Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Sultan Mahmud Sujon

Pages: [1] 2 3 ... 106
1



সুরা মাউন (নিত্যপ্রয়োজনের সামগ্রী) পবিত্র কোরআনের ১০৭ তম সুরা। ১ রুকু, ৭ আয়াত। দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা এতিমকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়, অভাবগ্রস্তকে অন্নদান করে না, লোক দেখানো নামাজ পড়ে এবং সংসারের ছোটখাটো জিনিস দিয়ে অপরকে সাহায্য করে না।

এ সুরায় আল্লাহর হক নামাজ ও বান্দার হকের জাকাত, সদকা, পরোপকারের ব্যাপারে সতর্কীকরণ করা হয়েছে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) তখন মক্কায় ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন না। তাঁর মুখ থেকে তৎকালীন নেতাদের এই সব দুর্বলতা ও অবিচারগুলো প্রকাশ করে দিয়ে সমালোচনা করার শিক্ষা আল্লাহ দিয়েছেন। সব যুগের সব অহংকারী, লোক দেখানো ধার্মিক ও মানুষকে যথাযথ সম্মান ও অধিকার না দেওয়া মানুষদের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করায় এই সুরা।

প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে ‘তুমি কি দেখেছ তাকে যে ধর্ম (বিচার)-কে অস্বীকার করে’,প্রশ্ন করে আল্লাহ নিজেই উত্তর দিয়েছেন। এখানে ‘ইউকাযযিবু’ মানে যে জেনে বুঝে অস্বীকার করার পাশাপাশি এটাকে মিথ্যা হিসাবে প্রচার করে ।

দ্বিতীয় আয়াতে আছে ‘যে এতিমকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়’ সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও করুণা পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি এতিমের প্রতি তার খারাপ ব্যবহারের স্বভাবটি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে ইয়াদু অর্থ গলাধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়।

তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে উৎসাহিত করে না?’ তোয়ামিল মিসকিন মানে দরিদ্রের খাবার বোঝানো হয়েছে।

সুরার চতুর্থ  ও পঞ্চম আয়াতে ‘সুতরাং দুর্ভোগ সেসব নামাজ আদায়কারীর, যারা তাদের নামাজ সম্বন্ধে উদাসীন,’নামাজের ব্যাপারে গাফিলতির বিষয়টি আল্লাহ বলেছেন। ‘ফি সলাতিহিম সাহুন’ অর্থাৎ নামাজের মধ্যে উদাসীন । নামাজের মধ্যে কারও কারও বিভিন্ন চিন্তা ঢুকে যায়, অন্যদিকে মন চলে যায়।

ষষ্ঠ আয়াতে ‘যারা তা পড়ে লোকদেখানোর জন্য’ বলা হয়েছে।  লোক দেখানো কাজ করে তাদের কথা বলা হয়েছে। কাউকে দেখানোর জন্য কোনো  কাজ করলে সে কাজটি যে করে তা তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।

সুরার শেষ আয়াতে ‘আর যারা অপরকে (সংসারের ছোটখাটো) জিনিস দিয়ে সাহায্য করতে চায় না ।’ মানুষের প্রতি অন্যায় করার বিষয়টি ওঠে এসেছে।

মানুষদের মধ্য দুটি দলের কথা

সুরা মাউনে মানুষদের দুটি দলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম দল যারা কেয়ামত দিবসের ওপর বিশ্বাস রাখে না। এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করে। তাদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করে। গরিব-মিসকিনদেরকে নিজেরা খাওয়ায় না, অন্যদেরও খাওয়ানোর প্রতি উৎসাহিত করে না। অর্থাৎ আল্লাহ ও বান্দা কারও সঙ্গেই তাদের আচরণ সঠিক নয়।

 দ্বিতীয় দল হচ্ছে মুনাফেক। এখানে তাদের তিনটি নিকৃষ্ট দোষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত তারা নামাজের ব্যাপারে উদাসীন। তাদের উদাসীনতা আবার  দুভাবে হতে পারে। হয়তো তারা নামাজ আদায় করে না বা নামাজ পড়ে কিন্তু  নামাজ পড়ার সময় নামাজের কোনো বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখে না। দ্বিতীয়ত তারা লোক-দেখানোর জন্য ইবাদত করে থাকে। তৃতীয়ত, তারা এতটাই কৃপণ যে, প্রয়োজনীয় ছোটখাটো খরচ  করতেও তারা অস্বীকার করে। (সুরা মাউন , আয়াত ১–৭, কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ, অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন)


Source: https://www.prothomalo.com/religion/islam/zfwn9u3erz

2



দৈনন্দিন কাজে আমরা অনেকে নিয়মিত বিভিন্ন ব্যক্তিকে ই-মেইল পাঠিয়ে থাকি। তবে একই বিষয়ে একাধিক ব্যক্তিকে ই-মেইল পাঠানো বেশ ঝামেলা। এতে সময় বেশি প্রয়োজন হওয়ার পাশাপাশি অন্য কাজেও বিঘ্ন ঘটে। তবে চাইলেই জিমেইলে একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রুপ ই-মেইল পাঠানো যায়। এ জন্য ই-মেইল পাঠানোর আগে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ই-মেইল ঠিকানার সমন্বয়ে গ্রুপ তৈরি করতে হবে। জিমেইলে গ্রুপ ই–মেইল তালিকা তৈরির পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক—

গ্রুপ ই–মেইল তালিকা তৈরির জন্য প্রথমে contacts.google.com ঠিকানায় প্রবেশ করতে হবে। কন্টাক্ট লিস্টে কোনো নাম দেখা না গেলে বাঁ দিকে থাকা ফ্রিকোয়েন্টলি কন্টাক্টেড অপশনে ক্লিক করলেই জিমেইলে নিয়মিত যোগাযোগ করা ব্যক্তিদের নামের তালিকা দেখা যাবে। এবার প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের নাম নির্বাচন করে ওপরে থাকা ম্যানেজ লেবেল আইকনে ট্যাপ করতে হবে। এরপর নিচে থাকা ক্রিয়েট লেবেল নির্বাচন করে গ্রুপের নাম লিখে সেভ অপশনে ক্লিক করতে হবে। বাঁ দিকের প্যানেলে গ্রুপের নাম দেখা যাবে। এরপর নতুন ই-মেইল লেখার সময় কম্পোজ অপশনে মেইল ঠিকানার বদলে গ্রুপের নাম লিখলেই গ্রুপে থাকা সবার কাছে একসঙ্গে ই-মেইল চলে যাবে।


Source: https://www.prothomalo.com/technology/advice/dcoqts8ig1

3
প্রযুক্তিনির্ভর চাকরি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে চ্যাটজিপিটি গাণিতিক হিসাবগুলো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে করতে পারে। ফলে মানুষের চেয়েও দ্রুত কোড তৈরি করতে পারে এই চ্যাটজিপিটি। তাই সফটওয়্যার ডেভেলপার, ওয়েব ডেভেলপার, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, কোডার এবং তথ্য বিশ্লেষণের মতো প্রযুক্তিনির্ভর পেশাগুলো চ্যাটজিপিটির কারণে উচ্চ ঝুঁকিতে পড়বে।

গণমাধ্যম
বিজ্ঞাপন, নিবন্ধ, সাংবাদিকতা ও কনটেন্ট তৈরির যেকোনো কাজ চ্যাটজিপিটি মানুষের চেয়ে দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে করতে পারে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তৈরি সব আধেয় বা কনটেন্ট নির্ভুলভাবে তৈরি না হওয়ায় মানুষের সহায়তা প্রয়োজন হয়। ফলে বর্তমানের তুলনায় লোকবল কম নিয়েই প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবে বিভিন্ন গণমাধ্যম। এরই মধ্যে প্রযুক্তিবিষয়ক গণমাধ্যম সিনেট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরির কাজ শুরু করেছে। অবশ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তৈরি কনটেন্টগুলো প্রকাশের আগে মানুষই সম্পাদনা ও তথ্য যাচাই করছেন।

আইন পেশা
আইনজীবীদের সহকারীরা মামলাসংশ্লিষ্ট অসংখ্য তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি সেগুলো সমন্বয় করে থাকেন। পরে এসব তথ্য বিশ্লেষণ করেই আইনজীবীরা মামলা পরিচালনা বা বিভিন্ন পরিকল্পনা করেন। চ্যাটজিপিটি মানুষের চেয়ে দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে এসব কাজ করতে পারে। ফলে এ খাতেও বর্তমানের তুলনায় কম লোকবল প্রয়োজন হবে।

বাজার গবেষণা বিশ্লেষণ
তথ্য বিশ্লেষণ ও ফলাফলের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি খুবই কার্যকর। তাই বাজার গবেষণা বিশ্লেষকদের পেশাও চ্যাটজিপিটির কারণে ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

শিক্ষকতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষকদের তাঁদের চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা উচিত। চ্যাটজিপিটি ক্লাস নিতে পারে, যা ইতিমধ্যে প্রমাণিতও হয়েছে। যদিও এ ক্ষেত্রে কিছু ভুলভ্রান্তি করে চ্যাটজিপিটি, তবে ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

আর্থিক খাতের চাকরি
গাণিতিক তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করা অর্থ বিশ্লেষক, ব্যক্তিগত অর্থ উপদেষ্টাসহ আর্থিক খাতের চাকরি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। কারণ, চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে এসব কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা সম্ভব।

পুঁজিবাজারের কাজ
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শেয়ারবাজারে ট্রেডারের কাজও চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে করা সম্ভব। ফলে ভবিষ্যতে এ পেশাও উচ্চ ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

গ্রাফিক ডিজাইন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিনির্ভর টুল দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রয়োজনীয় ছবি আঁকা বা সম্পাদনা করা সম্ভব। ফলে ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটি গ্রাফিক ডিজাইন শিল্পে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

হিসাবরক্ষণ
হিসাবরক্ষণ পেশাকে মোটামুটি স্থিতিশীল পেশা বলে মনে করা হয়। কিন্তু চ্যাটজিপিটির কারণে এ পেশার কাজগুলো দ্রুত করা সম্ভব। ফলে এ পেশার চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তবে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই মানুষের সহায়তা প্রয়োজন হওয়ায় বর্তমানের তুলনায় লোকবল কম প্রয়োজন হবে।

গ্রাহকসেবা
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রোবট বা চ্যাটবটের মাধ্যমে ক্রেতা বা গ্রাহকদের বিভিন্ন সেবা দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটি এ খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে।



Source: https://www.prothomalo.com/technology/65mdg8vx6m

4
Startup / Best book for personnel development
« on: February 02, 2023, 09:27:54 AM »
There are many great books on personal development, so it ultimately depends on what specific area you are looking to improve. However, some of the most well-known and highly regarded books in the field include:

"Think and Grow Rich" by Napoleon Hill
"The 7 Habits of Highly Effective People" by Stephen Covey
"How to Win Friends and Influence People" by Dale Carnegie
"The Power of Positive Thinking" by Norman Vincent Peale
"Man's Search for Meaning" by Viktor E. Frankl
"Mindset: The New Psychology of Success" by Carol Dweck
"The Five Love Languages" by Gary Chapman
These books offer a wide range of insights and strategies for personal growth, and can be valuable resources for anyone looking to improve themselves.

5
Startup / 7 books to read for career growth
« on: January 28, 2023, 08:43:54 AM »

Check out our recommendations for books that will help you learn crucial skills and knowledge to advance your career.

Reading is an excellent way to improve your skills, knowledge, and mindset. Whether you're a professional looking to advance your career or a recent graduate seeking job opportunities, there are books that can help you grow and succeed. Here are our recommendations for some of the best books to read for career growth:



(1) "The Lean Startup" by Eric Ries
(2) "The 7 Habits of Highly Effective People" by Stephen Covey
(3) "Mindset: The New Psychology of Success" by Carol S. Dweck
(4) "The Power of Now" by Eckhart Tolle
(5) "The Art of Thinking Clearly" by Rolf Dobelli
(6) "The Talent Code" by Daniel Coyle
(7) "The Charisma Myth" by Olivia Fox Cabane[/li][/list]

Source; https://www.thedailystar.net/tech-startup/news/7-books-read-career-growth-3231516

6
১. ধীরে খান। এতে লেপটিন হরমোন নিঃসরণের জন্য পর্যাপ্ত সময় আর সুযোগ পাবে। তাতে আপনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন। আর যেটুকু খাবেন, সেটুকুই শরীরে কাজে দেবে। খাবারের অপচয়ও হবে না। যথাসম্ভব চিবিয়ে চিবিয়ে খান।

 ২. অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট বা যা কিছু ডিপ্রেশন বা হতাশার বিরুদ্ধে কাজ করে, তার ভেতর অন্যতম হলো ব্যায়াম। নতুন বছরে নিয়ম করে ব্যায়াম করুন। বিশেষ করে কার্ডিও আর ওয়েট ট্রেনিংয়ের মতো ভালো বিনিয়োগ আর হয় না। কিছু না হলেও প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটুন।

৩. অতিরিক্ত ফল খাওয়া বলে কিছু নেই। আপনি যতই মৌসুমি ফল খান না কেন, তা অতিরিক্ত নয়। যত পারুন (পাকস্থলীর ধারণক্ষমতা বুঝে) ফল খান। ফল খাওয়া বাড়ান।

৪. চিনি খেলে মোটা হবেন, এটা একটা মিথ। তবে লবণ, চিনি, তেল, সাদা আটা—এগুলো যত কম খাবেন, ততই ভালো। এদিকে দুধ চা, কফির চেয়ে পারলে ব্ল্যাক কফি, গ্রিন–টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এক দিন, দুই দিন, এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ করে এক মাস চেষ্টা করুন। দেখবেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তখন আর দুধ-চিনি দিয়ে চা-কফি খেতে ভালো লাগবে না।

৫. চট করে স্ট্রেস কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় ‘কোল্ড শাওয়ার’। তবে এই শীতে আপনি ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল সারবেন কি না, সেটা আপনার সিদ্ধান্ত।

৬. প্রতিদিন ডিম খান। বলা হয়, ‘এগস আর সুপারফুড’।

 ৭. আপনাকে কেমন দেখাবে, তা নির্ভর করে খাবারের কোয়ান্টিটি বা পরিমাণের ওপর। অন্যদিকে আপনি কী অনুভব করছেন, তা নির্ভর করে খাবারের কোয়ালিটি বা কী খাচ্ছেন, তার ওপর।

৮. রাতে কম ঘুমালে দিনের বেলা ‘হাঙ্গার হরমোন’–এর নিঃসরণ বেড়ে যায়। ফলে খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে। তাই আপনি যদি ডায়েট করতে চান, তাহলে পর্যাপ্ত ঘুমান।

৯. তাড়াতাড়ি ঘুমানো আর সকালে ওঠার ওভ্যাসের মতো ভালো অভ্যাস আর নেই। ১০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা সকালের রোদ গায়ে মাখুন। সূর্যের আলো আপনার শরীর আর মনের জন্য সবচেয়ে বড় সাপ্লিমেন্ট।

১০. যত রকম ডায়েট আছে তার ভেতর সেরা হলো ‘হাই প্রোটিন ডায়েট’। রাতে খাওয়ার পর ব্রাশ করুন। দেখবেন খাওয়ার পর অন্য কিছু খাওয়ার ‘ক্রেভিংস’ গায়েব হয়ে গেছে। পরিমিত খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম আর ব্যায়াম—স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য এই তিনের বিকল্প নেই।

সূত্র: গ্রোথ মাইন্ডসেট টিপস

7
শীতের সময় কিছু রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য সময়টা ঝুঁকিপূর্ণ। এই সময় ঠান্ডাজনিত সমস্যাগুলোই বেশি দেখা যায়। যেমন কাশি, অ্যাজমার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া, সাময়িক জ্বর, কোল্ড অ্যালার্জি।বাতাসে ধুলাবালু বেশি থাকায় অনেকের অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে শনাক্ত না হলে অনেক সময় নিউমোনিয়াতেও তা রূপ নিতে পারে। অনেকের টনসিল বেড়ে গিয়ে ব্যথারও সৃষ্টি হতে পারে। উপরন্তু ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ইত্যাদি মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে এবার। ডেঙ্গু বর্ষাকালীন রোগ হলেও এবার শীতকালে এর বিস্তার দেখা যাচ্ছে। তাই মশার কামড়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কাঁপুনি দিয়ে উচ্চমাত্রার জ্বর, বারবার জ্বর, গিঁটে ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ঠান্ডার কারণে হঠাৎ শিশুদের পাতলা পায়খানা হতেও দেখা যায়।


যা করতে হবে

(1) শীত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কুসুম গরম পানিতে গোসল বা হাত-মুখ ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
(2) শিশুদের গরম কাপড়ের পাশাপাশি সব সময় হাত ও পায়ে মোজা পরে থাকা জরুরি।
(3) এ সময় ত্বকও শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে চুলকানি বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। অ্যালার্জির কারণেও এমনটা হয়। তাই নিয়মিত লোশন বা অলিভ অয়েল, নারিকেল তেল বা গ্লিসারিন ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে চামড়া স্বাভাবিক ও আর্দ্র থাকবে।
(4) যাঁদের ধুলাবালুতে অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাঁদের এ রকম চুলকানি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
(5) ঠান্ডা একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। এ সময় ঠান্ডা খাবার, যেমন আইসক্রিম, কোক ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত।
(6) শীতের সময়েও প্রচুর পানি খাওয়া উচিত।
(7) এ ছাড়া ভিটামিন সি রয়েছে এমন খাবার যেমন জলপাই, কমলা, লেবু ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এগুলো একপ্রকার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
(8) শিশুরা অনেক সময় শরীরে গরম কাপড় রাখে না বা খুলে ফেলে। তাই তাদের দিকে সতর্ক নজর রাখা উচিত।
(9) বাইরের দূষিত খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।


অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক ও পরিচালক, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট

Source: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/mu5vvb5ksd

8
মাথাই তো সব। মস্তিষ্ক ছাড়া কি আর অস্তিত্ব থাকে? মস্তিষ্ক ১০০ বিলিয়ন কোষ দিয়ে তৈরি। মস্তিষ্ক যতই ব্যবহৃত হয়, ততই শক্তিশালী আর কার্যকর হয়। বয়স ৪০-এর পর মস্তিষ্ক ক্রমশ সংকুচিত হতে থাকে। তাই এ সময় পড়াশোনার ধার কমে আসে। বয়স ৬০-এর পর মস্তিষ্ক দ্রুত সংকুচিত হতে থাকে। তাই এ সময় অনেক স্মৃতি হারিয়ে যায়। অনেকে ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ) ও আলঝেইমার রোগে ভোগেন। দৈনন্দিন জীবনে আমরা জেনে না-জেনে এমন সব কাজ করি, যেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। কী সেগুলো? বিজনেস গ্রোথ মেন্টর অনুসারে জেনে নেওয়া যাক।


১. অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা
২. অতিরিক্ত নেতিবাচক খবর দেখা, পড়া
৩. উচ্চশব্দে গান শোনা বা শব্দদূষণে থাকা
৪. অতিরিক্ত একা থাকা
৫. বেশি বেশি স্ক্রিন টাইম
৬. প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চিনি
৭. শরীরচর্চার অভাব
৮. কম ঘুম

Source: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/a5qhw09iuc

9
৫জি কি?

এখানে “জি” অর্থে অবশ্যই “জেনারেশন” কে বোঝানো হয়, আর ওয়্যারলেস কোম্পানিরা সেই হিসেবে ১জি থেকে তাদের যাত্রা শুরু করে ছিল। এরপরে আসে ২জি যেখানে প্রথমবারের মতো দুইটি মোবাইল ডিভাইজের মধ্যে টেক্সট ম্যাসেজ পাঠানো সম্ভব হয়েছিলো। তারপরে এসেছিলো ৩জি, যা টেক্সট ম্যাসেজ, কল, ইন্টারনেট ইত্যাদি আগের তুলনায় একটু ভিন্নভাবে ব্রাউজ করার সুবিধা করে দিয়েছিল। ৪জিতে ৩জির সব সুবিধাই বিদ্দমান রয়েছে, শুধু আরো স্পীড বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে, যাতে সহজেই যেকোনো বড় সাইজের ফাইল শেয়ার এবং একসাথে অনেক গুলো ডিভাইজ কানেক্ট করা সম্ভব হয়। এরপরে ৪জিকে আরো দ্রুত করার জন্য এলটিই প্রযুক্তি সামনে চলে আসে, যেটা ৪জি প্রযুক্তিকে করেছিলো আরো সমৃদ্ধ।

যেখানে আরো বেশি ডিভাইজকে একত্রে কানেক্ট করানোর প্রশ্ন আসছে এবং যেখানে প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে আরো বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের সেখানে অবশ্যই এমন কোন প্রযুক্তি প্রয়োজন যা আরো বেশি ব্যান্ডউইথ কন্ট্রোল করার ক্ষমতা রাখে। আর বলতে পারেন মূলত এই বিষয়ের উপর লক্ষ্য করেই ৫জি প্রযুক্তির যাত্রা শুরু।

বর্তমান ৪জি প্রযুক্তি থেকে ৫জিতে ব্যান্ডউইথ স্পীড কয়েকগুনে বেশি। সাধারনভাবে এই প্রযুক্তিতে ১-১০+ গিগাবিট/সেকেন্ড স্পীড পাওয়া সম্ভব এবং সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে এতে থাকবে মাত্র ১ মিলি সেকেন্ডের লেটেন্সি। তো বুঝতেই তো পারছেন, ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে অনেকটা নাটকীয় রূপে ইন্টারনেট স্পীড বৃদ্ধি পেয়ে যাবে! এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই ৪কে ভিডিও ডাউনলোড বা আপলোড করা সম্ভব হবে এবং যারা গেমার রয়েছেন তাদের জন্য যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে। ৫জি প্রযুক্তিতে আরেকটি বিরাট ফিচার হচ্ছে এটি ৯০% কম এনার্জি ব্যয় করে কাজ করবে। যারা ৩জি বা ৪জিতে সেলুলার ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা নিশ্চয় জানেন যে, ইন্টারনেট কানেক্ট হওয়ার পড়ে কতো দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যায়। কিন্তু ৫জিতে এমনটা হবে না, এই প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেকটা ওয়াইফাই ব্যবহার করার মতো চার্জ ব্যয় হতে পারে।

সাথে ৫জি প্রযুক্তি প্রদান করছে প্রচণ্ড পরিমানে ব্যান্ডউইথ ইউজ করার ক্ষমতা—এখন মোবাইল অপারেটররা আমাদের কতোটুকু দিবে সেটা তাদের উপর নির্ভর করবে। আর যেহেতু ৫জিতে প্রশ্ন আসে ব্যান্ডউইথ নিয়ে, তাহলে এখন আশা করা যায় মোবাইল ইন্টারনেট কোম্পানিরা আর ২০০-৩০০ টাকাই ১জিবি বিক্রির কথা চিন্তা করবে না, তাদের ব্যান্ডউইথের দাম কমাতেই হবে, তাছাড়া পাবলিক এতো ব্যান্ডউইথ খরচ করবে কীভাবে? আর যদি আমরা সত্যিই অনেক ভাগ্যবান হয়ে থাকি তবে ৫জি আসার পরে মোবাইল ইন্টারনেটে সত্যিকারের আনলিমিটেড প্ল্যান দেখতে পাওয়া যেতে পারে এবং হ্যাঁ অবশ্যই ফেয়ার ইউজ পলিসি বাদ দিয়ে।

কীভাবে কাজ করে?

যখন আপনি সেলফোন ব্যবহার করে কাওকে কল করেন কিংবা কাওকে কোন ম্যাসেজ করেন, তখন আপনার সেলফোন থেকে একটি ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক তরঙ্গ বেড় হয়ে আপনার নিকটস্থ সেলফোন টাওয়ারে আঘাতহানে। সেলফোন টাওয়ার সেই সিগন্যালকে আপনার বন্ধুর ফোন পর্যন্ত পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। শুধু কল করা বা টেক্সট ম্যাসেজ নয়, আপনি যখন অন্যান্য যেকোনো ডাটা (যেমন— ফটোস, ভিডিওস) সেন্ড বা রিসিভ করেন তখনও ঠিক একই পদ্ধতিতে কাজ হয়।

সাধারণত নতুন কোন ওয়্যারলেস প্রযুক্তি আশাকরিয়ে কাজ করা হয়।

শুধু হাই ব্যান্ডউইথ নয়, এই প্রযুক্তি একত্রে অনেক গুলো ডিভাইজকে কানেক্ট করে রাখার জন্যও বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। চিন্তা করে দেখুন ইন্টারনেট অফ থিংগস এর কথা যেখানে আপনার বাড়ির প্রত্যেকটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজ বা ইলেক্ট্রিক্যাল ডিভাইজ একসাথে একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকবে। ৩জি বা ৪জির মতো ৫জি প্রযুক্তি শুধু সেলফোন পর্যন্তই সিমাবদ্ধ নয়। আপনার ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি হেডসেটেও ৫জি চিপ লাগানো যেতে পারে এবং আপনার কম্পিউটারেও একটি চিপ লাগানো থাকবে ফলে ডিভাইজ দুইটি সহজেই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে একে অপরের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে। ৫জি প্রযুক্তি শুধু ফোন আর সেলফোন নেটওয়ার্কে নয় বরং ওয়াইফাই এর মতো যেকোনো ডিভাইজে থাকতে পারে ডিভাইজ দুইটিকে কানেক্টেড করার জন্য।

৫জি কখন আসবে?

আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই—কেনোনা এই প্রযুক্তি আমাদের মাঝে অলরেডি এসেই গেছে এবং অ্যামেরিকার কিছু স্থানে টেস্ট করার জন্য এই সেবা চালু করে দেওয়া হয়েছে। এই সপ্তাহে ভ্যারিজন নামক বৃহৎ মোবাইল অপারেটর ৫জিকেঅ্যামেরিকার কিছু স্টেট যেমন- টেক্সাস,  অরেগন, এবং নিউ জার্সিতে ট্র্যায়াল সেবা প্রদান করার ঘোষণা করেছে। তাছাড়া এটিঅ্যান্ডটি  নামক আরেকটি মোবাইল অপারেটর ৫জিকে ট্র্যায়াল হিসেবে প্রদান করার আগে নিজেদের ল্যাবে পরীক্ষা চালানোর কথা নিয়ে ভাবছে।


যদিও জাতির এই বিশাল বড় দুইটি ইন্টারনেট কোম্পানি এবং মোবাইল অপারেটর ইতিমধ্যেই ৫জি সেবা চালুর কথা ভাবছেন তারপরেও আমাদের জন্য এটি এতো সকালে আশা করা ঠিক হবে না। আমাদের বলতে আমি ওয়ার্ল্ডওয়াইড ভাবে বুঝিয়েছি, বাংলাদেশে নয় (আরে ভাই ৩জি ই ভালো করে পেলাম না, তারপরে আছে ৪জি, আর ৫জি তো স্বপ্ন)। যাইহোক, বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞগনের মতে ২০২০ সালের আগে এই প্রযুক্তি ওয়ার্ল্ডওয়াইড ভাবে লভ্য হবে না। তবে আশা রাখা যায়, ২০২০-২০৩০ সালের মধ্যে অনেক দেশের অনেক অপারেটর এই নতুন প্রযুক্তির উপর কাজ করবে।

ভবিষ্যৎ?

এই প্রযুক্তি যে মোবাইল ইন্টারনেট প্রযুক্তির সু-নিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে এতে কোন সন্দেহ নেই। হাই ব্যান্ডউইথ হ্যান্ডেল করার ক্ষমতা থাকার কারণে হতে পারে এই প্রযুক্তি শুধু মোবাইল ইন্টারনেট নয় বরং হোম ইন্টারনেটেও নিজের জায়গা দখল করে নেবে। আপনাকে একগাদা তারের সাথে পেঁচিয়ে আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে না। যেকোনো হাই এন্ড কাজ কর্ম মোবাইল ইন্টারনেট থেকেই সম্ভব হয়ে উঠবে। গ্রামিন এলাকার কথা চিন্তা করে দেখুন, যারা হাই স্পীড ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে—কারণ ইন্টারনেট কোম্পানিরা কোটি টাকা খরচ করে গ্রামিন এলাকাতে ব্রডব্যান্ড ক্যাবল, বা ফাইবার অপটিক ক্যাবল প্রদান করতে সক্ষম হোন না। ৫জি প্রযুক্তি চলে আসার পরে গ্রামিন লোকেরাও গিগাবিট/সেকেন্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুবিধা পেতে পারবে এবং ইন্টারনেট অপারেটরদের আর তার বিছানোর প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।

অপরদিকে মোবাইল ইন্টারনেটের লেটেন্সি অনেক গরিব—সেখানে ১মিলি সেকেন্ড লেটেন্সির সাথে এই প্রযুক্তি গেমারদের জন্য জনপ্রিয় হতে পারে। আপনি যদি অনলাইন গেমিং করে থাকেন তবে অবশ্যই লেটেন্সির মর্ম বুঝে থাকবেন। তাছাড়া যখন একটি ডিভাইজ আরেকটির সাথে কানেক্টেড থাকবে, এমনকিছু সময়ে লেটেন্সি অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন উদাহরণ স্বরূপ ধরুন সেলফ ড্রাইভিং কারের কথা, যেখানে একটি সেলফ ড্রাইভিং কারের সাথে আরেকটির কানেক্টেড থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, সেখানে কয়েক মিলি সেকেন্ডের বেশি লেটেন্সি প্রাণ ঘাতি প্রমানিত হতে পারে। ৫জি প্রযুক্তি প্রত্যেকটি ডিভাইজের নিজেদের মধ্যে আরো পারফেক্ট সংযোগ স্থাপনে সাহায্য করতে পারে।

এই প্রযুক্তি অনেক কম এনার্জি ব্যবহার করার কারণে আপনার ফোন আরো বেশি পাওয়ার ধারণ করে রাখতে সক্ষম হবে। শুধু ফোন নয় বরং সকল ডিভাইজ যেগুলো আপনি ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড করতে চান, সেগুলোর চার্জ আরো বেশি লাস্টিং করবে। তাছাড়া এই হাই স্পীড নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি আপনার জীবনকে আরো বেশি সহজ করে তুলবে। জাস্ট ৫জি মোডেম আপনার কম্পিউটার বা রাউটারের সাথে কানেক্ট করুন আর উপভোগ করতে থাকুন গিগাবিট/সেকেন্ড ইন্টারনেট। এমনকি বর্তমানে কোয়ালকম এবং ইনটেল ৫জি মোডেম তৈরি করার জন্য চিপ তৈরি করতে আরম্ভ করেছে।

তাছাড়া যেহেতু এই প্রযুক্তি শুধু ফোন এবং সেল টাওয়ার নয় বরং যেকোনো ডিভাইজের সাথে থাকতে পারে এতে হতে পারে আপনার কম্পিউটারে থাকা ৫ জি চিপ থেকে ডাটা ট্র্যান্সমিট করে আপনার ফোনে, ট্যাবলেটে, টিভিতে ডাটা সিঙ্ক করা সম্ভব হবে। আবার হতে পারে একটি গেমিং কনসোল দিয়ে একসাথে একাধিক টিভি চালাতে পারবেন স্মুথ ভাবে।

শেষ কথা

ভাবতেই পারছেন, এই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভবনা গুনে শেষ করার মতো নয়। যেখানে ওয়্যারলেস প্রযুক্তিতে ১০০ গিগাবিট/সেকেন্ড স্পীড পাওয়া যেতে পারে সেখানে হতে পারে একসময় তারের কানেকশন সম্পূর্ণ রিপ্লেস হয়ে যাবে। হতে পারে কয়েক বছর পরে আপনাদের প্রায় প্রত্যেকের ফোনে ৫জি সেবা ব্যবহৃত হবে এবং হতে পারে আপনার বাড়ির ফ্রিজটিও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকবে। হতে পারে স্মার্ট রোড বা স্মার্ট সিটির মতো টার্ম গুলো আমাদের সামনে আসতে পারে। সুতরাং এক কথায় বলতে ৫জি প্রযুক্তি আমাদের ওয়্যারলেস ভাবে আরো বেশি ব্যান্ডউইথ সাথে লো লেটেন্সি এবং একসাথে অনেক ডিভাইজ কানেক্টেড রাখার সুবিধা প্রদান করবে। আশা করছি ৫জি নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে, কেনোনা আমি সম্ভবত প্রায় সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছি। আপনার যেকোনো প্রশ্ন থাকলে আমাকে নিজে টিউমেন্ট করে জানাতে পারেন। সাথে অবশ্যই অবশ্যই টিউনটি শেয়ার করুন!


Writer: তাহমিদ বোরহান

11
শামসুদ্দিন মিয়ার কাছ থেকে ৮ শতাংশ জমি কিনেছেন কামরুল ইসলাম। আর তাই অনলাইনে নামজারি আবেদন করতে গাজীপুরের গাছা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কয়েক দিন আগে এসেছিলেন তিনি। শামসুদ্দিন বলেন, ‘জমির নামজারি আবেদন অনলাইনে করার পদ্ধতি বেশ সহজ। আগে কাজটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ ছিল।’

জমিসম্পর্কিত সাধারণ কিছু তথ্য জানা থাকলে বিষয়টি তত জটিল মনে হবে না। জমিতে মৌজা হিসাবে খতিয়ান নম্বর দেওয়া হয়। মৌজা হচ্ছে একটি জেলার অধীন ছোট আকারের এলাকা। খতিয়ানের মধ্যে মালিকানার তথ্য (মালিকের নাম, জমির পরিমাণ ইত্যাদি) লেখা থাকে। গত ১০০ বছরে সরকার বিভিন্ন সময়ে জরিপের (সিএস, এসএ, আরএস, সিটি বা মহানগর, দিয়ারা ইত্যাদি) মাধ্যমে জমির মালিকানার রেকর্ড তৈরি করেছে। একটি রেকর্ড থেকে হাতবদলের মাধ্যমে মালিকানার সর্বশেষ অবস্থা জানতে প্রতিটি পর্যায়ের খতিয়ান মিলিয়ে দেখতে হয়। খতিয়ান পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করলে ডাকঘরের মাধ্যমে তা আবেদনকারীর ঘরে পৌঁছে দেয় ভূমি মন্ত্রণালয়।

ভূমি মন্ত্রণালয় ই-নামজারি ব্যবস্থা চালু করেছে। সফটওয়্যারভিত্তিক এ ব্যবস্থায় উন্নয়নের পাশাপাশি এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল হাসান জানান, নামজারি সিস্টেম নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। জনগণের কাছ থেকে পাওয়া মতামত পর্যালোচনা করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সফটওয়্যারে নতুন নতুন সংশোধন ও সংযোজন করা হচ্ছে।



ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানালেন, ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে সারা দেশে একযোগে শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়। এখন তিনটি পার্বত্য জেলা ছাড়া বাকি ৬১ জেলার সব উপজেলা ভূমি ও সার্কেল অফিস এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি চালু রয়েছে। অনলাইনে আবেদনের সময় ১ হাজার ১৭০ টাকা অনলাইন পেমেন্ট করলেই ২৮ দিনের মধ্যে নামজারি সম্পন্ন করা যায়। এ জন্য আগে গড়ে ৭৭ দিন সময় লাগলেও এ বছর থেকে মাত্র ২৮ দিনেই নামজারি করা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সময় আরও কমবে।

শিগগিরই ক্রয়সূত্রে নামজারির জন্য একটি সহজ ফরম ও তথ্যবহুল পোর্টাল চালু করা হবে। নামজারিতে নির্ভুল নাম লেখার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডারের সঙ্গে আন্তসংযোগ করা হয়েছে। প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্টে ডেটাবেস ও প্রতিষ্ঠানের জন্য আরজেএসসি ডেটাবেসের সঙ্গে আন্তসংযোগ স্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চালু করা হয়েছে কল সেন্টার (১৬১২২)।

নামজারি যেভাবে করবেন
উত্তরাধিকার, ক্রয়সূত্রে বা অন্য কোনো উপায়ে জমির কোনো মালিক নতুন হলে তাঁর নাম খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারি বলে। উত্তরাধিকারসূত্রে মালিকানার ক্ষেত্রে আপস বণ্টননামা করে নিজ নামে জমির খতিয়ান করে রাখা প্রয়োজন।

ই-নামজারি করতে হলে ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর ই-নামজারি আইকনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে। আবেদন ফি বাবদ ৭০ টাকা (কোর্ট ফি ২০ টাকা, নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকা) অনলাইনে (একপে, উপায়, রকেট, বিকাশ, নগদ, ব্যাংকের কার্ড) পরিশোধ করতে হবে।


নামজারির হালনাগাদ তথ্য মুঠোফোনে বার্তার মাধ্যমে জানা যাবে। অনলাইনে শুনানি করতে চাইলে ওয়েবসাইটে অনুরাধ জানাতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হলে নাগরিক ডিসিআর ফি ১ হাজার ১০০ টাকা জমা দিলেই নির্দিষ্ট মুঠোফোন নম্বরে বার্তা আসবে। এরপর নিজেই থেকে অনলাইন ডিসিআর এবং নামজারি খতিয়ান সংগ্রহ করতে পারবে­­­­­­­­­­­­ন।

অনিয়ম হলে
ই-নামজারি বিষয়ে যেকোনো অনিয়ম হলে কল সেন্টারে (১৬১২২) ফোন করে এবং  ঠিকানার ওয়েবসাইটে অভিযোগ করা যাবে।


https://land.gov.bd/en/
http://oh.lams.gov.bd/
https://mutation.land.gov.bd/

Source: https://www.prothomalo.com/technology/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF

12
যখন একাধিক ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের বা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করে, তখন তাদের একটি টিম বা দল বলা হয়। দলের প্রত্যেক সদস্যের নির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব থাকে এবং প্রত্যেক সদস্যের সম্মিলিত কাজের ওপর নির্ভর করবে পুরো টিমের সাফল্য বা ব্যর্থতা।

টিম গঠনের প্রয়োজনীয়তা
টিম নিয়ে কথা বলা শুরু করার আগে চলুন জেনে নিই কেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টিম গঠন করা প্রয়োজন পড়ে। যখন কোনো একজন ব্যক্তির পক্ষে সব কাজ সামলে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না বা একজনের দক্ষতা দিয়ে পুরো কাজটি সম্পাদন করা সম্ভব হয় না, তখন প্রয়োজন পড়ে বিভিন্ন দক্ষতার একাধিক লোক নিয়ে কাজ করার।

ভালো টিমের উদাহরণ হতে পারে একটি খেলার টিম। ধরুন, বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট টিম। টিমের খেলোয়াড়দের সামনে থাকে একটি লক্ষ্য। তা হলো জয়লাভ করা।



একটি ক্রিকেট টিমে বোলার আছেন, ব্যাটসম্যান আছেন, ফিল্ডার আছেন ও উইকেট কিপার আছেন। বোলাররা চেষ্টা করেন ভালো বোলিংয়ের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপকে বিপর্যস্ত করতে। ব্যাটসম্যানরা চেষ্টা করেন ভালো ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে রানের খাতা ভারী করতে। ফিল্ডাররা চেষ্টা করেন রান কম দিতে ও প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের আউট করতে। উইকেট কিপারও উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

আর দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক দলের নেতৃত্ব দেন এবং ভালো খেলার জন্য সবাইকে উজ্জীবিত রাখেন।

এবার এমন একটি দল ভাবুন তো, যে দলে সবাই শুধু ভালো ব্যাটিং করতে পারে অথবা সবাই শুধু ভালো বোলিং করতে পারে। তাহলে কী সেই দলটিকে একটি ভালো দল বলা যায়? যে দলে কোনো ফিল্ডার নেই অথবা উইকেট কিপার নেই, তারা কী জয়ী হতে পারবে? তেমনি কোনো প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোগেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেতে ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন দক্ষতার কর্মীর সমাহার থাকা উচিত।

টিমওয়ার্কের ধাপগুলো
যদিও কাজের ধরন বা লক্ষ্যমাত্রার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন টিমের কাজের ধরন ভিন্ন রকম হতে পারে, তারপরও প্রতিটি টিমের কাজগুলোকে সাধারণত তিন ধাপে ভাগ করা যায়।


● পরিকল্পনা ধাপ
পরিকল্পনা ধাপটি সাধারণত টিম তৈরি করার সময়ই করা হয়। এই পর্যায়ে টিমের মিশন-ভিশন ও কৌশল নির্ধারণ করা হয়। যেমন কোনো প্রতিষ্ঠান শুরুতেই নির্ধারণ করে তার কী কী টিম দরকার। প্রয়োজন আনুসারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সেলস টিম, মার্কেটিং টিম, রিসার্চ টিম, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট টিম, প্রশাসন টিম, মানবসম্পদ টিম ইত্যাদি গঠন করা হয়।


● কার্যসম্পাদন ধাপ

এই ধাপে পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যসম্পাদন করা হয়। লক্ষ্যে পৌঁছানর জন্য কাজের কতটুকু শেষ হলো, লোকবল, প্রযুক্তি ও তথ্যের কতটুকু ব্যবহার করা হচ্ছে, কাজের সমন্বয়, মতামত, ট্রেনিং, নিরীক্ষণ ইত্যাদির মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা করা হয়।

● পরিচালনা ধাপ
পরিচালনার কাজটি পরিকল্পনা ও কার্যসম্পাদন ধাপ থেকেই করা হয়। কাজ করতে গিয়ে টিমের সদস্যদের মধ্যে মতের অমিলের জন্য যেন কাজের বিঘ্ন না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখা, সদস্যদের আত্মবিশ্বাস ও উদ্যম বজায় রাখা, সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার মানসিকতা বজায় রাখা ইত্যাদি কাজগুলো করা হয় পরিচালনা ধাপে।

ভালো টিম তৈরির উপায়
● একটি কার্যকর টিম তৈরি করতে হলে অবশ্যই একজন যোগ্য লিডার থাকতে হবে, যিনি পুরো টিমকে সঠিক পথে পরিচালিত করে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করবেন।

● চাকরি চলাকালে ব্যবহারিকভাবে বিভিন্ন বিষয় শিখতে পারার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে টিমের সদস্যরা নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়ে টিমের সাফল্য অর্জনে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন।

● টিমের সদস্যদের দক্ষতার মধ্যে বৈচিত্র্য থাকতে হবে। তাহলে একেকজন সদস্য একেকটি বিষয় ভালোভাবে সামাল দিতে পারবেন এবং টিমের পারফরম্যান্স ভালো হবে।

● প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও লক্ষ্য অর্জনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

● প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে ভালো যোগাযোগব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

● সদস্যদের দায়িত্ব নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

● টিমের সবার মতামতকে মূল্যায়ন দিতে হবে, যেন সবাই তাঁদের ভাবনা ও পরিকল্পনার কথা বলেন।

● ভালো কাজের প্রশংসা করতে হবে এবং সম্ভব হলে পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে টিমের সদস্যরা ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত হবেন।


Source: https://www.prothomalo.com/chakri/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95

13



ছোটবেলা থেকেই চাষাবাদের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর। বছর দুই আগে পড়ার পাট চুকিয়ে তাই সোজা নেমে পড়লেন চাষবাসে। মরুর ফল ‘তিন’ চাষ করলেন বাড়ির পাশের ৩৫ শতাংশ জমিতে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ফল পাকতে শুরু করে। গত দুই সপ্তাহে ২৫ কেজি (এক হাজার টাকা কেজি) তিন বিক্রি করেছেন। এ বছর ৯ লাখ টাকার ফল বিক্রি এবং আরও ৪ লাখ টাকার কলমের চারা বিক্রি করার ব্যাপারে আশাবাদী জাবিদ আল মামুন (২৭)। বাড়ি তাঁর টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামে।

জাবিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথমে কিছুটা শঙ্কায় ছিলাম। পরে কঠোর পরিশ্রম, নিবিড় পরিচর্যা আর কৃষি অধিদপ্তরের লোকজনের পরামর্শে সফল হয়েছি। প্রতি কেজি তিন ফল এক হাজার টাকা দরে বিক্রি করছি। আগ্রহী স্থানীয় ক্রেতারা বাগান থেকেই কিনে নেন। প্রথম বছরে বাগানের খরচ উঠবে এবং পরের বছর থেকে লাভের মুখ দেখতে পারব বলে আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, চলতি বছর বাগান থেকে কমপক্ষে দেড় টন তিন ফল বিক্রির আশা করছেন। তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা। মরুভূমির ফল; দেশে খুব একটা পরিচিত না। তাই অনেকে তাঁর বাগান দেখতে বাড়িতে ভিড় করেন।

মরুর দেশের ফল ‘তিন’। এটি ডুমুরজাতীয় একধরনের ফল। স্বাদে খুব মিষ্টি ও রসাল হয়। পুষ্টিগুণে ভরা এই ফল মধ্যপ্রাচ্যে অনেক জনপ্রিয়। মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়ায় এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয় এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। বাংলাদেশে এটি ড্রাই ফ্রুট হিসেবে আমদানি হয়ে থাকে। ফলে বাংলাদেশে অনেকে এই ফলের বাণিজ্যিক চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন।

ভারত, তুরস্ক, মিসর, জর্ডান ও যুক্তরাষ্ট্রে এই ফল আঞ্জির নামে পরিচিত। এর আরবি নাম তিন। গাছপাকা এক কেজি তিন ফলের গড় বাজারমূল্য ১ হাজার টাকা। এই ফলের গাছ ১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। চারা লাগানোর তিন মাসের মধ্যে গাছে শতভাগ ফল ধরে। প্রথম বছরে ১ কেজি, দ্বিতীয় বছরে ৭-১১ কেজি, তৃতীয় বছরে ২৫ কেজি—এভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে টানা ৩৪ বছর পর্যন্ত ফল দিতে পারে একটি তিনগাছ। আকারে দেশীয় ডুমুরগুলোর চেয়ে বেশ বড় হয়। আর পাকলে বেড়ে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ হয়। আঁটি ও বিচিহীন এই ফল আবরণসহ খাওয়া যায়।

সখীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বাণিজ্যিকভাবে তিন ফলের চাষ করা হলেও টাঙ্গাইলে এই প্রথম ফলটি চাষ করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন প্রথম আলোকে বলেন, সখীপুরে এ ফলের বাগানটি জাবিদ আল মামুনই প্রথম করেছেন। জাবিরের সাফল্য কামনা করেন তিনি। তিন ফলের চাষাবাদের মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। এ ছাড়া এই ফল চাষ করে বেকারত্ব দূর করা যাবে।

সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট শাহিনুর আলম বলেন, ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ রয়েছে। এ ছাড়া প্রায় সব রকমের জরুরি পুষ্টিগুণ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কার্বোহাইড্রেট, সুগার, ফ্যাট, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন পটাশিয়াম ইত্যাদির পাশাপাশি এর অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে। ফলটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়, ওজন কমানো, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখাসহ নানা উপকারে আসে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।


Source: https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%9F-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%9C%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6

14



ছবি ও ভিডিও বিনিময়ের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাইবার হামলার সংখ্যাও বাড়ছে। বেশির ভাগ সময় ব্যবহারকারীদের অসচেতনতার কারণেই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে হামলা চালাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিচের বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।

লগইন অ্যাক্টিভিটি চেকআপ
আপনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অন্য কেউ গোপনে প্রবেশ করেছে কি না, তা জানা যাবে অ্যাক্টিভিটি চেকআপের মাধ্যমে। আপনার যন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো যন্ত্র থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করা হয়েছিল কি না, তা–ও জানা যাবে। এ জন্য প্রথমে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপে প্রবেশ করে, প্রোফাইল ট্যাবে প্রবেশ করে সাইডবার মেনু থেকে ‘সেটিংস’ অপশনে প্রবেশ করতে হবে। এবার Security অপশন থেকে ‘Login Activity’ নির্বাচন করে ‘Instagram Login Activity’ অপশনে ট্যাপ করলেই কোন কোন যন্ত্র থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে, সেগুলোর তালিকা ও অবস্থান দেখা যাবে। তালিকায় অপরিচিত কোনো যন্ত্র থাকলে নামের পাশে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ক্লিক করে ‘Log out’ অপশন নির্বাচন করতে হবে।

টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার
ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন অপশনটি খুবই কার্যকর। এ জন্য প্রথমে ইনস্টাগ্রামের সেটিংসে প্রবেশ করতে হবে। তারপর ‘Security’ অপশনে ক্লিক করে Two-factor Authentication অপশনে নির্বাচন করে Get Started অপশনে ক্লিক করতে হবে।

প্রাইভেট অ্যাকাউন্ট
ইনস্টাগ্রামে বিনিময় করা পোস্ট সবাইকে দেখাতে না চাইলে প্রাইভেট মোড ফিচার ব্যবহার করতে হবে। এই মোড চালু থাকলে আপনার পোস্ট করা ছবি ও ভিডিও শুধু অনুসারীরা দেখতে পারবেন। অনুসারী ছাড়া অন্য কেউ দেখার সুযোগ পাবে না। ফলে অপরিচিত ব্যক্তিদের নজরদারি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এ জন্য প্রথমে ইনস্টাগ্রাম সেটিংসে প্রবেশ করে Privacy অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর Private account এর পাশে থাকা টগল অপশন on করলেই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পাবলিক থেকে প্রাইভেট হয়ে যাবে।


Source: https://www.prothomalo.com/education/science-tech/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A6-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%A4%E0%A7%87

15
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইন্টারনেটে ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যম ইউটিউব ও ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের মতো মাধ্যমগুলোর ক্ষেত্রে নতুন একটি প্রবিধান তৈরি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এই প্রবিধান তৈরি হলে এসব মাধ্যমের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ আসতে পারে।

বিটিআরসি প্রবিধানটির খসড়া তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেটভিত্তিক মাধ্যমগুলোকে বাংলাদেশে কর্মী নিয়োগ করতে হবে, সশরীর যোগাযোগের ঠিকানা থাকতে হবে, অভিযোগ নেওয়া ও নির্দিষ্ট সময়ে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। আদালত ও বিটিআরসি নির্দেশ দিলে নির্দিষ্ট কনটেন্ট বা আধেয় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে।

‘ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি’র মহাপরিচালক ‘জরুরি’ পরিস্থিতিতে যদি মনে করেন কোনো আধেয় মানুষকে দেখতে দেওয়া উচিত নয়, তাহলে তা শুনানি ছাড়াই তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া যাবে—এ বিষয়ও রয়েছে খসড়ায়।

বর্তমানে ফেসবুক বা ইউটিউবের মতো মাধ্যমগুলো থেকে কোনো আধেয় সরাতে তাদের ওপরই নির্ভর করতে হয় বিটিআরসিকে। দেখা যায়, বিটিআরসির নির্দেশনার পরও অনেক সময় সংশ্লিষ্ট মাধ্যম আধেয় সরায় না। সরানোর বিষয়টি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমের নিজস্ব নীতিমালার ওপর।

উচ্চ আদালত বিটিআরসিকে এসব বিষয়ে একটি প্রবিধানের খসড়া তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই খসড়াটি তৈরি হয় বলে জানান বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সব পক্ষের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে আরও বিশ্লেষণ করে এটি চূড়ান্ত করা হবে। তিনি জানান, খসড়াটি তৈরির সময় ভারত, সিঙ্গাপুর, ইংল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের নীতিমালাগুলো দেখা হয়েছে। উল্লেখ্য, খসড়াটি নিয়ে মতামত দেওয়ার শেষ সময় আগামীকাল শুক্রবার।

যা আছে খসড়ায়

বিটিআরসি বলছে, নতুন প্রবিধানমালা সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ডিজিটাল মাধ্যম এবং সব ওভার দ্য টপ (ওটিটি) মাধ্যমের জন্য। ওটিটি বলতে ‘পাবলিক’ ইন্টারনেটের আধেয়, সেবা ও অ্যাপ বোঝাবে, যা দিয়ে গ্রাহকদের সেবা দেওয়া হয়।

‘ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন রেগুলেশন-২০২১’ শিরোনামের ১৬ পৃষ্ঠার খসড়া প্রবিধানমালা অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে হুমকির মুখে ফেলে এবং সরকারের গোপনীয়তা ভঙ্গ করে, এমন কিছু প্রচার করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত লাগে, এমন কিছু প্রচারে বিরত থাকতে হবে। পর্নোগ্রাফি, গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারী এবং অবমাননা ও মানহানিকর আধেয় প্রচার করা যাবে না।

খসড়াটির বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিনেট ও আই সোশ্যালের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী অনন্য রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বলা যায়, এই প্রবিধানে ‘মোরাল পুলিশিং’ হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

খসড়ায় আরও বলা হয়, এই প্রবিধানে নিষিদ্ধ আধেয় ব্যবহারকারী মুছে ফেললেও, তদন্তের জন্য ১৮০ দিন সংরক্ষণ করতে হবে।

অফিস ও কর্মকর্তা নিয়োগ

খসড়ায় বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে তিনজন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে, যাঁরা বাংলাদেশে বসবাস করবেন। ওয়েবসাইটে ও মুঠোফোন অ্যাপে অভিযোগ গ্রহণকারী কর্মকর্তার নাম এবং তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের উপায় থাকতে হবে। এই কর্মকর্তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ গ্রহণ করবেন এবং তা ২০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।

বাংলাদেশে বসবাসকারী একজন প্রতিপালন কর্মকর্তাও (কমপ্লায়েন্স অফিসার) নিয়োগ দিতে হবে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয়ের জন্য একজন প্রতিনিধি থাকতে হবে।

ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বরাবরই বলে আসছে, তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের বার্তা শুধু প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী দেখতে পান (এনক্রিপ্টেড)। কিন্তু বিটিআরসির প্রবিধানের খসড়া বলছে, বিধি লঙ্ঘনকারী কোনো বার্তা আদান-প্রদান করলে আদালত ও বিটিআরসির নির্দেশ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট বার্তা প্রথম যিনি দিয়েছিলেন, তাঁকে শনাক্ত করে দিতে হবে। প্রথম ব্যক্তি যদি দেশের বাইরে অবস্থান করেন, তবে দেশে যিনি অবস্থান করবেন, তিনি ‘প্রথম’ বলে অভিযুক্ত হবেন।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, খসড়া প্রবিধানে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সংজ্ঞাই ঠিকমতো ব্যাখ্যা করা হয়নি। অনেক বিষয় অস্পষ্ট। তা স্পষ্ট না করলে এই বিধি নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।

Pages: [1] 2 3 ... 106