Daffodil International University

Famous => Person => Topic started by: Ms Jebun Naher Sikta on February 10, 2018, 05:21:34 PM

Title: ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির প্রতিদিনের রুটিন..
Post by: Ms Jebun Naher Sikta on February 10, 2018, 05:21:34 PM
http://glam.world/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95/
Title: Re: ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির প্রতিদিনের রুটিন..
Post by: mushfiq.swe on March 19, 2018, 02:31:50 PM
অর্থ,বিত্ত, বৈভব, প্রাচুর্য কাকে না টানে। আমাদের পৃথিবীর ৮০ ভাগ মানুষ এই সব অর্থ-বৈভব, প্রাচুর্যের সম্পূর্ণ ব্যবহার কিংবা দেখার সুযোগ পায় না। বাকি ২০ শতাংশ মানুষ পৃথিবীর এই সব সম্পদ, প্রাচুর্য আর বৈভব উপভোগ করে। তাই তো এই সব মানুষদের ধরা হয় সেরাদের সেরা কিংবা এ্লিট। তাই তো হাজার বছর ধরে আমরা সাধারণ মানুষের জানতে চেয়েছি কিভাবে এই এলিট মানুষগুলো বেঁচে থাকে, কি খায় তারা প্রতিদিন, তাদের পরিধেয় পোশাক কী? সেই ১৪ শতকের আফ্রিকায় বসবাস করা মান্সা মুসা (৪০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে সর্বকালের সেরা ধনী ব্যক্তি হিসাবে চিহ্নিত) থেকে শুরু করে এখনকার সময়ের বিল গেটস কিংবা ক্ষুদে বিলিনিয়ার মার্ক জুকারবার্গ সবার জীবন-যাপন আমাদের কল্পনার অধ্যায়। অনেক দিন ধরে মাইক্রোসফটের প্রধান বিল গেটস এই চেয়ার দখল করে রাখার পর ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর জেফ বেজোস দখল করে নেন সেই মুকুট।


পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোস
জেফ বেজোস–অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও এর দৈনিক আয় ৬.৪৪ বিলিয়ন ডলার। এই মুকুটধারী ব্যক্তি কিন্তু এখনো রাতের খাবারের পর থালা-বাসন ধোয়ার কাজ নিজেই করেন। এই সময়ের টেক এবং বিজনেস জায়ান্টের এক একটা দিন এমবিএ ক্লাসের পাঠ্যের মধ্যে আসে। তাই আমরাও জানতে চেয়েছি এই মুঘলের সাথে। নিচে জেনে তার ৩টি অজানা তথ্য   

জেফ বেজোস– বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন ডলার।
জেফ বেজস খুবই কর্মঠ একজন মানুষ কিন্তু তার দৈনিক কাজের ধাঁচ দেখলে মনে হয় না তিনি একজন কাজ পিয়াসী মানুষ বরং তিনি একজন সংসারী মানুষ।   
তার দৈনিক কাজের তালিকায় নিজের এবং পরিবারের জন্য সময় তিনি রাখেন এবং রাতের খাবারের পর থালা বাসন ধোয়ার দায়িত্ব তাঁর।
ব্লমবার্গের তথ্য মতে, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও এর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। অনলাইন রিটেইল শপ অ্যামাজন ছাড়াও ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ব্ল ওরিজিন নামক অ্যারোস্পেস কোম্পানির মালিক তিনি। এরকম সম্পদের মালিক এবং এই টেক মুঘলের দিন কিভাবে কাটে? তাই আসুন আমাদের সাথে জেফ বেজোস এর একটি দিনের জীবন যাপনের সাথে আমরা পরিচিত হই।

১. জেফ বেজোস পরিমিত ঘুম এবং বিশ্রামে বিশ্বাসী। তিনি প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠেন কোনো রকম অ্যালার্ম ছাড়াই।


এই বৈভব সম্রাট কিন্তু খুবই শরীর সচেতন
২. ভদ্রলোক খুবই স্বাস্থ্য সচেতন তাই সকালের নাস্তার বিষয়ে তিনি খুবই সজাগ। তাই তার দিন শুরু হয় পরিবারের সাথে পুষ্টিকর নাস্তা দিয়ে। পরিবারে তার স্ত্রী উপন্যাসিক ম্যাকেঞ্জী বেজোস এবং চার সন্তানের একসাথে নাস্তা করাটা অলিখিত নিয়মের মাঝেই পড়ে।


উপন্যাসিক স্ত্রীর সাথে জেফ বেজোস
৩. ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি যতই কর্মঠ হোন না কেন পরিবারের প্রাধান্য তার কাছে সবার আগে। তাই স্ত্রী এবং চার সন্তানের সাথে ভালো ভাবে সময় কাটানোর জন্য বেজোস কখনই সকালে মিটিং রাখেন না তার দৈনিক রুটিনে।


পরিবারের প্রতি তাঁর দায়িত্ব সবার আগে
৪. জেফ বেজোস পুরোপুরি নিজের চেষ্টায় গড়ে তুলেছেন অ্যামাজনের এই সাম্রাজ্য। তাই এক অর্থে তিনি একাই নাবিক এবং তার আচরণে এর মিল খুঁজে পাবেন। তিনি মিটিং এর মানুষ নন, তাই নিয়মিত মিটিং রুমে তার দেখা পাওয়া যায় না। এমনকি অ্যামাজন এর ইনভেস্টরদের সাথে তিনি বছরে মাত্র একবার বসেন তাও কয়েক ঘন্টার মিটিং মাত্র!


অল্প সময়ে কাজ আদায়ে তার জুড়ি নেই
৫. জেফ বেজোস সব সময় দুই পিজ্জা নিয়ম মেনে মিটিং ডাকেন। দুই পিজ্জা নিয়মের মূল বিষয়টা হচ্ছে মিটিং এ অংশগ্রহণ করবে সীমিত সংখ্যক লোক। দুই পিজ্জা যাতে মিটিং এর সবাই খেতে পারে এটাই মূল ভাবনা। বলা হয়ে থাকে বেজোস কখনোই তার মিটিং এ অতিরিক্ত লোক ডাকেন না।


দুই পিজ্জা থিওরিতে মিটিং ডাকেন জেফ বেজোস
৬ . জেফ বেজোস তার অফিসের দৈনিক কাজের মাঝে মাঝে হঠাত হয়ে বোমা পড়েন! অর্থাৎ কাজ আদায়ের জন্য তিনি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। আজকাল শোনা যায় রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি একজন পুরোদস্তুর একজন এক্সিকিউটিভ নিয়োগ দিয়েছেন।


কাজ আদায়ে জেফ বেজোস খুবই পটু
৭. জেফ বেজোসের দৈনিক জীবনযাপনে মিতব্যয়িতা খুব চোখে পড়ে। অ্যামাজন অফিসে তাই নিয়মিত ফ্রি খাবার কিংবা ফ্রি সুযোগ সুবিধা খুব কমই চোখে পড়বে।


অ্যামাজনের কনফারেন্সে জেফ বেজোস
৮. টেক মুঘলের খাদ্যাভাস সত্যিকারের আমাদের দেশের মোঘল রাজাদের মতোই। তিনি নিয়মিত চেষ্টা করেন নতুন নতুন ধরনের খাবার খেতে। ভট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ম্যাট রুটলেজ এর সাথে একবার মিটিং এর সময় সকালের নাস্তায় জেফ নাকি অর্ডার করেছিলেন অক্টোপাস সাথে আলু, বেকন, সবুজ আদার ইয়োগার্ট এবং ডিম। ম্যাট এর ভাষায়, “আমি যখন মেন্যুর দিকে লক্ষ্য করলাম সত্যি অবাক হয়েছিলাম, মিস্টার জেফ বেজোস, সত্যি আপনাকে বোঝা বড় কঠিন!” উত্তরে হেসে বেজোস এর উত্তর “সকালের নাস্তায় এই অক্টোপাস আমার চাই!”


মুঘল সম্রাটদের মতোন খাওয়াতে তাঁর চাই বিচিত্রতা
৯. খাবার প্রীতি এই টেক মুঘলের পুরনো কিছু নয়। তাই জেফ বেজোসকে মাঝে মাঝেই অ্যামাজন সদর দফতরের আশে পাশে ভ্রাম্যমাণ খাবারের ট্রাকে পাওয়া যায়। একবার তো তিনি এক সাক্ষাৎকারে এরকম বেশ কিছু ফুডকার্টের কথা বলেছিলেন। ২০১৪ তে বিজনেস ইনসাইডার এর এডিটর এবং চিফ হেনরিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেশ কিছু ফুড কার্টের কথা বলেন, সেখানে তিনি নিয়মিত যান এবং এক কথায় প্রচণ্ড ভিড় সেখানে থাকে, তবুও আমি সেখানে যাই খেতে।


ভোজন রসিক এবং শরীরের ব্যাপারেও তিনি সচেতন
১০. জেফ বেজোসের বাড়িতে প্রাতরাশের পর একটি অলিখিত নিয়ম আছে তা হচ্ছে, তিনি থালা বাসন নিজে হাতে ধুয়ে ফেলেন। তিনি বলেন,”আমি বিশ্বাস করি আমার করা সবচেয়ে পছন্দের কাজ এই নিজে হাতে থালা বাসন ধোয়া !”


সংসারী মানুষ জেফ বেজোস
১১. আজকাল জেফ বেজোসের ছবি দেখলে মনে হতে পারে এত কাজের মধ্যে তিনি ব্যায়াম করেন কখন? সত্য বলতে তার ব্যায়ামের নিয়ম বা রুটিনের কোনো নিয়ম খুঁজে পাওয়া যায় নি। তবে তিনি যেহেতু সকাল বেলার পাখি, তাই ধারণা করা যেতেই পারে ভোরে তিনি ব্যায়াম করেন। তা না হলে সদ্য অ্যামাজন কনফারেন্সে তার পেশীবহুল শরীর দেখে হলিউডের ভেন ডিজেলের সাথে তুলনা করেছেন অনেকেই।


এতটাই নিজের যত্ন নেন যে এখন নিয়মিত ব্যায়াম করেন
১২. অ্যামাজন এখন আর শুধু রিটেইল জায়ান্ট নয় বরং বেশ কিছু ছোট খাট কোম্পানির মূল প্রতিষ্ঠান। তারই অংশ হিসাবে অ্যামাজন মিডিয়া জগতেও পা রেখেছে এবং সেখানেও বেশ ভালো অবস্থানে উঠে এসেছে। তাইতো অ্যামাজন থেকে বেশি কিছু দর্শকপ্রিয় টিভি সিরিজ ইতোমধ্যে চলছে মিডিয়ায়। বেশ কিছু জনপ্রিয় টিভি সিরিজ যেমন ‘দ্য ম্যান ইন দ্য হাই ক্যাসেল’ এবং ‘ট্রান্সপ্যারেন্ট’ বের হয়েছে অ্যামাজনের ব্যানারে। তার পছন্দের টিভি সিরিজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বেশ বুদ্ধি দিয়ে পাশ কাটান। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ২০১৬ সালে প্রচারিত সিনেমা ‘স্টার ট্রেক বিয়ন্ড’ এ সবাইকে অবাক করে দেন সিনেমার এক দৃশ্যে হঠাত অভিনয় করে।


টিভি সিরিজের পর্দায় এই বিলিনিয়ার
১৩. চলচ্চিত্রের কল্পনার অ্যাডভেঞ্চারের জগত থেকে তিনি বাস্তবের অ্যাডভেঞ্চারে বিশ্বাসী। অনেকে একে জেফ বেজসের আরেকটি শখ বলেও বিশ্বাস করেন। তার বাস্তবের অ্যাডভেঞ্চার হচ্ছে সাবমেরিন দিয়ে সাগরের নিচে নাসার রকেট খুঁজে বেড়ানো। বাচ্চাদের সাথে নিতে তিনি ভোলেন না এই অ্যাডভেঞ্চারে!

১৪. দিন শেষে জেফ বেজোস সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম এবং সুন্দর জীবনে বিশ্বাস করেন। তার নিয়মিত রুটিনে ৮ ঘণ্টার ঘুম বাধ্যতামূলক।

Image Source: Getty Images
Title: Re: ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির প্রতিদিনের রুটিন..
Post by: Ms Jebun Naher Sikta on May 14, 2018, 12:40:54 PM
 :) thanks sir.
Title: Re: ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির প্রতিদিনের রুটিন..
Post by: Mafruha Akter on November 13, 2018, 12:30:43 PM
Thanks for sharing.
Title: Re: ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির প্রতিদিনের রুটিন..
Post by: tokiyeasir on November 13, 2018, 05:54:12 PM
Thanks :)
Title: Re: ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির প্রতিদিনের রুটিন..
Post by: nadimhaider on November 14, 2018, 11:37:22 AM
Only my sleeping  habit match with rich people. :D 8)