Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - mahbub010

Pages: [1]
1


নতুন আরেকটি ভাষা শিখতে চান? ভাবছেন বয়সটা একটু বেশি হয়ে গেল? তাহলে আপনার জন্য সুখবর নিয়ে এসেছেন ইসরায়েলের একদল গবেষক। শিশু বয়সই ভাষা শেখার জন্য উপযুক্ত সময়, এমন চিরাচরিত ধারণা ভেঙে দিয়েছে ওই গবেষক দল।

প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর ওপর করা গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, বিদেশি ভাষা শেখার জন্য উপযুক্ত সময় হলো প্রাপ্ত বয়স।

তিনটি দলে ভাগ করে—প্রথম দলে ৮, দ্বিতীয় দলে ১২ বছর এবং তৃতীয় দলে তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের রেখে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা চালান তাঁরা। গবেষকেরা দেখেন, দ্বিতীয় ভাষা শেখায় প্রথম ও দ্বিতীয় দল অপেক্ষা ভালো করেছে তৃতীয় দল, একই সঙ্গে দ্বিতীয় দলও প্রথম দলের থেকে ভালো করেছে।

এ বিষয়ে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞানের অধ্যাপক আন্তোনিলা সোরেস বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু শেষ হয়ে যায় এমন ধারণা ঠিক নয়। আন্তোনিলা সোরেস বলেন, ‘নিয়ম বুঝে ভাষা শেখার ক্ষেত্রে শিশুরা খুব খারাপ করে। কারণ, এ সময় তাদের মনোযোগ ও স্মরণশক্তির ওপর নিজেদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এ জন্য তরুণেরা ভালো করেন। তাই বয়স বাড়লেও অনেক কাজে ভালো করার সুযোগ থাকে।’

ইসরায়েলের ওই গবেষকেরা বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে মানুষের সমস্যা সমাধানের কৌশলও উন্নত হয়, নিজের ও বিশ্ব সম্পর্কে অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। ফলে, নতুন তথ্য ধারণের ক্ষমতাও বেড়ে যায়।

ভাষা শেখার ক্ষেত্রে শিশুদের প্রধান সুবিধা অনুকরণ করা। এ পদ্ধতিতে শিশুরা তাদের শিক্ষককে অনুকরণ করে, যেটা নাকি শেখার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। আবার, এ পদ্ধতিতে স্থানীয় শিক্ষকের চেয়ে যে ভাষা শেখানো হবে, সে ভাষার নাগরিক হলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ২০১৬ সালে স্কটিস সরকারের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এসব চিত্র।

ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোভাষাবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড্যানিয়েলা ট্রেনকিক বলেন, ‘শিশু ও প্রাপ্তবয়স্করা সম্পূর্ণ ভিন্ন সময়ে বাস করে। তাই শেখার ক্ষেত্রে আমরা যখন তুলনা করি, সেটা কখনোই সঠিক পদ্ধতি নয়।’ এ বিষয়ে তিনি একটি উদাহরণ টানেন, কোনো পরিবার যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যায়, স্বাভাবিকভাবে সে এলাকার ভাষা শিশুরা আগে রপ্ত করে।

কারণ হিসেবে ট্রেনকিক বলেন, শিশুরা স্কুলে যায়, অনেক মানুষের সঙ্গে মেশে কিন্তু দেখা যায় ওই সময় পিতামাতা অফিসে একাকী বসে কাজ করছেন। কারও সঙ্গে সঙ্গ দিলেও সেটা হাতে গোনা। শিশুরা চারপাশে মিশে গিয়ে টিকে থাকার প্রয়োজনীয়তা বড়দের থেকে বেশি অনুভব করে।

ট্রেনকিক নিজেও কুড়ি বছর বয়সে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি শিখেছেন। এ ভাষাতেই তিনি বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করেন। বলেন, মানুষ প্রতিদিন কমপক্ষে একটি নতুন শব্দ শেখে। এমনকি তার নিজের ভাষাতেও। এ পদ্ধতি চলতে থাকে মধ্য বয়স পর্যন্ত। তারপর শেখার হার কমতে থাকে।

তবে এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো ভাষায় পণ্ডিত হতে হলে শেখা শুরু করতে হয় দশ বছর থেকে। তবে তা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।

তাই ভাষা শেখাটা শুরু করা যায় যেকোনো বয়সেই। তবে আর দেরি কেন? মনের সুপ্ত ইচ্ছাটা বাস্তব রূপ দিতে লেগে যান এখনই।

2


বিশ্বে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম গর্ভাশয় তৈরিতে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ গর্ভাশয়ে অপরিণত ভেড়ার ভ্রূণ বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে অপরিণত মানবভ্রূণ বাঁচাতেও এই কৃত্রিম গর্ভাশয় কাজে লাগানো যাবে।

এ গর্ভাশয় তৈরিতে কৃত্রিম প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে গর্ভফুলের এ প্রযুক্তি কেবল পরিণত ভ্রূণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব ছিল। পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধটি ‘আমেরিকান জার্নাল অব অবসট্রেটরিকস অ্যান্ড গাইনোকলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে অপরিণত ভ্রূণ এই গর্ভাশয়ে টেকানোর প্রমাণযুক্ত কোনো তথ্য ছিল না। এই প্রযুক্তির লক্ষ্য ছিল চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য একে প্রস্তুত করা।

নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম গর্ভাশয় বা কৃত্রিম গর্ভফুলভিত্তিক লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমটি ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত ভেড়ার ভ্রূণ ধরে রাখতে পারে, যা মানবভ্রূণের ক্ষেত্রে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ধরা যেতে পারে।

জাপানের তোহকু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ম্যাট কেম্প বলেন, কয়েক দশক ধরে অপরিণত শিশু জন্মের ক্ষেত্রে উন্নতি ছিল সামান্যই। পরীক্ষা করে ওই প্রযুক্তি কাজ করার বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞানীরা কেম্প বলেন, নতুন এ প্রযুক্তি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে অপরিণত শিশুর চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসে। প্রাকৃতিক গর্ভাশয়ের সঙ্গে বাইরে দুনিয়ার একটি সেতু তৈরি এর লক্ষ্য, যাতে অপরিণত শিশুর ফুসফুস পরিণত হওয়ার বাড়তি সময় পায়।

3

এত দিন মনে করা হতো, জন্মের সময় মস্তিষ্কে যে পরিমাণ কোষ থাকে, সারা জীবন তাই–ই রয়ে যায়। তবে নতুন একটি গবেষণা বলছে, মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় সারা জীবনই নতুন কোষ তৈরি হয়। একজন সুস্থ মানুষের কমপক্ষে ৯৭ বছর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। স্পেনের মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা নিবন্ধ যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার মেডিসিন–এ গত সোমবার প্রকাশিত হয়েছে।

মানুষের মস্তিষ্কের কোষ নিউরন নিজেদের মধ্যে বৈদ্যুতিক সংকেত পাঠায়। এই প্রক্রিয়া শুরু হয় জন্মের সময় থেকেই। অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনের শেষ দিকে তাদের মস্তিষ্কে নতুন কোষের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে নিউরোজেনেসিস (নতুন নিউরনের উদ্ভবপ্রক্রিয়া) অব্যাহত থাকে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক ছিল। নতুন গবেষণায় ৫৮ জন মৃত মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে কাজ করেন গবেষকেরা। যাঁদের বয়স ছিল ৪৩ থেকে ৯৭ বছরের মধ্যে। মূল মনোযোগ দেওয়া হয় মস্তিষ্কের ‘হিপ্পোকাম্পোস’ অংশে, যা স্মৃতি এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। মূলত এই অংশেই আলঝেইমার রোগ আক্রমণ করে।

জন্মের পর থেকে নিউরন মস্তিষ্কে পরিপূর্ণ রূপে থাকে না। বয়স বৃদ্ধি ও পরিপক্ব হওয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে তা পূর্ণতা পায়। গবেষকেরা মস্তিষ্কে এই অপরিণত বা ‘নতুন’ নিউরনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। গবেষক ড. মারিয়া লরেন্স-মার্টিন বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, মানুষ যতক্ষণ নতুন কিছু শিখছে, ততক্ষণ নতুনভাবে নিউরনের বৃদ্ধি ঘটছে এবং এটি আমাদের জীবনের প্রতি মুহূর্তেই ঘটে চলেছে।’

কিন্তু আলঝেইমার রোগীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। আলঝেইমারের প্রাথমিক পর্যায়ে নতুন নিউরন বৃদ্ধির সংখ্যা প্রতি মিলিমিটারে ৩০ হাজার থেকে কমে দাঁড়ায় ২০ হাজারে। ড. লরেন্সের মতে, রোগটির একদম শুরুতে এই হ্রাসের পরিমাণ থাকে ৩০ শতাংশ। তিনি বলেন, নতুন কোষ তৈরি কমার কারণ কাজে লাগানো যাবে আলঝেইমার এবং বার্ধক্যজনিত রোগের চিকিৎসায়।

আলঝেইমার রিসার্চ ইউকে গবেষণার প্রধান ড. রোসা সানচো বলেন, ‘যদি কখনো আমরা জীবনের শুরুর দিকে নিউরন হারাতে শুরু করি, সে ক্ষেত্রে এই গবেষণা দেখাচ্ছে যে পরবর্তী সময়ে নতুন কোষের সৃষ্টি হতে থাকবে, এমনকি ৯০ বছর পর্যন্ত।’

Pages: [1]