Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Karim Sarker(Sohel)

Pages: 1 [2] 3 4 ... 26
16
Skin / শিশুর ত্বকে যত সমস্যা
« on: June 19, 2017, 05:04:46 PM »
শিশুর ত্বক কোমল ও সংবেদনশীল বলে তাতে সংক্রমণও বেশি হয়। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। শিশুরা ছোটাছুটি করে বলে ঘাম বেশি হয়। স্কুল থেকে ফিরলে পুরো শরীর ঘামে ভেজা থাকে। এ থেকে ফাঙ্গাস ও একজিমা হতে পারে। অবশ্য বংশগত ও অন্যান্য কারণেও একজিমা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে একজিমার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

আজকাল অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে। এই নোংরা পানি থেকেও শিশুদের ত্বকে ছত্রাকসহ বিভিন্ন সমস্যা হয়। ছত্রাকের সংক্রমণ একজনের থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত স্থানে মলম লাগানোর জন্য বা অন্য কোনো কারণে হাত দিলে সাবান দিয়ে হাত দ্রুত ধুয়ে নিন।

শিশুদের ত্বকের আরেকটি সমস্যার নাম ঘামাচি। নবজাতক ও ছোট শিশুদের এটি বেশি হয়। ঠান্ডা লাগবে মনে করে এদের মোটা কাপড় পরানো হয়। আলো-বাতাসপূর্ণ শীতল পরিবেশে রাখলে এমন ঘামাচি থেকে মুক্তি মেলে। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করলেও উপকার মেলে। গরম আর আর্দ্র আবহাওয়ায় শিশুদের স্কেবিস নামের আরেক ধরনের অসুখ হয়। এতে আঙুলের ফাঁক, কুঁচকি প্রভৃতি স্থানে ঘা হয় এবং রাতে খুব চুলকায়। এটা খুবই ছোঁয়াচে। আশপাশের মানুষ বিশেষ করে বাচ্চাকে যাঁরা পরিচর্যা করেন, তাঁদের থেকে এটি ছড়ায়। তাই ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিশুকে যাঁরা পরিচর্যা করেন, তাদের পরিচ্ছন্নতাও জরুরি। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:

*  শিশুকে স্পর্শ করার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন

*  শিশুকে পাতলা সুতির কাপড় পরাবেন, নিয়মিত গোসল করান

*  স্কুল থেকে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর জামা পাল্টে মুখ, হাত, বিশেষ করে পা ভালোভাবে ধুয়ে দিন

*  শিশুদের জামা ও মোজা বার বার পাল্টে দিন। মোজা থেকে পায়ে সংক্রমণ হয়

*  গরমে তেল ব্যবহার না করাই ভালো। চুলে যদি তেল দিতেই হয়, অল্প পরিমাণে দিন। শিশুর ত্বকের উপযোগী ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন। বড়দের প্রসাধন শিশুদের দেবেন না

 ডা. আবু সাঈদ

শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

17
Health Tips / পায়ের ঘা যদি না শুকায়
« on: June 19, 2017, 05:03:15 PM »
নানা কারণে পায়ে বা আঙুলে ঘা হতে পারে। কোথাও আঘাত পেলেন বা কোনো কারণে ফোসকা পড়ল, আবার কখনো বা ত্বকে চুলকানি থেকে ঘা হলো—কোনো ঘা থাকে শুকনো, কোনোটা আবার ভেজা ভেজা। কোনো ঘা থেকে পুঁজ বেরোয়। চিকিৎসা হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিক বা ড্রেসিং নিতে হবে। কিন্তু কখনো দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে বা নিয়মিত ড্রেসিং করেও পায়ের এসব ঘা শুকোচ্ছে না। তাহলে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ বটে।

পায়ের রক্তনালিতে ব্লক বা বাধা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, বার্জারস ডিজিজ, ভেনাস আলসার প্রভৃতি কারণে ঘা শুকোতে দেরি হয়। ভোগান্তিও বাড়ে। অনেক সময় পা বা পায়ের আঙুল চিরতরে হারাতে হয়। এসব ঘা সাধারণ চিকিৎসায় সারে না।

সামান্য আঘাতে পায়ের আঙুলের ভাঁজে বা আঙুলে ঘা হয়ে যেতে পারে। যদি সেটা সাধারণত শুষ্ক থাকে কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, তাহলে পায়ের রক্তনালিতে ব্লক আছে কিনা ভাবতে হবে। এদের পায়ের মাংসপেশিতে প্রায়ই ব্যথা হয়, বিশেষ করে হাঁটতে শুরু করলে। বিশ্রাম নিলে ব্যথা কমে। তার মানে, পায়ে রক্ত চলাচলে বাধা আছে। ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রক্তনালিতে ব্লক সৃষ্টির কারণ। রক্ত চলাচল বাড়ানোর চিকিৎসা নিতে হবে। রক্তপ্রবাহ চালু না করেই আঙুল বা পা কেটে ফেলা ঠিক নয়। এতে ঘা শুকোবে না এবং রোগীর দুর্ভোগ বাড়বে।

ডায়াবেটিসের রোগীদের ডায়াবেটিক ফুট নামের সমস্যা হয়। এতে রক্ত চলাচল কমে যাওয়া ছাড়াও পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত থাকে এবং পায়ের অনুভূতি কমে যায়। এ রকম সমস্যায় পায়ের ঘা শুকাতে দেরি হয়। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ও নিয়মিত ড্রেসিং করার পরও উন্নতি না হলে রক্তনালি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

পায়ে ঘা সামান্য রোগ মনে হলেও এর থেকে দীর্ঘমেয়াদি ও গুরুতর জটিলতা হতে পারে। গ্যাংগ্রিন হতে পারে, পায়ে পচন ধরতে পারে। পা বা পায়ের অংশবিশেষ কেটে ফেলার দরকারও হতে পারে। এমনকি সংক্রমণ ছড়িয়ে গেলে সেপটিসেমিয়া হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। তাই পায়ের ঘাকে অবহেলা করবেন না।

ডা. এস এম জি সাকলায়েন রাসেল

ভাসকুলার সার্জারি বিভাগ, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল

18
চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে যা জানা দরকার-
চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত রোগ। মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়ায়। ১৯৫২ সালে তানজানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সর্বপ্রথম এই রোগ ছড়ানোর কথা জানা যায়। সেখানকার কিমাকোন্ডি ভাষা থেকে চিকুনগুনিয়া নামটি এসেছে। স্থানীয়ভাবে এর অর্থ হলো ‘মোচড়ানো’। রোগীর শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ায় এই রোগের এমন নাম হয়েছে।
লক্ষণ ও উপসর্গ
সংক্রামক মশা কামড়ানোর চার থেকে সাত দিনের মধ্যে দেহে চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ দেখা যায়। এটি হলে সাধারণত হঠাৎ করে তীব্র জ্বর (১০৪° ফারেনহাইট) শুরু হয়। সেই সাথে শরীরের অস্থি সন্ধিতেও ব্যথা অনুভূত হয়। এছাড়া চিকুনগুনিয়ার আর যেসব লক্ষণ দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে, মাংস পেশি ও মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি ও চামড়ায় ফুসকুড়ি। অস্থি সন্ধির ব্যথা খুব তীব্র হতে পারে যা কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
অধিকাংশ চিকুনগুনিয়া রোগীই পুরোপুরি সেরে উঠেন। তবে অস্থি সন্ধির ব্যথা কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ারও খবর পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে চোখ, হৃদপিণ্ড, স্নায়ুতন্ত্র ও গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল সমস্যার ঘটনাও ঘটে। চিকুনগুনিয়া জটিল রূপ ধারণ করার ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না তবে বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এটি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। আক্রান্তের শরীরে উপসর্গগুলো তীব্র না হওয়ায় অনেক সময় রোগ সনাক্ত করতে সমস্যা হয় যা থেকে বিপদের আশঙ্কা থাকে।
খুব কম ক্ষেত্রেই চিকুনগুনিয়া মৃত্যুর কারণ হয়। সাধারণত দুই থেকে তিন দিনেই রোগী সুস্থ হতে শুরু করে। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস থাকে। এ সময়ের মধ্যে রোগীকে মশা কামড়ালে সেটিও ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ও ভাইরাসটি ছড়ায়।
ডেঙ্গুর সাথে চিকুনগুনিয়ার উপসর্গে মিল লক্ষ্য করা যায়। এই কারণে যেসব এলাকায় সচরাচর ডেঙ্গু হানা দেয় সেখানে চিকুনগুনিয়াকে ডেঙ্গু বলে ভুল হতে পারে। রক্তের সিরাম পরীক্ষা করে চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। জীবনে একবার এই রোগ হলে পরবর্তীতে আর তা হয় না।
যেভাবে চিকুনগুনিয়া ছড়ায়
চিকুনগুনিয়ার ভাইরাসবাহী মেয়ে মশার কামড়ে মানুষের মধ্যে এই রোগটি ছড়ায়। সাধারণত দুই জাতের এডিস মশা চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস বহন করে। ডেঙ্গুর জীবাণু বহনের জন্যও এডিস মশাকে দায়ী করা হয়।
রোগ নির্ণয়
চিকুনগুনিয়া নির্ণয়ের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। রক্তের সিরামে ইমিউনোগ্লোবিউলিন এম এবং ইমিউনোগ্লোবিউলিন এম অ্যান্টি-চিকুনগুনিয়া অ্যান্টিবডির উপস্থিতিই চিকুনগুনিয়ার প্রমাণ।
চিকিৎসা
চিকুনগুনিয়ার কোন সুনির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। সাধারণত উপসর্গ দেখে ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাণিজ্যিকভাবে চিকুনগুনিয়ার কোন প্রতিষেধক টিকা পাওয়া যায় না।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ
চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে এর বাহক মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। কনটেইনারে জমে থাকা পানিতে মশা বংশ বিস্তার করে। তাই খোলা কনটেইনারে যেন পানি না জমে থাকে সে ব্যাপারে নজর রাখতে হবে। চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়লে ঘরে মশানাশক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায়। তাই এমন কাপড় পরার পরামর্শ দেওয়া হয় যেন শরীরে মশা বসতে না পারে। শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি বা বৃদ্ধ যারা দিনের বেলা ঘুমান তাদের মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। মশার কয়েল বা ভ্যাপোরাজার এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

19
যদি কারও কাজে লাগে :
১১০০ টাকায় কিডনির ডায়ালাইসিস হবে গণস্বাস্থ্যে
কিডনি বিকল হলে রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করার একমাত্র উপায় হলো ডায়ালাইসিস। বর্তমানে বাংলাদেশে এই চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম উদাহরণ তৈরি করতে যাচ্ছে রাজধানীর ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল। কম খরচে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিতে আগামী সপ্তাহ থেকে হাসপাতালের গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারে শুরু হতে যাচ্ছে এই সেবা কা‍র্যক্রম।
বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কিডনি রোগীদের প্রতি মাসে ডায়ালাইসিস করতে খরচ হয় ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। এতে দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা খরচের ব্যয় বহন করতে হিমশিম খেতে হয়। সে অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে স্বল্প আয়ের রোগীদের জন্য মাত্র এক হাজার ১০০ টাকায় ডায়ালাইসিস করার উদ্যোগ নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট এই সেন্টারে প্রতি সেশনে এক হাজার ১০০ টাকায় দরিদ্র রোগীরা ডায়ালাইসিস করার সুযোগ পাবেন। মধ্যবিত্তদের জন্য প্রতি সেশনে খরচ পড়বে দেড় হাজার টাকা। আর উচ্চবিত্তদের জন্য সেশনপ্রতি খরচ তিন হাজার টাকা। ডায়ালাইসিস সেন্টারে থাকছে ২৪ ঘণ্টা সেবার সুযোগ। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেন্টারে আছে ১০ শয্যার একটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)।
আলোচনা সভা থেকে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে আট লাখ রোগীর ডায়ালাইসিসের দরকার। চিকিৎসা করাতে সক্ষম প্রায় ৩০ হাজার কিডনি রোগী প্রতিবছর ডায়ালাইসিস চিকিৎসা পদ্ধতির আওতায় আসেন। কিন্তু চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার রোগী মারা যান।
বক্তারা আরো জানান, বাংলাদেশে ডায়ালাইসিস মেশিন আছে প্রায় ৬৫০টি। এর উল্লেখযোগ্য অংশই বিকল। এমন বাস্তবতায় দরিদ্র রোগীদের সেবায় এগিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে গণস্বাস্থ্য নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
ডায়ালাইসিসের ব্যয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রোগীদের ভোগান্তির কিছু বেদনাদায়ক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেকোনো ভালো সেন্টারে ডায়ালাইসিস করতে তিন থেকে আট হাজার টাকা খরচ হয়। ভারতে প্রতিবার ডায়ালাইসিসে খরচ হয় এক হাজার রুপি। পাকিস্তানের করাচিতে সিন্ধ ইনস্টিটিউট অব ইউরোলজিক্যাল সায়েন্সেস ও সিন্ধ হাসপাতালে করাচিবাসীর জন্য বিনা খরচে ২৪ ঘণ্টা ডায়ালাইসিসের সুবিধা রয়েছে।

20
মনের মতো একটা চাকরি খুঁজে পাওয়া তো সহজ কথা নয়। বহু চেষ্টায় নাহয় পেয়েই গেলেন পছন্দসই একটা চাকরি। কিন্তু অফিসের সহকর্মীটি যেন একেবারে বিধিবাম! একে তো নতুন এক জীবনে খাপ খাইয়ে নেওয়া, তার ওপর সঙ্গের কর্মীটির আচরণ যদি এমন হয় তাহলে পছন্দের চাকরিটাই হয়ে উঠতে পারে অপছন্দের।
রোজ অফিসে যাওয়াটাই যেন হয়ে ওঠে বিরক্তিময়। কিন্তু তাই বলে তো আর কাজ বাদ দিয়ে ঘরে বসে থাকা চলবে না; বরং বের করে নিতে হবে সমস্যার সমাধান।
নুসরাত জাহান—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সাবেক এই কাউন্সেলর বর্তমানে কাজ করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকো-সোশ্যাল কাউন্সেলর হিসেবে। তিনি বলেন, ‘আসলে সবার চিন্তাভাবনা এক রকম নয়। আমরা একেকজন বেড়েও উঠি একেক রকম পরিবেশে। তাই একটা কর্মস্থলে যখন বিভিন্ন মানসিকতার মানুষজন কাজ করতে আসে, তখন সবার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়।’ আসলে অফিসের সহকর্মীর সঙ্গে ঝামেলাটা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। এই সমস্যার সমাধান জানার জন্য আগে আপনাকে বুঝতে হবে যে আসলে সহকর্মীর সঙ্গে আপনার ঝামেলাটা কী নিয়ে।

সহকর্মীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব হতে পারে বিভিন্ন কারণে:
কাজের দক্ষতা সমান না হলে
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সহকর্মীটির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে কাজের দক্ষতা নিয়ে। হয়তো আপনার অধিক কর্মদক্ষতার জন্য আপনি বসের সুনজরে পড়ে গেলেন। কিন্তু আপনার সহকর্মীটি সে পর্যায়ে নেই। এর ফলে আপনাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্কটাও ক্ষণস্থায়ী হয়ে উঠতে পারে।

অফিসের পদবি
একই ভাবে আপনার পদোন্নতি হওয়ার ফলেও কিন্তু সহকর্মীটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হতে পারে। এর জন্য দায়ী আমাদের মানসিকতা। ছোট্ট শিশুদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, মা-বাবা অপর শিশুটিকে অধিক স্নেহ করলে তারা রেগে যায়। আর এমনটাই ঘটে অফিসের সহকর্মীদের মাঝে।

ভিন্ন মানসিকতা
আর একেবারে প্রথমেই বলে নেওয়া হয়েছে ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে। হয়তো আপনার পোশাকের ধরন, রুচি কিংবা আগ্রহের বিষয়টা মোটেও পছন্দ হচ্ছে না পাশের ডেস্কের সহকর্মীর। আবার আপনিও যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সহকর্মীর মতামত। ব্যস, একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি থেকে রাগারাগি।

এ ক্ষেত্রে করণীয়
সমস্যার উৎস তো জানলেন, এবার সমাধানে আসুন।
নুসরাত জাহান যে বিষয়গুলো মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন—
* হুট করেই এমন রেগে যাওয়া উচিত নয়। আপনি সহকর্মীটিকে বুঝিয়ে বলতে পারেন। যদি তিনি তারপরও এমন আচরণ করেন, তাহলে বিষয়টি এড়িয়ে চলাই ভালো।
* দুজনের এই মনোমালিন্যের কথা অফিসের কোনো তৃতীয় পক্ষকে জানানো ঠিক নয়; বরং বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, যা আপনার ক্যারিয়ারকেই নষ্ট করে দিতে পারে।
* নিজেকেও নিয়ন্ত্রণ করুন। বোঝার চেষ্টা করুন যে আমরা সবাই একই রকম নই। আমাদের প্রত্যেকের মাঝে এমন দৃষ্টিকোণ তৈরি করতে পারলে কিন্তু সমস্যা মিটে যায়। অন্যকে ছাড় দিতে শিখুন।
* যদি মনে করেন এ বিষয়ে আপনার সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করলে সমাধান হবে, তাহলে তা-ই করুন। কেননা কোনো সমস্যার সমাধান কিন্তু চুপ করে থাকলে হয় না।
* খেয়াল রাখুন, অফিসের সবাই কিন্তু আপনার বন্ধু মহল নয়। একেক সহকর্মী একেক ধরনের আচরণ পছন্দ করতেই পারেন। তাই কার সঙ্গে কী রকম আচরণ করবেন সেটা বুঝতে শিখুন।

Collected --

21
Food Habit / এই সময়ে স্যুপ
« on: November 28, 2016, 11:41:17 AM »
স্যুপ সব সময়ই স্বাদের খাবার। স্বাস্থ্যকরও বটে। শীত শীত এই সময়টায় এক বাটি স্যুপে জমবে ভালো। হোটেল আমারি ঢাকার দেওয়া কয়েকটি স্যুপের রেসিপি থাকছে এবার

ক্রিম অব চিকেন উইথ ট্রাফলক্রিম অব চিকেন উইথ ট্রাফল
উপকরণ: মাখন ৬ টেবিল চামচ, সেলারি (শাকবিশেষ) কুচি সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, ময়দা এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ, দুধ আধা কাপ, ক্রিম আধা কাপ, চিকেন স্টক ৩ কাপ, সেদ্ধ মুরগির কিমা ১ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ এবং ট্রাফল তেল ১ চা-চামচ।
প্রণালি: চুলায় বড় একটি সসপ্যান নিয়ে তাতে মাখন গলিয়ে নিন। পেঁয়াজ, রসুন ও সেলারি মাখনে ঢেলে কষাতে থাকুন। কষানো হলে ময়দা ঢেলে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ৩-৪ মিনিট রান্না করুন। তারপর দুধ, ক্রিম ও চিকেন স্টক ঢেলে নাড়ুন। মিশ্রণটি স্যুপের সঠিক ঘনত্বে আসা পর্যন্ত এবং ফুটতে থাকা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। চুলার জ্বাল কমিয়ে মুরগির কিমা ও বাকি উপকরণ পরিমাণমতো মিশিয়ে নাড়ুন। ট্রাফল তেল দেওয়ার পর চুলার আঁচ আরও কমিয়ে ২-৩ মিনিট রান্না করুন।
অন্য স্বাদে স্যুপ

বাদামি শর্বীবাদামি শর্বী
উপকরণ: কাঠবাদাম সিকি কাপ, মাখন ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, বাঁধাকপি কুচি কাপের চার ভাগের তিন ভাগ, আলু কুচি ১ কাপ, লবণ এবং রান্নার ক্রিম ২০০ মিলিলিটার।
প্রণালি: একটি গভীর নন-স্টিক পাত্রে চুলায় বসিয়ে তাতে মাখন গলিয়ে নিন। পেঁয়াজ যোগ করে মাঝারি আঁচে ২ মিনিট পর্যন্ত ভেজে নিন। আলু ও বাদাম দিয়ে আরও ২ মিনিট ভাজুন। দেড় কাপ পানি মিশিয়ে ১২ মিনিট পর্যন্ত রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। মিশ্রণটি চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এরপর মিক্সচারে নিয়ে আরও চার ভাগের তিন ভাগ কাপ পানি যোগ করে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। আবার সেই পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে তাতে ১ কাপ পানি, লবণ ও পেপার যোগ করে মধ্যম আঁচে ৫ মিনিট রান্না করুন। এরই মধ্যে ক্রিম মিশিয়ে নাড়ুন। রান্না হলে নামিয়ে নিন।
ব্রকলি ও ফুলকপির স্যুপব্রকলি ও ফুলকপির স্যুপ
উপকরণ: চিকেন স্টক ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১টি, ফুলকপি (ছোট ছোট টুকরা) ১ কাপ, ব্রকলি ছোট ছোট টুকরা আধা কাপ, লবণ ও মরিচ পরিমাণমতো, ময়দা সিকি কাপ, দুধ আধা কাপ এবং ১০০ মিলি রান্নার ক্রিম।
প্রণালি: একটি বড় পাত্রে চিকেন স্টক, পেঁয়াজ, ফুলকপি ও ব্রকলি নিন। মিশ্রণটি চুলায় দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর চুলার জ্বাল কমিয়ে দিন। সবজি সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে থাকুন। চিকেন স্যুপ, লবণ ও মরিচ যোগ করুন। অন্য একটি পাত্রে ময়দা এবং দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্যুপের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। সঠিক ঘনত্বে এলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করে মিক্সচারে ব্লেন্ড করে নিন।
 
লবস্টার বিস্ক স্যুপলবস্টার বিস্ক স্যুপ
উপকরণ: লবস্টার ১টা (ছোট টুকরা করে কাটা), শ্যালট কুচি ২ টেবিল চামচ, কচি পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, ভাঙা (ক্রাশড) রসুন ৩ কোয়া, অরসেস্টারশায়ার সস ২ চা-চামচ, টাবাস্কো সস ২ চা-চামচ, ১ চা-চামচ শুকনো টাইমা, শুকনো শেরি ৬ টেবিল চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ , গরম পানি ১ কাপ, ১ চা-চামচ লবস্টার বেজ, টমেটো পেস্ট ৪ আউন্স, তেজপাতা কয়েকটা, হুইপিং ক্রিম ২ কাপ এবং মাখন ৪ টেবিল চামচ।
প্রণালি: চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে তাতে সামান্য তেল গরম করুন। এতে শ্যালট, পেঁয়াজ ও রসুন এক মিনিট ধরে ভুনে নিন। অরসেস্টারশায়ার ও টাবাস্কো সস এবং টাইমা পাত্রে ঢেলে আরও এক মিনিট ধরে ভুনে নিন। শেরি যোগ করুন। এরপর মরিচগুঁড়া, গরম পানি ও লবস্টার বেজ যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে নিন। টমেটো পেস্ট ও তেজপাতা দিয়ে নাড়তে থাকুন। ১০ মিনিট রান্না করুন। হুইপিং ক্রিম আর মাখন মিশিয়ে মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন। সবশেষে লবস্টার যোগ করে রান্না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন।

ক্লিয়ার সি ফুড স্যুপক্লিয়ার সি ফুড স্যুপ
উপকরণ: জলপাই তেল ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ কোয়া, আদা কুচি ১ টেবিল চামচ, লেবুর খোসা মিহি কুচি ১ চা-চামচ, শুকনো মরিচগুঁড়া সিকি চা-চামচ, ৪ কাপ চিকেন স্টক, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, পাতলা টুকরা করা ৩টি গাজর, ডাইস করা ১০০ গ্রাম স্ক্যালোপ, খোসা ছাড়ানো বড় চিংড়ি টুকরা করে কাটা ১০০ গ্রাম, তিলের তেল ১ টেবিল চামচ, কচি পেঁয়াজ ৪টি (কুচি করা) এবং ধনে পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: একটি বড় সসপ্যানে তেল গরম করুন। রসুন, আদা, লেবুর খোসা এবং মরিচগুঁড়া দিয়ে গন্ধ আসা পর্যন্ত ভুনতে থাকুন। এরপর চিকেন স্টক, সয়াসস এবং লেবুর রস দিয়ে ফুটে ওঠা পর্যন্ত রান্না করুন। গাজর যোগ করুন। চুলার আঁচ কমিয়ে ১৫ মিনিট পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। স্ক্যালপ, চিংড়ি, তিলের তেল এবং পেঁয়াজ দিয়ে কয়েক মিনিট রান্না করুন। রান্না হলে নামিয়ে ধনে পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন।

Collected ---

22
অফিসের ডেস্কে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হচ্ছে? যাঁরা কাজের চাপে অস্থির থাকেন, সময়মতো খাবার খেতে পারেন না, তাঁদের একপর্যায়ে ঝিমুনি আসতে পারে। ক্লান্তি চেপে বসতে পারে। সারা দিন ঠিকভাবে না খেয়ে অনেকেই সন্ধ্যা নামলেই প্রচুর জাঙ্ক ফুডে মেতে ওঠেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শক্তির স্তর খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি।

অফিসে সক্রিয় থাকতে ও ঝিমুনি তাড়াতে বিশেষ কয়েকটি খাবার খাওয়া যায়। টিএনএনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব খাবারের তালিকা দেওয়া হয়েছে।

ডিমডিম
সকালে প্রোটিনভরা নাশতা করুন। নাশতায় ডিম রাখবেন। এতে সারা দিন কাজের শক্তি বজায় থাকবে। যাঁরা দীর্ঘ সময় বসে কাজ করেন, তাঁরা ভিটামিন, খনিজ ও প্রোটিন আছে, এমন খাবার খাবেন। এ হিসেবে ডিম খাদ্যতালিকায় থাকা চাই।

হোল গ্রেইন ব্রেডহোল গ্রেইন ব্রেড
হোল গ্রেইন ব্রেড বা শস্যসংবলিত রুটির উপকারিতা অনেক। এ ধরনের রুটিতে ফাইবার, ভিটামিন ই ও বি কমপ্লেক্স থাকে বলে অনেকক্ষণ শরীরে শক্তি জোগাতে পারে। ঝিমুনি দূর করতে হোল গ্রেইন ব্রেড খেতে পারেন।

আঙুরআঙুর
শক্তি জোগানো ফল হিসেবে আঙুর সুপরিচিত। দিনের যেকোনো সময় এ ফল খাওয়া যায়। এতে ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও ফোলেট নামের উপাদান আছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দ্রুত শরীরে শক্তি জোগাতে পারে।

কিউই ফলকিউই ফল
কিউই (একধরনের রসাল ফল) ফলের জুস বা কিউই সালাদ দুপুরের খাবারের সঙ্গে রাখুন। এতে ঘুম ঘুম ভাব দূর হবে। এতে যে কপার ও ভিটামিন সি আছে, তা দীর্ঘক্ষণ সক্রিয় থাকতে সাহায্য করবে।

তিসি বীজতিসি বীজ
খাবারে নিয়মিত তিসি বীজ রাখলে তা শরীরে শক্তি উৎপাদন করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। তিসি গুঁড়া করে কৌটায় রাখতে পারেন, যা খাবারের ওপর ছিটিয়ে দিলে স্বাদ বাড়বে এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকার পাবেন।

বেরিবেরি
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার ও ভিটামিনে ভরপুর বেরি (স্ট্রবেরি-জাতীয় ফল)। সারা দিন শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্রিয় থাকতে খেতে হবে। পুষ্টিকর খাবার হিসেবে এতে ক্যালরি কম থাকে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
প্রোটিন বারপ্রোটিন বার
ক্লান্ত লাগছে? একটি প্রোটিন বার বা বাদামযুক্ত চকলেট খেয়ে নিতে পারেন। দিনের ক্লান্তি দূর করতে বা কাজের সময় ঝিমুনি তাড়িয়ে দ্রুত সক্রিয় করে তুলতে প্রোটিন চকলেট দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাড়ি ফেরার আগে এ রকম প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে ক্ষুধা কম পাবে আর শরীর-মন চনমনে হয়ে উঠবে।

Collected ---

23
নভেম্বর শেষ হয়ে ডিসেম্বর মাস আসি আসি করছে। শীতের আমেজ বাতাসে। মৃদু উষ্ণ পানিতে স্নান, উষ্ণ কম্বল, কফির স্বাদের কারণে অনেকের পছন্দ শীতকাল। কিন্তু শীতকালে সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে অন্যান্য স্বাস্থ্য-সমস্যার বিষয়টিও মাথায় রাখা দরকার। এ সময় জ্বর, অ্যাজমা, গা-ব্যথা, অসাড় ভাবসহ নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যায় চিকিৎসার নানা উপায় আছে। এগুলো যদি সহজে এড়িয়ে যাওয়া যায়, তবে কিসের অপেক্ষা?

কথায় আছে, চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। শীতের এ মৌসুমে কিছু খাবার খেলে ও কিছু পরামর্শ মেনে চললে সহজেই রোগব্যাধি এড়াতে পারবেন।

ভিটামিনযুক্ত খাবার খান: যেসব খাবারে ভিটামিন সি ও জিংক বেশি আছে, তা এ সময় বেশি করে খান। লেবুজাতীয় ফল ও রসুন বেশি করে খান। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং রোগের বিরুদ্ধে শরীরকে লড়াই করতে শক্তি জোগাবে।

কিছুটা ঘাম ঝরান: শীতের সময় বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় মানুষের একটু বেশি খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এ সময় শরীরের ওজন ঠিক রাখা তাই বেশি দরকার। শরীর ফিট রাখলে রোগব্যাধি দূরে থাকবে। শরীরে বিপাকপ্রক্রিয়া উন্নত হবে এবং রক্তপ্রবাহ বাড়বে। শরীরকে উষ্ণ ও কর্মক্ষম রাখতে শীতের সময় নিয়মিত ব্যায়াম করে ঘাম ঝরানো উচিত।

ফল ও সবজি: শীতকালে প্রচুর সবজি বাজারে পাওয়া যায়। পুষ্টিকর খাবার সব সময়ই শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ সময় তাই বেশি করে শাকসবজি খেতে হবে। এতে শরীর যথেষ্ট পুষ্টি পাবে এবং রোগব্যাধি কমবে।

হাত ধোয়ার অভ্যাস: ঘরে-বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন, শীতের সময় নিয়মিত হাত ধুয়ে তারপর কিছু খাবেন। এ সময় বাতাসে নানা রকম রোগজীবাণু থাকতে পারে। গণটয়লেট ও সংক্রমণের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া শীতের সময় বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন।

শরীরকে আর্দ্র রাখুন: শীতের সময় অনেকেই পানি খেতে চান না। কিন্তু এ সময় শরীর আর্দ্র রাখতে প্রচুর পানি পান করা উচিত। শীতের সময় শরীর শুষ্ক হয়ে যায়। এ কারণে শরীরে চুলকানি, খসখসে ত্বকের মতো সমস্যা হয়। শীতের এই শুষ্কতা দূর করতে শুধু বাইরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলেই হবে না, ভেতর থেকে শরীরকে আর্দ্র করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রচুর পানি পান করার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার, প্রচুর ফল ও শাকসবজি খেলে শরীর আর্দ্র থাকে।

Collected ---

24
তৈরি খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আজকাল অনেক মা-বাবাই সচেতন। প্রক্রিয়াজাত খাবারে নানা ধরনের রাসায়নিক বা হরমোন মিশ্রিত থাকে বলে শিশুর শরীরের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে। এই সচেতনতা থেকে আজকাল বাজারে অরগানিক বা প্রাকৃতিক খাবার পাওয়া যাচ্ছে। যেমন: অরগানিক ডিম বা অরগানিক চাল, ডাল, মাংস। এর অর্থ এসব প্রাণীকে কৃত্রিম খাবার বা হরমোন খাওয়ানো হয়নি, স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বড় হয়েছে। অথবা এসব কৃষিপণ্য উৎপাদনে প্রাকৃতিক কীটনাশকপদ্ধতি ও সার ব্যবহার করা হয়েছে।
পুষ্টি গুণাগুণের বিচারে নন-অরগানিক খাবার ও অরগানিক খাবারে পার্থক্য তেমন নেই। তবে যেসব শিশুকে অরগানিক খাবার দেওয়া হয়, তাদের মূত্র পরীক্ষায় বিভিন্ন কীটনাশকের উপাদান থাকে না বললেই চলে। এটাও প্রমাণিত যে যারা অরগানিক খাবার গ্রহণ করে, তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধী শক্তি বা অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি থাকে এবং ক্ষতিকর ক্যাডমিয়াম মাত্রা থাকে কম।
তবে কৃষিপণ্যে কীটনাশক ও সার নির্দিষ্ট মাত্রায় ক্ষতিকর নয়। এই মাত্রা লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, তা দেখা দরকার।
শিশুর খাবার বেছে নেওয়ার সময় পরামর্শ
যতটা সম্ভব বাড়িতে হাতে তৈরি খাবার দিন। দুধ-ডিম ইত্যাদির ক্ষেত্রে অতটা বাছবিচার সম্ভব নয়, তবে বিশ্বস্ত ও বড় দোকান থেকে যাচাই করে কিনুন। শাকসবজি ফলমূল রাসায়নিকমুক্ত করতে বেশ কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং ভালো করে ধুয়ে নিন। শিশুর খাবার তৈরিতে কৃত্রিম স্বাদকারক যেমন: সস, সয়াসস, ক্রিম, টেস্টিং সল্ট ইত্যাদি ব্যবহার না করাই ভালো, দেশি উপকরণ ও মসলা ব্যবহার করুন।

 Collected ---

25
Skin / শীতে ত্বকের পাঁচ সমস্যা
« on: November 28, 2016, 11:26:51 AM »
আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে উঠছে। এ সময় ত্বক আর্দ্রতা হারায় এবং ত্বকের নানা সমস্যা বেড়ে যায়। আসুন জেনে নিই শীতে ত্বকের নানা সমস্যার বিষয়ে।
একজিমা: শুষ্কতার কারণে ত্বক ফেটে যায়। আর্দ্রতার অভাবে ত্বকে এ সময় চুলকানি হতে পারে। সাধারণত পা বেশি আক্রান্ত হয়। বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি ভোগেন। অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে দীর্ঘ সময় গোসল করলে, অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করলে বা গোসলের পর শক্ত খসখসে তোয়ালে দিয়ে ঘষলে ত্বকের শুষ্কতা আরও বাড়বে।
খুশকি: শীতকালে খুশকি বা সেবোরিয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। মাথা ছাড়াও ভ্রু, চোখের পাতা, পিঠ, বুকের লোমযুক্ত অংশ, বগলসহ অন্যান্য অংশে খুশকি হতে পারে। এ সময় সাদা মরা ত্বক ওঠে, চুলকায়। খুশকি ছোঁয়াচে। এটি চুল পড়ার অন্যতম কারণ। তাই খুশকি হলে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
সোরিয়াসিস: সোরিয়াসিসের তীব্রতা এ সময় বাড়তে পারে। হাঁটু, কনুই, মাথার ত্বক, হাত-পা বেশি আক্রান্ত হয়। মাছের আঁশের মতো চামড়া ওঠে। তবে চুলকানি না-ও থাকতে পারে। যাঁদের সোরিয়াসিস আছে, তাঁরা শীতের শুরুতেই সাবধান হোন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস: ২ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুরা এ সমস্যায় আক্রান্ত হয় বেশি। তবে বড়দেরও এটা হতে পারে। এসব শিশুর হাঁপানি ও অ্যালার্জি বংশগত এবং তাদের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক। শীতে এই শুষ্কতা বেড়ে গিয়ে চুলকায়। এ ছাড়া সংক্রমণও হয়। উলের কাপড়ে অ্যালার্জি হতে পারে। এ সময় ত্বক আর্দ্র রাখতে হবে।
কেরাটোসিস পিলারিস: বাহু, ঊরুর বাইরের অংশ এবং পেটের পাশে লোমকূপের গোড়ায় ছোট দানার মতো দেখা দেয়। এটি একটি জিনগত রোগ, কিন্তু শীতকালে বেড়ে যায়।

Collected ---

26
ওজন কমাতে, রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে একটু বয়স হলে কিছু খাবারদাবারে আনা চাই নিয়ন্ত্রণ। আমরা সবাই জানি যে খাবার হওয়া চাই সুষম, অর্থাৎ আমিষ, শর্করা, চর্বি ও ভিটামিন, খনিজের সমাহার থাকা চাই। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার আছে, যা কম কম খাওয়াই ভালো। আসুন তৈরি করে নিই এমন একটা তালিকা।
চিনি ও চিনিযুক্ত পানীয়: সাদা চিনি, বাদামি চিনি, ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ, কর্ন সুগার, মধু—নানা নামের চিনি যুক্ত করা হয় বাজারজাত পানীয়তে। যে নামেই থাকুক, এগুলো সবই সহজ শর্করা, যা রক্তে শর্করা ও ওজন বাড়ায়। প্রতিদিন কেবল ছোট সাইজের এক ক্যান চিনিযুক্ত পানীয় (কোলা, জুস ইত্যাদি) বছরে আপনার ওজন বাড়াবে ১৫ পাউন্ড।
বেকারি: কেক, পেস্ট্রি, ডোনাট, কুকিজ—এসব বেকারির খাবারে থাকে বাড়তি চিনি, কিছু লবণ, প্রক্রিয়াজাত শর্করা, ট্রান্সফ্যাট নামের খারাপ চর্বি। এগুলো ক্ষতিকর।
সাদা শর্করা: শর্করা আমাদের মূল খাবার। কিন্তু সাদা ভাত, ময়দার তৈরি রুটি বা পরোটা, সাদা পাউরুটি, নুডলস, পাস্তা এগুলো সহজেই শর্করা ও ওজন বাড়ায়। তাই আঁশযুক্ত বা গোটা শস্যের তৈরি খাবার থেকে শর্করা বেছে নিন। বেছে নিন লাল বা মোটা ভাত, আটার রুটি, ব্রাউন ব্রেড, ব্রাউন পাস্তা ইত্যাদি।

দুগ্ধজাত খাবার: বেশির ভাগ দুগ্ধজাত খাবারই মিষ্টিদ্রব্য। এ ছাড়া ঘন দুধ ও দুধের তৈরি পনির, মাখন, পায়েস, পুডিং, আইসক্রিম এগুলো সবই উচ্চ ক্যালরিযুক্ত। ননিহীন দুধ বা কম ননিযুক্ত দুধ বেছে নেওয়া ভালো।

লাল মাংস: গরু ও খাসির মাংসের তৈরি নানা লোভনীয় পদের খাবার মাসে এক-দুই দিনে সীমিত করে নিন। আমিষের উৎস হিসেবে বেছে নিন মাছ, দুধ, ডিম, মুরগি, বাদাম ও ডাল।
 স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ

দই কি স্বাস্থ্যকর খাবার?
ব্যাপারটা নির্ভর করছে আপনি কেমন দই কিনছেন, তার ওপর। সাধারণ দই কিনুন, তারপর নিজের পছন্দমতো ফলমূল ও মিষ্টি উপাদান যোগ করুন। মিষ্টি দই আসলে তেমন ভালো নয়।

27
Food Habit / শুধু আমিষ
« on: November 27, 2016, 04:15:49 PM »
শরীরের জন্য আমিষ, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের প্রতিটা অংশ এবং কোষে প্রোটিন রয়েছে। শরীর গঠন ও বৃদ্ধির জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। প্রোটিন সাধারণত অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি।
যেসব খাবার থেকে প্রোটিন পাই
বিভিন্ন প্রাণিজ উৎস যেমন: মাছ, মাংস বিশেষ করে ডিমের ভেতর প্রোটিনের পরিমাণ বেশি।
এ ছাড়া উদ্ভিজ্জ উৎস থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন: শিম, বিভিন্ন ধরনের শস্যদানা ইত্যাদি।
অনেকে মনে করেন ডায়েট করলে প্রোটিনযুক্ত খাবার কম খাওয়া উচিত কিন্তু সেটি আসলে ভুল। ডায়েটের সময়েও শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজন রয়েছে।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতিদিন দুই-তিনবার আমিষযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। শরীরের গঠন অনুযায়ী একেকজনের ক্ষেত্রে একেক নিয়ম হতে পারে। এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, শিশু যখন মায়ের গর্ভে থাকে, তখন থেকে তার প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। মাছ, মাংস, ডিম ও দুধের ভেতরে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। এই খাবারগুলোকে ক্লাস ১ প্রোটিন বলা হয়। এসব খাবার খেলে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। ডাল, ছোলা, বুট, বাদাম ইত্যাদিতেও প্রোটিন থাকে।
১৮ বছর বয়স পর্যন্ত একজন মানুষের প্রতিদিন ২-২.৫ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। এই বয়সের পর থেকে ক্যালরির দরকার হয়। তবে বয়স একটু বেশি হলে শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজন কম হয়।
দ্য ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে প্রতি ২০ পাউন্ড ওজনের জন্য ৮ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন এবং সেই প্রোটিন থেকে ১০-৩৫ শতাংশ ক্যালরি পাওয়া যায়।
প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন দুই-তিনবার প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। তবে বয়সভেদে এবং স্বাস্থ্যভেদে প্রোটিনের প্রয়োজন ভিন্ন হতে পারে।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের যে পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত

* ২-৩ আউন্স চর্বি ছাড়া মাংস অথবা মাছ
* ১টি ডিম
* আধা কাপ সেদ্ধ শিম
* ২ টেবিল-চামচ পিনাট বাটার
* ১ আউন্স মাখন।

প্রোটিন কাদের খাওয়া উচিত নয়?
যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে তাঁদের সীমিত পরিমাণে প্রোটিন খেতে হবে। ডায়ালাইসিস চলাকালে প্রতিদিন ২-২.৫ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা যেতে পারে। যাঁদের হৃদ্রোগের সমস্যা আছে তাঁরা প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন, তবে সে ক্ষেত্রে চর্বি সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে নিতে হবে।

Collected -

28
অনেকেই বেড়াতে গিয়ে নতুন জায়গায় বা অতিথিদের জন্য নির্ধারিত ঘরে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। ছটফট করতে করতে রাত কাটে। বেড়াতে গেলে রাতে ঠিকমতো ঘুমানোটা জরুরি। কিন্তু খাবার বা পরিবেশ যতই সুন্দর হোক না কেন, অনেকেই নতুন জায়গা ভেবে ঘুমাতে পারেন না। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের চিলড্রেনস মেডিকেল সেন্টারের মনোবিজ্ঞানী ডেভিড উইলিয়াম ব্রাউন নতুন জায়গায় ভালোভাবে ঘুমানোর কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সহজ এ পরামর্শগুলো কাজে লাগতে পারে।


ব্রাউন বলেন, ‘সব সমস্যার নিয়ন্ত্রণ করা হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু অপরিচিত ঘুমানোর পরিবেশে বাড়ির মতো ঘুমানোর জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করা যেতে পারে।’

পরিকল্পনা করুন: যাঁরা বাড়িতে বা যেখানে ঘুমাবেন, তাঁদের ঘুমানোর অভ্যাস জেনে নিন। তাঁরা যদি সকাল সকাল ঘুমাতে যান, তবে আপনি একটি বই বা পড়ার জন্য কোনো কিছু নিয়ে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন।

আপনার ঘুমের সময় ঠিক রাখুন: বাড়িতে যে নিয়ম মেনে ঘুমান, অপরিচিত পরিবেশ হলেও সে নিয়ম ভাঙবেন না। ঘুমাতে যেতে বেশি দেরি করবেন না। যদি ঘুমানোর আগে কিছু সময় থাকে তবে কিছু পড়তে পারেন।

বাড়ির বিছানার মতো ব্যবস্থা করুন: অতিথির শোওয়ার ঘরে সবকিছু হয়তো নিজের মতো পাওয়া যায় না। তবে যতটা সম্ভব বিছানা নিজের মতো করে নিতে হবে। নিজের বালিশ-কম্বল সঙ্গে নিতে পারলে ভালো। এতে ঘুম ভালো হয়।

বিরক্তিকর শব্দ থেকে দূরে থাকুন: রাতের ঘুম নষ্ট করতে পারে অপরিচিত কোনো শব্দ। বাড়িতে লোকজন বেশি হলে, ছোট ছেলেমেয়ে গোলযোগ করলে ঘুম নষ্ট হতে পারে। বাইরের বিরক্তিকর শব্দ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এমন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন।

এয়ারপ্লাগ রাখুন: বাইরের শব্দ থেকে মুক্তি পেতে এয়ারপ্লাগ অবশ্যই আগে থেকে সঙ্গে রাখবেন। কোথাও ভ্রমণে গেলে অবশ্যই এয়ারপ্লাগ সঙ্গে রাখবেন। দরকার লাগুক আর না লাগুক, এয়ারপ্লাগ সঙ্গে থাকার বিষয়টি মনে হলেই শান্তি পাবেন। মনের শান্তি ভালো ঘুম এনে দেয়।

চোখের মাস্ক ব্যবহার করুন: বেড়াতে যাওয়ার আগে চোখের মাস্ক সঙ্গে রাখুন। চোখে সরাসরি আলো পড়া ঠেকাতে কাজে লাগবে মাস্ক। বাড়িতে থাকা অবস্থায় মাস্ক ব্যবহার করে ঘুমানোর অভ্যাস করলে নতুন জায়গায় মাস্ক পরে ঘুমাতে অস্বস্তি লাগবে না।

ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি বন্ধ করুন: অতিরিক্ত আলো বা ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতির ব্যবহার বন্ধ করুন। ডিজিটাল ক্লক, টিভি বন্ধ করে রাখুন। যদি সঙ্গে কেউ থাকে তাঁকেও ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি বন্ধ করতে বলুন।

মদপান থেকে দূরে থাকুন: যাঁরা ছুটিতে বেড়াতে যান, তাঁরা বেশিক্ষণ জেগে থাকেন বা মদপানে ঝুঁকে পড়েন। ঘুমানোর আগে মদপান করলে ঘুমের বারোটা বাজবে।

ইতিবাচক চিন্তা করুন: ঘুমানোর বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তা মাথায় রাখবেন না। বাড়ি থেকে দূরে আছেন বলে দুশ্চিন্তায় মাথা খারাপ করবেন না। একরাতে যদি ঘুম ভালো না হয়, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। পরের দিন আরও ভালোভাবে ঘুমাবেন বলে ইতিবাচক ভাবুন। কিন্তু পরপর কয়েক দিন যদি সমস্যা হয় তবে হোটেল বা শোওয়ার স্থান পরিবর্তন করতে পারেন। তথ্যসূত্র: হাফিংটন পোস্ট

Collected ----

29
Reduce Fat /Weight Loss / কম বয়সীদের ডায়েট
« on: November 27, 2016, 01:53:06 PM »
১১ থেকে ১৮ বছরের ছেলেমেয়েদের শরীর ও মনে বিভিন্ন পরিবর্তন আসে। এ সময়টায় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। অতিরিক্ত কম খাওয়া যেমন ক্ষতিকর, আবার অতিরিক্ত বেশি খাওয়াও ক্ষতিকর। একবার ওজন বেড়ে গেলে তা কমানো কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকের ভেতর এ সময়টায় ডায়েট করার প্রবণতা দেখা দেয়। বেশির ভাগই সঠিক ডায়েট কীভাবে করতে হয় তা জানে না। নিয়ম মেনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট পালন করতে হবে।
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো বলেন, ‘কৈশোরে ছেলেমেয়েদের শরীরে খাবারের বিভিন্ন উপাদানের প্রয়োজন বেশি। ডায়েট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রতিটি খাবারে যেন ক্যালরি, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
ডায়েট মানেই না খেয়ে থাকা—এই ধারণা একেবারেই ভুল। ডায়েট করলেও নিয়ম মেনে শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে খাবারের একটা তালিকা করতে হবে। বিশেষ করে কোনোভাবে সকালের নাশতা বাদ দেওয়া যাবে না। এরপর প্রতি বেলা নিয়ম করে অল্প অল্প খেতে হবে।
শরীরের ওজন বুঝে ডায়েট করতে হবে। অনেকের ওজন অনুযায়ী ডায়েট করার প্রয়োজন পড়ে না, সেই বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে। অনেকেই একটা নির্দিষ্ট ওজন ধরে রাখতে চায়। তখন অবশ্যই শরীরের ওজন ও চাহিদা অনুযায়ী ডায়েটের তালিকা করতে হবে।
ডায়েট করার আগে অবশ্যই একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। কতটা ওজন কমাতে হবে, সেই অনুযায়ী কতটুকু খাওয়া উচিত, সেই তালিকা করতে হবে।
কোন ধরনের খাবারে কতটুকু পুষ্টি রয়েছে এবং কতটুকু পুষ্টি প্রয়োজন, সেটা বিবেচনা করতে হবে। কম বয়সী ছেলেমেয়েদের এই বয়সে শরীরে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, জিংক, থায়ামিন, রিবোফ্লবিন, ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে এমন খাবার খেতে হবে।
অল্প বয়সী একটা ছেলে অথবা মেয়ের খাবারে ক্যালরির পরিমাণ ১৬০০ থেকে ২৬০০ থাকা উচিত। বিশেষ করে যারা প্রতিদিন কাজকর্ম করে, তাদের খাবারে একটি মেয়ের ২৪০০ এবং একটি ছেলের ২৬০০ ক্যালরি হওয়া উচিত। তবে যদি কাজের পরিমাণ কম থাকে, তাহলে একটি মেয়ের ১৬০০ এবং একটি ছেলের ১৮০০ ক্যালরি খেতে হবে।
ডায়েট করার সময়ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি হজমে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। প্রচুর পরিমাণে ফল ও খেতে হবে।
প্রতি বেলার খাবার ঠিকমতো খেতে হবে। সকালের নাশতায় ডিম, পাউরুটি, সিরিয়াল এবং কোনো ফল খেতে হবে। অনেকক্ষণ পর হালকা কিছু খাওয়া যেতে পারে যেমন: সালাদ, বিস্কুট ইত্যাদি। দুপুরে পরিমাণমতো ভাত, সবজি, মাছ; কখনো মাংস খাওয়া যেতে পারে। বিকেলে নাশতায় হালকা কিছু খাওয়া যেতে পারে। রাতে সামান্য পরিমাণে ভাত, সবজি এবং মাছ খাওয়া যেতে পারে। কখনো কখনো রুটিও খাওয়া যায়।

শরীরের ওজন বুঝে ডায়েট করতে হবে। অনেকের ওজন অনুযায়ী ডায়েট করার প্রয়োজন পড়ে না, সেই বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে। অনেকেই একটা নির্দিষ্ট ওজন ধরে রাখতে চায়। তখন অবশ্যই শরীরের ওজন ও চাহিদা অনুযায়ী ডায়েটের তালিকা করতে হবে
এই বয়সে বাইরের খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রতি ঝোঁক থাকে। ডায়েট করার ক্ষেত্রে এ ধরনের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
ডায়েট করার পাশাপাশি অবশ্যই শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করতে হবে। যোগাসন করা যেতে পারে।

তবে ডায়েট পালনের সময় অবশ্যই কিছু জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন। বয়স, ওজন, ছেলেমেয়েভেদে ডায়েট একেক রকম হয় অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজন না পড়লে ডায়েট না করাই ভালো। প্রতিটি খাবারে পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন থাকে—এমন খাবার এই বয়সে খাওয়া উচিত, সেই অনুযায়ী ডায়েটের তালিকা করতে হবে। তবে যা-ই খাওয়া হোক না কেন, পরিমাণমতো খেতে হবে।
যেসব খাবার না খেলেই নয়
শর্করা

শর্করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর— অনেকেই তাই মনে করেন। শরীরে এরও প্রয়োজন রয়েছে। একজন কম বয়সী ছেলে অথবা মেয়ের দিনে অন্তত ১০০ গ্রাম শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এটি শরীরে শক্তি জোগায়। যেমন: ভাত, রুটি, সবজি, বাদাম, ওটমিল ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
ক্যালসিয়াম

ক্যালসিয়াম ৯৯৭ শতাংশ হাড় গঠনে সহায়তা করে, বিশেষ করে কৈশোরে। সুতরাং ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার যেমন: দুধ, দই ইত্যাদি খেতে হবে।
আয়রন

যেসব খাবারে আয়রনের পরিমাণ বেশি—এমন খাবার খেতে হবে। আয়রন শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে।

প্রোটিন

প্রোটিন শরীর গঠনে এবং শক্তি জোগাতে বিশেষ সহায়তা করে। এর অভাবে শরীর গঠনে সমস্যা হয়। প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন: ডিম, দুধ, বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খেতে হবে।

Collected ---

30
শীতের সময় আবহাওয়া থাকে শুষ্ক। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমে যায়। এতে ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ, খসখসে। ঠোঁটের বারোটা বাজে সবার আগে। এ সময় অনেকেরই ঠোঁট ফাটে, কথা বলা ও হাসির ক্ষেত্রে যা বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে।

ঠোঁট ফাটা ঠেকাতে অনেকেই চ্যাপস্টিক আর লিপবাম ব্যবহার করেন। এসব উপাদান হয়তো সাময়িক স্বস্তি দেয়, তা কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়। লিপবাম বা চ্যাপস্টিকের বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁট ফাটা ঠেকাতে পারেন। জেনে নিন কীভাবে ঠেকাবেন ঠোঁট ফাটা:

মধু-ভ্যাসলিন: মধুতে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী উপাদান আছে। ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে নরম রাখে। তাই মধু ও ভ্যাসলিন মিশিয়ে মাখলে ঠোঁট ফাটার উপশম হবে।

ঘৃতকুমারী: এটি শুধু ত্বকের জন্য উপকারী নয়; ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এবং ঠোঁট ফাটা ঠেকাতে পারে। এতে যে প্রাকৃতিক উপাদান আছে, তা নিয়মিত ঠোঁটের সংস্পর্শে এলে ঠোঁট ফাটা সারে।
অলিভ অয়েল: এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ও লুব্রিকেন্ট। এতে যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, তা ত্বকের শুষ্কতা দূর ও ঠোঁট ফাটা ঠেকাতে পারে। দিনে দুবার ঠোঁটে অলিভ অয়েল মাখলে ঠোঁট নরম ও মসৃণ হয়।
নারকেল তেল: ঠোঁট ফাটা ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরেই নারকেল তেলের ব্যবহার দেখা যায়। এতে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে। ঠোঁট ফাটা ঠেকাতে নিয়মিত নারকেল তেল লাগাতে পারেন।

Collected

Pages: 1 [2] 3 4 ... 26