Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Rubaiya Hafiz

Pages: 1 [2] 3 4 ... 7
16
বাড়লে বয়স কত রকম যন্ত্রণাই তো বাসা বাঁধে শরীরে। শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রদাহজনিত সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিসসহ নানা রকম রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে। কলকবজায় জং ধরে। আজকের মানুষ অনেক কিছু জয় করতে পারলেও এখনো বয়স তাকে চোখ রাঙায়। কিন্তু এই চোখরাঙানি আর বোধ হয় চলবে না। কারণ, বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এক আণবিক চাবির (মলিকিউলার সুইচ) খোঁজ পেয়েছেন, যার মাধ্যমে এই বয়সের চাকাটি থমকে দেওয়া যাবে, এমনকি এটি উল্টো ঘোরানোটাও অসম্ভব নয়।

বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কারটি সম্পর্কে জানার আগে, বোঝা দরকার বয়স হওয়া বা ‘এজিং’ মানে কী। শরীরের বয়স কখন বাড়ে? প্রাণীদের জীবনকালের পুরোটি জুড়েই শরীরে কোষের জন্ম-মৃত্যু চলতে থাকে। নতুন জন্ম নেওয়া কোষের সংখ্যা যখন মারা যাওয়া কোষের তুলনায় অনেক বেশি থাকে, তখনই ওই প্রাণীর শরীর আকারে, শারীরিক শক্তিতে বাড়তে থাকে। একটা সময় এই অনুপাত বদলে যায়। অর্থাৎ, মৃত কোষের সংখ্যা বেড়ে যায়। এর অর্থ হলো, নানা ক্রিয়ায় শরীর যে পরিমাণ কোষ হারাচ্ছে, তার আর ক্ষতিপূরণ হচ্ছে না। এটিই মূলত বার্ধক্যের দিকে নিয়ে যায়। এই দশায় শরীরের প্রতিরক্ষা দপ্তরও ক্ষতির শিকার হয়। এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এমন আণবিক চাবিটি খুঁজে পেয়েছেন। এটি ব্যবহার করে কোষের প্রদাহজনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যাবে। একই সঙ্গে বার্ধক্যজনিত নানা সংকট মোকাবিলা করা যাবে। অর্থাৎ কোষের মৃত্যু কমিয়ে আনা যাবে। আর এটি সম্ভব হলে শরীরে কোষের জন্ম-মৃত্যুর মধ্যে ভারসাম্য আনা সম্ভব হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের এক দল বিজ্ঞানী সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে দাবি করেন, তাঁরা শরীরের আণবিক চাবিটি শনাক্ত করতে পেরেছেন। শরীরের দীর্ঘ মেয়াদি প্রদাহ, সে–সম্পর্কিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এই আণবিক চাবি। ৬ ফেব্রুয়ারি এ–সম্পর্কিত গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় সেল মেটাবলিজম জার্নালে। ওই গবেষণা নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, এর মাধ্যমে বয়সজনিত নানা সংকট সমাধানের পাশাপাশি বার্ধক্য থামিয়ে দেওয়া, এমনকি বয়সের চাকা উল্টো ঘুরিয়ে দেওয়াও সম্ভব হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেটাবলিক বায়োলজি, নিউট্রিশনাল সায়েন্সেস অ্যান্ড টক্সিকোলজির সহযোগী অধ্যাপক ও অন্যতম গবেষক ড্যানিকা চ্যান এ বিষয়ে গবেষণা পত্রিকা সায়েন্সডেইলিকে বলেন, ‘বার্ধক্যের কারণ, এর ফলাফলসহ নানা দিক বুঝতে আমরা খুবই আগ্রহী। এর আগে আমরাই গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছি যে বয়স্ক স্টেম সেলকে নবযৌবন দেওয়া সম্ভব। এখন আমাদের মূল কৌতূহল হলো, বয়সের চাকা ঠিক কতটা উল্টো ঘোরানো যায়? এরই মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে আমরা বেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পেয়েছি।’

গবেষক দল দেখে, শরীরের ঝুঁকি শনাক্ত ও সম্ভাব্য প্রদাহের বিরুদ্ধে সাড়া দেওয়ার কাজটি যে প্রোটিন করে থাকে, তা হলো এনএলআরপি-থ্রি ইনফ্ল্যামাসোম। এই প্রোটিনটি কখনো কখনো অতি সক্রিয় হওয়ার কারণে নানা ধরনের বিপত্তি তৈরি হয়। এর মধ্যে স্মৃতিভ্রংশ, ডায়াবেটিস, ক্যানসারসহ নানা মারাত্মক রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য। এই প্রোটিন থেকে বিশেষ একধরনের অণুকে সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে প্রোটিনটিকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা সম্ভব। গবেষক দল এই বিশেষ অণু অপসারণের কাজটি সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করে। যে প্রক্রিয়ায় কাজটি করা হয়, তা হলো ডিএসিটাইলেশন।

প্রশ্ন হলো, বড় কোনো প্রদাহের সংকট তৈরি হলে, তখন প্রয়োজনীয় এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অনুপস্থিতি তো সংকট বাড়িয়ে তুলবে। এর উত্তরও দিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে এসিটাইলেশন করা হবে। অর্থাৎ, সুইচটি অন করা হবে। প্রয়োজনে আবার তা বন্ধ করা হবে। অর্থাৎ শরীরের বিশেষ এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বা পাহারাদার হিসেবে কাজ করা প্রোটিনটির সক্রিয়তা-নিষ্ক্রিয়তার সিদ্ধান্ত এখন থেকে মানুষই নিতে পারবে।


17
একসময় মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের তৈরি ম্যাক প্ল্যাটফর্মকে নিরাপদ বলে মনে করা হতো। কিন্তু এখন দিন বদলে গেছে। সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বলছে, অ্যাপলের ম্যাক প্ল্যাটফর্ম এখন বেশি বিপজ্জনক। প্রথমবারের মতো ২০১৯ সালে উইন্ডোজ পিসির চেয়ে বেশি ম্যালওয়্যার–ঝুঁকি তৈরি করেছে ম্যাক প্ল্যাটফর্ম।

অ্যান্টিভাইরাস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ম্যালওয়্যারবাইটসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, উইন্ডোজ পিসির চেয়ে ম্যাক ডিভাইসে এখন ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে। এতে অ্যাডওয়্যার যুক্ত রয়েছে বেশি। ম্যালওয়্যারবাইটসের বার্ষিক স্টেট অব ম্যালওয়্যার রিপোর্ট অনুযায়ী, বছরের হিসাবে ম্যাক কম্পিউটারে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত ম্যালওয়্যার বাড়তে দেখা গেছে।

অ্যাপলের আইওএস এসডিইতেও ম্যালওয়্যার শনাক্ত করা গেছে। তবে তা স্ক্যান করার কোনো উপায় নেই। আইওএস প্ল্যাটফর্মে থাকা ম্যালওয়্যারগুলোর বেশির ভাগই কোনো দেশ থেকে কাউকে লক্ষ্য করে ছাড়া ম্যালওয়্যার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাক ফাইল থেকে সরাসরি ক্ষতিকর আচরণসম্পন্ন ম্যালওয়্যার প্রতিবছর বাড়ছে। এতে অ্যাপল ডিভাইসে আরও বেশি প্রতারণার কৌশল নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। আইওএস ডিভাইসের ক্ষেত্রেও ম্যালওয়্যার পাওয়া গেছে। তবে অ্যান্টিভাইরাস পণ্যের ওই মোবাইল ডিভাইসে স্ক্যান করতে দেওয়ার সুযোগ থাকবে কি না, তা সিদ্ধান্তের বিষয়। ২০১৯ সালের প্রতিবেদন দেখে যদি কিছু ধারণা করা যায়, তবে এখনই ম্যাকের নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি একে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

বাজারে ম্যাক প্ল্যাটফর্মের শেয়ার বাড়ায় সাইবার দুর্বৃত্তদের আগ্রহ বেড়েছে। ম্যাকওএসের ক্ষেত্রে বিশেষ ম্যালওয়্যার সুরক্ষাব্যবস্থা থাকলেও বিভিন্ন অ্যাডওয়্যার বা অনাকাঙ্ক্ষিত প্রোগ্রামের জন্য ব্যবস্থা নেই।

ম্যালওয়্যারবাইটসের বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাঁরা উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মেও বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার খুঁজে পেয়েছেন, যা ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে ছাড়া হয়। ২০১৯ সালে ম্যাকের ক্ষেত্রেও এ ম্যালওয়্যারগুলো পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি অ্যাডওয়্যারের অস্তিত্বও এখন অ্যাপলের প্ল্যাটফর্মে পাওয়া গেছে বলে এটি এখন বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ

18
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নির্ণয়ের অ্যাপ তৈরি করেছে চীন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এলে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে দেবে সে অ্যাপ। আর ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় এতে।

অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে চীন সরকার ও চায়না ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি গ্রুপ করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে। অ্যাপটির জন্য দেশটির স্বাস্থ্য ও পরিবহন বিভাগও তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছে। জনগণের ওপর কড়া নজরদারির জন্য চীনা সরকার আগে সমালোচিত হলেও এবার তা সে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

হংকংভিত্তিক প্রযুক্তিবিষয়ক আইনজীবী ক্যারোলিন বিগ বলেন, চীনের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি সেবা। এর মাধ্যমে কীভাবে তথ্য-উপাত্ত ভালো কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে, তা প্রমাণ হবে।

ফোন নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধনের পর অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীর নাম ও আইডি নম্বর দিতে হয়। প্রতিটি নিবন্ধিত ফোন নম্বরের বিপরীতে সর্বোচ্চ তিনটি আইডি নম্বর যাচাই করা যায়। অনুসন্ধানের জন্য লেনদেন সেবা আলিপে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটের মতো অ্যাপ থেকে একটি কুইক রেসপন্স (কিউআর) কোড স্ক্যান করতে হবে। সূত্র: বিবিসি

19
Google Maps marked 15 years on the road Thursday with the rollout of new features for the popular mobile app which has helped move navigation into the digital age.

The tech giant is marking the occasion with a new look and product updates, vice president of product Dane Glasgow said in a blog post.

Google has dominated the market for navigation apps in recent years but the latest updates appear aimed at staying ahead of challengers including from Apple, which recently revamped its own maps application.

A Google Maps "explore" tab offers reviews and details regarding restaurants, shops, theaters and other venues, taking advantage of location-sensing capabilities in smartphones.

A "commute" tab in the Maps application promises to deliver efficient routes to or from work whether people are driving or using public transit.

Google has more than one billion monthly active users for its app, and has mapped more than 220 countries and territories and offers live traffic updates in 171 countries.

The app has also been a target for disinformation, and Google said it took down some three million fake business profiles entered by users in 2018 alone.

Last year, Google added a feature that predicts how crowded a bus, train or subway is likely to be.

Transit tidbits have been enhanced to include whether buses or trains tend to be hot or cold, accommodations for people with disabilities, and whether there is security on board.

 Getting help from users
"These useful bits of information come from past riders who've shared their experiences and will appear alongside public transit routes when available," Glasgow said.

Added transit insights will begin rolling out next month, with availability varying by region and municipal transportation agencies.

A new "updates" tab in the app will spotlight "must-see" spots getting attention, and let users chat with businesses to get answers to questions.

And, the once solid-red "pin" pointing out map locations is now made up of the four colours used in other Google logos.

A playful "party-themed car icon" will temporarily replace the blue dot that users now see when they are navigating.

In the spirit of the anniversary, Google chief Sundar Pichai shared thoughts that included a mapped list of his favourite burrito spots around the world.

"Finding the best burrito might sound trivial in the context of all the amazing things Google Maps can do - from helping to shave hours off a commute over the course of the year to providing SOS alerts during emergencies," Pichai said in an online post.

"But, for someone who finds as much joy in a good burrito as I do, it can be a magical moment."

Pichai also revealed that Maps is working on providing people with "Plus Code" addresses based on latitude and longitude coordinates if they lack street addresses.

"One of the next frontiers for Maps will be to help the billions of people who live without a physical address get a digital one," Pichai said.

"With a digital address, more people will be able to access things like banking and emergency services, receive personal mail and deliveries, and help people find and patronise their businesses."

Apple challenge
Apple recently finished rolling out an overhauled map app in the US in another attempt to challenge Google's smartphone navigation software.

Apple spent years rebuilding the application, its cars traveling millions of miles to map roads, after a version launched in 2012 was so problematic it prompted a rare public apology from chief executive Tim Cook.

Maps is to begin rolling out in Europe in coming months.

Apple Maps has some features similar to those in Google Maps, such as pictures of locations taken at street level and artificial intelligence to check the status of flight reservations noted in email boxes or on calendars.

Available at: https://en.prothomalo.com/science-technology/news/209183/Google-Maps-marks-15-yr-milestone-with-new

20
Science and Information / EU to urge rethink on facial recognition
« on: February 18, 2020, 02:03:31 PM »
Amid fears of a Big Brother-style society ruled by machines, the EU will urge authorities and companies to think hard before rolling out facial recognition technology.

But the bloc, which will make a much-anticipated announcement this week on the role of artificial intelligence (AI), will stop short of imposing an outright ban, a top official said.

On Wednesday, the European Commission will set the stage for European rules on the subject with innovation in the growing sector so far dominated by the US and China.

The commission, the EU's powerful regulator, is eager to answer the worries of European citizens about the rising importance of AI in their lives, amid reports from China of facial-recognition technology used to crack down on dissent.

"I find it truly really scary what I saw in Hong Kong," said the EU Commission's executive vice president on digital policy, Margrethe Vestager, who will spearhead the policy.

During a wave of anti-Beijing protests, she said, "People could get a message on the phone: 'We know you're there, maybe you should go home'. Not really supportive of the freedom to assemble, or to express yourself."

But instead of an outright ban or moratorium, which would require member state backing, Vestager told reporters in Brussels she would recommend that authorities and companies use caution.

"What we will say in the paper in a very lawyered up language is, let's pause and figure out if there are any... circumstances where facial recognition remotely should be authorised," she told reporters.

"Because if we do not pause, then it will... just be everywhere," she warned comparing it to the sudden rise of CCTV security in city centres.

Describing the spread of cameras, she said: "First you put up one, but then it has a blind angle and then you put up the other one... All of a sudden you have cameras everywhere."

Caution is also needed because the uses of facial recognition are wide-ranging -- from unlocking smartphones to capturing criminals -- and often inaccurate and in need of development.

 'For real'
The former Danish finance minister, who is also in charge of enforcing EU competition rules, underlined that AI was a vast subject and that any regulation should be mindful of not punishing smaller innovators, which would only benefit major players.

Big tech firms familiar to everyday users -- such as Facebook or Tencent -- are mainly from the United States or China. Europe meanwhile is seen as a leader on regulation, notably with rules on data privacy that have been widely replicated elsewhere.

But with AI, Vestager said Europe wanted to be a player and not just a sheriff.

And if Europe is to develop tech giants, it will probably be in business services and network infrastructure, and not mass market sites or social media.

"If you want to have a say about things that we consider risky then you should be able to do it yourself," she said.

Europe wants to be "sovereign" on AI and protect "the integrity of our grids, of our infrastructure of our research," she said.

But this was not against anyone, she insisted, amid talk of a high tech cold war between the US and China with Europe caught in the middle.

"It's about us, what we would like to be able to do."

Other proposals on Wednesday will include a push to make data centres more energy-efficient and be carbon neutral by 2030.

The EU will also offer a voluntary labelling scheme for companies that abide by EU rules and values on AI.

"We don't want to regulate anything that starts with A and ends with an I. That doesn't make any sense," Vestager said. "But where there is risk, it will be for real."

21
Science and Information / Top 10 Technology Trends for 2020
« on: February 18, 2020, 02:01:03 PM »
By- Ryan M. Raiker, MBA

Television shows of the 1960’s like The Jetsons predicted that the 21st century would be filled with flying cars, and airborne robots would be a part of our everyday lives. October 21st, 2015 marked the point in time in which Marty McFly (Michael J. Fox) traveled to in Back to the Future Part II, the 1989 sequel to the time-travelling classic. The future he found was one which had captured the imagination of millions — instead today, we live in a world dominated by live streaming, smartphones and social networks, not flying cars or hover boards (maybe, because is this really a hover board?).
Within the span of 10 short years, or perhaps even less, service apps like Uber, Lyft, DoorDash, AirBnB and others have spawned millions of users, and can be found on almost everyone’s smart phone. Personal assistants like Siri and Alexa have entered many of our lives. It would be terribly naive for anyone to say that the world hasn’t changed in the last 10 years. This technology growth and change is likely to continue for the next decade and beyond.
It’s the roaring 20’s baby! At the start of the millennium, Information Technology was deeply concerned about Y2K … “Oh no, the zeroes and the clocks!” When the clocks struck 12 in 2000, the iPhone, Twitter, Facebook, 4k, 5G, and all the other fun things we know today didn’t exist. So what’s in store as a new decade begins?

The top 10 technology trends for 2020 were presented at the Gartner IT Symposium/Xpo in October 2019. Gartner predicts that the key strategic technology trends in 2020 consists of two major areas: human-centric and smart spaces.

For detail go to the following link https://towardsdatascience.com/top-10-technology-trends-for-2020-4a179fdd53b1



22
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানীরা কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন। তবু ওই সব প্রশ্নের সমাধানে তাঁরা একবিন্দু্‌ও এগোতে পারেননি। এমন একটি প্রশ্ন, পৃথিবীই কি একমাত্র প্রাণের উৎস?

তবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) বিজ্ঞানীরা এবার এমন তিনটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যা তাঁদের ওই প্রশ্নের সমাধানে সহায়তা করতে পারে। এই মহাজগতে পৃথিবী ছাড়া আর কোনো গ্রহে প্রাণের স্পন্দন আছে কি না, সেই রহস্যের ওপর আলো ফেলতে পারে ওই তিন গ্রহ।
নাসার খুঁজে পাওয়া এই তিনটি নতুন গ্রহের মধ্যে একটি নতুন ধরনের বিশ্ব ব্যবস্থা আছে, যেটা আমাদের সৌরজগতে আগে কখনো দেখা যায়নি।
গবেষকেরা বলছেন, এই রহস্যময় গ্রহগুলো হতে পারে ‘হারিয়ে যাওয়া সেই সূত্র’ যেটা ‘এলিয়েন (ভিনগ্রহবাসী)’ খুঁজে পেতে বিজ্ঞানীদের জন্য বিশাল এক উপহার হতে পারে।

নতুন এই তিন গ্রহ একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করছে। নক্ষত্রটি আমাদের সূর্য থেকে মাত্র ৭৩ আলোকবর্ষ দূরে। এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া এই ধরনের গ্রহগুলোর মধ্যে এরাই সবচেয়ে কাছে ও ছোট।

গবেষকেরা এই গ্রহগুলো আবিষ্কার করেছেন নাসার এক্সোপ্লানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টিইএসএস) প্রকল্পের মাধ্যমে। এই প্রকল্প ২০১৮ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়। এর উদ্দেশ্য এমন সব নক্ষত্র ও গ্রহ খুঁজে বের করা, যেখানে জীবনের বিবর্তন হয়েছে।

নতুন তিন গ্রহের মধ্যে একটি পাথুরে গ্রহ আছে, যা আমাদের পৃথিবী থেকে কিছুটা বড়। বাকি দুটো গ্রহ গ্যাসের তৈরি, যারা আরেকটু বড়। আর এই বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রহগুলোকে করেছে ‘হারিয়ে যাওয়া সূত্র’। কারণ পাথুরে গ্রহটি অনেকটা পৃথিবী বা মঙ্গলের মতো দেখতে। গ্যাসীয় গ্রহগুলো দেখতে বৃহস্পতি বা শনির মতো।

গ্রহগুলোর অনুসন্ধানী দলের প্রধান ম্যাক্সিমিলিয়ান গুন্থার বলেন, গ্যাস আর পাথুরে গ্রহ কীভাবে এই জায়গাতে সৃষ্টি হয়েছে তা বুঝতে এই নতুন গ্রহগুলো সাহায্য করতে পারে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর মতো দেখতে ওই গ্রহে এমন তাপমাত্রা থাকতে পারে, যা প্রাণের বিকাশে সহায়তা করতে পারে। তবে এর বায়ুমণ্ডল খুব হালকা বলে ধারণা করা হচ্ছে, একই সঙ্গে এর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেশ উষ্ম।

23
নো আক্রমণের পদ্ধতিতে কিছুটা বদল এনে নতুন করে আবার হামলা চালাচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকদের লক্ষ্য করে সবচেয়ে বেশি ‘ফিশিং’ হামলা হচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা গবেষকেদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। তাঁদের মতে, ফিশিং আক্রমণ মূলত প্রলুব্ধ করে কোনো লিংকে ক্লিক করানোর মাধ্যমে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া।

ফিশিং মেইল হচ্ছে টোপ দেওয়া বা ফাঁদে ফেলার জন্য পাঠানো মেইল, যাতে কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার ঢোকানোর লিংক যুক্ত থাকে। এ ধরনের আক্রমণ চালাতে সাইবার দুর্বৃত্তরা সহজে ধরা না যায়—এমন ভুয়া ইউআরএল বা লিংক তৈরি করে। এতে গ্রাহকের জন্য নানা প্রলোভন দেখানো হয়।

ক্লাউড ডেলিভারি নেটওয়ার্ক সেবাদাতা আকামাই টেকনোলজিস দ্য স্টেট অব দ্য ইন্টারনেট নামে নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোয় যেসব আক্রমণ হয়, তার ৫০ শতাংশ আক্রমণই ফিশিং। প্রলুব্ধ করা মেইলের সঙ্গে ফিশিং ডোমেইন যুক্ত করা থাকে।

আইএএনএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিশিং মেইলে এমনভাবে টোপ দেওয়া হয়, যাতে মেইল প্রাপক তা লোভের বশে খুলে বসেন এবং তাতে থাকা লিংকে ক্লিক করে সাড়া দেন। এ ধরনের মেইলের প্রেরক এমন কৌশলে নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখেন, যাতে এ ধরনের মেইল দেখতে প্রকৃত মেইলের মতো মনে হয়। অনেক সময় সরকারি মেইল, সরবরাহকারী, গ্রাহক বা ব্যবসায়িক মেইলের ছদ্মবেশে এ ধরনের মেইল আসে। এ ধরনের মেইলে থাকা পিডিএফ, ওয়ার্ডের মতো অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক করলে কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকে পড়ে। লিংকে ক্লিক করলে যে সাইট দেখায়, তা প্রকৃত সাইটের মতোই। এখান থেকে স্পর্শকাতর তথ্য, যেমন: পাসওয়ার্ড, ব্যাংকিং তথ্য প্রভৃতি হাতিয়ে নিতে পারে দুর্বৃত্তরা।

আকামাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৪ মে পর্যন্ত দুই লাখের বেশি ফিশিং ডোমেইনের খোঁজ পাওয়া গেছে। এসব ডোমেইনের মধ্যে ৬৬ শতাংশ সরাসরি গ্রাহককে টার্গেট করে।

আকামাইয়ের তথ্যমতে, গত ১৮ মাসে আর্থিক সেবা খাতে তথ্য চুরি করতে ৩৫০ কোটিবার ফিশিং আক্রমণের প্রচেষ্টার বিষয়টি দেখতে পেয়েছে তারা।

বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকাউন্টে একই তথ্য দেওয়ার কারণে একটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারলে সুবিধা পায় সাইবার দুর্বৃত্তরা। তারা তখন এসব স্পর্শকাতর তথ্য ব্যবহার করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

আকামাইয়ের নিরাপত্তা গবেষক মার্টিন ম্যাকেই বলেন, গত বছর থেকেই বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার হার বাড়তে দেখা গেছে। ফিশিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা তথ্য বিক্রি করে বা সরাসরি গ্রাহকের তথ্য বিক্রি করে অর্থ আয়ের চেষ্টা করে সাইবার দুর্বৃত্তরা। এখন আর্থিক সেবা খাত ও গ্রাহকদের লক্ষ্য করে এ ব্যবসা বাড়াচ্ছে তারা

24
বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক বারবার বলেছেন, গাড়ির ড্যাশবোর্ডের ডিসপ্লেতে শুধু তথ্যই দেখাবে না, বিনোদনও দেবে। সেটি কেমন, সেটাই এবার খোলাসা করলেন—নেটফ্লিক্স ও ইউটিউবে ভিডিও দেখা যাবে। চালকেরা যে গাড়িতে ‘ফলআউট শেলটার’-এর মতো বেশ কিছু গেম খেলতে পারবেন, তা এরই মধ্যে দেখিয়েছে টেসলা। নতুন ঘোষণা হলো, গেমের তালিকায় এবার যোগ হয়েছে দাবা। তবে গেম হোক আর নেটফ্লিক্স, গাড়ি কেবল পার্ক করা অবস্থাতেই খেলা কিংবা দেখা যাবে। মজার ব্যাপার হলো, গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল দিয়েই গেম নিয়ন্ত্রণ যাবে।

ইলন মাস্ক অবশ্য বলতে ভোলেননি, আইনপ্রণেতারা অনুমোদন দিলে চালকবিহীন গাড়িতে আরোহীরা গাড়ি চলার সময়েও ভিডিও দেখতে পারবেন। তবে কবে নাগাদ সুবিধাগুলো চালু হবে, মাস তা জানাননি। সে যা-ই হোক, যানজটে বসে থেকে নতুন সুবিধাগুলো বেশ কাজে দেবে বলেই মনে হচ্ছে।

25
ফোনে চার্জ দিতে কোনো তার বা স্মার্টফোনের পোর্ট ব্যবহার করা লাগবে না। তারহীন সুবিধা থাকায় পাওয়ার ব্যাংকের ওপর ফোনটি রেখে দিলেই চার্জ হয়ে যায়। এমন সুবিধা রয়েছে এনারজাইজারের পাওয়ার ব্যাংকে। দেশের বাজারে ওয়াই–ফাই সুবিধার এনারজাইজারের পাওয়ার ব্যাংক আনছে টেক রিপাবলিক লিমিটেড। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান এনারজাইজারের দেশি পরিবেশক হিসেবে কাজ করছে টেক রিপাবলিক।

টেক রিপাবলিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এম ফয়েজ মোরশেদ বলেন, গত মাসে তাইওয়ান সফরের সময় এনারজাইজার বাংলাদেশের বাজারে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে। তাদের পাওয়ার ব্যাংক দেশে আসতে যাচ্ছে আগস্ট মাস থেকে। এনারজাইজারের ম্যাক্স, হাইটেক ও আল্টিমেট সিরিজের পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যাবে। ওয়াই–ফাই সুবিধা ছাড়াও এ পাওয়ার ব্যাংকে থাকবে ইউএসবি, টাইপ সি ও মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট। ফলে যেকোনো মডেল ও ব্র্যান্ডের ফোন চার্জ দেওয়া যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে।

26
র বিভিন্ন দেশে চমৎকার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ভ্রমণবিষয়ক অ্যাপ ‘শেয়ার ট্রিপ’। বিমানের টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে হোটেল বুকিং, আনুমানিক খরচের তালিকা তৈরি, যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত পরিবহনের ব্যবস্থা করাসহ সবকিছু করে দেবে শেয়ার ট্রিপ। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাপটি উদ্বোধন করা হয়।

দেশের তরুণের তৈরি ‘শেয়ার ট্রিপ’ অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। লোকাল ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের মাধ্যমে অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শেয়ার ট্রিপ অ্যাপে গেমিফিকেশন যুক্ত হয়েছে। ব্যবহারকারীরা স্পিন টু উইন খেলে জিতে নিতে পারেন ট্রিপ কয়েন, যা ট্রাভেল রিওয়ার্ড পয়েন্ট হিসেবে কাজে লাগানো যাবে। এ কয়েন তাঁরা ফ্লাইট, হোটেল, হলিডে বুকিংসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।

শেয়ার ট্রিপের প্রধান নির্বাহী কাশেফ রহমান বলেন, শেয়ার ট্রিপ ভ্রমণবিষয়ক সহজ অ্যাপ। বাংলাদেশের ভ্রমণপিপাসু মানুষের এটি কাজে লাগবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশের ইনভেস্টমেন্ট পরামর্শক টিনা জাবীন, শেয়ার ট্রিপের পরিচালক তানভীর আলী প্রমুখ।

27
দিনে পাঁচ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে যেসব শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাঁদের স্থূলতার ঝুঁকি বাড়তে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইল ফোনের ব্যবহারে অন্যান্য বাজে অভ্যাস তৈরি হয়, যাতে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। কলম্বিয়ার গবেষকেরা সম্প্রতি এ গবেষণা করেছেন।

কলম্বিয়ার ১৯ থেকে ২০ বছর বয়সী ৭০০ তরুণী ও ৩৬০ জন কিশোর শিক্ষার্থীর ওপর গবেষণাটি চালান সিমন বলিভার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।
গবেষণা প্রবন্ধের শীর্ষ লেখক মিরারি ম্যান্তিলা-মোরন বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য এটা জানা ও সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে মোবাইল ডিভাইসের আকর্ষণীয় উপযোগী ফিচার থাকলেও এটা অবশ্যই উন্নত অভ্যাস ও স্বাস্থ্যকর আচরণের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে।

গবেষকেরা বলছেন, দিনে পাঁচ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে স্থূলতার ঝুঁকি ৪৩ শতাংশ বাড়ে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিনিযুক্ত পানীয়, ফাস্ট ফুড, মিষ্টি, বারবার নাশতা খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এ ছাড়া তাঁদের শারীরিক সক্রিয়তা অনেক কমে যায়। গবেষকেরা বলছেন, যাঁদের ওজন বেশি থাকে, তাঁদের ২৬ শতাংশ এবং আগে মেদযুক্ত ছিল—এমন ব্যক্তিদের ৪ দশমিক ৩ শতাংশ পাঁচ ঘণ্টার বেশি স্মার্টফোন যুক্ত থাকেন।

গবেষকেরা বলছেন, অতিরিক্ত সময় মোবাইল ফোনের ব্যবহারে তরুণদের মধ্যে যে শারীরিক সক্রিয়তা কমে, তাতে অকালমৃত্যু, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ ও নানা ধরনের ক্যানসার হতে পারে।

সুস্থ থাকতে ফোনের ব্যবহার কমিয়ে আরও বেশি ব্যায়াম ও শারীরিক সক্রিয়তা বাড়ানোর নানা কাজে যুক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


28
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী চার বছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গত ১০ বছরে ১০ লাখ তরুণ–তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে আরও ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেক মাহিন্দ্রার উদ্যোগে আয়োজিত ‘ব্যাংকিং নেক্সট ডিজিটাল লিডারশিপ’ শীর্ষক সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দেব। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, মাহিন্দ্রা বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সুজিত বকশি প্রমুখ।

পলক বলেন, শ্রমভিত্তিক অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ এখন প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। সরকার বাংলাদেশে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কাজ করছে।
পলক বলেন, ‘টেক মাহিন্দ্রার মতো বিনিয়োগকারীদের আমরা সব সময়ই স্বাগত জানাই। বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মুনাফার ওপর কর মওকুফ, ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কর রেয়াত, ১০ শতাংশ পর্যন্ত রপ্তানিতে ক্যাশ ইনসেনটিভ সুবিধা রয়েছে।’

29
তরুণদের মধ্যে মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারে আসক্তি প্রতিরোধে বিশেষ আইনের খসড়া তৈরি করছে ইতালি। দেশটির ক্ষমতাসীন ফাইভ স্টার মুভমেন্টের (এম৫এস) দল ডিজিটাল আসক্তি প্রতিরোধ ও চিকিৎসার প্রয়োজনে নতুন এ বিল আনছে। এ বিলের মাধ্যমে ‘নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া’ বা নোমোফোবিয়া মোকাবিলা করা যাবে।

নোমোফোবিয়া হচ্ছে মোবাইল থেকে দূরে থাকায় আশঙ্কা। মোবাইল ফোন সব সময় ঠিক জায়গায় আছে কি না, তা নিয়ে মন সব সময় সতর্ক থাকে। মোবাইল হারানো বা মোবাইল থেকে দূরে থাকার ভয় থেকে মনের মধ্যে জন্ম নেয় এক সমস্যা। মোবাইল ফোনের বিভিন্ন অ্যাপ বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিয়মিত আপডেট না জানার আশঙ্কা তৈরি হয়। গবেষকেরা মোবাইল ফোনের সঙ্গে যোগাযোগ হারানোর এই ভয়জনিত সমস্যার নাম দিয়েছেন ‘নোমোফোবিয়া’, যার পুরো নাম ‘নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া’। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ৫৩ শতাংশ এবং ২৯ শতাংশ ভারতীয় তরুণেরা এ রোগের শিকার।
ইতালির ওই খসড়া আইনে সন্তানের মা-বাবা ও অভিভাবকের জন্য শিক্ষামূলক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে তারা শিশুদের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়টি ধরতে পারেন। এ ছাড়া এই আইনে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে জানানোর পরিকল্পনার কথা রয়েছে।

নোমোফোবিয়া সাধারণত তরুণদের ক্ষেত্রে বেশি ঘটে। তাঁদের রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না।

ইতালিতে ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সী অর্ধেকের বেশি তরুণ দিনে ৭৫ বারের বেশি মোবাইল ফোন দেখেন। দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব টেকনোলজিক্যাল ডিপেনডেন্সের করা এক গবেষণার বরাতে গণমাধ্যমে গতকাল সোমবার এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

৬১ শতাংশ ইতালিয়ান নাগরিক বিছানায় শোয়ার সময় ট্যাবলেট বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ৮১ শতাংশ।

ফাইভ স্টার মুভমেন্ট তাদের খসড়ায় বলেছে, মোবাইল ফোনের আসক্তিকে জুয়ার আসক্তির সঙ্গে তুলনা করা যায়। এতে ডোপামিনের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে।

ডোপামিন একটি হরমোন। দেহের ওজন নির্দিষ্ট মাত্রায় বজায় রাখার জন্য হরমোনটির গুরুত্ব রয়েছে। ডোপামিনকে কর্ম ত্বরান্বিতকরণ হরমোনও বলা হয়।

30
Personal Management Skills / কী শেখা চলছে এখন
« on: August 01, 2019, 02:07:44 PM »
আপনি কি প্রযুক্তি খাতে চাকরি খুঁজছেন? বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে দক্ষ ব্যক্তিদের চাহিদা বাড়ছে। দেশের মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর বাইরে ফ্রিল্যান্সিং বা নিজে উদ্যোক্তা হয়েও কাজের সুযোগ রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ। আগ্রহী ব্যক্তিরা তাঁর পছন্দের ও কাজের বিষয়গুলো প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে যুগের সঙ্গে প্রস্তুত করে নিতে পারেন। এ ধরনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের বেতন ও আয় অন্যদের তুলনায় অনেক ভালো। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এর মধ্যে ক্রিয়েটিভ আইটি, বেসিসের বিআইটিএম, কোডার্স ট্রাস্ট বাংলাদেশ, শিখবে সবাই, ইশিখনের মতো অনেক প্রতিষ্ঠান নানা বিষয়ে সরাসরি ও অনলাইনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

বিভিন্ন মেয়াদে এসব প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই ভালো কাজ পেয়েছেন। তাই তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নেওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণদাতা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে এখন সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন বিষয়ের মধ্যে রয়েছে গ্রাফিকস ও ওয়েব ডিজাইন। এরপর রয়েছে অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। এরপর যুগের সঙ্গে চাহিদাসম্পন্ন অনেক বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়ছে।
বেসিস সূত্রে জানা গেছে, আগে অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলোতে বাংলাদেশ থেকে কম রেটে ডেটা এন্ট্রির মতো ছোটখাটো কাজ করা হতো, এখন সেখানে গ্রাফিকস ও ওয়েব ডিজাইনের মতো বড় বড় কাজ হচ্ছে। বেড়েছে দেশের তরুণদের আয়। আগে ঘণ্টায় গড়ে ৮–১০ ডলার আয় করলেও এখন তা ১৫ ডলার পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি আয় করছেন গ্রাফিকস ও ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। বাংলাদেশে এখন প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে তাই এ দুটি বিষয়ে আগ্রহ বেশি দেখা যায়।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ আইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির হোসেন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের দক্ষতা এখন স্থানীয় প্রয়োজনের পাশাপাশি বৈশ্বিক বিবেচনায় নির্ধারিত হচ্ছে। কারণ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা দেশের বাইরে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ক্রেতার জন্য কাজ করছেন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার ফলে চাকরির ওপর নির্ভরশীলতা কমছে। নিজে উদ্যোক্তা হচ্ছেন অনেকেই। তবে এখনকার সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন প্রশিক্ষণ হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। কারণ, অন্যান্য প্রশিক্ষণ নিতে গেলে কিছুটা তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান দরকার হয়। কিন্তু বিভিন্ন খাতের আগ্রহী কম আইটি জ্ঞান নিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন শিখে ভালো করতে পারছেন। এর পাশাপাশি নারীরা বাসায় বসে কাজের সুযোগ হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইনকে প্রাধান্য দেন। অল্প সময়ে বিষয়টি শিখে চর্চা করলে ভালো করা যায় বলে অনেকেই গ্রাফিক ডিজাইনকে প্রাধান্য দেন। গত বছরেই তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ব্যক্তি গ্রাফিক ডিজাইনে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এরপর রয়েছে ওয়েব ও সফটওয়্যার–বিষয়ক প্রশিক্ষণে আগ্রহ। তবে ভবিষ্যতে সাইবার নিরাপত্তা, ডেটা অ্যানালাইসিস, ডিজিটাল মার্কেটিং ও রোবটিকসের মতো বিষয়ে প্রশিক্ষণে আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

প্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। বেসিসের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তরুণ ও যুবকদের। বিআইটিএমের ব্যবস্থাপক তালুকদার মোহাম্মদ সাব্বির বলেন, ‘স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইআইপি)’ অধীনে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস অ্যান্ড ওয়েব ইউআই ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট-পিএইচপি, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট-ডটনেট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (অ্যান্ড্রয়েড), সার্ভার অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড ক্লাউড ম্যানেজমেন্ট, আইটি সাপোর্ট-টেকনিক্যাল, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কাস্টমার সাপোর্ট সার্ভিস, আইটি সেলস ম্যানেজমেন্ট প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস অ্যান্ড ওয়েব ইউআই ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট-পিএইচপি, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট-ডটনেট প্রভৃতি বিষয়ে।

কোডার্স ট্রাস্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউল গণি ওসমানী বলেন, গ্রাফিকস, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মতো বিষয়গুলোর চাহিদা এখন বেশি।

দেশি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রাইডসিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মনোয়ারুল ইকবাল বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার, এআই ও বিগ ডেটা বিশ্লেষক, ডটনেট ডেভেলপার, সফটওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স, টেকনিক্যাল কনটেন্ট রাইটারের মতো বিভিন্ন পদের কর্মী নিয়োগ দেবে। তাঁর প্রতিষ্ঠানের মতো দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীর চাহিদা রয়েছে। এখনকার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এআই, ক্লাউড কম্পিউটিং, ডেটা অ্যানালাইসিসের মতো বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে তাই গুরুত্ব দিতে হবে।

পেশাজীবীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়েবসাইট লিংকডইন ‘দ্য মোস্ট ডিমান্ড হার্ড অ্যান্ড সফট স্কিলস অব ২০১৯’ শীর্ষক তালিকা অনুযায়ী, এ বছর বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ক্লাউড কম্পিউটিং–বিষয়ক দক্ষ ব্যক্তিদের। এ ছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, ইউএক্স ডিজাইন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, সায়েন্টিফিক ডেভেলপমেন্ট, গেম ডেভেলপমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সফটওয়্যার টেস্টিং, ডেটা সায়েন্স, কম্পিউটার গ্রাফিকস ও অ্যানিমেশন বিষয়ে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা রয়েছে। এসব খাতে প্রশিক্ষণের জন্য চাহিদাও বাড়ছে।

এর আগে মানবসম্পদ নিয়ে কাজ করা বিটিআই এক্সিকিউটিভ সার্চ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালে চাহিদাসম্পন্ন চাকরি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, চলতি বছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রধান সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তা বা চিফ ইনফরমেশন সিকিউরিটি অফিসার (সিআইএসও) পদটিতে চাহিদা বেশি। গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ৩০ লাখ সাইবার নিরাপত্তা খাতের পেশাদার ব্যক্তির ঘাটতি রয়েছে। এর অধিকাংশই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের। এ অঞ্চলে ২০ লাখ সাইবার নিরাপত্তা পেশাদার ব্যক্তির ঘাটতি আছে।

অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম কোরসেরা তাদের বৈশ্বিক স্কিল বেঞ্চমার্কিং বা দক্ষতা নির্ণায়ক প্রতিবেদন বৈশ্বিক দক্ষতা সূচক বা ‘গ্লোবাল স্কিলস ইনডেক্স ২০১৯’ (জিএসআই) প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে বিশ্বের ৬০টি দেশ ও ডেটা সায়েন্স, প্রযুক্তি ও ব্যবসা শিল্পের ১০টি খাতের বিশ্লেষণ ওই প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে। প্রতিবেদনে প্রযুক্তিগত দক্ষতার দিক থেকে অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো ক্ষেত্রে ভালো করছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া গণিত, পরিসংখ্যান, মেশিন লার্নিংয়ের বিষয়গুলোতেও দক্ষতা ঊর্ধ্বমুখী। ব্যবসাক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টিং ও ফিন্যান্সে কিছুটা ভালো করলেও কমিউনিকেশন, ম্যানেজমেন্ট ও সেলসের ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

প্রযুক্তি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রতি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকলেও রয়েছে দক্ষতার অভাব এবং প্রযুক্তি–বিষয়ক পড়ালেখায় কিছুটা ভীতি। এসব কারণে তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগেও দেশের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির যথার্থ সুবিধা ভোগ করার দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি বিষয়ে আরও আগ্রহী ও দক্ষ করে তুলতে প্রয়োজন দক্ষতাবিষয়ক প্রশিক্ষণে ঝাঁপিয়ে পড়া।

চাহিদাসম্পন্ন প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণগুলো—
কম্পিউটার গ্রাফিকস, বিগ ডেটা/ডেটা সায়েন্স, সফটওয়্যার টেস্টিং, অ্যানিমেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সাইবার সিকিউরিটি, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 7