Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Rasel Hossen

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 20
31
Informative post... Thanks for sharing....

32
Informative post... Thanks for sharing....

38
Informative post... Thanks for sharing....

39
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধীরে ধীরে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে ‘তিয়ানগং-১’ নামের চীনের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ স্টেশন। গত কয়েক মাসে এ নিয়ে নানা খবর বের হলেও চীন তা এত দিন গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়ে এসেছে। সেপ্টেম্বর মাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে নেন চীনের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা। ২০১৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর বুকে তিয়ানগং-১ আছড়ে পড়বে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে মহাকাশ স্টেশনটি নিজস্ব কক্ষপথে পৃথিবী থেকে প্রায় ২৩০ মাইল ওপরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।
পৃথিবীর বুকে পতনের সময়ে মহাকাশ স্টেশনটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যাবে বলেও জানান           চীনের মনুষ্যবাহী মহাকাশ প্রকৌশল কার্যালয়ের উপপরিচালক উ পিং। তিয়ানগং-১-এর গতিবিধি    সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির মহাকাশ  গবেষণাকেন্দ্র। এটি কবে ও কোথায় পতিত হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
তিয়ানগং-১ নামের অর্থ ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’। ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ৩৪ ফুট লম্বা এই মহাকাশ স্টেশন। এরপর অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এর গতিবিধির ত্রুটি লক্ষ করলেও চীন সরকার তা আমলে নেয়নি। তিয়ানগং-১-এর কতটুকু অংশ এখন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলেনি চীন।

এদিকে গত সপ্তাহে চীন তাদের নতুন পরীক্ষামূলক মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং-২ উৎক্ষেপণ করেছে।

40


গতকাল রোববার রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করে আলো ছড়িয়েছে বিশাল চাঁদ। একে বলা হয় ‘সুপার মুন’। গত ৬৮ বছরের মধ্যে চাঁদ এবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি এসেছে। তাই দেখা মিলেছে এমন অপরূপ চাঁদের। ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে তোলা। ছবি: এএফপিযুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরিতে উঁচু ভবনের আড়ালে ঢাকা পড়েছে চাঁদের কিছুটা অংশ। তাতে চাঁদের সৌন্দর্য এতটুকু কমেনি, বরং বেড়েছে। ছবি: রয়টার্সদেখে মনে হচ্ছে ভাস্কর্য ধরে আছে বিশাল চাঁদটিকে। ছবিটি মেক্সিকো থেকে তোলা। ছবি: রয়টার্সযুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি নদীর পাড়ে বসে চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন এক ব্যক্তি। আবার ১৮ বছর পর পৃথিবীর এতটা কাছাকাছি আসবে চাঁদ। ছবি: রয়টার্সমিজৌরি নদীর বুকে আলো ছড়াচ্ছে বিশাল চাঁদ। ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা থেকে তোলা। ছবি: রয়টার্স
Previous
Next
আরও ছবি
আজ রাতে আকাশে একবার চোখ মেলুন। ৬৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল চাঁদ দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না! আজ সুপারমুন। রাতের আকাশে চাঁদের সৌন্দর্যপিপাসু মানুষের জন্য আজ বিশেষ রাত। চাঁদের এ রকম উজ্জ্বলতম রূপ শেষবার দেখা গিয়েছিল ১৯৪৮ সালে। আবার দেখা যাবে ১৮ বছর পর। ২০৩৪ সালের ২৫ নভেম্বর।

জ্যোতির্বিদেরা আশা করছেন, আজ সোমবার চাঁদ পৃথিবীর ২ লাখ ২১ হাজার ৫২৩ মাইলের মধ্যে আসবে। ব্যতিক্রমী ও বড় আকারের এই চাঁদ সুপারমুন নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ভাষ্য, বাংলাদেশ থেকেও আজ রাতে সুপারমুন দেখা যাবে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে সব এলাকা থেকেই চাঁদের এ শোভা উপভোগ করতে পারবে মানুষ। বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যা সাতটা থেকে দেখা যাবে সুপারমুন।
সুপারমুন হলে কী হয়? এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এফ আর সরকার বলেন, সুপারমুন হলে চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। সাধারণ সুপারমুনের ক্ষেত্রে চাঁদ ১২ শতাংশ বড় ও ১৪ শতাংশ উজ্জ্বল দেখায়। কিন্তু এবারের সুপারমুন ১৪ শতাংশ বড় ও ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল দেখাবে। সুপারমুন হওয়ার সময় তীব্র জোয়ার-ভাটা প্রত্যক্ষ করা যাবে।
মহাজাগতিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ এ ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য মুখিয়ে আছেন জ্যোতির্বিদেরা। তাঁদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, চাঁদ পৃথিবীর নিকটতম স্থানে এলেই সুপারমুন দেখা যায়। প্রদক্ষিণরত চাঁদটি নিজের কক্ষপথে পৃথিবীর যত কাছে, ততই বেশি উজ্জ্বল ও বড় আকারে দৃশ্যমান হয়। ডিম্বাকার কক্ষপথের কারণে চাঁদের আকৃতি একেক সময় একেক রকম দেখায়।
জ্যোতির্বিদদের মতে, ১৯৪৮ সালের পর পৃথিবীর এতটা কাছে আসছে চাঁদ। যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার ভোরের দিকে এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সোমবার রাতে সুপারমুন দেখা যাবে। নাসার তথ্য অনুযায়ী, ফুল মুন বা পূর্ণিমা ঘটবে (১৩: ৫২ জিএমটি) বাংলাদেশ সময় ৭টা ৫২ মিনিটে। আজ চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব হবে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৮ কিলোমিটার।
আমাদের সৌরজগতের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ হচ্ছে পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ। পৃথিবীর বাইরে এখন পর্যন্ত চাঁদেই মানুষের পা পড়েছে। গবেষকদের মতে, মঙ্গল গ্রহের আকৃতির কোনো বস্তু পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায় চাঁদের উৎপত্তি হয়েছে।

সুপারমুন কী?
সুপারমুনের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ‘পেরিগি মুন’। পেরিগি অর্থ হচ্ছে ‘পৃথিবীর নিকটতম’। চাঁদ যখন পূর্ণ পূর্ণিমায় থাকে এবং বার্ষিক প্রদক্ষিণের সময় পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে, তখন একে সুপারমুন বলা হয়। পৃথিবীর কাছাকাছি আসায় এই চাঁদকে স্বাভাবিক পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় বড় ও বেশি উজ্জ্বল দেখায়।

41
Faculty Sections / সূর্যের চেয়েও গোল!
« on: March 12, 2017, 10:16:35 PM »


সূর্যের চেয়েও গোলাকার নক্ষত্রসূর্যের চেয়েও গোলাকার নক্ষত্র
আমাদের সৌরজগতে সবচেয়ে গোলাকৃতি বস্তু কোনটি? গবেষকেরা দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশের বিভিন্ন বস্তু ও গ্রহের কাঠামো নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁদের মতে, সৌরজগতের সবচেয়ে গোলাকৃতি সূর্যের। কিন্তু সম্প্রতি গবেষকেরা সূর্যের চেয়েও গোলাকার একটি নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন। পৃথিবী থেকে পাঁচ হাজার আলোকবর্ষ দূরের ওই নক্ষত্রকে গবেষকেরা নাম দিয়েছেন ‘কেপলার ১১১৪৫১২৩’। এটি আকারে সূর্যের দ্বিগুণ। জার্মানির ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ফর সোলার সিস্টেম রিসার্চ ও জিটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে নক্ষত্রটি প্রায় চার বছর পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকেরা।

42
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিদেরা একটি মৃতপ্রায় প্রবীণ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। পৃথিবী থেকে ২০৮ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ওই নক্ষত্রটি। এর নাম এল ২ পাপিস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই নক্ষত্রটি পর্যবেক্ষণের ফলে কয়েক বিলিয়ন বছরের মধ্যে সূর্য বুড়ো হলে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
গবেষকেরা বলছেন, ১০ বিলিয়ন বছর বয়স (এক বিলিয়ন সমান ১০০ কোটি) এল ২ পাপিস নক্ষত্রটির। পাঁচ বিলিয়ন বছর আগে এই নক্ষত্রটি ঠিক আজকের সূর্যের মতো ছিল।
বেলজিয়ামের কেইউ লিউভেন ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমির অধ্যাপক লিন ডেসিন বলেন, এখন থেকে পাঁচ বিলিয়ন বছর পরে আমাদের সূর্য লাল দানব (রেড জায়ান্ট) নক্ষত্রে রূপান্তরিত হবে। এ সময় সূর্যের আকার বর্তমানের চেয়ে শতগুণ বেড়ে যাবে।
অধ্যাপক ডেসিন বলেন, শক্তিশালী নাক্ষত্রিক ঝড়ে সূর্যের তীব্র ভর কমে যাবে। এর বিবর্তন-প্রক্রিয়ার শেষে সাত বিলিয়ন বছর পরে এটি ক্ষুদ্র সাদা বামন তারায় রূপান্তরিত হবে। এ সময় এটি পৃথিবীর মতো ছোট আকার ধারণ করবে। কিন্তু এটি হবে আরও ভারী। এই সাদা বামন তারার এক চা-চামচ উপাদানের ভর দাঁড়াবে প্রায় পাঁচ টন। এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সৌরজগতের গ্রহগুলোর ওপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। বৃহস্পতি, শুক্রের মতো গ্রহগুলো বিশাল নক্ষত্রের মধ্যে হারিয়ে যাবে এবং ধ্বংস হবে।
ডেসিন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে সূর্য আরও বড় ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। তাই এটি পৃথিবীকেও ধ্বংস করে ফেলবে।’
ডেসিন বলেন, পৃথিবীর পাথুরে অভ্যন্তর সূর্যের সেই লাল দানব দশায় টিকে থেকে সাদা বামন অবস্থা পর্যন্ত একে প্রদক্ষিণ করবে কি না, তা দেখার বিষয়। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জ্যোতির্বিদেরা এল ২ পাপিসকে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। পৃথিবী থেকে মাত্র ২০৮ আলোকবর্ষ দূরের এই নক্ষত্রটি মহাজাগতিক হিসেবে খুব কাছের।
গবেষকেরা পর্যবেক্ষণের সময় এল ২ পাপিসের ৩০ কোটি কিলোমিটারের মধ্যে একটি বস্তু দেখেছেন, যা ওই নক্ষত্রটিকে আবর্তন করছে। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব এর অর্ধেক। গবেষকেরা তাই ভাবছেন, নক্ষত্রটি পর্যবেক্ষণ করে পাঁচ বিলিয়ন বছর পরে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে তা জানা যাবে। তথ্যসূত্র: পিটিআই।

43


ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণী বা এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে বড় ধরনের একটি কর্মসূচি চালু হতে যাচ্ছে। এ প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে—বিজ্ঞানীদের এমন সতর্কবার্তার পরও যুক্তরাষ্ট্রে চালু হতে যাওয়া এই কর্মসূচির নাম ‘মেসেজিং এক্সট্রাটেরেসট্রিয়াল ইনটেলিজেন্স’ বা এমইটিআই। ২৭ ডিসেম্বর দ্য ইনডিপেনডেন্ট অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো মহাকাশে এমন বার্তা পাঠানো যাতে ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীরা সেই বার্তা বুঝতে পারে। এমইটিআই ২০১৮ সাল থেকে বার্তা পাঠানোর কাজ শুরু করবে। ভিনগ্রহের প্রাণীরা মানুষের সঙ্গে কবে নাগাদ যোগাযোগ করবে, তার অপেক্ষা না করে এই কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষই আগ বাড়িয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করবে। যার মধ্য দিয়ে ভিনগ্রহের প্রাণীদের মানুষের সংস্পর্শে আসার সুযোগ তৈরি হবে।

তবে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন যে এ ধরনের বার্তা পাঠানো মানবজাতির জন্য ভয়ংকর হতে পারে। এ ধরনের বার্তা দেওয়া হলে আমাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে সতর্ক হবে এলিয়েনরা। এটা আমাদের পুরোপুরি ধ্বংসের কারণ হতে পারে। এই সতর্কবার্তা দেওয়া বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন জগদ্বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্যার স্টিফেন হকিংও। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘এ ধরনের বার্তা পাঠানো হলে তা আমাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।’

চলতি বছরের শুরুর দিকে স্টিফেন হকিং বলেছিলেন, এলিয়েনদের পাঠানো যেকোনো ধরনের বার্তায় সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ‘সতর্ক’ হওয়া উচিত। যদি এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে, তবে তা হবে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের সঙ্গে আদিবাসী আমেরিকানদের প্রথম সাক্ষাতের মতো; যা মোটেই প্রীতিকর ছিল না।

মহাকাশে এ ধরনের বার্তা পাঠানো যাবে কি যাবে না বা বার্তা পাঠালেও কী ধরনের বার্তা পাঠানো যাবে, সে ব্যাপারে কোনো বিধিবিধান নেই। এর অর্থ এমইটিআই বা অন্য কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান চাইলেই কোনো আপত্তি ছাড়াই এ কাজ করতে পারে।

তবে এমইটিআইয়ের পেছনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা বলছেন, তাঁদের এ প্রচেষ্টা যদি সফল হয়, তবে এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ‘জানা ও তথ্য ভাগাভাগি’ করার পথ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হবে।

কীভাবে মহাবিশ্বের দূরবর্তী স্থানে বাস করা বুদ্ধিমান প্রাণীদের জন্য বোধগম্য বার্তা তৈরি করা যায়—এমইটিআইয়ের দলটি এখন সে ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করবে। মৌলিক গাণিতিক ও বৈজ্ঞানিক ধারণার ভিত্তিতে সম্ভবত তৈরি করা হবে প্রাথমিক বার্তা। কাজ শুরু করতে ১০ লাখ ডলারের তহবিল গঠনের আশা করছে সংগঠনটি। এর কিছু অর্থ ব্যয় হবে ভবন নির্মাণ বা মহাবিশ্বে বার্তা পাঠাতে শক্তিশালী ট্রান্সমিটার ভাড়া নেওয়ার জন্য।

এর আগেও বিজ্ঞানীরা মহাকাশে বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করেছেন। তবে সেসব বার্তা ভিনগ্রহের প্রাণীদের কাছে পৌঁছেছে কি না, সেটি নিশ্চিত নয়। তবে বেশির ভাগ বিজ্ঞানীরই ধারণা, এ বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত ব্যর্থ।

44
সয়াবিন তেল থেকে গ্রাফিন তৈরি করেছেন গবেষকেরা। যুগান্তকারী এই উদ্ভাবনের ফলে গ্রাফিন আরও বেশি বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিএসআইআরও) গবেষকেরা।

গ্রাফিন নামের পদার্থটি মাত্র এক পরমাণুসমান পাতলা। এটি ইস্পাতের চেয়ে ১০০ গুণ দৃঢ় এবং তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী হিসেবে অতি চমৎকার। গ্রাফিন আসলে বহুরূপী মৌল কার্বনের একটি ভিন্ন অবস্থামাত্র। এটি অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বকে আমূল বদলে দিতে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন গবেষকেরা। গ্রাফিন বর্তমান বিশ্বে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, সংবেদনশীল যন্ত্রাংশ, সৌরবিদ্যুৎ কোষ, ইন্টারনেটের গতিবৃদ্ধির প্রযুক্তি, চিকিৎসাপ্রযুক্তিসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে।

দুষ্প্রাপ্যতা এবং জটিল ও ব্যয়বহুল উৎপাদনপদ্ধতির কারণে গ্রাফিনের ব্যবহার সীমিত রয়েছে।

এর আগে গ্রাফিন কেবল নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে গ্যাসকে চাপ দিয়ে তৈরি করা হতো। এতে দীর্ঘ সময় উচ্চ তাপমাত্রা ও ভ্যাকুয়াম পদ্ধতি ব্যবহার করার প্রয়োজন ছিল।

এবার সিএসআইআরওর গবেষকেরা অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে ‘গ্রাফএয়ার’ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যাতে গ্রাফিন তৈরিতে উচ্চ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের দরকার পড়ে না। এতে সহজ ও দ্রুতগতিতে গ্রাফিন ফিল্ম তৈরি করা যায়।

সিএসআইআরওর গবেষক জাহো জুন হ্যান বলেন, গ্রাফিন তৈরিতে অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার প্রক্রিয়া সহজ, দ্রুতগতির ও নিরাপদ। এটি ব্যবহারবান্ধব। এতে গ্রাফিন তৈরির খরচ কমে যাবে। নতুন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বাড়বে।

গ্রাফএয়ার প্রযুক্তিতে সয়াবিন তেলের মতো নবায়নযোগ্য, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে একটি ধাপেই গ্রাফিন ফিল্ম পাওয়া গেছে। সয়াবিন থেকে যে দারুণ রূপান্তরযোগ্য গ্রাফিন পাওয়া গেছে, তা প্রচলিত গ্রাফিনের মতোই।

তাপে সয়াবিন তেল ভেঙে যায় এবং কার্বন তৈরির ইউনিট তৈরি করে, যা গ্রাফিন সংশ্লেষের জন্য প্রয়োজনীয়। গবেষকেরা অন্যান্য নবায়নযোগ্য ও বর্জ্য তেল ব্যবহার করেও গ্রাফিন ফিল্ম তৈরিতে সফল হয়েছেন।

গবেষক ডং হ্যান সিও বলেন, ‘আমরা এখন রিসাইকেল করা বর্জ্য তেলকেও কাজে লাগাতে পারব।’

গ্রাফিনের ব্যবহারে পানি পরিস্রাবণ এবং পরিশোধন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সেনসর, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ তৈরির মতো কাজ করা যাবে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিকস, যান্ত্রিক, থার্মাল ও অপটিক্যাল ব্যবহার রয়েছে। তথ্যসূত্র: পিটিআই।

45
ব্যাপারটা কেমন হতো যদি দিন শেষে ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে পকেটে থাকা মুঠোফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হতে শুরু করত? ঠিক এই কাজটাই করে দেখিয়েছেন ডিজনি রিসার্চের একদল বিজ্ঞানী। তাঁরা এমন এক যন্ত্র তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে কোনো ঘরে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রে তারহীন প্রযুক্তির মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে। এই প্রযুক্তিতে মানুষ কিংবা ঘরের অন্য আসবাবপত্রের কোনো ক্ষতি করবে না। গত সপ্তাহে প্রকাশিত প্লস ওয়ান জার্নালে নিজেদের গবেষণার অগ্রগতি সম্পর্কে লিখেছেন ডিজনি গবেষক ম্যাথিউ চ্যাবাল্কো, মহসিন শাহ মোহাম্মাদি ও অ্যালানসন স্যাম্পল।
তারহীন ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে আমাদের নিত্যদিনের বাস। কিন্তু তারহীন চার্জ করার প্রযুক্তি কার্যত ব্যবহারের সুযোগ নেই। কিছু কিছু মুঠোফোনে এই প্রযুক্তি থাকলেও সে ক্ষেত্রে চার্জিং অ্যাডাপ্টর ও মুঠোফোন একসঙ্গে রাখতে হয়।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 20