Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - shilpi1

Pages: 1 ... 7 8 [9]
121
Thank you sir for your important post

122
Public Health / Re: Wanna strong hair?- Follow the proper diet
« on: June 05, 2013, 12:43:20 PM »
Very very nice post.

123
Public Health / Re: health tips
« on: June 05, 2013, 12:25:41 PM »
Nice post.

124
দৃষ্টি আছে বলেই পৃথিবী দেখার বিষয়টি আমাদের কাছে উপভোগ্য। দৃষ্টি শক্তি না থাকলে জীবনের রঙ্গিন উপলব্ধিটা ফ্যাকাসে হয়ে যায়। দৃষ্টিহীন মানুষ মাত্রই বর্ণহীন। সঠিক ভাবে দেখার জন্য কর্নিয়া থেকে অপটিক নার্ভ প্রত্যেকেই একটা নির্দিষ্ট ছন্দে কাজ করে। এর কোন একটা ছন্দ পতন হলেই ঝাপসা হয়ে যায় দৃষ্টি। কর্নিয়ার মধ্য দিয়েই আলো প্রবেশ করে পৌছায় লেন্সে। চোখের শেষতম স্তর এই রেটিনা। রেটিনা খুবই সংবেদনশীল। কোন কারনে রেটিনা বা রেটিনা থেকে উৎপন্ন হওয়া অপটিক নার্ভ কাজ না করলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। এমনকি অনেক সময় চলে আসে অন্ধত্ব।

রেটিনা সমস্যার লক্ষনঃ

হঠাৎ দেখতে অসুবিধা হলে, চোখে ঝাপসা দেখলে, চোখের সামনে কালো কালো কিছু ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়, ঝুলের মতো কিছু ঝুলতে দেখা যায়, বিদ্যুত চমকানোর মতো আলোর ঝলকানি দেখা যায়। এমন হলে বুঝে নেবেন রেটিনার সমস্যা হয়েছে।

যে কারনে এ সমস্যাঃ

* রেটিনার ডিজেনারেশনের সঙ্গে কিছু ভাল পিগমেন্ট জমা হয়। সেই সঙ্গে অপটিক নার্ভ কমজোরি হয়।

* ব্লাড প্রেসার থাকলে।

* সুগার থাকলে।

* রেটিনাতে কোনো ছেড়া বা কাঁটা থাকলে।

* রেটিনার মধ্যে মারাত্মক অসুখ রেটিনাল ডিটাচমেন্টের ফলে বেশি হয়।

* চোখে কোন আঘাত লাগলে।

* জন্মগত কারণ থাকলে।

এছাড়াও প্রায় ৬ দশমিক ৪ ভাগ মানুষের রেটিনার ডিজেনারেমন থাকে। ফলে এদের মধ্যে কেউ কেউ এই সমস্যায় পড়তে পারেন।

কী করনীয়:

ডায়াবেটিস ও হাইপার টেনশন থাকলে নিয়মিত চেক-আপ করাবেন। কারন খুব সহজে বুঝা যায়না কিভাবে এ অসুখ আপনার চোখকে দুর্বল করে দিচ্ছে। সাধারনভাবে যখন এটা বুঝা যায় তখন ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই এর প্রতি কোন উদাসীনতা নয়।

চিকিৎসাঃ এর চিকিৎসা হলো অযথা দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া। এর নানা ধরনের অপারেশন আছে। অত্যাধুনিক নানা ডিভাইস পাওয়া যায়। ইঞ্জেকশন আছে। যার মাধ্যমে ক্ষীণদৃষ্টির মানুষও স্বাভাবিক দৃষ্টি ফিরে পেতে পারেন।

আমা/এএ

125
Public Health / পিঠ ব্যথাকে গুড বাই
« on: June 05, 2013, 10:53:50 AM »
পিঠের ব্যাথা আমাদের দৈনন্দিন সমস্যাগুলোর একটি। বেশির ভাগ মানুষই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবন,পুষ্টির অভাব, সুষম খাদ্য না খাওয়া, কাজের অতিরিক্ত চাপ, স্বাস্থ্য অসচেতনতা প্রভৃতি কারণে পিঠের ব্যাথা হতে পারে। এই যন্ত্রনা থেকে রক্ষা পেতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

* পিঠের ব্যথা নিরসনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিশ্রাম। দৈনন্দিন কাজ শেষে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

* সমান বিছানায় সোজা হয়ে শুতে হবে। এ সময় অবশ্যই মাথার নিচে তুলোর নরম বালিশ ব্যবহার করবেন।

* ভালো ঘুম আপনার পিঠের ব্যথার জন্য খুবই উপকারী।

* যেখানে ব্যথা বেশি সেখানে গরম সেঁক দিতে পারেন।

* পিঠের মাংসপেশিগুলো সতেজ ও প্রসারিত রাখতে প্রতিদিন ব্যায়াম করুন।

* সকালে ঘুম থেকে উঠে সমান স্থানে শুয়ে দুই হাঁটু মুড়ে বুক পর্যন্ত নিয়ে আসুন। এভাবে কয়েকবার করলে আপনার পিঠের পেশিগুলো প্রসারিত হবে এবং ব্যাথা কমে যাবে।

* ভারি কোন কিছু উঠাতে গেলে আগে হাঁটু ভাজ করে নিন। তাহলে ভারি বস্তুটির চাপ আপনার মেরুদণ্ড ও পেশিতে প্রভাব ফেলবে না।

126
Very nice post.

127
গরমের সাথে আমাদের পেটের সম্পর্কের কথা সবারই জানা। তাই গরমের দিনে পেটের সমস্যায় ভোগাটা অনেকের জন্যই নিত্য ঘটনা। বিশেষ করে বর্ষা কালের এ সময়টায় তা আরো প্রকট হয়ে দাঁড়ায়। যখন বৃষ্টি তখন আবহাওয়া ঠাণ্ডা আবার একটু পরেই প্রখর রোদ্রের দাবদাহ। এই ধরনের আবহাওয়া পরিপাকতন্ত্রের তাপীয় ভারসাম্যের জন্য একটি বড় বাধা। ফলে পরিপাক জনিত সমস্যায় ভুগে আমাদের ইচ্ছেমতো ওষুধ সেবনের কারণে সমস্যা আরো বেড়ে যায়।
কিন্তু খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন এবং কিছু বিষয় মেনে চলার মাধ্যমে সহজেই পেটের সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। কেমন করে?

    অতিরিক্ত গরমে আমাদের পরিপাক তন্ত্রের এনজাইমগুলোর কর্মক্ষমতা কমে যায়, তাই রিচ ফুড [যেমন: বিরিয়ানি, পোলাও ইত্যাদি] যথা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিৎ
    পানির কোন বিকল্প নেই, স্বভাবিকের চেয়ে দুই তিন গ্লাস পানি বেশি পান করুন
    চলার পথে অস্বাস্থকর পানীয় পরিহার করতে হবে
    খাদ্যের তালিকায় সালাদ রাখুন। বিশেষ করে খাবারের সাথে শশা অবশ্যই খাবেন, তাতে পেটের বেশিরভাগ সমস্যা দূর হবে
    আঁশ জাতীয় খাদ্য [যেমন: শাক-সবজি] বেশি খান। সবজি পরিপাকনালী পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে
    বেশি করে ফল খান(আম, তরমুজ, লিচু, পেঁপে)
    খাবারের মাঝে অল্প অল্প ঢোকে পানি পান করুন। খাওয়ার শেষে কখনোই অতিরিক্ত পানি পান করবেন না
    কখনোই পেট পুরে খাবেন না। পেটে কিছুটা জায়গা থাকতেই খাওয়া শেষ করুন
    লেবুর শরবত, ইসুপগুলের ভুসি, বেলের শরবত পান করুন, এজাতীয় পানীয়গুলো পরিপাকতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী
    অন্তত একবেলা খাবার শেষে দই খেতে পারেন
    গোসল করার সময় কিছুক্ষণ পেটের ওপর পানি ঢালুন, এতে পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারীতা বৃদ্ধি পায়
    খাবার শেষে সাথে সথে না ঘুমিয়ে বরং একটু হাঁটুন
    শোবার সময় ডান দিকে কাত হয়ে শোওয়ার চেষ্টা করুন। এতে এসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা কমে। সকালে ঘুম থেকে উঠে একগ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করতে পারেন।

এই নিয়মগুলো যে শুধু গরমের দিনের জন্য তা কিন্তু নয়, এগুলো মেনে চললে সারা বছরই আপনি পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ সবল থাকতে পারেন।

128
 পবিত্র হজ্ব মানে মুসলিম মিল্লাতের বার্ষিক বিশ্ব সম্মেলন। যে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য ও ঐক্যের মেলবন্ধন গড়ে উঠে। দেশে দেশে মানুষে মানুষে দ্বন্দ-দূরত্ব ও অশান্তি হানাহানি দূর হয় পবিত্র হজ্বের মিলন উৎবের মাধ্যমে। হাজীদের সেবায় দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে জড়িত থাকার অভিজ্ঞতার আলোকে এ বছর হজ্ব ও ওমরায় গমণেচ্ছুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র হজ্ব ও ওমরা পালন যাতে সহজ ও নির্বিঘ্নে এবং হজ্ব কার্যক্রমের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি-অসঙ্গতি যেন লাঘব হয় সেজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


 আমাদের দেশে সরকারি অফিস আদালতে অব্যবস্থাপনা নতুন কিছু নয়। পাসপোর্ট অফিসে এমনিতেই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও হয়রানি একটি সাধারণ চিত্র। হাজীদের সুবিধার্থে ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে পাসপোর্ট অফিসে আলাদা হজ্ব বুথ স্থাপন করা জরুরী। এতে হজ্ব গমণেচ্ছুদের ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে। মক্কা-মদীনা শরীফে উজরাতুল হজ্ব বা হজ্ব মিশনে আরবী-ইংরেজি-বাংলা ভাষা জানা দক্ষ লোকবল সংকটের কারণে হাজী সাহেবানরা ভোগান্তিতে পড়েন। সৌদি মুয়াস্সাসা বা ধর্ম মন্ত্রণালয়েও দোভাষী লোকের সংকট আছে। ফলে সেখানে অতি প্রয়োজনীয় মুহুর্তেও মন খুলে কথা বলতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশী হাজীসহ প্রবাসীরা। তাই বাংলাদেশ দূতাবাস, মক্কা-মদীনার হজ্ব মিশনসহ সংশ্লিষ্ট অফিস সমূহে বাংলা ভাষা সহ বিভিন্ন ভাষা জানা দক্ষ লোক নিয়োগে সরকারের কূটনৈতিক প্রয়াস চালাতে হবে। তাছাড়া হজ্ব যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ওপেন স্কাই তথা সকল এয়ারলাইন্সকে হজী পরিবহনে উন্মুক্ত করে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় ৩০ দিনের স্থলে কোন কোন হজ্বযাত্রীকে ৪০-৪৫ দিন পর্যন্ত অনিচ্ছা সত্বেও বিমানের শিডিউল না পাওয়ার কারণে অলস সময় কাটাতে হয় সৌদি আরবে। তাই হজ্বযাত্রীদের সুবিধার জন্য হজ্বযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে ওপেন স্কাই  তথা আকাশ খুলে দেওয়ার নীতি গ্রহণ করতে হবে। কাতার, এ্যামিরেটস, কুয়েত, গালফ, এয়ার এরাবিয়া সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের হজ্বযাত্রী পরিবহনের সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশ সরকার ঐসব এয়ারলাইন্সকে হাজী পরিবহনের সুযোগ দেয়া হয়না। যার ফলে হাজীদের এহরাম পরিধানরত অবস্থায় এয়ারপোর্টের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায় যা পবিত্র হজ্বব্রত পালনের জন্য বিশুদ্ধতার পরিপন্থী।


অপরদিকে হাজীদের তদারকির জন্য মালটিপল ভিসা দেওয়া হয়, অথচ হজের সময় মাল্টিপল ভিসাধারী কেউ হাজীদের সঙ্গে থাকলে তাকে পঞ্চাশ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়। এই অযৌক্তিক নিয়ম সংশোধন করতে হবে এবং হজ্বের চুক্তির টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ রমজান পর্যন্ত বাড়ানো আবশ্যক। হজ্ব এজেন্সি ও হাজীদের স্বার্থে রিপ্লেসমেন্ট পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে। হজ্ব গমণেচ্ছুদের একটা বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত যে, একজন হজ্বযাত্রীর মনোবাঞ্ছা হলো নির্বিঘেœ হজ্বের যাবতীয় রুকনগুলো আদায় করে পরিপূর্ণতার সাথে হজ্ব পালন; আর একটা কাফেলার দায়িত্ব হবে তার হাজীদের হজ্ব পালনে সার্বিক সুবিধা নিশ্চিত করা। কিন্তু আমাদের দেশের হাজীদের বেলায় যা দেখা যায়- কাফেলার অতীতের অজ্ঞিতা যাচাই না করেই কম টাকায় হজ্ব করার প্রলোভনে পড়ে পুরো হজ্বটাই নিস্ফল করে দেন। কেননা কম টাকায় বেশি সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা আদৌ সম্ভব নয়। তাই স্মর্তব্য যে, স্বাভাবিক খরচের চেয়ে কম টাকায় হজ্ব চুক্তি করে যারা হজ্বে যাচ্ছেন তারা নিশ্চিত দুর্ভোগের শিকার হবেন। এ বছর হজ্ব পালনে যারা ইচ্ছা পোষণ করছেন মহান আল্লাহর দরবারে তাদের সকলের হজ্ব কবুল হোক এই প্রার্থনা করছি, আমিন।

129
Travel / Visit / Tour / অতিথি পাখির উৎসব
« on: June 03, 2013, 10:37:21 AM »
বিলের জল, পাড় ও কোল জুড়ে পানকৌড়ি, পাতি সরালি, শামুক ভাঙা ও অতিথি পাখি কালেমসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের ঝাঁক বেঁধে ওড়াউড়ি আর কোলাহলে মুখরিত এখন মৌলভীবাজারের বাইক্কা বিল।

শীতের মাঝামাঝি সময় থেকে এই দৃশ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেখা যাবে এ বিলে। পুরো শীতটাই এখানে কাটিয়ে একসময় নিজ গন্তব্যে পাড়ি দেবে পাখিরা। এরা দল বেঁধে সাইবেরিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসে আবার দল বেঁধেই চলে যায়।

এখন বিলের অভয়াশ্রম জুড়ে কচুরিপানা, জলজ উদ্ভিদ, শ্যাওলা, পদ্ম, ঘাস, শাপলা পাখিদের অফুরন্ত খাবার রয়েছে। রয়েছে বিলের পাড় জুড়ে বনজ, ঔষধি ও প্রাকৃতিক ফলজ উদ্ভিদ।পাখিরা রোদ পোহানোর পাশাপাশি এসব গাছে বিশ্রাম নেয়।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের মাছ, পাখি, জলজ উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণী সংরক্ষণ এবং প্রবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমটি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। হাইল হাওর বাংলাদেশের অন্যতম ‘গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যক্ষেত্র’ এবং একটি আন্তর্জাতিক ‘গুরুত্বপূর্ণ পাখির আবাস’। বর্ষা মৌসুমে এই হাওরের জলায়তন হয় প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর এবং শুষ্ক মৌসুমে ৪ হাজার হেক্টর।

চাপড়া, মাগুরা, যাদুরিয়া বিল ও এর সংলগ্ন ডোবা এলাকা সমন্বয়ে গঠিত বাইক্কা বিল। যার আয়তন ১০০ হেক্টর। এই অভয়াশ্রম হাইল হাওরের ৯৮ প্রজাতির মাছ এবং ১৬০ প্রজাতির পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন এই অভয়াশ্রম সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে এবং শ্রীমঙ্গল স্থানীয় সরকার কমিটি পরামর্শ দেওয়া ও তদারকি করে থাকে। এছাড়া সেন্টার ফর ন্যাচারেল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস), ইউএসএডি ও শেভরণ বিল রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছে।

শীত মৌসুমে বাইক্কা বিলে পাতি সরালি, ধলা বেলেহাঁস, ল্যাঞ্জা হাঁস, মরচে রঙ, ভূতি হাঁস, দাগী ঘাসপাখিসহ ৫০ প্রজাতির পাখি আসে। বাইক্কা বিলে পাখি ও মাছের জন্য একটি স্থায়ী অভয়াশ্রম রয়েছে। ইতোমধ্যে নির্মিত পাখির বাসায় ১০টি বালিহাঁসের বাচ্চা ফুটেছে।

বিলের মাঝামাঝি অংশে রয়েছে দর্শনার্থী টাওয়ার। তিনতলা বিশিষ্ট এই টাওয়ারে ওঠে পাখি দেখাসহ ছবি তোলা, ভিডিও রেকর্ডিং করার সুব্যবস্থা রয়েছে।

সেন্টার ফর ন্যাচারেল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) এর প্রকল্প সমন্বয়কারী তাপস কুমার রায় বাংলানিউজকে জানান, ইউএসএডি ও শেভরণের অর্থায়নে বাইক্কা বিল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আশেপাশের গ্রামগুলোতে সচেতনতামূলক উঠোন বৈঠক করা হচ্ছে। এছাড়া বাইক্কা বিলের প্রবেশ পথে ইউএসএডির অর্থায়নে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ইনফরমেশন সেন্টার কাম ভিজিটর সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যেই কাজ সমাপ্ত হবে।

এছাড়া হিজল, করচসহ জলজ উদ্ভিদ লাগানো হচ্ছে পাখি অভয়াশ্রমে বিরতি নিতে পারে। একটি অবজারভেশন টাওয়ার, পুরুষ ও নারী টয়লেট, দর্শনার্থীদের বসার জন্য বেঞ্চ স্থাপন, ২টি ভিজিটর বোর্ডসহ পাখির অভয়াশ্রমের জন্য পাখির বাসা তৈরি করা হচ্ছে। এসবই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরে আছে বাইক্কা বিলের চারদিক। যারা অতিথি পাখি দেখতে যেতে চান, পরিবার আর বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন লাখো পাখির কলতানে মুখরিত বাইক্কা বিলে।

130
Fashion / উজ্জ্বল ত্বক
« on: June 03, 2013, 10:08:18 AM »
আমরা হাজার রকম বিউটি টিপসের কথা শুনি এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে নানা ধরনের সৌন্দর্য উপকরণ ব্যবহারও করি। কিন্তু এর মধ্যে খুব কমই আছে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ধরে রাখতে পারে। আজ আমরা উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য নিয়ে জানবো:

পানি পান
ত্বক সুন্দর রাখতে পানির কোনো বিকল্প নেই। পানির অভাবে চামড়া খসখসে ও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই  নিয়মিত পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানি পানে ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ কমনীয়। ভাবছেন এতে নতুনত্বের কি আছে? ভুলে যান দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পানের ফর্মুলা। যতটুকু পানি পান করলে তৃষ্ণা নিবারণ হয় ততটুকু পানি পান করাই যথেষ্ট।

সানস্ক্রিন ক্রিম
সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি বা অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে। আমাদের স্ক্রিন ক্যানসারের জন্য দায়ী এ রশ্মি। আর তাই সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জ্বোল ত্বকের জন্য বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করাটা অপরিহার্য। রোদ বা বৃষ্টি যাই হোক না কেন সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। বাইরে বের হওয়ার অন্তত ১৫ মিনিট আগে খুব ভালো করে সানস্ক্রিন ক্রিম ত্বকে লাগাতে হবে। আবহাওয়া এবং ত্বকের ধরন অনুযায়ী পিএচপি দেখে ভালো মানের সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন কিনুন।

ময়েশ্চারাইজার
নিয়মিত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার আমাদের ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে আমাদের দেয় মসৃণ কোমল ত্বক। সব সময় ব্যাগে একটি ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ লোশন রাখুন। যারা এসি রুমে সারাদিন কাজ করেন, কাজের ফাঁকে কয়েকবার লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বক শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা পাবে।

হাত এবং ঘাড়েরও যত্ন নিন
আপনার হাত এবং ঘাড় কি আপনার ত্বকের মতো? যদি না হয় তবে মুখের উজ্জ্বলতার সঙ্গে ঘাড় ও হাতের মানানসই করতে নিয়মিত পরিষ্কার করে তাতে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। কোনো ভাল মানের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম নিয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত না মুখের ত্বকের মত মসৃণ হয় সে পর্যন্ত ভালভাবে ম্যাসেজ করুন।

ব্যায়াম
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে শুধু ফেসিয়ালই একমাত্র পথ নয়। প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা। নিয়মিত শরীরচর্চা  আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে ও অক্সিজেন চলাচলে সয়ায়তা করে। আর এতে একদিকে যেমন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে তেমনি স্বাস্থ্যও থাকবে সুন্দর।

ভালো থাকুন
সবচেয়ে বড় কথা হল নিজেকে সুস্থ ও হাসিখুশি থাকতে হবে। সেই সঙ্গে দুশ্চিন্তাকে বিদায় দিতে হবে চিরতরে। থাকুন চাপমুক্ত তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। তাই বেশি বেশি হাসুন আর সবসময় প্রফুল্ল থাকুন।   

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন
ত্বককে সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করতে নিয়মিও প্রচুর ফল ও শাক সবজি খেতে হবে। এতে থাকা ভিটামিন এ, সি ও ই ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করবে। এছাড়া ত্বকের সুরক্ষা ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ফলের রস দিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন।   


131
Fashion / পার্টিতে ভিন্নতা
« on: June 03, 2013, 09:52:44 AM »
ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে বা কাজের সূত্রে প্রায়ই নানা পার্টিতে যেতে হয় আমাদের। ভিন্ন পার্টিতে উপস্থিত হতে আপনার লুকেও আনতে হয় ভিন্নতা। একইরকম পোশাকে পার্টিতে আপনার উপস্থিতি আপনার লুককে করে তুলতে পারে একঘেয়ে। তাই পার্টিতে নিজেকে আকর্ষণীয় করতে কিছুটা সচেতন হলেই হয়।

পার্টিতে ভিন্নতাসাজে এবং পোশাকে ভিন্নতা আনতে হবে। পোশাকের ভিন্নতা মানে যে বড় কালেকশন থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। চাইলে অল্প কালেকশনেই চালিয়ে নিতে পারেন নিয়মিত পার্টিগুলো। এজন্যে কিছুটা কৌশলে তা মানিয়ে নিতে পারেন।

দু-একটি বেসিক রঙের সালোয়ার, ট্রাউজার্স রাখুন। যেমন কালো, সাদা কিংবা অন্য কোনো রং। সঙ্গে রাখুন দোপাট্টা আর স্কার্ফ। সালোয়ারের সঙ্গে ম্যাচিং কুর্তা ছাড়াও কখনও লম্বা ঝুলের টি-শার্ট বা শর্ট কুর্তা দিয়ে পরতে পারেন।

একই সালোয়ারের সঙ্গে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দোপাট্টা ব্যবহার করুন। রঙচঙে বাঁধনী বা অন্য কোনো প্রিন্টেড দোপাট্টায় পুরো লুকটাই বদলে যেতে পারে। কিংবা ট্রাউজার্স বা শার্টের সঙ্গে ব্রান্ডেড ঘড়ি পরতে পারেন।

শাড়ির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটা ভালো কাটের, বিভিন্ন ফ্যাব্রিকের ব্লাউজ রাখুন। যা সহজেই যে কোনো শাড়িতে ম্যাচিং করতে পারেন। আপনার যা আছে তাই দিয়েই সুন্দর করে সাজতে পারেন, শুধু একটু বুদ্ধির প্রয়োজন।

পোশাক রিপিট হওয়া নিয়ে তেমন কোনো চিন্তার কারণ নেই। যে পোশাকটা কিনেছেন, তা পছন্দ হয়েছে বলেই তো কিনেছেন। আর সেই ভালোলাগা থেকেই তো বারবার পোশাকটি পরবেন। এরমধ্যে হীনমন্যতার কোনো কারণ নেই। কেবল পোশাকের সঙ্গে নিজেকে উপস্থাপনের কৌশলটা পাল্টে নিন, দেখবেন সবার কাছে সমালোচিত না হয়ে বরং প্রশংসিত হচ্ছেন।

132
 গীবত-এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- অপবাদ, অসাক্ষাতে নিন্দা, কুৎসা রটনা, কলঙ্ক রটনা, কারো চরিত্র হননের জন্য বিবৃতি দেওয়া ইত্যাদি।

ইসলামি পরিভাষায় গীবত হচ্ছে- কারো সম্বন্ধে তার অনুপস্থিতিতে এমন কোনো কথা বলা, যা শুনলে অপ্রিয় মনে হবে।

অপরের দোষের দিকে দৃষ্টি রেখে যে কথা বলা হয়, তাই গীবত।

 

গীবত সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর যেসব হাদীস রয়েছে এগুলোর মর্ম হচ্ছে ‘যা সম্মুখে বললে মনে বিরক্তি ও কষ্ট আসে, অগোচরে তা বলাই গীবত।’

 

সব ধরনের অশ্লীলতা ও অশালীন উক্তি ইসলামে নিষিদ্ধ। যে কথা শুনে মানুষ কষ্ট পায়, তাই অশালীন। কারো সম্পর্কে অপ্রীতিকর বাক্য না বলাই হচ্ছে শালীনতা।

 

ইসলামের আগমন হয়েছে মানুষকে শালীনতা ও সৌহার্দ্য শিক্ষা দেওয়ার জন্য। তাই শালীনতাকে ইসলাম মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হিসাবেও নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ যে যতো বেশি শালীন সে ততো বেশি মর্যাদাবান।

 

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- ‘আল্লাহ তা’য়ালার নিকট ওই ব্যক্তি বেশি মর্যাদাবান যে বেশি শালীন ও পরহেযগার।’

 

আমাদের অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে- পাপীর পাপ সম্পর্কে উল্লেখ করলে কিংবা যার যে দোষ আছে তা অন্যকে বললে গীবত হয় না। বরং এ ধরনের গর্হিত কাজের নিন্দা করা পুণ্যের কাজ। এই ধারণা ঠিক নয়, বিভ্রান্তিমূলক। যার মধ্যে যে দোষ নেই, তা যদি বলা হয়, তাহলে তা হবে মিথ্যা অপবাদ। আর যদি সত্যি হয়, তখন তা হবে গীবত।

 

এই প্রসঙ্গে নবী করীম (সা.) বলেছেন, ‘কারো সম্বন্ধে তার অগোচরে এমন কোনো কথা যদি বলা হয়, যা শুনলে তার নিকট অপ্রীতিকর বোধহয়, তবে সে কথা সত্য হলেও গীবত।’

 

ইমাম গাযযালী (রহ.) তার ‘কিমিয়ায়ে সাআদাত’ গ্রন্থে গীবতের সংজ্ঞা দিয়ে বলেছেন, অন্যের দেহ, বংশ, বসনভূষণ, ভাবভঙ্গি, ক্রিয়াকলাপ, কথোপকথন ও গৃহের কোনো দোষ বের করে কিছু বললেই তাকে গীবত বলে।

যেমন- দীর্ঘ দেহবিশিষ্ট লোককে ‘লম্বু’, খর্ব লোককে ‘বামুন’, কালো লোককে ‘নিগ্রো’, উজ্জ্বল লোককে ‘সাদা’ ইত্যাদি বললে দেহ সম্পর্কে গীবত হয়ে যায়।

কোনো ব্যক্তিকে কোনো হীন পেশাদারের সন্তান বললে তার বংশ সম্বন্ধে গীবত হয়ে যায়। কাউকে নিন্দুক, মিথ্যাবাদী, গর্বিত, কাপুরুষ, অলস ইত্যাদি বললে তার প্রকৃতি সম্পর্কে গীবত করা হয়।

কাউকে বিশ্বাসঘাতক, আমানত খেয়ানতকারী, অসংযমী, অতিরিক্ত আহার করে, হারাম খায়, অধিক নিদ্রা যায়, পোশাক পরিচ্ছদ পরিষ্কার রাখে না, আয় অনুযায়ী ব্যয় করে না ইত্যাদি তার ক্রিয়াকলাপ সম্বন্ধে গীবত।

 

কারো সম্পর্কে যদি বলা হয়, তার পোশাক বেসামাল, আস্তিন ঢিলা, আচল দীর্ঘ তা হলে তার বসন-ভূষণ সম্পর্কে গীবত করা হলো।

 

গীবত কেবল মুখ দ্বারাই হয় না। চক্ষু, হাত এবং ইঙ্গিত দ্বারাও গীবত হয়ে থাকে। সব ধরনের গীবতই হারাম।

 

হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি একদিন মহানবীর (সা.) নিকট ইশারায় প্রকাশ করেছিলাম যে, অমুক মহিলা বেটে। নবী করিম (সা.) বললেন, হে আয়েশা তুমি গীবত করলে।’

 

গীবত করা যেমন নিষেধ, তেমনি গীবত শোনাও নিষেধ। যে গীবত শুনে, সেও গীবতের পাপের অংশীদার হয়ে যায়।

 

গীবত শোনাও যে পাপ তার সমর্থনে হাদীস হচ্ছে- ‘একদিন হযরত আবু বকর (রা.) ও হযরত উমর (রা.) এক সঙ্গে সফর করছিলেন, এমন সময় একজন অপরজনকে বললেন, ‘অমুক ব্যক্তি অতিরিক্ত নিদ্রা যায়।’ তারপর তারা রুটি খাবার জন্য তরকারি চাইলে, নবী করিম (সা.) বললেন, ‘তোমরা উভয়েই তো তরকারি খেয়েছো।’ তারা বললেন, কি খেয়েছি আমরা জানি না। নবী করীম (সা.) বললেন, ‘তোমরা নিজের ভাইয়ের মাংস খেয়েছো’।

এ হাদীস থেকে জানা যায়, ‘অমুক ব্যক্তি অতিরিক্ত নিদ্রা যায়’ কথাটি একজন বলেছেন অন্যজন শুনেছেন। অথচ নবী করীম (সা.) উভয়কে গীবতের অপরাধী করলেন।

 

নিশ্চিত না হয়ে কারো সম্পর্কে মন্দ কিছু ধারণা করাও গীবতের অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের মন্দ ধারণাকে ইমাম গাযযালী আন্তরিক গীবত বলে অভিহিত করেছেন।

 

এ প্রসঙ্গে কুরআন মজীদে বর্ণিত হয়েছে, ‘যদি তোমাদের নিকট কোনো ফাসিক কোনো খবর নিয়ে আসে, তা ভালমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুসন্ধান করে নেবে।’

 

নবী করীম (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ মুসলিমের রক্ত, ধনসম্পদ ও তার প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করাকে হারাম করেছেন।’

 

গীবত বা পরনিন্দাকে নবী করীম (সা.) অত্যন্ত কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছেন এবং এর পরিণাম সম্পর্কে তার উম্মতকে অবহিত করেছেন।

 

হযরত আবু হুরাইয়া (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে আছে-

‘ইসা ইবনে মালিকিনা আসলামী নবী করীম (সা.)-এর নিকট এসে চতুর্থবারের মতো ব্যাভিচারের স্বীকারোক্তি দেওয়ায়, তিনি তাকে প্রস্তরাঘাতে হত্যার আদেশ দেন। অতঃপর নবী করীম (সা.) ও কতিপয় সাহাবা (রা.) তার কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তখন তাদের মধ্য থেকে একজন বলে উঠলেন, এই বিশ্বাসঘাতকটা কয়েকবারই নবী করীম (সা.)-এর নিকট আসে এবং প্রত্যেকবারই রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে ফিরে যেতে বলেন, অতঃপর যেভাবে কুকুর হত্যা করা হয়, তেমনি তাকে হত্যা করা হয়। নবী করীম (সা.) এ কথা শুনে মৌনতা অবলম্বন করেন। এরপর তারা যখন একটি মৃত গাধার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন এবং গাধাটি ফুলে যাওয়ায় এর পাগুলো উপরের দিকে উঠেছিলো, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা দু’জনে এটা খাও। তারা বললেন, গাধার মৃত দেহ খেতে বলেছেন হে রাসূল! তিনি বললেন, কেন তোমাদের ভাইয়ের সম্মানহানীর মাধ্যমে ইতোপূর্বে তোমরা যা অর্জন করেছো, তা এর তুলনায় অধিক বেশি গর্হিত। মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রাণ যার হাতে সে পবিত্র সত্তার শপথ সে এখন জান্নাতের ঝর্ণাসমূহের মধ্যে একটি ঝর্ণাতে সাঁতার কাটছে।’ (আল আদাবুল মুফরাদ)।

 

গীবতের পরিণাম সম্পর্কে নবী করীম (সা.) আরও বলেছেন, ‘আগুন যেমন শুকনো কাঠ জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করে ফেলে, গীবতও তদ্রূপ মানুষের সওয়াবসমূহ ধ্বংস করে ফেলে।’

 

গীবত পরিহার করে চলা কঠিন কোনো কাজ নয়। নবী করীম (সা.) এটাকে কোনো কঠিন কাজ বলে মনে করেননি।

 

হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি এমন দু’টি কবরের পাশে উপনীত হলেন যেগুলোর অধিবাসীদ্বয় আজাবে লিপ্ত ছিল। তিনি বললেন, এরা কোনো কঠিন বা গুরুতর ব্যাপারে শাস্তি পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে একজন লোকের গীবত করে বেড়াতো, আর অপরজন পেশাব হতে সতর্ক থাকতো না। অতঃপর তিনি একটি কিংবা দু’টি তাজা খেজুরে ডাল এনে তা ভেঙে কবরের উপর গেড়ে দিতে নির্দেশ দিয়ে বললেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এ ডাল দু’টি তাজা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের শাস্তি হালকা করে দেওয়া হবে।’

 

ইমাম গাযযালী (রহ.) তার রচিত কিমিয়ায়ে সাআদাত নামক গ্রন্থে গীবত থেকে বাঁচার কিছু উপায় ও প্রতিষেধক বর্ণনা করেছেন। তিনি গীবতকে একটি রোগ বা অসুখ বলে আখ্যায়িত করে এ রোগের জ্ঞানমূলক ও অনুষ্ঠানমূলক দু’টি ওষুধের কথা বলেছেন,

জ্ঞানমূলক ওষুধ হচ্ছে- প্রথমত পবিত্র কুরআন ও হাদীসে গীবতের ক্ষতি ও অনিষ্ট সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার মর্ম উপলব্ধি করে তার ওপর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস স্থাপন করা।

দ্বিতীয়ত নিজের দোষ অনুসন্ধান করা। নিজের দোষ বের হওয়ার পর মনে করতে হবে, আমার মতো অন্যেরও দোষ থাকা অসম্ভব নয়। নিজে যেহেতু দোষ থেকে বাঁচতে পারিনি, সেহেতু অন্যের দোষ দেখে এতো বিস্মিত হওয়ার কি আছে?

অনুষ্ঠানমূলক ওষুধ হচ্ছে- মানুষ যেসব কারণে গীবত করে তার প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মানুষ যেসব কারণে গীবত করে ইমাম গাযযালী (রহ.) এর সংখ্যা আটটি উল্লেখ করেছেন। যথা-

(১) ক্রোধ, কেউ কারো প্রতি ক্রোধাম্বিত হলে সে তার গীবতে লিপ্ত হয়। সুতরাং ক্রোধ দমন করলেই এসব গীবত থেকে বাঁচা যায়।

(২) কারো সন্তুষ্টি লাভের জন্য ওই ব্যক্তির শত্রুদের গীবত করা হয়। এ অবস্থায় মনে করতে হবে কোনো মানুষের সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহ তা’আলার অসন্তুষ্টি অর্জন করা নির্বুদ্ধিতা ও মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়।

(৩) নিজের দোষ হতে অব্যাহতি লাভের জন্য অপরের দোষ উদঘাটন, নিজের দোষ ঢাকার জন্য অপরের দোষ প্রকাশ করে আল্লাহ তা’আলার অসন্তুষ্টি অর্জন করা কখনো সঙ্গত হতে পারে না। এটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

(৪) আত্মপ্রশংসা। নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের জন্য অন্যের নিন্দা করা। অনেকে নিজেকে জ্ঞানী হিসাবে উপস্থাপনের জন্য বলে থাকে, অমুকে এ ব্যাপারে কিছুই বোঝে না। এসব উক্তিতে মূর্খ ও দুর্বলেরা তার ভক্ত হলেও জ্ঞানী ও বুদ্ধিমানেরা তার ভক্ত হয় না। মূর্খ ও দুর্বলদের কাছে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করার জন্য পরম পরাক্রমশালী আল্লাহ তা’আলার বিরাগভাজন হওয়া কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

(৫) ঈর্ষা। নিজের যোগ্যতা দিয়ে যারা মান-সম্মান অর্জ করেছেন, ঈর্ষাপরায়ণ ব্যক্তির কাছে তা সহ্য হয় না। কারণে-অকারণে সে ওই সম্মানিত ব্যক্তির দোষ অম্বেষণ করতে থাকে এবং ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়। এসব ব্যক্তি দুনিয়াতে ঈর্ষার অনলে দগ্ধ হয়, আর আখিরাতে জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হয়। হিংসুকের হিংসায় সম্মানিত ব্যক্তির সম্মান এতোটুকুও লাঘব হয় না। ক্ষতি হিংসুকেরই হয়।

(৬) উপহাস ও ঠাট্টাবিদ্রূপ। অনেক সময় মানুষ মজা করা কিংবা অন্যকে অপদস্থ করার উদ্দেশ্যে তার ক্রিয়াকলাপ নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রূপ ও উপহাসে মত্ত হয়। উপহাসকারী যদি বুঝত যে তার এই উপহাস তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তা হলে সে উপহাসকারী হতো না।

 (৭) অসতর্কতা। অনেক সময় পরহেজগার ব্যক্তিরাও পাপের আলোচনা করতে গিয়ে পাপীর নামও উল্লেখ করে ফেলেন। লক্ষ্য করেন না যে, এটা গীবতের মধ্যে গণ্য হয়ে যায়। সুতরাং পাপাচার নিয়ে আলোচনা করার সময় সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কখনো কারো নাম উচ্চারিত না হয় এবং কারো প্রতি ইঙ্গিত করা না হয়।

(৮) মূর্খতা। মূর্খতা মানুষের জন্য বড় অভিশাপ। অনেকে জানেই না যে, কোন কথা গীবতের মধ্যে পড়ে, আর কোন কথা গীবতের মধ্যে পড়ে না কিংবা পাপ নিয়ে আলোচনার সময় পাপীর নাম নিলে গীবত হয়ে যায়। তবে অনিষ্টকর ব্যক্তির ক্ষতি হতে জনসাধারণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে অনিষ্টকারীর নাম নেওয়া বৈধ। এটা গীবতের মধ্যে পড়ে না। অনুরূপভাবে বিচারকের সামনে সাক্ষী হিসাবে পাপীর নাম নেওয়া গীবত নয়। যারা প্রকাশ্যভাবে পাপ করে এবং পাপকে দোষের মনে করে না তাদের নাম নেওয়া গীবত নয়।

 

 

133
চাকরি করা বা চুক্তিভিত্তিক কাজ করা মানুষের অন্যতম অধিকার।

বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণার ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদে মানুষের কাজ করার অধিকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ অনুচ্ছেদে এটাও বলা হয়েছে, মানুষ কাজ বা পেশা বেছে নেওয়ার ব্যাপারে স্বাধীন।

এদিকে নারীর কর্মসংস্থানের বিষয়টি বর্তমান যুগের বিষয়। গত দুই শতকে নানা ধরনের ঘটনা ও পরিবর্তনের ফলে নারীর কর্মসংস্থানের ঝোঁক এবং প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে।

শিল্প বিপ্লবের পর কল-কারখানাসহ নানা ধরনের কর্মক্ষেত্রের সংখ্যা বহু গুণ বেড়েছে। পুঁজিপতিরা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন ও উৎপাদন-ব্যয় কমাতে তাদের কারখানায় সস্তা শ্রম শক্তি নিয়োগের পথ খুঁজছিলেন। আর নারীকেই তারা বেছে নিয়েছেন এ জন্য।

 নানা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে এখনও নারীকর্মী ও শ্রমিকরা অপেক্ষাকৃত কম পারিশ্রমিক পাচ্ছেন।

 

বর্তমান যুগেও নারীকর্মী ও শ্রমিকরা শোষণের শিকার হচ্ছেন। নারীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কঠিন ও ব্যাপক শ্রম-সাধ্য কাজ। ফলে অসুস্থ হচ্ছেন তারা।  বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীকে এমন কর্মক্ষেত্রে নিয়ে আসা হচ্ছে; যেখানে তারা কাজ করতে পারছেন না স্বচ্ছন্দে। বিশেষ করে পাশ্চাত্যে নারীর কর্মক্ষেত্রে যে নানা অনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে; তা তাদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। অথচ পশ্চিমা সরকার নারী অধিকারের রক্ষক বলে দাবি করছে। এছাড়া তারা নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করার দাবি করে আসছে!

 

নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের নামে নারীবাদীরা ঘরের বাইরে নানা কর্মক্ষেত্রে নারী ও পুরুষকে একসঙ্গে কাজ করতে উৎসাহ যুগিয়ে থাকেন। পশ্চিমা শিল্প-সমাজের কর্তারাও নারীবাদীদের ওই লক্ষ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে নারীকে টেনে এনেছেন।

 

নারী ও পুরুষের স্বাভাবিক শক্তি-সামর্থ্য, মানসিক অবস্থা ও শারীরিক গঠনের বা আকর্ষণের  পার্থক্যকেও তারা বিবেচনায় আনেননি এক্ষেত্রে। ফলে কর্মক্ষেত্রে ভারসাম্য নারীর অনুকূল না হয়ে পুরুষের অনুকূল হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ এ পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নারী। কর্মক্ষেত্রে শক্তিমান পুরুষের যৌন নির্যাতনের হাত থেকে সুদর্শনা ও  দুর্বল নারীর আত্মরক্ষার কোনো উপায় প্রায় নেই বললেই চলে।

 

পশ্চিমা নারীবাদীদের দৃষ্টিতে সমান অধিকারের অন্যতম অর্থ হল ঘরের বাইরে নারী ও পুরুষের জন্য চাকরির অধিকার নিশ্চিত করা। যে নারী কেবলই গৃহবধূ তাকে পশ্চাদপদ বলে মনে করেন নারীবাদীরা। এভাবে পাশ্চাত্য নারীকে কেবলই সামাজিক ভূমিকায় ব্যস্ত রেখে তাদের মাতৃত্ব ও স্ত্রীর ভূমিকাকে বিলুপ্ত করছে। পশ্চিমে নারী ও মায়েদের ওপর মানসিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে।

অন্যদিকে মানুষের জীবনের জন্য পরিপূর্ণ বা পূর্ণাঙ্গ বিধানের ব্যবস্থা করেছে ইসলাম।

অধিকারের দিক থেকে নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলে ইসলাম।

 

ইসলাম নারীর মালিকানা ও অর্থনৈতিক তৎপরতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর পাশাপাশি নারীর অর্থনৈতিক চাহিদাগুলো পূরণ করা স্বামীর দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেছে। যাতে নারী কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই তার সাংসারিক দায়িত্বগুলো পালন করতে পারেন। এরই আলোকে ঘরের বাইরে কাজ করার কোনো প্রয়োজন নেই নারীর। বাইরে চাকরি করা নারীর জন্য বাধ্যতামূলক কোনো বিষয় নয় বরং তা তাদের ইচ্ছাধীন বিষয়। তারা ঘরের বাইরে যে কোনো বৈধ পেশা বেছে নিতে পারেন। 

 

ইসলামের দৃষ্টিতে নারী সাংসারিক বা পারিবারিক দায়িত্ব পালন ছাড়াও সামাজিক ও অর্থনৈতিক তৎপরতায় জড়িত হতে পারেন। তবে তাদের এ দায়িত্ব এমনভাবে পালন করতে হবে, যাতে স্বামী ও সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালনের কাজটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

ইসলাম নারীর কাজ বা চাকরিকে মর্যাদা দেয়। পুরুষ বা স্বামী নারীকে ঘরে ও বাইরে কাজ করতে বাধ্য করার অধিকার রাখেন না।

ইসলামও নারী ও পুরুষের সমান অধিকারকেও সমর্থন করে। তবে তা পশ্চিমাদের কথিত সমান অধিকারের অর্থে নয়। বরং নারীর প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের আলোকে তাকে কাজ দেওয়ার কথা বলে ইসলাম। কারণ, খুব কঠিন কায়িক শ্রমের কাজ নারীর পক্ষে করা সম্ভব নয় এবং তা ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের স্বার্থেরও অনুকূল নয়।

মার্কিন লেখিকা মিসেস ন্যান্সি লিইঘ ডি-মস  লিখেছেন,‘নারীদেরকে ঘর-সংসারের কাজের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হতে উৎসাহ দেওয়া এবং তাদের বেশি আনন্দ দেওয়ার জন্য ঘর থেকে বের করে আনা–এসবই নারীর জন্য মাত্রাতিরিক্ত টেনশন বা উদ্বেগ ছাড়া অন্য কোনো ফল বয়ে আনেনি। বিপুল সংখ্যক নারী আজ মানসিক চিকিৎসক ও নানা ধরনের ওষুধের সাহায্য ছাড়া জীবন যাপন করতে পারছেন না। যেসব নারী সব সময় এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাচ্ছেন ও এক পেশা ছেড়ে অন্য পেশা ধরছেন তাদের বেশিরভাগই অনৈতিক সম্পর্কের শিকার হয়েছেন ও হচ্ছেন।’

 

ইসলামের দৃষ্টিতে নারী ও পুরুষের পেশাগত পার্থক্য এবং তাদের অধিকারের পার্থক্য এক কথা নয়।  তাদের অধিকার সমান। যেমন, আমিরুল মুমিনিন হজরত আলী (রা.) ও হজরত ফাতিমা (রা.)-উভয়ই উচ্চতর আধ্যাত্মিক মর্যাদার অধিকারী। কিন্তু ঘরের বাইরের কাজগুলো ছিল আলী (রা.)-এর পেশা, আর ঘরের বা ঘরোয়া কাজগুলো করা ছিল বেহেশতি নারীকূলের নেত্রী ফাতিমা (রা.)-এর পেশা।

 

জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রতিভা ও শারীরিক শক্তির দিক থেকে মানুষে মানুষে রয়েছে পার্থক্য। তাই মহান আল্লাহ সবার জন্য তার উপযোগী কাজ নির্ধারণ করেছেন। নারী-পুরুষও এর ব্যতিক্রম নন। যেসব পার্থক্য প্রকৃতিগত তা পরিবর্তন করা যায় না।

 

শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয় মায়ের স্নেহের আচলে। কিন্তু পুঁজিবাদী সমাজ নারীকে চাকরি দেওয়ার অজুহাতে তার মূল কাজ থেকে দূরে রাখছে; যাতে তাদের পুঁজিবাদের সেবায় বেশি ব্যবহার করা যায়।

 

কানাডীয় লেখক উইলিয়াম গার্ডনার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, কর্মজীবী মায়েরা শিশুদের যে ডে কেয়ার সেন্টারে রেখে যান তা কখনও শিশুর জন্য পরিবারের মতো উত্তম নয়। ফেমিনিস্ট বা নারীবাদীরা আজও এ প্রশ্নের জবাব দেননি।

 

উইলিয়াম গার্ডনারের মতে নারীবাদ গড়ে উঠেছে কাজের ব্যাপারে বিপুল সংখ্যক পশ্চিমা নারীর ক্লান্তি, শ্রান্তি ও হতাশার মতো বাস্তবতা থেকে। এসব নারীই তাদের সন্তানকে ডে-কেয়ার সেন্টারে পাঠান ও কম বেতনের চাকরি পেলেও তা আঁকড়ে ধরেন। অথচ এ ধরনের চাকরির প্রতি তাদের কোনো আগ্রহই নেই। সূত্র : আইআরআ

134
আনারসের চাটনি

উপকরণ- আনারস ২টি, চিনি ৪ কাপ, এলাচ ৩টি, দারচিনি ২-৩ টুকরা, তেজপাতা ৩টি, ৩-৫ টি শুকনা মরিচ।

প্রণালী- আনারসের খোসা ফেলে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এবার পাত্রে মরিচ বাদে সব উপকরণ দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর পর নাড়তে থাকুন। আনারসের পানি শুকিয়ে চিনি মিলে গেলে মরিচগুলো দিয়ে দিন। বেশ চকচকে রং হলে নামিয়ে নিন।

আনারসের জুস

উপকরণ-আনারস অর্ধেকটা, বিট লবণ ১/৪ চা চামচ, চিনি ১ চা চামচ, গোলমরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ, পানি ও বরফ কুঁচি পরিমাণমতো।

প্রণালী-আনারসের অর্ধেকটা কুড়িয়ে নিন। বিট লবণ, চিনি ও গোল মরিচের গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে আনারস দিয়ে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর সুন্দর গ্লাসে ঢেলে বরফ কুঁচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।আনারসের গুণ:

সিজনাল জ্বর হলে আমরা সবাই ডাক্তার হয়ে যাই। আর ওষুধও একটাই, আনারস খেলেই এই জ্বর ভালো হয়ে যায়। একথা সবাই জানি। তবে এর বাইরেও আনারসের রয়েছে অনেক উপকারিতা।

আনারসে একধরনের অ্যানজাইম থাকে, যা ব্যথা নাশক হিসেবে কাজ করে। যার জন্য সর্দি-কাশি, গলাব্যথায় আনারস এক মোক্ষম অস্ত্র।

আনারসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও খনিজ উপাদান থাকে, যা পাকস্থলীর বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে

আনারস ভিটামিন `সি`-এর অন্যতম উৎস। এটি আমাদের শরীরের এনার্জি বাড়ায়।

খাবার হজম হয় খুব সহজে। এছাড়াও ক্যানসারের মতো ঘাতক ব্যাধির বিরুদ্ধেও শক্তিশালী প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে আনারস।

135
আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই জয় পরাজয়, অথবা সফলতা ব্যর্থতার হিসেব কষে এগুতে হয়। জীবনের কোনো ক্ষেত্রে সফল্য এলে যেমন আমরা খুশির স্রোতে ভাসি, ঠিক তেমনি কোনো ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে অনেকের জীবনেই নেমে আসে হতাশার অন্ধকার।

কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার ওপর যদি আমাদের পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস থাকে তাহলে জীবনের এসব কঠিন মুহূর্তেই নিশ্চিন্ত থাকা সম্ভব। দুনিয়ার জীবনের কোনো ব্যর্থতা তখন আখিরাতের পুরস্কারের তুলনায় বড় হয়ে উঠতে পারে না। জীবনের হিসেব তখন আমাদের ইচ্ছাধীন না রেখে আল্লাহর ওপর  ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে সুখে শান্তিতে থাকা সম্ভব। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কুরানে সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব এ বলেছেন
"যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট।" (সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব -৩)

আমরা অনেকেই মানুষ হয়ে সীমিত ক্ষমতার অধিকারী অন্য কারো ওপর অনেক বেশি ভরসা করে থাকি, আর ফল স্বরূপ অনেক ক্ষেত্রেই আশাহত হই। কিন্তু আল্লাহ হচ্ছেন অসীম ক্ষমতার অধিকারী, তিনিই পারেন যাকে ইচ্ছা সাহায্য করতে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এই সম্পর্কে বলেন,
 “আর তুমি ভরসা কর এমন চিরঞ্জীব সত্ত্বার ওপর যিনি মরবেন না।” (সূরা আল ফুরকান: ৫৮)

মানুষ হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার সৃষ্ট জীব, তাই তার অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, আর তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মানুষ অনেক সময়ই ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে না। কিন্তু আল্লাহর ওপর ভরসা করলে আল্লাহ তার প্রতিদান অবশ্যই দেবেন। আর মুমিনদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা আল্লাহর ওপর আস্থা রাখে, এই বিষয়ে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন,
 “আর আল্লাহর ওপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত।” (সূরা ইবরাহীম : ১১)
তাকদিরে বিশ্বাস স্থাপন করা ইমানের মূল সাতটি বিষয়ের একটি। অর্থাৎ আমাদের জীবনের প্রতিটি ঘটনা, ভালো কিংবা মন্দ যা-ই ঘটুক না কেন তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আমাদের কাছে আসে, এই বিশ্বাস আমাদের রাখতে হবে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,
"আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিরেকে কোনো বিপদ আসে না এবং যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।"

Pages: 1 ... 7 8 [9]