Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Humayun Kabir Polash

Pages: [1] 2
1
ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing)


সফটওয়্যারের জগতে ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing) একটি পরিচিত নাম তবে  এর সঙ্গে ক্লাউড বা মেঘের কোনো সম্পর্ক নেই। ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing) হচ্ছে কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস প্রভৃতি ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে (বিশেষত ইন্টারনেট) কোনো সার্ভিস বা সেবা প্রদান করা। উদাহারন: AWS, Azure, Google Cloud, Dropbox ইত্যাদি। 

ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মূল সুবিধা হচ্ছে, আমাদেরকে নিজেদের হার্ডওয়্যার কিনতে হয় না, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটি মেইনটেইন করার কাজটিও আমাদের করতে হয় না। বরং একটি ফি-এর বিনিময়ে ক্লাউড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান কাজটি করে থাকে।ক্লাউড কমপিউটিং হচ্ছে এমন এক কমপিউটিং সিস্টেম যেখানে আপনার কম্পিউটার নেই অথচ আপনি কমপিউটিং করতে পারবেন। অর্থাৎ ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটারের ফিজিক্যাল মেশিনটি আপনার টেবিলে থাকবে না। সেটি দুনিয়ার অন্য যেকোন প্রান্তে থাকতে পারে। আর সেই কম্পিউটারকে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ও কমপিউটিং করতে পারবেন।


কম্পিউটারের লাইন ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগত ধারণা ভার্চুয়ালাইজেশনের জন্ম সেই ষাটের দশকে। সে সময় কোনো একটি কোম্পানি Multics নামের একটি অপারেটিং সিস্টেম বানানোর পরিকল্পনা করেছিলো, প্রাথমিক দিকে ধারণাটি ছিল এমন, প্রতি শহরে একটি বা দুইটি মেগা কম্পিউটার থাকবে, আর ইলেকট্রিকের বা ডিশের লাইন নেয়ার মতো সবাই সেখান থেকেই কম্পিউটারের লাইন নিবে। প্রত্যেকে ঘরে শুধু থাকবে টিভির মতো একটি যন্ত্র ও কীবোর্ড। মূলত সেযুগে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে এবং পার্সোনাল কম্পিউটারের দাম কমে যাবার ফলে “কম্পিউটারের লাইন” নেয়ার প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। ফলে সে সময় ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের প্রাথমিক পরিকল্পনা সফল হয়নি l

বর্তমান বিশ্বে মানুষের চেয়ে মোবাইলের সংখ্যা বেশি! অবশ্য এর অনেকগুলো যৌক্তিক কারণও আছে। আপনি ফোনে ফটো তুলছেন, অথচ সেটা অটোমেটিক্যালি চলে যাচ্ছে আপনার ক্লাউড স্টোরেজে! শুধু ছবি না, আপনার যেকোনো প্রয়োজনীয় ফাইল আপনি আপলোড করে রাখতে পারেন আপনার ক্লাউড সার্ভারে। এর ফলে কোন কারনে যদি আপনার ফোনটি হারিয়ে ও যায়, তবুও আপনি ক্লাউড সার্ভার থেকে আপনার সকল প্রয়োজনীয় ডেটা ফিরে পেতে পারেন। আমরা কিংবা আমাদের পরিচিত কেউ যদি yahoo, gmail ব্যবহার করে কোনাে ই-মেইল পাঠিয়ে থাকি তাহলে আসলে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করে সেটি করা হয়েছে। কিংবা যদি কেউ সার্চ ইঞ্জিন গুগলে কোনাে তথ্য খুঁজে দেখ, তাহলেও সেটিতেও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং আমরা বলতে পারি, ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভােগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি একটি বিশেষ পরিষেবা। এখানে 'ক্লাউড’ বলতে দূরবর্তী কোনাে শক্তিশালী সার্ভার কম্পিউটারকে বােঝানাে হয়। বিশ্বের যেকোনাে প্রান্ত থেকে ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটারের মাধ্যমে l ক্লাউড প্রদত্ত সেবা সমূহ ভোগ করা যায়। ক্লাউড কম্পিউটিং আজকের দিনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। উদারহণস্বরূপ বলা যেতে পারে, অনলাইন ব্যাকআপ সার্ভিস, সামাজিক যােগাযোেগ সার্ভিস এবং পার্সোনাল ডেটা সার্ভিস। ক্লাউড কম্পিউটিং-এর জন্য ইন্টারনেট সংযােগ অপরিহার্য।


ক্লাউড কম্পিউটিং এর ইতিহাস (History of Cloud Computing)ঃ  ১৯৬০ সালে জন ম্যাক ক্যার্থি ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে মতামত দেন এভাবে, “কম্পিউটেশন একদিন সংগঠিত হবে পাবলিক ইউটিলিটি হিসেবে।” তবে প্রকৃতপক্ষে  এ ধারণা ভিত্তি লাভ করেছে ১৯৯০ সালের দিকে। নব্বই এর দশকের শেষে বড় বড় কোম্পানিরা ইন্টারনেটে ব্যবসার আশায় বিশাল বিনিয়োগ করে ডেটা সেন্টার আর নেটওয়ার্কে। ২০০০ সাল নাগাদ হঠাৎ করে পরা ব্যবসাটাই ধ্বসে যায়, ফলে অনেক দেউলিয়া হয়ে পড়ে। তাদের ডেটা সেন্টারের মাত্র ৫% এর মতো ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং বাকিটা সময়ে সিস্টেম অলস হয়ে বসে থাকত। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘন্টা হিসেবে ভাড়া দিয়ে অলস বসে থাকা কম্পিটারগুলোকে কাজে লাগানোর বুদ্ধি থেকেই শুরু হয় ক্লাউড কম্পিউটিং যুগের। ২০০৫ সাল থেকে আমাজন ডট কম ইলাস্টিক কম্পিউট ক্লাউড বা EC2 শুরু করে। এর পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি ক্লাউড কম্পিউটিংকে। আইবিএম, মাইক্রোসফট, গুগল থেকে শুরু করে প্রচুর কোম্পানি এখন ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার সাথে জড়িত।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর উদাহরণ
উদাহরণ-১: আপনি নিশ্চয় জিমেইল ব্যবহার করেন? আপনার জিমেইলে যদি কেউ মেসেজ পাঠায় সেটা কি সরাসরি আপনার কম্পিউটারে চলে আসে? নাকি আপনাকে ইন্টারনেট কানেকশন ব্যাবহার করে জিমেইলে লগইন করে সেই মেসেজ দেখতে হয়? এই মেসেজগুলো তো আপনার কম্পিউটারে নেই। তাহলে আপনি কোথায় থেকে মেসেজগুলো দেখতে পান? উত্তর হচ্ছে গুগলের সার্ভার কম্পিউটার.! গুগলের সার্ভার কম্পিউটারে আপনার সকল মেসেজ সংরক্ষণ করা থাকে। আর সেগুলো আপনাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তারমানে আপনি ক্লাউড কমপিউটিং এর মাধ্যমে আপনার জিমেইল নিয়ন্ত্রণ করেন।
উদাহরণ-২: আপনি নিশ্চয় আপনাার মোবাইলে বা কম্পিউটারে ইউটিউব ভিডিও দেখেন? সে ভিডিও গুলো কি আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে আছে? যেহেতুুুু নেই তাহলে সেগুলো কোথায় আছে? উত্তর youtube-এর সার্ভার কম্পিউটারে। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় গুগলের সার্ভার কম্পিউটার রয়েছে। সেসব জায়গায় এসকল তথ্য সংরক্ষষণ করা থাকে। আর সেগুলো আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখতে বা ব্যবহার করতে পারি। এটি হচ্ছে ক্লাউড কমপিউটিং। যেখানে আপনার কাছে কোনো তথ্য নেই অথচ আপনি সে তথ্যগুলো ইন্টারনেট ব্যবহার করে অ্যাক্সেস করতেে পারেন।ধরুন আমি আপনার ফোনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ পাঠালাম যেটি আপনার মোবাইলের লোকাল স্টোরেজে সংরক্ষণ করা থাকে। ভুলে আপনি মোবাইলটি বাসায় ফেলে অফিসে চলে আসলেন। এবার আপনি সেই মেসেজটি কিভাবে এক্সেস করবেন? অবশ্যই আপনাকে বাসায় যে ফোনটি নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আমি যদি ম্যাসেজটি আপনার মেসেঞ্জারে পাঠাতাম? তাহলে কি আপনার এত কষ্ট করা লাগতো? আশেপাশের কারো ফোন নিয়ে আপনি আপনার ফেসবুক আইডি লগইন করে মেসেজটি অ্যাক্সেস করতে পারতেন। কারণ ফেসবুকে পাঠানো মেসেজটি আপনার ডিভাইসে সেভ হয় না। সেটি সেভ হয় ফেসবুকের সার্ভার কম্পিউটারে। তাই আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনার ফেসবুকের যেকোনো তথ্য যেখানে খুশি সেখানে থেকে দেখতে পারেন। মূলত ক্লাউড কমপিউটিং একটি পোর্টেবল, ম্যানেজড এবং অন ডিমান্ড সিস্টেম। আপনি চাইলে আপনার কমপিউটিং করা তথ্য গুলো পাবলিক প্রাইভেট করে রাখতে পারেন.!

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সমপ্রসারণ
অ্যামাজন তাদের ওয়েব সার্ভিসের মাধ্যমে ইউটিলিটি কম্পিউটিং এর ভিত্তিতে ২০০৫ সালে সার্ভিস শুরু করে। ২০০৭ সালে গুগল এবং আইবিএম যৌথভাবে কিছু সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাউড কম্পিউটিং গবেষণা প্রজেক্ট শুরু করে এবং ২০০৮ সালের মাঝামাঝি এটি একটা পর্যায়ে চলে আসে। ২০০৯ সালের শুরুর দিক হতে বিশ্বের বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠানে ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে তাদের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে থাকে। এক সমীক্ষায় লক্ষ্য করা গেছে, যে কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের আইটি বাজেটে প্রায় ১৮ শতাংশ ব্যয় কমিয়ে আনতে পারে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। তাছাড়া ডেটা সেন্টারসমূহ তাদের ব্যয়ের ১৬ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয় এই প্রযুক্তির প্রসারে। 

ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রকারভেদ:
ভিন্ন ভিন্ন দিক বিবেচনায় ক্লাউড কমপিউটিং নানান রকমের হয়ে থাকে। তবে টেকনিক্যাল দিক থেকে ক্লাউড কমপিউটিং কে চার ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
Infrastructure as a Service (IaaS)
Software as a Service (SaaS)
Platform as a Service (PaaS)
Network as a Service(NaaS):
Infrastructure as a Service (IaaS)

এই সিস্টেমে পুরা কম্পিউটারটি আপনার তত্ত্বাবধানে থাকবে। এটা অনেকটা আপনার নিজস্ব কম্পিউটারের মতোই। আপনি যখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারবেন। ইচ্ছে হলে গেম খেলতে পারবেন, বিভিন্ন সফটওয়্যার ইন্সটল করতে পারবেন। Infrastructure as a Service (IaaS) এর উদাহরণ হল: Google drive, Dropbox, bigcommerce, slap ইত্যাদি। এখানে ভাড়া দেয়া হয় অবকাঠামো। মানে সার্ভারের উপরে যে ভার্চুয়াল মেশিন চালানো হয়, সেগুলোই ক্লায়েন্টরা ভাড়া নেয়। সেই মেশিনে ক্লায়েন্ট নিজের ইচ্ছামতো সফটওয়্যার বসাতে পারে। আমাজন ইলাস্টিক কম্পিউটিং ক্লাউড (EC2) এর উদাহরণ। (EC2)-তে ডেটা সেন্টারের প্রতি সার্ভারে ১ থেকে ৮টি ভার্চুয়াল মেশিন চলে, ক্লায়েন্টরা এইগুলো ভাড়া নেয়। ভার্চুয়াল মেশিনে নিজের ইচ্ছামতো উইন্ডোজ বা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম বসানো যায়। ব্যাপারটা অনেকটা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার দূর থেকে চালানোর মতো। কোন ধরনের সফটওয়্যার বসানো হবে, কীভাবে কাজ চালানো হবে, কম্পিউটারগুলো কীভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে, সবকিছু ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছামত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

Software as a Service (SaaS)
এই সিস্টেমে প্রোভাইডার আপনাকে পুরো কম্পিউটার সিস্টেম দিয়ে দেবে না। বরং সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় দু’একটি সফটওয়্যার রান করানোর সুযোগ দেওয়া হবে। উদাহরণস্বরূপ: আপনি যদি জিমেইল ব্যবহার করেন, তবে গুগলের যে সার্ভারে জিমেইল সফটওয়্যার টি রয়েছে, সেই সার্ভারের কম্পিউটার পুরোটাই আপনাকে নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয় না। বরং শুধুমাত্র সার্ভারে থাকা জিমেইল অ্যাপটি ব্যবহার করার সুযোগ দিয়ে থাকে। আবার গুগলের বিভিন্ন সেবা, যেমন সার্চ ইঞ্জিন, জিমেইল, গুগল ড্রাইভ ইত্যাদিও সফটওয়্যার এজ আ সার্ভিস বা সংক্ষেপে স্যাস (SaaS)-এর উদাহরণ। আবার বিভিন্ন ডেটাবেজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও এই মডেলে তাদের ডেটাবেজ ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে থাকে।পৃথিবীতে অনেক প্রতিষ্ঠানই ক্লাউডভিত্তিক সেবা প্রদান করে। তাদের মধ্য, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস, গুগল ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম, মাইক্রোসফট , টি ক্লাউডভিত্তিক এমন একটা সেবা, যেখানে ইউজার ক্লাউডের উপরে চলছে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। উদাহরণ হিসেবে Google Docs এর কথাই ধরা যাক। ইন্টারনেট ও ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে Google Docs দিয়ে মাইক্রোসফট অফিসের প্রায় সব কাজই করা যায় (যেমন- ডকুমেন্ট,  স্প্রেডশীট, প্রেজেন্টেশন)। গুগল এই অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারটি আমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। সফটওয়্যারটি চলছে গুগলের ক্লাউডের উপরে। এতে সুবিধা হলো, ব্যবহারকারীকে সিপিইউ বা স্টোরেজের অবস্থান, কনফিগারেশন প্রভৃতি জানা কিংবা রক্ষণাবেক্ষণ করার প্রয়োজন নেই। তাদের হাতে রেডিমেড সফটওয়্যার এবং সার্ভিস পৌঁছে যাচ্ছে। সফটওয়্যার কোথায়, কীভাবে চলছে তা গুগলের দায়িত্ব।
Platform as a Service (PaaS):এই সিস্টেমে প্রোভাইডার আপনাকে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার প্রদান করবে যে আপনাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করতে হবে। যেমন: বিভিন্ন ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস Platform as a Service (PaaS) এর অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ই-কমার্স ইউজ করেন সেক্ষেত্রে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর কার্ট, চেক আউট পেমেন্ট মার্চেন্ট সার্ভার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

নেটওয়ার্ক সেবা (Network as a Service-NaaS):
এই সেবাটি নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীকে আন্তঃক্লাউড নেটওয়ার্ক বা ট্রান্সপোর্ট কানেকটিভিটি সুবিধা প্রদান করে। এটি ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক ও কম্পিউটার রিসোর্স অনুযায়ী ব্যবহারকারীকে রিসোর্স ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করে। এই সার্ভিসের বিভিন্ন মডেলের মধ্যে VPN (Virtual Private Network), BoD (Bandwidth on Demand), Mobile Network Virtualization উল্লেখযোগ্য।


বিভিন্ন ধরনের ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মডেল হচ্ছে-
পাবলিক ক্লাউড (Public Cloud): পাবলিক ক্লাউড হলো এমন ক্লাউড, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ যে টাকা দিবে, সেই সার্ভিস পাবে, এমন ক্লাউডকে বলা হয় পাবলিক ক্লাউড। যেমন- আমাজনের EC2। এসব ক্লাউডে সুবিধা হলো যে কেউ এর সেবা নিতে পারে। আর অসুবিধাটা হলো একই জায়গায় একাধিক ক্লায়েন্ট ব্যবহারের ফলে নিরাপত্তার সমস্যা হতে পারে।

কমিউনিটি ক্লাউড (Community Cloud): কমিউনিটি ক্লাউডও শেয়ার করা হয় অনেকের মাঝে, পাবলিক ক্লাউডের মতোই যে টাকা দেয়, সেই সার্ভিস পায়। তবে পার্থক্য হলো একটি ক্ষুদ্রতর কমিউনিটির লোকজনই এর সুবিধা নিতে পারে। ধরা যাক, ঢাকা সেনানিবাসে শুধু অফিসার ও সৈনিকদের জন্য একটা ক্লাউড বসানো হলো, তাহলে কেবল অফিসার ও সৈনিকরাই এর সার্ভিস নিতে পারবে। তখন এটি  পাবলিক ক্লাউড না হয়ে হবে প্রাইভেট ক্লাউড।  সুবিধা হলো, কমিউনিটির মধ্যে ইউজার সীমাবদ্ধ থাকে বলে এখানে সিকিউরিটির কোনো সমস্যা নেই। আর অসুবিধা হলো এখানে ক্লায়েন্টের সংখ্যা সীমিত বলে খরচ বেশি পড়ে।
প্রাইভেট ক্লাউড (Private Cloud): প্রাইভেট ক্লাউডকে ক্লাউড বলা চলে কিনা এই নিয়ে মতভেদ আছে। এই রকম ক্লাউড হলো কোনো বড় সংস্থার নিজের নানা সার্ভিস চালাবার জন্য নিজের ডেটা সেন্টারকেই ক্লাউড মডেলে ব্যবহার করা। সমস্যা হলো, এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে, নিজস্ব ডেটা সেন্টার বসাতে হচ্ছে এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিজস্ব জনবল রাখার প্রয়োজন পড়ে। তবে বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এর সুবিধা হচ্ছে, কোনো বড় কোম্পানিতে ১০টা ডিপার্টমেন্ট থাকলে ১০টা ডেটা সেন্টার না বসিয়ে একটাকেই ক্লাউড মডেলে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাচ্ছে। ধরা যাক, বাংলাদেশ সরকার তার সব মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার ব্যবহারের খরচ কমাতে চায়। সে ক্ষেত্রে একটা সরকারি প্রাইভেট ক্লাউড ভালো সমাধান হতে পারে।

হাইব্রিড ক্লাউড (Hybrid Cloud): হাইব্রিড ক্লাউড হলো পাবলিক আর প্রাইভেটের সংমিশ্রণ। এখানে প্রাইভেট ক্লাউড দিয়ে প্রাথমিক চাহিদা মেটানো হয়, আর প্রাইভেট ক্লাউডের ধারণক্ষমতা অতিক্রান্ত হয়ে গেলে পাবলিক ক্লাউডের সাহায্য নেয়া হয়। পাবলিক ক্লাউডের চেয়ে হাইব্রিড ক্লাউডের খরচ বেশি, কারণ স্থানীয়ভাবে অনেক স্থাপনা বানাতেই হচ্ছে। তবে স্থানীয়ভাবে কাজ করিয়ে নেয়ার সুবিধাগুলো থাকছে, তার সাথে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোরও একটা ব্যবস্থা এখানে থাকছে পাবলিক ক্লাউডে পাঠানোর মাধ্যমে।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা
আপনি যদি অনলাইন ভিত্তিক কোন বিজনেস রান করতে চান, তবে ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেম আপনার খরচ এবং ঝামেলা উভয়ই কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে। আপনার বিজনেস যদি ছোট হয় সে ক্ষেত্রে অনেক কম টাকায় আপনি ক্লাউড কম্পিউটার ভাড়া নিয়ে চালাতে পারবেন। উপরন্তু নিজের প্রয়োজনীয় সিস্টেম ইন্সটল করে আপনার অফিসে নিজস্ব কম্পিউটার ব্যবহার করা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। তাই যেকোনো বিজনেসের শুরুর জন্য ক্লাউড কমপিউটিং আপনার ব্যয় অনেকটাই কমিয়ে দিতে সক্ষম। ক্লাউড কমপিউটিং এর আরো কয়েকটি সুবিধা হল, ক্লাউড কমপিউটিং একটি পোর্টেবল, ম্যানেজড এবং অন ডিমান্ড সিস্টেম। আপনি চাইলে আপনার কমপিউটিং করা তথ্য গুলো পাবলিক প্রাইভেট করে রাখতে পারেন.! আপনি যদি আপনার পিসিতে কোন পাওয়ারফুল কাজ করতে চান তাহলে আপনার পিসি’ও পাওয়ারফুল হতে হবে। অর্থাৎ আপনি ঠিক যেমন কাজ করতে চান আপনাকে ঠিক তেমনভাবেই আপনার পিসি বিল্ড করতে হবে।
আপনি যদি আপনার পিসিতে ফটোশপ ইন্সটল করতে চান তাহলে আপনাকে এমন পিসি বিল্ড করতে হবে যাতে ফটোশপ খুব স্মুথলি রান করে। তা না হলে আপনি ভালোমতো ফটো এডিট করতে পারবেন না। কিন্তু আপনি যদি ফটো এডিটিং সাইট fotor.com এগিয়ে ফটো এডিটিং করেন তাহলে কিন্তু আপনার ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই হচ্ছে। এখানে আপনার ফটো এডিট করার জন্য কোন ধরনের হার্ডওয়ার সফটওয়্যার কিচ্ছু লাগবেনা। প্রফেশনাল ফটো এডিট করার জন্য যে সকল হার্ডওয়ার সফটওয়্যার প্রয়োজন তার সবকিছুই fotor.com সার্ভারে ইন্সটল করা আছে। মূলত এটি হচ্ছে ম্যানেজড সিস্টেম। আপনার প্রয়োজন মত কারো সার্ভারে কানেক্ট হোন আর প্রয়োজনীয় সুবিধা নিন।
অন ডিমান্ড (যখন যতটুকু দরকার)
ধরুন আপনার 4gb র‍্যাম এর একটি কম্পিউটার রয়েছে। সেটা দিয়ে আপনি আরামসে মুভি দেখতে পারেন, গান শুনতে পারেন। তাছাড়া ওয়েব ব্রাউজিং করতে পারেন। কিন্তু হঠাৎ যদি আপনার ভিডিও এডিটিং করার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন? ভালো মানের ভিডিও এডিটিং এর জন্য 4gb RAM পর্যাপ্ত নয়। ভিডিও এডিটিং এর জন্য 8 জিবি RAM আপনার থাকায় লাগবে। তাহলে কি আপনি দু একটা ভিডিও এডিট করার জন্য 8gb RAM লাগাবেন! অবশ্যই এটা কোন ভাল সমাধান নয়। যেখানে আপনার 4gb দিয়ে হচ্ছে, সে অবস্থায় হঠাৎ দুই একটা কাজ করার জন্য 8gb RAM লাগানোর মানে হয় না।
ঠিক এই সমস্যার সমাধান টিও আপনি পাবেন ক্লাউড কমপিউটিং সিস্টেমে। ক্লাউড কম্পিউটার সিস্টেমে আপনি আপনার প্রয়োজন মত রিসোর্স ভাড়া নিতে পারবেন। আবার আপনি যদি অলরেডি কম মানের একটি রিসোর্স ব্যবহার করে থাকেন, তবে মাত্র কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে আপনি আপনার রিসোর্স কয়েকদিনের জন্য বা কয়েক মাসের জন্য বাড়িয়ে নিতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার প্রয়োজন মত আপনি রিসোর্স বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারবেন। আপনার খরচ অনেকটাই কমে যাবে। কারণ ক্লাউড সিস্টেম পে এজ ইউ গো সিস্টেমে (pay-as-you-go) কাজ করে। এককথায় ক্লাউড কমপিউটিং হচ্ছে আপনার মোবাইল ফোনের বিল এর মত। ইচ্ছা হলে বেশি খরচ করবেন আর ইচ্ছা হলে কম খরচ করবেন। আপনি যখন যা খরচ করবেন আপনার তাই বিল আসবে।

প্রাইভেট/পাবলিক কম্পিউটিং
আপনার নিজের কম্পিউটার যেমন আপনি না চাইলে কেউ এক্সেস করতে পারবেনা। তেমনি ক্লাউড কমপিউটিং এর প্রাইভেট কম্পিউটিং সিস্টেমে আপনার ক্লাউড সার্ভিস গুলো আপনি না চাইলে বাইরের কেউ এক্সেস করতে পারবে না। ক্লাউড প্রোভাইডার অ্যামাজন পাবলিক এবং প্রাইভেট দুই ধরনের ক্লাউড সিস্টেম প্রদান করে থাকে। প্রাইভেট ক্লাউড সিস্টেম পাবলিক ক্লাউড সিস্টেম এর মতই কাজ করে। শুধু পার্থক্য হচ্ছে, প্রাইভেট ক্লাউডে আপনি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এরিয়ার আন্ডারে অ্যাক্সেস করতে পারবেন।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধা
ক্লাউড কম্পিউটিং এর এতসব সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। অসুবিধা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় অসুবিধা টি হল, আপনাকে দিনের পর দিন এর বিল দিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি কষ্ট করে একবার বেশি টাকা খরচ করে নিজের অফিসে বা প্রতিষ্ঠান একটি কম্পিউটার সার্ভার তৈরি করে ফেলেন এবং প্রয়োজনীয় সকল সফটওয়্যার ইন্সটল করে নেন তাহলে আপনার কাজ শেষ। এরপর আর তেমন কোনো খরচ করতে হবে না। অপরদিকে ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে আপনি যদি বছরের পর বছর শেষে বা গ্রহণ করে থাকেন তাহলে আপনাকে বিল দিয়ে যেতেই হবে। তাই আপনি যদি অনেক বেশি সময় নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে ক্লাউড কমপিউটিং আপনার খরচ কমানোর পরিবর্তে বরং বাড়িয়ে দিবে।

ব্যবহারঃ
ক্লাউড কম্পিউটিং আজকের দিনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। গুগল এর বিভিন্ন প্রয়োগ - যেমন জিমেইল, পিকাসা থেকে শুরু করে পৃথিবীর আবহাওয়া বা কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানান ক্ষেত্রে এর অপরিসীম ব্যবহার। ২০০৫-৬ সাল থেকে শুরু হয় আমাজন ডট কমের ইলাস্টিক কম্পিউটিং ক্লাউড বা (EC2)। এর পর থেকে আইবিএম, মাইক্রোসফট, গুগল থেকে শুরু করে অনেক কোম্পানি ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক প্রভৃতির মতো বৃহৎ সার্ভিস দিতে কিছুদিন আগ পর্যন্ত প্রয়োজন হতো বড় একটা ক্লাস্টার বা ডেটা সেন্টার। কিন্তু বর্তমানে শুরুতে ক্লায়েন্ট বা ব্যবহারকারী কম থাকলে আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে ২/১টা সার্ভার ভাড়া নিলেই চলবে। ক্লায়েন্ট বাড়লে ক্লাউড থেকে বেশি সার্ভার ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া  নেয়া যাবে। বিশেষ কোনো সময়ে কিংবা রাতে কম ব্যবহারকারী থাকলে সিস্টেম সেট-আপ করে সার্ভারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারের যাত্রা শুরু হয়েছিল আমাজন ডট কমের ক্লাউড ব্যবহার করে। সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি চিকিৎসা ও মানবকল্যাণেও এটি এক অনন্য সঙ্গী। এক কথায় ক্লাউড কম্পিউটিং এনেছে অনন্য বিপ্লব।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অবশ্য ক্লাউডের সুবিধা পেতে হলে কিছু সমস্যা এখনো রয়েছে। যেমন- ক্রেডিট কার্ড ব্যবস্থা সহজলভ্য না হওয়া, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফারের  ব্যবস্থা না থাকা কিংবা উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ না থাকা প্রভৃতি। ক্লাউড ডেটা সেন্টার বিদেশে থাকতে হবে এমন কথা নেই। কম খরচে কম্পিউটার কিনে বাংলাদেশেই ক্লাউড ডেটা সেন্টার বানানো সম্ভব। এতে সাবমেরিন ক্যাবল কাটা যাওয়ার আশঙ্কা নেই কিংবা পেমেন্ট লেনদেনের ঝামেলা বা ঝুঁকি নেই


তথ সূ ত্রঃ ১।  ‎উইকিপিডিয়া ২. Pro-jukti.com ৩. Subeen.com ৪. Edupointbd.com ৫. Banglate.co ৬. netkotha.com












2
যদি আপনি আইটি সিস্টেম, ডিজিটাল মার্কেটিং, বিজনেস রিসার্চ এবং বিজনেস ম্যানেজমেন্টের উপর দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে একজন মার্কেট অ্যানালিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। যদি আপনি জটিলতর টেকনিক্যাল কনসেপ্টগুলোকে অরগানাইজেশন ও কোম্পানির উন্নতির খাতিরে পরিবর্তন করতে পারেন, তাহলে মার্কেট অ্যানালিস্টের বাজারে আপনার এই দক্ষতার অনেক চাহিদা রয়েছেI একজন মার্কেট অ্যানালিস্ট মূলত যেকোনো অরগানাইজেশন বা কোম্পানির স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এবং টেকনিক্যাল ও মার্কেট এক্সপার্টাইজের উপর কাজ করে থাকেন। মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের সাথে সম্পৃক্ত সব ধরণের ডেটা ও ডকুমেন্ট ইন্টারপ্রেট ও অ্যানালাইসিস করার কাজও করে থাকেন। চলুন জেনে আসি, কীভাবে একজন মার্কেট অ্যানালিস্ট হিসেব ক্যারিয়ার গড়া সম্ভবl
মার্কেট অ্যানালিস্ট মূলত বিভিন্ন কোম্পানির মার্কেটিং, প্রমোশন, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এবং ডেটা রিসার্চ ও অ্যানালাইসিসের কাজ করে থাকেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক একজন মার্কেট অ্যানালিস্টের কাজগুলো:

১. অরগানাইজেশন বা কোম্পানির অন্যান্য কর্মচারীদের সাথে দলগতভাবে মার্কেটিং প্ল্যান ও স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা।
২. ক্লায়েন্ট ও অন্যান্য কোম্পানির সাথে রিলেশনশিপ তৈরি করা।
৩. সার্ভিস ডেভেলপ করার জন্য স্টেক হোল্ডার ও ক্লায়েন্টেদের থেকে ফিডব্যাক নেওয়া।
৪. অ্যাডভান্সড ডেটা অ্যানালাইসিস, স্ট্র্যাটেজিক সাজেশন ও পটেনশিয়াল ইম্প্রুভমেন্টের কাজ করা।
৫. আইটি রিসোর্সের সার্ভে করা।
৬. আইটি প্রসেস ইমপ্লিমেন্টেশন ও রেকোমেন্ডেশন পরিবর্তন করা।
৭. সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের সাথে যেকোনো বিষয়ে কোলাবোরেশন করা।
৮. অন্যান্য ডিপার্টমেন্টকে অনগোয়িং সাপোর্ট দেওয়া।
৯. কী-স্টেক হোল্ডারদের কাছে প্রেজেন্টেশন, রিপোর্ট, ডকুমেন্ট এবং সাজেশন পাঠানো।
১০. বিভিন্ন ধরণের ডেটা অ্যানালাইসিস টুলস দ্বারা প্রজেক্ট অ্যানালাইজ করা।
১১. রিপোর্টিং কোয়ালিটি ডেভেলপ করা।
১২. ইন্টিগ্রেশন এবং এক্সেপ্টেন্স টেস্টিংয়ে অন্যান্য বিভাগকে সহায়তা করা।
১৩. ট্রেইনিং মেটেরিয়াল ও সাজেশন ডেভেলপ করা।
১৪. মার্কেট ও টেকনোলজির মধ্যে ইন্টারপ্রেটার হিসেবে কাজ করা।
১৫. বিভিন্ন বিভাগকে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে সহায়তা করা।

মার্কেট অ্যানালিস্টের পদটি আপনার জন্যে উপযুক্ত কি?
একজন মার্কেট অ্যানালিস্টকে এক বা একাধিক কোম্পানি বা অর্গানাইজেশনের মার্কেটিংয়ের কাজ করতে হয় এবং একইসাথে মার্কেট অ্যানালাইসিস, রিসার্চ ও ডেভেলপমেনন্টের দিকেও নজর রাখতে হয়। তিনি বিভিন্ন ধরণের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ও রিসার্চের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির বা কোম্পানির পণ্য বিক্রি বৃদ্ধির জন্য দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। একজন মার্কেট অ্যানালিস্টের বাৎসরিক বেতন ২০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।কিন্তু এর বিপরীতে আপনাকে অনেক কষ্ট করতে হবে। সঠিক অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে দিকনির্দেশনা প্রদান করা, যেকোনো কোম্পানি ও পণ্যের বিভিন্ন ধরণের অ্যানালিটিক্স সম্পর্কে জানা, যেকোনো সময় মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করাসহ আরো অনেক ধরণের কাজ রয়েছে একজন মার্কেট অ্যানালিস্টের। সুতরাং ভেবে দেখুন এই পদে আপনি ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন কিনা। এই পদটি আপনার প্যাশন ও দক্ষতার সাথে কতটুকু উপযুক্ত, তা নিয়েও ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
একজন মার্কেট অ্যানালিস্টের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
একজন মার্কেট অ্যানালিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পূর্বে আপনি, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, নেটওয়ার্ক মার্কেটার, ডিজিটাল মার্কেটার, বিজনেসম্যান, বিজনেস ম্যানেজার, প্রজেক্ট ম্যানেজার অথবা ডেটা অ্যানালিস্টের চাকরি দ্বারা ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। উপরোক্ত পদগুলো থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে মার্কেট রিসার্চার, মার্কেট অ্যানালিস্ট, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার, বিজনেস অ্যানালিস্ট, প্রজেক্ট ম্যানেজার, ডিজিটাল মার্কেটার অথবা বিজনেস অ্যাডভাইজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
একজন সিনিয়র লেভেলের মার্কেট অ্যানালিস্ট হওয়ার পূর্বে আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ব্যবসা ও মার্কেটিং খাতের অন্য রকমের কিছু পেশার দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে, মার্কেট অ্যানালিস্ট হওয়াটা অনেক সহজ হয়ে যাবে আপনার জন্য।

একজন মার্কেট অ্যানালিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে, আপনাকে যে সকল বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে তা হচ্ছে:
১. নন টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বোঝানোর ক্ষমতা থাকতে হবে।
২. মোটিভেশন করার দক্ষতা থাকতে হবে।
৩. অনেকগুলো প্রজেক্ট একসাথে চালানোর দক্ষতা থাকতে হবে।
৪. সল্যুশন ইমপ্লিমেন্টেশনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৫. অসাধারণ অ্যানালিটিক্যাল দক্ষতা থাকতে হবে।
৬. সাজেশন কোয়ান্টিফাই করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৭. বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে।
৮. আইটির উপর অসাধারণ দক্ষতা থাকতে হবে।
৯. ডকুমেন্ট অ্যানালাইসিস, প্রসিডিউর অবসার্ভেশন ও কোর ইস্যু রিপোর্টিংয়ের দক্ষতা থাকতে হবে।
১০. মাইক্রোসফট অফিস, লিবরা অফিস ও অন্যান্য অফিস অ্যাপ্লিকেশনের উপর অভিজ্ঞ হতে হবে।
১১. এসকিউএল, ওরাকল, জাভা, ডট নেট ও সি শার্পের মতো রিসার্চ বেইজড প্রোগ্রামিং ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
১২. এলিসিটেশন টেকনিক, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট টেকনিক ও মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির উপর পারদর্শী হতে হবে।
১৩. প্রজেক্ট স্টেক হোল্ডার আইডেন্টিফাই ও ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা থাকতে হবে।
১৪. স্ট্র্যাটেজি অ্যানালাইসিস ও প্ল্যানিং প্রিভিউ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
১৫. ভিজ্যুয়াল মডেলিং, অ্যাডভান্সড প্রসেস ম্যাপিং, ফ্লো চার্ট, মাইক্রোসফট ভিজিও এবং সফটওয়্যার টেস্টিংয়ে পারদর্শী হতে হবে।
শুরুতে ছোটোখাটো কোম্পানিতে মার্কেট অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করুন
যদি আপনি মার্কেট অ্যানালিস্ট হিসেবে কোনো কোম্পানি থেকে ইন্টার্নি করে থাকেন, তাহলে ছোটোখাটো কোম্পানিতে কাজ করার প্রয়োজন পড়বে না। আর যদি আগে কোথাও ইন্টার্নশিপ না করে থাকেন, তাহলে বড় কোম্পানিতে ডেটা অ্যানালিস্ট বা মার্কেটার হিসেবে কাজ করার পূর্বে ছোটোখাটো কোম্পানিতে কাজ করুন। এতে অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা দুইই লাভ করতে পারবেন।

মার্কেট অ্যানালিস্ট হিসেবে বড় কোম্পানিতে চাকরি খুঁজুন:
ছোটোখাটো কোম্পানিতে চাকরি করার পর, বড় বড় কোম্পানির দিকে চলে আসুন। তবে খেয়াল রাখবেন, যেন কাজের দক্ষতা ও যোগ্যতা দুইই বজায় থাকে। অনেক সময়েই দেখা যায়, ছোটোখাটো কোম্পানিতে কাজ করার জন্যে যেসকল দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, বড় কোম্পানির ক্ষেত্রে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে। কারণ, বড় কোম্পানিগুলোতে কাজের ক্ষেত্রও বড় হয়।

যে কারণে মার্কেট অ্যানালিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়বেন:
প্রযুক্তির এই যুগে ডিজিটাল মার্কেটার এবং মার্কেট অ্যানালিস্টের উপর অনেক কোম্পানিই নির্ভর করছে। আর তাই, প্রতিনিয়তই কোম্পানিগুলোতে ব্যবসা ও মার্কেটিং খাতে বিভিন্ন ধরণের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে, যার মধ্যে মার্কেটার, ডিজিটাল মার্কেটার, মার্কেট রিসার্চার, এসইও স্পেশালিস্ট, মার্কেটিং ম্যানেজার, মার্কেটিং রিপ্রেজেন্টেটিভ ইত্যাদি অন্যতম.

3
The recent pandemic has forced change on a massive scale. Almost overnight, colleges and workplaces did what many thought was unthinkable and transferred their work from the lecture hall, the conference room, the library, and the office to Zoom, Skype, Google Docs, or Microsoft 365. For people with disabilities, the transition has been both good and bad. This article will discuss what the transition has meant for the National Clearinghouse on Disability and Exchange (NCDE), what it has meant for access in the wider international education field, and how practitioners can make the long-term effects of the transition a net positive for all.

By mid-March, Mobility International USA (MIUSA) had moved all employees to remote work. Staff were instructed to take their work computers and other essentials home. The CFO made several deliveries of necessities like computer monitors and desk chairs. The organization purchased three Zoom business accounts – an upgrade to its previous Pro subscription.
As a blind person, I was astonished at how remote work opened up new ways for me to contribute. I conducted a few training sessions – first to onboard a new employee, and then to demonstrate to all staff how a screen reading program interacts with a website. I’m not very good with a pen, and if I had wanted to scribble out a couple examples of HTML markup on a board or discuss a list of ideas and actually be able to indicate an idea by pointing, I would have probably needed a coworker to help out or I would’ve had to depend on my audience being as good at audible learning as I am. Yet, when I wanted to do the HTML markup demonstration over Zoom, I simply shared my screen, opened a note, and started typing. To point at a piece of code, I simply highlighted the line. The virtual environment allowed me to interact with my coworkers in a new dimension that had never been an option before.

The virtual environment allowed me to interact with my coworkers in a new dimension that had never been an option before. The crisis also forced us to start thinking about different ways we might engage globally. International internships in language classes became available remotely. I wrote a blog about the ways people could stay globally engaged from home, such as reading literature, watching movies, or talking with international friends.

MIUSA staff observed how virtual exchanges expanded the scope of what we can do with the same resources. Our webinars have been better than ever, allowing us to reach individuals and professionals in places we would likely never visit in person. MIUSA counts 2,300 alumni around the world, with 250 from its Women’s Institute on Leadership and Disability (WILD). A group of staff, including CEO Susan Sygall, was able to get several cohorts of WILD alumni with different disabilities on a single Zoom call to catch up with each other and discuss the urgent needs in their communities around COVID-19. To facilitate communication access, the call included interpreters of American Sign Language and Spanish, along with Certified Deaf Interpreters, to interpret foreign sign languages and real-time captioning in Spanish and English for hard of hearing individuals who don’t use sign language. Sygall noted, "Hearing their dedication, leadership, and insightful recommendations for the COVID-19 pandemic only reinforced for me how critically important it is to recognize and partner with disabled women leaders globally, now more than ever."

The crisis also caused NCDE staff to develop and implement fresh opportunities for aspiring professionals to work with our project while building their résumés. Our first Access to Exchange Externship will allow five individuals across the United States the chance to promote international exchange in their communities. Projects cover a wide array of formats, including webinars, country guides, blogging, and individual advisement. NCDE is reaching out farther than ever before with its message of inclusion through infiltration in international exchange programs.

The transition to remote life was not all smooth. As an article from Inside Higher Ed reported, students with disabilities were being left out as colleges shifted to online classes. Mailing lists like DSSHE and the Association on Higher Education and Disability forum, which are dedicated to supporting practitioners in the disability service field in higher education, filled with chatter about how colleges were to react to the onslaught of faculty questions, accommodation requests, and complaints.

Colleges should ensure their domestic and international exchange offerings are accessible to students with disabilities, allowing the education experience to reach all students who want to participate to enhance the educational experience for all by making the unique viewpoints of students with disabilities available to their nondisabled peers. This also allows students with disabilities to contribute to the economic and social productivity of their communities, because access to employment increases the financial and mental well-being of individuals while enriching societies that can benefit from the taxation and consumerism of a wider base of workers.

As virtual exchange programs expand, they can learn a great deal from the experience of universities providing access to students with disabilities taking online courses. Despite some of the access issues, the virtual world offers a great deal of promise in offering barrier-free experiences. Consult with organizations like MIUSA, the National Deaf Center and your campus’s disability resource center on how to provide the best virtual exchange experiences for all.

Source: https://www.iienetworker-digital.com/iieb/0220_fall_2020/MobilePagedArticle.action?articleId=1623614#articleId1623614

4
Entrepreneurship Development / Business Plan Template
« on: September 09, 2020, 11:46:31 AM »
Entrepreneurship development is now considered one of the key paths to economic growth especially in a developing economy like ours. The rate of industrial development, economic growth and employment generation depend upon entrepreneurship development. Business Plan is a vital tool for entrepreneurs. It is a blueprint which guides the entrepreneurs on appropriate and effective steps to be
taken at each stage of their business. Business plan is not just for a start-up company but also for existing companies to aid their growth and survival. SME entrepreneurs need a roadmap for marketing management, production management, human resource management, sales forecasting, optimum utilization of raw materials and resources, risk assessment, risk management, financial analysis including profit and loss account, productivity improvement and other aspects which can be addressed through a comprehensive business plan. Moreover, business plan can be a major reference document for banks and other financial institutions for assessing the credit worthiness of the entrepreneurs or enterprises. (Sourece-SME)

To get the Business Plan Please click the attached file


5
Statistically, most startups in the world fail. This is due to several factors: the startup didn’t address a real market need, it ran out of cash, it didn’t have the right team, it got outcompeted, or because its go-to-market strategy was insufficient. But in Israel, a culture of innovation and the startup ecosystem infrastructure continue to thrive despite the odds. It has one of the highest concentrations of startups globally and is also the global leader in research and development. What is the driving force behind Israel’s startup and tech success? Uri Adoni says it’s “chutzpah.” Adoni, a veteran venture capitalist with over 20 years in the space, has extensive experience as an investor and an executive in a wide variety of tech companies. In his new book, The Unstoppable Startup: Mastering Israel’s Secret Rules of Chutzpah, he argues that Israeli chutzpah – a bold, can-do, audacious attitude – is what accounts for the nation’s incredible track record of success.

“If you look at high-tech success stories, Israeli or not, there is almost always an important element of chutzpah that made it happen,” Adoni explains. “By mastering these secret rules of Israeli chutzpah, leaders and innovators can unlock the roadmap to success for their business.” According to Adoni, there are six rules of chutzpah:

1. Challenging Reality and The Status Quo. This aspect of Chutzpah is a mental position, a state of mind in which the entrepreneur realizes that current solutions are not good enough and believes they are capable of finding a better, faster, more effective solution, and, that they know how to define it, develop it, and market it.

2. Dominate the Market Category You Are After or Create a New One. It is not enough to just be another face in the crowd. If a startup wishes to succeed, it must aspire to lead its market category eventually. It can do this in one of two ways: challenging an existing category by offering a better way to do something or defining a new category or sub-category that didn’t exist before.

3. Foresee the Future and Innovate to Meet Its Demands. Driven by chutzpah, startup entrepreneurship refuses to believe the adage, “there is nothing new under the sun.” They believe that there is always a better solution, new needs to be met, and constant changes that require constant innovation. The entrepreneur needs to have a hypothesis of where the market is going, foresee the new market needs, and aim to build a solution for these future needs.

4. The Market Needs It (Even If It Doesn’t Know It Yet). It takes chutzpah to say, “even though you don’t feel pain, I know you have one, and even though you’re not suffering yet, I know you will soon.” This happens quite frequently with startups that are offering visionary solutions to new or impending problems. It may take a while for the customer to realize their own need, but once they do, the answer will be ready.

5. Bend the Rules. Chutzpah is about bending the rules. The rules can pertain to what is physically possible or what is considered “good practice.” One implicit rule of commerce is that nothing should be given away. Chutzpah-laden startups have repeatedly turned that rule on its head, declaring that something previously for sale is now free and creating a new business model that didn’t exist before.

6. Show, Don’t Tell. This advice is usually given to fiction writers. In the world of high-tech startups, it’s not enough to tell people what you can do – that won’t convince them. However, if you provide living proof of what your product can do and that your technology works, people believe you, there’s a good chance they will become your clients or investors.  In the cutthroat, ultra-competitive world of entrepreneurship, business owners are always looking for any edge they can get to increase their odds of success. While passion, persistence, and hard work are essential, as Adoni argues, it’s chutzpah that will truly make any startup unstoppable.

Source: https://www.forbes.com/sites/benjaminlaker/2020/09/08/6-rules-of-successful-entrepreneurs-and-startups/#6047f1ac7890

6
Venture Capital / Amazon’s Success History
« on: September 04, 2020, 05:25:46 PM »
Amazon founder and CEO Jeff Bezos in 1997Paul Souders.

Amazon’s success, CEO Jeff Bezos is the richest person in the world, worth $207 billion, according to the Bloomberg Billionaires Index.But when he started Amazon as an online bookseller in 1994, Bezos thought it was likely that his business would fail. “I thought there was a 30% chance that we might build a successful company,” Bezos told John Stofflet in an interview for KING-TVs “Evening Magazine” in 2000. “I never thought we’d build what Amazon has turned into, and I’m the most surprised on the planet.”

In fact, Bezos told his parents — who gave their son $245,573 to help build the business in 1995 — that it was “very likely they’ll lose their entire investment in the company,” he told “Evening Magazine.”Starting Amazon was a gamble for Bezos: He left a stable job at a hedge fund in New York City and moved to Seattle to start Amazon out of his garage at a time when most people did not even know what the internet was.
And even though Bezos’ parents provided financial support, they were also worried about his decision. “Don’t quit your job,” his mother Jacklyn Bezos warned, according to his father Mike Bezos. “Can you do this on the weekends and nights?” she asked.Obviously it all worked out for Bezos. Amazon went public in 1997, and today, the company has a market cap of about $1.7 trillion.
What’s actually happened over the last 25 years [at Amazon] is way beyond my expectations,” Bezos said during a fireside chat in India in January. “I was hoping to build a company, but not a company like what you see today.”

Link: https://www.cnbc.com/2020/09/03/jeff-bezos-thought-there-was-a-30percent-chance-amazon-would-succeed.html

7
Economics in Business / Dutch disease
« on: September 02, 2020, 07:59:34 PM »
ডাচ ডিজিজ কী?
কোনো দেশের একপ্রকার অর্থনৈতিক অবস্থা হলো ডাচ ডিজিজ। এ অবস্থায় একদিকে দেশের অর্থনীতির একটি বিশেষ ক্ষেত্রের দ্রুত উন্নতি এবং অপরদিকে অন্যান্য ক্ষেত্রের পতন দেখা যায়, যার ফলে দেশীয় মূদ্রার মূল্য স্বাভাবিকের চেয়ে অধিকতর বেড়ে যায়। ডাচ ডিজিজে মূলত প্রাকৃতিক সম্পদভিত্তিক কোনো ক্ষেত্রের উন্নতিকে বোঝানো হয়। দীর্ঘমেয়াদে ডাচ ডিজিজের পরিণাম দাঁড়ায় ভয়াবহ। একটু সহজভাবে বলতে গেলে, ডাচ ডিজিজ হলো এমন একটি অর্থনৈতিক ঘটনা, যা ঘটে যখন কোনো দেশের জন্য ভালো কোনো খবর থাকে; যেমন- কোনো প্রাকৃতিক সম্পদের আবিষ্কার। কিন্তু এর ফলে নিকট ভবিষ্যতে দেশটির অর্থনীতির উপর ইতিবাচক প্রভাব না পড়ে নেতিবাচক প্রভাবেরই প্রসার ঘটে। এক্ষেত্রে এমন কোনো সীমিত পরিমাণের বস্তুর (প্রাকৃতিক সম্পদ) ওপর অধিক নির্ভরশীল হয়ে ওঠে একটি দেশের অর্থনীতি। আর সীমিত কোনো সম্পদের উপর নির্ভরশীলতা কোনো দেশের জন্য সবসময়ই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

কোনো দেশের অর্থনীতি প্রাকৃতিক সম্পদভিত্তিক ক্ষেত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে উঠলে বুঝতে হবে যে, নিকট ভবিষ্যতে দেশটি ‘ডাচ ডিজিজ'-এর সম্মুখীন হতে পারে। এই নির্ভরশীলতা কেন হানিকর, তার উত্তর খুব ছোট করে বলা যায়। আপনি নিজেই চিন্তা করুন। যেকোনো দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। সুদূর ভবিষ্যতে এর সমাপ্তি ঘটবে, সেটাই স্বাভাবিক। একটি দেশের অর্থনীতি মূল যে ক্ষেত্রের ওপর নির্ভর করে চলছে, সেই ক্ষেত্রের কাঁচামালই যদি না থাকে, তাহলে ক্ষেত্রটা চলবে কী করে আর দেশের সমগ্র অর্থনীতিই বা চলবে কী করে? অর্থাৎ, এক্ষেত্রে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থায় ধ্বস নামা স্বাভাবিক বিষয়। এই ধ্বস তৎক্ষণাৎ না ঘটলেও ভবিষ্যতে ঘটতেই পারে। আবার আরেকদিকে প্রাকৃতিক সম্পদভিত্তিক ক্ষেত্র নয় যেগুলো, সেসব ক্ষেত্রের বা ঐ দ্রব্যগুলোর চাহিদা বিশ্ব বাজারে কমে যাওয়ার কারণে রপ্তানিও কমে যায়। এমন অবস্থায় নির্দিষ্ট একটি ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত দ্রব্য বাদে বাকি দ্রব্যগুলোর জন্য আমদানির উপরই নির্ভরশীল হতে হয়। ফলে, ঐ ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগ এবং চাকরির সুযোগ দু'টোরই অভাব দেখা যায়। এতে করে দীর্ঘমেয়াদে বেকারত্ব বাড়তেই থাকে। আর ম্যানুফ্যাকচারিং এবং এ ধরনের শিল্প সংক্রান্ত কাজ চলে যায় নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে। ফলে দেশের মানুষই কাজের অভাবে ভুগতে থাকে। অতিরিক্ত মূদ্রাস্ফীতি, আয়ের দিক থেকে অতিরিক্ত বৈষম্য এবং দেশের আমদানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়াটা বারবারই ডাচ ডিজিজের পূর্বাভাস দিতে থাকে।

ডাচ ডিজিজের শুরু
সর্বপ্রথম ১৯৭৭ সালে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ ম্যাগাজিনে ‘ডাচ ডিজিজ’ শব্দের প্রয়োগ করা হয়। ম্যাগাজিনটি মূলত ১৯৫৯ সালে নেদারল্যান্ডসে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল এলাকা আবিষ্কৃত হওয়ার পর সেখানে কীরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তা ব্যাখা করার জন্য এটি ব্যবহার করে। সেই সময়ে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেলের অতিরিক্ত রপ্তানি শুরু হয়। ফলে নেদারল্যান্ডসের আয় অতিরিক্ত বেড়ে যায়।

অবশ্য এই বৃদ্ধি মূলত যারা এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের সাথে জড়িত, তারাই অনুভব করতে পারে। তবে সমস্যা তখন শুরু হয়, যখন অধিক রপ্তানির ফলে ডাচ গিল্ডার তথা ডাচ মুদ্রার মূল্য বেড়ে যায়। মুদ্রাস্ফীতির ফলে যেসব দ্রব্য প্রাকৃতিক গ্যাস কিংবা তেলের সাথে সংযুক্ত নয় সেগুলো বিশ্ব বাজারে কম প্রতিযোগিতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। সোজা কথা হলো, ঐ একটি ক্ষেত্র বাদে বাকি ক্ষেত্রগুলো অকেজো হতে শুরু করে।
ডাচ ডিজিজের সাথে তুলনামূলক সুবিধা (কম্পারেটিভ অ্যাডভান্টেজ)-এর বিষয়ের গড়মিল বাঁধে। কম্পারেটিভ অ্যাডভান্টেজ মডেলে বলা হয়, যদি একটি দেশ কোনো একটি বিশেষ সেক্টরে পারদর্শী বা নির্ভরশীল হয় তাহলে তা ঐ দেশের জন্য ভালো। এতে করে অন্যান্য দেশের তুলনায় ঐ সেক্টরের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে ডাচ ডিজিজের পুরো বিষয়টিই হলো একটি সেক্টরের উপর নির্ভর থাকার নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে। বিশেষ করে সেক্টরটি যদি প্রাকৃতিক সম্পদভিত্তিক হয়। এসব সম্পদের রপ্তানিতে ব্যস্ত অর্থনীতির অন্যান্য সেক্টর, যেমন- কৃষি এবং ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর অথবা বাকি সেক্টরগুলো উন্নত করার ক্ষেত্রে কারো মাথাব্যথা থাকে না৷
প্রতিরোধের উপায় কী?
রিয়াল এক্সচেঞ্জ রেটকে নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে ডাচ ডিজিজও প্রতিরোধ করা সম্ভব। এখানে উদাহরণস্বরূপ চীনের কথা বলা যায়। চীন নিজের মুদ্রার রিয়াল এক্সচেঞ্জ রেট কম রাখার জন্য ইউএস বন্ড কেনে। আবার দেখা যায়, কোনো দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বেশি হলে আমদানিও বেশি হয় তথা বাজেট ঘাটতি দেখা যায়। এখন কোনো দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ঘাটতি বাজেট থেকে উদ্বৃত্ত বাজেটে আনা গেলে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে না। এতে করে সরকারি বন্ড বা মুচলেকা ক্রয়ের তাগিদে দেশে বৈদেশিক মূলধনের প্রবাহও অতিরিক্ত বাড়তে পারবে না তথা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যদি এই মূলধনের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে এক্সচেঞ্জ রেট (রিয়াল টাইম)-ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এর ফলটাও হবে ইতিবাচক। আর তা হলো- ডাচ ডিজিজের ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

ডাচ ডিজিজের সময় দেখা যায় যে, হাতে প্রচুর টাকাকড়ি থাকলেও তা ঠিকমতো ব্যয় করা সম্ভব হয় না। অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতি হলে যা হয় আর কি! এমন অবস্থা দমানোর জন্য তখন সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়। যদি সরকার প্রাকৃতিক সম্পদভিত্তিক সেক্টর থেকে যে পরিমাণ আয় হয়, তার ওপর কর আরোপ করে তাহলে তা আয় নিয়ন্ত্রণ করার সাথে সাথে জনকল্যাণেও কাজে লাগবে। করের মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ সরকার পাবে তা যদি জনসাধারণের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং পরিবহণ ব্যবস্থায় কাজে লাগানো হয়, তবে তা সবার জন্যই কল্যাণকর হবে। তাছাড়া এই অর্থের কিছু অংশ অন্যান্য প্রযুক্তিনির্ভর এবং বাকি সেক্টরগুলোতে ব্যবহৃত হলে সেসব সেক্টরও উন্নতি লাভ করতে পারবে, যা দীর্ঘমেয়াদে ঐ দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে। ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের প্রতিযোগিতার যোগ্যতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে কর থেকে প্রাপ্ত এই আয়।

ডাচ ডিজিজের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সরকার সার্বভৌম সম্পদ তহবিলেরও ব্যবস্থা করতে পারে। এই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেল থেকে যা আয় আসবে, তা খরচ করা হবে না, বরং ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেওয়ার জন্য জমিয়ে রাখা হবে। যেমন- নরওয়েতে ডাচ ডিজিজের ঝামেলা রুখতে সরকারি পেনশন তহবিল গঠন করা হয়।

আরো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন- বিলাস দ্রব্যের উপর উচ্চ কর আরোপ করা। এই পদক্ষেপ অর্থনীতি যেন বিলাস দ্রব্যের উপর অধিকতর নির্ভরশীল না হয় সেজন্য নেওয়া হয়। কারণ দীর্ঘমেয়াদে এসব দ্রব্যের উপর নির্ভরশীলতা ক্ষতিকর হতে পারে। অভিবাসনে আমজনতাকে অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে এই ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ করা যাবে। এর ফলে বেকারদের বেকারত্বের অভিশাপ ঘুচবে এবং পাশাপাশি সার্ভিস সেক্টরেও দেশটি উন্নতি লাভ করতে পারবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট একটি ক্ষেত্রের উপর নির্ভরশীলতা কিছুটা হলেও কমবে। আর মজুরি বৃদ্ধি (রিয়াল টাইম)-ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ডাচ ডিজিজের প্রভাব আরো বেশি ক্ষতি সাধন করে, যখন সম্পদ কিছু মানুষের হাতে পুঞ্জীভূত থাকে। কারণ এতে করে বিলাস দ্রব্য ও সেবার উপর খরচ বেড়ে যায়। অন্যদিকে, টাকার অভাবে বাকিরা কিছু ক্রয় করতে পারে না। অর্থাৎ অর্থনৈতিক বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে ডাচ ডিজিজ প্রতিরোধ করার উপায় হলো এই বৈষম্য দূর করা।

Link: https://roar.media/bangla/main/economy/dutch-disease-not-living-things-but-economys-disease/amp

8
বাংলাদেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে সমুদ্র অর্থনীতি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা নির্ধারিত হওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিধি  বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় নতুন বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সমুদ্রে (বাংলাদেশ অংশে) কী পরিমাণ মৎস্য সম্পদ, খনিজ সম্পদ, নৌ চলাচলসহ অন্যান্য কী ধরনের অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ১৯টি মন্ত্রণালয়। এদিকে সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে ৫টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এর মধ্যে সমুদ্র অর্থনীতির বিষয়ে নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা দ্রুত পাঠাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সমুদ্রসীমা এলাকায় সমন্বিত সার্ভে ও তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পর্কে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করতে প্রস্তাব দিয়েছে চীন। অবশ্য এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিও হয়েছে। আগ্রহ রয়েছে জাপানেরও। এছাড়া, হাতে নেওয়া হয়েছে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ। এর বাইরে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে ব্লু ওসান ইকোনমি বা নীল সমুদ্র অর্থনীতি বা সংক্ষেপে সমুদ্র অর্থনীতি।
এই সমুদ্র অর্থনীতি কার্যকর করতে ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), মালয়েশিয়া সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে মালয়েশিয়া থেকে একটি জাহাজ নির্মাণ করে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জাহাজটি দৈর্ঘ্যে ৩৮ মিটার এবং ওজন হবে ১ হাজার ৫০০ টন। জাহাজটি মার্চ মাসেই বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাউসার আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আগামী মার্চের মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে মিন অনুসন্ধানী নামে একটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে। এটি আসলে আমাদের সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ কি পরিমাণ আছে তা জরিপ করা সম্ভব হবে। তিনি মনে করেন, সমুদ্র অর্থনীতিকে কার্যকর ও ফলপ্রসু করতে হলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সরকারের তেমন কোন উদ্যোগ নেই।

এদিকে, সমুদ্র অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করতে সরকার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যকে ব্যবহার করে কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন এবং কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পকে আরো বিকশিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে ১২০ কিলোমিটারের পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈতক- কক্সবাজার। এই সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে পারলে গোটা বাংলাদেশই বদলে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য কক্সবাজার ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টর্মাটিনকে আর্কষণীয় করে তুলতে পারলে এ অঞ্চলে বিদেশি পর্যটকের ঢল নামবে।  ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁডাবে ১৬০ কোটি। পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিপুলসংখ্যক পর্যটকের প্রায় ৭৩ শতাংশ ভ্রমণ করবেন এশিয়ার দেশগুলোতে। এছাড়াও বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তথ্যমতে, ২০১৮ সালের মধ্যে এ শিল্প হতে ২৯ কোটি ৭০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান রাখবে ১০.৫ ভাগ।

সমুদ্র নিয়ে গবেষণা করা বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেভ আওয়ার সি’র তথ্য অনুযায়ি, সমুদ্র থেকে মাছ ধরে শুধু বিদেশে রফতানি করেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। এ ছাড়া মাছ থেকে খাবার, মাছের তেল দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, সস, চিটোসান তৈরি করা সম্ভব, যাতে নতুন ধরনের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তা বিদেশে রফতানি করেও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শুধু সামদ্রিক মাছ ও শৈবাল রফতানী করে বাংলাদেশ বছরে এক বিলিয়ন ডলারের সম পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, এ মুহূর্তে দরকার সমুদ্রসম্পদের জরিপ করে  বের করা সেখানে কী কী সম্পদ কত পরিমাণ আছে। এরপর এ সম্পদ কিভাবে কাজে লাগনো যাবে তা ঠিক করা। তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্রে দুই ধরণের সম্পদ রয়েছে। একটি হচ্ছে প্রাণীজ সম্পদ অন্যটি হচ্ছে খনিজ সম্পদ। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমাদের সমুদ্রে কি পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তা এখনও জরিপ করা সম্ভব হয়নি।

সেভ আওয়ার সি’র গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে ব্যবহৃত মোট ম্যাগনেসিয়ামের ৫০ শতাংশই আসে সামুদ্রিক উৎস থেকে। সমুদ্র থেকে আহরিত ম্যাগনেসিয়াম লবণ এয়ারক্রাফট নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া পটাশিয়াম লবণ সার ও নানা ধরনের রসায়ন শিল্পে ব্যবহার করা হয়। ওষুধ তৈরিতে ব্রোমিন এবং ওয়াল বোর্ড নির্মাণে জিপসাম ব্যবহৃত হয়। সোডিয়াম ক্লোরাইড খাবার লবণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সমুদ্র থেকে জীবনরক্ষাকারী নানা ধরনের ওষুধ পেতে পারি। এ পর্যন্ত ১০ হাজার কম্পাউন্ড সমুদ্র থেকে পাওয়া গেছে।  প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা মনে করছেন, আগামী প্রজন্মের ওষুধের জোগান আসবে সমুদ্র থেকেই।


সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে সমুদ্র অর্থনীতি
গোলাম মওলা
প্রকাশিত : ০৮:০০, জানুয়ারি ২১, ২০১৬ | সর্বশেষ আপডেট : ১০:০৭, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে সমুদ্র অর্থনীতি
বাংলাদেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে সমুদ্র অর্থনীতি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা নির্ধারিত হওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিধি  বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় নতুন বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সমুদ্রে (বাংলাদেশ অংশে) কী পরিমাণ মৎস্য সম্পদ, খনিজ সম্পদ, নৌ চলাচলসহ অন্যান্য কী ধরনের অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ১৯টি মন্ত্রণালয়। এদিকে সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে ৫টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এর মধ্যে সমুদ্র অর্থনীতির বিষয়ে নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা দ্রুত পাঠাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সমুদ্রসীমা এলাকায় সমন্বিত সার্ভে ও তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পর্কে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।
সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে ব্লু ওসান ইকোনমি বা নীল সমুদ্র অর্থনীতিঅন্যদিকে, সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করতে প্রস্তাব দিয়েছে চীন। অবশ্য এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিও হয়েছে। আগ্রহ রয়েছে জাপানেরও। এছাড়া, হাতে নেওয়া হয়েছে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ। এর বাইরে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে ব্লু ওসান ইকোনমি বা নীল সমুদ্র অর্থনীতি বা সংক্ষেপে সমুদ্র অর্থনীতি।
এই সমুদ্র অর্থনীতি কার্যকর করতে ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), মালয়েশিয়া সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে মালয়েশিয়া থেকে একটি জাহাজ নির্মাণ করে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জাহাজটি দৈর্ঘ্যে ৩৮ মিটার এবং ওজন হবে ১ হাজার ৫০০ টন। জাহাজটি মার্চ মাসেই বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাউসার আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আগামী মার্চের মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে মিন অনুসন্ধানী নামে একটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে। এটি আসলে আমাদের সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ কি পরিমাণ আছে তা জরিপ করা সম্ভব হবে। তিনি মনে করেন, সমুদ্র অর্থনীতিকে কার্যকর ও ফলপ্রসু করতে হলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সরকারের তেমন কোন উদ্যোগ নেই।

এদিকে, সমুদ্র অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করতে সরকার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যকে ব্যবহার করে কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন এবং কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পকে আরো বিকশিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে ১২০ কিলোমিটারের পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈতক- কক্সবাজার। এই সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে পারলে গোটা বাংলাদেশই বদলে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য কক্সবাজার ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টর্মাটিনকে আর্কষণীয় করে তুলতে পারলে এ অঞ্চলে বিদেশি পর্যটকের ঢল নামবে।  ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁডাবে ১৬০ কোটি। পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিপুলসংখ্যক পর্যটকের প্রায় ৭৩ শতাংশ ভ্রমণ করবেন এশিয়ার দেশগুলোতে। এছাড়াও বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তথ্যমতে, ২০১৮ সালের মধ্যে এ শিল্প হতে ২৯ কোটি ৭০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান রাখবে ১০.৫ ভাগ।

সমুদ্র নিয়ে গবেষণা করা বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেভ আওয়ার সি’র তথ্য অনুযায়ি, সমুদ্র থেকে মাছ ধরে শুধু বিদেশে রফতানি করেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। এ ছাড়া মাছ থেকে খাবার, মাছের তেল দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, সস, চিটোসান তৈরি করা সম্ভব, যাতে নতুন ধরনের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তা বিদেশে রফতানি করেও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শুধু সামদ্রিক মাছ ও শৈবাল রফতানী করে বাংলাদেশ বছরে এক বিলিয়ন ডলারের সম পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, এ মুহূর্তে দরকার সমুদ্রসম্পদের জরিপ করে  বের করা সেখানে কী কী সম্পদ কত পরিমাণ আছে। এরপর এ সম্পদ কিভাবে কাজে লাগনো যাবে তা ঠিক করা। তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্রে দুই ধরণের সম্পদ রয়েছে। একটি হচ্ছে প্রাণীজ সম্পদ অন্যটি হচ্ছে খনিজ সম্পদ। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমাদের সমুদ্রে কি পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তা এখনও জরিপ করা সম্ভব হয়নি।

সেভ আওয়ার সি’র গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে ব্যবহৃত মোট ম্যাগনেসিয়ামের ৫০ শতাংশই আসে সামুদ্রিক উৎস থেকে। সমুদ্র থেকে আহরিত ম্যাগনেসিয়াম লবণ এয়ারক্রাফট নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া পটাশিয়াম লবণ সার ও নানা ধরনের রসায়ন শিল্পে ব্যবহার করা হয়। ওষুধ তৈরিতে ব্রোমিন এবং ওয়াল বোর্ড নির্মাণে জিপসাম ব্যবহৃত হয়। সোডিয়াম ক্লোরাইড খাবার লবণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সমুদ্র থেকে জীবনরক্ষাকারী নানা ধরনের ওষুধ পেতে পারি। এ পর্যন্ত ১০ হাজার কম্পাউন্ড সমুদ্র থেকে পাওয়া গেছে।  প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা মনে করছেন, আগামী প্রজন্মের ওষুধের জোগান আসবে সমুদ্র থেকেই।
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ি, বাংলাদেশের প্রায় ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আমদানি-রফতানি পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ২৬০০ বাণিজ্যিক জাহাজ চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে আনা-নেয়া করে। ২০০৮ সালে বেসরকারি মালিকানায় বাংলাদেশি সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৬টি। কিন্তু সমুদ্র পরিবহনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন তা ৭০-এ দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে আমদানি-রফতানিতে দেশীয় জাহাজের সংখ্যা বাড়লে এ খাতে বড় ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন খাতে ২০০৮ সালে রেজিস্ট্রি করা জাহাজ ছিল চার হাজার। এখন যা নয় হাজারে পৌঁছেছে।

সেভ আওয়ার সি’র তথ্য অনুযায়ি, পণ্য আমদানি-রফতানিতে বাংলাদেশি জাহাজ যুক্ত হওয়ায় দেশে গড়ে উঠেছে শিপিং এজেন্সি, ফ্রেইট-ফরোয়ার্ডিং, ব্যাংক-বীমা খাত। এ খাতে নতুন ধরনের কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বেসরকারী এই প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে ২৫০ জাতের মিঠা পানির মাছ এর বিপরীতে সাগরে রয়েছে অন্তত ৪৭৫ প্রজাতির মাছ। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে প্রতিবছর ৮ মিলিয়ন টন মাছ ধরা পড়ে। এর মধ্যে শূন্য দশমিক ৭০ মিলিয়ন টন মাছ বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা আহরণ করে। যার সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের জীবিকা জড়িত।  প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ি, সারা দেশে মোট মাছের উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৩৩ লাখ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত কিছু জরিপ থেকে জানা যায়, নানা প্রজাতির মূল্যবান মাছ ছাড়াও সমুদ্রসীমায় নানা ধরনের প্রবাল, গুল্মজাতীয় প্রাণী, ৩৫ প্রজাতির চিংড়ি, তিন প্রজাতির লবস্টার, ২০ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ৩০০ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে ২০১৪ সালের ২০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে ১৮টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানতে ২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সমুদ্র সম্পদ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ভিত্তিক কোর্স শুরু করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিবের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিবেশ ও বন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, কৃষি এবং প্রবাসীকণ্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, অর্জিত সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা রক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জিএসবি, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি সমন্বয়ে পৃথক সভা করার কথাও বলা হয়েছে।

এদিকে আঞ্চলিক অর্থনীতির উন্নয়নে সমুদ্র অর্থনীতি বা ‘ব্লু ইকোনোমি’ বাস্তবায়নে জাতীয়, উপ-আঞ্চলিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ফলপ্রসূ নীতি প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্প্রতি রাজধানীতে ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়ামের (আইওএনএস)

পঞ্চম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, “সমুদ্র সম্পদের দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে ‘ব্লু ইকোনমি’ কার্যকর বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তির পর বাংলাদেশ  বঙ্গোপসাগরে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি রাষ্ট্রাধীন সমুদ্র (টেরিটোরিয়াল সি), ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক কাউসার আহমেদ বলেন, সমুদ্রের তলদেশের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদ ব্যবহার করতে হলে যে পরিমাণ দক্ষ জনশক্তি দরকার, বর্তমানে বাংলাদেশে সেই পরিমাণ জনশক্তি নেই। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগ থাকলেও প্রয়োজনীয় বাজেট না থাকার কারণে এই দুটি প্রতিষ্ঠানও সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না।

গবেষণা প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের বিশাল মৎস্য সম্পদের ১ শতাংশও বাংলাদেশের জেলেরা ধরতে পারছেন না উন্নত ধরনের জাহাজ ও প্রযুক্তির অভাবে। দক্ষ জনশক্তি  ও প্রযুক্তির অভাবের বিষয়টি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন উপকূল ও সমুদ্র সম্পদ আহরণ এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান এখনো আমাদের নেই। প্রয়োজনীয় মানবসম্পদও নেই। এক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি।’ সম্প্রতি রাজধানীর খামার বাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশের উপকূল ও সামুদ্রিক পরিবেশ বিষয়ক বিশেষ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত সম্মেলনে তিনি বলেন, সমুদ্র সম্পদ আহরণে আমরা এখনো উপযুক্ত নই। মানবসম্পদের উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের এই যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এজন্য পরিকল্পিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।

বিশ্বমানের জাহাজ হচ্ছে বাংলাদেশে: বিশাল সমুদ্রকে ঘিরেই দেশে এখন বিশ্বমানের জাহাজ তৈরি হচ্ছে। জাহাজ তৈরি শিল্পে এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। বিশ্বে জাহাজভাঙা শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। পৃথিবীর মোট জাহাজ ভাঙার ২৪.৮ শতাংশ বাংলাদেশে সম্পাদিত হয়। দেশের দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষত চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চল এ শিল্পের জন্য কাজে লাগাতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিতে তা আরো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে ।

লবণ রফতানি : সমুদ্রের লোনা পানিকে আটকে সূর্যের তাপ ব্যবহার করে প্রতিবছর প্রায় ১৫ লাখ টন লবণ উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। লবণ চাষে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে লবণ বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব বলেও মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।  এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক কাউসার আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশই সমুদ্রের জোয়ারভাটা বা ঢেউকে ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। ভারত সমুদ্রের ঢেউকে ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। ভারতে মোট ২ লাখ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে সমুদ্রের ঢেউ এবং বাতাস ব্যবহার করে। আমাদের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে সমুদ্র নানাভাবে সহায়তা করতে পারে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে মেরিটাইম সহযোগিতা বিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন এবং ব্লু ইকোনমি সহায়তার ব্যাপারে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের বিষয়ে গত ২০ ডিসেম্বর সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট। ওই বৈঠকের কার্যবিবরণী সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কার্যবিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বৈঠকে মেরিটাইম সহায়তার আওতায় বঙ্গোপসাগরে জলজ উদ্ভিদ ও মাছ সংরক্ষণে মেরিন অ্যাকুরিয়াম এবং কক্সবাজারে সামুদ্রিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চীনের সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্র অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি) সহায়তা খাতে নবায়নযোগ্য শক্তি, মেরিন বায়ো টেকনোলজি, ইকো টুরিজম, সমুদ্র দূষণ, বনায়নসহ সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও গবেষণার ব্যাপারে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে ইতিবাচক মতামত দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরকালে দুই দেশের মধ্যে সামুদ্রিক অর্থনীতি রক্ষা এবং সম্পদ আহরণে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের পরপরই একই ধরনের এমওইউ স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেয় চীন।

Link: https://www.banglatribune.com/business/news/71361/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF

9
The current population of Earth is more than 7 Billion.
The statistics can tell us the numbers, the distribution, various races and other information of the population.

As the population is so large, a purely statistical report, for most people, would not make meaningful sense. Therefore, someone has produced this set of statistical report condensing the 7 billion in the world into 100 persons, and then into various percentage statistics. The resulting analysis is relatively much easier to comprehend.

Out of 100:

11 are in Europe
5 are in North America
9 are in South America
15 are in Africa
60 are in Asia

49 live in the countryside
51 live in cities

12 speak Chinese
5 speak Spanish
5 speak English
3 speak Arabic
3 speak Hindi
3 speak Bengali
3 speak Portuguese
2 speak Russian
2 speak Japanese
62 speak their own language.

77 have their own houses
23 have no place to live.

21 are over-nourished
63 can eat full
15 are under-nourished
1 ate the last meal, but did not make it to the next meal.

The daily cost of living for 48 is less than US$2.

87 have clean drinking water
13 either lack clean drinking water or have access to a water source that is polluted.

75 have mobile phones
25 do not.

30 have internet access
70 do not have conditions to go online

7 received university education
93 did not attend college.

83 can read
17 are illiterate.

33 are Christians
22 are Muslims
14 are Hindus
7 are Buddhists
12 are other religions
12 have no religious beliefs.

26 live less than 14 years
66 died between 15 - 64 years of age
8 are over 65 years old.

If you have your own home,
Eat full meals & drink clean water,
Have a mobile phone,
Can surf the internet, and
have gone to college,
you have little reason to complain.

Amongst 100 persons in the world,
only 8 can live or exceed the age of 65.

If you are over 65 years old be content & grateful. 
Cherish life, grasp the moment. You did not leave this world before the age of 64 years like the 92 persons who have gone before you. You are already blessed amongst mankind (Collected)

10
Daffodil Institute of Languages (DIL) / Demand of Foreign Language
« on: September 02, 2020, 07:28:32 PM »
The current population of Earth is more than 7 Billion
The statistics can tell us the numbers, the distribution, various races and other information of the population.

As the population is so large, a purely statistical report, for most people, would not make meaningful sense. Therefore, someone has produced this set of statistical report condensing the 7 billion in the world into 100 persons, and then into various percentage statistics. The resulting analysis is relatively much easier to comprehend.

Out of 100:

11 are in Europe
5 are in North America
9 are in South America
15 are in Africa
60 are in Asia

49 live in the countryside
51 live in cities

12 speak Chinese
5 speak Spanish
5 speak English
3 speak Arabic
3 speak Hindi
3 speak Bengali
3 speak Portuguese
2 speak Russian
2 speak Japanese
62 speak their own language.

77 have their own houses
23 have no place to live.

21 are over-nourished
63 can eat full
15 are under-nourished
1 ate the last meal, but did not make it to the next meal.

The daily cost of living for 48 is less than US$2.

87 have clean drinking water
13 either lack clean drinking water or have access to a water source that is polluted.

75 have mobile phones
25 do not.

30 have internet access
70 do not have conditions to go online

7 received university education
93 did not attend college.

83 can read
17 are illiterate.

33 are Christians
22 are Muslims
14 are Hindus
7 are Buddhists
12 are other religions
12 have no religious beliefs.

26 live less than 14 years
66 died between 15 - 64 years of age
8 are over 65 years old.

If you have your own home,
Eat full meals & drink clean water,
Have a mobile phone,
Can surf the internet, and
have gone to college,
you have little reason to complain.

Amongst 100 persons in the world,
only 8 can live or exceed the age of 65.

If you are over 65 years old be content & grateful. 
Cherish life, grasp the moment. You did not leave this world before the age of 64 years like the 92 persons who have gone before you. You are already blessed amongst mankind (Collected)

11
Blue Tourism / Blue Economy
« on: September 02, 2020, 01:09:03 PM »
বাংলাদেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে সমুদ্র অর্থনীতি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা নির্ধারিত হওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিধি  বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় নতুন বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সমুদ্রে (বাংলাদেশ অংশে) কী পরিমাণ মৎস্য সম্পদ.

বিস্তারিত জানতে Attached ফাইল ক্লিক করুন ....

12
Thank you

13
Career Plan - Life & Beyond / Re: Biodata
« on: August 26, 2020, 12:48:17 AM »
Thank you sir

14
Online Travel Agency(OTA) তরুন উদ্যোক্তা বা স্টার্টআপদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার একটি ভালো প্লাটফর্ম হতে পারে। Online Travel Agency হলো ওয়েব সাইড বেইস ট্রাভেল প্রোডাক্টস যা সরাসরি কাষ্টমারের কাছে পৌছে দেওয়া যায়। উদাহারণ: টিকিট বুকিং, হোটেল বুকিং, কার রেন্টাল, ফ্লাইট বুকিং, ভিসা প্রসেসিং, হজ্জ ও উমরা প্যাকেজ ইত্যিদি। Online Travel Agency এর ভালো উদাহারন হতে পারে- Booking.com, Expedia, Skyscornner, KiWi.com, Priceline.com, TripAdviser, MakeMy Trip, AirGorilla, Elong, Yatra ইত্যাদি।

গ্লোবাল মার্কেট সাইজ:
Online Travel Agency এর গ্লোবাল মার্কেট সাইজ ২.৫ $ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০২০ সালে মার্কেট সাইজ হবে ৮১৭ $ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৬ সালে ১৯৫৫ $ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

কেন বাংলাদেশ?
বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে "ট্রুরিজম সেক্টর " কে সম্ভাবনাময় সেক্টর হিসাবে চিন্হিত করেছেন। অনলাইন বেইজ তথ্য অনুসারে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১১ মিলিয়ন বাংলাদেশী দেশের বাইরে কাজ করেছেন(সূএ-ILO)। ২০১৯ সালে ৫৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৫৫ বার দেশের ভিতরে এবং বাইরে এয়ার ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেছেন এবং ২০২০ সালে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার জন হজ্জ সম্পন্ন করবেন।

OTA Startups এর আয়ের পরিমান(২০১৮-১৯):
১. Booking.com(USA/1996)- 14.53$ billion Sales
২. Expedia.com(USA)- 11.22$ billion Sales
৩. Ctrip.com(China)- 4.54$ billion Sales
৪. Skyscanner.net(Scotland/2001)- 337$ million
৫. kiwi.com(Czech/2012)- 1.1 billion euros
৬. Priceline.com(USA/1997)- 88$ billion sales
৭. CheapAir.com(USA/1989)- 5$ billion sales

তথ্যসূত্রে:মো: হুমায়ুন কবীর পলাশ
www.venture.com.bd

15
Career Plan - Life & Beyond / Biodata
« on: February 10, 2019, 08:42:18 PM »
Biodata is an abbreviated term that means Biographical Data. It is a document which contains all factual information about an individual, including personal facts such as date of birth, father’s name, gender, marital status, height, complexion, etc.


What to Include?

Basic Information:
Start with your name. This should be the first thing you write. Assume that the people reading the bio know nothing about you. Give your full preferred name (avoid nicknames). For example (Hari Sharma).

Current address and phone number with area code (where you can be reached now)
For example: 32- Gordon Road, Southall, UB2 4AL
Your e-mail address (If applicable)
For example: harisharma@gmail.com


Objectives
Including an objective in this type of resume is optional. Career objective should answer this question, “What do you want to do?” Your objectives should be specific and realistic. For example:

Objectives: Specific to the Job

Administrative assistant – I am seeking a position in the travel industry focusing on sales, customer care and office management.

Education – I am a dedicated person who wants to use her skills and education to help students achieve using both traditional and modern approaches.

Education administration – I want to obtain a position as a program director within an adult education setting.

Engineering– I want to share my high level of skills on most machines and work on automobiles or electronics.

Executive management– I am seeking a senior position in the financial services industry focusing on operational management and process improvements.

Financial– Secure a position with a leading organization that will lead to a long term career relationship.

Manager– Seeking a position with a well established company where I can maximize my program development and training skills.

Marketing– I am looking for a position in marketing where I will use my skills and experience in SEO and social media to increase site traffic and propel your company’s growth.

Mechanical engineer– I want to use my many years of experience to carry out my tasks with efficiency, professionalism and cost effectiveness.

Medicine– Seeking a position as a clinical practice assistant using my skills in research and leadership.

Receptionist– I am looking for a receptionist position where I will use my skills in data entry and switchboard as well as my experience with Microsoft Office and Excel.

Retail Manager– I am looking for a management position with a growing company where I can apply my experience to increase the company’s reputation and profitability.

Sales– I am seeking a position as sales associate with a fast-growing company.

Technical– I am looking for a position as a project manager for a software or internet company.

University professor– Seeking a position as a law professor with a focus on real estate and land use law.


Educational Background:
The education section tells an employer if you meet the educational requirements for a particular position. All resumes should include an education section, regardless of the level of education you have achieved.

To highlight your education, put this section directly below your career objective or summary of qualifications. You are requested to add the below things in your educational back ground.

Institution
City, Country
Dates attended or graduation date
Degree or certification obtained with percentage or CGPA
Major area
Relevant coursework
Specialized instruction


Experience:
This part of your resume may include several sections such as work experience, volunteer experience (internships, community service, and student teaching), campus leadership and any other area in which you may have significant experience, such as computer knowledge.

Briefly describe for each position:
Title, dates, organization name, location

Responsibilities
Use action words and verbs in active form to describe situations and achievements
Include scope of responsibilities
Concretely outline any outstanding results

Special Skills:
Front load these with those most important or most pertinent to your objective. You may want to use specific headings such as professional organizations, computer skills, and leadership positions. Include any honors, scholarships or recognition awards that you’ve received. If you were actively involved in any clubs, teams or committees while in college, those may be included also. The key to this section is keep it brief. If you feel you need more detail, use the guidelines for Experience and make it a complete section.


Interests:
List some your interest which shows you as an interesting and well-rounded person. For example reading books & Novels, Playing Games (Indoor or Outdoor games) etc.


Writing quality:
Should be clear and short (easy to read & understand).
Should be consistent, using similar style throughout.
Variety of action can be used which denotes the situation and action.
There should be no any spelling errors or grammatical errors while typing.
Uses appropriate tense (usually past, unless currently in activity).


Link: https://kangarooedu.com/resource/bio-data-2/

Pages: [1] 2