ্যান্ড্রয়েডের রাজত্বে এক নম্বর হওয়া কঠিন কিছু নয়। তবে এ জন্য কিছুটা সময় লাগবে।

হুয়াওয়ের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা আইনবহির্ভূত। বাছাই করা তথ্য, শ্লেষ ও ভুল অনুমানের ভিত্তিতে মার্কিন সরকার হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হুয়াওয়ে তাদের দেশের জন্য কীভাবে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে, তার কোনো প্রমাণ পর্যন্ত দিতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সুবিধা দিতে এতে মারাত্মক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে দেশটিকে। হুয়াওয়ের পণ্যের ওপর দেশটির অনেক নেটওয়ার্কিং কোম্পানি নির্ভর করে।

গত সপ্তাহে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে হুয়াওয়েকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য ও সেবা পেতে তিন মাসের বর্ধিত লাইসেন্সের অনুমোদন দেওয়া হয়।

চলতি বছরের মে মাসে হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করার পরও সাময়িক লাইসেন্সের মাধ্যমে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের যন্ত্রাংশ ক্রয়ের অনুমতি দেয় মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ।

কারণ হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিছু মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা হুয়াওয়ের থ্রি-জি ও ফোর-জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। সেসব ব্যবহারকারীর কথা বিবেচনা করেই লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

32
গিটহাবকে বলা যায় সফটওয়্যার নির্মাতাদের (ডেভেলপারদের) আড্ডাখানা। তবে আড্ডার ভাষা কিছুটা বিদঘুটে। কারণ, এখানে তাঁরা আলোচনা চালান প্রোগ্রামিংয়ের ভাষায়। গিটহাবে প্রায় চার কোটি ডেভেলপার তাঁদের প্রকল্পের সমন্বয় করেন। বর্তমানে সফটওয়্যার নির্মাতাদের মধ্যে কোন প্রোগ্রামিং ভাষা বেশি জনপ্রিয়, কোন প্রোগ্রামিং ভাষায় তাঁরা কোড লিখছেন, তা গিটহাব কর্তৃপক্ষের চেয়ে ভালো আর কে জানে? ‘দ্য স্টেট অব দ্য অক্টোভার্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রতিবছর জনপ্রিয়তম ১০ প্রোগ্রামিং ভাষার তালিকা প্রকাশ করে তারা। এ বছরের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে গত সপ্তাহে। গত বছরের মতো এবারও প্রথম স্থানে জাভাস্ক্রিপ্ট থাকলেও পাইথন উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে।

১. জাভাস্ক্রিপ্ট
ওয়েবসাইট তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। গেম তৈরিতেও কাজে লাগে। নামে মিল থাকলেও জাভার সঙ্গে কাজে মিল খুব কম।

২. পাইথন
ইদানীং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাপ ও ডেটা বিজ্ঞানে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। সহজে শেখা যায়। বড়সড় কমিউনিটি আছে।

৩. জাভা
টুইটার ও নেটফ্লিক্স জাভায় তৈরি। মোবাইল ও ওয়েব অ্যাপ, গেম, ডেটাবেসনির্ভর সফটওয়্যার তৈরিতে বেশি কাজে লাগে।

৪. পিএইচপি
বিশেষ করে ওয়েবসাইট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। ডেটাবেসের সঙ্গে কাজ করতে সুবিধা। ফেসবুক-ইয়াহু পিএইচপিতে তৈরি।

৫. সি শার্প
এটিও মাইক্রোসফটের তৈরি। জাভার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। মোবাইল অ্যাপ, গেম ও এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার তৈরিতে কাজে লাগে।

৬. সি++
১৯৭৯ সালে সি প্রোগ্রামিং ভাষা থেকে তৈরি করেন বিয়ার্নে স্ট্রভসট্রুপ। অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজার ও গেম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে।

৭. টাইপস্ক্রিপ্ট
নির্মাতা মাইক্রোসফট। জাভাস্ক্রিপ্টের সঙ্গে মিল আছে। বেশ শক্তিশালী। বড়সড় সফটওয়্যার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। মুক্ত সোর্স।

৮. শেল
প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগের কাছে বেশ জনপ্রিয়। কারণ, দূর থেকে অপারেটিং সিস্টেমকে নির্দেশনা দিতে ব্যবহার করে তারা।

৯. সি
প্রোগ্রামিংয়ের সাধারণ ভাষা। ১৯৭২ সালে তৈরি করেন ডেনিস রিচি। অনেক জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষার উৎপত্তি হয়েছে সি থেকে।

১০. রুবি
পছন্দের প্রোগ্রামিং ভাষার সেরা অংশগুলো নিয়ে ১৯৯৫ সালে তৈরি করেন ইউকিহিরো মাতসুমোতো। ওয়েবসাইট তৈরিতে বেশি কাজে লাগে।

33
আইফোন ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ বলে থাকেন, একটি অতিরিক্ত সিমকার্ড লাগানোর সুবিধা থাকলে ভালো হতো। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আরও একটি সিমকার্ডের জায়গা করে দিতে অ্যাপল নারাজ। কারণ, ওই জায়গা অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। শুধু যে আইফোনে, তা কিন্তু নয়, একটিমাত্র সিমকার্ড সমর্থন করে এমন সব ফোনের ক্ষেত্রেও তাই। তবে সমাধানও রয়েছে। আর তা হলো ই-সিম।

ই-সিম কী: ই-সিমের পূর্ণ রূপ হলো এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেনটিটি মডিউল। মুঠোফোনে সচরাচর যে প্লাস্টিকের সিমকার্ড ব্যবহার করা হয়, তা খুব সহজেই খোলা ও পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু ই-সিম ছোট আকৃতির এমন চিপ, যা মাদারবোর্ডে সরাসরি যুক্ত থাকে। যা সাধারণ সিমকার্ডের মতো নেটওয়ার্ক সরবরাহকারী কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

ই-সিমের সুবিধা: এটি সুবিধামতো সাজিয়ে নেওয়া যায়। অর্থাৎ আলাদা সংযোগদাতার জন্য আলাদা সিমকার্ডের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনমতো বিভিন্ন কোম্পানির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যাবে। খুব সহজেই ব্যবহার করা থেকে দূরেও থাকা যাবে। তা ছাড়া ফোনের নকশায় ই-সিমের জন্য পরিবর্তন আনা যাবে। সিমকার্ডের জন্য যে বাড়তি জায়গা প্রয়োজন ছিল, তা এখন অন্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। যাঁরা প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করেন, তাঁদের এ ক্ষেত্রে সিমকার্ড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

যেসব ফোনে ই-সিম সমর্থন করে: আইফোন এক্সএস, এক্সএস ম্যাক্স, এক্সআর, ১১, ১১ প্রো ও ১১ প্রো ম্যাক্স এবং গুগলের পিক্সেল ২,৩, ৩এ ও ৪ এ সাধারণ প্লাস্টিক সিমকার্ডের পাশাপাশি ই-সিম সমর্থন করে। অন্যদিকে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ফোল্ড ফোনে ই-সিমের সুবিধা রাখা হয়েছে।

চমক দেখাতে যাচ্ছে মটোরোলা রেজর। যেটি হবে সম্পূর্ণ ই-সিম নির্ভর।

যেভাবে ব্যবহার করা যাবে: ই-সিম এখনো প্রাথমিক পর্যায় আছে বলা চলে। তবে দিন দিন এর ব্যবহার বাড়বে, যেমনটা বাড়বে মুঠোফোনে ই-সিম সমর্থন। সুবিধাটি ব্যবহার করার জন্য একেক কোম্পানি একেক নিয়ম অনুসরণ করে থাকে। কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে সরাসরি উপস্থিত থেকে চালু করতে হয়, যেমন এটিএন্ডটি। আর কিছু কোম্পানি অ্যাপের মাধ্যমে সেবা দিয়ে থাকে, যেমন ভেরাইজন ওয়্যারলেস। সূত্র: সিনেট

34
সম্প্রতি ভারতের ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ফিনটেক ফোরামের বার্ষিক অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংগঠনগুলোতে ফিনটেক সেবা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই ফোরামে বিমসটেক ও সার্কের মতো আঞ্চলিক সংগঠনগুলো যাতে আন্তর্জাতিক খাতের বিশেষজ্ঞ এবং নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে নিয়ে ফিনটেক সেবা যুক্ত করতে পারে, সে প্রস্তাব করেন বাংলাদেশের ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান। এত ক্রস-বর্ডার পেমেন্টস ও ই-কমার্স খাত এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।

ফিনটেক ফোরামের অনুষ্ঠানে কীভাবে আন্তর্জাতিক স্টার্টআপ ভারতের ফিনটেক ইকোসিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে এবং ভারতের স্টার্টআপ কীভাবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যেতে পারে—শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। ফোরাম আয়োজনের সহযোগী ছিল ভারতের মহারাষ্ট্র সরকার এবং ন্যাশনাল পেমেন্ট কমিশন অব ইন্ডিয়া।

‘ইকোনমিক টাইমস’-এর সম্পাদক অমল ডেথের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ইনভেস্ট ইন ডেনমার্কের কান্ট্রি ম্যানেজার (ভারত ও সিঙ্গাপুর) শঙ্কর সুব্রামানিয়াম, কুডসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পবিত্র ওয়ালভেকার এবং ন্যাশনাল পেমেন্টস করপোরেশন অব ইন্ডিয়ার (এনপিসিআই) পণ্য ও উদ্ভাবন বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিশাল কানভাটি।

ফোরামে আলোচকেরা বলেন, ফিনটেক খাত এগিয়ে যাচ্ছে। গত ৩ মাসে ভারতের ফিনটেক কোম্পানিতে ৬৭৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। একই সময়ে পুরো এশিয়ার প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ হয়েছে ১.৮ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৪ সাল নাগাদ রাউন্ড দ্য ক্লক রিয়েল টাইম পেমেন্ট (আরটিপি) এবং ইন্টারব্যাংক সেটেলমেন্ট সেবার প্রচারণার পরিকল্পনা জানিয়েছে। ফিনটেক ইকোসিস্টেমকে পুরোপুরি গড়ে তুলতে এ রকম নীতিনির্ধারক এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে শক্তিশালী সহায়তা দরকার এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলেও একই ধরনের প্ল্যাটফর্ম করা প্রয়োজন।

ফোরামে শামীম আহসান বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সেবা হলো মোবাইল আর্থিক সেবা। বাংলাদেশ এবং ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে ব্যাংকিং সেবার বাইরের জনগণকে ব্যাংকিং সেবা দিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে এসব মোবাইল আর্থিক সেবা। বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত এই সেবাগুলো বাংলাদেশের ৫৫ শতাংশ মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করেছে। আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন মতে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ফান্ড ট্রান্সফার এবং পেমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ফিনটেকের কাছে তাদের ২৮ শতাংশ বাজার হারাবে আর ব্যাংকগুলো বাজার হারাবে প্রায় ২৪ শতাংশ।

35
সিঙ্গাপুর সরকারের চাপে মাথা নত করল ফেসবুক। দেশটির নতুন আইন অনুযায়ী, ফেসবুকে ভুয়া তথ্য পোস্ট করলে তার সংশোধনী দিতে হবে।

ইতিমধ্যে ভুয়া খবর ঠেকানোর আইন পাস করে তার প্রয়োগ শুরু করেছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে ফেসবুককে এক ব্লগারের পোস্ট করা একটি ভুয়া পোস্ট কর্তৃপক্ষকে ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটি। শুক্রবার এ নির্দেশ দেওয়া হয়। দেশটির আইন মেনে ফেসবুক ওই পোস্টের নিচে একটি সংশোধনী বার্তা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

স্টেটস টাইম রিভিউ (এসটিআর) সাইটে পোস্ট করা ওই কনটেন্টটিকে সিঙ্গাপুর সরকারের পক্ষ থেকে অস্পষ্ট ও মিথ্যা প্রচার হিসেবে দাবি করা হয়েছে। ওই পোস্টে সরকারবিরোধী এক তথ্যদাতার গ্রেপ্তার ও নির্বাচনে কারচুপিসংক্রান্ত অভিযোগ করা হয়েছে।

সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ এসটিআর সম্পাদক অ্যালেক্স টানকে পোস্টটি ঠিক করার নির্দেশ দেয়। তবে নিজেকে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক দাবি করা টান পোস্টটি সংশোধন করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে জন্ম হলেও তিনি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তাই ওই দেশের আইন মানতে তিনি বাধ্য নন।

সিঙ্গাপুর সরকার এরপর ফেসবুককে আইনি প্রক্রিয়ায় চাপ দেয়। ফেসবুক আইনি প্রক্রিয়া মেনে ওই পোস্টের নিচে লিখেছ, ‘আইন মেনে বলতে হচ্ছে, সিঙ্গাপুর সরকার বলছে এ পোস্টের তথ্য ভুয়া।’

ফেসবুক এমবেড করা ওপি নোটটি প্রকৃত পোস্টটির নিচে ঝুলিয়ে রেখেছে। প্রকৃত পোস্টটি সংশোধন করা হয়নি। কেবল সিঙ্গাপুরের মধ্যেই ফেসবুকের পোস্ট করা সংশোধনী বার্তাটি দেখা যাচ্ছে।

ফেসবুক এক বিবৃতিতে বলেছে, সিঙ্গাপুরের ‘ফেক নিউজ’ আইন অনুসারে তারা ওই লেবেলটি দেখাচ্ছে।

প্রটেকশন ফ্রম অনলাইন ফলসহুড অ্যান্ড ম্যানিপুলেশন অ্যাক্ট নামের আইনটি গত অক্টোবর মাস থেকে কার্যকর হয়।

ফেসবুকের সাম্প্রতিক ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের আইন মেনে তারা বিভিন্ন কনটেন্ট ব্লক করে থাকে। এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত ১৮ হাজার কনটেন্ট ব্লক করেছে ফেসবুক।

সিঙ্গাপুরে ফেসবুকের এশিয়া অঞ্চলের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলা হয়, মানুষের বাকস্বাধীনতায় সিঙ্গাপুরের নতুন আইন কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। এটির স্বচ্ছ ও যথাযথ প্রয়োগ হবে।

সিঙ্গাপুরের নতুন আইন অনুযায়ী, অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিতর্কিত পোস্টকারী সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা এই আইনকে বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং ইন্টারনেটে সেন্সরশিপ আরোপের সরকারি অস্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছে। তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ

36
চীনে কোটি কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পরিচয় শনাক্ত করার লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে নতুন মোবাইল ফোন সেবায় কেউ নিবন্ধন করলে তাঁর চেহারা শনাক্ত বা ফেস স্ক্যান করে রাখা হবে। গত সেপ্টেম্বরে নতুন এ নিয়ম পাস করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার থেকে দেশটিতে নতুন নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চীন সরকার বলছে, সাইবার জগতে সে দেশের নাগরিকদের স্বার্থ সুরক্ষা ও আইনগত অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় তারা। বেশ কয়েক বছর থেকেই ‘রিয়েল-নেম’ শনাক্তকরণ কার্যক্রমের অধীনে নতুন নিয়ম প্রয়োগ করার চেষ্টা করছিল দেশটি। ইতিমধ্যে দেশটির জনগণের মধ্যে সমীক্ষা চালাতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রগামী দেশ হলেও সাম্প্রতিককালে তাদের এ কর্মসূচি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

নতুন মোবাইলে সাইন আপ বা মোবাইল ডেটা চুক্তিতে যাওয়ার সময় বর্তমানে দেশটির নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি দিতে হয়। নতুন আইন অনুযায়ী, প্রকৃত নিবন্ধকারীকে শনাক্ত করতে ফেস স্ক্যান প্রযুক্তিও ব্যবহৃত হবে।

দেশটির ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রণালয় টেলিকম অপারেটর তাদের সিস্টেম শক্তিশালী করার পাশাপাশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে। চীনের অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইনিজ আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স-বিষয়ক গবেষক জেফরি ডিং বলেন, চীনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিচয়হীন ফোন নম্বর ও ইন্টারনেট অ্যাকাউন্ট থেকে মুক্তি পাওয়া এবং ইন্টারনেট প্রতারণা এড়াতে সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা। আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে কার্যকরভাবে নজরদারিতে রাখা।

চীন সরকারের এ উদ্যোগ নিয়ে ওয়েবু মাইক্রোব্লগিং সাইটে অনেকেই উদ্বেগ জানিয়েছেন। এক ব্যবহারকারী বলেছেন, চীনা নাগরিকদের এখন আরও বেশি কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে। তারা কিসের ভয় পাচ্ছে? তারা যা করছে, তাতে জনগণের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এর আগেও চীনের অনেক তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে গেছে।

কেউ কেউ আবার একে কারিগরি অগ্রগতি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

চীনের ওয়েব দুনিয়া অত্যধিক সেন্সরশিপ ও নজরদারির আওতায় রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তারা ইচ্ছানুযায়ী কনটেন্ট ব্লকও সরিয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে। ২০১৭ সালে দেশটিতে ১৭ কোটি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। ২০২০ সাল নাগাদ ৪০ কোটি নিরাপত্তা ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। এ ছাড়া সোশ্যাল ক্রেডিট সিস্টেম নামের একটি সিস্টেম তৈরি করছে দেশটি, যাতে দেশের জনগণের সব কথোপকথন একটি ডেটাবেইসে থাকে। এতে সরকারি তথ্য ও জাতীয় তথ্যভান্ডারের সমন্বয়ে প্রতিটি জনগণের জন্য একটি র‍্যাঙ্কিং সিস্টেম থাকবে। ফেসিয়াল রিকগনিশন নজরদারির ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। কোনো পলাতক ব্যক্তিকে ধরতে সহজেই কাজ করবে এটি।

গত বছর একটি কনসার্টে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের মধ্যে থেকে একজন অপরাধীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় তাদের তৈরি নজরদারি প্রযুক্তি।

37
প্রায় এক মাস আগে বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশে বিশাল তথ্য সংগ্রহকারী দুটি অ্যাপ বন্ধ করতে বাধ্য হয় ফেসবুক। সম্প্রতি বাজার গবেষণার নতুন একটি অ্যাপ নিয়ে আসছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। এক ব্লগবার্তায় এ তথ্য প্রকাশ করে ফেসবুক।

‘ভিউপয়েন্টস’ নামের নতুন অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন জরিপে অংশ নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। প্রতিবার জরিপে অংশ নিয়ে ব্যবহারকারীরা পয়েন্টের মাধ্যমে অর্থ আয় করতে পারবেন। এভাবে বছরজুড়ে জরিপে অংশ নিয়ে আয় হবে প্রায় ৬০০ ডলার, যা পেপালের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যাবে। তবে এ ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি ফেসবুক।

জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের সেবার মান ভালো এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে জানায় ফেসবুক। জরিপ ছাড়া আরও অন্য অনেক কাজ করবে অ্যাপটি। ব্যবহারকারীদের কাজ সম্পাদন, পণ্যের নমুনা সরবরাহ এবং প্রতিষ্ঠানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নেও সাহায্য করবে অ্যাপটি।

কিন্তু ব্যবহারকারীদের কোন তথ্য জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা পরিষ্কারভাবে জানায়নি ভিউপয়েন্ট। তবে অ্যাপসটির তথ্য নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যবহারকারীর অবস্থান, ব্রাউজারের ধরনসহ ফোনের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। সূত্র: ম্যাশেবল

38
Faculty Sections / উর্দি পরে টিকটক নয়
« on: December 01, 2019, 08:12:59 PM »
উর্দি পরা কিংবা কর্মরত অবস্থায় চীনের খুদে ভিডিও প্রকাশের অ্যাপ টিকটক ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মার্কিন সেনা ক্যাডেটদের। অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীদের তথ্য নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার মার্কিন সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান।

তরুণ সেনাদের মধ্যে এই অ্যাপ ব্যবহারের ঝুঁকির ব্যাপারে সেনাবাহিনীকে পর্যালোচনা করার আহ্বান জানান সিনেটের প্রথম সারির ডেমোক্র্যাট সদস্য চাক শুমার। তার পরপরই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আর্মি সেক্রেটারি রায়ান মাকার্থি বলেন, চীনা অ্যাপটির নিরাপত্তার ব্যাপারে কাজ করছে মার্কিন সেনাবাহিনী।

নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যক্তিগত কাজ ছাড়া ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় এবং অফিশিয়াল কাজের সময় ইউএস সেনারা টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি টিকটক। সূত্র: রয়টার্স

39
অনেকের স্বপ্ন গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন। দারুণ সুযোগ-সুবিধা, আকর্ষণীয় বেতন, সন্তোষজনক কর্মপরিবেশ সবার মনেই আগ্রহ জাগায়। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বেতন দিয়ে থাকে, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে গুগল। কিন্তু গুগলের কর্মী হওয়া খুব সহজ কাজ নয়। কারণ, গুগলে চাকরি পেতে জিপিএ কিংবা পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পাওয়ার বিষয়টির তেমন কোনো গুরুত্বই নেই।

নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গুগলের মানবসম্পদ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লাজলো বক বলেছিলেন, গুগলে চাকরি পেতে গণিত ও কম্পিউটিং, বিশেষ করে কোড লেখার দক্ষতা জরুরি। যদি কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষায় ভালো গ্রেড অর্জন করে এবং সত্যিকারের দক্ষতা দেখাতে পারে, তারা গুগলে চাকরির জন্য অবশ্যই আবেদন করতে পারে। গণিত আর কোড, এ দুটি দক্ষতা চাকরিপ্রার্থীর জন্য একটা বাড়তি সুবিধা করে দিতে পারে। তবে এ দুটির বাইরে গুগলে চাকরি পেতে আরও অনেক দক্ষতাই অর্জন করতে হবে।

গুগলে চাকরির জন্য পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়। যদি চাকরির পদটি কোনো কারিগরি বিষয় হয়, তবে জোর দেওয়া হয় কোডিং দক্ষতার ওপর। গুগলে চাকরির প্রায় অর্ধেকই অবশ্য কারিগরি শ্রেণিতেই পড়ে। প্রতিটি চাকরির ক্ষেত্রেই যে মূল বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয় তা হচ্ছে সাধারণ জ্ঞানের দক্ষতা। বিষয়টিতে আইকিউয়ের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না।

এখানে সাধারণ জ্ঞান বলতে বোঝানো হচ্ছে, কোনো বিষয় শেখার দক্ষতা, দ্রুত শেখার ক্ষমতা এবং তা কাজে লাগানোর ক্ষমতা। এই দক্ষতা হচ্ছে, অতিসূক্ষ্ম জিনিসের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা। গুগলে চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় আচরণগত এ বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে নেতৃত্বগুণ। গুগলে চাকরি পেতে গেলে আরও দুটি ভালো গুণ অর্জন করা জরুরি। এর একটি নম্রতা, অন্যটি কোনো জিনিসকে দ্রুত নিজের করে নেওয়ার ক্ষমতা। গুগলে চাকরি পাওয়ার জন্য আরেকটি দক্ষতা থাকতে হবে আর তা হচ্ছে কোনো কাজের ওপর ন্যূনতম অভিজ্ঞতা। ন্যূনতম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কাউকে কাজে নেওয়া হলে তাঁর শেখার আগ্রহ, যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্ব দেওয়ার আগ্রহ থাকে। গুগল যে কাজটি করে তা হচ্ছে, প্রচলিত জিপিএ বা প্রচলিত শিক্ষার বাইরের মেধাগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে।

গুগলে চাকরি পেতে সাক্ষাৎকার বোর্ডে বেশ কিছু আজব প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এ প্রশ্নগুলো একেক পদের জন্য একেক রকম হতে পারে। এ রকম ১০টি প্রশ্ন:

ক্রিয়েটিভ স্পেশালিস্ট: গুগলের ক্রিয়েটিভ স্পেশালিস্ট নিয়োগ দেওয়ার আগে তাঁর সাধারণ জ্ঞান ও দক্ষতা যাচাই করা হয়। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে এক সাক্ষাৎকারে এ পদের প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—এইচটিএমএল ৫-এর গুরুত্ব ল্যারি পেজকে বোঝানোর পর কীভাবে তা আমার দাদিকে বোঝাব?

ডেটাবেইস অ্যাডমিন: গুগলের গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট হচ্ছে ডেটাবেইস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। এ পদে নিয়োগের জন্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনাকে যদি এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও একটি মহাকাশযান দেওয়া হয় তবে মানবসভ্যতার সবচেয়ে বড় সমস্যা কীভাবে সমাধান করবেন?

সফটওয়্যার প্রকৌশলী: সফটওয়্যার প্রকৌশলীদেরও নানা জটিল প্রশ্ন করে গুগল। এর আগে এক কর্মীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনাকে গোড়া থেকে গুগল ম্যাপ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হলে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়াতে (মুম্বাই) দাঁড়ানো এক ব্যক্তিকে গাইড করে ইন্ডিয়া গেটে কীভাবে নেবেন?

প্রোডাক্ট মার্কেটিং ম্যানেজার: গুগলের প্রোডাক্ট মার্কেটিং ম্যানেজারদের চাকরির আগে প্রশ্ন করা হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর কলেজ সিনিয়র যাঁরা চার বছর মেয়াদি স্নাতক শেষ করে চাকরি নিয়ে বের হচ্ছেন, তাঁদের সংখ্যা অনুমান করে বলুন।

অ্যাসোসিয়েট প্রোডাক্ট ম্যানেজার: এ পদের কর্মীদেরও নানা কৌশলী প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এর আগে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার কাছে যদি ব্যাংকের ডেটাবেইস ব্যবহারের সুযোগ থাকে, তবে ওই তথ্য ব্যবহার করে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য কীভাবে এটিএম তৈরি করবেন?

প্রোডাক্ট ম্যানেজার: গুগলের প্রোডাক্ট ম্যানেজার পদটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এ পদে চাকরির জন্য প্রশ্ন করা হয়, সান ফ্রান্সিসকোর ডাউনটাউনে গৃহহীন হওয়ার সমস্যা কীভাবে সমাধান করবেন?

কোয়ানটিটিভ কমপেনশেসন অ্যানালিস্ট: বিশ্বের কোথাও যদি আপনি গুগলের নতুন অফিস খোলেন তবে সেখানকার কর্মীদের বেতনভাতার বিষয়টি কীভাবে বের করবেন?

কোয়ানটিটিভ অ্যানালিস্ট: একটি কয়েন ১ হাজার বার চক্কর দিলে ৫৬০ বার হেড পড়ে। আপনি কি মনে করেন ওই কয়েনটি পক্ষপাতদুষ্ট?

ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার: এ পদের জন্য বেশ মজার প্রশ্ন করা হয়। ধরুন, আপনি যদি কোনো জলদস্যু জাহাজের কাপ্তান এবং লুট করা সোনার ভাগ পেতে নাবিকদের ভোট লাগবে। যদি আপনার পক্ষে অর্ধেকের কম ভোট পড়ে তবে নির্ঘাত মৃত্যু। তাহলে কীভাবে ওই সোনা আপনি ভাগ করবেন, যাতে নিজের ভাগে বেশিটা পড়ে এবং আপনি টিকেও যান?

বিজনেস অ্যাসোসিয়েটস: একটি খড়ের গাদায় হারানো সুচ আপনি কত উপায়ে খুঁজবেন?

40
প্রযুক্তি তো কত কিছুই বদলে দেয়। ব্যক্তি মানুষের দিনলিপি লেখার কৌশল থেকে শুরু করে এর অন্তর্বস্তু—সবই বদলে দিতে পারে প্রযুক্তি। আর ব্যক্তিকে নিয়েই যেহেতু সমাজ-রাষ্ট্র, তাই অতি অবশ্যই এটি রাজনীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। প্রযুক্তির আলাপটি আসছে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে।

বিস্তর সমালোচনার পর সম্প্রতি টুইটার, ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে। এর মধ্যে টুইটার তাদের প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। ফেসবুক এখনো এমন পদক্ষেপ না নিলেও নানামুখী সমালোচনায় একরকম জেরবার দশায় আছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, এই যে ইন্টারনেটের অবারিত দুনিয়া-এর নিয়ন্ত্রণ গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা? যদি সাংঘর্ষিক হয়, তাহলে এর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের কাজটি কে করবে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা, নাকি রাজনীতিকেরা?

এ ধরনের বিতর্ক অবশ্য নতুন নয়। ইন্টারনেটকে যদি সর্বাধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে তার বিস্মৃতপ্রায় পূর্বসূরি বলতে হয় টেলিগ্রাফকে। টেলিগ্রাফ আবিষ্কার ও এর ব্যবহার বৃদ্ধির পর তা নিয়েও কিন্তু নানা জল্পনা হয়েছিল। খোদ নিউইয়র্ক টাইমস রাজনীতিতে টেলিগ্রাফের প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ১৮৫৯ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পত্রিকাটির ভাষ্য ছিল, রাজনীতিকে পরিশুদ্ধ করতে টেলিগ্রাফ অনেক কিছুই করছে। মূল বক্তব্য ছিল টেলিগ্রাফের মাধ্যমে মানুষের দাবিগুলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে পারছে। এর ফলে রাজনীতিকদের পক্ষে একেক জায়গায় একেক ভূমিকা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। ঠিক একই বাস্তবতা কি এখন ইন্টারনেট হাজির করেনি? ইন্টারনেট, আরও ভালো করে বললে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের কল্যাণে যেকোনো মানুষ রাষ্ট্র বা বিশ্বের যেকোনো ঘটনায় নিজের অভিমতটি প্রকাশ করতে পারছে। এটি রাজনীতিকদের কাজকে আরও কঠিন করে তুলছে; এবং রাজনীতিকেও।

প্রশ্ন উঠেছে, এই যে ইন্টারনেটের অবারিত দুনিয়া-এর নিয়ন্ত্রণ গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা? যদি সাংঘর্ষিক হয়, তাহলে এর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের কাজটি কে করবে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা, নাকি রাজনীতিকেরা?
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই নির্বাধ মত প্রকাশের সুযোগ অনেক অনর্থও ঘটাচ্ছে। কারও নাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিতর্কিত মত প্রকাশের দরুন অনেক সময় কোনো একটি অঞ্চলের বা নির্দিষ্ট গোত্রের মানুষকে বিপদে পড়তে দেখা যায়। বাংলাদেশেই এ ধরনের বাস্তবতা দেখা গেছে অন্তত কয়েকবার। আবার নানা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক মতকে প্রভাবিত করার ঘটনাও ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ক্ষেত্রে দারুণ খ্যাতি পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট গণভোট তো রীতিমতো কাঠগড়ায়। এ কাতারে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। প্রতিপক্ষকে এক হাত নিতে এখনকার রাজনীতিকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেশ দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করছেন বলা যায়। কী রাজনীতি, কী ব্যবসা, বিজ্ঞাপনের ব্যাপ্তির বিচারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। এক দশক আগেও অনলাইন বিজ্ঞাপনের বাজার ছিল অনেক ছোট। আর এখন বিশ্বের মোট বিজ্ঞাপনের অর্ধেকই অনলাইনভিত্তিক।

এই বিজ্ঞাপন যখন রাজনৈতিক হয়, বা রাজনীতিতে প্রভাব রাখার মতো হয়, তখনই ঘটে বিপত্তি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করা এলিজাবেথ ওয়ারেন যেমন ফেসবুককে সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন এই বলে যে, ‘প্রতিষ্ঠানটি অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা ছড়ায়।’ এই বক্তব্যের স্বপক্ষে তিনি প্রমাণও হাজির করেছেন। তিনি বলেন, গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ফেসবুকে একটি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার হয়েছিল, যেখানে বলা হয়, ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন। এই তথ্য ছিল পুরোপুরি মিথ্যা।


একই অবস্থা যুক্তরাজ্যেরও। মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর দায় নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর দেশটির ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টের নাম বদলে রেখেছে ‘ফ্যাক্টচেকইউকে’। না বললেও চলে যে, ইন্টারনেটে চলা নৈরাজ্য ও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতেই দলটি এ পদক্ষেপ নিয়েছে। এটি তাদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের একটি চেষ্টা বলা যায়। কারণ, ইন্টারনেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সহজ প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মিথ্যার আবাদ ও প্রচারেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। আর এই সত্য-মিথ্যার সমন্বয় বিপদে ফেলছে মানুষকে এবং মানুষের জন্য রাজনীতিকে।

এ নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে এবং হচ্ছে। সারা বিশ্বেই বিষয়টি এখন অন্যতম প্রধান আলোচনা বিষয়। বিশ্বের বহু দেশ ইন্টারনেটে মানুষের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণে আইন করছে, যার মধ্যে বেশ কিছু আইন নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ অবস্থায় বিতর্কের কেন্দ্রে ইন্টারনেট, রাজনীতি ও গণতন্ত্র পরস্পরের মুখোমুখি বসে আছে। এ অবস্থায় টুইটার প্রায় সব ধরনের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধের ঘোষণা দিলেও ফেসবুক এখনো রাজনৈতিক বক্তব্যে নিয়ন্ত্রণ আরোপে অনিচ্ছুক। যদিও বিষয়টি নিয়ে তারা কাজ করছে বলে জানিয়েছে।

ইন্টারনেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সহজ প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মিথ্যার আবাদ ও প্রচারেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। আর এই সত্য-মিথ্যার সমন্বয় বিপদে ফেলছে মানুষকে এবং মানুষের জন্য রাজনীতিকে
আপাতদৃষ্টে ফেসবুকের অবস্থান নিয়ে সংশয় তৈরি হলেও সূক্ষ্ম বিচারে জাকারবার্গের অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানাতে হয়। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো যদি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন, মত, প্রতিক্রিয়া ইত্যাদিকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে, তাহলে তা সারা বিশ্বের গণতন্ত্রের জন্যই ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ, মার্কিন এ প্রতিষ্ঠানগুলো কোন রাজনৈতিক বক্তব্যকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনবে, তা তো নির্ধারণ করবে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি। ফলে গোটা বিশ্বেই এই নিয়ন্ত্রণের আওতায় এলে অ-মার্কিন রাজনৈতিক দৃষ্টি বা মত খড়্গের নিচে চলে আসতে পারে। অর্থাৎ ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ যার হাতে, গোটা বিশ্বে ছড়ি ঘোরানো অস্ত্রটিও তার হাতে। আর কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ নিয়ন্ত্রণ আরোপ আরও ভয়াবহ। কারণ, সেখানে জনগণের কোনো প্রতিনিধি বসে নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনীতিকদের ভোটের বৈতরণি পার হয়ে আসতে হয় বলে জবাবদিহির শর্তটি তার সামনে থাকে। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানের বসের ওপর এ ধরনের কোনো শর্ত তো খাটে না। এই সমীকরণেই রয়েছে সবচেয়ে বড় শঙ্কার বীজটি।

তাই রাজনীতিকদের ওপরই আদতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বটি বর্তায়। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে, সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণ করে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের পন্থাটি তাদেরই বের করতে হবে। তবে তা থাইল্যান্ডের ‘অ্যান্টি ফেক নিউজ সেন্টার’-এর মতো না হওয়াই উচিত, যা সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধের কাজটিই মূলত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি বাজে উদাহরণ। তাই রাষ্ট্র নয়, রাজনীতিকদেরই কাজটি করতে হবে। কোনো টেকবস কাজটি করলে, গুটিকয় অতি ধনী ব্যক্তির খেয়ালের শিকার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, যারা আবার যেকোনো বিচারেই সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। আশার কথা এই যে, রেডিও টেলিভিশনের মতো নতুন যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে এর আগে রাজনীতিকেরা এ ধরনের গুরুতর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিহাস বলে, রাজনীতিকেরা এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ।

মনে রাখা জরুরি যে নতুন প্রযুক্তি অমিত সম্ভাবনার পাশাপাশি নিয়ে আসে অসংখ্য বিপদকেও। তাই এ ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়াটা জরুরি। কোনো রাষ্ট্র বিপদকে দূরে রাখতে গিয়ে যদি এমন কোনো নিয়ন্ত্রণ আইন করে বসে, যা সাধারণ মানুষের কণ্ঠই চেপে ধরে, তাহলে তা আর যা-ই হোক রাজনীতির জন্য ইতিবাচক হবে না। ইতিহাসে এমন ভূরি ভূরি উদাহরণ পাওয়া যাবে, যেখানে কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় থাকতে করা আইনের কারণেই ওই দলটি বিপদে পড়েছে। তাই অন্য পক্ষের মতকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেওয়াটা ভীষণভাবে জরুরি। আর জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার কথা তো না বললেও চলে। গণতন্ত্রের জন্য এ তিনের কোনো বিকল্প নেই—তা কে না জানে। তবে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র বা গণতন্ত্রহীনতার ক্ষেত্রে তো বলার কিছু থাকে না, যা এই সময়ের বিশ্বে এক বড় রোগ হয়ে দেখা দিয়েছে।

41
ফেসবুকজুড়ে ভুয়া খবরের ছড়াছড়িতে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে। তবে এ ভুয়া খবর ঠেকাতে কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে সিঙ্গাপুর। ভুয়া খবর ঠেকানোর আইন পাস করে তার প্রয়োগ শুরু করেছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে ফেসবুককে এক ব্যক্তির পোস্ট করা একটি ভুয়া খবর ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটি। গতকাল শুক্রবার এ নির্দেশ দেওয়া হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে শানমুগাম এক বিবৃতিতে বলেন, প্রটেকশন ফ্রম অনলাইন ফলসহুড অ্যান্ড ম্যানিপুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে টার্গেটেড কারেকশন ডাইরেকশন দিতে নির্দেশ দিতে বলেছেন। এর আওতায় ফেসবুককে ব্যবহারকারীর ফেসবুক পেজে একটি সংশোধন বার্তার নোটিশ দেখাতে হবে। ভুয়া খবর ঠেকানোর ক্ষেত্রে এটি দেশটির প্রথম পদক্ষেপ।

গত শনিবার স্টেট টাইমস রিভিউ পেজে অ্যালেক্স তান জি জিয়াং নামের এক ব্লগার একটি পোস্ট করেন। ওই পোস্টে নির্বাচনে কারচুপিসংক্রান্ত অভিযোগ করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর সরকারের পক্ষ থেকে এ পোস্টকে অস্পষ্ট ও মিথ্যা প্রচার হিসেবে দাবি করা হয়েছে।

তানকে ওই পোস্ট মুছে ফেলতে নির্দেশ দিলেও তিনি নিজেকে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে দাবি করে ওই পোস্ট মুছতে অস্বীকৃতি জানান।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, তান আইন না মেনে পোস্ট করায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে।

আইন অনুযায়ী, ফেসবুক যদি নির্দেশ অনুসরণ করে সংশোধন বার্তা না দেয়, তবে ১০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার জরিমানা হবে ফেসবুকের।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ওই পোস্ট সংশোধন করা হয়নি।

এর আগে ফেসবুকের পক্ষ থেকে নতুন আইনের প্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ০করা হয়। এখানে নির্বাহী কর্মকর্তাদের কোনো ব্যবহারকারীর পোস্ট মুছতে বিস্তৃত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারি বার্তা ঝুলাতে বাধ্য করার কথা বলা হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিতর্কিত পোস্টকারী সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা একে বাক্‌স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং ইন্টারনেটে সেন্সরশিপ আরোপের সরকারি অস্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছে।

42
Faculty Sections / মূল সংখ্যাটি কত?
« on: December 01, 2019, 08:10:29 PM »
ধরুন আপনাকে প্রশ্ন করলাম, কোনো খাতা কলম বা ক্যালকুলেটর ব্যবহার না করে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে বলুনতো ১ থেকে ১০০০ এর মধ্যে তিন অঙ্কের কতগুলো সংখ্যা আছে? গণিতের এ ধরনের কিছু সমস্যা শুনলে মনে হয়, ওরে বাবা, এত বড় হিসাব এত কম সময়ে কীভাবে করব! এ তো অসম্ভব। কিন্তু একটু ভাবুন। ধরা যাক তিন সেকেন্ড। এরই মধ্যে ধরে ফেললেন, আরে এ তো পানির মতো সহজ! কারণ ১০০০ পর্যন্ত সংখ্যার মধ্যে তিন অঙ্কের সবচেয়ে বড় সংখ্যাটি ৯৯৯।১০০০ সংখ্যাটি বাদ যাবে, কারণ ওটা ৪ অঙ্কের সংখ্যা। আর তিন অঙ্কের সবচেয়ে ছোট সংখ্যাটি ১০০। কারণ ১ থেকে ৯৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো সব ১ বা ২ অঙ্কের। তাই ওগুলো আমাদের হিসাবে বাদ যাবে। এখন সমস্যাটা খুব সহজ হয়ে গেল। দু–চার সেকেন্ডের ব্যাপার। ৯৯৯ থেকে ৯৯ বিয়োগ করলেই উত্তর পেয়ে যাব। (৯৯৯ – ৯৯) = ৯০০। অর্থাৎ ১ থেকে ১০০০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর মধ্যে তিন অঙ্কের সংখ্যা আছে ৯০০ টি।

আবার অন্যভাবেও আমরা হিসাবটা করতে পারি। যেমন, ৩ অঙ্কের সংখ্যাগুলোর প্রথম (অর্থাৎ তৃতীয় অবস্থানের) অঙ্কটি ১ থেকে ৯ পর্যন্ত নয়টি অঙ্কের যেকোনোটি হতে পারে।এর প্রতিটি অঙ্কের পরের ঘরে ০ থেকে ৯, মোট ১০টি অঙ্কের যেকোনো একটি থাকতে পারে। অর্থাৎ তিন অঙ্কের সংখ্যাগুলোর প্রথম দুটি অঙ্ক হতে পারে (৯×১০) = ৯০ ধরনের। এবং এই ৯০ ধরনের প্রতিটির ক্ষেত্রে তৃতীয় অঙ্কটি হতে পারে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত দশটি অঙ্কের যেকোনো একটি।সুতরাং তিন অঙ্কের মোট সংখ্যা হবে (৯০×১০) = ৯০০ টি। যুক্তি দিয়ে মনে মনে হিসাব করে উত্তর বের করতে ১০ সেকেন্ডর বেশি সময় লাগার কথা নয়।

মনে মনে হিসাব করে চট করে উত্তর বের করার মতো গণিতের আরেকটি সমস্যা দেখুন। প্রশ্ন করলাম, দুটি ক্রমিক জোড় সংখ্যার সমষ্টি যদি ২১৪ হয়, তাহলে সংখ্যা দুটি কত? খুব সহজ। প্রথমে সংখ্যাটিকে ২ দিয়ে ভাগ করি। (২১৪÷২) = ১০৭। এখন বলতে পারি ক্রমিক জোড় সংখ্যা দুটি ১০৭–এর ১ ছোট ও ১ বড় হবে। অর্থাৎ ক্রমিক জোড় সংখ্যা দুটি হবে যথাক্রম (১০৭ – ১) = ১০৬ এবং (১০৭ + ১) = ১০৮। মিলিয়ে দেখুন, ( ১০৬ + ১০৮) = ২১৪।

বীজগণিত ব্যবহার করেও আমরা সহজে উত্তর বের করতে পারি। মনে করি ‘ক’ যেকোনো একটি সংখ্যা। তাহলে ক্রমিক জোড় সংখ্যা দুটি হবে (২ক) ও (২ক + ২)। এদের যোগফল = (২ক + ২ক + ২) = (৪ক + ২) = ২১৪। সুতরাং ৪ক = (২১৪ – ২) = ২১২। অর্থাৎ, ক = (২১২/৪) = ৫৩। এখন আমরা বলতে পারি জোড় সংখ্যা দুটি ২ক = ৫৩×২ = ১০৬ এবং (২ক + ২) = (১০৬ + ২) = ১০৮।

এ সপ্তাহের ধাঁধা

একটি সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশকে এক–তৃতীয়াংশ দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল যদি ৬ হয়, তাহলে মূল সংখ্যাটি কত?
খুব সহজ। অনলাইনে মন্তব্য আকারে অথবা quayum@gmail.com ই–মেইলে আপনাদের উত্তর পাঠিয়ে দিন। সঠিক উত্তর দেখুন আগামী রোববার অনলাইনে।
গত সপ্তাহের ধাঁধার উত্তর
ধাঁধাটি ছিল এ রকম: একটি সংখ্যাকে ৫ দিয়ে ভাগ করলে ১ অবশিষ্ট থাকে এবং ৬ দিয়ে ভাগ করলে অবশিষ্ট থাকে ২। এখন বলুন তো এ রকম ন্যূনতম সংখ্যাটি কত?
উত্তর:
সংখ্যাটি ২৬। একে ৫ দিয়ে ভাগ করলে ১ ও ৬ দিয়ে ভাগ করলে ২ অবশিষ্ট থাকে।

কীভাবে উত্তর বের করলাম

এ সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা বীজগণিতের আশ্রয় নেব। মনে করি নির্ণেয় সংখ্যাটি ‘ক’। এটি এমন একটি সংখ্যা যেখানে ক = (৫খ +১) এবং (৬খ + ২) হিসাবে প্রকাশ করা যায়।তাহলে (ক + ৪) সংখ্যাটি ৫ ও ৬ উভয় সংখ্যারই গুণিতক (মাল্টিপল)। অর্থাৎ ক–এর সঙ্গে ৪ যোগ করলে প্রাপ্ত সংখ্যাটি ৫ এবং ৬–উভয় সংখ্যা দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য হবে। কারণ (ক + ৪) = (৫খ + ৫) = (৬খ + ৬) এবং সে কারণে শেষোক্ত সংখ্যা দুটি ৫ ও ৬ উভয় সংখ্যা দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য। এখন যেহেতু ৫ ও ৬ এর ল. সা. গু. ৩০, সুতরাং আমরা বলতে পারি (ক + ৪) সংখ্যাটিকে (৩০×খ) রূপে প্রকাশ করা যায়।ন্যূতম সংখ্যাটি পাওয়ার জন্য আমরা খ=১ ধরি। তাহলে (ক + ৪) = ৩০। সুতরাং নির্ণেয় সংখ্যা, ক = (৩০–৪) = ২৬। মিলিয়ে দেখি, ২৬ কে ৫ দিয়ে ভাগ করলে ১ ওবং ৬ দিয়ে ভাগ ২ অবশিষ্ট থাকে।

খ–এর মান ২ ধরলে সংখ্যাটি হবে (৩০×২ – ৪) = ৫৬, যাকে ৫ দিয়ে ভাগ করলে সেই ১ এবং ৬ দিয়ে ভাগ করলে ২ অবশিষ্ট থাকে।এ ভাবে আরও উত্তর বের করা যায়। কিন্তু ন্যূনতমটি ২৬। এখানে একটি কথা বলা দরকার।সাধারণত আমরা যখন ‘কোনো একটি’ সংখ্যার কথা বলি, তখন সাধারণত ধনাত্মক সংখ্যাই বোঝাই। ঋণাত্মক সংখ্যা ধরলে অবশ্য ২৬–এর চেয়েও ছোট সংখ্যা পাওয়া যাবে।

43
যাঁরা প্রচলিত অফিস বাদ দিয়ে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে সবচেয়ে বেশি আয় করতে চান, তাঁদের জন্য ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্ষেত্রের দক্ষতা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। সম্প্রতি এ দুটি খাতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা সবচেয়ে বেশি বাড়তে দেখা গেছে। ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রের জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, কর্মী নিয়োগদাতাদের কাছে ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট জানা কর্মীর চাহিদা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। সম্প্রতি ‘ফাস্ট ৫০’ নামে দক্ষতাবিষয়ক প্রান্তিক সূচক প্রকাশ করেছে ফ্রিল্যান্সার ডটকম। ওই তালিকায় সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন দক্ষতার মধ্যে স্থান পেয়েছে ডেটা অ্যানালিটিক্স, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মাইক্রোসফট অফিস, কপি টাইপিং, ট্রান্সক্রিপশন, রাশিয়ান ট্রান্সলেশন, বুককিপিং, ই-মেইল হ্যান্ডেলিং ও কাস্টমার সাপোর্ট। যাঁদের এ ধরনের কাজে দক্ষতা আছে, তাঁরা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ভালো করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, গত প্রান্তিকে ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্ষেত্রের চাহিদা বেড়েছে ৫৮.৯ ও ৫৫.৬ শতাংশ। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে তাদের সাইটে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ফ্রিল্যান্সিং কাজের পোস্ট হয়েছে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন ৫০টি কাজের তালিকা থেকে তৈরি করা হয়েছে ‘ফাস্ট ৫০’। দেখে নিন সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা ৫টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে:

ডেটা অ্যানালিটিক্স: বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডেটা অ্যানালিটিক্সের চাহিদা বাড়তে থাকবে। ২০২৩ সাল নাগাদ ডেটা অ্যানালিটিক্স মার্কেট বেড়ে দাঁড়াবে ২৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ডেটা অ্যানালিটক্সে চাহিদাসম্পন্ন কর্মীর চাহিদা ৫৮.৯ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমান ব্যবসার ট্রেন্ড বুঝতে এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাতে দক্ষ কর্মীদের জন্য নানা প্রকল্প নিচ্ছে নিয়োগদাতারা। তাই যাঁরা ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী, তাঁদের জন্য এ দক্ষতা বাড়তি আয়ের পথ খুলে দেবে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট: গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি আগের প্রান্তিকে পোস্ট হওয়া ৭ হাজার ৯২৫ থেকে ১২ হাজার ৩২৯টিতে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এ খাতে চাহিদা বেড়েছে ৫৫ শতাংশের বেশি। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের নানা রকম কাজে নিয়োগদাতাকে সাহায্য করতে হয়। গ্রাহকসেবা, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ব্লগ পোস্টিং থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল অফিসে বাস্তব অফিসের সহকারীর মতো কাজ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রকল্পভিত্তিক বা ঘণ্টা ভিত্তিতে আয়ের সুযোগ থাকে।

মাইক্রোসফট অফিস: গত প্রান্তিকে মাইক্রোসফট এক্সেলে দক্ষ কর্মীদের প্রচুর চাহিদা বাড়তে দেখা গেছে। সাধারণ টাইপিং বা ডেটা এন্ট্রি কাজের তুলনায় এক্সেল দক্ষতা কিছুটা জটিল। এক্সেল ও প্রোগ্রামিং দক্ষতাসম্পন্ন একজন কর্মী কাজকে স্বয়ংক্রিয় করে তোলার মাধ্যমে নিয়োগকারীর সময় বাঁচাতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে ২০ ঘণ্টার কাজ এক ঘণ্টায় হয়ে যায়। এ ধরনের কাজে দক্ষ কর্মীরা স্বল্প সময়ে প্রচুর আয় করতে পারেন। যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং কাজে ঢুকতে আগ্রহী, তাঁরা এক্সেল নিয়ে কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।

কপি টাইপিং: টানা দুই প্রান্তিক জুড়ে শীর্ষ ১০ চাহিদাসম্পন্ন কাজের মধ্যে রয়েছে কপি টাইপিং। গত প্রান্তিকে এর চাহিদা বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। বিস্তৃত ও এলোমেলো তথ্য থেকে পরিষ্কার তথ্যে কপি তৈরি, হাতে লেখা পোস্টকে সম্পাদনা উপযোগী পোস্টে রূপান্তর করার মতো নানা কাজ করতে হয় কপি টাইপিং কর্মীকে। নির্দিষ্ট প্রকল্পে নির্দিষ্ট বাজেট বা ঘণ্টা ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। যাঁরা দ্রুত ও নির্ভুল কপি টাইপ করতে পারেন, তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বাজারে কাজের সুযোগ রয়েছে।

ট্রান্সক্রিপশন: যাঁরা ভাষান্তর কাজে পারদর্শী তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ট্রান্সক্রিপশনে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ চাহিদা বেড়েছে ট্রান্সক্রিপশন কাজে দক্ষ কর্মীদের। যাঁরা নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তাঁরা ভাষান্তর কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আরবি, রুশ, মান্দারিন, ফ্রেঞ্চসহ যত বেশি ভাষা জানবেন, তত বেশি আয় করতে পারবেন।

অন্যান্য: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এখন অন্যের জন্য বই লিখে দেওয়ার কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিয়োগদাতার চাহিদা ও নির্দেশ অনুযায়ী সময়মতো বই লিখে দিতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং করেও ব্যাপক আয় করতে পারবেন।

44
নতুন দুটি অ্যাকশন ক্যামেরা বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে গোপ্রো। ১৫ ও ২৪ অক্টোবর বাজারে ছাড়া হবে যথাক্রমে নতুন হিরো ৮ ব্ল্যাক এবং ম্যাক্স।

সেলফি স্টিক বা অন্য যেকোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত করার জন্য নিজস্ব মাউন্ট থাকছে গোপ্রো হিরো ৮ ব্ল্যাকে। এখন থেকে আলাদা ফ্রেমের প্রয়োজন পড়বে না। ফোরকেসহ উচ্চ মানের রেজল্যুশনে ভিডিও ধারণ করতে পারে ক্যামেরাটি। এ ছাড়া গোপ্রোর দ্বিতীয় প্রজন্মের ডিজিটাল স্ট্যাবিলাইজেশন প্রযুক্তি হাইপারস্মুদ ২.০ সংস্করণে ভিডিও করার সময় ক্যামেরা নড়লেও ভিডিও চিত্রে তার প্রভাব পড়বে না। ক্যামেরাটির টাইমওয়ার্প সুবিধাও হালনাগাদ করা হয়েছে। তবে লেন্স বদল করার সুযোগ নেই এতে। এর বদলে নতুন নকশায় শটগান মাইক, ভ্লগিংয়ের জন্য ডিসপ্লে এবং এলইডি লাইটের মতো বিভিন্ন আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ সুবিধা যুক্ত করার সুবিধা থাকছে। গোপ্রো যাকে বলছে মড।

অন্যদিকে গোপ্রো ম্যাক্স ক্যামেরাটি ৩৬০ ডিগ্রিসহ ওয়াইড অ্যাঙ্গেলে ভিডিও ধারণ করতে পারে। এতে ম্যাক্স হাইপারস্মুদ স্ট্যাবিলাইজেশন রাখা হয়েছে। সহজে ভ্লগিং এবং ভিডিও সম্পাদনা করার জন্য এতে রয়েছে ফ্রন্টফেসিং ডিসপ্লে। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

45
মোবাইল অপারেটর রবির ই-কমার্স সাইট রবিশপে পাওয়া যাবে মটোরোলা ওয়ান সিরিজের নতুন স্মার্টফোন মটোরোলা ওয়ান অ্যাকশন। আলট্রাওয়াইড অ্যাকশন ক্যামেরার স্মার্টফোনটিতে তিন ক্যামেরা সিস্টেম যুক্ত করেছে মটোরোলা। এর পেছনে রয়েছে ১২ এমপি, ১৬ এমপি ও ৫ এমপি ক্যামেরা সিস্টেম। সামনের দিকে ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে।

৬.৩ ইঞ্চি মাপের সিনেমা ভিশন ডিসপ্লে যুক্ত। ফোনটিতে রয়েছে ৪ জিবি র‍্যাম ও ১২৮ জিবি রম।

এক্সিনোস ৯৬০৯ প্রসেসরের মটোরোলা ওয়ান অ্যাকশন স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৮৪ শতাংশ স্ক্রিন টু বডি রেশিও। টার্বো চার্জিং সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোনটির ব্যাটারি ৩৫০০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের।

স্মার্টফোনটির দাম ২৫ হাজার ৯৯০ টাকা। অনলাইন থেকে কিনলে স্মার্টফোনের সঙ্গে এক্স মিনি ব্লুটুথ স্পিকার উপহার ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞপ্তি।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 11