Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - sarowar.ph

Pages: [1] 2 3 4
1
পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গরমে পেঁপের শরবত বেশ উপকার দেয়। অনেকেই জানে না পেঁপের বীজের উপকারিতা। মেদ কমাতে বা ওজন কমাতে পেঁপে বীজের উপকারিতা জানলে অবাক হবেন।

পেঁপের বীজের বেশ কয়েকটি কার্যকরী দিক রয়েছে। হজম শক্তি বাড়াতে বেশ খুব কাজে দেয়, ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে। পেঁপের বীজ ওজন কমাতে যেভাবে কাজ করে আমাদের জানা প্রয়োজন।

ওজন কমাতে যেভাবে ব্যবহার করবেন পেঁপের বীজ:– পেঁপেতে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল থাকে। ক্যালরির পরিমাণও পেঁপের বীজে কম। পেঁপেতে উপস্থিত উৎসেচক ওজম কমানোর পাশাপাশি ব্যাড কোলেস্টেরল কম করতেও সাহায্য করে। পেঁপের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। ১০-১৫ দিন পর্যন্ত ১ চামচ করে এই গুঁড়ো খেলে ওজন কমানো সহজ হতে পারে। এক দিনে ৫-৮ গ্রাম বীজের গুঁড়ো খান। লেবুর রসের সঙ্গে পেঁপের বীজের গুঁড়ো খেতে পারেন। এমনকি স্যালাডের ওপর ছড়িয়েও এটি খাওয়া যেতে পারে।

ত্বক করবে উজ্জ্বল:- পেঁপের বীজে অ্যান্টি এজিং গুণ থাকে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখার পাশাপাশি বলিরেখা দূর করতেও সাহায্য করে এটি। পেঁপে খাওয়ার সময় এই বীজ চিবিয়ে খেয়ে নিন। এর পর জল পান করুন। এমন করলে অসময়ে বলিরেখা ও ফাইন লাইন দেখা দেবে না।

হজম শক্তি বাড়ায়:- পেঁপের বীজে অধিক পরিমাণে পাচক উৎসেচক থাকে। যা প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে প্রাকৃতিক পাচন ক্রিয়ায় সাহায্য করে। পেঁপের বীজকে রোদে শুকিয়ে মিক্সারে গুঁড়ো করে নিন। সামান্য উষ্ণ জলের সঙ্গে এটি খান।

ওজন কমাতে পেঁপে বীজের উপকারিতা জানলে অবাক হবেন শিরোনামে সংবাদের তথ্য হিন্দুস্থান টাইমস থেকে নেওয়া হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ

2
পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুর। এতে রয়েছে ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্কসহ বেশ কয়েকটি পুষ্টি উপাদান। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করতে পারে খেজুর।

খেজুরের পুষ্টিগুণ নিয়ে লিখছেন জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালের ইজি ডায়েট কনসালটেন্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকা।

১। অনেক পুষ্টি উপাদানে ভরপুরঃ
কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন,পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, আয়রন, ভিটামিন-বি৬ এ ভরপুর

২। রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করেঃ
খেজুরে থাকা ফাইবার হজম ধীর করে, ফলে সারাদিন না খেয়ে থাকার পরে হঠাৎ পানাহার করলে রক্তের গ্লুকোজ বেড়ে যায় না। তাই ইফতারে প্রথমেই খেজুর গ্রহন করুন।

৩। রক্তশূন্যতা দূর করেঃ
খেজুরে বিদ্যমান আয়রন, রক্তশুন্যতা দূর করে। যাদের রক্তশুন্যতা রয়েছে তাদের প্রতিদিন খেজুর খাওয়া উচিত।

৪। নিয়মিত খেলে কোষ্টকাঠিন্য দূর হয়ঃ
টানা ২১ দিন একটি করে খেজুর খেলে বাওয়েল মুভমেন্ট উন্নত হয় বলে পরীক্ষিত।

৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
ফ্লাভিনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক এসিড এর মত তিনটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পাশাপাশি হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং চোখের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

৬। ব্রেইনের স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ
এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ব্রেইনের প্রদাহ কমায় এবং এতে বিদ্যমান পুষ্টি উপদান ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৭। প্রসবে সাহায্য করে এবং নরমাল ডেলিভারির চান্স বাড়ায়:
৯১ জন প্রেগন্যান্ট মহিলার একটি পরিক্ষায় দেখা গেছে প্রেগন্যান্সির শেষ ৪ সপ্তাহ প্রতিদিন ৭০-৭৬ গ্রাম খেজুর খাওয়ায় তাদের প্রসব সংকোচন কমেছে এবং নরমাল ডেলিভারির চান্স অনেকাংশে বেড়েছে।

৮। চিনি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করুন:
আর্টিফিশিয়াল চিনি ব্যবহার না করে তার পরিবর্তে খেজুর ব্যবহার করুন। তবে ডায়াবেটিস রোগীর খাবারে পরিমানমত ব্যবহার করুন।

৯। হাড়ের জন্য উপকারী:
খেজুরে থাকা পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

১০। খুব সহজে পথ্যে যোগ করা যায়: খেজুর মিল্কশেক, বেকিং, চিনির পরিবর্তে, সালাদে, ওটসে, কাস্টার্ডে ব্যবহার করে বিভিন্ন আইটেম তৈরি করা যায়।


 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ

3
পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ধনসম্পত্তি, সৌভাগ্যের উন্নতিতে বাড়িতে নিম গাছ থাকা ভালো- কথাটি বেশ প্রচলন রয়েছে। তবে, ধনসম্পত্তি না হলেও কয়েকটি গাছ বেঁচে থাকার মূল উপাদান অক্সিজেন সরবরাহ করে। এখন ঘরে অক্সিজেন বাড়ায় এমন ৪ গাছ সম্পর্কে জানব:-

নিম

নিমের গুণাগুণ অপরিসীম। এটিও বাতাস শুদ্ধ করতে সাহায্য করে। নিম গাছ সাধারণত বাড়ির বাইরে থাকে। কিন্তু ভেতরেও নিম গাছ লাগানো যেতে পারে। বিশেষ করে বাড়ির মাঝখানে নিম গাছ রাখলে ফল মেলে ভালো। বাতাস শুদ্ধ করা ছাড়া পোকামাকড় দূর করতেও সাহায্য করে নিম গাছ।

অর্কিড

এর সৌন্দর্যের তুলনা নেই। বিছানার পাশে অর্কিড রাখলে ঘরের সৌন্দর্যই পালটে যায়। এই গাছ অ্যালোভেরা, স্নেক প্ল্যান্ট ও অশ্বত্থ গাছের মতো অক্সিজেনও ত্যাগ করে। ফলে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে অর্কিড।

স্নেক প্ল্যান্ট

অ্যালোভেরার মতোই গুণাগুণ রয়েছে এই গাছেরও। এটিও অক্সিজেন ছাড়ে আর কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। তাই ঘরের মধ্যে এই গাছ লাগালে উপকার পাওয়া যাবে। তাছাড়া এই গাছ দেখতেও বেশ সুন্দর। ঘরের শোভা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই।

অ্যালোভেরা

যেসব গাছ থেকে মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়, অ্যালোভেরা তার মধ্যে শীর্ষে। বাতাস সুস্থ রাখতে নাসার ভেতরে পর্যন্ত রাখা রয়েছে এই গাছ। এর কোনো পরিচর্যা দরকার হয় না। বরং এই গাছ থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল অক্সিজেন তৈরি করা এবং পরিবেশ তা ছাড়া৷

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ


4

 
পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার ২৪.কম: পুদিনা জনপ্রিয় সুগন্ধি এবং মসলাজাতীয় বিরুৎ প্রকৃতির গাছ । রান্নায় পুদিনা পাতার কদর তো আছেই, কিন্তু ঔষধি হিসেবে এই পাতার বহুল ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। আসুন পুদিনা পাতার আশ্চর্য ১০ স্বাস্থ্যগুণ জেনে নিই:-

ব্যবহার:
১. খালি পেটে মধু ও লবণ মিশিয়ে পুদিনা বাটা খেলে কৃমি সেরে যায়।
২. কফ সর্দিজ্বর ও কুষ্ঠ রোগের জন্য পুদিনা পাতা উপকারী।
৩. পুদিনা পাতা কচলে নিয়ে শুকিয়ে দিলে মুর্চ্ছা রোগে উপকার হয়।
৪. পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে বেটে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে পায়ের গোদের উপকার হয়।
৫. মধুর সাথে পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে খেলে শরীরের জমে থাকা ক্লেদ ঘা হয়ে বেরিয়ে যায়।
৬. দাদের ওপর বার বার পুদিনা পাতার রস লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।
৭. নাকের ভেতর পুদিনা পাতার রসের ১-২টি ফোটা ফেললে সর্দি সেরে যায়।
৮. পুদিনা পাতা চিবিয়ে বিছার কামড়ের জায়গায় লাগালে কামড়ের কষ্ট বা ব্যথা দূর হবে।
৯. পুদিনা পাতা পুড়িয়ে ছাই দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়।

১০. পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।

আরও পড়ুন: গমের ভেষজগুণ ও উপকারিতা

উপকারিতা:
১. তাৎক্ষণিক যে কোনও ব্যথা থেকে রেহাই পেতে পুদিনা পাতার রস খুব উপকারী। চামড়ার ভেতরে গিয়ে নার্ভে পৌঁছে নার্ভে পৌঁছায় এই রস। তাই মাথা ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায়। মাথা ব্যথা হলে পুদিনা পাতার চা পান করতে পারেন। অথবা তাজা কিছু পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টে ব্যথায় পুদিনা পাতা বেটে প্রলেপ দিতে পারেন।

২. সর্দি হলে নাক বুজে যাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো মারাত্মক কষ্ট পান অনেকেই। সেই সময় যদি পুদিনা পাতার রস খান, তাহলে এই কষ্ট থেকে রেহাই পাবেন নিমেষে। যাঁরা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। খুব বেশি নিঃশ্বাসের এবং কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনা পাতা গরম জলে ফুটিয়ে সেই জলেরর ভাপ নিতে পারেন। ভাপ নিতে অসুবিধা হলে গার্গল করার অভ্যাস তৈরি করুন।

৩. গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শশার নির্যাস একসঙ্গে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। মসৃণও হয়।

৪.এই পাতার রস ত্বকের যে কোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। শুকনো পুদিনা পাতা ফুটিয়ে পুদিনার জল তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিন। এক বালতি জলে দশ থেকে পনেরো চামচ পুদিনার জল মিশিয়ে স্নান করুন। গরমকালে শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া-জনিত বিশ্রী দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পেতে এটা ট্রাই করতে পারেন। কেননা পুদিনাতে রয়েছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট। ঘামাচি, অ্যালার্জিও হবে না।

আরও পড়ুন: জেনে নিন ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

৫.পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা পেটের যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে খুব দ্রুত। যাঁরা হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যথা কিংবা পেটের নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাঁরা খাবার কাওয়ার পর ১ কাপ পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৬/৭টি তাজা পুদিনা পাতা গরম জলে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনা পাতার চা তৈরি করতে পারেন ঘরের মধ্যেই।

৬. গরমকালে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখাতে পুদিনার রস খুব ভাল। গোসলের আগে জলের মধ্যে কিছু পুদিনা পাতা ফেলে রাখুন। সেই জল দিয়ে স্নান করলে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে।

পুদিনা পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম

5
কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা ইতোমধ্যেই টিভি, সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিভিন্নরকম তথ্য ও পরামর্শ জানতে পারছি। করোনাভাইরাস নিয়ে ব্র্যাকের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রধানরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর, তথ্য ও পরামর্শ দিয়েছেন। কথা বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ও ইউ জি সি অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ।

তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সবার কি করোনা পরীক্ষা করার দরকার আছে? অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, "সবার ঢালাওভাবে করোনা পরীক্ষা করানোর দরকার নেই। যার লক্ষণ নেই বা বিদেশ ফেরত নন বা বিদেশ থেকে এসেছে এমন কারো সংস্পর্শে আসেননি তাদের করোনা পরীক্ষা করানোর কোন দরকার নেই।" তিনি আরো বলেন, "করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হলে আগে লক্ষণ যেমন সর্দি, কাশি, জ্বর হতে হবে। পরীক্ষার জন্য মুখের লালা স্যাম্পল হিসাবে নিতে হয়। যার কাশিই হয়নি, তার তো স্যাম্পলই নেওয়া যাবে না, পরীক্ষা করলেও কিছু পাওয়া যাবেনা।" তাহলে পরীক্ষা কারা করাবেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, "যারা বিদেশ থেকে এসেছেন বা বিদেশ ফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন। এসেই জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছেন, তখন তারা পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।" তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, অন্য জ্বরের সাথে করোনার লক্ষণের পার্থক্য কোথায়? তিনি বলেন, "করোনার লক্ষণের মধ্যে পড়ে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা একটু বেশি জটিল হলে নিউমোনিয়া ইত্যাদি। কিন্তু সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির সাথে শুধুমাত্র লক্ষণ দেখে বলা যাবে না যে এটাই করোনাভাইরাস বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়। পরীক্ষা না করিয়ে কোনভাবেই সেটা বলা যাবেনা।"

করোনাভাইরাস নিয়ে ডাক্তারদের করণীয় সম্পর্কেও তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সন্দেহ হলে আইইডিসিআর এ যোগাযোগ করতে হবে, হটলাইন নাম্বার আছে সেখানেও যোগাযোগ করতে পারবেন। আর ডাক্তারদের অবশ্যই রোগীকে চিকিৎসা দিতে হবে। ব্যাক্তিগতভাবে সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে যেমন গাউন পরা, মাস্ক, মাথার টুপি, হাতের গ্লাভস পরে নিয়ে রোগীর চিকিৎসা করতে হবে, রোগীকে অবহেলা করা যাবে না। সাথে নিজের সুরক্ষার কথাও ভাবতে হবে।"

তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় করোনাভাইরাসে শিশুরা কি কম আক্রান্ত হয়? তিনি বলেন, "এখন পর্যন্ত দেখা গেছে বিশ্বব্যাপী শিশুদের আক্রান্তের হার কম। করোনাভাইরাসে যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৪০ বছরের উপরে। তবে শিশুরা যে একদম আক্রান্ত হবেই না সেটা বলা যায় না।" করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সাথে তাপমাত্রার কি কোন সম্পর্ক আছে? তিনি বলেন, "আগে ভাবা হতো শীতকালে ঠান্ডা-সর্দি বেশি লাগে। দক্ষিণ চীনে যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ হোল তখন সেখানে তাপমাত্রা কম ছিল। এরপর সিঙ্গাপুর, মিডল ইস্ট, সৌদি আরবেও করোনার প্রকোপ হোল যেসব দেশে তাপমাত্রা অনেক বেশি। তাই তাপমাত্রা বেশি থাকলে করোনাভাইরাস ছড়াবে না সেটা ভেবে বসে থাকলে হবে না। প্রতিরোধের জন্য নিয়ম মেনে চলতে হবে।"

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন। নিজে সতর্ক থাকুন এবং অন্যকেও জানান।

https://www.prothomalo.com/life-style/article/1648712/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6-%E0%A7%A6%E0%A7%A7

6
The coronavirus pandemic is set to deal a heavy blow to the country's overseas job market and the remittance flow as a large number of Bangladeshi migrants have already lost their jobs or were receiving low wages amid shutdowns enforced to stem the spread of the virus, say economists and researchers.   

After different businesses were closed due to the shutdown, the documented workers are being provided with basic wages, but the undocumented ones are getting nothing at all. Working hours of many, including in cleaning jobs and those at grocery stores, have also been slashed.     

On the other hand, thousands of Bangladeshi migrants who came home on leave and those who were waiting to fly after securing work visas are not being able to join work abroad as the destination countries have imposed travel bans in face of the coronavirus outbreak, which, according to the experts, is now threatening to cause a global recession.

"Remittance is likely to see a significant reduction in a few months," Prof Syeda Rozana Rashid of Dhaka University's international relations told The Daily Star.

There is low pay or no pay for many who are suffering abroad. Besides, a large number of Bangladeshis are not able to join work abroad, she said, adding, "This is like a double-edged sword that the country is facing."

Remittance from expatriates is one of the main pillars of the Bangladesh economy. About one crore Bangladeshi migrants sent home $18.35 billion in remittance last year alone.

Most of the amount comes from countries like Saudi Arabia, United Arab Emirates, Kuwait, Oman, Qatar, Bahrain, USA, UK, Italy and Malaysia.

USA, Italy and UK are the countries hit hardest by the pandemic. The Gulf and Southeast Asian countries, though less affected than Western countries, are also enforcing shutdowns to stop the transmission of Covid-19.

Talking to The Daily Star from US, Italy, France, Saudi Arabia and Malaysia, many Bangladeshis said they were staying indoors after their workplaces were closed amid the shutdown.

One migrant, Raju Ahmed, 30, said the grocery store he works at was still open in Kuala Lumpur, but his working hours were halved. "Now I hardly earn Tk 25,000, whereas my previous monthly salary was Tk 40,000."

Raju along with five others, including three undocumented workers, lives in an apartment in the Malaysian capital. "Those three have lost their jobs. I am helping one of them while the two others were surviving on their savings."

Rana Ahmed, a Bangladeshi in Lebanon, said he had to borrow money from his relatives in Faridpur to survive in the coronavirus-hit Western Asian country, which had already been facing an economic crisis.

"We don't know when the situation will improve. We are passing our days in total uncertainty," said the 30-year-old who has lost his job.

Hanif Mia from Saudi Arabia said the coronavirus outbreak has thrown thousands of migrants into uncertainty. "Those who are undocumented are facing more trouble as they have no job guarantee or earnings."

With these migrants in trouble, Bangladesh perhaps has already started to feel the impact.

In March, Bangladeshi expatriates sent home around $1.29 billion in remittance, which is 12.84 percent less than that of February and the lowest in 15 months, according to Bangladesh Bank data.

DU Prof Syeda Rozana Rashid said the countries which receive foreign workers had already allocated a significant portion of their budget for the recovery of their economy. It means development activities in those countries will be cut and demand for foreign workers will drop.

Fahmida Khatun, executive director at the Centre for Policy Dialogue (CPD), said in the 2019-20 fiscal year, when most other indicators -- export, private sector investment or foreign direct investments -- were showing slow or negative growth, migrant remittance was the only good news.

Remittance inflow in 2019 stood at $18.35 billion, while it was $15.54 billion the previous year.

"Now with the coronavirus pandemic, things are turning very different. There is no guarantee when the migrants, who have returned home, can go back to work," Fahmida told The Daily Star.

Even, those who are already in those countries may face job cuts given the looming economic recession, she said. "All together, the economy of Bangladesh will be under pressure."

Bureau of Manpower Employment and Training (BMET) data shows around 60,000 Bangladeshis go abroad for jobs every month. So, if the coronavirus pandemic lingers, queues of those waiting to join overseas jobs will only grow bigger, said the experts.

THE IMMEDIATE NEED

Migration researchers and economists say the immediate need now is to provide healthcare and financial protection to the migrants.

Fahmida Khatun said many migrant workers could already be infected with coronavirus. So, the Bangladesh government must ensure that they get proper healthcare. Those who have lost jobs must be ensured financial protection.

"They must survive this crisis period. After the next few months, the government should take up mid-term plans on ensuring their jobs abroad and help them with microloans in productive sectors," she said.

Syeda Rozana Rashid said the vulnerable families, who depend on migrant remittances, should be identified and provided with social protection by the government.

She said thousands of migrant workers, especially in Saudi Arabia and other Middle Eastern countries, have been deported in recent times, as part of the countries' plans to reshape their economic policy prioritising local workforce.

Now that it is a global crisis, Bangladesh and other labour-sending countries can and should negotiate with the labour-receiving countries so that they don't deport the undocumented migrants, but regularise them as a sign of global solidarity, she said.

Colombo Process, a platform of the Asian labour-sending countries, and Abu Dhabi Dialogue, a platform of the labour-receiving countries, should come together and find out ways that are beneficial for all, Rozana Rashid said.

The expert also said imposition of health emergency proved that the developed countries would focus more on improving their healthcare system. "It will require more workforces in the health sector."

"We have mostly semi-skilled and low-skilled people going abroad to work. We can now focus on the skills training on nursing, health technology, management, medicine and hospitality as part of our migration strategy," she added.

(Porimol Palma, The Daily Star, April 04, 2020)

7
ট্রাইগ্লিসারাইড বা টিজি মূলত একধরনের ফ্যাট। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, বেশি শর্করা খাওয়া এবং কম কায়িক শ্রমের কারণে ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যেতে পারে। বিপরীতে কমে যায় গুড কোলেস্টেরল বা এইচডিএল। রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্যানক্রিয়াটাইটিস, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি হতে পারে। তবে কিছু সচেতনতা আর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনে খুব সহজেই ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ বা কমানো যায়। এ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাই সবচেয়ে জরুরি।

মনে রাখতে হবে, ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে—


• প্রক্রিয়াজাত মাংস, ট্রান্স ফ্যাট খাওয়া বর্জন করতে হবে।

• আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।

• রিফাইন্ড কার্বস খাওয়া যাবে না।

• খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ৭ শতাংশের কম হতে হবে।

• মদ্যপান বর্জন করতে হবে।

ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে যা খাবেন

ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমানোর সবচেয়ে উপযোগী ডায়েট হলো মেডিটেরানিয়ান ডায়েট বা ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্যাভ্যাস।

• এই ডায়েটে মূল খাবার হিসেবে শাকসবজি, ফল বেশি প্রাধান্য পায়। রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন প্রচুর সবুজ ও রঙিন শাকসবজি এবং তাজা মৌসুমি ফলমূল রাখতে হবে।

• কার্বোহাইড্রেট হিসেবে পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার যেমন লাল চাল, গমের আটা, ভুট্টা, ওটস বা এ ধরনের খাবারকে প্রাধান্য দিতে হবে। মেডিটেরানিয়ান ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিষেধ নয়, তবে তা অল্প পরিমাণে খেতে হয়। দিনে ৩৫ গ্রামের বেশি কার্বোহাইড্রেট না খাওয়াই উত্তম। আর শর্করাজাতীয় খাবার সেগুলোই বেছে নিতে হবে, যেগুলোয় আঁশ বা ফাইবার বেশি থাকে।

• প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাছ বা মুরগির মাংস সপ্তাহে ২-৩ দিন খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাছকে প্রাধান্য দেওয়াই উত্তম। সামুদ্রিক মাছ খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩, ইপিএ, ডিএইচএ থাকে। প্রতিদিন ৪ গ্রাম ইপিএ/ডিএইচএ খেলে তা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। রেডমিট (গরু, ছাগল বা এই জাতীয় প্রাণীর মাংস) মাসে এক বা দুদিনের বেশি খাওয়া যাবে না।

• খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন বাদাম রাখতে হবে। বাদামে প্রচুর ওমেগা-৩ এবং মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সূর্যমুখী, কুমড়া ও তিলের বীজ খাওয়াও খুব উপকারী।

• ভোজ্যতেল হিসেবে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, বাদামের তেল বা খাঁটি সরিষার তেলকে প্রাধান্য দিতে হবে।

• রান্নায় মসলা হিসেবে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, এলাচি, লবঙ্গ, দারুচিনি, পুদিনাপাতা ব্যবহার করতে হবে।

• দুধ, দই, পনির প্রতিদিন ১ থেকে ৩ সার্ভিংস পর্যন্ত খাওয়া যাবে।

• সপ্তাহে ৪টা ডিমের কুসুম খাওয়া যাবে। ডিমের সাদা অংশ খেতে বাধা নেই।

• মেডিটেরানিয়ান ডায়েটের সঙ্গে দরকার নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।

লেখক: উম্মে সালমা তামান্না, পুষ্টি বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা কনসালটেশন সেন্টার, বাড্ডা

9
Pharmacology / PCR - Polymerase Chain Reaction Simplified
« on: February 15, 2020, 09:20:33 AM »

10
Pharmacology / Agonist and Antagonists
« on: February 15, 2020, 09:18:19 AM »

12
লার্জি মানুষের এক অসহনীয় ব্যাধি। এতে হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্যে ও ওষুধের মারাত্মক প্রতিক্রিয়া এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জি সামান্য অসুবিধা আবার কারও ক্ষেত্রে এটি দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে। ঘরের ধুলাবালু পরিষ্কার করছেন এমন সময় হঠাৎ হাঁচি শুরু হলো, তারপর শ্বাসকষ্ট শুরু হলো; অথবা ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন কিংবা আপনার প্রিয় গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, গরুর দুধ, বেগুন খেলেই শুরু হলো গা চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে উঠল। এগুলো হলে ধরে নিতে হবে আপনার অ্যালার্জি আছে। বিভিন্ন কারণে শীতকালে এর প্রকোপ বাড়ে বেশি।

অ্যালার্জি কী ও কেন হয়
প্রত্যেক মানুষের শরীরে একটি প্রতিরোধব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম থাকে। কোনো কারণে এই ইমিউন সিস্টেমে গোলযোগ দেখা দিলে তখন অ্যালার্জির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আমাদের শরীর সব সময়ই ক্ষতিকর বস্তুকে (পরজীবী, ছত্রাক, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া) প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এই প্রচেষ্টাই রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়া বা ইমিউন। কখনো কখনো সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন সব বস্তুর প্রতি শরীরের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াই অ্যালার্জি।

অ্যালার্জিজনিত সর্দি বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিস
অ্যালার্জিজনিত সর্দি বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের উপসর্গ হচ্ছে অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কখনো কখনো চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং চোখ লাল হয়ে যায়। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এবং অন্যটি পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হয়, সেটিই সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। আর সারা বছর ধরে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলে সেটি পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস।


লক্ষণ ও উপসর্গ
সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের ক্ষেত্রে ঘন ঘন হাঁচি হয়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, চোখ দিয়ে পানি পড়ে। আর পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের মতো। তবে এ ক্ষেত্রে উপসর্গগুলোর তীব্রতা কম হয় এবং স্থায়িত্ব বেশি হয়।

অ্যাজমা বা হাঁপানি
এর উপসর্গ হচ্ছে কাশি, বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই আওয়াজ হওয়া, শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট হওয়া, ঘন ঘন কাশি, বুকে দম বন্ধ ভাব, রাতে ঘুম থেকে উঠে বসে থাকা। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে ঠান্ডা লাগা।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা
রোগীর ফুসফুসের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা করার জন্য স্পাইরোমেট্রি বা ফুসফুসের ক্ষমতা দেখা এই রোগের প্রধান পরীক্ষা।

সমন্বিতভাবে অ্যালার্জির চিকিৎসা

অ্যালার্জেন পরিহার ও ওষুধ প্রয়োগ
যখন অ্যালার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়, তখন তা পরিহার করে চললেই সহজ উপায়ে অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অ্যালার্জি–ভেদে ওষুধ প্রয়োগ করেও অ্যালাজির উপশম পাওয়া যায় অনেকটা।

অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি
অ্যালার্জি হতে পারে বা হয়, এমন দ্রব্যা এড়িয়ে চলা এবং ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিন দেওয়া অ্যালার্জিজনিত রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা। আগে ধারণা ছিল অ্যালার্জি একবার হলে আর সারে না। বর্তমানে চিকিৎসাব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। প্রথম দিকে ধরা পড়লে অ্যালার্জিজনিত রোগ একেবারে সারিয়ে তোলা সম্ভব। অবহেলা করলে এবং রোগ অনেক দিন ধরে চলতে থাকলে নিরাময় করা কঠিন হয়ে পড়ে। বর্তমানে অ্যালার্জিজনিত রোগের ভ্যাকসিনসহ উন্নত আধুনিক চিকিৎসা আমাদের দেশেই হচ্ছে।

(অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ, দ্য অ্যালার্জি অ্যান্ড অ্যাজমা সেন্টার।)

13
২০১৯-এনসিওভি ভাইরাস, যার আরেক নাম করোনাভাইরাস। এটি মূলত শ্বাসনালির ভাইরাস। ভাইরাসটির অনেক প্রজাতি আছে, এর মধ্যে কয়েকটি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। ভাইরাস সাধারণত সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত ও পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারে। ছড়িয়ে পড়ার সুবিধার জন্য ভাইরাসগুলো প্রয়োজনমতো পরিবর্তিত হয়। একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়াতে পারে। তবে অতি আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিরোধের নিয়মকানুন মেনে চললে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব।

কীভাবে ছড়ায়?


ঠিক কীভাবে এর সংক্রমণ শুরু হয়েছিল, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। প্রাণী থেকেই প্রথমে ভাইরাসটি কোনো মানুষের দেহে ঢুকেছে এবং তারপর মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়েছে। এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে অন্য সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই। এই ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। এর আগে মহামারি ‘সার্স’ ভাইরাসের পরিবার থেকেই এসেছে এই নতুন ধরনের করোনাভাইরাস।



করোনাভাইরাসের লক্ষণ কী

করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট, জ্বর এবং কাশি। ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে ৫-৭ দিন সময় লাগে। প্রথমে জ্বর। তারপর শুকনো কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। খুব দ্রুত রোগী খারাপ হতে থাকে এবং রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।

চিকিৎসা

এই ভাইরাসের টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। সাধারণত লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হয়। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ফুসফুসে সংক্রমণ হলে তা অন্যান্য অঙ্গকে দ্রুত নিষ্ক্রিয় করে দেয়। তবু সময়মতো সঠিক ও নিবিড় চিকিৎসা মৃত্যুহার কমাতে পারে। এমন লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।



কীভাবে প্রতিরোধ

হাঁচি বা কাশির পরে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
কাশি বা হাঁচির আগে মুখ ঢেকে নিতে হবে।
হাত দিয়ে বারবার নাক-মুখ স্পর্শ না করা ও ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ বা মাস্ক পরতে পারেন।
সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলতে হবে।
রান্না না করা গোশত ও ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
লক্ষণগুলো দেখা দেওয়া মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
ঠান্ডা ও ফ্লু–আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে চিকিৎসা দিতে হবে।
ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে।

(ডা. মো. শরিফুল ইসলাম)

14
চীন থেকে অনেক দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এরপর পথেঘাটে, অফিসে অনেকেই মাস্ক পরছেন। আবার মাস্ক ব্যবহারের পক্ষে-বিপক্ষে মতও দিচ্ছেন অনেকে। ঘুরেফিরে উঠে আসছে একটি প্রশ্নই, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কতটা প্রতিরোধ করবে ফেস মাস্ক?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ফেস মাস্ক পরলেই নিজেকে নিরাপদ ভাবার সুযোগ নেই। পাতলা সার্জিক্যাল মাস্ক সাধারণ দূষণ, ধুলাবালু আটকাতে বেশি ব্যবহৃত হলেও তা পুরোপুরি নিরাপত্তা দেয় না। তবে ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির মাস্ক পরা জরুরি। এর বাইরে মাস্কের দুটো উপকার আছে: মাস্ক পরা থাকলে নাকেমুখে হাতের স্পর্শ পড়ে কম, আর একেবারে মুখের সামনে কেউ হাঁচি-কাশি দিলে তার থেকে মাস্ক কিছুটা নিরাপত্তা দেয়। তবে সাধারণ মাস্কের ফাঁকফোকর গলে ভাইরাস বা বাতাসবাহিত ড্রপলেট সহজেই প্রবেশ করতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাস্ক মুখে ঠিকমতো ফিটও হয় না।

সাধারণ চারকোনা সার্জিক্যাল মাস্ক পরে কিছু বৃহদাকার ড্রপলেট সংক্রমণ যেমন ফ্লু, হুপিং কফ, মেনিনজাইটিস অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়। আক্রান্ত রোগী ও তার পরিচর্যাকারী, চিকিৎসক, নার্স, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের এটা পরা উচিত। তবে প্রতিবার রোগীর পরিচর্যার পর ডিসপোজিবল এই মাস্ক ফেলে দিতে হবে। আধঘণ্টা পরপর পরিবর্তন করলে ভালো। মাস্কের নীল অংশটা পানিপ্রতিরোধী। আর ভেতরের (সাদা) অংশ নাক থেকে বের হওয়া পদার্থ শুষে নেয়। কেউ কাশি দিলে ভেতরের অংশটা সেটা শুষে নেয়। মাস্ক সঠিকভাবে পরা, আলাদা ঘরে বা কোণে গিয়ে খোলার পর সঠিক জায়গায় ফেলা ও ফেলার পর হাত পরিষ্কার করা উচিত।


করোনা, সার্স, যক্ষ্মা, হাম, চিকেন পক্স ইত্যাদি ভাইরাসের ক্ষুদ্র ড্রপলেট বাতাসে ভেসে বেড়ায়। একে প্রতিরোধ করার জন্য সম্ভব হলে গোলাকার এন-৯৫ রেসপিরেটর মাস্ক পরা উচিত। আক্রান্ত রোগী এ ক্ষেত্রে পেস মাস্ক পরবেন, কিন্তু পরিচর্যাকারী এন-৯৫ রেসপিরেটর পরবেন।

শুধু মাস্ক পরলেই হবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বারবার হাত ধোয়া, নাকমুখে হাতের স্পর্শ না লাগানো আর যেকোনো ফ্লু আক্রান্ত রোগী থেকে অন্তত ৬ ফুট দূরে অবস্থান করা—এই তিনটি নিয়ম পালন করা জরুরি।

(ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, লালবাগ, ঢাকা।)

15
বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ২০১৮ সালে পৃথিবীতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৯৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বছরে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ মারা যাবে।

মানব দেহে ক্যান্সার নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তবে ক্যান্সার হলে আর বাঁচা সম্ভব নয়- এ ধারণাও সঠিক নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দাবি, মারণব্যাধি এ ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এর থেকে রক্ষা পাওয়া অনেকটাই সম্ভব। যার অর্থ হলো আগে থেকেই সাবধান হওয়া।

ক্যান্সারের বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে। যেগুলো প্রথম পর্যায়ে দেখা দিলেই সাবধান হওয়া দরকার এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। চলুন জেনে নেয়া যাক ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো-


 

Loading..


Copy video url
Play / Pause
Mute / Unmute
Report a problem
Language
Mox Player
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি
আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্তিবোধ করেন বা অবসাদে ভোগেন, তবে সেটা অনেক রোগের কারণই হতে পারে এবং ক্যান্সারের কারণেও হতে পারে। মলাশয়ের ক্যান্সার (colon cancer) বা রক্তে ক্যান্সার (blood cancer) হলে সাধারণত এমন উপসর্গ দেখা যায়।

দ্রুত ওজন কমে যাওয়া
কোনো কারণ ছাড়া হঠাৎ করেই দ্রুতগতিতে যদি ওজন কমতে থাকে তবে তা চিন্তার বিষয়। কারণ, এটি ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ।

দীর্ঘদিনের ব্যথা
কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে শরীরের কোনো অংশে যদি ব্যথা হয় আর তাতে ওষুধেও যদি কাজ না করে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে ভাবনার যথেষ্ট কারণ আছে। তবে শরীরের কোনো জায়গায় ব্যথা হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করছে রোগীর ব্রেইন টিউমার বা মলাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে কি-না।

অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড
শরীরের কোনো অংশে অস্বাভাবিক কোনো মাংসপিণ্ডের উপস্থিতি দেখা দিলে বা মাংস জমাট হলে কিংবা এ ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হলে ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে। এসব বিষয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


ঘন ঘন জ্বর
জ্বর যেকোনো রোগের উপসর্গ। শরীরে ক্যান্সার জেঁকে বসলে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এতে ঘন ঘন জ্বর হতে পারি। ব্ল্যাড ক্যান্সারেে ঘন ঘন জ্বর হয়।


 
ত্বকে পরিবর্তন
ত্বকে অস্বাভাবিক পরিবর্তনই ক্যান্সার শনাক্ত করার সহজ উপায়। ত্বকে অতিরিক্ত তিল বা ফ্রিকেল অথবা আঁচিলের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। যদি আঁচিলের রঙ, আকারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

দীর্ঘস্থায়ী কাশি
ওষুধ খাবার পরও কাশি না ভালো হলে বা কাশির কারণে বুক, পিঠ বা কাঁধে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সামান্য কাশি ভেবে একেবারেই ফেলে রাখা ঠিক নয়।

মল-মূত্র ত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন
যদি ঘন ঘন মল-মূত্রের বেগ অনুভব হয় তাহলে ক্যান্সার নিয়ে ভাবনার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ঘন ঘন ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যও মলাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ। মূত্রত্যাগের সময় অন্ত্রে ব্যথা বা রক্তক্ষরণ মূত্রথলির ক্যান্সারের উপসর্গ।

অকারণে রক্তক্ষরণ
কাশির সময় যদি রক্তক্ষরণ হয় তাহলে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারি। এছাড়া জনিপথ বা মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণসহ এ ধরনের অন্যান্য অস্বাভাবিকতাও ক্যান্সারের উপসর্গ।

খাবারে অনিচ্ছা
নিয়মিত বদহজম পেট, কণ্ঠনালী বা গলার ক্যান্সার নিয়ে চিন্তার কারণ রয়েছে। সাধারণত এসব উপসর্গকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। তবে এড়িয়ে যেতে নেই।

অন্যান্য উপসর্গ
এগুলো ছাড়াও ক্যান্সারের আরও বিভিন্ন লক্ষ্য দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে- পা ফুলে যাওয়া, শরীরের আকারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন হওয়া ইত্যাদি।


 
তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারলে বেশিরভাগ ক্যান্সারেরই চিকিৎসা ও নিরাময় সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ক্যান্সারে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব। যে বিষয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে, যেমন- সিগারেট, অ্যালকোহল, অতিরিক্ত ওজন এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিতে হবে।

এছাড়া স্বাস্থ্যকর একটি জীবনযাপন প্রক্রিয়া বেছে নিতে হবে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়ানো ক্ষেত্রে ভালো পথ। কারণ, গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবীতে অন্তত ২০০ ধরনের ক্যান্সার রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলোই রয়েছে যেগুলো আক্রান্ত হওয়ার পর মানুষের সুস্থ হওয়ার হার অনেক বেশি, যেমন- স্তন ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার। ফলে অবহেলা না ভয় না পেয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।

(আরএস/পিআর)

Pages: [1] 2 3 4