Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mohammad Nazrul Islam

Pages: [1] 2 3 ... 12
1
Common Forum / তিয়াসা
« on: February 25, 2024, 01:26:41 PM »

যমুনার এখন ভরা মৌসুম
নিত্য ডাকে বান,
চন্দ্র-পাক্ষিক আর্কষনে
মত্ত মিলনে ম্লান।।

পাড় ভেঙ্গে তার ধার ছুঁটেছে
অগাত পানির জল,
হাতরিয়ে, আমি স্বপ্ন  বিলাই
স্রোতের প্রতিকূল।।

গায়ে আমার নেংটি আটা
প্রাণের আকুতি যত,
দারুন স্রোতের করাল গ্রাসে
অঙ্গহানী-ক্ষত।।

নদীর পাড়ে মধুর মেলা
ভদ্রজনা কত,
দিক-ইশারা, আমার প্রাণে
হাসছে অবিরত।।

অভাগী আমি- লজ্জাহীনা
যমুনার স্রোত ধরে,
বন্ধুর, দেশে যাব- আশা
ঢেউ এর সারি চরে।।

বন্ধু আমার রঙ্গিলা ভাও
রঙ্গ সবার সনে,
সে, আমারে ভাসিঁয়ে-ডুবায়
আশার স্রোত-বানে।।

তবু, আমার ভাসতে সখ
সখি- নগ্ন যমুনায়,
তপ্ত জ্বালার- দারুন খড়ায়
তিয়াস মিটে নাই।।


2
Common Forum / ঐন্দ্রিতা
« on: February 14, 2024, 12:32:11 PM »
নিশ্চয় তুমি শাড়ী পড়েছ
-ভালবাসার এই দিনে,
নিশ্চিন্ত মনে, স্বর্গের ছবি আকঁছ’
জীবনের ক্যাফেটেরিয়াতে।।

কথা মঞ্জুরী আর অনাগত আশায়
জীবনের খেয়া তরীতে-‘দুল তুলেছ’
অনাগত ভবিষ্যতের চিন্তায়
ইন্দ্রের ইন্দ্রানী হয়ে।।

শুচী,কপালে টিপ, হাতে কাঁচের চূড়ি
হালকা লিপিস্টি আর ইরানী চোখে
চিরাচরিত শাড়ীর ভাজেঁ ভাজেঁ
আবেদন ছাপিয়েছ- প্রিতমের ঐন্দ্রিতা ।।

দিবস শেষে, একলাপথে যদি,
ভাবণার সূতোগুলো ঢিল হয়ে যায়
ফিরে দেখ, কালিন্দির ঘাটের পায়ের ছাপ
 এখনো মুছে যায়নি ।।

কাক চোখের স্বচ্ছ জলে
এখনো একটি অবহেলিত জীবন কথা বলে,
ভালবাসে, এই দিবসে-
অনন্ত যোজন ধরে মহাকালের পথে ।।

3
আবারও নতুনের ডাক নিয়ে ফিরে এলো আরও একটি নতুন বছর ইংরেজী ২০২৪ সাল। পুরাতনকে ছাপিয়ে নতুনের এই ডাক, সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ আর হাসি গান। পুরাতনের ক্লান্তি নাশিতে নতুনের উল্লাসে দুর হোক জীবনের সমস্ত জরা-ব্যাধি। ফুলেল সম্ভারে সুরভিত হোক জীবনের প্রতিটি অধ্যায়। ফেলে আসা কালিমা ধুয়ে-মুছে যাক নব-যৌবনের আরিফতায়।

বন্ধু, বিগত দিনে ভুল ছিল জোয়ারে জলে পা দেয়া। সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে মাথায় সিঁথি করা। হাতা কাঁটা জামা পড়ে কদম তলায় আখিঁ ঝড়ানো- সখি সে যে কেন এলো না...! ধূসর কূয়াশাকে ভালো লাগার দিন- ক্ষণ গণনায়। জীবনের প্রয়োজনে হিমালয়ের চূড়ায় আঘাত করে বিদীর্ণ হওয়া। বকুল ভরা ডালে ঢিল ছুড়া।

ভুল ছিল, শিমুল ফুলের রং দেখে মুগ্ধ হওয়া, স্বর্ণলতার মধুর চয়নে দিন পার করা। গভীর জলে- হারানো নথ খোঁজে ফেরা। গলদে বল-বিহারী খোঁজা। সুন্দর অক্ষিতে মুগ্ধ হওয়া। ধিক্কার-অবহেলাকে আলিঙ্গন করা। মন পচনে মলম খোঁজা কিম্বা হুতাশনের সাথে বন্ধুত্ব করা।

বন্ধু, পুরাতনকে ভুলে নতুনের আশায় এসো গড়ি খেলাঘর। ফিরে দেখি, জীবনের নতুন অলিন্দ। গান গাই হাসি মুখে, সংকর-সংর্কীণতায়। ভালবাসার বুকে ভগবানের ছবি আঁকি। পরিয়ে দেই প্রিয় জনের হাতে রাখিঁ। চঞ্চল-চপলতায় বুকে রাখি-প্রণয়-প্রয়াস। পবন নন্দনের হাত ধরে পথ চলি-আকাশের সিড়িঁ বেঁয়ে।।

নতুন বছরের এই দিনে তব রাঙ্গা পদে বন্ধু এই মিনতি-

নিশি অবসানপ্রায়, ওই পুরাতন বর্ষ হয় গত!
 আমি আজি ধূলিতলে এ জীর্ণ জীবন করিলাম নত।
বন্ধু হও, শত্রু হও,  যেখানে যে কেহ রও,
ক্ষমা করো আজিকার মতো
পুরাতন বরষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত।
আজি বাঁধিতেছি বসি সংকল্প নূতন অন্তরে আমার,
 সংসারে ফিরিয়া গিয়া হয়তো কখন ভুলিব আবার।
তখন কঠিন ঘাতে  এনো অশ্রু আঁখিপাতে অধমের করিয়ো বিচার।
আজি নব-বরষ-প্রভাতে ভিক্ষা চাহি মার্জনা সবার।
যাহা-কিছু লয়ে গেলে সাথে তোমারে করিনু সমর্পণ।
ওই এল এ জীবনে নূতন প্রভাতে নূতন বরষ—
মনে করি প্রীতিভরে বাঁধি হাতে হাতে, না পাই সাহস।
নব অতিথিরে তবু  ফিরাইতে নাই কভু-- এসো এসো নূতন দিবস!
ভরিলাম পুণ্য অশ্রুজলে আজিকার মঙ্গলকলস।


4
বড় জেঠির মুখে শুনেছি, আমার বয়স যখন দেড়বছর তখন সেজু চাচি আমাকে দত্তক নিয়ে ছিলেন। সেজু চাচির নাম রাহেলা বেগম। মেজাজি হলেও সামাজিক ভাবে সচেতন এবং স্বাধীনচেতা মহিলা ছিলেন তিনি। চাচা মো. শাহজাহান মাষ্টারের কোন সন্তান- সন্তুতি ছিল না। চাচা ও চাচির ঘর বাচাঁতে আমার মা,  নানা (আদু বেপারী) ও দাদী (কাজুলী বেগমের) অনুরোধে আমাকে দত্তক দিতে রাজি হয়েছিলেন ।

সেই দেড়বছর অব্দি থেকে সম্ভবত পাচঁ বছর পর্যন্ত আমি আমার চাচিকেই মা বলে জানতাম। পাচঁ বছর বয়সে আমি আমার মায়ের কাছে ফিরে আসি। তখন আমার বুঝ-জ্ঞান কিছুটা হয়ে ছিল। প্রায় সাড়ে তিন বছর তিনি আমাকে লালন-পালন করেছেন একান্ত স্নেহভরে মাতৃত্বের স্নেহ দিয়ে।

জীবনের এই নাদান সময়ে উনার মাতৃত্বে পরশ এখনও আমার গায়ে লেগে আছে। অভাবের সংসারে আমার বেড়ে উঠা। কিশোর বয়সের অনেক অভাব-আবদারই মা-বাবা পুরণ করতে পারে নাই, যা চাচি পুরন করেছেন। মেলা কিম্বা হাট-বাজারে বেহাতি খেতে অনেক সময় দুই/পাচঁ টাকার জন্য কান্না করেছি। চাচি নির্ধিদায় হাতে গুজে দিয়ে আবদার মিটিয়েছেন।

বড় হবার পর অহেতুক বিড়ম্বনায় আমি জেল-হাজতে গেলে- তিনি আমাকে তাগদ নিয়ে বেচেঁ থাকার উৎসাহ যোগিয়েছেন। অকারণের আকারে সময় অসময়ে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন। জীবন চলার পথে আকাঁ-বাকাঁ পথ চিনতে সাহায্য করেছেন।

আজ ২৯শে ডিসেম্বর তিনি না ফেরার দেশে পারি জমিয়েছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার অসীম অজানা পথের- এই অনন্ত চলায় আল্লাহই একমাত্র ভরসা। প্রভু দয়াময়  মহান আল্লাহ তা’লা যেন তার আত্মাকে কবুল করেন এই কামনা করি।।

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাংলাটপনিউজ২৪.কম।

5
জীবন মানেই অপ্রাপ্ত বাসনা- আরতি আর আরাধ্যের লীলা কীর্তন। এই কীর্তনে একবার তাল হারালে জীবন বেতালা। জীবনের ভাবনাগুলো সংকুচিত হয়। বিপর্যস্থ্য হয়, জীবন জিজ্ঞাসার। আমার দশাও এমনি। আমি লেখা-পড়া শেষ করে চাকুরী করেছি প্রায় একুশ বছর। শুধু বেতালায়- বেহালা বাজিঁয়েছি। বুঝতে পারিনি জীবন বিনিময়ে চলে। বিনিময় না বুঝে চলা এক-ধরনের পাগলামী।

লালন ফকির বলেছেন, সময় গেলে সাধন হবে না…। আমারও হয়নি। বরাবরই আমি সাদাকে সাদা, কালা কে কালা বলতে অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু সমাজ অতো সোজা নয়। এখনকার সমাজ পাড়-ভেঙ্গে, ঘাট চিনে চলে। তথাকথিত ভদ্ররা সমাজে ম্যাকিয়াভেলীর সমাজতন্ত্র চালু করেছে।


চাকুরী জীবনে দেখেছি, ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্যকর্মসূচীর লোকেরা চির- দিনই নির্যাতিত। এখানে ধর্মদৃষ্টতায়- বলিষ্ঠতা, চাতুরতায়- সফলতা আর চামুচামীতে-পদন্নোতি ।


দেখেছি, বাকবর্ধিতায় কত নচ্ছার ম্যানেজার হয়। চপলতায় কত কুলংগার সুপারভাইজর হয়। কত ভাষাহীনরা ভাষাবিদ আর মূর্খরা প্রশাসনের অধিকর্তা- আর এ, বি, সি, ডি পড়ুয়ারা ব্যাক্তিত্ববান হয়।


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজে ইতিহাসের প্রভাষক পদে চাকুরী করেছি প্রায় পাচঁ বছর। শিক্ষিত হিসাবে শিক্ষকদের ভ্রান্ত আচরণ আমাকে দারুন ভাবে মর্মাহত করেছে।

দেখেছি, শিক্ষিত দানবদের ভয়ে- দেশ বরেন্য ব্যারিষ্টার রফিক-উল-হকরা কি ভাবে দিশেহারা হয়। পদ-পদবীর লোভে মানুষ কতটা অ-মানবিক হয়।

কিছু দিন আগে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ প্রফেসর ড. গোলাম মওলা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। আমি ওনার সেকশনে অনেকদিন চাকুরী করেছি। তা’ছাড়া আমি যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা-পড়া করেছি, ওনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ছিলেন।


অবসরের পরে ড্যাফোডিলে যোগদান করেছিলেন। পদ-পদবী ছোট হওয়ায় ওনার সাথে আমার তেমন কথা হয়নি। তবে উনি একজন বিচক্ষণ ও মেধাবী লোক ছিলেন। চামুচাদের ছাপিয়ে, সিদ্ধান্ত নিতে ও দিতে ব্যক্তিত্বে পরিচয় রাখতেন।

ওনি যখন শাররীক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন তখন বাধ্য হয়ে অবসরে যেতে হয়। উনার সময় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস ভালই চলছিল কিন্তু উনার অবসরের পর তোষামুদকারীরা অধিকর্তাদের নানান ভাবে ম্যাসেজ করে তালে মাল ঢেলে দেয়। সেই মাল খেয়ে যথাযথ কতৃপক্ষ বেসামাল।


জনাব মওলা, জীবদ্দশায় সম্ভত দুটি বই লেখে গেছেন। তার ভ্রমন কাহিনীর উপর লিখিত বইয়ের পান্ডলিপির শুদ্ধতা পড়ার সুযোগ আমার হয়েছিল। বইটি প্রকাশিত হয়েছে কিনা জানি না। তবে এই বইটিতে উনার পরিবারসহ সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের নানান ঘটনাই স্থান পেয়েছে। সব ছাপিয়ে গিয়েছে, একক মওলার-ব্যক্তি জীবনের মৌলিক ভাবনা ও কর্ম- দর্শনের কথা।

জনাব মওলার ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে কথা বলায় অভ্যস্ত ছিলেন না। আমাদের সময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে জহিরুল নামের একজন ষ্টাফ ছিল। অত্যন্ত চতুর ও কর্মদক্ষ। সে এখন আর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে নেই। পর পর কয়েক বছর বেতন বৃদ্ধি আবেদন করে কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া না পেয়ে রাগে, দুঃখে ও অভিমানে চাকুরী ছেড়ে এখন সৌদি আরবে প্রবাস জীবন-যাপন করছে ।


সে সময় জনাব মওলা স্যার ধানমন্ডির ২৭ নম্বরে-প্রিন্স প্লাজার অপজিটের একটি ছিমছাম বাসায় থাকতেন। প্রয়োজনের তুলনায় বাসায় জায়গা ছিল কম। তাই তিনি নতুন বাসায় উঠার মনস্থ করে, বাসার কিছু পুরাতন আসবাব পত্র বিক্রি করে দেন।

আমি জহিরুলের সহযোগিতায় স্যারের কাছ থেকে নামে মাত্র টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজ কিনে ছিলাম। স্যার আমাদের সাথে এ ব্যাপারে কোন রকম দরদাম করেন নাই। টাকা হাতে দেয়ার সময় তিনি কেবল একবার মাত্র আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।

তাতেই হাজার কথা বুঝে নিয়ে-ছিলেন। এটি-ই ছিল তার চরিত্রের অন্যতম দিক-দর্শন । মোট কথা একজন পরিপুর্ন শিক্ষিত লোকের যা থাকার দরকার তিনি ছিলেন তার শ্রেষ্ঠ উদাহারণ।

স্যারের দেয়া ফ্রিজটি আজও সচল আছে। আমি যত বার ফ্রিজটি খুলি- নড়াচড়া করি ততবার স্যারকে মনে পড়ে। বিশ্বাসী হয়না- স্যার আজ আর আমাদের মাঝে নেই। মহানজন- মহাজনি করে চলে গেছেন। খুচরা- ক্রেতাদের ঋণে ফেলে। মহান আল্লাহ পাক তার মহাজন- আত্মার প্রশান্তি দিন, এই কামনা নিরন্তর। (ড্যাফোডিল নিয়ে অনেক লেখার আছে পরবর্তী পর্বে ধারাবাহিকভাবে লিখব-ইনশাল্লাহ)

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সাবেক সহকারী কর্মকর্তা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি।

6
Common Forum / আগন্তুক
« on: November 29, 2023, 06:03:07 PM »
এখনো ভাবি তোমাকে, ‘উচ্চধরিত্রী’
মধ্য রাতে কিম্বা ভর-দুপুরে,
-জীবনের  তপ্ত একাকিত্বে,
ছায়া সঙ্গীনির অভিপ্রায়।।

জীবনের পথগুলো বড়ই পিচ্ছিল,
হৃদয়ের অতল গহ্ব্বরে
-বেদনার কালিনীগ্রদে,
এখনও, বারুদপুড়া গন্ধ পাই।।

আকাঁ-বাকাঁ পথে, খেই হারায়,
ভাবনার বিশুদ্ধতা ফিরতেই,
তোমার মুখছবিতে-
ঈশ্বর-ভগবানের ছবি আকিঁ।।

কত কাল গত হয়েছে
শিশিরে পা ভিজেঁনি আমার,
কিন্তু, প্রতিনিয়তই আখিঁ ঝরে
তোমার চিরাচরিত অবহেলায়।।

বন্ধু, কি পেয়েছ কর্মে?
-কেন ধর্মে পালিয়ে বেড়ানো
জীবন শ্রেফ একবারই আসে
ভাল লাগাকে ভালবাসিতে।।

এসো, হেথা ছায়া তলে,
ছোট্ট-বড় ভেদাভেদ ভুলে
সৌমিত্বের বানী তুলে
ভালবাসার জয়গান গায় ।।






7
Common Forum / স্পর্শ
« on: July 01, 2023, 01:34:30 PM »
আলো, সে-নয় আলেয়া
সকলেই জোসনার ভাগ পায়,
কোন দিন, কবে বল? সখি,
চাদেঁরে ছুতেঁ পারে
পতঙ্গ-প্রতিমায়।।

জোসনায় মন ভরে যার, প্রিয়!
তারে না দেখিলেও কভু,
মহিমায় ফোটে প্রনয় সাধ!
-চির অম্লান অক্ষয় প্রভূ্।।

সারা-দিন মান- ক্ষণ-ভরি
জাগিয়া উঠে, বাসনা যার,
অতি গোপনে,-এই-হিয়া তলে,
সাধ কি আছে বল! তারে ভুলিবার।।

চির অন্ধকারে থাকিয়া,পরবাসী
সাজিয়া দাস, আলেয়ার ঘর,
-বিজনের পরশ প্রিয়াসী-
চির কুঞ্চিতের অবসর ।।

ভালবাসা কারে কয়, চয়ণিকা?
জন্ম-জন্মান্তর গিরি-
জল-বাস্পে চির অম্লান, অক্ষয়
ফিরিতে জগৎ ঘুরি।।
[/size][/size]

8
Common Forum / কালাচাঁদ
« on: May 23, 2023, 05:49:01 PM »

যে আমারে ডুবিয়েছে, সখি
আশার কথা বলে,
অথৈই আধাঁরে সাতঁরিয়ে ফিরি
-অবুঝ প্রেমের ভুলে।।

অভিসারে খুজি তারে
ভিক্ষার ঝুলি ল‘য়ে,
দশ দ্বারে, ভিক্ষা মাঙ্গি
দানের আশা ব‘য়ে ।।

রোজ নিশিতে বন্ধু আমার
আসে, স্বপ্নের কাছাকাছি
প্রেম-সোহাগে মন বিনিময়
নিত্য মাখামাখি।।

স্বপ্ন ভাঙ্গতেই কেদে মরি
প্রাণের বন্ধু, কাছে নাই
শোক সাগরে ভেসেঁ ভেসেঁ
কেন্দে বুকঁ জুড়াই।।

আমারে কান্দাইয়া বন্ধু
হলো কালের মহারথি,
কথা ছিল, মহাকালের যাত্রা পথে
হবো সঙ্গের সাথী।।

আমার কালাচাঁদ আজ
বিজনের হাত ধরে
প্রেম গীতে মত্ত সখি
সপ্ত-সিন্ধু পারে।।

যে আমারে চায় না, সখি
আমি কেন তার লাগি,
-প্রেম আদরে সদা মত্ত
অবুঝ, অভাগি।।

দিন ফুরালো সন্ধ্যা হলো, সখি
কালের তরী ধায়
একলা আমি বসে কাঁদি
অকূল নদীর কিনারায়।।


9
Common Forum / “অদ্ভূত”
« on: March 29, 2023, 01:25:16 PM »
কল্পনা তুমি, স্বপ্ন আমার
নিদ্রা বিভোর প্রাণ,
‘ভন্ড’ তকমা দিয়ে
জাগালে চেতনার বান।।

স্বপ্নলোকে তোমায় ডাকি
-আয়, প্রিয় কাছে আয়,
আদর-সোহাগে বুকে টানি
তাপিত বুক জুড়াই।।

জানি, তুমি বাজিকর
-অজানা তবু পরিচয়!
চরাচরে দারুন খরায়
-শুধু বাস্তবময়।।

এই অচেনা ভূবণে
শূণ্য বাতায়ণে বসি,
লুটায়ে একাকী নগ্নতায়
বলি বন্ধু, আজও ভালবাসি।।

ষোড়শী, প্রিয়সী তুমি
-ইন্দ্র সমতুল,
আদরে সদর, পুর্ণ কর
শুধরায়ে মনষার ভুল।।

ভাবহীনা সরলা তুমি
-সপ্ত, দিবাকর,
ভালবেসে কেদে মর
কবু, কাহার-অন্তর।।

অদ্ভূত খেলা খেল
সাগর সফিন মন,
কূলে বসিয়া কুল ভাঙ্গ ‘প্রভু’
-সত্য নিরঞ্জন।।
[/size]

10
Common Forum / ফাল্গুণ
« on: February 23, 2023, 09:54:55 AM »
বাচিঁতে ইচ্ছা করে
সখি, নাচিতে ইচ্ছা করে,
-গাইতে সুর-গান’
আজি, ১লা ফাল্গুণে, ভরিয়া উঠিল
এ, মরা দেহ-প্রাণ।।

অম্রকাননে ফুটিল মুকুল
সহস্র ভ্রমরের দল,
আকুল তিয়াসে মধুর পিয়াসে
করছে কোলাহল।।

চারদিকে ফুটিছে শতদল
নন্দিত, আজ মেঠোপথ,
যোজন-বিয়োজন একসাথে
-প্রকাশিতে অভিমত।।

বন্ধ কুঠিরে বসিয়া অসার
শুকিতে চন্দনও ঘ্রাণ
অমুলকঃ ভাবিয়া পুলক
বাজাঁতে সানাই-তান।।

হৃদি কপাটে জাগে
ফুল মল্লিকার মেলা,
হৃদয় নীলাচলে ‘অপ্সীরা
খেলিতে প্রেম-খেলা।।

ডালে ডালে নতুন পাতা
তব, শাখাতে ফুটিতে ফুল
সোহাগী বাতাসের নরম ছোঁয়ায়
মুকুলে পড়িতে দোল।।

বলি-হরি মনোলোভা
চলিছে যৌবনের জয়গান
এ, চিন্ময়ীর আনন্দধারা
-চলিতে অভিরাম।



11
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়  শিক্ষা বিস্তারে একটি বিশ্বস্ত নাম। সর্ম্পূণ একক মালিকানায় ‘জীবন ও জীবিকার অন্বেষায় প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যাপিঠটি সত্য-নিষ্ঠ পথে, দেশ-বিদেশী জ্ঞান-অন্বেষীদের অনুকরণীয় ও আলোর পথের দিশারী হিসাবে ভূমিকা রেখে চলছে।

আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ শিক্ষা বিতানে বহুলাংশেই সফল।  ৯ই ফ্রেরুয়ারী ২০২৩ ইং রোজ বৃহস্পতিবার সারাদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ম সমাবর্তন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আব্দুল হামিদের প্রতিনিধি, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি তার  জ্ঞানর্গব আলোচনায় বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সত্যিকার অর্থেই দেশ শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মেবাধী ছাত্র/ছাত্রীরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আংশ গ্রহণ করে বাংলাদেশর জন্য বিরল সম্মান বয়ে এনেছে।

তাদের গবেষণায় শারীরিক ও মানসিক বিকাশ প্রতিফল হয়েছে। আমার বিশ্বাস এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের শ্রেষ্ঠা বিদ্যাপিঠ হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, আমার দেখা ও জানা মতে দক্ষ্য, যোগ্য, সৃজনশীল মানুষ গড়ে তুলতে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকল্প নাই।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, একটি অসাম্প্রদায়ীক স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে আমরা যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছি।

বিভিন্ন সমালোচনা, যাচাই-বাছাই করে আমরা আমাদের শিক্ষানীতির পরিমার্জন ও পরিবর্ধনে বদ্যপরিকর রয়েছি। আমরা একটি সৃজনশীল ও আত্ম-নির্ভশীল উৎপাদনমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে চাই। এই জন্য উপস্থিত সকল শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গের সর্বাত্বক সহযোগিতা কামনা করি এবং আমি আশা রাখি, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর গঠণমূলক শিক্ষানীতি ব্যাস্তবায়নে আমাদের সর্বাত্বক সহযোগিতা করবেন।

Convocation Speaker, হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর অতুল খোসালা (Prof. Atul Khoslৃ. Vice Chancellor, Shoolini University)। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে তিনি (ভারতের হিমাচল প্রদেশের শোলিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর অতুল খোসালা) বলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় একটি High Ranking University in Bangladesh, আমি অত্র বিশ্বব্যিালয়ে আমন্ত্রীত হয়ে নিজেকে ধণ্যমনে করছি। আমি  ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলোর পথের দিশারী বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্প উদ্দ্যোক্তা  ড. মো. সবুর খান এক বক্তব্যে তার জীবন অভিজ্ঞতার কথা ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে ব্যক্ত করে বলেন, জীবনে সফল হতে হলে অবশ্যই ধৈর্য্য একাগ্রতা, সততা এবং অধ্যাবসায় থাকতে হবে। সময় ও অবস্থার বিচারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবেই সফলতা আসবে। আমার বিশ্বাস আমাদের প্রত্যেকটি ছাত্র/ছাত্রী উপরোক্তগুণে আত্মস্থ এবং নিশ্চিত সফলপথে ধাবমান হবেন।

উল্লেখ্য যে, বহুগুণের অধিকারী জনাব খান ব্যক্তিজীবনেও এক উজ্বল ‘সেলুকাস’। তার জীবন দর্শণ যে কোন ব্যক্তি বিশেষের অনুকরণীয়। তিনি অত্যন্ত সাধারন পরিবার থেকে জীবনযুদ্ধ করে আজ সফলতার র্শীষচূড়ায় পৌঁছিয়েছেন।

এই মহান ব্যক্তিত্ব, ২০০২-২০০৩ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ৯০ দশক থেকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসায়ী হিসেবে বাংলাদেশ তথা বিশ্বে সফল ব্যবসায়ী হিসাবে নাম কুড়ান।

তৎপর তিনি ২০০৪-২০০৬ মেয়াদে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০০২-২০০৩ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে ইসলামিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসি-ডেন্টস ফোরামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসের (উইটসা) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং ২০২১-২০২২ মেয়াদের জন্য অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউনিভার্সিটিজ অফ এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (এইউএপি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।



সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, জ্ঞান অন্বেষায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জুড়ি নাই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন প্রায় বিশ হাজারের অধিক ছাত্র/ছাত্রী অধ্যায়ন করছে। প্রতি বছর সমাবর্তনী অনুষ্ঠানে প্রায় ছয়হাজারের অধিক ছাত্র/ছাত্রী গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে চাকুরী করে  দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম উজ্বল করছে।

আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আমাদের ছাত্র/ছাত্রীদেরকে হৃদয়ের গভীর হতে- প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই এবং আশা রাখি আপনাদের কর্ম জীবনের প্রতিটি স্তরই সফল হোক। এবং দিন দিন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আরো উজ্বল করুন।


সমাবতর্নী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এসএম মাহবুব উল হক মজুমদার, ট্রেজারার মো.মমিনুল হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার- ড. নাদির বিন-আলী, প্রফেসর ড. ইসমাইল জবিউল্লাহ প্রমুখ।

এবারের সমাবর্তনে প্রায় ৬,১১৪ জন ছাত্র/ছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সনদ প্রদান করা হয়। নিজ নিজ বিভাগে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য  ১২ জন ছাত্রছাত্রীকে Chancellor গোল্ড মেডেল, Vice- Chancellor গোল্ড মেডেল, এবং Chairman গোল্ড মেডেল পদক প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার সারাদিন, ছাত্র/ছাত্রীর অংশ গ্রহণ-পদচারনায় মূখরিত ছিল ‘অনন্য সৌর্ন্দয্যের চারণ-ভূমি আশুলিয়ায় প্রতিষ্ঠিত ড্যাফোডিল র্স্মাট সিটি ক্যাম্পাসটি।



সবুজ-শ্যামলা, ছায়া-ঘেরা এই ক্যাম্পাসটি সকল দিক দিয়েই অন্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এক-বিশেষ কৃতিত্বের দাবি রাখে। শিক্ষা ও সৌন্দর্য্য বিকাশের পথে মানবিক মননশীলতায় শিক্ষার্থীদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় (ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে)  অনুষ্ঠিত এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি সকাল ৮:৩০ মিনিটে শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত।

দুপুরের লাঞ্চের পর এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেশ খ্যাত বিশিষ্ট সংগীত শিল্পীগণ।

https://banglatopnews24.com/daffodil-besobidaloyaer-dosom/

12

‘আমি চাইনি তোমায়,
-চেয়েছে এ মন,
নিত্য বিরহে কাদুঁক আমার,
প্রেম বিলাশী মন,


কালের গহ্বরে বিলীন হয়ে গেল আরও একটি বছর। এলো নতুন বছর ২০২৩। আগামীর দিনগুলোতে অনিশ্চয়তা কেটে গিয়ে শুভময়তা ছড়িয়ে যাবে পৃথিবীময়, এ আশায় বুক বাঁধছে মানুষ।

রাতের অন্ধকার শেষে পুর্ব আকাশে লাল সূর্যের উদয়ে দূর হোক সব গ্লানি আর জরা। নতুন ভোর নিয়ে আসুক সুসংবাদ, করোনা মহামারি ও যুদ্ধ থেকে মুক্তি পাক বিশ্ববাসী। বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক শান্তি— এই প্রত্যাশায় সবাই কে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা অনুযায়ী ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন আজ। ২০২৩ সালের প্রথম দিন। নতুন বছরটি যেন প্রতিটি মানুষের মন থেকে সব গ্লানি, অনিশ্চয়তা, হিংসা, লোভ ও পাপ দূর করে। গত বছরের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব খুঁজতে খুঁজতে নতুন বছরকে সামনে রেখে আবর্তিত হবে নতুন নতুন স্বপ্নের।

থার্টি ফার্স্টে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ পরমানন্দে ২০২৩ সালকে বরণ করেছে। আজ নতুন দিনের নতুন সূর্যা-লোকে স্নান করে সিক্ত হবে জাতি-বর্ণ-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিগত বছরের সব কালিমা ধুয়ে-মুছে নতুন কেতন ওড়াতে ওড়াতে এগিয়ে যাবে সময় ও সভ্যতা।

অনাবিল স্বপ্ন আর অফুরন্ত প্রাণোন্মোদনা নিয়ে নতুন সূর্যের আলোয় অগ্রসর হবে মানুষ। বিগত সময়ের সব ভুল শুধরে নেওয়ার সময় এসেছে আজ।

পুরাতনকে হাসিমুখেই বিদায় দিতে প্রস্তুত দেশ। প্রস্তুত শেষ রজনী উদযাপনে। স্বাগত নতুন সূর্যকে। বাংলার সর্বস্তরের মানুষের জন্য শুভময় সফলতম বছর আসুক—এ প্রার্থনা করবে সব ধর্মের মানুষ।

সবশেষে বলতে হয়, ‘মুকুলিত সব আশা/স্নেহ, প্রেম, ভালোবাসা/জীবনে চির স্মৃতি হয়ে রয়, পুরাতন বর্ষ বিদায় লয়।/নববর্ষের আগমন হয়।’

সব আশা-স্নেহ-ভালোবাসা স্মৃতি হয়ে থাকুক। আগামী আসুক পুষ্পশোভিত হয়ে। বিদায় ২০২২, স্বাগত ২০২৩।

13
Common Forum / প্রজ্ঞাময়ী
« on: January 01, 2023, 03:18:37 AM »
     

অনঙ্গদারী প্রিয়সী আমার
হৃদি শাহিন বাগে,
প্রকাশ-বিকাশে গুলকেতনী
-রাগ- অনুরাগে।।

অসীম, অতল, অথৈই তুমি
-ধরা দাত্রী দাস,
অনিল-অনলে, সরস-সরোবর
তৃষিতের বিশ্বাস।।

রিক্ত কমলের আশার ভাষা
সিন্দু-বিন্দু-গিরি,
গহণ পথের অনন্ত দ্রুতি
শুভ্র প্রয়াসী সিড়িঁ।।

অন্ধ-জনার বন্দন গীত
বিশ্বাস-ভালবাসা,
কামুকের-কাঞ্চনযজ্ঞ
শব্দহীনের ভাষা।।

ভাললাগার আত্ম-তৃপ্তি
বিশ্ব, ভাষা, জ্ঞান,
অতল-তলের মানিক জ্যোতি
অন্বেষীদের ধ্যান।।

আমার তুমি কামলিওয়ালা
প্রেম প্রয়াসের দ্বার,
যজ্ঞে তুমি প্রজ্ঞাময়ী
অকূল- পারাবার।।

14
Common Forum / বিষাদ গদ্য
« on: December 05, 2022, 04:23:55 PM »

ছন্দে হয়েছিলাম বন্দি
সন্ধির শর্ত এঁটে,
পূর্ণ, পুরান শূণ্য-
দেখি, শ্লোক গেঁটে।।

বলনে, শক্তি ভারী
-উর্ধ্বমূখী চলন যার,
বলি হরি, কূল-মানে
আমি চাই পুজিঁবার।।

হাসিঁমাখা মুখে আমি
স্বরসতীর নাম লই,
পুজাঁর ঢালা নিয়ে
অভিরাম দুঃখ সই।।

স্বপ্ন দেখি, চাদেঁর আলো
অন্ধ কুটিরে বসি,
হৃদয়ের অটুট বিশ্বাস
ক্রমশ:ই পড়ছে খসি।।

নগ্ন পায়ে আমার আশা
বুকের উপর বসি,
-গর্দান চেপে ধরে,
তিরস্কারের বলন কষি।।

নিঃশ্বাস ক্রমশই হয় ক্ষীণ
তবু. বেহায়া মন,
চয়নিকার পিছেই ছুটে,
করে নিলর্জ্জ পণ।।

দিন কাঁটে কোলাহলে
-অবুঝ বির্দীণতায়,
সন্ধ্যায় জেকে বসে,
যৌবিক জড়তায়।।

রাত্রি দ্বি-প্রহরে
শুনি, চেনা শব্দ,
-সময়ের ধীর চলা
এ, জীবনের জব্দ।।

দু,চোখে অশ্রু ঝড়ে
-কালের গভীরে,
স্মৃতি গুলো কুড়ে খায়
শতাব্দীর সমীরে।।

বেচেঁ আছি এখনো
এটাই নাকি সত্য !!
ভাল লাগার পথ ধরে
-বাচিঁতে-ই, মত্ত।।

মূলহীন- ভুল চলা
কেলে ফোটাঁ পদ্ম,
রসহীন, কেনুকথা
-এ বিষাদের গদ্য।।

এটাই বুঝি ইতিকথা
-অসীমের চেনাপথ,
আশা নিয়ে উষা আসে
চিরচেনা অভিমত।।



15
Common Forum / জীবন
« on: September 29, 2022, 01:25:00 PM »
বন্ধু, দেখ চেয়ে ঐ ‘চন্দ্রিমা’
-অন্ধকারে নির্ভয়
হাত নেড়ে বার বার,
জীবনের কথা কয়।।

গিয়াছ কি তুমি ভুলে?
-ভাললাগা কাকে বলে!
বিবসনে ছল-ঢলে,
ভিজাইয়া আখিঁ-দ্বয়।।

মিটে নাই আশা
-বহুরুপির ভালবাসা
ঘৃনা আর ক্লান্তি,
পেয়েছ উপহার।।

জীবনে চেয়েছ যাহা
-পেয়েছ কি তাহা?
হিসাব কষে দেখ এইবার,
আপন মনে মনে ।।

সময় অতি কম
-ফেলনা দীর্ঘ দম
হাত বাড়িয়ে ডাকে ঐ
কালের কেতন।।

বুকে রেখে হাত
বল; বিশ্বাসের সাথ
বন্ধগলির অন্ধপথ
কার ভাল লাগে??

শুন, বন্ধু মহাশয়
বিভূতিভূষণ, মনস-কামনা
শ্রী চৈতন্যের,
চরণ তলে রয়।।

ঠুটে, মুখের ফাকাঁ বুলি
-যাকে ভালবাসা বলি
আসলে, সবই মিথ্যে,
- জীবনের পরাজয়।।

বন্ধু, যদি ইচ্ছে হয়
-ছেড়ে দিয়ে লাজ-ভয়
নির্ভেয় বুকে রাখ,
যাকে তুমি ভালবাস, নিশ্চয়।।

কি হবে ভাবনায়?
-সময় হলে পার
অচলার বিনিময়,
হয় কি বার বার ।।

বিনিত এই আখিঁ
-বন্ধুর চরণে রাখি
শান্তির পরশ খোঁজ
ভব জ্বালা জুড়াবার।।

 এ, সংসার মায়াপুরি
-ফাকাঁ তালে ঘুরে মরি
ভাললাগা-ভালবাসা,
হয় না, যার তার।।

ভালবাসা কাছে আসা
-ক্ষনে ক্ষণে অভিমান
বিনে সূতোয় বাঁধা মন,
এতো, জীবনের জয় গান।।





Pages: [1] 2 3 ... 12