Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Mrs.Anjuara Khanom

Pages: [1] 2 3 ... 30
1
 যে কাজ করলে চ্যাটজিপিটি দেবে ২১ লাখ টাকা

    তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি
এখন চ্যাটজিপিটি থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে। চ্যাটজিপির নির্মাতা নিজেই দিয়েছেন এই ঘোষণা। এজন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হলো-চ্যাটজিপিটির বাগ খুঁজে বের করতে হবে। তাহলেই মিলবে ২১ লাখ টাকা।

বর্তমানে প্রযুক্তি বিশ্বে চ্যাতজিপিটি সবচেয়ে আলোচিত এক নাম। নতুন এই চ্যাটবট ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে প্রযুক্তি সাইটগুলোর। সেই সঙ্গে চাকরি হারাতে বসেছেন হাজার হাজার পেশার মানুষ। তবে এবার চ্যাটজিপিটিই আয়ের ব্যবস্থা করলো ব্যবহারকারীদের।

বিজ্ঞাপন

চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট প্রস্তুতকারী সংস্থা ওপেনএআই জানিয়েছে, এআই সিস্টেমে কোনো দুর্বলতা বা সমস্যার বিষয়ে রিপোর্ট করলেই ব্যবহারকারীদের ২০ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১ লাখ ২৭ হাজার টাকা দেবে কোম্পানি। ওপেনএআই ‘বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করছে চ্যাটজিপিটি!

বিজ্ঞাপন

কোম্পানি বলছে, বাগ পিছু ২০ হাজার ডলার পাবেন প্রাপক। তবে সেটি নির্ভর করবে বাগের বা সমস্যার গুরুত্ব কতটুকু তার উপর। চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মালিক স্যাম অল্টম্যান নিজেই এই ঘোষণা দিয়েছেন।

মূলত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো প্রায়শই বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম ব্যবহার করে প্রোগ্রামার ও এথিক্যাল হ্যাকারদের তাদের সফটওয়্যার সিস্টেমে বাগ রিপোর্ট করতে উৎসাহিত করে। বাগ বাউন্টি প্ল্যাটফর্ম বাগক্রাউডের বিবরণ বলছে, ওপেনএআই গবেষকদের চ্যাটজিপিটির নির্দিষ্ট কার্যকারিতা ও ওপেনএআই সিস্টেমগুলো কীভাবে যোগাযোগ করে ও এতে তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সঙ্গে ডেটা শেয়ার তথা তার কাঠামো পর্যালোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

2
তথ্যপ্রযুক্তি
এআইয়ের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম চ্যাটজিপিটি। বিশ্বের সব দেশেই বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে চ্যাটজিপিটি নিয়ে। ২০২২ সালের নভেম্বরে ওপেনএআই নিয়ে আসে নতুন চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্তই বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি চ্যাটবট সিস্টেম বা আলাপচারিতা করার অ্যাপলিকেশন।

চ্যাটজিপিটি রচনা লিখতে পারে, চাকরির বা ছুটির আবেদন, চুক্তিপত্র, কোন ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা, ছোটখাটো প্রতিবেদন তৈরি করে দিতে পারে। এটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম, গান বা কবিতাও লিখে দিতে পারে ব্যবহারকারীর জন্য। আবার আপনি চাইলে আপনার সিভি এই এআইয়ের মাধ্যমে লিখিয়ে নিতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

চাকরি পেতে আপনাকে অবশ্যই একটি আকর্ষণীয় রেজিউম বা সিভি তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনার কাজের দক্ষতা, যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা স্পষ্ট করে বোঝা যাবে। এজন্য চ্যাটজিপিটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে। চ্যাটজিপিটি যে শুধু রেজিউম তৈরি করতে পারে, এমনটা নয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা অনুযায়ী রেজিউমে পরিবর্তনও করতে পারে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে চ্যাটজিপির মাধ্যমে সিভি তৈরি করতে পারবেন-

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: আপনার জন্য উপযুক্ত চাকরি খুঁজে দেবে এআই

>> প্রথমে চ্যাটজিপিটিতে লগইন করুন। অ্যাকাউন্ট তৈরি করা না থাকলে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিন।
এরপর নিজের সম্পর্কে সব প্রাথমিক তথ্য দিন। প্রাথমিক তথ্য বলতে নিজের কাজের ক্ষেত্র এবং কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদিকে বোঝায়।
>> তবে যতক্ষণ চ্যাটবটে তথ্যের অভাব থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এটি সঠিক ফলাফল দিতে পারবে না। তাই সঠিক ও সম্পূর্ণ তথ্য দিন।

>> আপনার কাজের অভিজ্ঞতা, কাজের স্থান, কাজের ধরন ও নিজের যোগ্যতার বিবরণও চ্যাটজিপিটিকে প্রদান করতে হবে।
>> এছাড়াও আপনি কেমন কোম্পানিতে কী ধরনের কাজ করতে চাইছেন, সেই তথ্যও চ্যাটজিপিটি জানতে চাইবে।

বিজ্ঞাপন

এসব তথ্যের ভিত্তিতে চ্যাটজিপিটি সেই কোম্পানি এবং তার কাজের প্রোফাইল অনুযায়ী রেজিউমে তৈরি করতে পারবে।

সূত্র: সিএনবিসি

3

প্রতি ৩ সেকেন্ডে বিশ্বে এক জনের স্ট্রোক হয়। এই রোগ এখন হানা দিচ্ছে অল্পবয়সীদের মধ্যেও।


বাংলাদেশে মৃত্যুর কারণের মধ্যে স্ট্রোক রয়েছে তৃতীয় স্থানে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার র‌্যাংকিং অনুযায়ী, স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুহারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪। বিশ্বে প্রতিবছর ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে স্ট্রোক হয় ১৬ শতাংশ।
স্ট্রোকের লক্ষণ-

* হাঁটাচলায় সমস্যা
* ঢুলে পড়া
* মুখ ঝুঁকে পড়া
* কথায় জড়তা
* একদিকে অবশ
* ঝাপসা দৃষ্টি

কারণ-

নানা কারণে মস্তিষ্কের রক্তবাহী নালির পথ সরু হয়ে যায়। ভেতরে চর্বির স্তর জমে এর পথ বন্ধ হয়। এতে মগজের কোষগুলো রক্ত কম পায়। ফলে পুষ্টি ও অক্সিজেন না পাওয়ায় মগজ নিস্তেজ হয়ে যাওয়ায় স্ট্রোকের মতো ভয়ংকর ঘটনা ঘটে।

স্ট্রোকের ধরন-

ইসকেমিক স্ট্রোক : রক্ত চলাচল থেমে যায় আর এতে রক্ত না পেয়ে মগজ নিস্তেজ হয়ে যায়।

হেমরেজিক স্ট্রোক : মগজের ভেতর দুর্বল রক্তনালি ছিঁড়ে যায়।

মিনি স্ট্রোক : কিছুক্ষণের জন্য চর্বির ডেলা রক্তনালির পথ বন্ধ করে দেয়। এতে সাময়িকভাবে স্ট্রোক হয়। এ সময় চোখে অন্ধকার দেখে রোগী, একে বলে ব্ল্যাক আউট। মিনি স্ট্রোককে ঝড়ের সতর্কতা সংকেত হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

করণীয়-

* যাদের পরিবারে তরুণ বয়সে স্ট্রোক হয়েছে তাদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
* নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ সামলে রাখতে হবে।
* দিনভর বসে কাজ করা যাবে না। হাঁটাচলা করতে হবে। সপ্তাহে পাঁচদিন দ্রুত পায়ে দিনে আধা ঘণ্টা হাঁটতে হবে।
* রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে হবে।
* ফাস্ট ফুড, তেলে ভাজা ডিপ ফ্রাই খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
* অতিরিক্ত লবণ, চর্বি আর সুগার খাওয়া বাদ দিতে হবে।
* তলপেটের মেদ কমিয়ে ওজন স্বাভাবিক রাখতে হবে।
* লাগাতার স্ট্রেস আর মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না।
* ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
* ডায়াবেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিয়ম মেনে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত হাঁটতে হবে।
* সুষম খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে প্রচুর ফল, সবজি, ডাল, বাদাম, হোল গ্রেন, অলিভ তেল, মাছ ও কচি মাংস। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ কমায়।
* অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার যেমন- আচার, ফাস্ট ফুড, নোনা ইলিশ, নোনতা বিস্কুট বাদ দিতে হবে।

চিকিৎসা-

স্ট্রোকের লক্ষণ দেখলে যত দ্রুত সম্ভব অ্যাম্বুল্যান্স ডাকুন। প্রথমে যেতে হবে ইমার্জেন্সিতে। নিউরোলজিস্টের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।


Source:https://www.banglanews24.com/health/news/bd/1089925.details

4
Pain / সারা শরীরেই ব্যথা হলে
« on: November 21, 2022, 12:50:52 PM »
সাধারণত ব্যথা বিভিন্ন কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে বা অঙ্গে হয়ে থাকে। ফাইব্রোমায়ালজিয়া নামে একটি রোগ আছে যাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া বাতের সমস্যা থেকেও সারা শরীরে ব্যথা হতে পারে। কিন্ত আজকাল দেখা যায় অনেকেরই সারা শরীরে ব্যথা অনুভব করে থাকেন। আবার অনেকের এই  ব্যথা অনেকদিন  ধরে চলতে থাকে এবং অনেকটা ব্যথা নীরবে লাঘব করে  সময়ক্ষেপণ করেন। ব্যথা এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে তা  ভেবে কোনো চিকিৎসা নিতে চান না ভোক্তভোগীরা। এতে ব্যথার জটিলতা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু যখন  ব্যথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চিকিৎসকের কাছে আসেন তখন কারও কারও মারাত্মক কিছু রোগ ধরা পড়ে। ব্যথা হলে আজকাল কিছু রোগী মাঝে মাঝে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ব্যথার  ওষুধ সেবন করেন, যা মোটেও উচিত নয়। যদি কারও সারা শরীরে ব্যথা হয়, তাহলে এটি অবহেলা না করে জরুরি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এটি কোনো মারাত্মক রোগের লক্ষণও হতে পারে। 
কারণ
সারা শরীর জুড়ে ব্যথার  অন্যতম কারণ হিসেবে  ধরা হয়  শরীরে ভিটামিন ডি- এর অভাব বা ঘাটতি। ভিটামিন ডি  এর অভাব  এর সাধারণ কারণগুলো হলো- 
- স্থূলতার কারণে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হতে পারে কেন না স্থূলতো দেহের রক্ত প্রবাহকে ধীর করে দেয়। 
-   সূর্যের সংস্পর্শে বা রোদে না আসার কারণে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব ঘটে। সাধারণত  ভিটামিন ডি এর ঘাটতির লক্ষণগুলো হলো- ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট, অবসাদ, মাথা ঘেমে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘুম, হাড় ব্যথা, পেশীর দুর্বলতা, অকারণেই ক্লান্ত হয়ে পড়া।
অন্যান্য যে সমস্যা হতে পারে 
সাধারণত মনে করা হয়  ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস সূর্যের আলো। এর অভাবে পুরো শরীরে ব্যথা হতে পারে, সঙ্গে আরও নানা ধরনের অসুবিধা হতে পারে।
যেমন-
- ঘন ঘন সর্দি-কাশি হওয়া।
- ভিটামিন ডি এর  অভাবে শ্বাসতন্ত্রে ঘন ঘন সংক্রমণ হতে পারে। 
- সকালবেলা হাড়ের গিঁটে গিঁটে ব্যথা অনুভব হতে পারে।
-   শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এতে করে বিভিন্ন রোগে সংক্রমিত হওয়ার চান্স বেড়ে যায়।
- ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। তাই এর অভাবে হাড়ে, পিঠে ও কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। 
- অনেকে হাড় শক্ত করার জন্য ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খান। কিন্তু যথেষ্ট ভিটামিন ডি শরীরে না থাকলে এই ক্যালসিয়াম খুব একটা কাজে আসে না। ফলে হাড় নরম ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
- যেকোনো আঘাত বা অপারেশন হলে যদি রক্তে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকে, তবে সহজে ক্ষত শুকাতে চায় না।
- হাড়ের ক্ষয় মূলত ভিটামিন ডি এর অভাবের জন্য হয়ে থাকে।
- মেনোপজের পর বেশিরভাগ নারীরই হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। 
- শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো বয়সীদেরই ভিটামিন ডি এর অভাবে মাংসপেশীতে ব্যথা হতে পারে।
- ভিটামিন ডি এর অভাবে বাচ্চাদের রিকেটস এবং প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওম্যালাশিয়া হতে দেখা যায়।
পরিত্রাণ যেভাবে
সারা শরীরে ব্যথা হলে আপনাকে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকের  পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। কেন সারা শরীরে ব্যথা হয় তা ডায়াগনেসিস করে খুঁজে বের করতে হবে।  হাইপোপ্যারাথাইরয়েডিসম, লিভারের রোগসহ আরও কিছু অসুখে শরীরে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে। সারা শরীরে ব্যথা থাকলে  নিজে থেকে পেইন কিলার খেয়ে নিবেন না ! ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থেকে যেহেতু এই সমস্যাটা হয়, তাই ভিটামিন ডি এর উৎস সম্পর্কে আগে আপনাকে জানতে হবে এবং খাদ্যতালিকায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারগুলো অবশ্যই রাখতে হবে। যেহেতু সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস তাই আপনাকে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণের জন্য সকাল ৮টা থেকে দুুপুর ৩টা পর্যন্ত ১০-২০ মিনিট রোদ গায়ে লাগান। সকালের হালকা রোদে সামান্য ব্যায়ামও করতে পারেন। ২. বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ভিটামিন ডি, যেমন: স্যামন, টুনা ফিশ ইত্যাদি। এ ছাড়াও মাশরুম, ডিম, দুধ, কলিজা, গরুর মাংসে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। দুধ ও দুগ্ধদুজাত খাবার (মাখন, পনির ইত্যাদি) ভিটামিন ডি এর ভালো সোর্স। ব্যথা প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সময় মতো ঘুমান ও সর্বদা রুটিন করে চলুন।

Source:https://mzamin.com/news.php?news=29562

5
একজন মুমিন তার জীবনের লক্ষ্য আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে জান্নাত অর্জন করা। জান্নাতে চিরস্থায়ী আবাস বানানো। দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী ঘরবাড়ি, আনন্দ সব একদিন বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু জান্নাতের বাড়ি কখনো বিলীন হবে না।

ফেরাউন-পত্নী আসিয়া (আ.) নির্যাতনের যাঁতাকলে অতিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর কাছে জান্নাতে ঘর তৈরির দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ফিরাউনের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত, যখন সে এই বলে প্রার্থনা করেছিল—হে আমার রব, আপনার সন্নিধানে জান্নাতে আমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করুন। ’ (সুরা তাহরিম, আয়াত : ১১)
হাদিস শরিফে এমন কিছু আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন। সেগুলো হলো—
সন্তান হারানোর সময় ধৈর্য ধারণ করা : সন্তান হারানো মাতা-পিতা সন্তান মারা যাওয়ার পর যদি ধৈর্যধারণ করে এবং আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকে। আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করে থাকেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘‘কোনো বান্দার কোনো সন্তান মারা গেলে তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর ফেরেশতাদের প্রশ্ন করেন, তোমরা আমার বান্দার সন্তানকে ছিনিয়ে আনলে? তারা বলে, হ্যাঁ। ...পুনরায় তিনি প্রশ্ন করেন, তখন আমার বান্দা কি বলেছে? তারা বলে, সে আপনার প্রতি প্রশংসা করেছে এবং ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পাঠ করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, জান্নাতের মধ্যে আমার এই বান্দার জন্য একটি ঘর তৈরি কোরো এবং তার নাম রাখো বাইতুল হামদ বা প্রশংসালয়। ” (তিরমিজি, হাদিস : ১০২১)

ঝগড়া-বিবাদ বর্জন করা : ঝগড়া আল্লাহর কাছে সবচেয়ে অপছন্দনীয় জিনিস। কেউ যদি ঝগড়া বর্জন করে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন। যদিও তার জন্য সেই ঝগড়া করার অধিকার আছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ন্যায়সংগত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করবে আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের জিম্মাদার; আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের জিম্মাদার। আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের জিম্মাদার। ’ (আবু দাউদ,হাদিস : ৪৮০০)

মিষ্ট ভাষায় কথা বলা, অন্যকে আহার করানো : নম্র ভাষায় কথা বলা, অপরকে আহার করানো এগুলো আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় আমল। যে ব্যক্তি আমলগুলো করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাতের প্রাসাদগুলো এমন হবে যে এর ভেতর থেকে বাইরের সব কিছু দেখা যাবে এবং বাইরে থেকে ভেতরের সব কিছু দেখা যাবে। এক বেদুইন দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), এসব প্রাসাদ কাদের জন্য? তিনি বললেন, যারা উত্তম ও সুমধুর কথা বলে, ক্ষুধার্তকে খাবার দেয়, প্রায়ই রোজা রাখে এবং লোকেরা রাতে ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় জাগ্রত থেকে আল্লাহ তাআলার জন্য নামাজ আদায় করে, তাদের জন্য। ’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৫২৭)

ঘুমের আগে দোয়া পড়া : একটু সতর্ক হলেই আমরা সবাই এই আমলটি করতে পারি। আমাদের ঘরের ছোট শিশুকেও শেখাতে পারি। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন কেউ বিছানায় যায় এরপর ডান দিক হয়ে বালিশে মাথা রাখে, আর এ দুয়া পড়ে, (অর্থ) হে আল্লাহ, আমি আমার চেহারাকে অর্থাৎ যাবতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে তোমার হাতে সমর্পণ করলাম। আর আমার সব বিষয় তোমার কাছে সমর্পণ করলাম এবং আমার পৃষ্ঠদেশ তোমার আশ্রয়ে সোপর্দ করলাম। আমি তোমার গজবের ভয়ে ভীত ও তোমার রহমতের আশায় আশান্বিত। তুমি ছাড়া কোনো আশ্রয়স্থল নেই এবং নেই মুক্তি পাওয়ার স্থান। তুমি যে কিতাব অবতীর্ণ করেছ, আমি তার ওপর ঈমান এনেছি এবং তুমি যে নবী পাঠিয়েছ আমি তাঁর ওপর ঈমান এনেছি। আর এভাবে রাত যাপন করে তাহলে তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করা হবে। ’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৫১৬৪)

মসজিদ নির্মাণ করা : পৃথিবীর সবচেয়ে উত্কৃষ্ট জায়গা মসজিদ। এর নির্মাণকাজে যারা সহযোগিতা করবে তাদের জন্য আল্লাহ তাআলা জান্নাতের ঘর নির্মাণ করবেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সুপ্রসন্নতা অর্জনের উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ তৈরি করে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ একটি ঘর তৈরি করেন। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩১৮)

সুন্নত নামাজ পড়া : ফরজ নামাজের আগে পরে যেসব সুন্নত আছে; কেউ যদি নিয়মিত এই নামাজ পড়ে আল্লাহ তাআলা তার জন্য মসজিদের ঘর নির্মাণ করবেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় প্রতিদিন ফরজ ছাড়া আরো ১২ রাকাত নফল (সুন্নতে মুআক্কাদা) নামাজ আদায় করে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করেন। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৫৮১)

বিডি-প্রতিদিন/

6
মানসিক কিংবা শারীরিক কষ্টে কমবেশি সবাই কখনো না কখনো কান্না করেন। কেউ হয়তো লুকিয়ে আবার কেউ প্রকাশ্যে। মানসিক চাপ কমাতে এমনকি শারীরিক সুস্থতার ক্ষেত্রেও কান্নার বিশেষ ভূমিকা আছে।

অনেকেই বলেন, কাঁদলে মন ভালো হয়ে যায়! বিজ্ঞানও কিন্তু এ বিষয়ে একমত, কাঁদলে মন পরিষ্কারও হয় বটে। অনেকেই কান্নাকে দুর্বলতা বলে ভাবেন, তবে জানলে অবাক হবে, এটি আপনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে।

কান্না নেতিবাচক আবেগ থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। এমনকি ব্যথা মোকাবেলা করতে ও সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট দূর করতেও সাহায্য করে কান্না। জেনে নিন কান্নার যত উপকারিতা-

ক্ষতি ও শোক থেকে মুক্তি দেয়

বিভিন্ন দুঃখজনক পরিস্থিতিতে কান্নার মাধ্যমে স্বস্তি পাওয়া সম্ভব। যখন আমরা কোনো মূল্যবান জিনিস বা প্রিয়জনকে হারায় তখন একমাত্র কান্নার মাধ্যমেই মনের সব দুঃখ-কষ্ট দূর করা যায়।

কান্না ক্ষতি ও শোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে ও পরবর্তী সময়ে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়।

দুশ্চিন্তা দূর করে

দুশ্চিন্তা দূর করতেও সাহায্য করে কান্না। অশ্রু থেরাপিউটিক, কান্নার কাজটি শরীর থেকে স্ট্রেস হরমোন বা টক্সিন অপসারণ করে বলে ধারণা করা হয়।

আমরা যখন কাঁদি, তখন প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র, যা বিশ্রাম ও হজম নিয়ন্ত্রণ করে সেটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। একজন ব্যক্তির শরীর ও মন উভয়ই চাপ উপশমের উপায় হিসেবে কান্নার দ্বারা উপকৃত হয়।

মন পরিষ্কার করে

চোখের জল এক ধরনের অভ্যন্তরীণ ডিটারজেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা আমাদের মনকে আরও পরিষ্কার করে দেয়।

যারা যে কোনো খারাপ অনুভূতিতেই কাঁদতে পারেন তাদের মন পরিষ্কার থাকে। ফলে তারা ইতিবাচক চিন্তা করতে পারেন যে কোনো পরিস্থিতিতেই।

আরও শক্তিশালী হতে সাহায্য করে

কান্নার মাধ্যমে নেতিবাচক আবেগকে দমন করা যায়। বেশিরভাগ মানুষই তার জীবনের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা বা পরিস্থিতির জন্য দুঃখবোধ করেন। আবার অনেকেই বেশি কষ্ট পেলে কান্নাও করেন। এতে মন আরও শক্ত হয়।

কান্নার যত স্বাস্থ্য উপকারিতা

এনসিবিআই জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ৩৫টি দেশের বেশিরভাগ পুরুষ ও নারীদের পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে কান্নার পর প্রত্যেকেই শারীরিক বিভিন্ন সুবিধা লাভ করেছেন।

এর কারণ হলো চোখের জল আমাদের মন ও শরীরে প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ফেলে। এটি আমাদের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।

একই সঙ্গে মেজাজ উন্নত করে, ঘুমাতে সহায়তা করে ও অগণিত ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে।

সূত্র: বোল্ড স্কাই

7
খোসপাঁচড়া বা স্ক্যাবিস অত্যন্ত সংক্রামক একটি ব্যাধি। মাইট নামক অতিক্ষুদ্র পোকার আক্রমণে স্ক্যাবিস হয়ে থাকে। এটি ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শে দ্রুত ছড়িয়ে যায়। তাই লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্র দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

গরমে অনেকেরই স্ক্যাবিস হচ্ছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া একসময় দেখা যায়, পরিবারের সবাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

সাধারণত কী কারণে এটি হয়?

সাধারণভাবে স্ক্যাবিস বলে পরিচিত এই রোগটির নাম স্ক্যাবিস। এটি এক ধরনের জীবাণু দিয়ে হয়ে থাকে। রোগটি ছোঁয়াচে বলে খুব সহজেই এটি সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়া বেশি দেখা যায়।

স্ক্যাবিসের সাধারণ পরিচিতি
শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘামাচির মতো ছোট ছোট দানার আকারে স্ক্যাবিস দেখা দেয়। এগুলো খুব চুলকায়। বিশেষ করে রাতের বেলা উষ্ণ পরিবেশে এই চুলকানি খুব বেড়ে যায়। দু-একদিনের মধ্যে দানাগুলোর মধ্যে পানির আবির্ভাব ঘটে। এ পর্যায়ে চিকিৎসা না নিলে দানাগুলোর মধ্যে পুঁজ হয়। এ অবস্থায় শরীরের সামান্য জ্বর থাকতে পারে।

শরীরের যেসব স্থানে স্ক্যাবিস দেখা যায়—

হাত ও পায়ের আঙুলের ফাঁকে
কব্জিতে
বগল ও ঊরুসন্ধিতে
তবে একপর্যায়ে সারা শরীরেই দেখা দিতে পারে

চিকিৎসা

খোসপাঁচড়া বা স্ক্যাবিস নিরাময়যোগ্য একটি রোগ। তবে চিকিৎসা করাতে হবে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধায়নে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমেই ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এ জন্য ফ্লুক্লক্সাসিলিন জাতীয় ওষুধ নেওয়া যেতে পারে। ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে আনার পর গায়ে লাগানোর ওষুধ দিতে হয়। গায়ে লাগানোর এই সব ক্রিম/লোশনের মধ্যে রয়েছে পাঁচ ভাগ পারমেথ্রিন, বেনজাইল বেনজয়েট (২৫ ভাগ বড়দের জন্য, ১২ দশমিক ৫ ভাগ ছোটদের জন্য), ক্লোটামিটন।
ক্ষেত্রবিশেষে এগুলো দুই থেকে তিন দিন নিয়মানুয়ায়ী চোখ-মুখ বাদ দিয়ে সারা শরীরে মাখতে হয়। তবে ওষুধ ব্যবহার করতে হবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।

বারবার হয় কেন

চিকিৎসা সঠিকভাবে না করালেই এমনটি হতে পারে। অনেক সময় ইনফেকশনের চিকিৎসা না করিয়ে গায়ে লাগানোর ক্রিম/লোশন দিলে জ্বালা করে। এতে অনেকেই এটির ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়ায় চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, চিকিৎসার সঙ্গে প্রয়োজনীয় উপদেশগুলো মেনে না চলার জন্যই রোগটি বারবার দেখা যায়।

নষ্ট হতে পারে কিডনিও

খোসপাঁচড়া সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে ত্বকের তীব্র ইনফেকশন ছাড়া তা কিডনিকেও প্রদাহে আক্রান্ত করতে পারে। এই ইনফেকশন কিডনি কোষের একক নেফ্রনকে প্রদাহযুক্ত করতে পারে। কিডনির এই মারাত্মক রোগটি কিডনিকে বিপন্ন করে তুলতে পারে।

প্রতিরোধ

চিকিৎসার শুরু থেকেই রোগীর ব্যবহার্য সব ধরনের কাপড়চোপড় সাবান দিয়ে সিদ্ধ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। পরিবারের অন্যদের এ রোগ থাকলে তাদের চিকিৎসাও একই সঙ্গে করাতে হবে। এই কাজগুলো না করে শুধু চিকিৎসা করে কোনো লাভ নেই। বরং বারবার হয়ে রোগ আবারও জটিল হবে।
ঘরোয়া উপায়ে স্ক্যাবিস নিরাময়

রসুন

রসুন শক্তিশালী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট যা সত্যিকার ভাবেই মাইটকে অপসারণ করতে পারে। রসুন সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। রসুন মাইট দমন করে ও ত্বকে এর কাজকে প্রতিহত করে। ক্রমাগত রসুন লাগানো ও খাওয়ার ফলে স্ক্যাবিস নিরাময় অত্যন্ত কার্যকরী ভাবে হয়। রসুন থেঁতলে রস বের করে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
এছাড়া ভ্যন্তরীণভাবে নিরাময়ের জন্য প্রতিদিন ৩-৪ কোয়া রসুন খান। ৩দিন আক্রান্ত স্থানে রসুন লাগানোর পর ২ দিন বিরতি দিন।তারপর আবার লাগান। কারণ ক্রমাগত রসুন ব্যবহার ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে।

নিমপাতা

স্ক্যাবিস নিরাময়ে নিমপাতা ব্যবহার করা যায়। কারণ নিমপাতায় ছত্রাকনাশক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান আছে। হামানদিস্তায় একমুঠো নিমপাতা নিয়ে ভালো করে পিষে পেস্ট তৈরি করুন। আক্রান্ত স্থানটি ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পেস্টটি লাগান। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিরাময় প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার জন্য নিয়মিত এটি করুন।

এক কাপ পানিতে কয়েকটি নিমপাতা দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। তারপর মিশ্রণটি ঘরের তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে নিয়ে এক চামচ করে দিনে ৩/৪ বার পান করুন। এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ এভাবে পান করুন মাইট ও চুলকানি পুরোপুরি দূর হওয়ার জন্য।

অ্যালোভেরা

এই শীতল জেল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট। যা ত্বকের নিরাময় ও পুনরুজ্জীবনের জন্য কাজ করে। এটি ত্বকের উপরিভাগের মাইট অপসারণ করতে পারে। তাজা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এই ঘন জেল মাইটের কার্যকারিতাকে বন্ধ করে এবং তাদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে। ইনফেকশন দূর করার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও কাজ করে অ্যালোভেরা জেল।


Source: https://www.jugantor.com/doctor-available/588021

8
মারণব্যাধি ক্যানসারে ভয় কার নেই!এ সম্পর্কে সতর্ক হয়ে নিয়মমাফিক চললে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান এ রোগের জন্য দায়ী। এসব বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। 

ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন সার্জন ডা. মো. ফারুক হোসেন।

* লাল মাংসে থাকে ক্যানসারের ঝুঁকি

ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে হলে অবশ্যই লাল মাংস কম খেতে হবে। এ মাংস বেশি খেলে পাকস্থলী এবং কোলন ক্যানসারের আশংকা বেশি। সপ্তাহে ১৮ আউন্সের বেশি লাল মাংস খাওয়া যাবে না। লাল মাংস রক্তের কলস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

* সানস্ক্রিনের ব্যবহার

ক্যানসার থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি সানবার্নের চেয়েও ক্ষতিকর হতে পারে। আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন বা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। সূর্যের আলোতে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ক্রিকেট খেলার সময়ও ক্রিকেটারদের সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। সানস্ক্রিনের মাত্রা হবে এসপিএফ ৩০ থেকে ৪০। সূর্যের আলো থেকে চোখের ক্ষতি হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের আলোতে থাকলে চোখে ছানি পড়তে পারে।

* অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়

অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় ক্যানসার ঝুঁকির সঙ্গে জড়িত। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে হৃদরোগ হয় এবং এ থেকে মৃত্যুঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়ে। অতিরিক্ত চিনি রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে অতিরিক্ত ফ্যাট মিশ্রিত হতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তনালিতে অতিরিক্ত ফ্যাটের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য হৃদরোগ হতে পারে। চিনিযুক্ত পানীয় পান করার ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশংকা বেশি। মিষ্টি সোডা, স্পোর্টস ড্রিংক এমনকি শতভাগ ফলের রসও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা হয়। বিজ্ঞানীরা চিনিযুক্ত পানীয় এর সঙ্গে কোলন ক্যানসারের কোনো সম্পৃক্ততা খুঁজে পাননি।

* ক্যানসার প্রতিরোধে শাক-সবজি এবং ফল

শাক-সবজি এবং ফল মুখ, গলা, শ্বাসনালি এবং খাদ্যনালির ক্যানসার প্রতিহত করতে পারে। খাবারগুলোর মাঝে কিছু উপাদান রয়েছে যা কোষকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন আড়াই কাপ ফল এবং সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

* সাপ্লিমেন্টের ওপর নির্ভরশীলতা

সাপ্লিমেন্টের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে হবে। সবজি, ফল এবং শস্যদানাসমৃদ্ধ খাবার ক্যানসার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। সাপ্লিমেন্ট কখনোই একই ধরনের উপকার দিতে সক্ষম নয়। সাপ্লিমেন্টে পুষ্টির ভারসাম্য থাকে না। সাপ্লিমেন্ট কিছু অবস্থায় সাহায্য করতে পারে কিন্তু ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে না।

* হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস

ক্যানসার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের টিকা নিতে হবে। এ ভাইরাস সংক্রমিত হয় সেক্সের মাধ্যমে। ভাইরাসটি আমাদের শরীরে বছরের পর বছর অবস্থান করতে পারে যা আমরা জানতেও পারি না। মহিলাদের সব ধরনের সারভাইক্যাল বা জরায়ু মুখের ক্যানসারের জন্য এ ভাইরাসটি দায়ী। এ ছাড়া পুরুষ ও মহিলা যৌনাঙ্গ, পায়ুপথ, মুখ এবং গলার ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে ভাইরাসটি। মেয়েরা টিকা নিতে পারে ৯ থেকে ২৬ বছর বয়সের মধ্যে। ছেলেরা টিকা নিতে পারে ৯ থেকে ২১ বছর বয়সের মধ্যে। সেক্স করার সময় কনডম ব্যবহার করলে হিউম্যান প্যাপিওলোমা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসবে।

* ব্যায়ামে কমে ক্যানসারের ঝুঁকি

যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে তাদের কোলন, ব্রেস্ট এবং ইউটেরাসের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। যখন ব্যায়াম করেন তখন শরীর অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করে থাকে। খাবার দ্রুত হজম হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি কিছু হরমোন তৈরি হতে বাঁধা দিয়ে থাকে যারা ক্যানসার সৃষ্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত। নিয়মিত ব্যায়াম ক্যানসার ছাড়াও হার্টের সমস্যা এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে থাকে।

* ধূমপান ত্যাগ করুন

ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার সৃষ্টি হয়ে থাকে। ধূমপানের কারণে হার্টের রোগ এবং ফুসফুসের রোগ হতে পারে। বর্তমান বিশ্বে হার্টের রোগ নাম্বার ওয়ান কিলার ডিজিজ। আমাদের দেশে আশঙ্কাজনক হারে হার্টের রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যালকোহল সেবন অথবা নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করলে শরীরের টিস্যু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ধীরে ধীরে লিভার ড্যামেজ হয়ে যায়। এ থেকে লিভার সিরোসিস এবং সবশেষে লিভার ক্যানসার হতে পারে। হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাস পজিটিভদের লিভার ক্যানসার হওয়ার আশংকা থাকে। যাদের ক্রনিক লিভারের সমস্যা রয়েছে, একের অধিক সেক্স পার্টনার রয়েছে অথবা ড্রাগ নেওয়ার বা নিডল শেয়ার করে থাকে তাদের হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাস হওয়ার আশংকা রয়েছে। হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসের টিকা এই সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। যথাসময়ে বুস্টার ডোজ অবশ্যই নিতে হবে। একটি টিকার মাধ্যমে আপনি লিভার ক্যানসার, সিরোসিস অথবা লিভারের জটিল রোগ থেকে সহজেই রক্ষা পেতে পারেন।

* মুখের অভ্যন্তরে সাদা হলে

এ সংক্রমণ দেখা দিলে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। মুখের রোগ লিউকোপ্লাকিয়ার যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। মুখের আলসারকে সামান্য আলসার ভেবে গ্রহণ করা ঠিক নয়। কখনো কখনো মুখের আলসার মুখের ক্যানসারের পূর্বাবস্থা হিসাবে দেখা দেয়।


Soure: https://www.jugantor.com/doctor-available/589761

9
প্রতিদিনই বিশ্বে বহু মানুষের মৃত্যুর বড় কারণ ব্রেইন স্ট্রোক। অথচ আমাদের তেমন সচেতনতা নেই বিষয়টি নিয়ে।
 

আসুন জেনে নেই ব্রেইন স্ট্রোকের আদ্যোপান্ত:

মস্তিষ্কের রক্তনালীর ভেতর দিয়ে রক্ত প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটার কারণে মস্তিষ্কের কোষে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। একারণে মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা গিয়ে ব্রেইন স্ট্রোক হয়ে থাকে।

এছাড়া, মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে, ধমনীতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েও ব্রেইন স্ট্রোক হয়ে থাকে।
ব্রেইন স্ট্রোকের উপসর্গ:

স্ট্রোক করার কয়েক মিনিটের মধ্যে মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যেতে থাকে এবং উপসর্গগুলো দেখা দিতে থাকে। যেমন:

•    স্মরণশক্তি কমে যেতে পারে।
•    শরীরের যেকোনো একপাশ অবশ হয়ে যেতে পারে।

ব্রেইন স্ট্রোকের প্রভাব

রোগী কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারেন। মুখ যেকোনো দিকে বাঁকা হয়ে যেতে পারে। দুই হাত বা একহাত অবশ হয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও ঘুম ঘুম ভাব হবে, ঝিমুনি আসবে। চোখে ঝাপসা দেখা যাবে। প্রচুর মাথাব্যথা শুরু হবে।

করণীয়
ব্রেইন স্ট্রোকের উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত প্রবাহের ব্যাঘাত ঘটার কারণে ব্রেইন স্ট্রোক হয়ে থাকে। সাধারণত রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে, উচ্চ রক্তচাপের কারণে বা কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ইচকেমিক স্ট্রোক হয়ে থাকে। প্রায় ৮০ ভাগ ব্রেইন স্ট্রোকই হচ্ছে ইচকেমিক (Ischaemic) স্ট্রোক। আর মস্তিষ্কের দুর্বল রক্তনালীর ভেতর দিয়ে রক্ত প্রবাহের সময় রক্তনালী ফেটে গিয়ে ব্রেইন স্ট্রোক হওয়াকে হ্যামরেজিক স্ট্রোক বলে।

ব্রেইন স্ট্রোকের কারণ:

•    শরীরে অতিরিক্ত ওজন
•    শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের অভাব
•    পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করা
•    কোনোভাবে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে যেমন উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে কিংবা হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনের সমস্যা হলে
•    ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেকদিন ধরে বেশি থাকলে
•    জন্ম নিয়ন্ত্রণ ওষুধ বা কোনো হরমোনাল ওষুধ সেবনের কারণে
•    নিয়মিত মাদক (হিরোইন, কোকেইন জাতীয়) সেবন করলে
•    রক্তে অ্যামাইনো এসিড অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে
•    নিয়মিত ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন করলে
•    মানসিক হতাশা বেড়ে গেলে।

ব্রেইন স্ট্রোক প্রতিরোধে:

•    স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
•    নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে
•    মাদক সেবন বন্ধ করতে হবে
•    রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

নিয়মতান্ত্রিক ধারায় স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করে মরণব্যাধি স্ট্রোকের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা সম্ভব।


Source: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম


10
পানির অপর নাম জীবন। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করার বিকল্প নেই। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়, ফলে একাধিক সমস্যা ফুটে ওঠে শরীরে। এ কারণে দৈনিক ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত সবারই।

তবে অনেকেই আছেন যারা প্রয়োজনের বেশি পানি পান করেন। পানি কম খেলে যেমন দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রশেন বা পানিশূন্যতা, তেমনই অতিরিক্ত পানি পান করলেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ওভার হাইড্রেশন। ওভার হাইড্রেশনের সমস্যা বিরল হলেও অসম্ভব নয়।

মানুষের দেহের জলীয় পদার্থ পরিশুদ্ধ হয় কিডনিতে। তাই কম পানি পান করলে যেমন কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে, তেমনই অতিরিক্ত পানি পানেও বাড়তি চাপ পড়তে পারে কিডনির উপর।

ওভার হাইড্রেশনের সমস্যায় কিডনি অতিরিক্ত পানি পরিশুদ্ধ করতে পারে না। ফলে রক্তে সোডিয়ামের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। এই সমস্যাকে বলে হাইপোন্যাট্রিমিয়া।

সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা না হলে এই সমস্যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ওভারহাইড্রেশন ডেকে আনতে পারে পেশির সমস্যাও।

কিডনি বা লিভারের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও খেলোয়ারদের ওভারহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি। এবার জেনে নিন প্রাথমিক অবস্থায় ওভারহাইড্রেশনের লক্ষণ কী কী-

>> বমি বমি ভাব ও বমি
>> মাথাব্যথা
>> বিভ্রান্তি

চিকিত্সা না করা ওভারহাইড্রেশন আপনার রক্তে সোডিয়ামের বিপজ্জনকভাবে নিম্ন স্তরের হতে পারে। এটি আরও গুরুতর লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে, যেমন- পেশি দুর্বলতা, খিঁচুনি বা ক্র্যাম্প ও অজ্ঞান হয়ে পড়া।

দৈনিক কতটুকু পানি পান করবেন?

পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে সাধারণত দৈনিক পানির চাহিদা কিছুটা আলাদা। পুরুষদের ক্ষেত্রে দৈনিক ৩.৭ লিটার ও নারীদের ২.৭ লিটার প্রয়োজন। সাধারণভাবে মূত্রের রং স্বচ্ছ বা হালকা হলুদ হলে ধরে নেওয়া যায়, দেহে পানির পরিমাণ পর্যাপ্ত আছে।

তবে ব্যক্তি, স্থান ও আবহাওয়াভেদে এই হিসাব কিছুটা বদলে যেতে পারে। তাই দৈনিক কতটা পানি পান করতে হবে তা নিয়ে সংশয় থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

সূত্র: হেলথলাইন

11
ওজন যতটা সহজে বেড়ে যায়, ঠিক ততটাই কঠিন তা কমানো। ওজন কমাতে তো কতজনই না কতকিছু করেন। তবে মূল বিষয় হলো ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।

না হলে শত চেষ্টা করেও ওজন কমবে না। তাই ওজন কমাতে হলে সঠিক খ্যাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা দুটোই জরুরি।

তবে মসলার গুণেও যে ওজন কমানো যায়, তা কি জানেন! অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতেই নয় বরং ওজন কমাতেও ব্যবহার করতে পারেন মসলা। জেনে নিন তেমনই ৪ মসলার খোঁজ-

>> রান্নায় জিরা ব্যবহার না করলে কী চলে! বিশেষ করে মাছ-মাংস রান্না এই ছোট্ট মসলা ব্যবহৃত হয়। জানলে অবাক হবেন, জিরা ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কাজ করে। এজন্য এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ জিরা সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করুন। এই ডিটক্স ওয়াটারে ওজন ঝরবে দ্রুত।

>> স্থূলতার সমস্যায় ভাজা জোয়ান বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস পানিতে কিছুটা জোয়ান ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে পান করুন। এতে বিপাক হার বাড়বে। আর তার সঙ্গেই কমবে ওজন।

>> মৌরির আছে নানা গুণ। এর মধ্যে অন্যতম হলো মৌরি ভেজানো পানি পান করলেও শরীরের মেদ কমে। সারারাত মৌরি পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পান করুন।

এটি শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের শোষণের হার বাড়াতে সাহায্য করে। এই পানি হজমশক্তি বাড়ায়। হজমপ্রক্রিয়া ভালো হলে মেদও ঝরে দ্রুত।

>> বিভিন্ন পদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় দারুচিনি। ওজন ঝরাতেও কিন্তু আপনি নিশ্চিন্তে দারুচিনির উপর ভরসা রাখতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।

এই মসলার গুঁড়া প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করুন। দারুচিনি শরীরের বিপাক হার বাড়ায়। ফলে ওজনও কমে দ্রুত।


Source:https://www.jagonews24.com/lifestyle/news/780454

12
মহাগ্রন্থ আল কোরআন হলো হেদায়াতের আলোকবর্তিকা। মুসলমানদেও পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এ কোরআন মহান রব্বুল আলামিন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর সুদীর্ঘ ২৩ বছর ধরে নাজিল করেন। কোরআন হলো মানবজীবনের সব সংকট উত্তরণের এবং বিপদ থেকে নাজাত পাওয়া ও পরকালের মুক্তির উৎস। অতএব কোনো মানুষ যদি কোরআন আঁকড়ে জীবন পরিচালিত করে তাহলে সে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না এবং কেউ তাকে বিপথে পরিচালিতও করতে পারবে না। আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন, ‘এ সেই কিতাব, যাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। এটি মুত্তাকিদের জন্য পথপ্রদর্শক।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ২) মুত্তাকি হলো সে যে আল্লাহর আদেশ মেনে নিয়ে এবং তাঁর নিষেধ থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থেকে তাঁর অসন্তুষ্টি ও শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। একমাত্র মুত্তাকিরাই কোরআন পাঠের মাধ্যমে হেদায়েত লাভ করতে পারে।

আল্লাহ আরও বলেন, ‘আর এটি বরকতময় কিতাব, যা আমি নাজিল করেছি। সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা আনয়াম, আয়াত ১৫৫) কোরআনের পরিচয় দিতে গিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ! এ কিতাবে তোমাদের মালিকের কাছ থেকে তোমাদের কাছে যা কিছু পাঠানো হয়েছে তোমরা তার অনুসরণ কর এবং তার বদলে তোমরা অন্য কোনো অভিভাবকের অনুসরণ কোরো না, আসলে তোমাদের কম লোকই উপদেশ মেনে চলে।’ (সুরা আরাফ, আয়াত ৩) মানুষের সুবিধার্তে আরবি ভাষায় কোরআন নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘এভাবেই আমি কোরআনকে আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করেছি এবং তাতে বিশদভাবে বিবৃত করে দিয়েছি সতর্কবাণী যাতে তারা ভয় করে অথবা তাদের জন্য এটা উপদেশবাণীতে পরিণত হয়।’ (সুরা ত্বা হা, আয়াত ১১৩)
হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঠেকে ঠেকে কোরআন পাঠ করে এবং তা তার জন্য কঠিন মনে হয়, তবে সে এ পাঠের জন্য দ্বিগুণ সওয়াব অর্জন করবে।’ (মুসলিম) হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআন পড়েছে এবং তা মুখস্থ করেছে, এরপর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জেনেছে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন।’ (তিরমিজি, মিশকাত) একজন মোমিন মুসলমানের জন্য এর চেয়ে বড় পুরস্কার আর কী হতে পারে? আল কোরআনে আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব কোরআন তিলাওয়াত করে, সালাত কায়েম করে ও আল্লাহর দেওয়া রিজিক থেকে গোপনে বা প্রকাশ্যে দান করে তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির, আয়াত ২৯) সুতরাং এ আয়াতে কোরআন তিলাওয়াতের ব্যাপারে আল্লাহ নিজেই আমাদের তাগিদ দিয়েছেন পাশাপাশি নামাজ কায়েম ও দান-সদকা করার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেছেন। কোরআনের বিধান যারা মানে না তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ বলেন, ‘তার চাইতে বড় জালিম আর কে আছে, যাকে তার মালিকের আয়াতগুলো স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং সে এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এবং যা কিছু গুনাহ তার হাত দুটো অর্জন করেছে।’ (সুরা আল কাহাফ, আয়াত ৫৭) সুতরাং কোরআন তিলাওয়াত ও তদনুযায়ী আমল করার মাধ্যমে আমরা যেন পরকালের শাস্তি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রতিদিন কোরআন পড়ার তৌফিক দান করুন।



 বিডি প্রতিদিন

13
Heart / ফুসফুসের যত্নে করণীয়
« on: May 22, 2022, 01:29:05 PM »
সাধারণত ফুসফুস কতটা সুস্থ, তা বোঝা যায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের হিসেবে তার বাতাস ধরে রাখার ক্ষমতা দেখে। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এর ধারণক্ষমতা কমতে থাকে। তাই বয়স যখন ৪০, তখন থেকেই ফুসফুসের প্রতি বেশি খেয়াল রাখা দরকার। কম বয়স থেকেই সেই যত্নের পাঠ শুরু হলে ভবিষ্যতে তা আরও ভালো ফলদায়ক হবে।

ফুসফুস যত্নে করণীয়
শরীরের গঠন অনুযায়ী নারীর তুলনায় পুরুষের ফুসফুসের ধারণক্ষমতা বেশি হয়। কিন্তু দীর্ঘ অনিয়ম ও অযত্নে তা কমতে পারে। আবার একটু বেশি যত্ন নিলে নারীর ফুসফুসেরও ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে তাকে সুস্থ রাখা যায়। তাই ফুসফুসের যত্নের প্রশ্নে নারী-পুরুষ উভয়কেই হতে হবে সচেতন। নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ফুসফুসকে সুস্থ রাখবে। বিশেষত হাঁপানি বা ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগীদের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়াতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম উপকারী। এ ছাড়া এতে শিথিলায়ন হয় বা মানসিক চাপ কমে। পাশাপাশি ফুসফুসকে সুস্থ রাখার বিষয়ে খাবারের একটা বড় ভূমিকা আছে। বিশেষ করে বয়সের ভারে বা পরিবেশ দূষণে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রশ্নে যারা একটু দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে ফুসফুসের যত্নের কথা মাথায় রেখেই সাজাতে হবে ডায়েট চার্ট। ফুসফুসের যত্নে কী কী করণীয় জেনে নিন।

♦ ফুসফুসে নিকোটিন ও কার্বনের নানা যৌগ ফুসফুসে পৌঁছে তার চরম ক্ষতি করে। তাই ফুসফুস ভালো রাখতে ধূমপানের বদভ্যাস ত্যাগ করুন।

♦ শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ফুসফুসের স্বাস্থ্য তথা পুরো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে দিনে ২-৩ লিটার পানি অবশ্যই পান করতে হবে। এতে রক্তের ঘনত্ব ঠিকঠাক থাকে বলে সারা শরীরের সঙ্গে ফুসফুসেও রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ফুসফুসের শ্লেষ্মা পাতলা থাকে। ফলে বাতাসের বিষ, জীবাণু হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বার করে দিতে সুবিধে হয়। এছাড়া ফুসফুসের মিউকোসাল লাইলিংগুলোকে সরু ও কার্যক্ষম করে তুলতে পানির ভূমিকা অপরিসীম।

♦ পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের জন্য ভালো। অতএব, সবুজ শাক, টমেটো, বিট, আলু, কলা খান নিয়মিত। প্রোটিন একটু বেশি করে খান। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই, ডাল, ছোলা ইত্যাদি।

♦ পুষ্টিবিদদের মতে, কার্বোহাইড্রেট সুষম খাবারের অঙ্গ। তাই একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না। তবে কার্বোহাইড্রেটের ধরন পাল্টে নিন। সাধারণ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বদলে নিন কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট। কম স্টার্চ আছে এমন শাক-সবজি বেশি খান। আলু, পটল, কুমড়া, গাজর ইত্যাদি খান। খোসা না ছাড়িয়ে তরকারি করে খেতে পারলে আরও ভালো।

♦ মেরুদন্ড সোজা করে বসে চোখ বন্ধ করে পর পর কয়েকবার গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। ধীরে ধীরে এর গতি কমে আসবে। প্রথমে প্রশ্বাস ছাড়ার সময় এক গুনবেন, তার পরের বার দুই, এভাবে পাঁচ পর্যন্ত। তার পর আবার নতুন করে এক দিয়ে শুরু করবেন। এ ব্যায়ামটি দিনে ১০ মিনিট করবেন। এটি এক ধরনের মেডিটেশন বা ধ্যান।

♦ বুক ভরে লম্বা নিঃশ্বাস নেওয়া আর ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ার ব্যায়াম আপনার ফুসফুসকে আরও মজবুত, কার্যকরী করবে। যখন আমরা বুক ভরে শ্বাস নিই তখন আমাদের পাঁজরের হাড় বা রিবস বাইরের দিকে সরে আসে পাশাপাশি ডায়াফ্রামের পেশি সংকুচিত হয়ে নিচে নেমে যায়, ফলে আমাদের ফুসফুস প্রসারণের জন্য যথেষ্ট জায়গা পায়, আবার যখন নিঃশ্বাস ছেড়ে দিই তখন রিবস এবং ডায়াফ্রামের পেশি আগের অবস্থানে ফিরে আসে। এভাবে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ফলে আমাদের শরীর অতিরিক্ত অক্সিজেন পায় যা আমাদের শরীরকে বেশি বেশি শক্তি জোগায় এবং ক্লান্তি আর স্ট্রেস দূর করে। সময় পেলেই আমাদের উচিত এভাবে বুক ভরে একটু লম্বা সময় ধরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার এক্সারসাইজ করা।

লেখা : হেলথ ডেস্ক




14
হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের ভুল ধারণা আছে। অনেকে মনে করেন, কারও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করার প্রবণতা থাকলে হয়ত সেটিকে হাইপারটেনশন বলে। কেউ মনে করেন কারও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে হয়ত উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সময় যে বুক ধড়ফড় করে সেটাই হাইপারটেনশন।

কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, উচ্চ রক্তচাপেরই আরেক নাম হাইপারটেনশন। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা এনএইচএস হাইপারটেনশনকেই হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ বলে বর্ণনা করছে।
বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।

বাংলাদেশে এক চতুর্থাংশ মানুষ হাইপারটেনশন বা যাকে সাধারণভাবে আমরা উচ্চ রক্তচাপ বলে জানি, তাতে ভুগছেন বলে চিকিৎসকেরা জানান। আর তাতে পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি ভুগছেন।

চলুন জেনে নিই হাইপারটেনশন নিয়ে মৌলিক কিছু বিষয়াবলী-

কেন হয় হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ?

এক সময় ধরে নেওয়া হত কেবল বয়স্ক মানুষ অর্থাৎ ৪০ বছরের বেশি হলেই কারও উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা তৈরি হয়।

কিন্তু এখন চিকিৎসকেরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অল্পবয়সীদের মধ্যেও এ রোগ দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক এসএম মুস্তাফা জামান বলেছেন, সবচেয়ে বড় শঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষ যারা হাইপারটেনশনে ভুগছেন, অথচ তারা সে সম্পর্কে জানেনই না।

“এর ফলে হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেইলিওরের মত বড় ধরনের কোনও অসুস্থতায় আক্রান্ত হলে পরিণতিতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

কিন্তু নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে এ নীরব ঘাতকের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব,” তিনি বলেছেন।

সেজন্য সবার আগে প্রয়োজন শনাক্ত করা যে আপনার রক্তচাপ বিপৎসীমার নিচে আছে কি না, আর না থাকলে কী করতে হবে।

কিন্তু কিভাবে বোঝা যাবে একজন মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন কি-না?

লক্ষণ কী?

আফসানা সুলতানা একজন ব্যাংকার। ২০২০ সালে প্রায় মাসখানেক ধরে তার ঘাড় ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা এবং বমি বমি ভাব হচ্ছিল।

তিনি ভেবেছিলেন হয়ত দীর্ঘসময় কম্পিউটারে কাজ করছেন বলে ঘাড় ব্যথা হচ্ছে। সাথে খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়মের কারণে গ্যাস হয়ে হয়ত বমি ভাব হচ্ছে।

নিজে নিজে ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছিলেন। লাভ হচ্ছিল না।

এরপর একদিন হঠাৎ তিনি বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান যে তার একটি মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে এবং তার রক্তচাপ অনেক বেশি।

কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকার সময় দেখা গেল উচ্চ রক্তচাপ ছাড়া তার আর কোনও বড় সমস্যা মানে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস কিংবা কিডনি রোগ নেই।

তখন চিকিৎসকেরা জানান, উচ্চ রক্তচাপের কারণেই তার স্ট্রোক হয়েছিল।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আফসানা সুলতানার যে লক্ষণগুলো ছিল সেগুলোই কি উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ?

চিকিৎসকেরা বলছেন, না।

অধ্যাপক এসএম মুস্তাফা জামান বলেছেন, বাংলাদেশে হাইপারটেনশনের যে রোগীরা আসেন তাদের মধ্যে তিন ভাগের একভাগ রোগী জানেনই না যে তারা হাইপারটেনশনে ভুগছেন।

একভাগ রোগী আসেন ঘাড় ব্যথা, মাথা ব্যথা, বমি ভাব বা বমি হওয়া, শরীর খারাপ এমন ধরনের উপসর্গ নিয়ে।

আর একভাগ রোগী আসেন উচ্চ রক্তচাপের ফলে হওয়া জটিলতা নিয়ে, যেমন হার্ট ফেইলিওর বা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হবার পর।

কিন্তু সাধারণভাবে তিনি কয়েকটি লক্ষণের কথা বলেছেন, যেমন ঘাড় ও মাথা ব্যথার পাশাপাশি মাথা ঘোরা, অল্পে রেগে যাওয়া, রাতে ভালো ঘুম না হওয়া, অস্থির লাগা-- এমন লক্ষণ দেখা গেলে সতর্ক হতে হবে, এবং রক্তচাপ পরিমাপ করে দেখতে হবে।

কখন বোঝা যাবে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হয়েছে?

হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ বেশি থাকলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার বলা হয়।

অধ্যাপক জামান বলেছেন, যখন কোনও মানুষের রক্তচাপ পরিমাপের দুটি একক, অর্থাৎ সিস্টলিক প্রেশার, যাকে প্রেশারের উপরের পরিমাপক বলা হয়, এবং ডায়াস্টলিক প্রেশার, যাকে সহজভাবে নিচের দিকের রক্তচাপ পরিমাপক বলা হয়, সেখানে নির্ধারিত মাত্রার উপরে রক্তচাপ চলে যায়।

একজন সুস্থ মানুষের রক্তচাপ থাকার কথা ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি।

কিন্তু সেটি যদি কারও পরপর দুইদিন ১৪০/৯০ এর বেশি থাকলে তখন সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বলে চিহ্নিত করা হয়।

তবে রোগীর বয়স ৮০ বছর বা তার বেশি হলে রক্তচাপের পরিমাপক বেশি হবে।

কীভাবে বাড়ে রক্তচাপ?

অধ্যাপক জামান বলেছেন, উচ্চ রক্তচাপ কিভাবে বাড়ে সেটি নির্দিষ্ট করে জানা যায় না।

তবে, অনেক সময়ই উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক কারণের সাথে বংশগতির সম্পর্ক থাকে।

তবে যাদের অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপ শনাক্ত হয়, তাদের রক্তচাপ বেশি থাকার কিছু কারণ দেখা যায়, যার কারণে কারও রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে:

* কিডনি সমস্যা

* রক্তনালী সরু হয়ে গেছে

* হরমোন সমস্যা

* থাইরয়েড সমস্যা, পিটুইটারি গ্লান্ডের সমস্যা

* মস্তিষ্কে কোনও সমস্যা থাকলে

* স্টেরয়েড গ্রহণের ধারাবাহিকতা থাকলে

উচ্চ রক্তচাপ থেকে বাঁচতে কী করতে হবে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, উচ্চ রক্তচাপের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৯৪ লাখ মানুষ মারা যান, এবং এটি পৃথিবীতে অসুখে ভুগে মারা যাওয়ার প্রধান কারণ।

অধ্যাপক জামান বলেছেন, উচ্চ রক্তচাপের কারণে শরীরের মাথা থেকে পা পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে।

প্রথমেই এ থেকে স্ট্রোক হতে পারে, যা থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।

স্ট্রোক থেকে অন্ধত্ব, শরীরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ অবশ হয়ে যাওয়া এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

এ থেকে হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলিওর হতে পারে।

এছাড়া উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।

ফলে চিকিৎসকেরা মনে করেন, সতর্ক হওয়া ছাড়া উপায় নেই।

যেসব পদক্ষেপের মাধ্যমে সুস্থ থাকা যাবে:

* খাবারে আলগা লবণ বাদ দিতে হবে

* ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

* শাক-সবজি, ফলমূল বেশি করে খেতে হবে

* নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করতে হবে

* নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করতে হবে

* রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

* তামাক ও তামাক জাতীয় বস্তু ত্যাগ করতে হবে

* পরিমিত ঘুমাতে হবে

* স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতে হবে

* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা যাবে না

উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ক গাইডলাইন

বাংলাদেশের সরকারের উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ক একটি গাইডলাইন আছে, যাতে কম ওষুধ সেবন করে এবং জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টাকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

এই গাইডলাইন তৈরির সাথে ছিলেন অধ্যাপক জামান, তিনি বলেছেন গাইডলাইনের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশব্যাপী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রক্তচাপ পরিমাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সেইসঙ্গে একটি চার্ট বা টেবিল করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে উচ্চ রক্তচাপ কত থাকলে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, এবং কী ওষুধ খেতে হবে, সেগুলো চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।
 

সূত্র: বিবিসি বাংলা


15
শরীরে অগ্ন্যাশয় যদি যথার্থ ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীরে ইনসুলিনের সঠিক কাজ ব্যাহত হয় তাহলে সেটাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়; অধিক তৃষ্ণার্ত অনুভব করে এবং বার বার মুখ শুকিয়ে যায়। আক্রান্তরা অতিশয় দুর্বলতা, সার্বক্ষণিক ক্ষুধা, স্বল্প সময়ে দেহের ওজন হ্রাস, চোখে ঝাপসা দেখাসহ নানান সমস্যায় ভোগে।

নিচে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক কয়েকটি খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো :
সবুজ চা : সবুজ চা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মতো কাজ করে; ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে এটি।
ওয়াইল্ড স্যামন : ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অন্যতম একটি ঔষধি খাদ্য ওয়াইল্ড স্যামন। এতে উচ্চ মাত্রায় ওমেগা-৩ রয়েছে। ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি বড় উৎস এটি। ডায়াবেটিস রোগের পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও কমায় ওয়াইল্ড স্যামন।

মাছ : গবেষণায় দেখা যায়, মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। এতে চর্বিহীন প্রোটিন রয়েছে।

টক দই : টক দই একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। এতে চিনির পরিমাণ খুব কম। এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। দুপুরের খাবারের সঙ্গে বা বিকেলের নাস্তায় স্যান্ডউইচের সঙ্গে টক দই খাওয়া যায়। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ডিমের সাদা অংশ : ডিম পেশি গঠনকারী খাদ্য। এতে উচ্চ মানের প্রোটিন রয়েছে। ডিমের সাদা অংশে উচ্চ মানের চর্বিহীন প্রোটিন এবং কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা ২ ধরণের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

লেবু : লেবু ও লেবু জাতীয় ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে। তবে লেবু জাতীয় ফল খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়। জাম্বুরা, কমলা, লেবু এবং লাইমস ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের মতো কাজ করে।

সবুজ শাকসবজি : সবুজশাক সবজি ২ ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। পালং শাক, পাতা কপি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। গবেষণায় বলা হয়, সবুজ শাক সবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে।

বাদাম : গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিসের ঝুকি প্রায় ২১ শতাংশ পর্যন্ত কমায় চীনাবাদাম। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১ আউন্স আখরোট বা কাজুবাদাম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

মটরশুটি : ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য মটরশুটি। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ১ কাপ মটরশুটি খেলে ২ ধরনের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এতে উচ্চমাত্রায় শর্করা, চর্বিহীন প্রোটিন এবং আঁশ রয়েছে। এটি শরীরের রক্তে চিনি কমাতে সাহায্য করে; হৃদরোগের সম্ভাবনাও কমায়।


বিডি প্রতিদিন/


Pages: [1] 2 3 ... 30