Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Noor E Alam

Pages: 1 ... 5 6 [7]
91
কোনো বাবা যদি তার ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করেন তাহলে ছেলেটি কি কি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে ?
"আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, যদি কোনো মা-বাবা তাঁর সন্তানকে ত্যাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেন তবে সেই সন্তান চিরতরে তাঁর মা-বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। অনেক সময় দেখা যায় যে বাবা তাঁর সন্তানকে ত্যাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেন এবং হলফনামা করে লিখে দেন যে তাঁর মৃত্যুর পর সেই সন্তান সম্পত্তির কোনো অংশীদার হবেন না। এ ধরনের ঘোষণার আদৌ কোনো আইনি ভিত্তি নেই। মুসলিম পারিবারিক আইনে স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে কারা সম্পত্তির উত্তরাধিকার হবেন এবং তাঁদের অংশ কতটুকু হবে। মুসলিম আইন অনুযায়ী জন্মসূত্রেই কোনো সন্তান তাঁর পরিবারের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার অর্জন করেন এবং তাঁদের এ অধিকার কোনোভাবেই খর্ব করা যায় না।
তবে কোনো মা-বাবা দান, উইল বা বিক্রয়ের মাধ্যমে তাঁদের সম্পত্তি যে কারও কাছে হস্তান্তর করতে পারেন। এখানে মনে রাখতে হবে মুসলিম আইনে উইলের দ্বারা এক-তৃতীয়াংশের বেশি হস্তান্তর করা যায় না এবং ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তা কার্যকর হবে। জীবিতকালে কোনো মা-বাবা তাঁদের সম্পত্তি অন্য কাউকে যথাযথ উপায়ে দান না করে গেলে কিংবা বিক্রয় করে না গেলে মৃত্যুর পর তাঁদের সন্তানেরা অবধারিতভাবেই উত্তরাধিকারী হিসেবে সেই রেখে যাওয়া সম্পত্তির অংশীদার হবেন।
কিন্তু জীবিতকালে শুধু ত্যাজ্যপুত্র বলে ঘোষণা করে ভবিষ্যতে সন্তানেরা সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন বলে দিলেই সন্তানেরা ত্যাজ্য হয়ে যাবেন না। সন্তানেরা অবশ্যই বাবা-মায়ের সম্পত্তির অংশীদার হবেন। যেকোনো দলিল সম্পাদন কিংবা হলফনামার মাধ্যমে ত্যাজ্য করার ঘোষণা আইনের চোখে অচল এবং আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করার সুযোগ নেই। যদি এমন হয় বাবা-মা ত্যাজ্যপুত্র বলে সন্তানদের ঘোষণা দিয়ে গেছেন এবং এ জন্য অন্য অংশীদারেরা তাঁদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছেন তাহলে সন্তানেরা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।
চাইলে দেওয়ানি আদালতে বাবা-মায়ের করা দলিলটি বাতিল চেয়ে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারেন। কোনো বাবা-মা যদি তাঁদের অবাধ্য সন্তানকে কোনো সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চান তাহলে জীবিতাবস্থায় ওই সম্পত্তি অন্য কাউকে দান করে কিংবা বিক্রি করে সম্পত্তির দখল ছেড়ে দিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে যেটুকু সম্পত্তিই বাবা-মা নিজের নামে রেখে যান না কেন তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁর বৈধ উত্তরাধিকারীরা এ সম্পত্তির অংশীদার হবেন। এ থেকে জীবিত অবস্থায় কাউকে বঞ্চিত করার ঘোষণা মুসলিম আইন অনুযায়ী করা যাবে না।"

92
You need to know / Court Marriage
« on: September 21, 2017, 09:46:52 AM »
কোর্ট ম্যারেজ হইতে সাবধান!
.
কোর্ট ম্যারেজ বলে কোন
কিছু আইনে নেই। যুবক-যুবতি বা নারী-
পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একত্রে
বসবাস করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে
যে হলফনামা সম্পাদন করে থাকে, তাই
কোর্ট ম্যারেজ নামে পরিচিত। এর
কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এই রুপ
কোন বিয়ে যদি কাজী অফিসে
রেজিষ্ট্রী না করা হয় তাহলে আইনগত
কোন ভিত্তি থাকবেনা। কোন এক সময়
যদিএক পক্ষ অন্য পক্ষকে ত্যাগ
করে তাহলে আইনগত কোন প্রতিকার
পাবেনা।
পঞ্চাশ টাকার নন-জুডিশিয়াল
স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে
কিংবাএকশত পঞ্চাশ টাকার নন-
জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রথম শ্রেণীর
ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে
হলফনামা করাকে বিয়ে বলে অভিহিত
করা হয়। অথচ এফিডেভিট বা
হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র।
আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী ও
আকদ সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার
জন্য এফিডেভিট করা যাবে।
আবেগঘন সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক তরুণ
তরুণীর ভুল ধারণা হয় যে, শুধুমাত্র
এফিডেভিট করে বিয়ে করলে বন্ধন
শক্ত হয়। কাজী অফিসে বিয়ের জন্য
বিরাট অঙ্কের ফিস দিতে হয় বলে
কোর্ট ম্যারেজকে অধিকতর ভাল মনে
করে তারা।
যদি কাবিন রেজিষ্ট্রী করা না হয়
তাহলে স্ত্রী মোহরানা আদায় করতে
ব্যার্থ হবে। অধিকিন্তু আইন অনুযায়ী
তার বিয়ে প্রমান করাই মুশকিল হয়ে
দাঁড়াবে। তাই এই ক্ষেত্রে সঙ্গী
কর্তৃক প্রতারিত হবার সম্ভাবানাই
অধিক।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক
(রেজিস্ট্রিকরণ) আইন, ১৯৭৪-এর
ধারা ৫(২) অনুযায়ী যে ক্ষেত্রে
একজন নিকাহ রেজিস্টার ব্যাতিত
অন্য ব্যাক্তি দ্বারা বিবাহ অনুষ্টিত
হয় সে ক্ষেত্রে বর বিবাহ অনুষ্টানের
তারিখ থেকে পরবর্তী (৩০) ত্রিশ
দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ
রেজিস্টারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল
করবেন।
ধারা ৫(৪) অনুযায়ী অত্র আইনের
বিধান লঙ্গন করলে দুই বছর পর্যন্ত
বর্ধনযোগ্য মেয়াদের বিনাশ্রম
কারাদণ্ড বা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত
বর্ধনযোগ্য জরিমানা বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত হবে।

93
You need to know / Deed Registration is mandatory.
« on: September 14, 2017, 04:35:38 PM »
দলিল রেজিস্ট্রি করতে হলে...
২০০৫ সালের ১ জুলাই থেকে জমির যেকোনো হস্তান্তরযোগ্য দলিল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, যে দলিল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক অথচ রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি, তখন সেই দলিল নিয়ে আপনি কোনো দাবি করতে পারবেন না। সাব-কবলা দলিল, হেবা বা দানপত্র, বন্ধকি দলিল, বায়না দলিল, বণ্টননামা দলিলসহ বিভিন্ন হস্তান্তর দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হবে। দলিলের বিষয়বস্তু যে এলাকার এখতিয়ারের মধ্যে রয়েছে, সেই এলাকার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি করতে হবে।
জমি বিক্রির দলিল রেজিস্ট্রি
জমি বিক্রির জন্য জমির বায়নানামা (বিক্রির চুক্তিপত্র) সম্পন্ন করা হলে তা রেজিস্ট্রি করতে হবে। জমির বায়নানামা সম্পাদনের তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে বায়নাটি রেজিস্ট্রি করতে হবে। আর শর্ত অনুযায়ী বায়নার চুক্তি অনুযায়ী রেজিস্ট্রি করার সব পদ্ধতি মেনে সাব-কবলা দলিলটি সম্পাদিত হলে সম্পাদনের পর থেকে তিন মাসের মধ্যে সাব-কবলা দলিলটি রেজিস্ট্রি করাতে হবে। আইন অনুযায়ী, তিন মাস পার হয়ে গেলে রেজিস্ট্রি করা যাবে না। তবে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে আপিল করার সুযোগ আছে।
দলিল রেজিস্ট্রি করার সময় সতর্কতা
কোনো দলিল আইনগত ও যথাযথ পদ্ধতিতে সম্পাদনের পর রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রথমেই জমির সব দলিল-দস্তাবেজ ও মালিকানা যাচাই করতে হবে। দলিলটি সম্পাদনের ক্ষেত্রে খসড়াটি ভালো করে যাচাই করতে হবে। দলিলে কোনো ভুল থাকলে ও রেজিস্ট্রি হলে এটি সংশোধনের ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই করের মাত্রা কমানোর জন্য জমির দাম কম দেখানো হয়। এতে ভবিষ্যতে কিছু প্রতিকার পেতে ঝামেলা হয়। দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার পরপরই নকল তুলতে হবে এবং এটি তুলে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে যে ভুলভ্রান্তি আছে কি না। দলিল রেজিস্ট্রি করার সময় একটি রসিদ দেওয়া হয়। এই রসিদ মূল দলিল ওঠানোর সময় দেখাতে হয়। কোনো সম্পত্তির আংশিক এক জায়গায় এবং বাকি অংশ অন্য জায়গায় পড়লে বেশির ভাগ অংশ যে এলাকায় পড়বে, সেখানের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করতে হবে। কোনো বিশেষ কারণে দলিলদাতা বা গ্রহীতা অসুস্থ হলে সাব-রেজিস্ট্রারকে বাসায় নিয়েও রেজিস্ট্রি করা যায়। মনে রাখতে হবে, দলিল কার্যকর হয় দলিল সম্পাদনের তারিখ থেকেই, অর্থাৎ যে তারিখে দলিলটি সম্পন্ন করা হয়েছে, সেই তারিখ থেকে, দলিল রেজিস্ট্রির তারিখ থেকে নয়। বাংলাদেশের বাইরে দলিল সম্পাদন করা হলে দলিলটি যেদিন বাংলাদেশে পৌঁছাবে, সেই তারিখ থেকে চার মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রি করাতে হবে।
দলিল রেজিস্ট্রি ফি
বায়নাপত্র: সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি না হলে ফি ৫০০ টাকা। পাঁচ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার কম হলে ফি এক হাজার টাকা। মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে দুই হাজার টাকা।
বন্ধক দলিল: বন্ধকি অর্থের পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকার বেশি না হলে ফি বন্ধকি অর্থের ১ শতাংশ এবং ২০০ টাকার নিচে ও ৫০০ টাকার বেশি নয়। অর্থের পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকার ওপরে কিন্তু ২০ লাখ টাকার নিচে হলে বন্ধকি অর্থের শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে তা এক হাজার ৫০০ টাকার কম নয় এবং দুই হাজার টাকার বেশিনয়।
বন্ধকি অর্থের পরিমাণ ২০ লাখ টাকার ওপরে হলে রেজিস্ট্রেশন ফি লাগবে বন্ধকি অর্থের শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ। তবে তা তিন হাজার টাকার কম নয় এবং পাঁচ হাজার টাকার বেশি হবে না।
হেবা ও দানপত্র: মুসলিম ধর্মের ক্ষেত্রে হেবানামা এবং অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রে দানপত্র যদি স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা ও সন্তান, দাদা-দাদি, নানা-নানি, নাতি-নাতনি ও সহোদর ভাইবোনের মধ্যে হয়, তাহলে রেজিস্ট্রি ফি ১০০ টাকা।
বণ্টননামা দলিল: সম্পত্তির মূল্য তিন লাখ টাকা পর্যন্ত হলে ৫০০ টাকা, তিন লাখ টাকার বেশি এবং ১০ লাখ টাকার কম হলে ৭০০ টাকা। সম্পত্তির মূল্য ১০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৩০ লাখ টাকার কম হলে এক হাজার ২০০ টাকা। সম্পত্তির মূল্য ৩০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার কম হলে এক হাজার ৮০০ টাকা এবং সম্পত্তির মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে দুই হাজার টাকা ফি দিতে হবে।

94
Videos / Bangla Natok Review
« on: September 12, 2017, 02:08:35 PM »
আজকাল কয়টা বাংলা নাটক/সিনেমা ১ ঘন্টা ধরে রেখে দারুণভাবে সমাপ্তি টানতে পারে? শাফায়াত মনসুর রানার বেশ প্রশংসিত নাটক "আমরা ফিরব কবে?" দেখে তাই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললাম। সমসাময়িকতার মাঝেও আধুনিক পরিচ্ছন্ন নির্মাণে বক্তব্য উপস্থাপন থাকতেই পারে, তবে সেটাকে পরিশীলিতভাবে লেখা এবং পরিবেশনাতেই যত মুনশিয়ানা।
কাহিনিঃ লম্বা একটা সাপ্তাহিক ছুটিতে বাবা ঠিক করলেন তার ৪ ছেলেমেয়েকে ডাকবেন। বহুদিন সবাই একত্র হয়না, দেখাও হবে, মজা হবে। কিন্তু যান্ত্রিক এই সময়ে সবাই নিজ নিজ পরিবার, চাকরী ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। তবু বাবার কথা ফেলতে পারেনা কেউই। চলে আসে বাগানবাড়িতে। কিন্তু এসেই বিপত্তি। হায় হায় এখানে তো ওয়াইফাই নেই। ছুটি কাটাতে এসেও ফেসবুকে চেক-ইন, ছবি আপলোড, ই-মেইল সবকিছু সানন্দে করতে না পারার কথা চিন্তাই করা যায়না। অনুযোগটা যখন বাবার কানে এল, তখন হল আরেক বিপত্তি। এবার আর রেহাই নেই।
ছেলে চরিত্রে ওমর আয়াজ অনি, সুদীপ বিশ্বাস, মেয়ে চরিত্রে অপর্ণা ঘোষ, বউ চরিত্রে স্বাগতা আর নতুন মুখ সিফাত শাহ্‌রিন এবং জামাই চরিত্রে জন কবীর ছিলেন উল্লেখযোগ্য। এদের নিজেদের দাম্পত্য জীবন টিপিকাল মনে হলেও মূল হাসির খোরাক এই নাটকে। বিশেষ করে, জন কবীরকে প্রথমবার সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা চরিত্র যা তার জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জিং, কারণ এটা একজন চামার ব্যবসায়ীর চরিত্র, যে শ্বশুরের টাকায় ব্যবসা করে বলে সারাদিন শ্বশুরের পায়ে পড়ে থাকে। সহজ কোথায় ধান্দাবাজ! তার স্ত্রীর চরিত্রে অপর্ণা টিপিকাল বড় মেয়ে, একটু eccentric, তবে দারুণ মানানসই। আয়াজ অনি পরিবারের বড় ছেলে, যে দায়িত্ব আর নিজের কাজের মাঝে স্যান্ডউইচ পুরা। তার স্ত্রী স্বাগতা সাপরটিভ একজন বউ, যার ঠিক উল্টাটা ছোট ছেলে সুদীপের বউ সিফাত - স্বার্থপর ডোমিনেটিং বউদের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
এসকল চরিত্রকে ঠিকমত তৈরি করা, তাদের মধ্যকার রসায়ন দেখিয়েও সংলাপে যথাসম্ভব বাস্তবিকতা রাখা, আবার কমেডি আমেজ রাখা = বেশ কঠিন কাজ মনে হয় বাংলাদেশী নাট্যকারদের জন্য। সুখের বিষয় - কিছুটা শেকি অভিনয় হলেও চিত্রনাট্যগুণে গল্পটা ঠিকমত বলতে ৮০ ভাগ সফল হয়েছেন রানা।
যতদূর জানি, আয়াজ অনি ছাড়া এখানে কেউই মঞ্চের লোক না, তাই সংলাপ যত ভালোই হোক, ডেলিভারি শ্রুতিমধুর হবেনা সবার। বিশেষ করে জন কবীর পুরাটা সময়েই সংগ্রাম করেছেন উচ্চারণ আর ভাবভঙ্গির দিক থেকে। শুরুতে খারাপ লাগলেও গ্র্যাজুয়ালি সেটাও সয়ে যায় তার নিষ্ঠার কারণে। আমি জন ভাইর গানের বিশাল ভক্ত হলেও তার অভিনয়ের সীমাবদ্ধতা ভালমতোই জানি। তবু তার হাল না ছেড়ে এরকম চ্যালেঞ্জিং রোল অ্যাপ্রচ করাকে বাহবা না দিয়ে পারিনা। বিশেষ করে এই শাফায়াত মনসুর রানাই যেন পারেন জনের সেরাটা বের করে আনতে। এরপর আমার পছন্দের অভিনেত্রী স্বাগতা - যদিও অতটা ভরপুর রোল পাননি তিনি বাকি ২ অভিনেত্রীর মত। তবু তার উপস্থিতি আরামদায়ক। সবচেয়ে নজরকাড়া ছিলেন নবাগতা সিফাত শাহ্রিন। দেখে বারবার ইলোরা গওহরের মেয়ে মনে হচ্ছিল এত মিল চেহারায়। অভিনয় বেশ ভালো।
প্রবীণ অভিনেতা সৈয়দ হাসান ঈমাম বাবা চরিত্রে সহজাতভাবেই আদুর এবং শক্তিশালী। দিলারা জামান টিপিকাল লাভিং মা চরিত্রে শান্তিময়।
কারিগরি দিকে আবহ সংগীত, কালার গ্রেডিং, চিত্রগ্রহণ খুবই চমৎকার। যদিও প্রথম ভাগে কোন কোন জায়গায় সম্পাদনায় ২-৪টা গলদ রয়েছে - খুবই নগণ্য।
অনেকটা হোমকামিং ধাঁচের গল্প নিয়ে পারিবারিক ড্রামা ঘরানার নাটকটিতে হাস্যরসগুলাও সিচুএশানাল, কাতুকুতু টাইপ কিছু নেই। নতুনদের দিয়ে কাজ উদ্ধার সবাই পারেনা। সাথে কাহিনী, চিত্রনাট্য - ৩টা বিভাগেই প্রায় সফল রানা।
মনে রাখার মত কোন সংলাপ না থাকলেও ভালো গলপবলিয়ে, চিত্রগ্রহণ আর চরিত্রায়নের জন্য "আমরা ফিরব কবে" চমৎকার একটা নাটক হয়েই স্থান পাবে ঈদের সেরা কাজগুলার একটায়। তবে এখনও স্ক্রিপ্ট লেভেলে আরও সৃষ্টিশীলতা আশা করি।
রেটিংঃ ১০ এ ৭.২৫।
link:


Pages: 1 ... 5 6 [7]