Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Nasim Howlader

Pages: [1] 2
3
Get in the Ring Dhaka 2019-20

Worked days and nights for the past eight months on this. Got to work with many wonderful and enthusiastic people from five different divisions of Bangladesh during the divisional rounds. Words can't express the emotions. Thanks to all for their tremendous support which made this gigantic collaboration successful. Keep your eyes on Rtv to welcome the Champion!!!


5
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন ইবরাহীম (‘আঃ) ও তাঁর স্ত্রী (সারার) মাঝে যা হবার হয়ে গেল, তখন ইবরাহীম (‘আঃ) (শিশুপুত্র) ইসমাঈল এবং তার মাকে নিয়ে বের হলেন। তাদের সঙ্গে একটি থলে ছিল, যাতে পানি ছিল। ইসমাঈল (‘আঃ)-এর মা মশক হতে পানি পান করতেন। ফলে শিশুর জন্য তাঁর স্তনে দুধ বাড়তে থাকে। অবশেষে ইবরাহীম (‘আঃ) মক্কায় পৌঁছে হাযেরাকে একটা বিরাট গাছের নীচে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। অতঃপর ইবরাহীম (‘আঃ) আপন পরিবারের (সারার) নিকট ফিরে চললেন। তখন ইসমাঈল (‘আঃ)-এর মা কিছু দূর পর্যন্ত তাঁর অনুসরণ করলেন। অবশেষে যখন কাদা নামক স্থানে পৌছলেন, তখন তিনি পিছন হতে ডেকে বললেন, হে ইবরাহীম! আপনি আমাদেরকে কার নিকট রেখে যাচ্ছেন? ইবরাহীম (‘আঃ) বললেন, আল্লাহর কাছে। হাযেরা (‘আঃ) বললেন, আমি আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। রাবী বলেন, অতঃপর হাযেরা (‘আঃ) ফিরে আসলেন, তিনি মশক হতে পানি পান করতেন আর শিশুর জন্য দুধ বাড়ত। অবশেষে যখন পানি শেষ হয়ে গেল। তখন ইসমাঈল (‘আঃ)-এর মা বললেন, আমি যদি গিয়ে এদিক সেদিকে তাকাতাম! তাহলে হয়ত কোন মানুষ দেখতে পেতাম। রাবী বলেন, অতঃপর ইসমাঈল (‘আঃ)-এর মা গেলেন এবং সাফা পাহাড়ে উঠলেন আর এদিকে ওদিকে তাকালেন এবং কাউকে দেখেন কিনা এজন্য বিশেষভাবে তাকিয়ে দেখলেন। কিন্তু কাউকেও দেখতে পেলেন না। তখন দ্রুত বেগে মারওয়া পাহাড়ে এসে গেলেন এবং এভাবে তিনি কয়েক চক্কর দিলেন। পুনরায় তিনি বললেন, যদি গিয়ে দেখতাম যে, শিশুটি কি করছে। অতঃপত তিনি গেলেন এবং দেখতে পেলেন যে, সে তার অবস্থায়ই আছে। সে যেন মরণাপন্ন হয়ে গেছে। এতে তাঁর মন স্বস্তি পাচ্ছিল না। তখন তিনি বললেন, যদি সেখানে যেতাম এবং এদিক সেদিকে তাকিয়ে দেখতাম। সম্ভবতঃ কাউকে দেখতে পেতাম। অতঃপর তিনি গেলেন, সাফা পাহাড়ের উপর উঠলেন এবং এদিকে সেদিক দেখলেন এবং গভীরভাবে তাকিয়ে দেখলেন। কিন্তু কাউকে দেখতে পেলেন না। এমনকি তিনি সাতটি চক্কর পূর্ণ করলেন। তখন তিনি বললেন, যদি যেতাম তখন দেখতাম যে সে কী করছে। হঠাৎ তিনি একটি শব্দ শুনতে পেলেন। অতঃপর তিনি মনে মনে বললেন, যদি আপনার কোন সাহায্য করার থাকে তবে আমাকে সাহায্য করুন। হঠাৎ তিনি জিবরাঈল (‘আঃ)-কে দেখতে পেলেন। রাবী বলেন, তখন তিনি (জিবরাঈল) তাঁর পায়ের গোড়ালি দ্বারা এরূপ করলেন অর্থাৎ গোড়ালি দ্বারা জমিনের উপর আঘাত করলেন। রাবী বলেন, তখনই পানি বেরিয়ে আসল। এ দেখে ইসমাঈল (‘আঃ)-এর মা অস্থির হয়ে গেলেন এবং গর্ত খুঁড়তে লাগলেন। রাবী বলেন, এ প্রসঙ্গে আবুল কাসিম [রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] বলেছেন, হাযেরা (‘আঃ) যদি একে তার অবস্থার উপর ছেড়ে দিতেন তাহলে পানি বিস্তৃত হয়ে যেত। রাবী বলেন, তখন হাযেরা (‘আঃ) পানি পান করতে লাগলেন এবং তাঁর সন্তানের জন্য তাঁর দুধ বাড়তে থাকে। রাবী বলেন, অতঃপর জুরহুম গোত্রের একদল উপত্যকার নীচু ভূমি দিয়ে অতিক্রম করছিল। হঠাৎ তারা দেখল কিছু পাখি উড়ছে। তারা যেন তা বিশ্বাসই করতে পারছিল না আর তারা বলতে লাগল এসব পাখি তো পানি ব্যতীত কোথাও থাকতে পারে না। তখন তারা সেখানে তাদের একজন দূত পাঠাল। সে সেখানে গিয়ে দেখল, সেখানে পানি মাওজুদ আছে। তখন সে তার দলের লোকদের নিকট ফিরে আসল এবং তাদেরকে সংবাদ দিল। অতঃপর তারা হাযেরা (‘আঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে ইসমাঈলের মা। আপনি কি আমাদেরকে আপনার নিকট থাকা অথবা (রাবী বলেছেন), আপনার নিকট বসবাস করার অনুমতি দিবেন? [হাযেরা (‘আঃ) তাদেরকে বসবাসের অনুমতি দিলেন এবং এভাবে অনেক দিন কেটে গেল]। অতঃপর তাঁর ছেলে বয়ঃপ্রাপ্ত হল। তখন তিনি (ইসমাঈল) জুরহুম গোত্রেরই একটি মেয়েকে বিয়ে করলেন। রাবী বলেন, পুনরায় ইবরাহীম (‘আঃ)-এর মনে জাগল তখন তিনি তাঁর স্ত্রীকে (সারাহ) বললেন, আমি আমার পরিত্যক্ত পরিজনের অবস্থা সম্পর্কে খবর নিতে চাই। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি আসলেন এবং সালাম দিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ইসমাঈল কোথায়? ইসমাঈল (‘আঃ)-এর স্ত্রী বলল, তিনি শিকারে গিয়েছেন। ইবরাহীম (‘আঃ) বললেন, সে যখন আসবে তখন তুমি তাকে আমার এ নির্দেশের কথা বলবে, “তুমি তোমার ঘরের চৌকাঠখানা বদলিয়ে ফেলবে।” ইসমাঈল (‘আঃ) যখন আসলেন, তখন স্ত্রী তাঁকে খবরটি জানালেন, তখন তিনি স্ত্রীকে বললেন, তুমি সেই চৌকাঠ। অতএব তুমি তোমার পিতামাতার নিকট চলে যাও। রাবী বলেন, অতঃপর ইবরাহীম (‘আঃ)-এর আবার মনে পড়ল। তখন তিনি তাঁর স্ত্রী (সারাহ)-কে বললেন, আমি আমার নির্বাসিত পরিবারের খবর নিতে চাই। অতঃপর তিনি সেখানে আসলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, ইসমাঈল কোথায়? ইসমাঈল (‘আঃ)-এর স্ত্রী বলল, তিনি শিকারে গিয়েছেন। পুত্রবধু তাঁকে বললেন, আপনি কি আমাদের এখানে অবস্থান করবেন না? কিছু পানাহার করবেন না? তখন ইবরাহীম (‘আঃ) বললেন, তোমাদের খাদ্য ও পানীয় কি? স্ত্রী বলল, আমাদের খাদ্য হল গোশ্‌ত আর পানীয় হল পানি। তখন ইবরাহীম (‘আঃ) দু’আ করলেন, “হে আল্লাহ! তাদের খাদ্য ও পানীয় দ্রব্যের মধ্যে বরকত দিন”। রাবী বলেন, আবুল কাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ইবরাহীম (‘আঃ)-এর দু’আর কারণেই বরকত হয়েছে। রাবী বলেন, আবার কিছুদিন পর ইবরাহীম (‘আঃ)-এর মনে তাঁর নির্বাসিত পরিজনের কথা জাগল। তখন তিনি তাঁর স্ত্রী (সারাহ)-কে বললেন, আমি আমার পরিত্যক্ত পরিজনের খবর নিতে চাই। অতঃপর তিনি এলেন এবং ইসমাঈলের দেখা পেলেন, তিনি যমযম কূপের পিছনে বসে তাঁর একটি তীর মেরামত করছেন। তখন ইবরাহীম (‘আঃ) ডেকে বললেন, হে ইসমাঈল! তোমার রব তাঁর জন্য একখানা ঘর নির্মাণ করতে আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইসমাঈল (‘আঃ) বললেন, আপনার রবের নির্দেশ পালন করুন। ইবরাহীম (‘আঃ) বললেন, তিনি আমাকে এও নির্দেশ দিয়েছেন যে, তুমি যেন আমাকে এ বিষয়ে সহায়তা কর। ইসমাঈল (‘আঃ) বললেন, তাহলে আমি তা করব অথবা তিনি অনুরূপ কিছু বলেছিলেন। অতঃপর উভয়ে উঠে দাঁড়ালেন। ইবরাহীম (‘আঃ) ইমারত বানাতে লাগলেন আর ইসমাঈল (‘আঃ) তাঁকে পাথর এনে দিতে লাগলেন আর তাঁরা উভয়ে এ দু’আ করছিলেন, হে আমাদের রব! আপনি আমাদের এ কাজ কবুল করুন। আপনি তো সব কিছু শুনেন এবং জানেন। রাবী বলেন, এরই মধ্যে প্রাচীর উঁচু হয়ে গেল আর বৃদ্ধ ইবরাহীম (‘আঃ) এতটা উঠতে দুর্বল হয়ে পড়লেন। তখন তিনি (মাকামে ইবরাহীমের) পাথরের উপর দাঁড়ালেন। ইসমাঈল তাঁকে পাথর এগিয়ে দিতে লাগলেন আর উভয়ে এ দু’আ পড়তে লাগলেন, হে আমাদের রব! আপনি আমাদের এ কাজটুকু কবূল করুন। নিঃসন্দেহে আপনি সবকিছু শুনেন ও জানেন–(আল-বাকারাহঃ ১২৭)।

Collected DBC NEWS

6
a workshop on  ‘Photo Journalism and Image Capturing Techniques for News Photo’ on 06 April 2019 from 10:00 AM at the room no.604, Daffodil International University.
The workshop will be jointly organized by Department of Journalism and Mass Communication of Daffodil International University (DIU) and Friedrich Naumann Foundation for Freedom (FNF) and the supported by Office of the Director of Students’ Affairs. In this workshop we will focus on about the image capturing techniques for modern journalism, how the journalism sector is converting in digitalization, mobile Journalism, using cell phones as a medium of information gathering and the future of mainstream news media.

7
Events & Activities / Seminar on ‘The Phenomenon of Fake News’
« on: July 03, 2019, 04:05:46 PM »
Seminar on ‘The Phenomenon of Fake News’
Activities: The discussants will discuss the fake news in Journalism, how fake news can create a nuisance and the authenticity of the information in social media. A guideline for future journalists will be provided by the discussants.
Importance: Hoax created by the people lead mass people to aggression and hate-speech. This seminar will give the participants or future journalists and media persons to spread the idea of information authenticity and understanding the politics behind yellow journalism.
Participant: Students 150
Proposed Discussants Detail:
Name   Designation
Barrister Tanzimul Alam   RTI (Right to Information) practitioner
Saiful Alam   Associate Professor, Dept. of Mass Communication and Journalism, University of Dhaka
Syed Ishtiaque Reza   Editor in Chief at GTV, sarabangla.net
Monjurul Islam   News Editor, DBC
Qurratul Ain Tahmina   Consultant (news) The Daily Prothom Alo
Aditya Shahin   Senior News Editor, Channel – I
Tawfeque Ahmed   News Editor, Channel I Online

The outcome of the seminar: the students from different academic backgrounds will have a specific idea about fake news and information authenticity in social media. As the event will be covering – aired and published in various news mediums, a nuisance on the basis of social media will be reduced.
Expected Date: 23 June 2019 (Sunday) From 11:00 am.
Venue: Banquet Hall/ Auditorium 71, DIU 

8
As part of developing Smart Cities, Daffodil International University along with Friedrich Naumann Foundation (FNF) Bangladesh will organize a Seminar on Public Opinion - Master Plan of Gulistan Skywalk. This event will take place on 25th May 2019, from 12:00 pm to 3:00 pm at 71 Milonayaton, Ground Floor, Daffodil tower, Dhanmondi, Dhaka.

Chief guest         : MOFIZ UDDIN AHMED PPM
                                JOINT POLICE COMMISSIONER (TRAFFIC - SOUTH)
                                DHAKA METROPOLITAN POLICE.

Special Guest    : Anindya Kishore Debnath
                               Asst. Professor, Dept. Of Urban Planning, BUET

Invited speaker : Sadiqul Islam Shehab,
                              Architect,Paara/ Opus studio

Research outcome of 4th Year students of DIU studying in Department of architecture will be shared with the audience. An exhibition will also be held with three different proposals on how Gulistan future will be changed due to MRT station. The aim of the proposals is to solve existing problems regarding traffic management in Gulistan having the future problems in mind too. The best possible solution came from the research is skywalk. Participants will be provided the followings:

1. Iftar Package Parcel
2. Seminar Kits: A diary, a bag and a pen

We aim to help forge a more easier traffic management, ensure safe passage of the people along with ensuring road safety. Please do the registration here to join us and share your valuable opinion in the process of future revolution in infrastructure development! 

Last Date of Registration: 23 May, 2019

If you have any query please contact with Mr. Chandan Haider, Email: chandan.a@daffodilvarsity.edu.bd, cell: +8801847334762.

Prepared By: Chandan Haider, Office of the Director of Students' Affairs.

Registration Link: https://bit.ly/2JPIehq
Event Link: https://www.facebook.com/events/321370825457497/


9
ROCKET - রকেট·THURSDAY, SEPTEMBER 7, 2017
রকেট একাউন্ট খোলা সম্পূর্ণ ফ্রি এবং সহজ একটি প্রক্রিয়া। বর্তমানে সকল গ্রামীনফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, ও টেলিটক গ্রাহকগণ রকেট একাউন্ট খুলতে পারবেন।
১. কিভাবে রকেট একাউন্ট খুলবেন?
আপনি নিজেই আপনার রকেট একাউন্ট খুলতে পারবেন:
ক) আপনার মোবাইল থেকে *৩২২# ডায়াল করুন,
খ) রিপ্লাই চেপে ১ লিখে OK করুন,
গ) রিপ্লাই চেপে আপনার পছন্দমত ৪ (চার) সংখ্যার গোপন পিন লিখে OK করুন।
ঘ) এরপর প্রি-রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে এবং আপনি একাউন্ট নাম্বারটি (চেক ডিজিটসহ) SMS এর মাধ্যমে জানতে পারবেন।
অর্থাৎ প্রাথমিক একাউন্ট খোলার পর্ব শেষ। এখন আপনি আপনার ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সহ আপনার নিকটবর্তী রকেট এজেন্ট পয়েন্ট, ডিবিবিএল ফাস্ট ট্রাক, ডিবিবিএল ব্রাঞ্চ, রকেট অফিস অথবা ডিবিবিএল এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে যেয়ে একটি একাউন্ট ওপেনিং ফরম (KYC) পুরন করুন এবং আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ ও স্বাক্ষর দিয়ে জমা দিন। অনধিক ৩-৫ কার্য দিবসের মধ্যে আপনার একাউন্টটি অনুমোদনের SMS পাবেন।
মনে রাখবেন ১টি পরিচয়পত্রের বিপরীতে শুধুমাত্র ১টি রকেট একাউন্ট করা যায়।
এছাড়াও আপনার নিকটবর্তী রকেট এজেন্ট পয়েন্ট, ডিবিবিএল ফাস্ট ট্রাক, ডিবিবিএল ব্রাঞ্চ, রকেট অফিস অথবা ডিবিবিএল এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টেও  রকেট একাউন্ট খুলতে পারবেন । 
২. রকেট একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন?
রকেট একাউন্ট খুলতে আপনার গ্রামীনফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক অথবা টেলিটক সংযোগসহ মোবাইল ফোনটি সাথে রাখুন।
৩. রকেট একাউন্ট অনুমোদিত হতে কি কি প্রয়োজন? 
 ক) ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
খ) আপনার  জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
প্রাথমিক ভাবে আপনার রকেট একাউন্টের মাধ্যমে “ক্যাশ ইন” সেবাটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, একাউন্টটি অনুমোদিত হওয়ার SMS পাওয়ার পর আপনি “ক্যাশ আউট”, “টপ-আপ”, “সেন্ডমানি”, “পেমেন্ট” সহ রকেট-এর অন্যান্য সেবা সমূহ উপভোগ করতে পারবেন।
আপনার একাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় হওয়ার পর *৩২২# ডায়াল করে বছরের ৩৬৫ দিন রকেটের সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আপনার পিন নম্বরটি সব সময় গোপন রাখুন।   
**Sutro FB post

10
আগামী বছরের শুরুতেই আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির নতুন পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। আইন পেশায় নিযুক্ত হতে হলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হতে হয়। আইন বিষয়ে স্নাতক শেষে তিন ধাপে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্য দিয়েই শিক্ষানবিস আইনজীবীরা এই ‘অ্যাডভোকেটশীপ’ লাইসেন্স পেয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০১৭ সালের প্রিলিমিনারি শুরুর পর শেষ পর্বের মৌখিক পরীক্ষা চলমান রয়েছে। এই পরীক্ষা শেষে হাইকোর্টের নতুন আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাই এ বছর আর নতুন পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে, আগামী বছর জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’

বার কাউন্সিল থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত বার কাউন্সিলের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৪ হাজার ২শ জন। সেখান থেকে ১১ হাজার ৮৪৬ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন। এরপর লিখিত পরীক্ষায় প্রায় ৮ হাজার ১৩০ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। বিশাল সংখ্যার এই পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা বর্তমানে চলমান রয়েছে। সে অনুসারে লিখিত পরীক্ষার ২৬ হাজার ৭০ জন আবেদনকারী লিখিত পরীক্ষায় বাদ পড়েন। তবে এদের সঙ্গে নতুন পরীক্ষায় আরও কয়েক হাজার আবেদনকারী যুক্ত হবেন বলে জানালেও নতুনদের রেজিস্ট্রেশন না হওয়া পর্যন্ত মোট পরীক্ষার্থীর ঠিক সংখ্যা  জানাতে পারেনি সংস্থাটি।

তবে নতুন পর্বের পরীক্ষা নিয়ে বার কাউন্সিলের অধীনে থাকা কমিটিগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নতুন কমিটির ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম।

আওয়ামী লীগের এই আইন সম্পাদক আশাবাদ ব্যক্ত করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি মনে করি আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে আমরা নতুন প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষা নিতে সক্ষম হবো। আশা করছি আমরা পারবো। ’

বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা মূলত তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রথম ধাপে একজন শিক্ষানবিস আইনজীবীকে প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষা দিতে হয়। এরপর প্রিলিমিনারিতে যারা উত্তীর্ণ হন, তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। পরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। সর্বশেষ ধাপ হিসেবে মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্যরা আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হন। তবে, যারা লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন, তারা পরবর্তী পরীক্ষায় একবারের জন্য মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান।
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট

12


শিল্পাঙ্গনের তারকাদের অনেকেই শোকপ্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই পপ গুরুর বিদায়ে তাদের অভিব্যক্তি জেনে নিন এক নজরে...
 

বাংলাদেশের পপ গানের পথিকৃৎ, নব্বইয়ের দশকে লক্ষ তরুণের সঙ্গীতের অনুপ্রেরণা, ঝাকড়া চুলে গিটার হাতের মঞ্চ মাতানো আইয়ুব বাচ্চুর দেখা মিলবে না আর কখনও। গিটারের ছয় তারে ঝড় তোলা এই সঙ্গীত যাদুকরের বিদায়ে সঙ্গীত ও শিল্পাঙ্গনে বিস্মিত সবাই।

তাদের অনেকেই শোকপ্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই পপ গুরুর বিদায়ে তাদের অভিব্যক্তি জেনে নিন এক নজরে...

আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জেমসের 'নগর বাউল' ব্যান্ডের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্ট করেছে। দুই গুনী শিল্পীর এক ফ্রেমে বন্দী হওয়া ছবিতে লেখা হয়েছে, "বাংলা রক সঙ্গীতের কিংবদন্তী আইয়ূব বাচ্চু'র প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা । এই ক্ষতি বাংলা সঙ্গীতের জন্য অপূরণীয় । উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি । ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।"

13
আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা কী? কেন এত এত শিক্ষিত লোকজন থাকতেও সকাল-বিকেল বিদেশ থেকে মানুষ আমদানি করতে হয়? কেন আমাদের ছেলেমেয়েরা দেশে অথবা বিদেশে গিয়েও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কাজকর্ম পায় না?

এই প্রশ্নের উত্তর হতে পারে নানা রকম: ‘আমাদের পড়াশোনার মান খারাপ’, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা কাজে সিরিয়াস না’ অথবা ‘অদক্ষ’ ইত্যাদি ইত্যাদি! কিন্তু আজ যদি আমরা এগুলোকে বাদ দিয়ে এর প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করি ‘ভাষা’ এবং ভাষাকেই, দেখি না কেমন হয় আলোচনাটা!

হয়তো ভাবছেন প্রথমেই আসবে ‘ইংরেজি’। ইংরেজির যে অবস্থা, তাতে উচ্চতর জ্ঞানের জগতে প্রবেশ করার দরজা একেবারেই সংকীর্ণ! ধরে নিচ্ছি, ইংরেজি জানা বা না জানা বিষয়টিও এ ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়াল? উচ্চশিক্ষার ভাষার খোঁজে আমরা কোথায় যাব?

একটু দায়িত্ব নিয়ে খোলা মনে ভাবুন, দেখবেন আমাদের সর্বনাশটা শুরু হয়েছে যখন থেকে, বিশেষ করে ইংরেজ শাসন আমল থেকে আমরা ইংরেজিকে উচ্চশিক্ষার একমাত্র সিঁড়ি হিসেবে দেখতে শুরু করেছি। অথচ পৃথিবীর বহু উন্নত দেশের মানুষ আমাদের চেয়ে অনেক কম ইংরেজি জানেন। কিন্তু উন্নতিতে অগণিত ইংরেজি ভাষাভাষী মানুষের চেয়ে তারা অগ্রগামী। সে বিবেচনায় বলাই যায়, ইংরেজি হলো উচ্চশিক্ষা গ্রহণের এবং বিতরণের কয়েকটি ভাষার মধ্যে একটি মাত্র!

একজন দরজিকে ডেকে একটি কাপড় দেখিয়ে একই রকম কাপড় এনে দিতে বললে তিনি হয়তো একটা ছবি তুলে বাজার ঘুরে সেই রকম অথবা তার কাছাকাছি একটি রঙের কাপড় এনে দেবেন। কিন্তু একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার সেই একই কাজ করবেন বিজ্ঞানের ভাষায়। রঙের মিশ্রণ এবং তার কেমিক্যাল কম্পোজিশন ঠিক করে তৈরি করে ফেলবে কেমিস্ট্রির ফর্মুলা, যে ফর্মুলায় ওই রং মিলবে শতভাগ—পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে। তার মানে হলো, এ ক্ষেত্রে একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের ভাষা ‘কেমিস্ট্রি’ তথা রসায়ন!

একটু খেয়াল করলে মনে পড়বে কয়েক বছর আগের সংবাদপত্র ও বাজেট–পরবর্তী প্রকাশনার কথা। একগাদা কাগজে ছাপা হতো বাজেটের ক্রোড়পত্র, যা বেশির ভাগ মানুষ পড়ার জ্ঞান অথবা ধৈর্য কোনোটাই রাখত না। অথচ সেই সাংবাদিকেরাই আজ দুটো ছবি বা পাই চার্ট দিয়ে বাজেট বুঝিয়ে দেন—কত সহজে, সবাইকে। তার মানে হলো, এ ক্ষেত্রে একজন সাংবাদিকের সবচেয়ে বোধগম্য ভাষা হলো পরিসংখ্যান বা গণিত।

এভাবে ভাবতে থাকলে একে একে সব বিষয়ের মধ্যেই বিজ্ঞানের সব শাখার উপস্থিতি আমরা দেখতে পাই অপরিহার্য রূপে অথচ প্রায় ক্ষেত্রে আমরা এগুলোকে করে রেখেছি নন-ডিপার্টমেন্টাল কোর্স! চলতি বাজার ধরতে গিয়ে কোর্স প্রণয়ন পঠন–পাঠন মূল্যায়নে বিজ্ঞানের মূল শাখাগুলোকে অবমূল্যায়ন করে নিজেদেরই মূল্যহীন করে দেওয়ার ইঙ্গিত দেখতে পাই!

বর্তমান প্রেক্ষাপটে জোর গলায় বলাই যায়, উচ্চশিক্ষার ভাষা হিসেবে যদি আমরা বিজ্ঞানের সব শাখাকে কাজে না লাগাই, তাহলে উচ্চশিক্ষার নিম্ন মান কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না।

মাতৃভাষা ভুলে গেলে যেমন মানুষ নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না, একইভাবে গণিত, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা ইত্যাদিকে আজীবন ধারণ করার বদলে শুধু পাস করে পার হওয়ার ধান্দায় থাকলেও আমাদের উচ্চশিক্ষিতরা নিচের স্তরে থেকে যাবে অনন্তকাল। তখন খাতা–কলমে শিক্ষিত হয়ে আমরা দেশকে ও দেশের সামগ্রিক উন্নতির বদলে অবনতিই ঘটাব। কেননা, জ্ঞান–বিজ্ঞান চর্চা এবং প্রয়োগের ভাষা এগুলো সবই।

ব্যবসায় থেকে শুরু করে চারু-কারুকলা, শিল্প-সাহিত্য-চলচ্চিত্র কোথায় নেই এসব? মঞ্চের আলো, সাউন্ড সিস্টেম, ক্যামেরা ও চোখ ঝলসানো, হৃদয় মাতানো সব উৎসবে বিজ্ঞানের এসব বিষয়ের দক্ষতারই তো প্রতিফলন, নাকি?

কিছুদিন আগে বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে বাংলাদেশের চরমভাবে পিছিয়ে পড়ার প্রধান কারণও বিজ্ঞানের প্রধান বিষয়গুলোর প্রতি অনীহা এবং ক্ষেত্রবিশেষে অবজ্ঞা! সৃষ্টিশীলতা ও উদ্ভাবন এক নয়। সৃষ্টিশীলতা বা ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে উদ্ভাবনময় হয়ে উঠতে হলে প্রয়োজন কাজটা সত্যি সত্যি করে ফেলবার যোগ্যতা, যা বিজ্ঞানের জ্ঞানের প্রয়োগ ছাড়া সম্ভব নয়।

একই সঙ্গে প্রয়োজন কিছু শব্দ, যেমন: গণতন্ত্র, সুশাসন, জেন্ডার, অর্থনীতির বিভিন্ন ঘরানার ধারণার সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ এবং উপলব্ধির পরিচয়। সর্বোপরি নিজের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে ভাবতে শেখা এবং কর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ার মানসিক শক্তি। শিক্ষা তখনই হয়ে ওঠে জাতীয় প্রবৃদ্ধির অংশ!

ওডিশার কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির (কেআইআইটি) অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, তারা যেভাবে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রথম এক বছরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য তৈরি করে, সেটি আমাদের কাছে বিবেচনাযোগ্য। দেশের নানা জায়গা থেকে আসা নানা ভাষার এবং বিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন ভাষাভাষীর কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট ক্যাম্পাসে রেখে লিবারেল আর্টস, ন্যাচারাল সায়েন্সেস, সমাজবিজ্ঞানের নানা বিষয়ে যত্নের সঙ্গে দক্ষ করে তোলা হয়। একই সঙ্গে সেখানে পূর্বের কোনো পঠন-পাঠনের ত্রুটি থাকলে তা কাটিয়ে পুরো প্রস্তুত করা হয় অর্থনীতিবিদ, প্রকৌশলী কিংবা সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে উঠতে। মানুষ গড়ার কারিগর বরেণ্য শিক্ষাবিদ ডক্টর অচ্যুয়ত সামান্তের গড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কিছুই আমাদের কাছে গবেষণার ও শিক্ষার বিষয় হতে পারে।

আসলে পণ্য বেচাকেনার ব্যবসাটা বুঝলেও পণ্য তৈরির ব্যবসাটা আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে দিন দিন। এভাবে চলতে থাকলে অন্যের উৎপাদিত পণ্যের ফেরিওয়ালা হয়েই খুশি থাকতে হবে আমাদের। অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে যেখানে থাকতে আমি প্রচণ্ড নারাজ...অন্যদের অবস্থান জানতেও খুব ইচ্ছা করে!

মনে রাখা দরকার, কীভাবে শিখতে হয়, সেটি যেমন শেখার বিষয়, ঠিক তেমনি শেখা উচিত কীভাবে শেখাতে হয়, সেটিও কালবিলম্ব না করে! শেখানোর যোগ্যতা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা শিক্ষাব্যবস্থা এগোতে পারে না, বরং কয়েক গুণ পিছিয়ে যায়। পৃথিবীতে একজন কৃষকও নেই, যিনি অপ্রস্তুত জমিতে বীজ বপন করে ভালো ফসলের আশা করেন।

লেখা সৈয়দ রাজু: শিক্ষক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

14
যদি আবহাওয়া অনুকূল না থাকে অর্থাৎ খালি চোখে চাঁদ দেখার সুযোগ না থাকলে আবহাওয়া স্টেশন থেকে পাওয়া তথ্যও ব্যবহার করা হয়। চাঁদ দেশের আকাশে উঠেছে কি-না তা নিশ্চিত হতে এই তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
 

বাংলাদেশে কীভাবে নির্ধারিত হয় ঈদ উল ফিতরের চাঁদ দেখার বিষয়টি? কী কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়? কারা কারা থাকেন এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে? বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পুরো প্রক্রিয়াটি।

ঈদ উল ফিতরের দিন চূড়ান্ত করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাঁদ দেখা কমিটি। রমজান মাসের দিকে অর্থাৎ ২৯ রোজার দিন বিকেলে এ কমিটি বৈঠকে বসে।

সেদিন যদি দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায় তাহলে পরদিন ঈদের ঘোষণা দেয় ফাউন্ডেশন আর তা না হলে ত্রিশ রোজা শেষেই ঈদ হয়ে থাকে।

প্রতি বছরের মতো এবারও ২৯ রমজানের দিন সন্ধ্যায় ধর্মমন্ত্রীর নেতৃত্বে চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসবে।

চাঁদ দেখা কমিটি কীভাবে কাজ করে?

দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মোজাহারুল মান্নান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যে বিভাগটি চাঁদ দেখার মূল দায়িত্ব পালন করেন সে বিভাগটির দায়িত্বে আছেন।

মোজাহারুল মান্নান জানাচ্ছেন, চাঁদ দেখার সংবাদ নিশ্চিত করার জন্য ঢাকায় ধর্মমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসবেন চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরা, যেখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করে থাকেন।

তিনি বলেন, মূল চাঁদ দেখা কমিটির সঙ্গে একযোগে প্রতিটি জেলায় একটি করে কমিটি কাজ করে। দেশের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সেটি স্থানীয় প্রশাসন বা ইসলামিক ফাউন্ডেশন সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জেলা কমিটির কাছে পৌঁছায়। পরে জেলা প্রশাসন দ্রুত সেটি নিশ্চিত করে বিভিন্ন ভাবে- যেমন স্থানীয় অনেকে চাঁদ দেখেছে কি-না কিংবা ছবি বা ভিডিও চিত্র এসব দ্রুত সংগ্রহ করে নিশ্চিত হয় স্থানীয় প্রশাসন।

সেক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য ও ভালো দৃষ্টি শক্তিসম্পন্ন কাউকে চাঁদ দেখতে হবে। পরে সে খবরটি যাচাই হয়ে জেলা কমিটি হয়ে কেন্দ্রীয় চাঁদ দেখা কমিটির হাতে পৌঁছায়।

এছাড়া আবহাওয়া অধিদফতরের দেশজুড়ে যে ৭৪টি স্টেশন আছে। সেখান থেকেও তথ্য নেয় চাঁদ দেখা কমিটি।

যদি আবহাওয়া অনুকূল না থাকে অর্থাৎ খালি চোখে চাঁদ দেখার সুযোগ না থাকলে আবহাওয়া স্টেশন থেকে পাওয়া তথ্যও ব্যবহার করা হয়। চাঁদ দেশের আকাশে উঠেছে কি-না তা নিশ্চিত হতে এই তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মোজাহারুল মান্নান অবশ্য বলছেন, "চাঁদ উঠলে সেটি কোথাও না কোথাও দেখা যায় সাধারণত। মানুষের চোখে বা মেশিনের (আবহাওয়া স্টেশনের) সাহায্যে এটি নিশ্চিত হলেই কেবল ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেয়া হয়"।

আবহাওয়া স্টেশনগুলো চাঁদ দেখার কাজে কীভাবে সহায়তা করে?

ঢাকা আবহাওয়া অফিসে কর্মরত আবহাওয়াবিদ আয়েশা খাতুন বলছেন চাঁদ উঠলে সেটি কোথায় কত ডিগ্রিতে অর্থাৎ তার অবস্থান কি হবে এবং কতক্ষণ সময় ধরে দেখা যেতে পারে সেজন্য আবহাওয়া অফিসের একটি বিভাগ আগে থেকেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিত হিসাব নিকাশ করে স্টেশনগুলোকে জানিয়ে থাকে।

এর ওপর ভিত্তি করে সবগুলো স্টেশন কাজ করে এবং সম্ভাব্য সময়টিতে সম্ভাব্য স্থানে খালি চোখে ও যন্ত্রের সাহায্যে দেখা হয়।

আবার যেহেতু একটি নতুন চাঁদ দৃশ্যমান হতে বেশ কিছুক্ষণ (প্রায় ৩০ ঘণ্টাও হতে পারে) সময় লাগে সেক্ষেত্রে যন্ত্রের সাহায্য নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।

আয়েশা খাতুন বলছেন, যদি কোথাও চাঁদ উঠে তাহলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য যদি সেটি চোখে দেখা না যায় তখন যন্ত্র ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি জানান, অপটিক্যাল থিওডিলাইট নামক একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপ দিয়ে আবহাওয়া স্টেশনগুলো কাজ করে থাকে।

"তবে চাঁদ উঠলে সেটি কোথাও না কোথাও খালি চোখে না হলে টেলিস্কোপে ধরা পড়বেই। আর সেটি দেখা মাত্রই আবহাওয়া বিভাগ সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিয়ে থাকে"।

এভাবেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে সারাদেশের কমিটি গুলো ও আবহাওয়া বিভাগ একযোগে কাজ করে ঈদের চাঁদ দেখার সঠিক তথ্য নিশ্চিত করে থাকে বলে জানালেন মোজাহারুল মান্নান।

অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল তথ্যের সাহায্যে নতুন চাঁদ দেখা সম্ভব?

অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি দাবি করে চাঁদ কবে দেখা যাবে সেটি আগে থেকেই জানা সম্ভব।

তাদের দাবি, জোতির্বিজ্ঞানীরা এখন জানেন প্রতিটি হিজরি মাসের শুরু হবার সময়। এমনকি তারা আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিটা ঈদের দিন তারিখ, প্রতিটি হিজরি মাস শুরু হওয়ার সুনির্দিষ্ট দিন জানেন।

এর আগে গত ৫ই জুন অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৩ই জুন ২০১৮ বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪৩ মিনিটে বর্তমান চাঁদের অমাবস্যা কলা পূর্ণ করে নতুন চাঁদের জন্ম হবে। চাঁদটি পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৬ মিনিটে সূর্যাস্তের সময় দিগন্ত রেখা থেকে ৬ ডিগ্রি উচ্চতায় ২৮৯ ডিগ্রি দিগংশে অবস্থান করবে এবং ৩৪ মিনিট দেশের আকাশে অবস্থান করে সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে অস্ত যাবে। তবে এদিন চাঁদের ১% অংশ আলোকিত থাকলেও দেশের আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চাঁদটি পরদিন ১৫ই জুন শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে সূর্যাস্তের সময় দিগন্ত রেখা থেকে ১৯ ডিগ্রি উপরে ২৮৪ ডিগ্রি দিগংশে অবস্থান করবে এবং প্রায় ১ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট দেশের আকাশে অবস্থান শেষে রাত ৮টা ২৩ মিনিটে ২৯২ ডিগ্রি দিগংশে অস্ত যাবে। এই সময় চাঁদের ৪% অংশ আলোকিত থাকবে এবং দেশের আকাশ মেঘমুক্ত পরিষ্কার থাকলে একে বেশ স্পষ্টভাবেই দেখা যাবে। এই সন্ধ্যায় উদিত চাঁদের বয়স হবে ৪১ ঘণ্টা ৪ মিনিট এবং সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যাবে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে"।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "সুতরাং ইসলামি নিয়ম অনুযায়ী আগামী ১৫ই জুন সন্ধ্যায় নতুন চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ই জুন শনিবার থেকে শাওয়াল মাসের গণনা শুরু হবে এবং ঐদিনই পবিত্র ঈদ উল ফিতর পালিত হবে"।

তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো: হারুনুর রশীদ বিবিসিকে জানান, চাঁদ দেখা নিয়ে জোতির্বিদদের ধারণা সবসময় সঠিক প্রতীয়মান হয়নি।

"ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের আলেমরা একমত হয়েছেন যে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে চাঁদ দেখা গেলেই সে অনুযায়ী রোজা বা ঈদ হবে। এমনকি সৌদি আরবে ঈদ হলেই বাংলাদেশে হবে সেটিও হবেনা সময়ের পার্থক্যের কারণে"।

15
এই শতাব্দীর শেষে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৩ ফুট বেড়ে বাংলাদেশের ১৭% স্থলভাগ পানির নিচে চলে যাবে। সম্ভবনা আছে উচ্চতা ৫ ফুট বৃদ্ধিরও। সেক্ষেত্রে ঢাকাও চলে যাবে সমুদ্রের নিচে
 

ইউরোপীয় দেশগুলোতে গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ, ক্যারোলিনায় হ্যারিকেন ফ্লোরেন্স আর ফিলিপাইনে টাইফুন মাংখুটের তান্ডব দেখে খুব সহজে অনুমান করা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি আগে কখনই এতোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলনা।

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্যানেলের দেয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে কীভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্র ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমানো যেতে পারে। শিল্প বিপ্লবের পর থেকে অতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের প্রভাবে ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষকরা সতর্কতা দিয়েছেন তাপমাত্রা আর ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বীপরাষ্ট্রগুলো বিলীন হয়ে যাবে। পাশাপাশি তলিয়ে যাবে স্থলভাগের নিম্নাঞ্চলের বড় একটি অংশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন ঘুরে ইংরেজি গণমাধ্যম ডেইলি মেইলে গবেষণাধর্মী রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন পিটার ওবর্ন। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থানও আশঙ্কাজনক জানিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন, সুন্দরবনে আমি নৌকায় করে ঘুরেছি। সেখানকার মৎস্যজীবীরা আমাকে বললো তাদের ঘরগুলোর মাঁচার উপরে করতে হচ্ছে, কেননা পানির উচ্চতা আগের তুলনায় বেড়েছে। আর স্রোতের পানিতে তাদের ফসলও নষ্ট হয়ে গেছে।”

বঙ্গোপসাগরের থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে গবুরা নামক স্থানে আরও কিছু বিদেশি নাগরিকদের দেখা পান তিনি। তাদের চারপাশে ছোটখাটো জটলাও তৈরি করে স্থানীয়রা। তাদেরই একজন মোহাম্মাদ আরাজাদ বলেন, “আবহাওয়া বদলে গেছে। এলাকার গাছ গাছড়া বাড়ছে না। কিছু একটা গাছগুলোর মাথার দিকে নষ্ট করে ফেলছে।”

তিনি যোগ করেন, “আমি যখন যুবক বয়সী ছিলাম তখন ছয়টা ঋতুর উপস্থিতি ছিল। এখন শুধু তিনটি অনুভব করতে পারি_ গ্রীষ্ম, শীত আর বর্ষা। ঢেউ আগের চেয়ে উঁচু হয়েছে। আমার বয়স যখন কম ছিল, তার থেকে প্রায় ১ বা ২ ফিট উচ্চতা বেড়েছে ঢেউয়ের।”

আরাজাদের আরেক প্রতিবেশী সারা বানু বললেন, “আগের চেয়ে এখন সাইক্লোনের প্রবণতা বেড়েছে। আগে মেঘগুলো পানির মতো স্বচ্ছ ছিল দেখতে, আর এখন কেমন যেন ধোয়ার মতো রঙ।”

তাদের সাথে কথা বলে পিটার জেনেছেন, ঢাকনা ছাড়া পাত্রে খাবার পানি রাখলে কিছুক্ষণ পর বাষ্পীভূত হওয়ার সাথে সাথে অনেক বেশি লবনাক্ত হয়ে যাচ্ছে। তারপরেও এই পানি খেতে হচ্ছে নিরুপায় হয়ে। ফলশ্রুতিতে বাড়ছে অসুখ। গ্রামে অধিকাংশ মানুষ উচ্চরক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, বেড়েছে হৃদরোগ। কমবয়সে মৃত্যু ঘটছে। চোখের সমস্যা বেড়েছে, চর্মরোগ-ডায়েরিয়া-কলেরা তো মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। নারীদের অনেকেই যোনিতে তীব্র ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন।

বিস্মিত পিটার লিখেছেন, “গবুরার মানুষকে নিরাপদ পানির জন্য প্রায় ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়, যা দুই দশক আগে ছিল ১০০ গজ দূরেই। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করেন তারা। “মিঠা পানি”র জন্য তাদের প্রতিদিনই কোনো না কোনো গন্ডগোলের মধ্যে পড়তে হয়।”  বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের একটা স্বাদ আছে বলেন তিনি। এ স্বাদটা লবণের!

বাঘের আক্রমণের শিকার থেকে বেঁচে ফেরা এক জেলে তাকে জানান যে, নদীগুলো প্রতিনিয়ত ভাঙছে, আরও লবনাক্ত হচ্ছে। মিঠাপানির মাছের অনেকগুলো প্রজাতিই হারিয়ে গেছে।

এই গ্রামসহ আশেপাশের সব গ্রামগুলোতেই ধান চাষ, সবজি চাষ আর গবাদি পশুপালন করা হতো, যা কিনা পানির লবণাক্ততার কারণে আর সম্ভব হচ্ছে না, জানালেন অনা রাণী নামে মাগুরা কুনী গ্রামের এক নারী। তিনি পিটারকে জানালেন, “এমনকি গাছের খেজুর আর ডাবের পানিও নোনতা হয়ে গেছে।”   

আলোচনায় পিটার জানতে পারেন, এ এলাকায় নোনা পানি বেড়ে যাওয়ায় চাষাবাদ ও গবাদিপশু পালন বাদ দিয়ে অনেকেই চিংড়ী চাষ শুরু করেন। কিন্তু পানি এতোটাই নোনা যে চিংড়ী চাষের জন্যও তা অনুপযুক্ত। আর চিংড়ীর ঘেরের কারণে আশেপাশের জমিতে লবণের পরিমাণ বেড়ে চাষাবাদের আরও অযোগ্য হয়ে যায় বলে, সেখান থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন স্থানীয়রা। 

লবণের মাত্রারিক্ততার কারণে এখানকার মাটির বুনটও দুর্বল হয়ে গেছে। মাটির বাড়ির দেয়ালগুলো সবসময় নজরদারীর ভেতর রাখতে হয়। অতিরিক্ত কাঠ বা বাঁশের যোগাড় দিতে হয়। এতে করে প্রতিদিনের কাজ বেড়ে গেছে স্থানীয়দের। এসব তথ্য পিটারকে জানান অনা রাণী।

ধানখালির নাসিরউদ্দিন মোড়ল (৬৫) পায়ে হেটে নদী পাড়ি দিয়ে ওপাড় থেকে পাকা কলা এনে খেতেন। কিন্তু, এখন ওপারে কলা গাছের কোনো অস্তিত্বই নেই। এ পরিবর্তন তিনি দেখেছেন তার জীবদ্দশায়।

একজন গ্রামবাসী পিটার ওবর্নকে জানান এই উচ্চতাপমাত্রার প্রভাবে এখানকার শিশুদের শৈশবকালের স্থায়ীত্ব কমেছে। “অল্পবয়সেই কিশোর-কিশোরীরা শারিরীকভাবে পরিণত ও প্রজননক্ষম হয়ে যাচ্ছে।”

এখানকার জীবন সংগ্রামে হার মেনে অনেকেই কর্মসংস্থানের খোঁজে পাড়ি জমাচ্ছেন রাজধানী শহরে। সেখানে পরিবার নিয়ে থাকছেন বস্তির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। কাজ হিসেবে তারা বেছে নিচ্ছেন রিকশা চালনা আর গার্মেন্টসকে। তারা বিশ্বের প্রথম জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট “শরণার্থী”। আগামী বছরগুলোতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। কিন্তু সে তুলনায় জায়গা নেই এই শহরেও। স্বাধীনতার সময়ের ৭ কোটি জনসংখ্যা ইতোমধ্যেই বেড়ে ১৬ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। যা কিনা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশের তকমা পেয়ে গেছে।

পূর্বপুরুষের ভিটে মাটি ছেড়ে আসাটা কষ্টের হলেও তারা তা করতে বাধ্য হচ্ছেন। দুই সন্তানের জননী সেলিনা পিটারকে কথা প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা জানিনা অন্য কোথাও কি করে থাকবো। আমরা এই প্রকৃতিকে বুঝি। কিন্তু, ঢাকায় কি করে টিকে থাকবো তা জানিনা। এখানে থাকতে হলে আমাদের প্রতি মুহূর্তে সংগ্রাম করতে হবে।”

তবে বিজ্ঞানীদের করা লন্ডনের “জুয়োলোজিকাল সোসাইটি”র এক গবেষণার ফলাফল বিচারে সেলিনাকে সান্তনা দেয়ার কোনো অযুহাত খুঁজে পাননি পিটার। এ গবেষণায় উঠে এসেছে, সুন্দরবনের সমুদ্র উপকূল প্রতি বছর প্রায় ২০০গজ করে এগিয়ে আসছে। এভাবে চলতে থাকলে এই শতাব্দীর শেষে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৩ ফুট বেড়ে বাংলাদেশের ১৭% স্থলভাগ পানির নিচে চলে যাবে। সম্ভবনা আছে উচ্চতা ৫ ফুট বৃদ্ধিরও। সেক্ষেত্রে ঢাকাও চলে যাবে সমুদ্রের নিচে।

Pages: [1] 2