Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Anuz

Pages: 1 [2] 3 4 ... 47
16
বিশ্বের ৮০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কভিড-১৯)। বিশ্বে করোনাভাইরাসে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আর তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের টিকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হচ্ছে জানা ও প্রতেরোধ করা। তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কাউকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত করা যায়নি। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস এখন একটি আতঙ্কের নাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জরুরি অবস্থা জারি করেছে। প্রাণঘাতী এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন বিষয় জানতে সবাই এখন গুগল সার্চ করছে। কিন্তু গুগলের তথ্যে অসংখ্যা ভুলের ছড়াছড়ি রয়েছে।
তাই এই সংকটময় সময়ে ইন্টারনেটে যে দশটি বিষয় লিখে সার্চ করবেন না।

আসুন জেনে নিই এমন ১০ বিষয় সম্পর্কে-

১. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কোনো স্পেশাল মাস্ক নেই। তাই এ রকম বিজ্ঞাপন দেখলে এসব থেকে দূরে থাকুন।

২. করোনাভারাসের আকার এত ছোট যে এন৯৫ কিংবা সার্জিক্যাল মাস্ক যেটিই হোক– এর ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে। তাই অনলাইনে এ রকম বিষয় থেকে দূরে থাকুন।

৩. করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নেই। তাই অনলাইন থেকে করোনা প্রতিষেধক এ রকম কোনো মেডিসিন ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন।

৪. র্যা ন্ডমলি অনলাইনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কিছু সার্চ করবেন না।

৫. করোনাভাইরাসের এখনও কোনো ‘টেস্ট কিট’ বের হয়নি। তাই ভুয়া করোনাভাইরাস টেস্ট কিট থেকে দূরে থাকুন।

৬. হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা টিকটকসহ যে কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে বিশ্বাস করবেন না।

৭. করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে ইউটিউব থেকে পরামর্শ নেবেন না।

৮. করোনাভাইরাসের উপসর্গ কেমন হবে এ রকম কিওয়ার্ড দিয়ে অনলাইনে সার্চ করবেন না।

৯. যাচাই ছাড়া কোনো আর্টিক্যাল বা ভিডিও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এ ছাড়া ফিশিং ইমেইলের ফাঁদে পা দেবেন না।

17
বাসে ট্রামে একটা লেখা প্রায়ই দেখা যায়, ‘‌গোপনে নেশা ছাড়ান’‌‌। আর ক’‌দিন বাদে যদি দেখেন লেখা আছে ‘‌গোপনে মোবাইলের নেশা ছাড়ান’‌, অবাক হবেন?‌ হবেন না প্লিজ। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মোবাইলের নেশা আসলে বেশ কিছু নিষিদ্ধ নেশার ওষুধের মতোই কাজ করে আমাদের শরীরে, মস্তিষ্কে। বুদ্ধ্যাঙ্ক বা ‘‌আইকিউ লেভেল’‌ নিয়ে কম বেশি কথা সকলেই বলি। সেই ‘‌আইকিউ লেভেল’‌–এ সরাসরি প্রভাব ফেলে এই মোবাইলের ব্যবহার। মোবাইলের আলোর জন্য আমাদের মস্তিষ্কের ধূসর থকথকে পদার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই সমস্যা আরও ভয়ঙ্করভাবে দেখা দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে। সকালে চোখ খোলা থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়া অবধি বারবার আমরা এই যন্ত্রের দিকে মন দিই। রাস্তায় চলতে চলতে, কারও সঙ্গে কথা বলছি মুখোমুখি, খেতে বসে, টয়লেটে গিয়ে–‌কোনও সময়েই এই যন্ত্রটিকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারি না। মুঠোফোনে বিভোর আমরা।

গবেষণা করার সময়ে হেইডলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জার্মান গবেষক মোট ৪৮ জনের মস্তিষ্কের এমআরআই রিপোর্ট দেখেন। তাঁদের মধ্যে ২২ জন মোবাইল ফোনে আসক্ত ছিলেন। দেখা গিয়েছে, তাঁদের মস্তিষ্কের ধূসর থকথকে পদার্থের ঘনত্বে প্রভাব পড়েছে। সেই প্রভাব এতটাই যে, ওই ২২ জনের দৃষ্টিশক্তি, কথা বলা, আবেগ সবকিছুরই ক্ষমতা বাকিদের চেয়ে কমে গেছে।

আপনি কি জানেন কেন আপনি মোবাইল ফোন দেখলে খুশি হন?‌ কেন নোটিফিকেশন এলে বাকি সবকিছু ছেড়ে ওতেই মন দেন?‌ আপনি নেশার কোনও ওষুধ খেলে বা কোনও নেশা করলে সাধারণত আপনার স্নায়ু দ্রুত গতিতে চলে। যেটাকে অনেকেই চলতি কথায় বলেন, ‘‌হাই’‌ হয়ে গেছেন। এই ‘‌‌হাই’‌ হয়ে যাওয়া বা স্নায়ুর দ্রুত গতিতে চলা, এগুলো সবই কিন্তু হয় মোবাইলের নোটিফিকেশন থেকেও। কারণ এ সময় আপনার শরীর ডোপামিনের মতো হরমোন তৈরি করতে থাকে। সেটা আপনার স্নায়ুকে শিথিল করে দেয় অনেকটাই। নেশা করলে যেমন অনেক সময়েই আপনি কী বলছেন , কী করছেন সে খেয়াল থাকে না বা অনেকেরই সে জ্ঞানই চলে যায়, তেমনই এই মোবাইলের নেশাতেও অনেক সময়েই আপনি কোথায় আছেন, কী করছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন, দেখবেন সে খেয়াল থাকছে না আপনার। শুধু ঘাড় গুঁজে টুকটুক করে চলেন।

কিন্তু কিছু তো উপায় বের করতে হবে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে।

বেশ কিছু মোবাইল কেনার সময়েই দেখবেন, তাতে ‘‌ইনবিল্ট’‌ কিছু ‘‌ফিচার’‌ থাকে, তাতে সারাদিনে কতটা ব্যবহার করলেন ফোনটি, সেটার হিসেব রাখতে পারবেন। চেষ্টা করাই যায় সেটার দিকে নজর রেখে ব্যবহারের সময়টা কমিয়ে দিতে।
‘‌সোশ্যাল মিডিয়া’‌–র ‘‌অ্যাপগুলো’‌–র বদলে কিছু সুস্থ অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলতে পারেন। ফলে নিজেকে ফিট রাখলে, রোজ হাঁটলে বা ক্যালোরি ঝরালে আপনারই ভালো লাগবে। শুধু ঘাড় গুঁজে বসে বসে মোবাইল ঘাঁটবেন না সেক্ষেত্রে আর। 
ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিতে পারেন। খুবই কষ্ট হয়তো হবে প্রথম দিকে। কিন্তু খুব একটা সমস্যা হবে আর পরের দিকে।

ফোনের আলো বা ‘‌ব্রাইটনেস’‌ কমিয়ে দিতে পারেন। তাহলে আর অত বেশিবার ফোনের দিকে চোখ যাবে না। আপনার নেশা কাটাতে সুবিধাই হবে।

এতকিছুর পরেও যদি আপনার ফোনের আসক্তি না কমে, আপনি চাইলে এলাহাবাদে গিয়ে দেখতেই পারেন। কারণ সত্যিই সেখানে ইতিমধ্যেই মোবাইলের নেশা কাটানোর জন্য ‘‌রিহ্যাব’‌ খোলা হয়েছে চারটি হাসপাতালে।

18
ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েটের দিকে বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, গ্লুকোজের মাত্রা ওঠানামা করার জন্য তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সুতরাং, তাদের বুদ্ধি করে খাদ্য চয়ন করা উচিত যা, তাদের শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, পর্যাপ্ত শক্তি প্রদান করতে এবং প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে। মাশরুম হল সেই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলির মধ্যে একটি যা, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এনিয়ে একটি গবেষণা অনুযায়ী, হোয়াইট বাটন মাশরুম একটি প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে এবং অন্ত্রে ব্যাকটিরিয়ার গঠন পরিবর্তন করতে সহায়তা করে - যা লিভারে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করে। এই গবেষণাটি ইঁদুরের উপর পরিচালিত হয়েছিল এবং তাদের প্রতিদিন প্রায় ৩ আউন্স করে মাশরুম খাওয়ানো হত। এটি থেকে পাওয়া গেছে যে, মাশরুম প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে এবং প্রিভোটেলা নামক একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর ব্যাকটিরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে যা, সাকসিনেট এবং প্রোপিওনেটের মতো অ্যাসিড উৎপাদন করে। এই অ্যাসিডগুলি গ্লুকোজ উৎপাদনের জন্য দায়ী জিনকে পরিবর্তন করতে সহায়তা করে। যাইহোক, এনিয়ে আরও গবেষণা চলছে।

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে মাশরুমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
মাশরুম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি দিয়ে গ্রিল বা রোস্ট করা যেতে পারে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাশরুম পাওয়া যায় তবে, সাদা, পোর্টোবেলো মাশরুম বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস পরিচালনার জন্য বিবেচিত হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মাশরুম কেন অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়?তার কারণ এখানে দেওয়া হল-

১) শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে
মাশরুম সেলেনিউম্ সমৃদ্ধ যা, একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যেমন আমরা জানি যে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণ হয়ে থাকে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের দিকে পরিচালিত করে। সুতরাং, মাশরুম গ্রহণ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং রক্তের গ্লুকোজ হ্রাস করে পরিস্থিতি রোধ করতে সহায়তা করে।

২) পলিস্যাকারাইড

মাশরুমে পাওয়া এই সক্রিয় যৌগতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রভাব রয়েছে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে এর জটিলতাগুলি হ্রাস করে।

৩) লো কার্ব ৪
মাশরুমে ক্যালোরি কম এবং দ্রবণীয় ফাইবার (বিটা-গ্লুক্যান) বেশি থাকে। এটি সেরা স্বাস্থ্যকর খাবার যা, যেকোনও খাবারের সাথে খাওয়া যেতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মাশরুম স্যুপ রেসিপি
উপকরণ
ক) ২০০ গ্রাম বাটন মাশরুম
খ) ২ কাপ জল
গ) স্বাদমতো নুন
ঘ) ১ কাপ কম ফ্যাটযুক্ত দুধ
ঙ) ২ টেবিল চামচ গমের আটা
চ) ১০ গ্রাম মাখন / অলিভ অয়েল বা পছন্দসই তেল
ছ) ২-৩ পিস কাটা পেঁয়াজ

পদ্ধতি

ক) মাশরুমগুলি ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং কেটে নিন।
খ) একটি গরম প্যানে, মাখন, পেঁয়াজ এবং মাশরুম দিন।
গ) ১ মিনিট ভালভাবে মিশ্রিত করুন।
ঘ) জল এবং গমের আটা দিন এবং মিশ্রণটি ৫-৬ মিনিট ফোটান।
ঙ) এরপর, মিশ্রণটি সরান এবং পুরোপুরি ঠান্ডা করুন।
চ) দুধের সাথে মাশরুম ভালভাবে ব্লেন্ড করুন, যতক্ষণ না পর্যন্ত মিহি হয়।
ছ) একই প্যানে মিশ্রণটি ঢালুন, লবণ এবং ১ কাপ জল দিন এবং এটি ৩-৪ মিনিট হতে দিন।
জ) মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন।
ঝ) এরপর, গরম গরম স্যুপ পরিবেশন করুন।

19
কলার মোচা কমবেশি আমরা সবাই খেয়েছি। তবে এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানা নেই। অনেক রোগের ওষুধ এই কলার মোচা। কলার মোচা ভর্তা মুখরোচক একটি খাবার। ফল হিসেবে কলার যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে, তেমনি কলার মোচাতেও রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। পুষ্টিবিষয়ক একটি প্রতিবেদন থেকে কলার ফুল বা মোচার ঔষধি গুণের কথা জানা গেছে।

১. কলাতে যেসব পুষ্টি উপাদান থাকে, তার সবই আছে কলার মোচায়। পাশাপাশি মোচাতে আরও থাকে মেন্থলের নির্যাস, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । এ ছাড়া এটি ভিটামিন বি সিক্স, সি ও আঁশ সমৃদ্ধ। আরও আছে ভিটামিন ই, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান, যা শরীরের জন্য উপকারী।

২. কলার ফুল রজঃকালীন ব্যথা কমায় এবং প্রোজেস্টেরন উৎপাদন বৃদ্ধি করে রক্ত স্বল্পতা হ্রাস করে।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফোলা ভাব এবং ‘পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (পিসিওএস) নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৪. এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম যা উদ্বেগ ও হতাশা কমায়। মন ভালো রাখে।

৫. কলার মোচায় আছে ফেনলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য ‘বায়োঅ্যাক্টিভ’, যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৬. কলার ফুল বা মোচায় রয়েছে প্রাকৃতিক ‘গ্যালাক্টাগাগ’ যা স্তন্যদানকারী মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করে।

৭. মোচায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই কলার মোচা অকালে বৃদ্ধ হওয়া ও বয়সের ছাপ পড়া ধীর করে ও বলিরেখা কমায়।

৮. কলার মোচায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উন্মুক্ত ‘রেডিকল’য়ের বিরুদ্ধে কাজ করে। জারণ ক্ষয় প্রতিহত করে, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

20
১১ ডিসেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন আসর— ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল।’ বঙ্গবন্ধু বিপিএল পুরোটাই দেখভাল করবে বিসিবি, সেটি আগেই জানিয়েছিল তারা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে মাথায় রেখে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশেষ এই বিপিএলে আগের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো থাকছে না। নতুন সাতটি দলকে এই বিপিএল খেলার জন্য অনুমোদন দিয়েছে বিসিবি।

এই সাত দল হলো— ঢাকা প্লাটুন, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, রাজশাহী রয়্যালস, সিলেট থান্ডার, খুলনা টাইগার্স, রংপুর রেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিপিএল) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে এবার। ৮ ডিসেম্বর বিপিএলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের দিন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হবে। ক্রিকেট দিয়েই শুরু হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা।

আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের ড্রাফট। নির্ধারিত হয়ে যাবে বিশেষ এই বিপিএলে কে কোন দলে খেলবেন। আজ খেলোয়াড়দের ড্রাফটে ৬টি গ্রেডে ১৮১ স্থানীয় ও ৫টি গ্রেডে ৪৩৯ বিদেশি ক্রিকেটারের নাম তোলা হবে। এ প্লাস গ্রেডে থাকা স্থানীয় ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ৫০ লাখ টাকা। এই গ্রেডে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ‘এ’ গ্রেডে ২৫ লাখ, যে ক্যাটাগরিতে আছেন আছেন সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমান, মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, মোসাদ্দেক হোসেন, লিটন দাস, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ‘বি’ গ্রেডে ১৮ লাখ, ১২ লাখ ‘সি’ গ্রেডের স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক, ‘ডি’ ও ‘ই’ গ্রেডের ক্রিকেটাররা পাবেন ৮ ও ৫ লাখ টাকা করে।

21
টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিং বিবেচনায় নিলে ফলটা অপ্রত্যাশিত কিছু না। আটে থাকা আফগানিস্তান দশের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাবে, সেটাই স্বাভাবিক। তারপরও দলটা তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের সেই শৌর্য না থাকলেও ঐতিহ্যবাহীদের কাতারেই রাখা হয় ক্যারিবীয়দের। আর টি-টোয়েন্টিতে তো তারা বর্তমানের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সে হিসেবে কাল লক্ষ্ণৌতে ইতিহাসই গড়ল রশিদ খানের দল। টি-টোয়েন্টি সিরিজে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৯ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। এর মধ্য দিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল তারা। বড় কোনো দলের বিপক্ষে এই প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল আফগানিস্তান।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল আফগানরা। এরপর দলটি কী দুর্দান্তভাবেই না ঘুরে দাঁড়াল! কাল আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। ৫২ বলে ৭৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন ১৭ বছর বয়সী ওপেনার রহমান গুরবাজ। ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। তাড়া করতে নেমে পুরো ২০ ওভার খেললেও ৭ উইকেটে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপের ৫২ রান ছাড়া লেন্ডল সিমন্স, কাইরন পোলার্ড, শিমরন হেটমায়ারদের মতো ডাকাবুকো ব্যাটসম্যানদের কেউ বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি। ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন ২০ বছর বয়সী আফগান পেসার নভীন-উল হক।

টি-টোয়েন্টিতে দ্রুত উন্নতি করা দলগুলোর একটি আফগানিস্তান। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই তাদের মাটিতে ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছিল আফগানরা। মাঝের দুই বছরে এ সংস্করণে দলটি কোনো সিরিজেই হারেনি। এ সময় জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে আফগানরা।

22
পেঁয়াজের খোঁজে নতুন নতুন দেশে ধরনা দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের পর এবার ইউরোপের চার দেশ থেকে আনা হচ্ছে পেঁয়াজ। এসব দেশ হলো নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ইউক্রেন ও স্লোভাকিয়া। এই চার দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন তাঁরা। আজ সোমবার উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক কৃষিবিদ আজহার আলী প্রথম আলোকে বলেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর নতুন নতুন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এশিয়া, মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক কমট্রেড ডাটাবেজ অনুসারে, পেঁয়াজ রপ্তানিতে শীর্ষস্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। দেশটি গত বছর ৬৭ কোটি ডলারের পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশ থেকে দূরত্ব বেশি হওয়ায় এত দিন সেখান থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। এবার বাজারে অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, দুটি প্রতিষ্ঠান ৭৮০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে দেশটি থেকে।

ইউরোপ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে এক মাসের বেশি সময় লাগে। নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম ও বেলজিয়ামের এন্টওয়ার্প বন্দর থেকে কনটেইনারবাহী বড় জাহাজে এসব পেঁয়াজ প্রথমে আনা হবে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে। এরপর সেখান থেকে ছোট জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হবে। দেশ দুটি থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে সমুদ্রপথে ১৪ হাজার ৮৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। এ হিসেবে আগামী মাসে ইউরোপের দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছাবে নেদারল্যান্ডস থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে ভোগ্যপণ্য আমদানিতে শীর্ষ তালিকায় থাকা বিএসএম গ্রুপ। গ্রুপটির চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী আজ প্রথম আলোকে বলেন, পেঁয়াজের শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ নেদারল্যান্ডস। তাদের পেঁয়াজের গুণগতমান সবচেয়ে ভালো। ভারত রপ্তানি বন্ধের পর বিশ্বের অনেক দেশে এখন চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে এক-দুটি দেশের চেয়ে যেখানে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে সেখান থেকেই আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক আসাদুজ্জামান বুলবুল প্রথম আলোকে বলেন, নেদারল্যান্ডস ছাড়াও বেলজিয়াম থেকে এক হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান। ইউরোপের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘটনা নতুন বলে তিনি জানান। উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র ঢাকা ও চট্টগ্রাম কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেওয়া দেশের সংখ্যা নিয়মিতই বাড়ছে। ইউরোপের দেশগুলো ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে মিশর, চীন, তুরস্ক, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, ইরান, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ ছাড়া ইউরোপের দেশ স্লোভাকিয়া থেকে সামান্য পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

ভারত রপ্তানি বন্ধের আগে প্রতি বছর তিন-চারটি দেশ থেকে সামান্য পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হতো। এসব দেশের তালিকায় ছিল মিশর, তুরস্ক, পাকিস্তান ও চীন। বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি সবচেয়ে বেশি হয় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে। সে বছর মোট ২৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকেই আমদানি হয়েছিল সাড়ে ১২ হাজার টন।

23
প্রথা ভেঙে এ বছর বুকার পুরস্কার দেওয়া হলো দুজনকে। মার্গারেট অ্যাটউড এবং বার্নাডাইন এভারিস্তো যৌথভাবে ২০১৯ সালের বুকার জিতে নিয়েছেন। তারা দুজনই ইতিহাস গড়েছেন। বুকারের ইতিহাসে ৭৯ বছর বয়সী অ্যাটউড সবচেয়ে বয়স্ক লেখক হিসেবে পুরস্কার জিতলেন। আর এভারিস্তো প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে বুকার জয় করলেন। বুকারের নীতিমালায় স্পষ্টভাবেই বলা আছে যে, এই পুরস্কারকে কোনোভাবেই বিভক্ত করা যাবে না। অর্থাৎ প্রতিবছর একজনকেই এই পুরস্কার দিতে হবে। কিন্তু এ বছর বিচারকরা জানিয়েছেন, তারা কোনোভাবেই এভারিস্তো আর অ্যাটউডের কাজকে একটিকে অন্যটির চেয়ে এগিয়ে রাখতে পারেননি। তাই এত বছরের প্রথা ভেঙে এবার দুজনকে এবার বুকারজয়ী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে অ্যাটউড-এভারিস্তোকে প্রাইজ মানির ৫০ হাজার পাউন্ড সমানভাবে ভাগ করে নিতে হবে।

24
টি-টোয়েন্টি সিরিজে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কাল ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দেশের ক্রিকেটের সাম্প্রতিক দুঃসময়ে দারুণ এক সাফল্যের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। সিরিজের আগে সেটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও খেলোয়াড়দের পরিশ্রম ও চেষ্টাতেই এই সাফল্য এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এবার সিরিজ জেতাও সম্ভব বলে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ।

রাজকোটে ভারতের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেও সিরিজের প্রথম ম্যাচে দিল্লি কাঁপিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিমরা। ফলে ১-১ সমতায় সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে নাগপুরে পা রাখতে পেরেছে আফিফ হোসেন, সৌম্য সরকাররা। খেলোয়াড়েরা কাল সিরিজ নিশ্চিত করতে উদ্‌গ্রীব বলে জানিয়েছেন কোচ রাসেল, ‘খেলোয়াড়দের অবদান দিতেই হবে। কয়েকটা সপ্তাহ খুব কঠিন সময় গিয়েছে। কিন্তু খেলোয়াড়েরা শেষ দশ দিন কঠোর পরিশ্রম করেছে। অনুশীলনে তারা সর্বোচ্চটা দিয়েছে। সেখানে তাদের সাফল্যের আশা ফুটে উঠেছে। তাই তারা বিদেশের মাটিতে এসেও দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে। দুই সপ্তাহ আগেও যদি কেউ বলত নাগপুরে আসার আগে সিরিজে ১-১ সমতা থাকবে, কেউ সেটা বিশ্বাস করত না। অথচ কাল আমাদের জন্য বড় একটি সুযোগ অপেক্ষা করছে এবং খেলোয়াড়েরা এর জন্য খুবই রোমাঞ্চিত।’

টি-টোয়েন্টি মানেই যেন ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং। গায়ের জোর দেখানোর জায়গা। এই ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তবে নিজেদের শক্তিকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছেন বাংলাদেশ কোচ, ‘আমি মনে করি না আমরা কখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপের মতো শক্তিশালী হতে পারব। যারা চাইলেই মাঠের বাইরে বল পাঠাতে পারে। শারীরিকভাবে আমরা তাদের মতো নই। আফিফ, মোসাদ্দেক এবং লিটনরা আকারে তাদের চেয়ে ছোট। কিন্তু আমরা গতি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি, রানিং-বিটুইন নিয়ে কাজ করছি, ফাঁকা জায়গা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি দুই রান বের করে নেওয়ার। ওভারে ৬টা দুই রান কিন্তু ২টা ছয়ের সমান। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং ধসের মাঝে আফিফ ও মোসাদ্দেক দারুণ করেছে। ওটাই টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ের ধরন। প্রতি ম্যাচে এটা করে দেখানো কঠিন। কখনো দুই ওভার ব্যাট করার সুযোগ মেলে। আবার কখনো ৮ ওভার টিকে থাকার জন্য ব্যাটিং করি। আমি মনে করি টি-টোয়েন্টিতে ৬ ও ৭ নম্বরে ব্যাটিং করা খুবই কঠিন।’

গত ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ১৩ ওভারেই বাংলাদেশ এক শ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় যেটা আর পরে ধরে রাখা যায়নি। তবে এসব থেকেই দল শিখছে বলে জানিয়েছেন কোচ, ‘আমরা ১২.২ ওভারেই ১০০ রান তুলেছি। ভারত ১০০ রান করতে সময় নিয়েছে ১১ ওভার। সুতরাং তারা আমাদের চেয়ে ১ ওভার এগিয়ে ছিল। এটাই আমাদের ব্যাটসম্যানদের বিশেষ করে আফিফ, সৌম্য-মোসাদ্দেকদের শিক্ষণীয় সময়। প্রতিটা ভুল থেকেই আমরা শিখছি। আগামী বছর যখন আমরা বিশ্বকাপে যাব, এই ধরনের মুহূর্তে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

25
বিশ্ব নগর দিবস উপলক্ষে সবচেয়ে সৃজনশীল শহরগুলোর নাম প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) প্রকাশিত এ তালিকা করা হয় সঙ্গীত, চারুকলা এবং লোকশিল্প, নকশা, সিনেমা, সাহিত্য, ডিজিটাল আর্টে প্রসিদ্ধ শহরের ওপর ভিত্তি করে। তালিকায় জায়গা পায় ৬৬টি শহর। খবর এনডিটিভির। এ প্রসঙ্গে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজৌলে বলেন, এটি রাজনৈতিক ও সামাজিক উদ্ভাবনের পক্ষে এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কেবল সংস্কৃতি নয়, অর্থনীতি-কর্মসংস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধও দিবসটি যথাযথ বলে জানান তিনি।

যেসব শহর খেতাব জিতল:-

সঙ্গীতের জন্য, অ্যাম্বন (ইন্দোনেশিয়া), হাভানা (কিউবা), মেটজ (ফ্রান্স), পোর্ট অব স্পেনসহ (ত্রিনিদাদ ও টোবাগো) অন্যান্য।

সাহিত্যের জন্য, অ্যাঙ্গোলেমে (ফ্রান্স), বেইরুট (লেবানন), এক্সেটার (যুক্তরাজ্য), কুহমো (ফিনল্যান্ড), লাহোর (পাকিস্তান), লিউওয়ার্ডেন (নেদারল্যান্ডস), নানজিং (চিন), ওডেসা (ইউক্রেন), স্লেমানি (ইরাক), ওঞ্জু (কোরিয়া প্রজাতন্ত্র), রোকলা (পোল্যান্ড)।

কারুশিল্প এবং লোকশিল্পের জন্য, আরেগুয়া (প্যারাগুয়ে), আইয়াচুচো (পেরু), বল্লারাট (অস্ট্রেলিয়া), বান্দর আব্বাস (ইরান), বিয়েল্লা (ইতালি), ক্যালদাস দা রায়না (পর্তুগাল), জিনজু (কোরিয়া প্রজাতন্ত্র), কার্গোপোল (রাশিয়ান ফেডারেশন), শারজাহ (সংযুক্ত আরব আমিরশাহি), সুখোথাই (থাইল্যান্ড), ত্রিনিদাদ (কিউবা), এবং ভিলজান্দি (এস্তোনিয়া)।

চলচ্চিত্রের জন্য, পটসডাম (জার্মানি), সারাজেভো (বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা), ভালাদোলিড (স্পেন) এবং ওয়েলিংটন (নিউজিল্যান্ড)।

26
কেবল দাঁতের যত্নেই নয়, টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন আরও বিভিন্ন কাজে। এটি যেমন গৃহস্থালি পরিচ্ছন্নতায় অনন্য, তেমনি রূপচর্চায়ও অতুলনীয়। জেনে নিন টুথপেস্টের বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে।

০১। সামান্য টুথপেস্ট স্নিকার্স বা চামড়ার জুতায় লাগান। তারপর শুকনো কাপড় দিয়ে ঘষে মুছে নিন। নতুনের মতো চকচক করবে বহু ব্যবহৃত জুতা।
০২। শিশুর বোতলে দুধের গন্ধ হয়ে গেছে? বোতল পরিষ্কার করার ব্রাশে টুথপেস্ট লাগিয়ে পরিষ্কার করুন ফিডিং বটল। তারপর ভালো করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। দুধের গন্ধ দূর হবে। পাশাপাশি রিফ্রেশিং ভাবও আসবে।
০৩। জেল বেসড নয় অথচ রঙিন, এমন টুথপেস্ট রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লাগিয়ে রাখুন ব্রণের ওপর। সকালে উঠে দেখবেন ব্রণের লালভাব কমে গেছে।
০৪। দেওয়াল থেকে আঁকিবুঁকির দাগ তুলতে নরম কাপড় বা ব্রাশে নন-জেল টুথপেস্ট লাগিয়ে পরিষ্কার করুন। তারপর শুকনো কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন।
০৫। কাপ বা মগ থেকে চা বা কফির দাগ উঠতে চাইছে না? কিছুক্ষণ টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
০৬। পুরনো নরম ব্রাশে সামান্য টুথপেস্ট লাগান। তারপর তা দিয়ে ধীরে ধীরে ঘষুন রূপার গয়না। এরপর পাতলা কাপড় দিয়ে আলতো করে মুছে পরিষ্কার করে নিন।
০৭। বাথরুমের ওয়াশ বেসিন বা রান্নাঘরে সিঙ্ক পরিষ্কারের জন্যও টুথপেস্ট কার্যকর। স্পঞ্জে পেস্ট লাগিয়ে বেসিন ও সিঙ্কে ঘষে নিন। তারপর পরিষ্কার করে ফেলুন। নোংরা দাগ উঠে গিয়ে পরিষ্কারও হবে। আবার দুর্গন্ধও চলে যাবে।
০৮। বাথরুমের আয়নায় পানির দাগ লেগে পাতলা আস্তরণ পড়ে গেছে? পরিষ্কার করুন পেস্ট দিয়ে।
০৯। আঙুল বা আয়নায় কোথাও কি লিপস্টিক, মাস্কারার দাগ লেগে গেছে? সেক্ষেত্রেও আপনার মুশকিল আসান হবে টুথপেস্টেই।
১০। রান্না করার পর কিছুতেই হাত থেকে পেঁয়াজ-রসুনের গন্ধ যাচ্ছে না? কয়েক ফোঁটা টুথপেস্ট লাগিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুহূর্তে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
১১। শখের কার্পেট থেকে পুরনো দাগ যাচ্ছে না কিছুতেই? সেই অংশে স্পঞ্জ দিয়ে লাগিয়ে রাখুন টুথপেস্ট। তারপর পরিষ্কার করে নিন ভেজা কাপড় দিয়ে।

27
আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট চালু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। সম্প্রতি তার ইউরোপ সফরে জার্মানির প্রতিষ্ঠান ভেরিডোস জেএমবিএইচের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রদানের ঘোষণা দেন। এরপর প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিআইপি) তৈরি থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সব কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করে পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদফতর। বর্তমান এমআরপি ব্যবস্থা থেকে ই-পাসপোর্ট ব্যবস্থায় উত্তরণ ঘটলে বাংলাদেশিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঝামেলাবিহীনভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন।

ই-পাসপোর্টে থাকবে যেসব সুবিধা-

১.ই-পাসপোর্টের মেয়াদ থাকবে ১০ বছর। এতে প্রবাসীদের সুবিধা হবে। কারণ, তারা অভিযোগ করেছেন, পাসপোর্ট নবায়ন করতে নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়।

২.ই-পাসপোর্ট এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বিদ্যমান বইয়ের সঙ্গে একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেয়া হবে। ওই ডিজিটাল পাতায় উন্নতমানের মেশিন রিডেবল চিপ বসানো থাকবে। এতে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য।

৩. ডাটা পেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশও। ভ্রমণকালে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য।

৪. প্রথম পর্যায়ে প্রধান কার্যালয়সহ ঢাকার তিনটি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হবে। এরপর সারা দেশে ও পরে বিদেশ থেকেও ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে।

৫. সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। ঝামেলাহীনভাবে ই-গেট ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করা যাবে।

৬. সম্প্রতি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে এ ধরনের কয়েকটি জাল এমআরপি ধরাও পড়েছে। বিদ্যমান এমআরপিতে ৩৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকলেও এর বেশিরভাগই জাল করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু ই-পাসপোর্ট বইয়ের পলিকার্বোনেট ডেটা পেজ জাল করা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া ই-পাসপোর্টে থাকছে ৪২টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য।

28
কোন দেশে মজুদ রয়েছে কত স্বর্ণ, এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল। ২০১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যাচাই করে যে তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল তার মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকা নিম্নে দেওয়া হল:-

নেদারল্যান্ডস (১০): ডাচ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে মোট ৬১৩ টন স্বর্ণ জমা রাখা হয়েছে। ডাচ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের স্বর্ণের ভল্ট রয়েছে আমস্টারডামে। নিরাপত্তার স্বার্থে সেই ভল্ট নিউ আমস্টারডামে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করে দিয়েছে ডাচ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক। সঞ্চিত স্বর্ণের নিরিখে নেদারল্যান্ডস বিশ্বের দশম দেশ।

ভারত (৯): স্বর্ণের দাম বাড়লেও ২০১৮-এর তুলনায় ২০১৯ সালে অনেক বেশি স্বর্ণ  সঞ্চয় করেছে ভারত। ২০১৮ সালে সঞ্চিত স্বর্ণের পরিমাণ ছিল ৫৬০.৩ টন, ২০১৯-এ সমীক্ষার রিপোর্ট জানাচ্ছে, স্বর্ণের পরিমাণ বর্তমানে ৬১৮ টন। স্বর্ণ সঞ্চয়ের নিরিখে ভারত বিশ্বের নবম দেশ।

জাপান (৮): বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি জাপানেরই। আর সঞ্চিত স্বর্ণের নিরিখে জাপান বিশ্বে অষ্টম। জাপানের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে সঞ্চিত স্বর্ণের পরিমাণ ৭৬৫ টন।

সুইৎজারল্যান্ড (৭): সঞ্চিত স্বর্ণের নিরিখে বিশ্বের সপ্তম দেশ সুইৎজারল্যান্ড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ই ইউরোপের স্বর্ণ ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এই দেশ। বর্তমানে সঞ্চিত স্বর্ণের পরিমাণ ১০৪০ টন। যার বেশিরভাগই হংকং এবং চীনে সরবরাহ করা হয়।

চীন (৬): ষষ্ঠ স্বর্ণের দেশ চীন। অন্য দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ কিনে থাকে চীন। বর্তমানে চীনের পিপলস ব্যাঙ্কে ১৯৩৭ টন স্বর্ণ সঞ্চিত রয়েছে।

রাশিয়া (৫): গত সাত বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ ক্রেতা রাশিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক। রাশিয়া প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ২২১৯ টন স্বর্ণ রয়েছে। স্বর্ণ সঞ্চয়ে রাশিয়া বিশ্বে পঞ্চম।

ফ্রান্স (৪): স্বর্ণ সঞ্চয়ের নিরিখে বিশ্বের চতুর্থ দেশ ফ্রান্স। গত কয়েকবছর ধরে সঞ্চিত স্বর্ণ বিক্রি করতে শুরু করেছে ফ্রান্স। বর্তমানে তার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে ২৪৩৬ টন স্বর্ণ রয়েছে

ইতালি (৩): স্বর্ণ তালিকা অনুযায়ী বিশ্বে তৃতীয় ইতালি। ২৪৫২ টন স্বর্ণ সঞ্চিত রয়েছে। এবং ইতালি বছরের পর বছর ধরে স্বর্ণের সঞ্চয়ের আকার বজায় রেখে যাচ্ছে।

জার্মানি (২): জার্মান প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সঞ্চিত মোট স্বর্ণের পরিমাণ ৩৩৬৭ টন। সোনার নিরিখে জার্মানি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী দেশ।

আমেরিকা (১): সবচেয়ে কোন দেশের ভল্টে বেশি স্বর্ণ সঞ্চিত রয়েছে? উত্তরটা অবশ্যই আমেরিকা। আমেরিকায় সঞ্চিত সোনার পরিমাণ ৮১৩৪ টন।

29
দুর্যোগকালীন সময়ে জনগণকে সম্ভাব্য বিপদ থেকে বাঁচাতে আবহাওয়া অফিস বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করে থাকে। সেসব সংকেত দেখে দুর্যোগের তীব্রতা সম্পর্কে ধারণা নিতে হয়। গণমাধ্যমে ওইসব সংকেতের কথা বার বার প্রচার করা হয়। কিন্তু এসব সংকেতের মানে কী? আবহাওয়া অধিদপ্তর এসব সংকেতের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি বিপদ সংকেত ব্যবস্থা ঝড়ের গতি ও বিপদের সম্ভাব্য মাত্রা বিবেচনায় ১ থেকে ১১ নম্বর সংকেত দিয়ে সতর্কতার মাত্রা বোঝানো হয়। ব্রিটিশ আমলে এ সংকেত সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজে ব্যবহৃত হতো। আবহাওয়া অফিস থেকে সতর্কতা জারি করা সতর্কতা সংকেত ১ থেকে ১১ এর সংক্ষিপ্ত অর্থ:

১ নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেত
জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার (কি.মি.)। ফলে সামুদ্রিক ঝড়ের সৃষ্টি হবে।

২ নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না, তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথে বিপদে পড়তে পারে।

৩ নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত
বন্দর ও বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলোর দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি.মি. হতে পারে।

৪ নং স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত
বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১-৬১ কি.মি.। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনও আসেনি।

৫ নং বিপদ সংকেত
বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৬ নং বিপদ সংকেত
বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৭ নং বিপদ সংকেত
বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। ঝড়টি বন্দরের উপর বা এর নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৮ নং মহাবিপদ সংকেত
বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

৯ নং মহাবিপদ সংকেত
বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

১০ নং মহাবিপদ সংকেত
বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি.বা তার বেশি হতে পারে।

১১ নং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত
আবহাওয়ার বিপদ সংকেত প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় আবহাওয়া কর্মকর্তা পরিস্থিতি দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন। নদীবন্দর ও সমুদ্র বন্দরের জন্য সতর্কতা সংকেত আলাদা। তাই সতর্কতা সংকেত ভাল করে বুঝে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

প্রসঙ্গত, সমুদ্রবন্দরের জন্য সংকেতগুলোর মধ্যে ৫, ৬ ও ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের মাত্রা একই। আবার ৮, ৯ ও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতেরও মাত্রা এক। ঝড় কোন দিক দিয়ে যাবে তার ভিত্তিতে নম্বর আলাদা করা হয়, যদিও বিপদ সব ক্ষেত্রেই সমান। এর ফলে সাধারণের মধ্যে অনেক সময় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ মনে করে, সংকেত যত বেশি, বিপদ তত বড়। ফলে দ্রুততম সময়ে বিপদ সম্পর্কে সচেতন করার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। এই সংকেত ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য গত আড়াই দশকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটি সংকেত ব্যবস্থার সংস্কারের বিষয়ে সুপারিশ জমা দিয়েছিল, তাও পরে আর বাস্তবায়ন হয়নি।

30
ঘণ্টায় ১১৫ কিলোমিটার থেকে ১২৫ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হেনেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৯টায় ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ উপকূলে চলে এসেছে। ঝড়ের প্রভাবে কলকাতা ও ওড়িষ্যায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে আঘাত হেনেছে বলেও জানা গেছে।

বঙ্গোপসাগর উপকূলে দুপুর ১২টা থেকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলেও শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশ সুন্দরবনের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট অংশে আঘাত হানতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ ফুট পানির উচ্চতা। এখন ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশ সুন্দরবনের বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড, হিরণ পয়েন্ট, দুবলারচর, মেহের আলীর চর, অফিসকিল্লা, মাঝেরচর, আলোরকোল, মরণেরচরে আছড়ে পড়েছে। ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমেই বাড়ছে ঝড়ের তীব্রতা। তছনছ করে দিয়েছে দুবলারচরের অস্থায়ী শুঁটকিপল্লী। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) দুবলারচর ভিএইচএফ স্টেশনের অপারেটর মো. কাশেম এ তথ্য জানিয়েছেন।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 47