31
You need to know / সঞ্চয়পত্র কি এবং সঞ্চয়পত্র ক্রয় করার নিয়ম
« on: October 03, 2017, 10:53:47 AM »
সঞ্চয়পত্র কি এবং সঞ্চয়পত্র ক্রয় করার নিয়ম
জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের অধীনে বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র প্রচলিত আছে। এতে বাংলাদেশের নাগরিকেরা বিনিয়োগ করতে পারেন। সরকারি হওয়ায় এগুলোকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চার ধরনের সঞ্চয়পত্র হচ্ছে: পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
১। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
নাম দেখেই বুঝতে পারছেন এই সঞ্চয়পত্রের ম্যাচিউরিটির সময়কাল হচ্ছে ৫ বছর। তবে আপনি চাইলে যেকোন সময়ই আপনার টাকা তুলে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে মুনাফার হার একটু কমে আসবে।
যদি একজনের নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা জমা রাখতে পারবেন। আর যদি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা জমা রাখতে পারবেন। আপনি চাইলে যে কেউকে নমিনী করতে পারেন বা যতজন ইচ্ছা ততজনকে নমিনী করতে পারেন।
২। পেনশনের সঞ্চয়পত্র
পেনশনের সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে আপনার বয়স অবশ্যই ৫৫ বছর হতে হবে এবং সরকারি অথবা আধা-সরকারি দপ্তরে চাকরি করতে হবে। আপনি যদি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হন তাহলে আপনার চাকরিকাল অবশ্যই ২০ বছর বা তার বেশি হতে হবে। এই সঞ্চয়পত্রের মেয়াদকালও ৫ বছর। এবং এক্ষেত্রেও আপনি চাইলেই যেকোন সময় টাকা তুলে নিতে পারেন।
সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকার সঞ্চয় কিনলে প্রতি তিনমাস পর পর মুনাফা পবেন প্রতি ১ লাখ টাকায় ৫০ টাকা। সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ৫% হারে ট্যাক্স কেটে নেয়া হবে আপনার মুনাফা থেকে।
৩। তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
তিনমাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে হবে এবং আপনি একা সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হলে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। তিন বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রেও আপনি যেকোন সময় টাকা তুলে ফেলতে পারবেন।
৪। পরিবার সঞ্চয়পত্র
এই সঞ্চয়পত্র শুধুমাত্র একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীই কিনতে পারেন। পাঁচবছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় কেনা যাবে। প্রতি তিনমাস পর পর ১১২০ টাকা হারে মুনাফা পাওয়া যাবে; প্রতি ১ লাখ টাকায় ৮৩ টাকা মুনাফা পাওয়া যায়। এই সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেও আপনি যেকোন সময় টাকা তুলে ফেলতে পারবেন।
ক্রয়সীমা: পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ টাকা এবং যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। পরিবার সঞ্চয়পত্র একক নামে ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ ও যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা একক নামে ৫০ লাখ টাকা।
কীভাবে কিনতে হয়: বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিস, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীন সারাদেশে ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো অফিস এবং পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্র কিনতে পাওয়া যায়। নগদ টাকা ও চেকের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। ক্রেতা ও নমিনির দুই কপি পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি লাগে। জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের নম্বর অন্তর্ভুক্তির জন্য মূল কপি দেখাতে হয়।
Source: https://goo.gl/XscqHs
জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের অধীনে বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র প্রচলিত আছে। এতে বাংলাদেশের নাগরিকেরা বিনিয়োগ করতে পারেন। সরকারি হওয়ায় এগুলোকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চার ধরনের সঞ্চয়পত্র হচ্ছে: পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
১। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
নাম দেখেই বুঝতে পারছেন এই সঞ্চয়পত্রের ম্যাচিউরিটির সময়কাল হচ্ছে ৫ বছর। তবে আপনি চাইলে যেকোন সময়ই আপনার টাকা তুলে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে মুনাফার হার একটু কমে আসবে।
যদি একজনের নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা জমা রাখতে পারবেন। আর যদি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা জমা রাখতে পারবেন। আপনি চাইলে যে কেউকে নমিনী করতে পারেন বা যতজন ইচ্ছা ততজনকে নমিনী করতে পারেন।
২। পেনশনের সঞ্চয়পত্র
পেনশনের সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে আপনার বয়স অবশ্যই ৫৫ বছর হতে হবে এবং সরকারি অথবা আধা-সরকারি দপ্তরে চাকরি করতে হবে। আপনি যদি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হন তাহলে আপনার চাকরিকাল অবশ্যই ২০ বছর বা তার বেশি হতে হবে। এই সঞ্চয়পত্রের মেয়াদকালও ৫ বছর। এবং এক্ষেত্রেও আপনি চাইলেই যেকোন সময় টাকা তুলে নিতে পারেন।
সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকার সঞ্চয় কিনলে প্রতি তিনমাস পর পর মুনাফা পবেন প্রতি ১ লাখ টাকায় ৫০ টাকা। সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ৫% হারে ট্যাক্স কেটে নেয়া হবে আপনার মুনাফা থেকে।
৩। তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
তিনমাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে হবে এবং আপনি একা সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হলে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। তিন বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রেও আপনি যেকোন সময় টাকা তুলে ফেলতে পারবেন।
৪। পরিবার সঞ্চয়পত্র
এই সঞ্চয়পত্র শুধুমাত্র একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীই কিনতে পারেন। পাঁচবছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় কেনা যাবে। প্রতি তিনমাস পর পর ১১২০ টাকা হারে মুনাফা পাওয়া যাবে; প্রতি ১ লাখ টাকায় ৮৩ টাকা মুনাফা পাওয়া যায়। এই সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেও আপনি যেকোন সময় টাকা তুলে ফেলতে পারবেন।
ক্রয়সীমা: পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ টাকা এবং যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। পরিবার সঞ্চয়পত্র একক নামে ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ ও যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা একক নামে ৫০ লাখ টাকা।
কীভাবে কিনতে হয়: বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিস, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীন সারাদেশে ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো অফিস এবং পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্র কিনতে পাওয়া যায়। নগদ টাকা ও চেকের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। ক্রেতা ও নমিনির দুই কপি পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি লাগে। জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের নম্বর অন্তর্ভুক্তির জন্য মূল কপি দেখাতে হয়।
Source: https://goo.gl/XscqHs