Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - ariful892

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 36
31
সঞ্চয়পত্র কি এবং সঞ্চয়পত্র ক্রয় করার নিয়ম

জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের অধীনে বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র প্রচলিত আছে। এতে বাংলাদেশের নাগরিকেরা বিনিয়োগ করতে পারেন। সরকারি হওয়ায় এগুলোকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চার ধরনের সঞ্চয়পত্র হচ্ছে: পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
 
১। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
নাম দেখেই বুঝতে পারছেন এই সঞ্চয়পত্রের ম্যাচিউরিটির সময়কাল হচ্ছে ৫ বছর। তবে আপনি চাইলে যেকোন সময়ই আপনার টাকা তুলে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে মুনাফার হার একটু কমে আসবে।
যদি একজনের নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা জমা রাখতে পারবেন। আর যদি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা জমা রাখতে পারবেন। আপনি চাইলে যে কেউকে নমিনী করতে পারেন বা যতজন ইচ্ছা ততজনকে নমিনী করতে পারেন।
 
২। পেনশনের সঞ্চয়পত্র
পেনশনের সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে আপনার বয়স অবশ্যই ৫৫ বছর হতে হবে এবং সরকারি অথবা আধা-সরকারি দপ্তরে চাকরি করতে হবে। আপনি যদি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হন তাহলে আপনার চাকরিকাল অবশ্যই ২০ বছর বা তার বেশি হতে হবে। এই সঞ্চয়পত্রের মেয়াদকালও ৫ বছর। এবং এক্ষেত্রেও আপনি চাইলেই যেকোন সময় টাকা তুলে নিতে পারেন।
 
সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকার সঞ্চয় কিনলে প্রতি তিনমাস পর পর মুনাফা পবেন প্রতি ১ লাখ টাকায় ৫০ টাকা। সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ৫% হারে ট্যাক্স কেটে নেয়া হবে আপনার মুনাফা থেকে।
 
৩। তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
তিনমাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে হবে এবং আপনি একা সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হলে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। তিন বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রেও আপনি যেকোন সময় টাকা তুলে ফেলতে পারবেন।
 
৪। পরিবার সঞ্চয়পত্র
এই সঞ্চয়পত্র শুধুমাত্র একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীই কিনতে পারেন। পাঁচবছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় কেনা যাবে। প্রতি তিনমাস পর পর ১১২০ টাকা হারে মুনাফা পাওয়া যাবে; প্রতি ১ লাখ টাকায় ৮৩ টাকা মুনাফা পাওয়া যায়। এই সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেও আপনি যেকোন সময় টাকা তুলে ফেলতে পারবেন।
 
ক্রয়সীমা: পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ টাকা এবং যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। পরিবার সঞ্চয়পত্র একক নামে ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ ও যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা একক নামে ৫০ লাখ টাকা।
 
কীভাবে কিনতে হয়: বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিস, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীন সারাদেশে ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো অফিস এবং পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্র কিনতে পাওয়া যায়। নগদ টাকা ও চেকের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। ক্রেতা ও নমিনির দুই কপি পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি লাগে। জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের নম্বর অন্তর্ভুক্তির জন্য মূল কপি দেখাতে হয়।


Source: https://goo.gl/XscqHs

32
প্রতিটি ব্যর্থতা অধিকতর জ্ঞানী ও শক্তিশালী হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়। আজ চলুন দেখা যাক কয়েকটি ধাপে ব্যর্থতাকে কীভাবে জয় করবেন।

১. ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বের করুন

আপনি নির্দিষ্ট গোল, লক্ষ্য থেকে কেন ছিটকে পড়েছেন? এটা কি প্রতিরোধ করা যায় না? নিশ্চয় যায়। প্রথমত আপনি এর সহজ সমাধান খুঁজে বের করুন। উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করুন এবং ফলাফল বিবেচনা করুন। আপনার প্রত্যাশা এখনো কি অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে? তাহলে আপনার কাছের মানুষদের কাছে, দলের সবার কাছে এ সম্পর্কে বলুন।

আপনি যদি আপনার প্রত্যাশিত কাজ করতে ব্যর্থ হন আপনার সুপারভাইজারের সাথে আলোচনা করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিক সমাধান না পাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যে কাজে ব্যর্থ হয়েছেন সেখান থেকে কিছু নতুন ধারণা, প্রশ্ন এবং ভবিষ্যতে কীভাবে উন্নতি করবেন তা বের করে আনুন। আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ বাছাই করতে ব্যর্থ হলে অনলাইন থেকে এমন কয়েকজনকে খুঁজে বের করুন যারা উক্ত কাজে সফল হয়েছে। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কি আপনার থেকে বেশি? অনেক বছরের অভিজ্ঞতা? তারা কি বিশেষ কোন সময়ে কার্যক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে?

আপনি প্রেমে ব্যর্থ হয়ে থাকলে নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনার সঙ্গীর উপর অস্বাভাবিক প্রত্যাশা কিংবা চাপ চাপিয়ে দিয়েছিন কিনা। আপনি কি বুঝতে চেয়েছেন ভালোবাসা সম্পর্কে আপনার সঙ্গীর মতামত? আপনি কি তার বন্ধুত্ব ও কাজকে সাপোর্ট করেছেন?

২. নির্দিষ্ট গোল সেট করুন

অতীতে ব্যর্থ হয়ে থাকলে ভবিষ্যতের জন্য কিছু বাস্তববাদী গোল সেট করুন। এবং সে অনুযায়ী কাজ করুন। পরবর্তীতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান? কোন কাজগুলো বাছাইকরণের মাধ্যমে আপনি সফলতা লাভ করবেন তা খুঁজে বের করুন।
প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সামনে অগ্রসর হোন। বার বার ব্যর্থতা আসতেই পারে। ভেঙে না পড়ে সামনের পথে অগ্রসর হোন। সাপ্তাহিক, মাসিক, বাৎসরিক কাজগুলোকে ভাগ করে নিন। নিজের স্বপ্নের কথা একটি ডায়েরীতে লিখে ফেলুন। প্রথম ছয় মাসে আপনি কী কী অর্জন করতে চান, পরবর্তী ছয় মাসে কী কী অর্জন করতে চান, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নিজেকে কোথায় দেখতে চান সেইসব নিজস্ব ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। প্রত্যাশা অনুযায়ী পরিশ্রম করতে থাকুন। মনে রাখবেন, পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি।

৩. মানসিক বৈপরীত্য অনুশীলন করুন

কল্পনা করুন বাস্তবতার সাথে মিল রেখে। প্রথমত আপনার প্রত্যাশিত কাজটি খুঁজে বের করুন যা স্বাচ্ছ্যন্দের সাথে করতে পারবেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে সফলতার ভবিষ্যত পরিকল্পনা করে ফেলুন। সফলতার পথে কোন কোন পরাজয় বা ব্যর্থতা আসতে পারে তা আগে থেকে চিন্তা করে রাখুন। সার্বিক দিক বিবেচনা করে যদি বুঝতে পারেন আপনার লক্ষ্য বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় তাহলে অকল্পনীয় লক্ষ্য থেকে বেরিয়ে এসে বাস্তবিক এবং অর্জনযোগ্য লক্ষ্যের দিকে ফোকাস করুন।

৪. পদ্ধতি বা পন্থা পরিবর্তন করুন

একবার ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে একই পথে না হেঁটে অন্য পন্থা অবলম্বন করুন। নতুনত্ব নিয়ে আসুন চিন্তায় এবং কাজে। একই ভুল বার বার করা থেকে বিরত থাকুন। ভুল থেকে শিক্ষা নিন। নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনার উদ্দেশ্য, লক্ষ্য সঠিক আছে কিনা, যে সকল সমস্যা উদ্ভূত হবে তা সমাধান করতে পারবেন কিনা, ঝুঁকি নিতে আপনি প্রস্তুত কিনা ইত্যাদি। ব্যবসায়ে সফল হতে হলে ঝুঁকি নিতে হবে। কথিত আছে, “No risk No gain”

৫. আবার চেষ্টা করুন

সফল হতে হলে প্রয়োজন অদম্য চেষ্টার। আপনার নতুন গোল, নতুন পরিকল্পনা নিয়ে অবিরাম কাজ করে যান। তবে কাজ শুরু করে তার কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সফলতার কথা চিন্তা করবেন না। এটা বোকামী ছাড়া অন্য কিছু নয়। সফলতার জন্য নির্দিষ্ট সময় প্রয়োজন। কৃষক যখন নির্দিষ্ট সময়ে জমিতে বীজ বপন করে তেমনি একটি নির্দিষ্ট সময়ে ফসল ঘরে তোলেন, একটি শিশু জন্মের সাথে সাথেই হাঁটতে পারে না। হাঁটার জন্য উপযুক্ত বয়সের প্রয়োজন হয়। তাই আপনাকে চূড়ান্ত সফল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং অবিরাম পরিশ্রম করে যেতে হবে।

সফলতার পথে পথে পরাজয় বিছানা পেতে থাকবে তা স্বাভাবিক। ব্যর্থতাকে জয় করে সামনে অগ্রসর হলেই প্রকৃত অর্থে সফল হওয়া যায়। জীবনে ব্যর্থতা থাকবেই। তাই বলে হাল ছেড়ে বসে থাকলে চলবে না। নতুন করে শুরু করতে হবে এবং কাজে সফল হওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।


Source: http://youthcarnival.org/bn/how-to-overcome-failure/

33
২০টি টিপস আপনাকে সফল উদ্যোগক্তা করে তুলবে

উদ্যেক্তা হওয়ার ইচ্ছেটা প্রত্যেকের মাথাতেই থাকে। সবাই চায় একজন ভালো ব্যবসা সফল উদ্যেক্তা হতে। কিন্তু সবাই কি এতে সফল হয়? সবাই কি লক্ষে পৌছাতে পারে? উদ্যেক্তা হওয়ার স্বপ্ন কি সবার পূর্ণ হয়?

আপনি যদি একজন উদ্যেক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। নিচের পঞ্চাশটা কাজ আপনার জন্য। দেখুনতো একজন উদ্যেক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিচের কাজ গুলোকে অভ্যাসে পরিবর্তন করতে পারেন কি না!


১) আপনি কখনো থেমে থাকতে পারবেন না। প্রতিনিয়ত আপনাকে নতুন নতুন প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে কাজ করতে হবে।

২) আপনি নতুন নতুন আইডিয়ার জন্ম দিতে চেষ্টা করুণ  খারাপ কিংবা ভালো। আইডিয়া উপস্থাপন এবং ঐগুলোকে নিয়ে কাজ করা থামাতে পারবেন না।

৩) তুচ্ছ এবং ছোট ছোট আইডিয়া নিয়ে কাজ করুন। যা আপনার মাঝে প্রাকৃতিক ভাবে আসবে।

৪) সফল উদ্যেক্তাদের দেখে বিস্ময় প্রকাশ করুন। স্টিভ জবস, রিচার্ড ব্রানসন, বিল গেটস এবং মার্ক জুকারবার্গদের মতদের হিরু হিসেবে মনে স্থান দিন।

৫) ছোট খাট ব্যবসা উদ্যেগ গুলোতে যখন সফল হবে তখন কিছুটা এক্সাইটেড থাকুন। সাধারন পার্টি বা অনুষ্ঠান করে উপভোগ করুন।

৬) নতুন কিছু শিখতে ভালোবাসোন। আপনার কাজের ব্যাপারে যত রকম দিক নির্দেশনা পান তা সব আয়ত্ব করার চেষ্টা যেন সব সময় থাকে।

৭) কিভাবে বিভিন্ন জিনিস গুলো কাজ করে তা জানতে উৎসাহী হোন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, একটা রিমোট, টিভি কিংবা মোবাইল ফোনের ওয়ার্কিং প্রসেসটা কী রকম সেটা জানুন।

৮) বেশি সম্পদের স্বপ্ন দেখুন। টাকা সব কিছু নয়। তবে সব কিছুকে সহজ ভাবে উপস্থাপনের জন্য টাকার প্রয়োজন রয়েছে।

৯) কোনো কিছু থেকে সহজেই মুখ ফিরিয়ে নিবেন না।  বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হোন। হাল ছেড়ে দেয়া চলবে না।

১০) কঠিন কোনো কাজ করতে কখনো ভয় পাওয়া চলবে না।  পুরো জীবনটাই নিজের কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন।

১১) যে কোনো কাজে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নেয়ার চেষ্টা করুন। তবে তা অবশ্যই যেন প্রয়োজনীয়তার খাতিরে হয়।

১২) বিভিন্ন মানুষের সাথে আপনার কাজের ব্যাপারে কথা বলুন। সহজ এবং ফলপ্রসু হবে।

১৩) বারবার নিজের ব্যর্থতা গুলো থেকে ফিরে আসুন। ব্যর্থতা কখনোই আপনাকে থামিয়ে রাখতে যেন না পারে। বরং ব্যর্থতা গুলো যেন অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনার সামনে উপস্থিত হয়ে।

১৪) নিজের জন্য একটা লক্ষ স্থির করুন। ছোট কিংবা বড় যে কোনো লক্ষই আপনাকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে।

১৫) যতটুকু পারা যায় মানুষকে সাহায্য করুন। প্রত্যেককে সাহায্য করার ব্যাপারে উৎসাহী হোন।

১৬) নিজের প্রত্যেকটা কাজে চ্যালেঞ্জ খুজুন। চ্যালেঞ্জ গুলো মোকাবেলা করে তার থেকে সুযোগ গুলো বের করে আনুন।

১৭) মানুষকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করুন। কেননা অনুপ্রাণিত হওয়ার প্রধান কৌশল হচ্ছে অনুপ্রাণিত করা।

১৮) ছোট বড় প্রত্যেকটা কাজের আগে পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি নিন। এতে করে কাজের মাঝে কখনো বাধা প্রাপ্ত হবেন না। হলেও তা থেকে সহজেই নিজেকে উত্তোলিত করতে পারবেন।

১৯) প্রত্যেকটা কাজের জন্য সময়সীমা নির্ধারন করে নিন। এর জন্য কোনো অজুহাত নয়।

২০) নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করুন। আপনি তেমনই যেমন আপনি হতে চান।


Source: https://goo.gl/2TofWm

34
১০ দিনেই ঝরে যাবে পেটের মেদ!


ওজন কমানোর জন্য মরিয়া, কিন্তু কোনভাবেই ওজন কমাতে পাড়ছেন না। এরকম মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম না। আবার কঠিন কঠিন ডায়েট পরিকল্পনাও কাজে দিচ্ছে না, এমন মানুষের অভাব নেই। তাই মজাদার খাবার খেয়েই ওজন কমানোর চেষ্টা এবার কাজে লাগতে পারে।

ওজন কমানোর সময়ে সবথেকে বেশি সমস্যা হল পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে। পেটের মেদ যেন কিছুতেই কমতে চায় না। আর সবথেকে তাড়াতাড়ি মেদ জমে যায় এই পেটেই। সারাদিন জিম আর যোগব্যায়াম করে চলে পেটের মেদ কমানোর প্রচেষ্টা। কিন্তু আপনার ঘরেই রয়েছে এমন এক পানীয়, যা খেলে মাত্র ১০ দিনেই কমে যাবে পেটের মেদ।

আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই আদা এবং জিরা থাকে। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরেরও অনেক উপকার করে আদা। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তাড়াতাডি খাবার হজম করার জন্য ব্যবহার করা হয় আদা। জিরারও উপকারী গুণাগুণ অনেক। কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখে এবং অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিও আটকায়। এবার সেই আদা আর জিরা দিয়ে তৈরি পানীয় দিয়েই মাত্র ১০ দিনে কমিয়ে ফেলতে পারবেন পেটের মেদ।

আসুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে এই যাদুকরী পানীয় তৈরি করে নেয়া যাবে-

এক চামক জিরা এবং এক টুকরো আদা ৫০০ মিলিলিটার জলে দিয়ে ভালো করে ফোটান। যতক্ষণ না জলটা অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ। আপনি চাইলে স্বাদের জন্য তাতে দারুচিনি এবং লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন। টানা ১০ দিন এই পানীয় পান করুন। নিজের চোখেই ফলাফল দেখতে পাবেন।


Source: http://bd24live.com/bangla/article/1505239320/140786/index.html

36
বাথরুমে ঢুকলেন, মাথায় পানি ঢাললেন, শ্যাম্পু দিলেন, আর ব্যস হয়ে গেল! দীর্ঘদিন ধরে যদি এই নিয়ম চালাতে থাকেন, তাহলে টাক পড়া থেকে আপনাকে কেউ বাঁচাতে পারবেন না৷ তবে বলি কি? একবার চোখ বুলিয়ে নিন, দেখে নিন কীভাবে শ্যাম্পু করলে চুল থাকবে ভালো-

১। প্রতিদিন শ্যাম্পু না করে ২ দিন অন্তর শ্যাম্পু করুন।

এতে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া বা ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। আবার চুলের উজ্জ্বলতাও ঠিক থাকবে।

২। শ্যাম্পু করার মাঝে খুব বেশি কিছুদিন গ্যাপ দেওয়াও ঠিক নয়। এতে ময়লা জমে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে আবার চুল পড়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আপনার চুলের স্বাস্থ্যে ও ধরণ বুঝে সঠিক ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু বাছাই করুন।

৩। শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ে নিন ও পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিবেন।

৪। শ্যাম্পু করার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি নির্দিষ্ট পরিমাণ শ্যাম্পুর সাথে মিক্স করে ব্যবহার করুন যাতে ফেনা বেশি হয় আর চুলের গোঁড়ায় শ্যাম্পু ভালোভাবে যায়।

৫। ফেনাযুক্ত চুল হালকা ভাবে আস্তে আস্তে ঘসতে থাকুন আর আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ঠিকঠাক ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট আঙুল এর ডগা দিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাসাজা করুন। এভাবে শ্যাম্পু করলে আপনার মাথার তালুতে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হবে।

৬। মোটা দাতেঁর চিরুনি দিয়ে চুল আস্তে আস্তে আঁচড়াবেন যাতে চুলের সঙ্গে জমে থাকা ময়লা উঠে যায়।

৭। শ্যাম্পু করার জন্য অবশ্যই সবসময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন। গরম পানি আপনার চুলের গোড়া নরম করে ফেলে চুল পড়া সমস্যা তৈরি করবে।
দরকার হলে একই সঙ্গে ২য় বার শ্যাম্পু করুন। তবে ২য় বার শ্যাম্পু করা ভাল কারণ, চুলের গোড়ায় ম্যাসাজের ফলে সিরাম নামক এক ধরণের তেল বের হয় যা ২য় বার শ্যাম্পুর ফলে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৮। চুলকে উজ্জ্বল, নরম আর ফুরফুরে রাখতে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। অবশ্যই ব্রান্ডের বিশ্বস্ত কন্ডিশনার চুলে হালকা ভাবে লাগিয়ে একটু সময় অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা ও বেশি পরিমাণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৯। ভিজা চুল বেশিক্ষণ রাখবেন না। চুল মোছার জন্য পরিস্কার নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন।

১০। যতটা কম সম্ভব হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন। ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নেওয়াটাই সবচেয়ে ভাল


Source: http://dktime24.com/news/lifestyle/1227/

37
হৃদরোগে ভয় পাবেন না, লাইফস্টাইলে সামান্য পরিবর্তন আনুন, সুস্থ্য থাকবেন


38
আর্থিক লেনদেনে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বড় ধরনের কেনাকাটায় সঙ্গে থাকা ক্রেডিট কার্ডটি বেশ কাজে আসে। তবে অনেকের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে একধরনের ভীতি কাজ করে। তারা ভাবে, এটা শেষে ব্যয়ের ফাঁদই হয়ে দাঁড়ায় কি না! ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে এখানে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

দ্রুত লেনদেন
ধরুন, বেশ দামি কোনো জিনিস কিনতে চাইছেন। একসঙ্গে এত টাকা জোগাড় করতে পারছেন না। কারও কাছে ধারও করতে পারছেন না। এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে কাজে দেয় ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার। এর মাধ্যমে পণ্যটি চট করে কিনে কয়েক মাস ধরে মূল্য পরিশোধ করা যায়। এতে ঋণের বোঝা খুব বেশি মনে হয় না। এ ক্ষেত্রেও নিজের বিচার-বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হবে। সময়সীমা অনুযায়ী মূল্য পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে হয়তো জরিমানা গুনতে হতে পারে।

সুরক্ষা
বলা হয় নগদ, ডেবিট কার্ড ও চেক ব্যবহারের চেয়ে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি নিরাপদ। আপনার কার্ডটির ভুলত্রুটি বা জালিয়াতি হলে কিংবা চুরি হলে আপনি আপনার অর্থ ফেরত পাবেন।
ধরুন, আপনার কার্ডটি চুরি হয়ে গেল। কেউ টাকা তুলে নিল। এসব ক্ষেত্রে অভিযোগ করলে কার্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান পুরো অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকে। যথাযথ প্রমাণ দিয়ে দ্রুত অর্থ ফেরত পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে একটি ছোট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কার্ডের পিন নম্বরটি মনে রাখতে হবে। নম্বরটি লিখে নিজের কাছে কখনো রাখা যাবে না।

ঋণের সুবিধা
কিছু ক্রেডিট কার্ড, বিশেষ করে বিদেশে শূন্য শতাংশ সুদে ঋণ দেয়। এসব ক্ষেত্রে মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করতে হয়, যা বেশ সুবিধাজনক। আবার কোনো কোন কার্ডে ঋণে সুদের হার অনেক থাকে। এ ক্ষেত্রেও একটা সুবিধা আছে। বোঝা এড়াতে দ্রুত ঋণ পরিশোধ করা হয়। নিজস্ব ঋণ থাকে না।

ব্যয়ের সঙ্গে আয়
ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়। যেমন: ‘ক্যাশ ব্যাক অফার’, ‘স্পেশাল ডিসকাউন্ট’। দেশের বাইরে বেড়াতে গেলে, হোটেলে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারে অনেক সময়ই মূল্যছাড় দেওয়া হয়। প্লেনের টিকিট কাটতেও অনেক সময় পাওয়া যায় বিশেষ মূল্যছাড়।

পরিবর্তনযোগ্য
ধরুন, আপনি একটি অফারের ক্রেডিট কার্ড নিয়েছেন। কার্ডটি ব্যবহারে ঋণের বোঝা বেশি মনে হলে এটি পরিবর্তন করে অন্য অফারের কার্ড নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে হয়তো সামান্য অর্থ বেশি লাগতে পারে। তবে তা লাভজনকই হয়।

ঋণের ফাঁদ
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার সব সময়ই একটি ঋণ নেওয়ার মাধ্যম। আপনি এখন কিনছেন, পরে অর্থ পরিশোধ করতেই হবে। একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। আপনি সময়মতো ঋণ পরিশোধ না করলে ঋণ বাড়তেই থাকবে।

লুক্কায়িত ব্যয়
সুদের হার পরিশোধই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের একমাত্র ব্যয় নয়। সময়মতো মাসিক মূল্য পরিশোধ না করলে আপনাকে জরিমানা গুনতে হতে পারে। ক্রেডিটে যে ব্যবহারের সীমা থাকে, সেটা অতিক্রম করলেও একটা নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ, সময়জ্ঞান না থাকলে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশ বিপজ্জনক। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে নগদ অর্থ তুলতে এর জন্য নির্দিষ্ট হারে ফি দিতে হতে পারে।

সঠিক কার্ডটি চেনা
সঠিক কার্ডটি বেছে নেওয়া জরুরি। আপনার জন্য যা সুবিধাজনক। একটি ভুল কার্ড দিনের পর দিন ব্যবহার করলে ঋণের বোঝা কেবল বাড়তেই থাকবে। তবে এটা বুঝতে পুরো শর্তাবলি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কোনটা নিজের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা বেছে নিতে হবে।

Source: https://goo.gl/moszcQ

39
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিঃসন্দেহে অনেক সুবিধে দেয়। কিন্তু, সেটা নির্ভর করে পুরোটাই আপনার ব্যবহারের উপরে! তাই, ঠিক মতো ব্যবহার না করতে জানলে ওই ক্রেডিট কার্ড আপনাকে ফেলতে পারে নানা সমস্যায়। অতএব, কোন কোন ক্ষেত্রে ভুলেও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন না, জেনে নিন কয়েক ঝলকে। সঙ্গে খেয়াল রাখুন, কখন ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার আপনাকে সুবিধে দিতে পারে।

কখন ব্যবহার করতে পারেন ক্রেডিট কার্ড :

খুব দামি কিছু কেনার সময়ে : খুব দামি কিছু জিনিস ক্রেডিট কার্ডে কিনলে আপনার লাভ দুরকমের। এক তো খুব সহজেই জিনিসটার শিপমেন্ট ট্র্যাক করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, যদি জিনিসটা ফেরত দিতে চান, সেই সংক্রান্ত লেনদেনও অনেক সহজ করে দেয় ক্রেডিট কার্ড। তা ছাড়া, মাঝে মাঝেই ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটার উপরে বড়সড় ছাড় পাওয়া যায়। সেটার কথাও ভুলে যাওয়া উচিত নয়।

ঘোরাঘুরির কাজে : কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে হোটেল বুকিং-সংক্রান্ত কাজে মন খুলে ব্যবহার করতেই পারেন আপনার ক্রেডিট কার্ড। কেন না, কিছু কিছু ব্যাঙ্কের সঙ্গে অনেক সংস্থার একটা গাঁটছড়া থাকে। ফলে, সেই সব ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়া যায়। সেটা যেমন টাকা বাঁচাবে, তেমনই অতিরিক্ত ডিসকাউন্টও মিলতে পারে।

অনলাইন শপিং-এ : অনলাইন শপিং-এ ডেবিট কার্ডের বদলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কেন না, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলে আপনর অ্যাকাউন্ট থেকে সঙ্গে সঙ্গে টাকা কাটা যায়। এবার কোম্পানি যদি ভুলভাল হয়, তবে আপনার টাকা ফেরত পাওয়ার কোনও আশা থাকে না। কিন্তু, ক্রেডিট কার্ডে এভাবে ঠকে যাওয়ার সুযোগ নেই।

কখন ব্যবহার করবেন না ক্রেডিট কার্ড:

টাকা তোলার ক্ষেত্রে: খুব বেশি টাকা তোলার দরকার হলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার না করা-ই বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত হবে। ক্রেডিট কার্ডে টাকা তুললে একটা ট্র্যানজ্যাকশন ফি লাগে। সেটার পরিমাণ যত টাকা তুলছেন, তার ২.৪ শতাংশ। এবার বরং নিজেই ভাবুন লোকসানের বহরটা! ফলে, এসব ক্ষেত্রে ডেবিট কার্ড বা চেক ব্যবহার করাটাই ভাল।

ক্যাশ পেমেন্টে ভাল ছাড় পেলে : অনেক সময়েই নানা দোকানে ক্যাশ পেমেন্টের উপরে নানা সুবিধা পাওয়া যায়। সে সব ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার কোনও মানেই হয় না!

প্রবাসে : অনেক সময়ে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে গেলে বড়সড় একটা ট্র্যানজ্যাকশন ফি লাগে। সেটা এড়ানোই কি ভাল নয়?

মেলায় : কোনো মেলা বা প্রদর্শনী থেকে কেনাকাটা করার সময়ে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার না করাই ভাল। কেন না, এগুলো সব সময়েই অস্থায়ী দোকান। তাই, ঠকে গেলে জিনিস ফেরত তো দিতে পারবেনই না, উল্টে ট্র্যানজ্যাকশন ফি-টা বেকার যাবে! তাই একটু ভেবে দেখুন!

Source: http://www.theengineersbd.com/full_news.php?sl=1515

40
হঠাৎ প্রেসার বেড়ে বা কমে গেলে খুব দ্রুত যা করবেন এবং খাবেন – হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সঠিক খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে এর থেকে দূরে থাকা সম্ভব। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য এমন সব খাবারের পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে থাকবে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।

কারণ খাদ্যের এসব উপাদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। কম চর্বিযুক্ত দুধ বা চর্বিবিহীন দুধ বা দুধজাত খাদ্য যেমন দই ইত্যাদিতে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম।

তাজা ফল যেমন আপেল, কলা আর শাকসবজি হচ্ছে পটাশিয়ামের ভালো উৎস। টমেটোতেও আছে বেশ পটাশিয়াম।

বেশি ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় দানা শস্য বা গোটা শস্য, বিচি জাতীয় খাবার, বাদাম, শিমের বিচি, ডাল, ছোলা, লাল চালের ভাত, লাল আটা, আলু, সবুজ শাকসবজি, টমেটো, তরমুজ, দুধ ও দই ইত্যাদিতে।

১. কম চর্বিযুক্ত দুধ বা চর্বিবিহীন দুধ বা দুধজাত খাবার প্রতিদিন খেতে হবে ২ থেকে ৩ সার্ভিং। এক সার্ভিং দুধ বা দুধজাত খাবার মানে আধা পাউন্ড বা এক গ্লাস দুধ অথবা এক কাপ দই।

৩. ফল ৪ থেকে ৫ সার্ভিং প্রতিদিন। টুকরো টুকরো করে কাটা আধা কাপ ফল কিংবা মাঝারি সাইজের একটা আপেল বা অর্ধেকটা কলা অথবা আধা কাপ ফলের রস এতে হবে ফলের এক সার্ভিং। ফলের রসের চেয়ে আস্ত ফলই ভালো।

৪. শাকসবজি প্রতিদিন প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ সার্ভিং। শাকসবজির এক সার্ভিং মানে এক কাপ কাঁচা শাক বা আধা কাপ রান্না করা শাক।

৫. দানা শস্য প্রতিদিন দরকার ৭ থেকে ৮ সার্ভিং। দানা শস্যের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক স্লাইস রুটি অথবা আধাকাপ ভাত বা এক কাপ পরিমাণ গোটা দানা শস্য।

৬. বিচি জাতীয় খাবার প্রতি সপ্তাহে প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ সার্ভিং। বিচি জাতীয় খাবারের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ বাদাম বা আধাকাপ রান্না করা শিম বা মটরশুঁটি।

হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে কী করবেন?

ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ মানবদেহে রক্ত সঞ্চালনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। মানবদেহে রক্তচাপের একটি স্বাভাবিক মাত্রা আছে। তার ওপর ভিত্তি করেই উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার ও নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার পরিমাপ করা হয়। উচ্চ রক্তচাপের মতোই নিম্ন রক্তচাপও কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লো ব্লাড প্রেসারের আরেক নাম হাইপোটেনশন।চিকিৎসকের মতে, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০। অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশপাশে থাকে তাহলে লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে ধরা হয়। প্রেসার যদি অতিরিক্ত নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না তখন এ রোগ দেখা দেয়। আবার অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারে।

লক্ষণ

সাধারণত প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। অতিরিক্ত ঘাম, ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া, দেহের ভেতরে কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে যেমন: রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে, শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত বা দুর্ঘটনার ফলে রক্তপাত ঘটলে এবং অপুষ্টিজনিত কারণেও লো ব্লাড প্রেসার দেখা দিতে পারে।আবার গর্ভবতী মায়েদের গর্ভের প্রথম ৬ মাস হরমোনের প্রভাবে লো প্রেসার হতে পারে। এ সময় মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভূত হওয়া, মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বসা বা শোয়া থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতা, চোখে অন্ধকার দেখা, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, খুব বেশি তৃষ্ণা অনুভূত হওয়া, অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদকম্পন, নাড়ি বা পালসের গড়ি বেড়ে যায়।প্রাথমিক চিকিৎসা

লো ব্লাড প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন। তবে বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এটা উচ্চ রক্তচাপের চেয়ে কম ক্ষতিকর ও স্বল্পমেয়াদী সমস্যা। আর প্রেসার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়।এক্ষেত্রে হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে যা করবেন-লবণ-পানি

লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। কারণ এতে সোডিয়াম আছে। তবে পানিতে বেশি লবণ না দেওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, এক গ্লাস পানিতে দুই চা-চামচ চিনি ও এক-দুই চা-চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের চিনি বর্জন করাই ভালো।কফি-হট চকলেট

হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। স্ট্রং কফি, হট চকোলেট, কমল পানীয়সহ যে কোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। আর যারা অনেক দিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন, তারা সকালে ভারী নাশতার পর এক কাপ কফি খেতে পারেন।বিটের রস

বিটের রস হাই ও লো প্রেসার দুটোর জন্য সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।বাদাম

লো-প্রেসার হলে পাঁচটি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন। এটা পেসার বাড়াতে সহায়তা করে।পুদিনা

ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে পুদিনা পাতা। এর পাতা বেটে নিয়ে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।যষ্টিমধু

আদিকাল থেকেই যষ্টিমধু বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে রেখে দিন। ২-৩ ঘণ্টা পর পান করুন। এছাড়া দুধে মধু দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।স্যালাইন

শরীরে পানিশূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ হলে শুধু খাবার স্যালাইন মুখে খেলেই প্রেসার বেড়ে যায়। লো ব্লাড প্রাসারে খাবার স্যালাইন সবচেয়ে উপযোগী এবং তাৎক্ষণিক ফলদায়ক।তবে যেসব ওষুধে রক্তচাপ কমে বা লো প্রেসার হতে পারে, সেসব ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন। যাদের দীর্ঘমেয়াদি নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকরা নিম্ন রক্তচাপের কারণ শনাক্ত করে তারপর ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন। লো ব্লাড প্রাসারে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট এবং গ্লুকোজ খেলেও কিন্তু ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময় মতো পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।


Source: http://bangla.crushbd.com/health/7115/

41
সুন্দর একটি হাসির জন্য প্রয়োজন সুন্দর গোলাপি এক জোড়া ঠোঁটের।

সুন্দর গোলাপি ঠোঁট আপনার সৌন্দর্য অনেকখানি বাড়িয়ে দিতে পারে।

কিন্তু এই ঠোঁট বিভিন্ন কারণে কালো হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রেই। অনেকের প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট কালো থাকে। তাছাড়া সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি, ধূমপান, অতিরিক্ত লিপস্টিকের ব্যবহার বিভিন্ন কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে।

কালো ঠোঁট গোলাপি করার জন্য বাজারে রয়েছে নানা কসমেটিকস। তবে এ সকল কসমেটিকসের রয়েছে নানান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

তাহলে এখন উপায়? উপায় রয়েছে হাতের নাগালেই, আপনি চাইলে মাত্র ১ সপ্তাহেই ঠোঁটের রঙ গোলাপি করে তুলতে পারবেন। আসুন জেনে নিই সেই সহজ জাদুকরী উপায়টি।
ঠোঁট
কালো ঠোঁট সুন্দর করার উপায়
যা যা লাগবে
বিট
গাজর
মধু
অলিভ ওয়েল
যেভাবে গোলাপি ঠোঁটের জেলটি তৈরি করবেন

-সমপরিমাণ বিট এবং গাজর নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেষ্ট করে নিন। এবার এতে ২ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ অলিভ অয়েল মেশান। পেষ্টের সাথে ভাল করে মধু ও অলিভ অয়েল মেশাবেন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন

কালো ঠোঁট স্বাভাবিক করবেন যেভাবে

-একটি ছোট তুলোর বল নিন।

-এবার বলটি-বিট গাজরের মিশ্রণে ভিজিয়ে নিন। তারপর ভেজানো তুলোর বলটি আলতোভাবে ঠোঁটের ওপরে লাগান।

-এটি দিনে দুইবার ব্যবহার করুন। একবার সকালে, আরেকবার রাতে ঘুমাতে যাওয়া আগে।

-সম্ভব হলে এটি সারা রাত ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ঠোঁটের শুষ্কতা ও দাগছোপ দূর করে ঠোঁটকে গোলাপি করে তুলবে।

-যদি আপনার ঠোঁটের চারপাশে অনেক বেশি কালো থাকে তবে এই মিশ্রণটিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে দিতে পারেন। লেবুর রস কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

-আপনি চাইলে এটি বানিয়ে ফ্রিজে ১০ থেকে ১২ দিন পর্যন্ত রেখে দিতে পারেন। তবে খুব বেশি দিন না রাখাই ভাল।
যেভাবে কাজ করে
ঠোঁট রাঙাতে লিপস্টিক দেয়ার কিছু নিয়ম কানুন জেনে নিন
লিপস্টিক
গাজরে আছে বিটা ক্যারাটিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,ভিটামিন যা ত্বকের রুক্ষতা দূর করে থাকে। ত্বককে করে তোলে আরও স্বাস্থ্যকর, আরও সুন্দর।

বিট হচ্ছে প্রাকৃতিক রঙ, যা ঠোঁটকে গোলাপি রং হতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ঠোঁটকে কোমল করে তোলে।

মধু ও অলিভ ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজড করে তোলে, এর রুক্ষতা দূর করে থাকে।নিয়মিত এক সপ্তাহ ব্যবহারে আপনার ঠোঁট আগের চাইতে অনেকটা নরম ও গোলাপি হয়ে উঠবে।

Source: http://bangla.crushbd.com/lifestyle/6995/

42
আমাদের শরীর সবসময় ভাল রাখার জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমের অভাবে মাথা থেকে শুরু করে সমস্ত শরীরে এর প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে, মাথা ব্যাথার মূল কারণ ঘুমে বিঘ্ন ঘটা।

প্রতিদিন টানা ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। সেখানে অনেকে ৬ ঘন্টাও ঠিকমত ঘুমাতে পারে না। সে কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায়।

আবার বেশি ঘুমানোর ফলেও শরীরে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা যায়। কীভাবে ঘুমালে শরীরের ওজন বাড়ে, আসুন জেনে নেয়া যাক-

১. আপনি বালিশে কীভাবে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছেন? সোজা হয়ে ঘুমানো আপনার শরীরের জন্য ভাল।

ঘুমের মাঝে ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরে ঘুমালে তা পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভাল। কিন্তু অনেকে উপুড় হয়ে পেটের উপর ভার দিয়ে ঘুমায়।

এতে মুখের উপর বালিশের চাপও পড়ে। যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এতে মুখে র‍্যাশ দেখা যায়।

২. পেটের উপর ভর দিয়ে ঘুমান? পেটের উপর চাপ দিয়ে ঘুমালে পরিপাকে সমস্যা হয়। যা ত্বকের উপরও প্রভাব ফেলে। এতে করে আপনার বয়স বাড়ছে বলে মনে হবে।

আমাদের দেশে মূলত মানুষ বয়স বিবেচনা করে মানুষের চেহারা দেখে। আর চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেলে, তাদের বয়স্ক মানুষের খেতাব দেয়া হয়।

মুখে চাপ দিয়ে বা বালিশে মুখ চেপে ঘুমালে মুখে বলিরেখা বৃদ্ধি পায়। যা আপনার বয়স সহজেই বাড়িয়ে তুলবে। তাই ঘুমানোর সময় উপুড় হয়ে ঘুমাবেন না।


Source: http://bangla.crushbd.com/health/6844/

43
* বাজারে রোজ যাওয়া সম্ভব হয় না, তাই অনেকটা মাছ-মাংস একবারে কিনে ডিপ ফ্রিজে চালান করে দেওয়া হয়। রান্না করার আগে সেই মাছ বা মাংসের প্যাকেট বের করে সেখান থেকেই রোজেরটা সরিয়ে নিয়ে আবার বাকিটা তুলে রাখা হয়। একটা প্যাকেট বা কন্টেনারে সব মাছ-মাংস রাখলে এ ক্ষেত্রে একটি সমস্যা হতে পারে।

* জমাট বরফ না গলা পর্যন্ত মাছ বা মাংস আলাদা করা যায় না। এই ভাবে অনেকক্ষণ বাইরে রাখার পরে যে অংশ কাঁচা অবস্থায় আবার তুলে দেওয়া হল, তাতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাধতে পারে। তাপমাত্রার হেরফেরের জন্য এমনটা হয়। তাই এক বারে বেশ কিছু দিনের জন্য রাখতে হলে আলাদা আলাদা কন্টেনার বা প্যাকেট করে রাখতে হবে। যাতে নির্দিষ্ট কোনও দিনের জন্য যেটুকু দরকার, সেটাই বাইরে বের করা হয়।

* রান্না করা খাবারের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। বার বার খাবার বের করে গরম করে আবার ফ্রিজে যেন ঢোকাতে না হয়। বরং আলাদা পাত্রে খাবার রাখবেন।

* অনেকের ধারণা গরম অবস্থায় খাবার ফ্রিজে রাখলে সেটি পচে যায়। তা নয়। খাবার ঠাণ্ডা করে তোলা হয়, যাতে কম্প্রেসারের ওপর চাপ কম পড়ে। বরং অল্প গরম অবস্থাতেই খাবার ফ্রিজে রাখবেন।

* বার বার ফ্রিজ খুলবেন আর বন্ধ করবেন না।

* তবে শাকসব্জি বা ফলে ফ্রিজে বেশ কিছু দিন রেখে খেলে তার থেকে খানিকটা ভিটামিন-মিনারেল কমে যায়।

* মাছ-মাংস ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে। তবে ৩-৪ দিনের বেশি রাখা উচিত নয়।

* ফ্রিজের খাবার সব সময় ঢাকা দিয়ে রাখবেন। নইলে বিভিন্ন খাবারের গন্ধ মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে।

* কাঁচা সব্জি প্যাকেটে মুড়ে না রাখলে তার থেকে আর্দ্রতা চলে যায়।

* অনেকের ধারণা, ঠান্ডা জল খেলে মোটা হয়ে যায়। কিন্তু ঠাণ্ডা জলে কোনও ক্যালোরি নেই। তাই মোটা হওয়ার ভয় নেই।

Source: http://bn.papersbd.net/health/3025/

44
তারুণ্য ধরে রাখতে মধ্যপ্রাচ্যে কালিজিরা খাওয়াটা দীর্ঘদিনের রীতি। কাজ করার শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে এই কালিজিরা।

সরাসরি খাওয়ার থেকে প্রথম প্রথম ভাত বা রুটির সঙ্গে কালিজিরা খাওয়াটা অভ্যাস করুন।
প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ খাবারের সঙ্গে ‘কালিজিরা’ গ্রহণ করে আসছে। কালিজিরার তেলও আমাদের শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারি।

কালিজিরার তেলে ১০০টিরও বেশি উপযোগী উপাদান আছে। এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি।

১. রোগ প্রতিরোধে কালোজিরা: কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে।

এটি যেকোনো জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা: কালোজিরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা: কালোজিরা নিম্ন রক্তচাপ বৃদ্ধি করে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দেহের কলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে শরীরে রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখে।

৪. যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে কালোজিরা: কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কালোজিরা খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এটি পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনাও তৈরি করে।

৫. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে কালোজিরা: নিয়মিত কালোজিরা খেলে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে; যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৬. হাঁপানী রোগ উপশমে কালোজিরা: হাঁপানী বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা সমাধানে কালোজিরা দারুণ কাজ করে। প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা খেলে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা উপশম হয়।

৭. পিঠে ব্যাথা দূর করে কালোজিরা: কালোজিরার থেকে তৈরি তেল আমাদের দেহে বাসা বাঁধা দীর্ঘমেয়াদী রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া সাধারণভাবে কালোজিরা খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

৮. শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে কালোজিরা: নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ালে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। কালোজিরা শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে।

কালোজিরার ব্যবহার:
১. তিলের তেলের সাথে কালিজিরা বাঁটা বা কালিজিরার তেল মিশিয়ে ফোড়াতে লাগালে ফোড়ার উপশম হয়।

রুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে কালিজিরা সহায়তা করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কালিজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

২. চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।
৩. কালোজিরা চূর্ণ ও ডালিমের খোসাচূর্ণ মিশ্রন, কালোজিরা তেল ডায়াবেটিসে উপকারী।

৪. চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ ও বিগলিত হয়।

৫. মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

৬. কফির সাথে কালোজিরা সেবনে স্নায়ুবিক উত্তেজনা দুরীভুত হয়।

৭. জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়।

৮. কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য -শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না।

৯. সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।

১০. মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

১১. দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।

১২. কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে।

১৩. কালিজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক।

১৪. দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে।

১৫. নারীর ঋতুস্রাবজনীত সমস্যায় কালিজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

১৬. কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। এর তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা হয়।

১৭. প্রসূতির স্তনে দুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য, প্রসবোত্তর কালে কালিজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কালিজিরা খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে।

১৮. প্রস্রাব বৃদ্ধির জন্য কালিজিরা খাওয়া হয়।
১৯. কালোজিরা যৌন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য অতি উতকৃষ্ট ঔষধ।

“প্রতিদিন ২১টি কালোজিরার ১টি পুটলি তৈরী করে পানিতে ভিজাবে এবং পুটলির পানির ফোঁটা এ নিয়মে নাশারন্দ্রে (নাশিকা, নাক) ব্যবহার করবে- “প্রথমবার ডান নাকেরছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা।

দ্বিতীয়বার বাম নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং ডান নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। তৃতীয়বার ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা ও বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা।”

Source: http://bangla.crushbd.com/health/6675/

45
Health Tips / পা ঘেমে দুর্গন্ধ হয়?
« on: July 12, 2017, 03:39:31 PM »
পা ঘেমে দুর্গন্ধ হয়? জুতো/স্যান্ডেল পরার আগে করুন এই কাজটি

দিনের শুরুতে জুতো পরে বের হন আর দিনশেষে পা থেকে বের হয় বিকট দুর্গন্ধ। সারাদিনের ঘাম আর ধুলোময়লা মিলে এত বাজে গন্ধ হয় পায়ে যে রীতিমত বিব্রতকর অবস্থা। এটা শুধু আপনার নয়, অনেকেরই সমস্যা।

কী করবেন? জেনে নিন জুতো/স্যান্ডেল পরার আগের কিছু টিপস। এতে বিচ্ছিরি দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটাই দূর করতে পারবেন আপনি কোন ঝামেলা ছাড়াই। জেনে নিন জুতো এবং স্যান্ডেল, দুটি পরিহিত অবস্থাতেই দুর্গন্ধ দূর করার উপায়।

জুতো পরার ক্ষেত্রে যা করবেন-

১) প্রথমত প্রতিদিন পরিষ্কার মোজাপরবেন, এবং কখনো সিনথেটিক মোজা পরবেন না। আপনার জন্য সুতিই সেরা। অন্যদিকে একই জুতো পর পর দুদিন পরা বাদ দিলেও দারুণ উপকার পাবেন।

২) জুতো পরার আগে পায়ে ভালো মত ডিওডোরেন্ট স্প্রে করুন। তারপর মোজা পরুন।
৩) জুতো পরার আগে ভেতরে ট্যালকম পাউডার ছিটিয়ে নিন। ঘাম প্রতিরোধ করে এমন পাউডারও দিতে পারেন।

৪) এরপর জুতো পরুন।

৫) খুব বেশী টাইট বা খুব বেশী ভারী জুতো পরবেন না।

স্যান্ডেল পরার ক্ষেত্রে যা করবেন-

১)পানিতে বেকিং সোডা গুলে নিন। এই পানিতে কাপড় ভিজিয়ে সেটা দিয়ে নিজের পা ভালো করে মুছে নিন। পানি নিজে থেকেই শুকোতে দিন।

২)কাপড়টি ভালো করে চিপে সেটা দিয়ে স্যান্ডেলের ভেতরের দিকটাও মুছে নেবেন। কাপড় যেন খুব বেশী ভেজা না থাকে।

৩) এবার পায়ে ডিওডোরেন্ট স্প্রে করুন। তারপর স্যান্ডেল পরুন।

দেখবেন, সারাদিন দুর্গন্ধের যন্ত্রণা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন আপনি।


Source: http://bangla.crushbd.com/lifestyle/6626/

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 36