Daffodil International University

IT Help Desk => Telecom Forum => Topic started by: Anuz on April 23, 2018, 09:03:57 AM

Title: গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউবের বিরুদ্ধে চরমপন্থা ছড়ানোর অভিযোগ
Post by: Anuz on April 23, 2018, 09:03:57 AM
বিজ্ঞাপননির্ভর ব্যবসায়িক মডেলে চলে ভিডিও ভাগাভাগির ওয়েবসাইট ইউটিউব। এখানে তিনটি পক্ষ। ভিডিও নির্মাতা, দর্শক ও বিজ্ঞাপনদাতা। এই তিন পক্ষকে এক করেছে প্ল্যাটফর্ম বা সেবাদাতা ইউটিউব। ভিডিওতে দেখানো বিজ্ঞাপন থেকে নির্মাতার যেমন আয় হয়, সে আয়ের ভাগ পায় ইউটিউবও। এই প্রক্রিয়ায় বারবার চরমপন্থী বিষয়বস্তু ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে ইউটিউব। এর আগে যেমন ভিডিওতে চরমপন্থী বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে, এবার বিদ্বেষমূলক ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে পরোক্ষভাবে সমর্থন জানিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের অনুসন্ধানে উঠে আসে, বর্ণবৈষম্য, উগ্র জাতীয়তাবাদী, নাৎসি, শিশুদের প্রতি যৌনতা, কুৎসা রটানো হয় এমন ইউটিউব চ্যানেলে স্বনামধন্য তিন শর বেশি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এতে সমালোচনার তীর ইউটিউবের চেয়ে বেশি নিক্ষিপ্ত হচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে। গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউবে ওই চ্যানেলগুলোকে অজান্তেই অ্যাডিডাস, আমাজন, ফেসবুক, হারশে, হিলটন, লিংকড-ইন, মজিলা, নেটফ্লিক্স, নর্ডস্ট্রম এবং আন্ডার আর্মোর অর্থ জোগান দিচ্ছে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগ, রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগসহ পাঁচটি সরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপনও ওই চ্যানেলগুলোতে দেখানো হয়েছে।

সিএনএনের অনুসন্ধানের পর যখন এই সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিজ্ঞাপন সম্পর্কে জানানো হয়, তখন তারা এই বিষয়ে অবগত ছিল না বলে জানায়। আন্ডার আর্মোর জানার পর থেকে ইউটিউবে বিজ্ঞাপন কেনা বন্ধ করে দিয়েছে।
ইউটিউবে এ রকম ঘটনা এই প্রথম নয়। চরমপন্থী এবং বিতর্কিত বিভিন্ন চ্যানেলে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন হতে এর আগেও দেখা গেছে। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান সাময়িক বিরতির পর পুনরায় তাদের বিজ্ঞাপন চালু করে। এ ঘটনায় আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইউটিউব। বিজ্ঞাপনদাতাদের প্রতি ইউটিউব কতটুকু নৈতিকতা অবলম্বন করছে এবং কতটা নিরাপত্তার সঙ্গে বিজ্ঞাপনসেবা দিচ্ছে, তা নিয়ে।

ইমার্কেটারের এক জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক বলেন, সমাধানের একটাই উপায়, আর তা হলো ইউটিউব যতক্ষণ না সমস্যার সমাধান করছে, ততক্ষণ বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখা।
এদিকে ইউটিউবের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘যখন আমরা জানতে পেরেছি যে আমাদের নীতিমালার বাইরে বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে, তখন আমরা তা সরিয়ে ফেলি।’ তবে এ ঘটনা বারবার কেন ঘটছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।