Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Farhana Haque

Pages: 1 2 [3] 4
31


গত ০৪.০৩.২০২০ইং তারিখে #ড্যাফোডিল_ফাউন্ডেশন এর সহযোগীতায় রিক্সাওয়ালা দ্বীন মোহাম্মদ ইশা'র নেওয়া সকল ঋণ পরিশোধ করা হলো।

গত কয়েকদিন পূর্বে রিক্সা ওয়ালা দ্বীন মোহাম্মদ ইশা'র সাথে পরিচয় হয় আমাদেরই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র সাজ্জাদের সাথে। কথা বলে জানা গেলো দৈনিক ২০০ টাকা হারে সুদ দেওয়ার শর্তে তিনি ২০ হাজার টাকা ধারের গল্প ও তার দূর্দশার কথা। ২০১৬ শালে মাহফূজা বেগমের (ছদ্ম নাম) কাছ থেকে উনি ২০ হাজার টাকা ধার করেন নিতান্ত নিরুপায় হয়ে। কিন্তু মাঝে কিছু দিন অসুস্থ থাকার দরুন ঋণের পরিমান বেড়ে দাড়িয়েছিল ৩০ হাজার টাকায় এবং হিসাব করে দেখা যায় ২০ হাজার টাকার বিপরীতে লাভই দেওয়া হয়েছে গত ৪২ মাসে প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার উপরে।

বিষয়টি অবগত হবার সাথে সাথেই ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন উদ্যোগ নেয় লোকটিকে সাহায্য করার। ঘটনার সত্যতা জানতে প্রথমে রায়ের বাজার বস্তি এলাকায় ভিক্টিম ইশা মিয়ার বাড়িতে যাওয়া হয়, তাকে অবগত না করেই। এলাকার লোকজনদের থেকে জানা যায়, ঘটনা সত্যি সহ ইশা মিয়ার করুন দিনাতিপাতের কথা। সম্পূর্ন ৩০ হাজার ঋণ সহ সুদের টাকা পরিশোধের পর আমরা দ্বীন মোহাম্মদ ইশা'র ছোট মেয়েকে #জ্ঞানের_পাঠশালা'র শিশু শ্রেণীতে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

আল্লাহর অশেষ রহমতে ইশা এখন পুরোপুরি সুদ ও ঋণ মুক্ত। এবার হয়তো ঘুরে দাড়াবেন ইশা ও তার পরিবার। আমরা আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় করতে পেরেছি সামান্য এই মহৎ কাজটুকু। একটি পরিবার অন্তত বেঁচে গেছে ঋণ কঠোর ফাঁদ থেকে।

মানুষ মানুষের জন্য। জীবন জীবনের জন্য। ইশা মিয়ার এই ঘটনাটি শুধু ঋণমুক্তির ঘটনা নয়, বরং এটি সচেতন হবার মত একটি ঘটনাও। না পারা শর্তে কেউ এমন সুদের ফাঁদে যেন না পরে। এই শহরেই এমন অনেক মাহফুজা বেগম রয়েছেন, যারা সামান্য কিছু টাকা ধার দেওয়ার শর্তে শত শত মানুষ কে ফাঁদে ফেলছে। হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। গরীব দিনমজুর কিংবা রিক্সাচলকদের কাছ থেকে দৈনিক চড়া সুদ গ্রহন করে ঢাকা শহরে গড়ে তুলছে অট্টালিকা । অন্যদিকে ভিক্টিম সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে সম্পূর্ণ ঋণ ও সুদের বোঝা টানতে টানতে।

রিক্সার গ্যারেজে পাওনাদারদের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে ঠিক তখনই ইশা মিয়ার এমন একটি হাসি মাখা মুখ দেখা গেল। ইশা মিয়া ভালো  থাকুক তার পরিবার নিয়ে। আমরা সবাই চাইলেই পারি খুব সামান্য পরিসরে হলেও সমাজের বঞ্চিত মানুষদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে। মানবিকতার জয় হউক।

32

কোন এক মফস্বল থেকে অথবা কোন একটি পারিবারিক স্নেহময় পরিবেশের গন্ডি পেরিয়ে প্রথম যখন একজন ছেলে বা মেয়ে কাজের তাগিদে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে এই শহরে পা রাখে, হলফ করে বলা যায়, একটি বছর চলে যায় তাদের সেই শহরের পরিবেশের সাথে, কাজের জায়গাতে খাপ খাইয়ে নিতে। কখনো হয়তো তারো বেশি সময় ধরে তারা চেষ্টা করে মানিয়ে নেবার। এই শহরে নিজের কেউ নাই, এটা ভেবেই যে কত রাত চোখের পানি আর নাকের পানিতে একাকার হয়, সেই হিসাব বাদ।

নিজের পরিবার ছেড়ে একজন মানুষ যখন অফিসটাকেই তার দ্বিতীয় পরিবার বানিয়ে নেয়, নিজের মত করে চারপাশের অভিজ্ঞজনদের দেখে, শিখতে চায়, আদর্শ বড়দের মত বড় হতে চায়, আপনার উচিত সেই মানুষটির উপর যথেষ্ট সহানুভূতিশীল হওয়া তাকে সহায়তা করা। কারন, নিজের পরিবার রেখে আসা মানুষটি অফিসের কর্পোরেট পরিবেশে, সহকর্মীদেরকে নিজের ভাই-বোন, বন্ধু বলে ভাবতে শুরু করে।

আপনি চাইলে, কর্পোরেট পলিটিক্স করে কারো ক্ষতি খুব সহজে করে ফেলতে পারেন, কিন্তু মনে রাখবেন, কারো ভালো করতে চাইলে, কারো শ্রদ্ধা অর্জন করতে হলে নিজ গুনে কষ্ট করে অর্জন করতে হয়। মানুষ আপনাকে দুইভাবেই মনে রাখবে। কারো উপকার করে আপনি মানুষের মনে থাকতে পারেন, আর ক্ষতি করলে তো মানুষ আপনাকে জীবনব্যাীই মনে রাখবে, অবশ্যই তা ঘৃনার সাথে । কোনটা আপনার জন্য সম্মানের সেটা আপনার বিবেচনা।

সহনশীল হওয়া খুব সহজ বিষয় না। মানুষকে আঘাত করা সহজ। আপনার জায়গা থেকে এমন একটি কথাও যদি আপনার অধিনস্ত মানুষটিকে কষ্ট দেয়, আপনার কথায় দীর্ঘশ্বাস ফেলতে সে যদি বাধ্য হয়, সেই হিসাব সৃষ্টিকর্তার কাছে তোলা থাকে ঠিকই। "পদাধিকার" কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কাছে খাটে না!!! আপনি অনেক কিছুই পারেন, আপনার বলার কিংবা করার ক্ষমতা আছে বলেই যে আপনি যা খুশি তাই বলবেন বা করবেন, প্লিজ সেটা করবেন না। সংযত হউন। নিজের আচরণ সংযত করুন। এই সুদীর্ঘ কর্মজীবনে যদি আপনার কোন একটি ভালো কাজের জন্য আপনাকে মানুষ মনে নাই রাখে, তাহলে আপনার এই কর্মজীবন বৃথা নয় কি?

জীবন খাতায় সব ক্ষেত্রে প্রাপ্তি জমা হবে তা নয়, কিন্তু আপনি যেচে কারো দীর্ঘশ্বাস দিয়ে জীবনখাতা ভরে ফেলবেন না প্লিজ। আপনি অবশ্যই বোঝেন, কারো ক্ষতি করতে যাওয়া মানে নিজেকেই বিপন্ন করা। জীবনে কোন একটা সময় এমন আস্আতে পারে যখন অন্যের সহানুভূতি আপনার প্র‍য়োজন হতে পারে। কে জানে,আজ যাদের হেনস্থা করছেন, দুঃখ দিচ্ছেন, এরাই আপনার বিপদে পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। হিপোক্রেসি ছেড়ে দিন। পারলে ভালো একটা কাজ করুন। মানুষ তার পদবীতে বড় হয় না। হয় তার কর্মে, ব্যাবহারে

কোন কিচ্ছু না হউক অন্তত একজন মানুষ হিসেবে মানুষকে সম্মান দিতে চেষ্টা করলে ক্ষতি নেই। তাতে নিজের সম্মান বাড়বে। অল্পই তো সময়, নিজে ভালো থাকার চেয়েও যখন অন্যকে ভালো রাখা জরুরি, যখন নিজের জীবন বিপন্ন করে এক একটা লোক কাজ করে সততা নিয়ে,, তখন আমাদের উচিত সমাজের এতসব প্রতিকূলতায় টিকে থাকার জন্য যুদ্ধ করা মানুষটির সাহসকে সম্মান করা। তার কাজকে সম্মান করা। সেই মানুষটাকে সম্মান করা।

পরিবর্তন আসবে। এখনই সময়। নিজেকে পরিবর্তন করতে পারলেই তো অন্যকে পরিবর্তন করা সম্ভব.....।

ফারহানা হক
২৫/০১/২০২০

33
ছাত্রছাত্রীদের কাছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি প্রাণের ক্যাম্পাস। তাদের পদচারণায় ক্যাম্পাস থাকে মুখরিত। ধরতে গেলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিই এ ক্যাম্পাসে প্রানের অস্তিত্বকে জানান দেয়। অসম্ভব সুন্দর সবুজ ক্যাম্পাসটি ধীরে ধীরে পরিনত হচ্ছে দেখার মত একটি স্থানে। নিশ্চিতভাবে বলাই যায়, ক্যাম্পাসে পা রাখলে মন জুড়িয়ে যাবে আপনার।


Daffodil International University Permanent Campus

ঢুকতেই যে জিনিস আগে মন কাড়বে, তা হলো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ফুলের গাছগুলো। সারি সারি বাহারি রঙ এর ফুলগুলো যেন হাত ইশারায় আপনাকে ডাকবে। আপনি মুগ্ধ হয়েই বলে উঠবেন" ইশ কি সুন্দর! শিক্ষার্থীদের প্রাণের এই ক্যাম্পাসটি এশিয়ার মধ্যে সেরা সবুজ বিশ্ববিধ্যালয়ের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। শীত প্রায় ছুঁই ছুঁই। ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের উপর শিশির জমে। আপনি চাইলে পা ভিজিয়ে নিতে পারেন। সংক্ষিপ্ত একটা জীবন। ছোট ছোট ইচ্ছা গুলোকে অপূর্ণ রাখতে নেই। ক্যাম্পসের ছোট পদ্মপুকুরে সকাল সকাল পদ্ম আর শাপলা ফুলেরা চোখ মেলে তাকিয়ে থাকে।

পুরো ক্যাম্পস ঘুরে দেখে আপনি যখন ক্লান্ত হয়ে যাবেন, আপনাকে এক দন্ড শান্তি দেবে 'বনমায়া' নামক স্থানটি। বলা যায় না্‌... সেখানে গিয়ে আপনার আর ফিরে আসতে ইচ্ছা নাও হতে পারে। তারপর খানিক বসলেন, কাঁঠালতলায়। এখন যেহেতু সিজন না তাই ভয়ের কারন নেই! কাঁঠাল আপনার মাথায় পড়বে না!! :) হেঁটে যেতে যেতে আপনি দেখবেন এক কোনায় কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়ার গাছ। গাছের নিচে ছড়ানো লাল ফুলের পাপড়িগুলো, লাল গালিচা ভেবে ভুলও করতে পারেন।

সবচেয়ে জরুরি যে বিষয়, সেটি হলো ক্যাম্পসের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নির্ধারিত লোকের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ভূমিকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ন। তারা নিজেরাও প্রতিনিয়ত ভূমিকা রাখে সেই সুন্দরকে সতেজ রাখার জন্য। এ ক্যাম্পাসের প্রতিটি শিক্ষার্থী "আর্ট অব লিভিং" ক্লাস করে। তাই তারা জানে মানুষকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়, কি করে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে হয়। তারা তাদের অভিভাবকদের শ্রদ্ধা করে। কারন তারা সারা বছরের প্রতিটি দিনকেই "পেরেন্টস ডে" মনে করে। ক্যাম্পাসে কোন র‍্যাগিং এর অস্তিত্ব আপনি খুঁজে পাবেন না। কারন সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করতে হলেও আপনার মন সুন্দর হতে হয়। তাই যে ছেলেটি এই পরিবেশে থেকে নিজেকে আগামীর জন্য গড়ে তুলবে সে আর যাই হউক মানুষ হত্যার হাতিয়ার হবে না। নিশ্চয়ই মানুষ এবং দেশ গড়ার কারিগরই হবে। কারো ভাল করতে না পারলেও কখনো কোন ক্ষতি করবে না। ক্যাম্পাসের সবুজ তাদের মনের সবুজকে বিলীন হতে দেবে না!

নিমন্ত্রন রইল "ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের" স্থায়ী এ সবুজ প্রাণের ক্যাম্পাসটি একবার ঘুড়ে যাবার। মনের যত দৈন্যতা আছে প্লিজ বাইরে রেখে ক্যাম্পস ফটকের ভেতরে পা রাখুন। বিশ্বাস! ক্যাম্পাসের সবুজ আর সৌন্দর্য আপনাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবে না। আপনি একবার হলেও মনে মনে উচ্চারণ করবেন...

"দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে শুধু দু'পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু"

লেখাঃ ফারহানা হক
১৩/১০/২০১৯


34
যে ৫ গুণ উদ্যোক্তাদের সফল করে


উদ্যোক্তা হওয়া আর মা হওয়া প্রায় সমার্থক ব্যাপার। সন্তানকে বড় করতে গিয়ে একজন মাকে যেমন নানা রকম জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, একজন উদ্যোক্তাকেও তেমনি বিভিন্ন সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়। যেকোনা সফল উদ্যোক্তাকে জিজ্ঞেস করুন তারা সফল হওয়ার পথে তিনি কী কী দক্ষতা অর্জন করেছেন, তিনি অন্তত নিম্নের ৫টি গুণের কথা বলবেন।

১. জানার প্রতি স্বতস্ফূর্ত আগ্রহ
জ্ঞানার্জন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং অতিঅবশ্যই জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। বেশিরভাগ মানুষ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানার্জনের পথকে রুদ্ধ করে দেন। এ ধরনের প্রচ্ছন্ন ভুল একজন মানুষের বেড়ে ওঠার পথে বিরাট ক্ষতিকর। জানার প্রতি যাদের স্বতস্ফূর্ত আগ্রহ রয়েছে তারা নিজেদের জানার শূন্যতা সহজেই বুঝতে পারেন। আর এটি বুঝতে পারার পর তারা সেই শূন্যস্থান পূরণের জন্য প্রতিনিয়ত জ্ঞানচর্চা করতে থাকেন এবং নিজেদের দক্ষতা উন্নয়ন করতে থাকেন। এভাবেই একজন উদ্যোক্তা সফল্যের দেখা পান।

২. ব্যর্থতাকে মোকাবেলা করুন
আপনি যদি কোনোকিছু করার চেষ্টা না করেন, আপনি ব্যর্থ হবেন না। আপনি ব্যর্থ হচ্ছেন, তার মানে আপনি কিছু করার চেষ্টা করছেন। উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা একইসঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এবং আনন্দিত হওয়ার মতো একটা ব্যাপার। ব্যবসায় সফল হওয়ার সরল সোজা কোনো পথ নেই। তাই জীবনের উত্থান পতনকে মোকাবেলা করা শিখতে হয়। মনে রাখবেন, কেউ একজন সফল হওয়ার আগে অসংখ্যবার ব্যর্থ হন। তবে ব্যর্থতাই শেষ করা নয়—এটা সফল হওয়ার পূর্বশর্ত।

৩. অর্থ ব্যবস্থাপনা শিখুন
ব্যবসায় সাফল্য অর্জনের পূর্ব শর্ত হচ্ছে, অর্থ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখা। অর্থ কোথা থেকে আসছে এবং কোথায় ব্যয় হচ্ছে এসব ব্যাপারে যদি দায়িত্বশীল না হন তবে ব্যর্থতা অবশ্যম্ভাবী। আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো না শিখলে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না—সহজ সূত্র। মনে রাখতে হবে, দিনশেষে আপনার ব্যবসার উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন করা। আর মুনাফা অর্জন করতে চাইলে অর্থ ব্যবস্থাপনা শিখতে হবে।

৪. সৃজনশীলতা জরুরি
সৃজনশীলতা কী শুধু চিত্রশিল্পীর ক্যানভাসেই সীমাবদ্ধ? নিশ্চয় নয়। আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন, তবে আপনাকে সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ ব্যবহার জানতে হবে। কারণ আপনাকে প্রতিনিয়ত এমন কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে যার সমাধান আপনি বইপুস্তকে পাবেন না। এসব সমস্যার সমাধান আপনাকে সৃজনশীলতা দিয়েই করতে হবে। এছাড়াও ব্যবসায়িক উন্নতির জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করতে হবে। আপনার ভেতর যদি সৃজনশীলতা না থাকে, আপনি কীভাবে আইডিয়া উদ্ভাবন করবেন? তাই উদ্যোক্তাদের জন্য সৃজনশীলতা জরুরি।

৫. যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ান

আপনি যদি মানুষের সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগই না করতে পারেন তাহলে ব্যবসাকে বিস্তৃত করবেন কীভাবে? বাবা মা, ভাইবোন, বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি—সবার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে আপনার যোগাযোগ দক্ষতা তৈরি করুন। তখন গ্রাহক ও ভোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা আপনার জন্য সহজ হবে। আপনার ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য নেটওয়ার্ক বাড়ানো খুবই জরুরি। আর নেটওয়ার্ক বাড়ানো যায় যোগাযোগের মাধ্যমে।

সূত্র : এন্ট্রাপ্রেনার ডটকম
ইংরেজি থেকে অনুবাদ : মারুফ ইসলাম

[/size][/b[/b]][/b][/b]

35
অটিজম ও আমাদের অসাধারণ শিশুরা

‘নয়ন’ নামের একটি ছেলে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠে নির্দিষ্ট বয়সে স্কুলে যেতে শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ করে সে কথা বলা কমিয়ে দেয়। একা থাকতে পছন্দ করে। ক্লাসের শিক্ষক বা বন্ধুরা কোনো প্রশ্ন করলে উত্তর দেয় না। ক্লাসে শিক্ষক ছবি আঁকতে বা কোনো কিছু লিখতে দিলে পেনসিল ধরে না। তখন শিক্ষক নয়নের মা-বাবাকে বিষয়টা জানালে মা-বাবা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে তাকে নিয়ে যান। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন, নয়ন অটিজমে আক্রান্ত।

২ এপ্রিল, ২০১৯ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে এই দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়ে আসছে। ২০১১ সালের ২৫ জুলাই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বিশ্বের অটিজম আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে একটি ফলপ্রসূ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশে অটিজম আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি বৈশ্বিক অটিজম কর্মসূচিতে নেতৃত্বদানকারী মার্কিন সংস্থা ‘অটিজম স্পিকসে’র সদস্য। মূলত তাঁর প্রচেষ্টায় দেশে অটিজম সচেতনতা ও জাগরণ তৈরি হয়। অটিজম হলো মস্তিষ্কের একটি স্নায়বিক সমস্যা, যা মস্তিষ্কের সাধারণ কর্মক্ষমতাকে ব্যাহত করে। যার লক্ষণ শিশু জন্মের তিন বছরের মধ্যেই প্রকাশ পায়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৮ মাস এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে জন্মের পর থেকেই শিশুর আচরণ অস্বাভাবিক মনে হতে পারে। যেমন—বড়রা নানাভাবে নানা কথা বলে শিশুর মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু এ ধরনের শিশুরা তাতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। অথবা কোনো একটি বস্তু হাতে নিয়ে সেটার প্রতি মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। এ ছাড়া জন্মের পর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে এমন শিশুর মধ্যেও অটিজমের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। আমেরিকান সাইকিয়াট্রিস্ট লিও ক্যানার ১৯৪৩ সালে প্রথম অটিজম আবিষ্কার করেন। এক তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতি ৫০০ জনে একজন অটিস্টিক শিশু হিসেবে বিবেচনা করা হয়।


দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্যাবলি : প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩-এর বর্ণনা অনুযায়ী অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের ১০টি বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা হয়েছে। যথা—এক. মৌখিক বা অমৌখিক যোগাযোগে সীমাবদ্ধতা, দুই. সামাজিক ও পারস্পরিক আচার-আচরণ, ভাববিনিময় ও কল্পনাযুক্ত কাজকর্মের সীমাবদ্ধতা, তিন. একই ধরনের বা সীমাবদ্ধ কিছু কাজ বা আচরণের পুনরাবৃত্তি, চার. শ্রবণ, দর্শন, গন্ধ, স্বাদ, স্পর্শ, ব্যথা, ভারসাম্য ও চলনে অন্যদের তুলনায় বেশি বা কম সংবেদনশীলতা, পাঁচ. বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা বা অন্য কোনো প্রতিবন্ধিতা বা খিঁচুনি, ছয়. এক বা একাধিক নির্দিষ্ট বিষয়ে অসাধারণ দক্ষতা এবং একই ব্যক্তির মধ্যে বিকাশের অসমতা, সাত. চোখে চোখ না রাখা বা কম রাখা; আট. অতিরিক্ত চঞ্চলতা বা উত্তেজনা, নয়. অসংগতিপূর্ণ হাসি-কান্না, দশ. অস্বাভাবিক শারীরিক অঙ্গভঙ্গি ও একই রুটিনে চলার প্রচণ্ড প্রবণতা। বর্ণিত প্রথম তিনটি লক্ষণের উপস্থিতি নিশ্চিতভাবে এবং পরবর্তী লক্ষণগুলোর মধ্যে যদি এক বা একাধিক লক্ষণ কোনো শিশুর মধ্যে পরিলক্ষিত হয়, তখন তাকে অটিস্টিক শিশু বা ব্যক্তি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

অটিস্টিক শিশুর মূল তিন সমস্যা :
অটিজমে আক্রান্ত শিশু বা অটিস্টিক শিশু সাধারণত যোগাযোগ ও সামাজিক আচরণে বয়সের তুলনায় অনেক পিছিয়ে থাকে। যে তিনটি প্রধান সমস্যা অটিস্টিক শিশুর ভেতর থাকে, তা হলো যথা—এক. মৌখিক ও অমৌখিক যোগাযোগে সমস্যা, সামাজিক আচরণে সমস্যা এবং পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ সমস্যা। মৌখিক ও অমৌখিক যোগাযোগে সমস্যাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলো হলো—অটিস্টিক শিশুর ভাব প্রকাশের মতো কথা বলা দেরিতে শুরু হয় বা একেবারেই অনুপস্থিত থাকে ও ভাব প্রকাশের বিকল্প উপায় এদের বিকাশ পায় না। অনেকেই কথা গুছিয়ে বলতে পারে না। একই শব্দ বা বাক্য বারবার বলার প্রবণতা থাকতে পারে। এরা কারো চোখের দিকে তাকায় না। সে ক্ষেত্রে অন্যের মুখভঙ্গি বা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে প্রকাশিত ভাব তারা বুঝতে পারে না। অনেকেই অর্থহীন কথা বলে। নিজেকে প্রকাশের জন্য যথাযথ ভাষার ব্যবহার এরা জানে না বা অন্যের ভাষা বোঝার ক্ষমতাও এদের থাকে না।

অটিজমের কারণ : অটিজমের কারণ কী—এখনো পর্যন্ত এর কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে মস্তিষ্কের কোনোরূপ গঠনগত ক্ষতি। অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক ক্রিয়া। শরীরে নিউরোকেমিক্যাল ক্রিয়ার অসামঞ্জস্যতা। শিশুর জন্মপূর্ব বা জন্মের পরবর্তীকালে কোনো সংক্রমণ, ক্রমোজমগত অস্বাভাবিকতা হতে পারে। শিশুকালীন টিকা, বিশেষ করে এমএমআর টিকা। জন্মের সময় শিশুর অক্সিজেনের অভাব। শিশুর কোনো কারণে খিঁচুনি হলে। প্রসবের সময়ে সিন্টসিনন ড্রিপ ব্যবহার। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ এবং বংশগত কারণ অন্যতম। নানা কারণ বলা হলেও এখনো পর্যন্ত অটিজমের কোনো নির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করা হয়নি। তবে কোনো কোনো চিকিৎসাবিজ্ঞানী বয়স্ক মা-বাবাকে অটিজম হওয়ার জন্য দায়ী মনে করেন।

অটিজম শনাক্তকরণ : নিম্নের বিষয়গুলো একটি শিশুর ভেতর দেখা গেলে খুব দ্রুত অটিজম বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। যেমন—শিশুর নিজের নাম শুনে না তাকালে, শিশু বাবলিং শব্দগুলো না করলে। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে কোনো কিছু পয়েন্ট করে না দেখালে। কথা বলার সময় কারো সঙ্গে আই কন্টাক্ট না করলে। কেউ কিছু দিলে সেটা না ধরলে বা ধরলেও সেটা হাত থেকে পড়ে গেলে। নিজের পছন্দের বস্তুটি নিয়ে অন্যের সঙ্গে অংশগ্রহণ না করলে। ১৬ মাসের ভেতর একটি শব্দ কিংবা দুই বছরের ভেতর দুটি শব্দের বাক্য না বললে। অর্জিত যোগাযোগ ও সামাজিক দক্ষতা যদি আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। যত দ্রুত অটিজম শনাক্ত করা যায় এবং যত তাড়াতাড়ি অটিজম আক্রান্ত শিশুকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে সম্পৃক্ত করা যায় তত দ্রুত তার উন্নতি সম্ভব হয়।

অটিজম প্রতিরোধ ও চিকিৎসা : অটিজম প্রতিরোধে জন্মের আগে প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের অটিজম বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। প্রয়োজন গর্ভাবস্থায় পরিমাণমতো পুষ্টিকর খাবার। কারণ অপুষ্টি আর প্রতিবন্ধিতার মধ্যে যে নিবিড় সম্পর্ক তা আজ গবেষণায় প্রমাণিত। অটিস্টিক আক্রান্ত হয়ে কোনো শিশু জন্ম নিলে তার প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে শনাক্তকরণ। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন নিবিড় পরিচর্যা এবং বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা। অটিস্টিক শিশুদের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশকে নিবিড় পরিচর্যা, সঠিক চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের বৃদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাদের বেশির ভাগ স্কুলে স্বাভাবিক শিশুদের সঙ্গে পড়ালেখা করতে পারে। কিছুসংখ্যক শিশুর জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষায়িত স্কুল। বাদবাকি প্রায় ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ শিশু সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরও স্বাধীনভাবে বা এককভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারে না—তাদের অন্যের ওপর নির্ভর করে চলতে হয়। তাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আজীবন ‘অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজ-অর্ডারস’ নামের প্রতিবন্ধিতা।

শেষ কথা : অটিস্টিক সম্ভাবনাময় শিশু—বেশির ভাগ অটিস্টিক শিশু অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হয়। প্রতি ১০ জন অটিস্টিক শিশুর মধ্যে একজনের ছবি আঁকায়, গানে, গণিতে বা কম্পিউটারে প্রচণ্ড দক্ষতা থাকে। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে অটিস্টিকরাও কর্মে সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রাখতে পারবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কর্মসংস্থানে অটিজম সুবিধা’। অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা, বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, আইজাক নিউটন অটিস্টিক ছিলেন। যাঁরা স্বকর্মগুণেই বিশ্বখ্যাত। এ জন্য প্রয়োজন অটিস্টিক শিশুর প্রতি সবার সহযোগিতা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি।


লেখক : প্রতিবন্ধিতা বিশেষজ্ঞ ও চেয়ারপারসন, মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন
সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ

36

আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদের ২০ নং অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এ বলা হয়েছে ‌‘পারিবারিক পরিবেশ থেকে যে শিশু সাময়িক বা চিরতরে বঞ্চিত বা স্বার্থ রক্ষায় যে সকল শিশুর পারিবারিক পরিবেশ উপযুক্ত নয় সে সকল শিশু রাষ্ট্র থেকে বিশেষ সুরক্ষা ও সহায়তার অধিকারী।’ সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেসরকারী সংস্থাগুলো সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, তাদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক বিকাশ, একাডেমিক শিক্ষার ব্যবস্থা, ভরণ-পোষণ এবং ভবিষ্যত জীবনে স্বাবলম্বী করে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ।

দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০% শিশু। তন্মধ্যে ১৫% হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত শিশু। বাংলাদেশ শিশু আইন ’১৩ এর ৮৯ অনুচ্ছেদে ১৬টি ক্যাটাগরিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুর কথা বলেছে। বিশ্ব শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে পথশিশু পুনর্বাসনের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, “আমাদের শিশুরা কেন রাস্তায় ঘুরবে? একটা শিশুও রাস্তায় ঘুরবে না। একটা শিশুও এভাবে মানবেতর জীবন যাপন করবে না।” এ লক্ষ্যে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে একযোগে পথশিশুদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করার জন্য পরামর্শ দেন। এই নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে মহিলা ও শিশু মন্ত্রনালয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটিতে একটি জরিপের কাজ করে।। পরে ২০১৬ সাল থেকে পথশিশু পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নেয়।

সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের পুনর্বাসনে সরকারী বেসরকারী সমন্বিত কার্যক্রমের মাধমে তাদের দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কতিপয় প্রস্তাবনা:

পথশিশু কারা? তাদের অবস্থা এবং পথশিশুর সংখ্যা:
ইউনিসেফ কর্তৃক পথশিশু বলতে, যে সকল শিশুর জন্য রাস্তা বসবাসের স্থান অথবা জীবিকার উপায় হয়ে গেছে তাদের পথশিশু বলে। ২০০৫ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক গবেষনায় ৪১% শিশুর ঘুমানোর কোন বিছানা নেই; ৪০% প্রতিদিন গোসল করতে পারে না; ৩৫% খোলা জায়গায় পায়খানা করে; ৮৪% শিশুর কোন শীতবস্ত্র নেই; ৫৪% শিশুর অসুস্থতায় দেখার কেউ নেই; ৭৫% শিশু অসুস্থতায় ডাক্তার দেখাতে পারে না; মাদকাসক্তির চিত্র ভয়াবহ, শিশু অধিকার ফোরামের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় ৮৫ ভাগ পথশিশু মাদকাসক্ত। ১৯% হেরোইন, ৪৪% শিশু ধূমপানে ২৮% টেবলেট, ৮% ইঞ্জেকশনে আসক্ত,; ৮০% শিশু কাজ করে জীবন টিকিয়ে রাখতে; ২০% শারিরীকভাবে নির্যাতিত হয়; ৪৬% মেয়ে শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়; ১৪.৫% শিশু সার্বিকভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ।

পথশিশুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে মতদ্বৈততা দেখা যায়। ২০০৪ সালে বিআইডিএস জরীপ বলছে ২০২৪ সালে গিয়ে দাড়াবে ১৬ লাখ। বর্তমানে এইসংখ্যা প্রায় ১৩ বলে অনেকে মনে করছেন। প্রকৃতপক্ষে কারা পথশিশু? যারা সার্বক্ষণিকভাবে পথে থাকে, খেলে, ঘুমায়, জীবিকা নির্বাহ করে তারা যদি পথশিশু হয় তাদের সংখ্যা কত হবে? এ নিয়ে একটি বাস্তবসম্মত জরীপ হওয়া সর্বাগ্রে জরুরী। অবস্থাদৃষ্টে এই স্টাডি অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে এবং নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই পথশিশুদের প্রকৃত সংখ্যা বর্তমানে কত এটা না জানলে পথশিশু কার্যক্রমের জন্য বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা তৈরি করা দূরূহ হবে

পথশিশু সংশ্লিষ্ট তথ্য সহায়ক পুস্তিকা:

পথশিশুদের জন্য সরকারী বেসরকারী কার্যক্রমগুলো কি আছে? কারা কি কাজ করছে সেটা সবার জানা থাকা দরকার। কে কি করছে এবং কিভাবে করছে? এ বিষয়ে একটি সহায়ক তথ্যপুস্তিকা থাকা আবশ্যক। সরকার এবিষয়ে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে সারা দেশব্যাপী যেসব কাজ হচ্ছে তার একটি তথ্যপুস্তিকা তৈরি করতে পারেন। ষ্ট্রীট চিলড্রেন এক্টিভিস্টস্নেটওয়ার্ক সম্প্রতি ২০১৭ সালের জন্য একটি ডিরেক্টরী প্রকাশ করেছে। কিন্তু এই তথ্য যথেষ্ট নয়। পথশিশু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যখন তার নিজস্ব সেবা সম্পন্ন করছে তখন শিশুটি পরবর্তী প্রয়োজনীয় সেবা কোথায় পাবে এসম্পর্কে কোন পূর্বধারণা না থাকায় ফলে আংশিক সেবা নিয়ে শিশুটি আবার পূর্বের জীবনে ফিরে যাচ্ছে। তাই এমন একটি তথ্যপুস্তিকা থাকা আবশ্যক যেখানে সারা দেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কোথায় কি হচ্ছে, যোগাযোগ ঠিকানা, ক্যাপাসিটি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত বিবরন দেয়া থাকবে যাতে এই তথ্যের সহায়তা নিয়ে শিশুদের সহায়তা দিতে সবাই সক্ষম হবে।

শেল্টারহোম ব্যবস্থাপনায় স্ট্যান্ডার্ড কমন গাইডলাইন এবং মনিটরিং ও সমন্বয়:
বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের নিয়ে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী শেল্টার হোম রয়েছে। কিন্তু এদের অনেকেই কোন নিয়ম মেনে চলে না। শিশু অধিকার বা শিশু সুরক্ষার বিধান মেনে এসব হোম পরিচালিত হওয়া বাঞ্চনীয়। এ সংক্রান্ত একটি মানসম্মত নির্দেশিকা তৈরি করতে পারে। সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বেসরকারী সংস্থাগুলোকে নিয়ে সবার উপযোগী শিশু হোম পরিচালনার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড কমন নির্দেশিকা প্রণয়ন করা আবশ্যক। পাশাপাশি নির্দেশিকা অনুসরন করে শেল্টার হোম পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা একটি মনিটরিং সেলের মাধ্যমে যাচাই করে দেখার জন্য সমাজসেবা এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নেতৃত্বে নেটওয়ার্ক প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠন করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে একটি সুষ্পষ্ট নীতিমালা থাকবে। প্রতিটি সংস্থা যথায়থভাবে শিশু সুরক্ষা নীতি অনুসরণ করে শিশু যত্ন নিশ্চিত করছে কিনা এটা মনিটরিং সেল কর্তৃক খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা থাকবে। মনিটরিং সেল প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিকট সুপারিশ করবে।

পথশিশু উৎসমূখ  বন্ধে ক্যাম্পেইন/ জনসচেতনতা:
পথশিশুর উৎসস্থল সমুহে ব্যাপক প্রচারনা চালানো হবে। জাতীয়ভাবে সচেতনতামূলক সাইকেল র‌্যালীর আয়োজন করে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে অর্ন্তভূক্ত করে ব্যাপক কার্যক্রম নিতে পারে। প্রতিটি শিশু স্কুল সময়ে রাস্তায় থাকতে পারবে না এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতাসহ বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা নিতে হবে। রেল ষ্টেশন, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ঘাটে বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা থাকবে। অভিভাবকবিহীন কোন শিশুকে পাওয়া গেলে ওখান থেকেই শিশুটিকে উদ্ধার করে কোন শেল্টারে পাঠাতে হবে। পরে কাউন্সিলিং সেবা দিয়ে পরিবারে যোগাযোগ করা হবে। শিশুটি ঝুকিপূর্ণ হলে কোন শেল্টারে পুনর্বাসনের জন্য প্রেরণ করা হবে।

প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী ও কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি:

প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেক বেশী সংস্থা কাজ করছে। কিন্তু ঘাটতি হচ্ছে তাদের অদক্ষতা ও অসচেতনতা। শিশুদের সাথে কিভাবে কাজ করবে, কাজ করার জন্য বিশেষ দক্ষতা, শিশু হোম পরিচালনার জন্য আবশ্যকীয় বিষয়সহ শিশু অধিকার ও সুরক্ষা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। অধিকাংশ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠণগুলো এসব না বুঝে কাজ শুরু করে আর জড়িয়ে পড়ে নানান জটিলতায়। সংগঠনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প প্রস্তাবনাসহ বাজেট প্রনয়ন, শিশু বান্ধব কাজের পরিবেশ তৈরি, কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নয়ন, পিয়ার এডুকেটর প্রশিক্ষণ, শিশু ডাটাবেইজ তৈরি, কাউন্সেলিং ও শিশু যত্ন প্রশিক্ষণ সহায়তা দিতে পারে।

মনোসামাজিক সেবা:
সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিুরা নানা প্রতিকূলতার মাঝে বেড়ে উঠে। সাধারনত: পথশিশুদের আচরন- অসত্য বলা, অতিমাত্রা আবেগপ্রবণ, নিজ প্রয়োজনে অন্যকে প্রভাবিত করা, অপরাধ করতে কুন্ঠাবোধ না করা, কাউকে সহজে বিশ^াস করে না, ধ্বংসাত্মক কাজে আগ্রহ, নেতিবাচক আচরন, খোলামেলা স্বাধীন জীবনে অভ্যস্ত, সহজে কাউকে মান্য করে না। এদের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তনে মনোসামাজিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরী। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে তাদের কাউন্সেলিং বিচক্ষণতার সাথে সম্পন্ন করা দরকার। মনোসামাজিক বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি মনোসামাজিক সহায়ক সেল গঠণ করে সেবা নিশ্চিত করা যায়। একইভাবে হোমে অবস্থানরত জটিল শিশু রেফারাল কেস নিয়ে কাজ করবে।

প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান:
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিশেষ আনন্দময় শিক্ষাদান পদ্ধতি নিশ্চিত করা আবশ্যক। বড় শিশুদের জন্য অনানুষ্ঠানিক স্বল্পমেয়াদী শিক্ষা চালু করে এই শিশুদের জন্য সময়োপযোগী বাস্তবমূখী বৃত্তিমূলক কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের পর তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। কিংবা স্বল্প সূদে ব্যাংক ঋনের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে তাদেরকে গড়ে উঠতে সহায়তা করতে পারে। শিশুদের কে শেল্টার হোম ভিত্তিক হাতে কলমে কৃষিকাজ, মৎসচাষ, পশুপালন বিষয়ে প্রশিক্ষন দিয়ে বাস্তব জীবনের জন্য প্রস্তুত করা যেতে পারে।

মাদকাসক্ত চিকিৎসা:
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকাংশ কোন না কোনভাবে মাদকের সাথে পরিচিত হয়ে পড়ে। এইসকল শিশুরা মাদকাসক্তির কারণে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিসর্জন দেয়। তাই এই শিশুদের মাদকাসক্তি চিকিৎসার জন্য প্রতিটি সেবা কেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। শিশু হোমে প্রেরণের পূর্বেই তাদের মাদকাসক্তি চিকিৎসা নিশ্চিত করা আবশ্যক।

পরিচয়/ ঠিকানা/জন্ম নিবন্ধন:
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পরিচয় ও ঠিকানা অনেক ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। অনেক সময় শিশুদের পিতামাতার নাম বলতে পারে না। সেক্ষেত্রে প্রতিটি শিশুর জন্ম নিবন্ধন জটিলতার কারণে সম্ভব হয় না। ফলে এইসব শিশু ভবিষ্যৎ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ছোট পরিত্যক্ত শিশুদেরকে কোন পরিবারের তত্ত¡াবধানে দেয়াটা আইনী জটিলতার মধ্যে পড়ে। তাই জন্মনিবন্ধন, শিশুর অভিভাবকত্ব সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে আইনী বাধাগুলো অপসারন করা খুবই অত্যাবশ্যক।

শিশুপ্রতি (টাকা) ব্যয়:
শিশুপ্রতি ব্যয় সংস্থাগুলো তার নিজস্ব নিয়মে এই ব্যয় নির্ধারিত হয়। সার্বিক বাজার ব্যবস্থা বিবেচনা করে শিশুপ্রতি ব্যয় মানসম্মত, সময়োপযোগী ও অভিন্ন হওয়া জরুরী। শিশুদের পূনর্বাসনে একই ব্যয় নীতি অনুসরন করা দরকার। খাবারের মেন্যু, শিক্ষার উপকরন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সেবা, পোশাকপরিচ্ছেদ, আবাসন ফ্যাসিলিটিজ, বিছানাপত্র, টয়লেট সুবিধাদি একই মানদন্ড বজায় রেখে ব্যয় নীতিমালা করা দরকার।

শিশুরা হচ্ছে জাতির ভবিষ্যৎ। দেশের মোট জনসংখ্যার ২৫ ভাগ হচ্ছে শিশু। এদের বড় অংশ আবার সুবিধাবঞ্চিত। পরিপূর্ণ শিশু বিকাশ ও শিশু উন্নয়ন ব্যাহত হলে জাতি মেধাশূন্য নেতৃত্ব পাবে। থেমে যাবে জাতির অগ্রগতি। তাই সকল বিষয়ে শিশুর স্বার্থ হবে সর্বোত্তম। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা একটি পৃথক শিশু অধিদপ্তর। যারা শিশুদের স্বার্থে দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ণ ও সমন্বয় করে থাকবে।

পরিশেষে বলতে চাই, সকল সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুর কল্যাণে প্রয়োজন সরকারীবেসরকারী সম্মিলিত উদ্যোগ, সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা। তবেই বাংলাদেশ একদিন পথশিশু মুক্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী রোল মডেল হিসেবে সুখ্যাতি অর্জনে সফল হবে।


সুত্র;https://www.obhijatra.com/news

37

অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়েই চলেছেন দিনের পর দিন। দিনে দুই তিনবার গ্রহণ করেন এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। পেট একটু ফেঁপে গেলে, বুকে অস্বস্তি হলে, পেট ভারি হলে, ঢেকুর উঠলে, পায়খানায় একটু সমস্যা হলে আলসারের ওষুধ খেয়ে নেন এমন মানুষ অগণিত।

বিভিন্ন আলসারের ওষুধ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়, অ্যান্টাসিড এবং পিপিআই। পিপিআই এর মধ্যে আছে ওমেপ্রাজল, র‍্যাবিপ্রাজল, প্যান্টপ্রাজল এবং ইসোমেপ্রাজল ইত্যাদি।

এই দুই ধরণের ওষুধ গ্রহণের ফলে নানা শারীরিক সমস্যা হয়। সাধারণ আলসারের ওষুধ ওমিপ্রাজল বেশিদিন একটানা খাওয়ার ফলে অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে বলে বর্তমানে প্রমাণিত হয়েছে৷

ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। কমে যেতে পারে রক্তে ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম। হতে পারে বিভিন্ন সংক্রমণ।

পেটের সমস্যায় অনেকে অ্যান্টাসিড-জাতীয় বড়ি বা সিরাপ খেয়ে থাকেন৷ অ্যান্টাসিডের বিভিন্ন উপাদান ভেদে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে৷ হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা ডায়রিয়া।

অন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অনেক উপাদানের শোষণ কমে যেতে পারে। অ্যান্টাসিড নিয়মিত খেলে কিডনি পাথরের ঝুঁকি বাড়ে। বয়স্ক ও হৃদরোগীদের জন্য বেশি ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ অ্যান্টাসিড ভালো নয়৷যেকোনো অ্যান্টাসিডই অন্য ওষুধের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে।

Source:http://www.bd24times.com.bd/bangla/2424?fbclid=IwAR3u-5IbS2fb__1P6GckuUTm4r0cwYu3K_0y-8o5Mp8lYrXvX8ObvmgAIcY[/b]

38


বীন বাজালে সিনেমায় সাপ নাচে। বাস্তবে নাচে না। সাপের কান নাই। শোনার জন্য ঘনঘন জিহ্বা বের করতে হয়।

সাপ আপনাকে আক্রমণ করবে না। আপনি যদি শব্দ করে হাঁটেন, সে বুঝতে পারে। সাপের বুকের তলায় খোলসের রঙ আলাদা। সেখানে বিশেষ স্নায়ুতন্তু থাকে। মাটির কম্পন বুঝতে পারে। আপনি কতদুরে আছেন, আপনি সাইজে কতবড়, সে বুঝতে পারে। পালিয়ে যায়।

বেলি, হাস্নাহেনার গন্ধে কখনো সাপ আসে না। কেউকেউ জীবদ্দশায় বেলি, হাস্নাহেনা গন্ধরাজের তলায় সাপ দেখেছেন হয়তো। মনে রাখবেন, সাপের ঘ্রাণশক্তি খুবই দূর্বল। সে গন্ধ পায় না।
সুগন্ধি ফুলে পোকামাকড় আকৃষ্ট হয় বেশি। পোকা খেতে ব্যাঙ আসে। ব্যাঙ খেতে মাঝেমাঝে সাপ আসতে পারে। খাবার পর মানুষের মত সাপও ক্লান্ত হয়। মানুষ খাবারের পর যেমন আয়েশ করে ঘুমায় তেমনই সাপও বেলি-হাস্নাহেনার তলায় ঘুমুতে পারে। তবে এসব গাছ যদি বাড়ির ভেতর থাকে তবে সাপ কম আসে। কারণ মানুষের উপস্থিতি তারা ভয় পায়। তবে বাড়ির সাইডে, ঝোপঝাড়ে এমন গাছ থাকলে সাপ আসা স্বাভাবিক।

একটা সাপকে মারলে তার জোড়া সঙ্গী কখনোই আপনাকে খুঁজে দংশন করতে আসবে না। সাপের স্মৃতিশক্তি খুবই দূর্বল। সাপ বাংলা সিনেমার স্বর্পরাজ শাকিব খান কিংবা নাগিন মুনমুন নয়
যে সঙ্গীহারার প্রতিশোধ নিতে ছুটে আসবে। সাপ নিম্নজাতের প্রাণি। এদেরমধ্যে রিভেঞ্জ ব্লে কিছু নাই।
কিন্তু একটা সাপ মারার পর আরেকটা সাপ প্রায়ই একই স্থানে দেখা যায়, কারণ কী?
সিম্পল। মেটিং এর সময় তাদের পার্টনার আশেপাশে থাকতেই পারে কিংবা আশেপাশে গর্ত থাকলে তার বাচ্চাকাচ্চা কিংবা আরো সাপ উঠে আসতেই পারে। সে প্রতিশোধ নিতে আসেনি বরং ভুল করে গর্ত থেকে চলে এসেছে।

ছোট সাপের বিষ নাই। কথাটা ভুল। সাপের বাচ্চাও সাপ। কেঁচোর সমান একটা কেউটের কামড়ে এক রোগীকে টানা ২৪ ঘণ্টা জীবনের সাথে ফাইট করতে হয়েছে। আইসিইউতে তিন ডাক্তার তার পাশে ২৪ ঘন্টা লড়েছিলাম। আর্টিফিশিয়াল ভেন্টিলেশন থেকে শুরু করে একাধিকবার অ্যান্টি-ভেনম দিয়েছে। সে সুস্থ হয়ে বাড়িতে গেছে। যাবার আগে ডাক্তারদের গালিগালাজ করে গেছে। ত্যাকে নাকি অনেক দামী ঔষুধ দেওয়া হয়েছে। সে জানে না, একডোজ অ্যান্টিভেনমের দাম ১০ হাজার টাকা। লজিক্যালি লোকটার দোষ নেই। সে ছিল জেলে। দিনে হয়তো এক দেড়শ টাকা তার ইনকাম।
রাতে যারা বাজার থেকে অন্ধকারে ঘরে ফেরে তাদের এবং জেলেদের সাপ বেশি কাটে।
জেলেরা বর্ষায় রাতে আইল বরশি ফেলে, জাল ফেলে মাছ ধরে। নদী বা নালায় মাঝ ধরে। সাপ শুকনো ভেবে সেখানে থাকে। কামড় দেয়।

সিনেমা বলে, সাপ দুধ খায়। গরুর দুধ খেতে গোলাঘরে হানা দেয়। ভুল কথা। এসব সাপ পোকামাকড় খায়। কালো রঙ্গের দাড়াশ সাপ দেখি, এরা আমাদের উপকার করে। ফসল বাঁচায়। এদের না মারা উত্তম।

সাপে কাটলে ব্লেড দিয়ে কেটে দিলে বিষ বের হয়ে যায়। কথাটা ভুল। ভুলেও এই কাজ করবেন না। ব্লেড দিয়ে কাটলেন তো বিষকে রক্তের সাথে নিজহাতে মিশিয়ে দিলেন।

দশন করা সাপকে উল্টোকামড় দিলে বিষ ফেরত চলে যায় সাপের ভেতরে। কথাটা ভুল। পায়ে কাটলে বিষ সেখানে। আপনার মুখের দাঁতে তো বিষ নাই। কীভাবে ফেরত দিবেন?
সাপের বিষ তার দাঁতে থাকে না। সে যখন কামড় দেয় তার মুখের পেশিগুলো টানটান হয়ে যায়। দাঁতের কাছেই ঠাকে বিষধর। সেখান থেকে বিষ দাঁত বেয়ে আপনার শরীরে প্রবেশ করে।

শক্ত করে বাঁধলে বিষ ছড়াতে পারে না এমন ধারনা ভুলে যান। আপনি নিজেও নিশ্চিত না সাপটা বিষধর ছিল কি না, তাহলে শক্ত করে বাঁধবেন কেন?
অনেক ডাক্তার সাপে কাটার পর বাঁধতে নিষেধও করেন। কারণ এতে হিতে বিপরীত হয়।
ফুটবলের অ্যাংলেট পায়ে দিলে যেমন আটসাট হয়ে থাকে এমন ভাবে গামছা বা শার্ট বা শাড়ি দিয়ে দংশনের কিছু উপরে পেঁচিয়ে নিতে পারেন। বাঁধন অবশ্যই ঢিলা রাখবেন। দুট আঙ্গুল ঢোকে এমনভাবে ঢিলা করবেন। আবার খুব ঢিলাও না। ২০ মিনিট পরপর খুলে আবার লাগাতে পারেন। ভুলেও লোহার তার, সুতলি, কারেন্টের তার বা অন্য সরু জিনিস দিয়ে বাঁধবেন না। বাঁধলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে হাতে-পায়ে পঁচন শুরু হবে। চিরতরে হাত বা পা খোয়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। হয়তো আপনাকে বিষধর সাপ কাটেই নি অথচ আপনি ভয়ে গিট্টু দিয়ে হাত পা পঁচিয়ে পঙ্গু হয়ে গেলেন। কেমন হবে?

সাপ কাটলে কিন্তু আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট খুলে ফেলবেন। কিছু সাপের বিষে আপনার আঙ্গুল, হাত বা পা ফুলে যেতে পারে। আংটি বা চুড়ি থাকলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে পঁচন ঘটতে পারে।

সাপ কখন দংশন করে?

১। যদি ভুলে আপনার মুখোমুখি হয় সে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু সে নিজে ভয় পেলে হিংস্র হয়। সব প্রাণিই এমন। মুরগীরও মাঝেমাঝে মানুষকে ঠোকর দেয়। সামনে সাপ পড়লে তাকে চলে যেতে দিন।

২। বর্ষাকাল মানেই হাসপাতালে সাপে কাটা রোগী। বর্ষায় গর্তে পানি উঠে যায়। ফলে সাপ ডাঙ্গায়, শুকনো জায়গায় উঠে আসে। সেটা ক্ষেতের আইল, রাস্তা কিংবা আপনার ঘরের তোশকের তলা, বালিশের তলা, আলনার ভেতর, কাঠের স্তুপ যেকোন জায়গাতেই আসতে পারে।

৩। অন্ধকারে সাপের শরীরে পা পড়লে। জঙ্গলায় ভুলে তার শরীরে পা পড়লে কামড় দেয়।

৪। ইদুরের গর্তে সাপ থাকলে সেখানে পা রাখলে বা বসে থাকলে কামড় দিতে পারে। বাচ্চা ছেলেরা মাঝেমাঝে বসে গর্তের মুখে প্রস্রাব করে। সন্তানকে শিক্ষা দিন। এই কাজ যেন না করে।

সব সাপ বিষাক্ত?
বাংলাদেশে ৮০ ধরণের সাপ আছে। মাত্র ২৭ তা বিষাক্ত।
আপনার চোখের সামনে নিয়মিত যাদের ঘোরাফেরা দেখেন, তারা বিষাক্ত নয়। পানির সাপ অধিকাংশই বিষাক্ত নয়। তবে সামুদ্রিক সাপ সবাই বিষাক্ত।

যদি চেনেন তবে বলি গোখরা, কালকেউটে, শঙ্খচূড়, চন্দ্রবোড়া বিষাক্ত।

সাপে কাটলে বুঝবেন কীভাবে?

দংশন করেছে এমন মনে হবার পর যদি সরাসরি সাপ দেখেন, তাহলে ভাবতে পারেন সে আপনাকে দংশন করেছে।

একবার এক ছেলে হাসপাতালে আসল। মাটির ঘরে অন্ধকারে হেলান দিয়ে ছিল। পীঠে সাপ কেটেছে। সারাদিন হাসপাতালে আমাদের অবজারভেশনে ছিল। রাতে রিলিজের আগে খবর আসল, যেখানে হেলান দিয়ে ছিল, সেখানে কে যেন তারকাটা পুতে রেখেছিল। পীঠে লেগে তারকাটা দেয়ালে ঢুকে যায়। খোচা লাগাকে সাপে কাটা ভেবে সে হাসপাতালে আসে। ২৪ ঘণ্টা ভয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঘরে ফেরে সুস্থ অবস্থায়।

বিষাক্ত সাপে কাটলে বোঝা বেশ সহজ।

১। শিকারি পশুর মত সাপের দুটো দাঁত বড় থাকে। বাঁকানো। দংশন করলে গভীর ক্ষত হয়। দুঁটো দাঁতের অস্তিত্ব থাকলে ধরে নিতে পারেন, আপনাকে বিষাক্ত সাপ দংশন করেছে।
২। যদি অনেকগুলো দাঁত থাকে, সেখানে মাংস তুলে নিলেও ভেবে নিতে পারেন এটা ছাগলের মত। অনেক দাঁত কিন্তু বিষদাঁত নাই। আপনার কিছু হবে না।

৩। সাপের বিষ কয়েক ধরণের। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে নিউরোটক্সিন রিলিজ করা সাপের কামড়ে। এক্ষেত্রে ঝিমঝিম লাগবে। চোখে ঝাঁপসা দেখবে। চোখের উপরের পাতা নেমে চোখ অংশিক বন্ধ হয়ে যাবে। মাথা ঝুলে যাবে। জিহ্বা ও শ্বাসনালী ফুলে যাবে। শ্বাস নিতে পারবে না। মুখে লালা ঝরবে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। বমি করতে পারে।

আরো নানাবিধ লক্ষণ আছে।
চন্দ্রবোড়া কামড় দিলে লোহিত রক্তকনিকা ভেঙ্গে যায়। ফলে রক্তবমি, রক্তপায়খানা হতে পারে। কামরের জায়গায় রক্ত ঝরতে পারে। ফুলে যেতে পারে, লাল হতে পারে। ফোস্কা পড়তে পারে। কালোও হতে পারে।
কিছু সাপের কামরে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারাও যেতে পারে।

সাপে কামড়ে সিনেমায় গড়াগড়ি দেখেন, বিষের কারণে চেঁচামেচি দেখেন। এগুলো অভিনয়। সাপ্র বিষ নিয়ে একটা প্রবাদ আছে, কেমন ব্যাথা বুঝিবে সে কীসে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে... এইসব ভুলে যান। সাপে কাটা মানুষ খুব স্বাভাবিক থাকে শুরুতে। কোন ব্যাথা নাও থাকতে পারে। এমনকী মৃত্যু ঘতার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কোন ব্যাথা নাও বুঝতে পারে।

চিকিৎসা?
একদম ঘাবড়াবেন না। বেশি ঘাবড়ালেই বিষ বেশি ছড়াবে।
সাপেকাটা জায়গা ধুয়ে ফেলুন সাবান দিয়ে।
কাটবেন না ব্লেডে।
চুষে রক্ত বের করবেন, এমন চিন্তা ভুলে যান।
যেখানে কামড়াবে সেখানকার নাড়াচাড়া বন্ধ। হাতে কামড়ালে হাত নাড়ালে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে যায়। হাত একদম নাড়াবেন না। পায়ে কামড়ালে হাঁটবেন না।
সাপেকাটা স্থানে ভুলেও অ্যাসিড ঢালবেন না। মরিচের গুড়ো দিবেন না। কার্বলিক অ্যাসিডে ঝলসাবেন না। কোন ফলের বীজ, সর্পরাজ তেল, গুটি, আটি, বড়ি, তাবিজ কিছুই লাগাবেন না।

সাপটাকে পারলে চিনে রাখুন। ডাক্তারকে বললে চিকিৎসা পেতে সুবিধা হবে। তবে ধরে যাবেন না। পারলে মেরে ফেলুন। জীবিত ধরে ওঝার কাছে যাবেন, এমন চিন্তা থাকলেও ঝেড়ে ফেলুন। ওঝা সাপের বিষ নামাতে পারে না। ওঝারা অনেক রোগী ভালো করে। যেগুলো আসলেই বিষাক্ত সাপের কামড় ছিল না। বিষ্কাত হলে এরা রোগী রেফার করে। হাসপাতালে অনেক পাওয়া যায়, যারা একেভবারে শেষ মুহুর্তে আসে। ওঝার কাছে গিয়ে জীবন খুইয়ে ফেলার পরিস্থিতি তৈরি করে আসে।

বিষাক্ত সাপে কাটলে আপনি বাঁচতে পারেন একটামাত্র পথন অনুসরণ করলে। সেটা হল- দুনিয়ার কারো মতামত নিবেন না। সরাসরি হাসপাতাল যাবেন।

সাপে কাটলে এক সেকেন্ড সময় নষ্ট না করে সরকারি বড় হাসপাতালে যান। শঙ্খচূড় বাদে সব সাপেরই বিষের অ্যান্টিভেনম আছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চিকিৎসা শেষে ফিরে আসবেন।

যদি বুঝে ফেলেন, সাপতা বিষধর নয়, তাহলে কী করবেন?

তবুও হাসপাতালে যাবেন। ভর্তি হয়ে প্রয়োজনে বিছানায় ২৪ ঘন্টা বসে থাকবেন। তবুও হাসপাতালে যাবেন।

কার্বলিক অ্যাসিডে সাপ পালায়?

সাপের ঘ্রাণ শক্তিই এত দূর্বল যে ফুলের গন্ধেও আসে না, তাহলে কার্বলিকে সাপ পালাবে কে বলল আপনাকে?
এসব সেইফটি এককালে প্রচলিত ছিল। এখন ব্যর্থ টোটকা।

বাড়িতে খড়ের গাদা, লাকড়ির স্তুপ থাকলে আপনার মা বা স্ত্রীকে সতর্ক করে দিন। খড় বা লাকড়ি নেবার আগে সেখানে লাঠি দিয়ে কিছুক্ষণ শব্দ করুন। সাপ থাকলে চলে যাবে।
রাতে বিছানা এমনকী বালিশের তলাও চেক করবেন। আলনার ভেতরে থাকতে পারে। শব্দ করে কাপড় নিতে যাবেন।

বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় থাকলে কেটে ফেলুন। ঈদুরের গর্ত থাকলে ভরাট করে ফেলুন।
অনেকেই বলেন, মরিচপড়া দিয়ে ইদুরের গর্তের মুখে ধরলে সাপ চলে যায়। এ ব্যাপারে আমার জানা নাই। অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিতে পারেন।

বর্ষাকাল এসেছে। এখন সাপ আপনার বাড়িতে-ঘরে আশ্রয় নিতে আসতেই পারে। সাবধান থাকুন। অন্যদের সতর্ক করে রাখুন। গ্রামের আপন মানুষদের (বাবা-মা, বউ-বাচ্চা-বন্ধু) সাপের ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে রাখুন।
সতর্ক থাকবেন-ভয় পাবেন না-অবহেলা করবেন না।


Source: https://www.facebook.com/esobagan/photos/a.2136517466566832/2397841747101068/?type=3&theater

39
The true Art in Giving is to give from the heart without any expectation of a return

True giving comes from the same place inside you as your deepest happiness. They are inexplicably intertwined. A gift is something that is enjoyed twice. First by the giver who revels in the pleasure of giving something special and then also enjoyed by the person who receives the gift. A very special form of giving takes the form of small, personal acts of kindness. Very often it is not money or belongings that people need, it's the things that can't be seen, such as advice reassurance, a kind word, compliments or a smile.

The act of giving doesn’t have to be limited to an exchange of presents at Christmas time or Birthdays. You can treat every person you come into contact with as someone who you can give a gift to. You may be a bit skeptical, wondering what exactly do you have to give? Everybody has something of value for another person. It could be a kind word, a simple smile, some appreciation, the sharing of some special knowledge, even a helping hand or a bit of support during a difficult emotional time.
                                 
Since May 2013, ‘Art of Giving’ has been constantly. Spreading happiness amongst the underprivileged. The new initiative Bag of Happiness gives the experience of “Learning - a lifelong process”. Keeping up with the values of education this years. Theme for the International Day of Art of Giving is #Bag Of Happiness knowledge and an individual acquisition of knowledge. Bags carry books and books carry knowledge to unlock happiness. Giving is happiness, isn’t it? This one-day initiative helps creates the much needed awareness to establish the fact that learning indeed is a lifelong constant process. “Bag of happiness” will be the enabler to such acause.
This 17 May, International Day of Art of Giving, AOG community all over Odisha, India, Bangladesh and the world shall give a bag of happiness to those who can’t afford it or those who can afford it but are not buying it. The people inspired by AOG and the philosophy of Dr. Achyuta Samanta, its Founder and promoter, shall join hands to spread happiness by distributing “Bag of happiness” to their capacities and mobilizing contributions from the like-minded people.

You have something to give everyone. The act of true giving is something wonderful and amazing. With most things in this world, there is only a limited amount of what you can give away. Fortunately, generosity and kindness are not bound to these same material limitations. One of life’s most basic laws is "every single act of love, kindness and generosity will multiply and return to you many times over ". The more you give the happier you will feel. Many thousands of years ago a great sage in Babylon said "The reward of charity depends entirely upon the extent of the kindness in it."

It is one of life's wonderful paradoxes that you limit the power of your giving by having an expectation of getting something in return. When you give without any thought or desire for something back, your returns will be truly limitless. Your life is like a river of energy, continually flowing. What happens when a river stops moving? It get very muddy, and stagnant. A fast flowing river is full of life and clear water. Where would you rather drink? The acts of giving and receiving are a continuous process of circulation that continues the flow of your life’s energies. For one person to receive someone else has to give. It’s a cycle of energy that flows continually on wards.
Pause for as moment as you read this, and take a big, deep breath. Hold it for as long as you possibly can. As you hold it inside, notice how uncomfortable you begin to feel when you are holding on to something that is meant to be released.

Now, breath out, completely and hold your breath with your lungs fully emptied. Feel how uncomfortable you feel when you are resisting taking in something that you need.

40



If we want to know that How much Meena Cartoon was Popular? then we have to say yes! Undoubtedly Meena Cartoon was popular. It was popular not only for the children but also for people of all ages. Meena Cartoon was is a tool for Development Communication Initiative for the society. Since contemporary issues have been highlighted in this cartoon very easy and creative way, so this cartoon has gained more popularity. Earlier, in other cartoons, things were not presented as well.

When this question will come that Whether the subject matter was correct or not. then we should say that, Basically Meena is used as a tool to impart almost all important messages on gender, child rights, education, protection, menstrual hygiene, mental health, environmentalism, body positivity or even the drawbacks of the education system and development etc. Beside this,  the Meena stories presented many positive images of a girl succeeding against odds to gain equal treatment, love, care and respect in this society. Since every single subject is related to the progress or awareness and this cartoon is also a tool for developing the Communication system, so, we can say that the subject matter of the Meena cartoon was absolutely correct.

In the future, which characters are we want to see inside her once again then we can say that, Earlier Meena Cartoon  was very related contemporary worries and social prejudices but having passed time, we have encountered some serious problems. So, we wanna see Meena to fight against social prejudice, media rumors, false propaganda, violence against womanhood, comments towards girls costume, addiction towards social network, moreover attitude towards girls in public places.

We are facing a lot of problems even in this century of modern Information Technology and there has a general lack of awareness about social discrimination and other problems. Not just in villages but also in the cities we can see the same problems. Among contemporary problems, some are Significance like Disaster management, Road Accident, Fire caught etc Another serious problem is the Eve-teasing. We still can not ensure the safety of the girl child. So in the near future we want to see Meena such a character so that she will be able to unfold the path of the solution on these problems in a very positive way.

41

২০১৮ সালের ২ এপ্রিল “বিশ্ব অটিজম দিবসে’’ বাংলাদেশের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলায়, মুন্নি সাহার উপস্থাপনায় প্রচারিত হয়েছিল “অটিজমঃ তোমার না আমার” শীর্ষক অনুষ্ঠানটি । অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফারজানা নাজনীন ঝর্ণা বয়স ৩৭, একজন সাহসী মা, যার তিনজন বাচ্চাই অটিজমে আক্রান্ত। তীব্র মনোবলসমন্ন এই মা নিজের যোগ্যতা এবং দক্ষতার দিক দিয়ে অন্য কোন মায়ের চেয়ে কোন অংশেই কম তো নয় ই বরং অনেকাংশেই অসাধারন।
সেদিন তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন তার জীবনের করুন এবং কঠিন পরিস্থিতি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য। পারিবারিক এবং সামজিক প্রতিকূলতা পেরিয়েও উনি জীবনে যে চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছিলেন, সেটা অন্য দশের পক্ষে বলতে গেলে অসম্ভব। তিনি সেদিন অসীম সাহসে দেখিয়ে দিতে পেরেছিলেন, সমাজের প্রতিটি মায়ের অসামান্য অবদানকে, এবং আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধকে। সেদিনের সেই অনুষ্ঠানে তিনি শুনিয়েছিলেন তার জীবনের করুন গাঁথা। তিনি চেয়েছিলেন সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে আসুক। যাতে করে তার তিনজন বিশেষ শিশুসহ সমাজের অন্যান্য ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারেন। তারা যেন  তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, আর দশটি সাধারন শিশুর মত তারাও যেন সমাজে সকলের সহযোগিতা পায়। একটি বাচ্চাও যেন অবহেলিত না হয়।
 
সেই একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল গ্রুপের সম্মানিত চ্যেয়ারম্যান ডঃ মোঃ সবুর খান। একজন সফল উদ্যোক্তা এবং আইটি প্রফেশনাল হিসেবে যিনি সমাজে প্রতিষ্ঠিত। দেশে, তথ্য প্রযুক্তি ও শিক্ষার পাশাপাশি যিনি চিকিৎসা সেবা বিস্তারেও নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। সমাজে উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে যার অবদান অসামান্য।  ফারজানা নাজনিন ঝর্নার আর্তিতে স্বপ্রনোদিত ভাবে এগিয়ে আসেন তিনি। বাড়িয়ে দেন সযোগিতার হাত। ফারজানা নাজনীনের করুন এবং কঠিন জীবনের মাঝেই খুঁজে পান, উদ্যম এবং সাহস। নিজ হাতে তুলে নেন বিরাট এক দায়িত্ব।
সেখান থেকেই শুরু হয় নাজনীনের উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প। নাজনীনের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সম্পূর্ন ব্যক্তিগত অর্থায়ন এবং সহযোগিতায় গড়ে দেওয়া হয় “ট্রিপল স্টার স্পেশাল স্কুল” নামে একটি বিশেষ শিশুদের স্কুল। যেখানে নাজনীনের তিনজন বিশেষ শিশু সহ এ মুহূর্তে আরো প্রায় ১০ জন বিশেষ শিশু রয়েছে। তারা সেখানে সম্পূর্ণ পারিবারিক পরিবেশে লেখাপড়ার পাশাপাশি, খেলাধূলা, সঙ্গীত এবং অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রম উপর এর প্রশিক্ষন নিতে পারছে। এতে করে সমাজের অন্যান্য সাধারন শিশুর মত তাদেরও মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ ঘটছে।

২০১৮ সালের ২ এপ্রিল নাজনীন ছিলেন কিছুটা হতাশ। তিনি তার সন্তানদের সুন্দর আগামী নিয়ে সংশয়ে ছিলেন। ঠিক একবছর পরে এসে উনি নিজের অসামান্য মনোবল, কঠিন প্রত্যয় এবং দৃঢ় উদ্যমের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। নিজেকে পরিচিত করেছেন একজন উদ্যোক্তা হিসেবে। আগামী ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম দিবসে, সমাজ তাকে একজন সফল মা এবং একই সাথে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে চিনে নেবেন। যিনি বর্তমানে “ট্রিপল স্টার স্পেশাল স্কুল’’ এর কর্ণধার ।

এই স্কুলের সার্বিক সহায়তায় রয়েছে ড্যাফোডিল গ্রুপ। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সমাজে একজন সাহসী মা হিসেবে ফারজানা নাজনীনের মুখে হাসি ফোঁটাতে পেরে এবং তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পেরে আমারা ড্যাফোডিল গ্রুপ সত্যিই আনন্দিত। আমরা কথা দিয়েছিলাম, কথা রাখতে পেরে আমরা মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট  আমরা কৃতজ্ঞ।

https://www.facebook.com/Triple-Star-Special-School-773937419629035/

42

আমরা জানি, বাংলাদেশ হলো একটি মধ্যম আয়ের দেশ। দেশের বড় বড় শহরগুলোর বস্তি, পার্ক, ফুটপাত, লঞ্চঘাট সমূহে রয়েছে ছিন্নমূল মানুষের বসবাস, যেখানে তারা মৌলিক চাহিদা বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ লোকের বয়স ১৮ বছরের নিচে।  আবার এদেরই একটি বিরাট অংশ সুবিধাবঞ্চিত শিশু। যারা কিনা বেড়ে উঠছে অবহেলা আর ঘৃনা নিয়ে, যাদের নেই কোন সামাজিক নিরাপত্তা এবং যারা একই সাথে বঞ্চিত হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়, সুশিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা থেকে।
অভিভাবকহীন এইসব শিশু সমাজের বিভিন্ন বৈষম্য এবং অবিচারের শিকার। এক ধরণের ভারসাম্যহীনতা ও অসঙ্গত জীবনবোধ নিয়ে বেড়ে উঠা এই শিশুরা তাদের নিজেদের পরিবারে, কর্মস্থলে, পথে কিংবা রাত্রিযাপনে বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।  একশ্রেনীর মানুষ তাদের এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে ব্যবহার করছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে।  ফলে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে এইসব শিশুদের সাধারণ বিকাশ, লঙ্ঘিত হচ্ছে শিশু অধিকার, এবং এরা ক্রমাগত ধাবিত হচ্ছে অন্ধকার ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনে।  এইসব শিশুদের প্রায় ৮৫ শতাংশ যুক্ত হয়ে পড়ছে মাদকাসক্তে। অন্ধকার বিভীষিকাময় জীবন তাদের হাতছানি দিচ্ছে।
তাই এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য একটি বিরাট সামাজিক সমস্যা ও হুমকী।  আর এই সমস্যার উৎপত্তির মূল কারণ হলো ক্ষুধা, দারিদ্রতা, জনসংখ্যার আধিক্য, বেকারত্ব আর শিক্ষার অভাব।  বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা “একটি শিশুও রাস্তায় থাকবে না”।  জাতীয় শিশুনীতি  ২০১১ এর ৬.২.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “পথশিশু সহ স্কল দরিদ্র্য শিশুর পুনর্বাসন ও যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সম্প্রসারিত করতে হবে”। আন্তর্জাতিক শুশু অধিকার সনদের ২০ নং অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এ বলা হয়েছে “পারিবারিক পরিবেশ থেকে যে শিশডিসাময়িক বা চিরতরে বঞ্চিত বা স্বার্থ রক্ষায় যে সকল শিশুর পারিবারিক পরিবেশ উন্মুক্ত নয় সে সকল শিশু রাষ্ট্র থেকে বিশেষ সুরক্ষা ও সহায়তার অধিকারী”। জাতীয় শিশুনীতি ও শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নে সরকারে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ড্যাফোডিল পরিবার এই সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, তাদের শারীরিক , মানসিক ও নৈতিক বিকাশ, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা, ভরণ-পোষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে গড়ে তুলছে “ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্সেস-ডিআইএসএস”

ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় ৪০০০ হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রতিষ্টিত হয়েছে ডিআইএসএস। এখানে ছেলেমেয়ে উভয়েই সমান সুবিধা ভোগ করবে। সমন্বিত সেবার আওতায় এইসব শিশুদের পারিবারিক স্নেহে, আদর্শ সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যেখানে থাকছে বিনামূল্যে খাদ্য, আবাসন, শিক্ষা, ও চিকিৎসা সুবিধা। যাদেরকে সহযোগিতা করার কেউ নেই, তাদের জন্য রয়েছে ডিআইএসএস শিশু হোম। আপনাদের সকলের সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য। সকলের মিলিত প্রেচেষ্ঠাই পারে সেই সকল শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর করতে এবং সমাজ থেকে ক্ষুধা ও দরিদ্রতা দূর করতে। তাই আপনার সামান্য সহযোগিতায় বদলে যেতে পারে একজন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর আগামী।

43
Common Forum/Request/Suggestions / A Special session with Action Aid
« on: October 14, 2018, 01:34:17 PM »

          Have we ever thought how much lucky we are in contact with our parents? Maybe somebody never thought that way! Once you can realize from the core of your heart that how lucky we are.

In this world people are not poor due to lack of resources. People are in need of lack of affection or lack of love. People feel inadequate due to lack of affection in this earth. Most of those who are captives in this frame are not lucky like us! For some reason they are far away from their parents. So their place is today in some Shelter Homes in our country. There is no roof named love on their heads. What a brutal maze of luck! Is not it? Yet everyone is studying in their own efforts, trying to do something by himself.

Daffodil Institute of Social Sciences (DISS)
wants to do something to make the path smooth on their life. To that end, we have taken initiatives to work with a variety of professional training and workshop to increase efficiency of their skills.
Not only training and workshops, but to be established as a good human being in society, everything steps will be taken by skill.jobs.
In order to illuminate themselves as well as to enlighten themselves, they can enlighten society as well.

Thanks to Mr Md Sabur khan Sir, The Chairman of Daffodil Family for taking such a time-consuming initiative.


44
একজন সাহসী মায়ের গল্প

নামঃ ফারজানা নাজনীন ঝর্ণা
বয়সঃ ৩৮ বছর
পেশাঃ গৃহিনী




"নাজনীন" একজন অপরাজেয় সাহসী 'মা'। পৃথিবীর সকল মায়েরাই অপরাজেয়। অদম্য। তবুও কারো কারো সংগ্রাম চোখে পড়ার মত। বিয়ের পর প্রথম সন্তানের জন্য অপেক্ষা প্রতিটা দম্পতির কাছে অধীর আগ্রহের এবং অসীম ধৈর্যের বিষয়। নাজনীন-কামরুল দম্পতির প্রথম সন্তান পৃথিবীতে যখন এলো ঠিক তখনো তাদের জানা নেই, নিয়তি কতটা নির্মম রুপ ধারন করে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সন্তান জন্মের ঠিক ছয় থেকে সাত মাস পরেও যখন আরো দশজন বাচ্চার মত তাদের প্রথম বাচ্চাটি স্বাভাবিক আচরন করছিলো না, তখন মায়ের মনে এক আশংকার জন্ম নেয়। ডাক্তার দেখিয়ে উনারা নিশ্চিত হন যে তাদের প্রথম বাচ্চাটি "স্পেশাল চাইল্ড" অটিজমে আক্রান্ত। মায়ের সংগ্রাম শুরু হয় সেখান থেকে সেদিন থেকেই। মেয়েটা বড় হতে থাকে। স্বাভাবিক আচার আচরন বলতে যা বুঝায় সেটা একজন স্পেশাল চাইল্ড বা প্রতিবন্ধী বাচ্চার কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব  নয়। তবুও 'মা' অপেক্ষা করে থাকেন প্রতিটা সকাল, কোন না কোন একদিন মেয়েটা 'মা ডেকে ফেলবে। হয়তো তার কাছে নিজের ভাষায় কিছু আবদার করবে। জগতে এই আকুতি কাছে অন্য যে কোন আকুতি হার মানে। দিন কেটে যায় কিন্তু প্রতিক্ষার অবসান হয় না। মেয়েটার কোন স্বাভাবিকতা চোখে পড়ে না অভিবাবকদের। এভাবেই কাটে আরো সাত বছর। এই সাত বছরে নাজনীন "মা" ডাক শুনতে পান নি। অথচ তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে সাহসী একজন মা। প্রথম বাচ্চা জন্মের ঠিক সাত বছর পর নাজনীন আবার সন্তানসম্ভবা হন। জানতে পারেন, জমজ কন্যার জন্ম দিতে যাচ্ছেন। একদিকে খুশি, আর অন্য দিকে ভয় তাকে ঘিরেই থাকে। সৃষ্টিকর্তার কাছে তার একটাই চাওয়া তখন, যেন তিনি সুস্থবাচ্চার জন্ম দিতে পারেন। যথাসময়ে ফুটফুটে দুটো মেয়ের জন্ম হলো। স্বাভাবিক, সুন্দর, পবিত্র মুখ। বাচ্চারা ফেরেশতাতুল্য। প্রথম বাচ্চাটির মুখ থেকে 'মা' ডাক শুনতে না পারার যে কষ্ট সেটা হয়তো কখনো পুরোপুরি দমে যাবে না, কিন্তু নতুন আশা উঁকি দেয়। এই দুই শিশুর মুখে তো "মা", ডাক শোনা হবে, যদি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা হয়। সব সহজ স্বাভাবিক চলতে থাকে। দু' তিন বার ডাক্তারের কাছে বাচ্চাদের রুটিন চেক-আপের জন্য নেওয়া হয়। ডাক্তার বলেন সব ঠিকই আছে এবং বাচ্চাগুলো স্বাভাবিক। ভয়ের কারন নেই। এই দুজন শিশুর আগের বাচ্চাটির মত স্পেশাল চাইল্ড হবার সম্ভাবনা নেই। এর ঠিক মাস তিনেক পর নাজনীন দম্পতির সন্দেহ হতে থাকে। বাচ্চারা স্বাভাবিক নয় বলে তাদের  মনে হতে থাকে। জন্মের এক বছর পরও বাচ্চারা সামান্য শব্দ বাদে অন্য কোন বিশেষ শব্দই ব্যবহার করছে না এবং যেহেতু এ বিষয়ে উনাদের পূর্বাভিজ্ঞতা রয়েছে তা থেকে উনি আবারও ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেন। পরীক্ষা নিরিক্ষায় জানা গেলো,,, এই দুই জন জমজ সন্তানও আগের জনের মতই অটিস্টিক বা স্পেশাল চাইন্ড এক কথায় শারিরীক এবং মানসিক প্রতিবন্ধী। আকাশ মাথায় ভেঙে পরলে কেমন অনুভূতি হবে তা কারো জানা নেই। তাদের মনের অবস্থা তখন কেমন হয়েছিল যখন তারা আরো একটি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হলেন, তা একমাত্র আল্লাহ্ই জানেন।

সময় গড়িয়ে যাচ্ছে।
উনার প্রথম কন্যার বয়স এখন ১৪ বছর।
নামঃ হৃদি।
পরের দুইজন জমজ কন্যার বয়স ৭ বছর,
কি সুন্দর দেখতে কি ফুটফুটে বাচ্চা গুলো।
নামঃ রথি ও হৃথি।
তিনজন সন্তানের মা হবার পরও একবারের জন্যও ''মা" ডাক শুনতে না পারার যে কষ্ট, এটা সেই মা ব্যতীত জগতের অন্য আর কারো পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। কখনোই না।
আমি নিজে গিয়ে দেখেছি, মহিলা কি পরিমান অসীম সাহসিকতায় তিন তিন জন অটিস্টিক বাচ্চার সম্পূর্ন লালন পালন করছেন। কতখানি ধৈর্য থাকলে এটা সম্ভব তা আমাদের মত সাধারনের পক্ষে উপলব্ধি করা অসম্ভব। প্রথম যেদিন আমি উনার বাসা থেকে ঘুরে এলাম, সাথে মিডিয়া ল্যাবের "মৌ" আপু। আমরা উনার এই সাহসী এবং সংগ্রামী ভূমিকার উপর একটি ছোট্ট ডকুমেন্টারি তৈরির কাজে গিয়েছিলাম। সেদিন ফেরার সময় নিজেকে খুব ই তুচ্ছ মনে হচ্ছিল, সামান্য কষ্টেই আমরা কত কাতর হয়ে যাই। অথচ এই মহিলা, জগতের সকল কষ্টই একা ধারন করে বসে আছেন।   

আমরা তার ধৈর্যের কাছে মাথা নত করি।
তার সংগ্রামকে আমরা সালাম জানাই।
তার সাহস এবং অভিজ্ঞতাকে আমরা সম্মান করি।

সৃষ্টিকর্তা কোন একদিন নিশ্চই তার মনের আকুতি শুনবেন। নাজনীন তার সন্তানদের কাছ থেকে অবশ্যই একদিন "মা" ডাক শুনতে পারবেন। তার সন্তানেরা আবদার করে একটি খেলনা হলেও দেখিয়ে বলবে এটা তাদের চাই..... আমরা সেই প্রর্থনা করি।

আশার বিষয় হচ্ছে, এমন একজন সাহসী মায়ের সাহসিকতা এবং অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে ড্যাফোডিল পরিবারের সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সবুর খান স্যার মিস নাজনীনকে উনার নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে " থ্রি স্টার স্পেশাল স্কুল" (যেখানে অটিস্টিক বাচ্চারা শিক্ষা সুবিধা সহ অন্যান্য সুবিধাপ্রাপ্ত হবে) নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করার যাবতীয় অর্থ সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।
তারই ফলশ্রুতিতে গত পরশুদিন মিস নাজনীনের হাতে "ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্সেসেস" এর পক্ষ থেকে তার স্কুলের দুই মাসের ভাড়া বাবদ নির্ধারিত পরিমান অর্থের চেক প্রদান করেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ জনাব  হামিদুল হক খান স্যার।

খুব শীঘ্রই আমরা নাজনীন ঝর্নার স্পেশাল স্কুলের সচিত্র প্রতিবেদন আপনাদের সামনে নিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ! আমরা আশাবাদী একজন সফল, সংগ্রামী মা একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

(প্রতিবেদন তৈরিতেঃ  Farhana Haque)

45
A story behind "Triple Star Special School"

Name: Farjana Naznin Jhorna
Age:38
Occupation : Housewife


"Ms. Naznin" An Invincible courageous mother. I think, all the mothers are Invincibles.
indomitable. Nevertheless some body's struggle is distinctive. After marriage, every couple waits awaitly for their first issue (child) and they have to undergo with great patience. Naznin-Kamrul couple got their awaited child for the time being but they didn't know their first child would be special child, retarded one & they experienced the harsh reality. l After having birth from 6/7 months , when their child was not responding like another children, then a doubt sorrounded on her mind. Moreover her child was not behaving like usual children. Doctor ensured that their child is ' Special child' that was affected. From that time the mother's struggle has been initiated. That female child was growing up. She realised that its behaviour would be different like autistic.
Nevertheless mother waited for hearing the sweet call " mother" in a golden morning. Perhaps it wants something from her and she adored her from the core of her heart. In this application is far more applicable than anything in the world!!

Days go by but waiting still exists. There is no visible reasonable behaviour on her baby's activities. In that connection , 7 years went by. The mother Najnin didn't listen the calling " Mom" but she is the most courageous mother in the world.
After passing 7 years , Najnin became pregnant again. The most uttering thing was that she was going to breed twin baby. At one side, happy was there on the other hand, anxiety and fear  and was  filled  her mind. She prayed to Almighty that her child would be a heathy and normal one.
In right time, two twin baby were born haing usual, beautiful, decent and devine face. Then
She had a great intention to listen the "Mom" call as she was deprived from her first issue.
After doing routine check-up by the doctor, he assured Najnin as she had borne twin normal children. Nothing to worry about and there is no possibility of becoming Special child like previous one.

After passing more three months, Najnin couple had an another strong doubt that their twin children are also disabled / retarded .
Having got birth they didn't scream at all. They did a little meekly sound. As she had a prior bitter experience, so she went to doctor to consult. After diagnosis, she utterly noticed that her twin baby were also Autistic.

She was no more option to think, she imagined that nothing could act beside her.
Their mind was full of grief. They thought nothing. All were unpredictables. Only Allah knows how much agony they bore! How much pain they had! A harsh reality appeared before them.

Time went by.
Her first child name is Hridi.
Her age is 14.
Another Twin baby is 7 years old. They were extremely cute and their
name are: Rothi & Rethi
She was disappointed not to hear Mom after giving birth three children. This pain is beyond the description. Never ever.

I myself visited that place. It was stunning. How far courage and patience , she was nurshing these three children. We who lead a normal life cant just imagine.

I was wondering that time , "Mou Apu" of Lab was along with me. We went there to make a documentary on her struggling charecter for nurshing the children.

When we were returning from there, we thought ourselves as a petty one, little ,very little one. We noticed that this woman bore as if she were a light women who neglecting all happiness on her.
 
We bow down our head with deep respect observing her dedication and patience.
We salute her for her unparalleled struggle.
We salute her courage and experience.

Almighty will hear her application some day. Najnin will able to listen that sweet call MOM one-day. Her children will ask her to buy them at least a toy. We pray for the golden day.

Its a matter of hope that The Chairman of Daffodil Family Mr. Md Sabur khan Sir, came forward to assist  that woman who was struggling with extreme courage , dedication and devine patience.

Honorable Chairman of the Daffodil Family  assured her to finance and logistic support to build a special kind of School where autistic children will get adoration and proper nursing named "Triple Star Special School".

On this connection, the day before a cheque was hand over for financing home rent on behalf of Daffodil Institute of Social Sciences and this cheque was handed over to Najnin by our Honourable Treasurer Mr Hamidul Haque khan sir

Very soon we will reveal a pictorial documentary on Special School before you. We hope that along with her courage, Ms. Naznin will also emerge as a successful Entrepreneur.

(Courtesy to create report: Farhana Haque)

Pages: 1 2 [3] 4