Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Iqbal Bhuyan

Pages: [1] 2
1
Critical Thinking / দুঃসময় পাড়ি দিতে
« on: August 03, 2014, 08:44:06 PM »
দুঃসময় পাড়ি দিতে

দুঃসময় যাচ্ছে? জীবনে যখন দুঃসময় আসে তখন সবকিছুই যেন কঠিন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। কঠিন এ সময়ে ইতিবাচক থাকা চাই। দুঃসময়ে ইতিবাচক থাকতে যে পরামর্শগুলো কাজে লাগতে পারে তা নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

চাই ইতিবাচক মানুষের সাহচর্য
দুঃসময়ে আপনার পাশে ইতিবাচক মানুষ থাকা প্রয়োজন। ইতিবাচক মানুষের সংস্পর্শে থাকলে তাঁরা আপনার কঠিন সময় পাড়ি দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নেতিবাচক কোনো বিষয় নিয়ে যখন ভেঙে পড়বেন তখনই এই মানুষগুলো আপনার পাশে ইতিবাচক আশা নিয়ে দাঁড়াবে। দুঃসময়ে নেতিবাচক মানুষকে এড়িয়ে চলুন। আপনার জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলতে তাঁরা, মনের স্পৃহা নষ্ট করে দেবে। নিজেকে অর্থহীন করে তুলবে এই নেতিবাচক মানুষেরা। অন্যদিকে ইতিবাচক মানুষের সংস্পর্শে জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোর দিকেই আপনার বেশি নজর পড়বে, নতুন আশা খুঁজে পাবেন, নতুন সম্ভাবনা দেখবেন।

যা নেই তা নিয়ে বিলাপ নয়
এ সময় নিজের যা কিছু আছে তা আনন্দচিত্তে উপভোগ করুন, মনে রাখবেন যা নেই তা নিয়ে বিলাপ করা সহজ। যা নেই তা নিয়ে ভাবার চেয়ে যা আছে তা নিয়েই বেশি ভাবুন। দৃষ্টিভঙ্গিতে সামান্য পরিবর্তন আনুন। আমরা কঠিন সময় যখন পার করি তখন অনেক ক্ষেত্রে সুস্থ থাকা, চাকরিতে বহাল থাকা এবং যাঁরা দুঃখে আনন্দে পাশে থাকে এ এমন প্রিয় মানুষ বা বিষয়কে মূল্যায়ন করি না। এই বিষয়গুলোকে আশীর্বাদ মনে করুন।

কৃতজ্ঞ থাকুন
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রশিক্ষণ নিন। প্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। যে বিষয়গুলোর জন্য আপনি ভালো সময় কাটাতে পারেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

অলসতা নয়
একেবারে শুয়ে বসে অলস সময় কাটাবেন না। হেঁটে চলে বেড়ান। কোথাও ঘুরে আসুন। ব্যায়াম করুন। হালকা ব্যায়াম করলে শরীরে এনডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয় যা মন ভালো করে দিতে পারে। ব্যায়াম করলে মানসিক প্রশান্তিও মিলতে পারে। বাগান বা পার্ক থেকে একটু হেঁটে ঘুরে আসতে পারেন। মন ভালো করে দেওয়ার জন্য প্রকৃতির নিজস্ব ক্ষমতা আছে। নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখুন।

বাজার করতে পারেন
কেনাকাটা করতে পারেন। ফোনে কোনো কিছু অর্ডার করার চেয়ে আশেপাশের কোনো মুদি দোকানে যান বা একটু হেঁটে চলে বাজার করুন। মন ভালো হতে পারে।

ধ্যান করতে পারেন
সময় সুযোগ পেলে একটু-আধটু মেডিটেশন করে নিতে পারেন। জীবনের কঠিন সময় যখন যাচ্ছে তখন একটু মেডিটেশন বা ধ্যান করলে ইতিবাচক ফল পেতে পারেন।

কী করবেন তার তালিকা তৈরি করুন
প্রতিদিন কী কী করতে চান, প্রতি মাসে কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান বা কী কাজ করতে চান, বছর শেষে কী করতে চান তার তালিকা করে লিখে রাখুন। মনের মধ্যে সেই ছবিটা আঁঁকুন আর সেই লক্ষ্য অর্জনে কতটা এগোলেন তা ভেবে দেখুন।

অন্যদের দেখুন
নিজের দুঃসময়ের চিত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে মনটাকে অন্যদিকে যেতে পারেন। অন্যদের সাহায্য করুন। মানুষের পাশে দাঁড়ান। মন ভালো করা ও আত্ম উদ্যম বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো পন্থা হচ্ছে নিজের ওপর থেকে ফোকাস সরিয়ে অন্যের ওপর না নিবদ্ধ করা। প্রতিদিন অন্যের উপকারে তত্ক্ষণাত্ ফলে আশা বাদ দিয়ে অন্তত পাঁচটি কাজ করুন। মনে রাখুন, যা আপনি দেবেন তা ফেরতও পাবেন।

ভাষা ঠিক রাখুন
নেতিবাচক ভাষা ব্যবহারে এবং নেতিবাচক বার্তা বিনিময়েও সতর্ক থাকুন। মন মেজাজ ঠিক না থাকলেও কারও ওপর চটে খারাপ ভাষা ব্যবহার করবেন না। কর্মস্থল বা ব্যক্তিগত জীবনে আপনার ভাষা প্রয়োগের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সবার সঙ্গে ইতিবাচক থাকুন।

নিজের আদর্শকে জানুন
নিজেকে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় কখন দেখেছেন সে অবস্থার চিত্র মনে আঁঁকুন। নিজের এই আদর্শের জায়গায় আবার আপনাকে যেতে হলে কী কী করতে হবে তা ঠিক করে নিন এবং কাজ শুরু করুন। দেখবেন দুঃসময় পেছনে ফেলে তরতর করে এগিয়ে গেছেন।

নিজের সৃজনশীলতা দেখান
আপনি হয়তো ছবি আঁঁকতে পারেন, কবিতা লিখতে পারেন কিংবা পারেন কোনো সৃজনশীল কাজ করতে। এই প্রতিভা আপনার দীর্ঘদিন অব্যবহূত হয়ে ছিল। দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে সৃজনশীল কাজগুলো করতে পারেন। এতে মন ভালো ও ইতিবাচক হবে।

ব্যর্থতার ভয় দূর করুন
মনে রাখবেন ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’। মনের বাঘে আপনাকে যেন শেষ করে না দেয়। ব্যর্থতার ভয়কে জয় করুন। মনে রাখবেন, ব্যর্থ হওয়ার ভয় পেলে সামনে এগোতে পারবেন না। জীবনে ব্যর্থতা ছাড়া সামনে এগোনো যায় না। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিন। কেন ব্যর্থ হচ্ছেন তা খুঁজে দেখুন এবং সামনে এগিয়ে যান। সফল হবেন।

বর্তমান নিয়ে ভাবুন
অতীতের বেদনা কিংবা ভবিষ্যতের দুর্ভাবনা আপনার মাথায় যেন না ঢুকতে পারে। বর্তমান নিয়ে খুশি থাকুন। বর্তমান জীবনের দিকে ইতিবাচকভাবে তাকান এবং কর্মোদ্যমী হন। অন্যদের সঙ্গে জীবনের আনন্দ ভাগাভাগি করুন। হাসুন।

নিজেকে রিচার্জ করুন
আপনার যদি জীবন-স্পৃহা ঠিক না থাকে ইতিবাচক হবেন কি করে? নিজেকে রিচার্জ করুন। প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট কোথাও একটু নিরিবিলি বসুন ফোন, ল্যাপটপ, চিন্তা-ভাবনা বন্ধ করে। চেয়ারে কিংবা কোথাও বসে শরীরটাকে শিথিল করে একটু চোখ মেলে চারপাশটাকে দেখুন। নিজেকে এভাবে রিচার্জ করে নিতে পারেন।

সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া

2
Study Abroad / International students in private universities
« on: July 17, 2014, 11:32:21 AM »
International students in private universities
Prof. M. Lutfar Rahman

Out of well over one hundred universities in Bangladesh, most are private institutions and a large number of tertiary level students are enrolled in the private universities of Bangladesh. A good number of universities in private sector earned confidence of students and guardians by offering satisfactory level of education and the others are in the process of improving their quality under the supervision of University Grants Commission (UGC) of Bangladesh. In a word, the private universities are playing a significant role for tertiary level education in our society.

With the tremendous advancements of transports and communications in the recent past, globalization has become a common word of the time, and we live in an increasingly global world now. In the circumstances, it is no longer enough for a university to think within the boundary of its own country.  Indeed, internationalization is considered to be an important criterion for universities, which are actually international institutions by name and nature. A university and its students are benefited from exposure to international students, who add variety to the campus and contribute to prepare students for global organizations.

Currently over two thousand students from abroad are enrolled in Bangladeshi universities and the huge majority of them are enrolled in the private universities. This short article presents a brief overview of the foreign students in Bangladeshi universities, specially in the private universities.

The number of private universities and enrollments in private universities are steadily increasing in Bangladesh. According to the 38th Annual Report of UGC for the year 2011, total number of enrollments in 52 private universities was 2,80,822. This number is over one hundred thousand more than the corresponding number (1,85,910) for 32 public universities, excluding National University and Bangladesh Open University. According to the report the total number of students in private universities more than tripled to 2,80,822 in 2011 in the past six years from 88,669 in 2005. The number of students in private universities in 2012 is 3,14,640 with the addition of new private universities (39th Annual Report of UGC for 2012). According to UGC reports, the total number of foreign students in the private universities in 2011 and 2012 are 1651 and 1642 respectively. 

Out of 1,642 foreign students in 2012, the first five universities admitting 1459 students are University of Science and Technology Chittagong (USTC, 1237 students), International Islamic University Chittagong (98 students), American International University Bangladesh (57 students), North South University (35 students) and BRAC University (32 students). In 2012, students from 34 countries were enrolled in different private universities in Bangladesh. With the increase in the number of foreign students, private universities are gaining better acceptance internationally and earning more and more foreign currency for the country. This is a very positive trend and the authorities of such universities need to offer quality education to keep up the trend. Year wise growth in the number of foreign students for the past seven years is tabulated below:

Year    Number
2012    1642
2011    1651
2010    1557
2009    1199
2008    812
2007    596
2006    498

It is to be mentioned that out of 1642 foreign students in 2012, 1237 students were enrolled in MBBS program alone in USTC in Chittagong.

It is interesting to see the picture for the public universities. In 2012, the number of foreign students enrolled in 18 public universities, out of total 34 public universities, was 525. The corresponding numbers for 2011, 2010, 2009, 2008 and 2007 are 210, 359, 390, 221 and 207 respectively. The increase of 315 students in 2012 indicates improvements of quality of education and increasing confidence of foreign students on public universities of the country. 

There are many reasons for foreign students not preferring public universities. Among them, the most mentionable reasons are session-jam, complicated admission process, lack of academic facilities, increasing unrest in the campuses and inadequate presence in the Web. The Websites of a number of public universities do not provide information of expenditure, accommodation, food, lifestyle and geographical and environmental information of the university campuses. Also most of the public universities do not have international office for foreign students. The private universities, on the other hand, have campuses free of unrest and violence without session jam; they conduct makeup classes lost by natural and other calamities and complete academic sessions in time.

QS Stars (www.topuniversities.com/qs-stars) highlights universities for internationalization by awarding recognition. It evaluates universities using a set of criteria, the universities are then awarded with a badge displaying number of stars based on internationalization. Only University of Dhaka, from Bangladesh with the score of 26.67 out of one hundred, is listed in the 201-250 bracket out of 424 universities listed from Asia in 2012. Internationalization is a current trend and the universities of Bangladesh have to move forward for international students and internationalization with increasing efforts.

The private universities shoulder heavy load of tertiary education in Bangladesh and earn the lion's share of foreign currency from overseas students without spending taxpayers' money. At present, there are limitations of the private universities, but the trend clearly indicate that it is not far when the private universities of the country will have more and more foreign students, as it is now in USA, where out of fifteen top universities ten are private universities (according to the QS Stars internationalization ranking of universities in 2012). 

Source: The Daily Star,  Published on May 29, 2014

3
চোখ থেকে পানি পড়ে?

চোখের পানি বা অশ্রু চোখের ভালো থাকার জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। এই চোখের পানি আমাদের কর্নিয়ার পুষ্টি, আর্দ্রতা ও বাহ্যিক আঘাত থেকে প্রাথমিক প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলে। দুই চোখের ওপরের ভুরুর নিচে আছে এক জোড়া ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ড বা অশ্রুগ্রন্থি, তা থেকে চোখের পানি তৈরি হয়ে ল্যাক্রিমাল থলে হয়ে ন্যাসোল্যাক্রিমাল নালি দিয়ে নাকের ভেতর চলে যায়। এ থেকেই নাকের পানি চোখের পানি একাকার কথাটার উৎপত্তি।

তবে কখনো কখনো কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত চোখের পানি পড়তে থাকে, কখনো অবিরতভাবেই পড়তে থাকে। এই সমস্যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে এপিফোরা।

কেন বেশি পানি পড়ে?
কিছু কিছু সাধারণ ঘটনায় এমনিতেই বেশি পানি পড়ে চোখ থেকে। যেমন ঠান্ডা সর্দিতে বা অ্যালার্জি হলে, অনেকক্ষণ ধরে চোখ দিয়ে কোনো কাজ করলে যেমন পড়াশোনা বা স্ক্রিনের দিকে তাকালে। আবার চোখের পাতায় প্রদাহ বা গঠনগত সমস্যায় বেশি পানি তৈরি হতে পারে। কর্নিয়াতে কোনো আঘাত বা প্রদাহ, যেমন ধূলি বা ময়লা পড়লে সঙ্গে সঙ্গেই বেশি পানি পড়তে শুরু করবে। চোখের অভ্যন্তরীণ যেকোনো প্রদাহেও একই অবস্থা। শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি বেশি চোখের পানি পড়ার অন্যতম কারণ হলো চোখ ও নাকের মধ্যকার নালিতে কোনো ব্লক বা বাধা, যা জন্মগত হয়ে থাকে। এ ছাড়া ল্যাক্রিমাল থলেতে প্রদাহ বা সিস্ট এবং নাকের ভেতর কোনো ব্লক বা বাধা থাকলেও বেশি পানি পড়তে পারে। চোখের অস্ত্রোপচারের পরও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা।

সমাধান কী?
প্রথমে কারণটি খুঁজে বের করা জরুরি। এ জন্য চিকিৎসক হয়তো আপনাকে দু-একটি পরীক্ষা করতে বলবেন। যেমন ল্যাক্রিমাল থলেতে পাথর বা ব্লক আছে কি না কিংবা চোখ ও নাকের মধ্যে নালিতে কোথাও বাধা আছে কি না তা কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়। তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা। শিশুদের ক্ষেত্রে একটু ভিন্নভাবে বাধা সরানোর বা নালিটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবে বড়দের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে।

সূত্র: মায়ো ক্লিনিক

4
মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে যা খাবেন

দিনকে দিন যান্ত্রিক হয়ে পড়ছে মানুষের জীবন। প্রাত্যহিক জীবনে নানা কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই হাঁপিয়ে উঠতে হয়। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড মানসিক চাপে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। অথচ যে কোনো কাজ সঠিকভাবে করার জন্য চাপমুক্ত থাকাটা খুবই জরুরি। স্বস্তির খবর হল, মানসিক চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে নির্দিষ্ট এমন কয়েকটি খাবারের তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং রবার্ট উড জনসন ফাউন্ডেশন।

হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং রবার্ট উড জনসন ফাউন্ডেশন পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে,   ৩৯ শতাংশ মানুষ চাপের মধ্যে কাজ করার সময় খাদ্য গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। অন্যদিকে, ৪৪ শতাংশ মানুষ করেন ঠিক এর উল্টোটা। তাঁরা খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেন। গবেষকদের দাবি, চাপের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে কম খাবার গ্রহণ করার এই প্রবণতা ক্ষতিকর। এতে করে যথাযথ পুষ্টি না পেয়ে শরীর ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। আর তার নেতিবাচক প্রভাব গিয়ে পড়ে মনে। চাপমুক্ত থাকার জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

চাপমুক্ত থাকতে ডিম খেতে হবে
ডিমের মধ্যে রয়েছে হাই প্রোটিন এবং ভিটামিন বি। শর্করা জাতীয় কিছু খাবার রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু প্রোটিন তা করে না। সকালের নাশতা হিসেবে আদর্শ হতে পারে ডিম। চাপমুক্ত থাকতে বেশি বেশি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।

স্যামন মাছে মন চাঙ্গা
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উত্স স্যামন জাতীয় মাছ। শরীরে প্রদাহের কারণে কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যেতে পারে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। এভাবে চাপ কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ছাড়া গবেষকেরা দাবি করেছেন, স্যামন জাতীয় মাছ খেলে মন চাঙ্গা থাকে।         

চাপমুক্ত থাকতে চাইলে সামুদ্রিক মাছ
সারডাইন ও টুনার মতো সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। চাপমুক্ত থাকতে চাইলে এসব সামুদ্রিক মাছ খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।

যথেষ্ট পুষ্টিকর তিসির দানা 
তেল ও আঁঁশ উত্পাদনকারী গুল্ম তিসি। তিসির দানাও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উত্স। চাপমুক্ত থাকতে চাইলে তিসির দানা খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া যথেষ্ট পুষ্টিকর একটি খাবার হিসেবেও তিসির দানার সুনাম আছে।

দুশ্চিন্তামুক্ত রাখে কুমড়ার বিচি
কুমড়ার বিচিতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম এবং জিংক। মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় জিংক। আর মানুষকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার মানসিক রোগের চিকিত্সায় ম্যাগনেশিয়াম ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া শারীরিক শক্তি এবং সহ্য ক্ষমতা বাড়াতে ম্যাগনেশিয়াম ব্যবহার করেন অ্যাথলেটরা।

চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করে সবুজ শাক
সবুজ শাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে এবং পটাশিয়ামসহ আরও অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান থাকে যা মানুষকে চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

চকোলেটে মন ফুরফুরে
চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে চকোলেট। মন ফুরফুরে রাখতে চকোলেটের কোনো তুলনা হয় না। মানুষের চিন্তাশক্তিও বাড়িয়ে দিতে পারে এটি।


Source: Prothom-Alo

5
ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য

ঘাতক রোগ ম্যালেরিয়া
ম্যালেরিয়া পৃথিবীজুড়ে এখনো একটি ঘাতক রোগ হিসেবে পরিচিত৷ বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ার কারণে প্রাণ হারান৷ জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ২০১০ সালে ২১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল, এর মধ্যে ৬ লাখ ৬০ হাজার মৃত্যুবরণ করে৷ মৃতের এই সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে অবশ্য তথ্যের ভিন্নতা রয়েছে৷

বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া
বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দশ বছর আগে সারা দেশে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আক্রান্ত হত ম্যালেরিয়ায় এবং মারা যেত প্রায় পাঁচশ৷ তবে ২০০৭ সাল থেকে ম্যালেরিয়া শনাক্ত ও চিকিৎসা সুবিধা বাড়ায় এই রোগে মৃত্যুহার যেমন কমেছে, তেমনি রোগের বিস্তারও নিয়ন্ত্রণ করা গেছে৷

সমন্বিত উদ্যোগে সাফল্য
মূলত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে৷ বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বেশি৷ তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ও বনাঞ্চল সহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ এখনো পুরোপুরি দূর করা যায়নি৷

কীটনাশকযুক্ত মশারি
ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ কমাতে এখন ভালো ভূমিকা রাখছে কীটনাশকযুক্ত মশারি৷ আগে এসব মশারি ধোয়া নিয়ে যে জটিলতা ছিল তাও দূর হয়েছে৷ ‘লাইফ-নেট’ নামক এক ধরনের মশারি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা, যার কৃত্রিম তন্তুতেই ঢোকানো থাকে কীটনাশক৷ এই মশারি ধোয়াও যায় নিশ্চিন্তে৷ আর মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে সেরা উপায় আজও মশারি৷

ম্যালেরিয়ার টিকা
তবে ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো টিকা তৈরি করা৷ সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর গবেষণার পর সম্প্রতি একটি টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে, যা মানুষের শরীরে রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে সক্ষম৷ ব্রিটিশ ওষুধ কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বা জিএসকে-র আশা, তাদের এই টিকা ২০১৫ সালের মধ্যে সর্বত্র ব্যবহৃত হবে৷

নতুন আশঙ্কা
ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কার যেমন আশার কথা শোনাচ্ছে তেমনি নতুন ধরনের ম্যালেরিয়ার খবর জাগাচ্ছে শঙ্কা৷ ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকা সম্প্রতি এক রিপোর্টে নতুন ধরনের ম্যালেরিয়া জীবাণুর কথা জানিয়েছে৷ জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের বরাতে পত্রিকাটি জানায়, ভৌগলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন ধরনের ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে আছে৷

বিজ্ঞানীদের সাফল্য
বিজ্ঞানীরাও থেমে নেই৷ ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী এমন একটি প্রোটিন বা এনজাইমের সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন, যার চক্র থামানো গেলে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ বা নির্মূল করা সম্ভব৷ ঐ এনজাইমের নাম ফসফেটিডাইলিনোজাইটল-ফোর-কাইনাস বা পিআইফোরকে৷

ইন্টারনেটের চেয়ে ম্যালেরিয়া নিরাময় জরুরি
সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান বিল গেটস মনে করেন, বিশ্বে ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির চেয়ে বেশি জরুরি ম্যালেরিয়া নিরাময়৷ সম্ভবত তিনি চাচ্ছেন, বিশ্বের বিত্তশালীরা ইন্টারনেটের প্রসারের পাশাপাশি এই বিষয়টির দিকেও মনোযোগ দিক৷ গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিল গেটস এবং তাঁর স্ত্রী বিভিন্ন দেশে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন৷

Source: http://www.dw.de

6
৩৫ বছর পরে আবারো গুটি বসন্ত

গুটি বসন্ত – এক ভয়াবহ রোগ৷ ১৯৭৯ সালের আগে একাধিকবার মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল এই রোগ, যাতে মৃত্যু ছিল প্রায় অবধারিত৷ প্রায় ৩৫ বছর পর, যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা আবারো এই রোগের জীবাণু সন্ধান পেয়েছেন৷

সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি-এর প্রধান আগামী সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসে এটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন৷ আর সিডিসি পরিচালক টম ফ্রিডেন ১৬ই জুলাই মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে এর নিরাপত্তা ও প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন৷

গত সপ্তাহে মেরিল্যান্ডে ‘খাদ্য ও মাদক প্রশাসন' এফডিএ-এর একটি গুদাম ঘর পরিষ্কারের সময় কর্মীরা কয়েকটি শিশি খুঁজে পান৷ ঐ শিশিগুলোতে গুটি বসন্তের জীবাণু কথা লেখা ছিল৷ শিশিতে লেখা তারিখ থেকে জানা গেছে যে, ৫০-এর দশকে সেই সব শিশিতে ঐ জীবানু রাখা হয়েছিল৷

আটলান্টায় সিডিসি-র কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে শিশিগুলো৷ সিডিসি জানায়, ‘‘আমাদের জানা মতে কোনো শিশি ভাঙেনি, তাই জীবানু ছড়িয়ে পড়ার ভয় নেই৷'' এমনকি এখনো পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন কর্মী বা গবেষণাগারের কর্মীরা কেউ কোনো সংক্রমণের শিকার হননি বলেও জানান তারা৷ বর্তমানে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন গবেষকরা৷ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নমুনাগুলো ধ্বংস করে ফেলা হবে বলে জানান তাঁরা৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে৷ নমুনাগুলো যাতে ঠিকমত ধ্বংস করা হয় তা তদারকি করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷

গুটি বসন্ত ১৯৭৯ সালে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিল৷ সাধারণত গুটি বসন্ত একজন মানুষের সমস্ত শরীরে হয় এবং এটি শরীরে পুঁজ বা ক্ষত সৃষ্টি করে৷ এর অসহ্য ব্যথা মানুষের সহ্যের প্রায় বাইরে চলে যায়৷ এ রোগে মৃত্যুর হারও খুব বেশি৷

Source: http://www.dw.de

7
মাথাব্যথার কারণ ও লাঘবের উপায়

মাথাব্যথা
মাথাব্যথার কষ্ট কম-বেশি আমরা সবাই জানি৷ একেক জনের একেক রকমের মাথাব্যথা হয় এবং এর কারণও থাকে ভিন্ন ভিন্ন৷ জার্মানিতে লাখ লাখ মানুষ নিয়মিত মাথাব্যথায় ভুগছেন আর তাঁদের মধ্যে আনুমানিক ৮০,০০০ মানুষের সমস্যা অনেক বেশি, যাঁদের বিশেষজ্ঞরা সাহায্য করেন৷

কারণ খুঁজে পাওয়া কঠিন
মাথাব্যথা এমনই একটি রোগ যে রোগের আসল কারণ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন৷ কারণ প্রশ্ন হলো, অতিরিক্ত অর্থাৎ পুরো মাথা ব্যথা, মাথার যে কোনো একদিকে ব্যথা, নাকি হালকা ব্যথা? অন্যদিকে ব্যথার কারণ স্ট্রেস, ভয়, শারীরিক কোনো সমস্যা, বিষণ্ণতা, ওষুধ সেবন, অ্যালকোহল পান, কম ঘুম, পরীক্ষার চাপ, আবহাওয়া বা তাপমাত্রার ওঠানামা নাকি অন্য কোনো মানসিক সমস্যা, সেটা খুঁজে পাওয়া খুব সহজ নয়৷

সাধারণ ব্যথা
ছোটখাটো কোনো কারণেই সাধারণ বা হালকা মাথাব্যথা হতে পারে৷ এ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামলের মতো কোনো ওষুধেই সেরে যেতে পারে ব্যথা৷ নিয়মিত কোনো ব্যায়ামও উপকারে আসবে৷

মাইগ্রেন
মাথার একপাশে ব্যথা এবং ব্যথার সাথে বমি বমি ভাবও হয় যাকে মাইগ্রেন বলা হয়ে থাকে৷ স্নায়ুকোষের প্রদাহ মাইগ্রেনের কারণ হয়ে থাকে৷ নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, করা যেতে পারে৷ উচ্চ রক্তচাপ আছে কিনা লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন৷ তাছাড়া বমি ভাবের জন্য আলাদা ওষুধ সেবন করা যেতে পারে৷

নিয়মিত মাথাব্যথা
যাদের নিয়মিত মাথাব্যথা বা ক্রনিক মাথাব্যথা, অর্থাৎ মাসে ১০ থেকে ১৫ বার, তাদের ওষুধ সেবন করতে হয়৷ এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন – ১৫ বার ওষুধ সেবন করা উচিত নয়, খুব বেশি হলে দশবার খাওয়া যেতে পারে৷ খুঁজে বের করা প্রয়োজন যে রোগী নিয়মিত কোনো ওষুধ সেবন করেন কিনা৷

মাইগ্রেন অ্যাটাক
একপাশে ব্যথা এবং যা কয়েক ঘণ্টা তো থাকেই৷ আবার অনেক সময় আস্তে আস্তে বেড়ে তিনদিনও স্থায়ী৷ ডাক্তাররা বলেন, মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাতই এর প্রধান কারণ৷ তবে এ সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি গবেষণা এখনো করা হয়নি৷ এই ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম এবং মৃগী রোগের ওষুধ কিছুটা কাজে লাগতে পারে৷

মন এবং ব্যথা
‘‘মাথাব্যথার সাথে মনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক৷ যারা অতিরিক্ত নিয়মকানুনের মধ্যে চলে, তাদের ক্ষেত্রেও সাধারণ মাথাব্যথা হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে৷’’ একথা বলেন মিউনিখ ব্যথাকেন্দ্রের ডাক্তার প্রফেসর টোমাস ট্যোলে৷ ‘‘আমি এমনও দেখেছি যে একজন রোগী অন্যের মাথা ব্যথা হওয়ার কথা শুনে তারও মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে৷’’ তাঁর মতে, এ সব ক্ষেত্রে স্ট্রেচিং ব্যায়াম খুব কাজে লাগে৷

স্ট্রেচিং ব্যায়াম
মিউনিখ ব্যথাকেন্দ্রের রোগী হ্যারমান ভগেনরাইটার বলেন, ‘‘এখানে শেখা স্ট্রেচিং ব্যায়াম সপ্তাহে কমপক্ষে তিন বার করার ফলে এখন আর মাথা ব্যথা নেই৷ তবে তা নিয়মিত করতে হবে৷ তা না হলে আবার ব্যথা শুরু হতে পারে৷’’

পজিটিভ চিন্তা করুন
অযথা কোনো টেনশন বা চিন্তাভাবনা না করে পজিটিভ চিন্তা করা উচিত৷ এর ফলে মাথাব্যথা থেকে রেহাই পাওয়া যায়৷ মনোবিজ্ঞানীদের মতে, ক্রনিক বা মাইগ্রেন মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হলে, সময় মতো ঘুমাতে যাওয়া, খাওয়া এবং কিছুটা শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম বা মনের ভাব প্রকাশ করার মতো ভালো বন্ধু থাকা প্রয়োজন সকলেরই৷

Source: http://www.dw.de

8
Travel / Visit / Tour / ইউরোপের সবুজ শহর
« on: July 15, 2014, 01:54:38 AM »
ইউরোপের সবুজ শহর

বিশুদ্ধ বাতাসের শহর স্টকহোম
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে চলাচলরত যানবাহনের প্রায় ৭৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে৷ এছাড়া ‘যানজট কর’ এড়াতে অনেক মালিক নিজের গাড়ি ছেড়ে গণপরিবহণ ব্যবহার করছেন৷ ফলে ইউরোপের অন্যতম বিশুদ্ধ বাতাসের শহর এখন স্টকহোম৷

কার্বন নিরপেক্ষ শহর
নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই ইউরোপের প্রথম কার্বন নিরপেক্ষ শহর হয়ে গেছে ইটালির ‘সিয়েনা’৷ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে বায়োমাস ও জিওথার্মাল উৎস থেকে উৎপাদিত জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে এবং বন রক্ষা করে লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে সিয়েনা৷

সবুজের সমাহার
লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়ুসে দিন দিন পরিবহণের সংখ্যা বাড়ছে৷ কিন্তু তারপরও সেই শহরের বাতাস ইউরোপের অন্য অনেক শহরের চেয়ে ভাল৷ এর কারণ শহরকে ঘিরে রয়েছে বড় বন, বাগান আর পার্ক৷ রাজনীতিবিদরা সেগুলো টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর৷

আবর্জনা দিয়ে ঘর গরম
ইংল্যান্ডের ডিডকট শহরের বাসিন্দারা নিজেদের আবর্জনা দিয়ে গ্যাস উৎপাদন করে, সেটা দিয়ে ঘর গরম রাখে৷

বৃষ্টির পানি ধরে রাখা
বার্লিনের কেন্দ্রে একটি অংশে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে পরে সেগুলো কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এই পানি আশেপাশের ভবনগুলোর টয়লেটে ও অগ্নিনির্বাপক সংস্থায় ব্যবহার করা হয়৷

Source: http://www.dw.de

9
ত্বকের কয়েকটি রোগ

একজিমা
একজিমা হলো ত্বকের এমন একটি অবস্থা যেখানে ত্বকে প্রদাহের সৃষ্টি হয়৷ একেক ধরনের একজিমার লক্ষণ একেক রকম হয়৷ তবে সাধারণভাবে লালচে, প্রদাহযুক্ত ত্বক; শুষ্ক, খসখসে ত্বক; ত্বকে চুলকানি; হাত ও পায়ের ত্বকের মধ্যে ছোট ছোট পানির ফুসকুড়ি ইত্যাদি হলো একজিমার লক্ষণ৷

সোরিয়াসিস
এটি ত্বকের একটি জটিল রোগ৷ তবে সোরিয়াসিস কেবল ত্বক নয়, আক্রমণ করতে পারে শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও৷ সাধারণত ত্বকের কোষস্তর প্রতিনিয়ত মারা যায় এবং নতুন করে তৈরি হয়৷ সোরিয়াসিসে এই কোষ বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে৷ ত্বকের কয়েক মিলিমিটার থেকে কয়েক সেন্টিমিটার জায়গাজুড়ে এই সমস্যা দেখা দেয়৷

আর্সেনিকের কারণে চর্মরোগ
আর্সেনিক যুক্ত পানি খেলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ যেমন ত্বকের গায়ে ছোট ছোট কালো দাগ কিংবা পুরো ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে, হাত ও নখের চামড়া শক্ত ও খসখসে হয়ে যেতে পারে৷ এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন স্থানে সাদা-কালো দাগ দেখা দেয়াসহ হাত ও পায়ের তালুর চামড়ায় শক্ত গুটি বা গুটলি দেখা দিতে পারে৷

দাদ
শরীরের যে-কোনো স্থান ফাংগাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে একে দাদ বলে৷ এই আক্রমণ মাথার চামড়ায়, হাত-পায়ের আঙুলের ফাঁকে কিংবা কুঁচকিতে হতে পারে৷ এটা ছোয়াঁচে রোগ৷ আক্রান্ত স্থান চাকার মতো গোলাকার হয় এবং চুলকায়৷ মাথায় দাদ দেখতে গোলাকার হয় এবং আক্রান্ত স্থানে চুল কমে যায়৷ প্রতিকার পেতে সাবান ও পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান প্রতিদিন ধুতে হবে৷ এছাড়া আক্রান্ত স্থান শুকনো রাখা জরুরি৷

পাঁচড়া
শিশুদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়৷ পরিষ্কার কাপড়-চোপড় ব্যবহার ও নিয়মিত গোসল করলে খোসপাঁচড়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়৷

ঘামাচি
গরমের সময় ঘামাচি একটি সাধারণ সমস্যা৷ এটি সাধারণত তখনই হয় যখন ঘর্মগ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে যায়, ঘাম বের হয় না এবং ত্বকের নীচে ঘাম আটকে যায়৷ এর ফলে ত্বকের উপরিভাগে ফুসকুড়ি এবং লাল দানার মতো দেখা যায়৷ কিছু কিছু ঘামাচি খুব চুলকায়৷ ঘামাচি সাধারণত এমনিতেই সেরে যায়৷ তবে ঘামাচি সারানোর জন্য ত্বক সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে এবং ঘাম শুকাতে হবে৷

ব্রণ
সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে এই রোগটি দেখা দেয়৷ তাই একে টিনএজারদের রোগও বলা যেতে পারে৷ ১৮ থেকে ২০ বছরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এ রোগটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়৷ ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে তৈলাক্ত, ঝাল ও ভাজাপোড়া খাবারসহ চকলেট, আইসক্রিম ও অন্যান্য ফাস্টফুড খাওয়া কমাতে হবে৷ এছাড়া বেশি করে পানি ও শাক-সবজি খেতে হবে৷

Source: http://www.dw.de

10
রোগের নাম ‘চিকুনগুনিয়া জ্বর’
[/b]

মশাবাহিত রোগ
এডিস অ্যালবোপিকটাস ও এডিস এজিপটি নামক মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া জ্বর হয়ে থাকে৷ তবে কেবল নারী এডিস মশাই এই জ্বরের জন্য দায়ী৷

লক্ষণ
মশার কামড় খাওয়ার পাঁচ দিন পর থেকে শরীরে এই রোগের লক্ষণ ফুটে ওঠে৷ এক্ষেত্রে মাথাব্যথা, সর্দি, বমি বমি ভাব, হাত ও পায়ের গিঁটে এবং আঙুলের গিঁটে ব্যথা, ফোসকা পড়া ও শরীর বেঁকে যেতে পারে৷ জ্বর উঠতে পারে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত৷ থাকতে পারে ২ থেকে ১২ দিন৷ তবে সাধারণত ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত জ্বর থাকে৷

ডেঙ্গু নয়
অনেকে চিকুনগুনিয়া জ্বরকে ডেঙ্গু জ্বর মনে করতে পারেন৷ কারণ এদের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে৷ তবে ডেঙ্গুর সঙ্গে চিকুনগুনিয়ার মূল পার্থক্য হলো, এই জ্বরে হাড়ের জোড়াগুলো ফুলে যায়, ডেঙ্গু জ্বরে যেটা হয় না৷

চিকিৎসা
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগটি শনাক্ত করা যায়৷ এখন পর্যন্ত চিকুনগুনিয়ার কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি৷ তাই চিকুনগুনিয়া সারাতে সাধারণ জ্বরের চিকিত্সা নিলেই চলবে৷ বিশ্রাম, প্রচুর তরল খাবার ও প্যারাসিটামল সেবন করা যেতে পারে৷ তবে চিকুনগুনিয়া জ্বর প্রতিরোধে এডিস মশার প্রজনন বন্ধ করতে হবে৷

ঢাকায় চিকুনগুনিয়া
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বা আইইডিসিআর গত বছর এই রোগের উপর একটি সমীক্ষা চালায়৷ এ সময় ঢাকার মোট ৬০১ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ এদের মধ্যে ২০৭ জনই চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত বলে পরীক্ষায় জানা যায়৷ সে হিসেবে ঢাকার প্রায় ৩৩ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত৷

ইতিহাস
১৯৫২-৫৩ সালে আফ্রিকার তাঞ্জানিয়ায় প্রথম এই রোগের আবির্ভাব ঘটে৷ বাংলাদেশে প্রথম এ রোগে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং ঢাকার দোহার ও কেরানীগঞ্জে৷ পরে ২০১১ সালের নভেম্বরে নতুন করে পাবনার সাঁথিয়ায় আবারও চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়৷ আর ঢাকায় প্রথম দেখা দেয় ২০১৩ সালের আগস্টে৷

Source:http://www.dw.de

11
আইনজীবী বাবা-মায়ের সন্তান। একমাত্র মেয়ে হওয়ায় প্রত্যাশার চাপটাও ছিল অনেক। আইনজীবীর সন্তান আইনজীবী হবে, এমনটাই ছিল সবার প্রত্যাশা। কিন্তু কারও কথার তোয়াক্কা না করে নিজের পথেই হেঁটেছেন এমা ওয়াটসন। পারিবারিক পরিমণ্ডল ব্রিটিশ, কিন্তু জন্ম প্যারিসে বলেই কি না শিল্প-সাহিত্যে এত ঝোঁক। সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার সিঁড়িতে একটু একটু করে এগিয়ে গেছেন।

শিশুতোষ চলচ্চিত্র হ্যারি পটারের বিখ্যাত চরিত্র হারমিওনি গ্রেঞ্জার নামে চেনে সবাই তাঁকে। মাত্র নয় বছর বয়সে শান্তশিষ্ট সেই মেয়ে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। এমার নিজেকে নিয়ে কথা হলো, ‘আমার মন যা চায়, ইচ্ছেমতো আমি তাই করি। আমি সবাইকে খুশি করতে পারব না।’

নিজের কাজকে যতখানি গুরুত্ব দেন এমা, তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন পড়াশোনাকে। একদিকে হ্যারি পটারের হারমিওনি, অন্যদিকে স্কুলের পড়াশোনা করে গেছেন সমানতালে। তার ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত হ্যারি পটারের সব কটি সিনেমায় দেখিয়েছেন অভিনয়ের ঝলক। আটবারের অডিশনের পরে পর্দায় হ্যারি পটারের বন্ধু হওয়ার সুযোগ মেলে তাঁর। আর ২০১০ সালে ভর্তি হন ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৪ সালে এসে অবশেষে স্নাতক ডিগ্রির তকমা মাথায় নিলেন এমা। ইংরেজি সাহিত্যেই ব্যাচেলর ডিগ্রি নেন এই তারকা।

শুধু পড়াশোনাই নয়, যোগব্যায়াম আর মেডিটেশন শেখানোর সনদও আছে তাঁর। তরুণ এই অভিনেত্রী দৃষ্টিনন্দন অভিনয়ের জন্য ন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ডস, টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ডস ও এমটিভি মুভি অ্যাওয়ার্ডস লাভ করেছেন।

Source: http://www.prothom-alo.com

12
IT / সফল ড্রপ আউট!
« on: July 15, 2014, 01:30:47 AM »
বিল গেটস
তিনি মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তাঁকে বলা হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট। ১৯৭৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন বিল। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পান তিনি। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি ১৯৭৫ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ড্রপ আউট হওয়ার ৩২ বছর পরে ২০০৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিল গেটসকে অনারারি ডিগ্রি প্রদান করে। একই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিল গেটস।

স্টিভ জবস
অ্যাপল–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রযুক্তিবিস্ময় স্টিভ জবস ছিলেন কলেজ ড্রপ আউট। হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষে ১৯৭২ সালে রিড কলেজে ভর্তি হন স্টিভ। কিন্তু কলেজটি ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে পড়ালেখা চালিয়ে নিতে পারেননি। ছয় মাসের মধ্যে নাম কাটা যায় তাঁর। নামা কাটার পরেও ১৮ মাস সেই কলেজের ডর্মের বন্ধুর রুমে থাকতেন। ডিগ্রি নেই তো কী হয়েছে, স্টিভ জবস ২০০৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন। স্টিভ জবসের জীবনাবসান হয় ৫ অক্টোবর ২০১১ সালে।

মার্ক জাকারবার্গ
মার্ক জাকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে বসে বন্ধুদের নিয়ে তৈরি করেন ফেসবুক। ২০০৪ সালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ আউট হন তিনি। ফেসবুক এখন বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। জাকারবার্গ ২০১১ সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে সমাবর্তন বক্তব্য দেন।

13
Travel / Visit / Tour / Most Beautiful Castles in Germany
« on: July 15, 2014, 01:14:10 AM »
To visit a German castle is to step into a fairy tale setting, where castles sit atop high mountain peaks, their towers and turrets reaching to the sky. Germany is famous for its castles, with their pasts filled with knights, dukes and the devastation of wars. The castles, which boast a rich history, have been restored to their former glory and, in some cases, are lived in by families of the founders. Their treasures include previous artifacts, paintings, furniture and weapons.

Neuschwanstein Castle
The most photographed building in Germany, Neuschwanstein Castle, is also one of Europe’s most popular tourist destinations. Nestled among the breathtaking beauty of the Bavarian Alps near the town of Fussen, this fairy-tale castle served as the inspiration behind Walt Disney’s Sleeping Beauty Castle. Constructed in the late 1800s, Neuschwanstein was never built for defense purposes as most castles. Instead, this castle was created as a fanciful retreat for Ludwig II of Bavaria. Dazzling chandeliers and beautiful paintings adorn every room in the castle while the third floor is devoted to Ludwig’s fascination of swan scenes from operas by the famous composer Richard Wagner, whom Ludwig deeply admired.

Hohenzollern Castle
Sitting atop Mount Hohenzollern, the castle had its beginnings in the 11th century. The original castle was destroyed over the centuries with only the chapel remaining. The present castle was built in the mid-19th century by King Frederick William IV of Prussia. Located 50 km (30 miles) south of Stuttgart, the castle is the ancestral home of the Hohenzollern family, from which emperors and kings have emerged. Today the castle is a museum unlike any other. It is filled with treasures including the crown worn by Prussian kings and a uniform worn by Frederick the Great. One of the most visited castles in Germany, it is privately owned.

Burg Eltz
Burg Eltz Castle is situated near the Moselle River between Koblenz and Trier. It has been the ancestral home of the Rübenach, Rodendorf and Kempenich families since it was built in the 12th century; the castle still boasts some of the original furnishings. The castle sits on a huge rock in the middle of a forest. Its medieval architecture is unique; also contributing to the uniqueness is the fact that it has never been touched by war. Its armory, filled with gold and silver artifacts, as well as porcelain and jewelry, is considered one of the best in Europe. The castle’s exterior was featured in the 1979 movie, “The Ninth Configuration”.

Hohenschwangau Castle
Maximillian II, father of Ludwig II, discovered Hohenschwangau Castle when he was still the Crown Prince. The vicinity in which he found it pleased him immensely. In spite of it being in ruins, he bought the castle and had it renovated. When the work was complete, Maximillian used it as a hunting lodge, and for a summer palace. Ludwig II reigned after Maximillian died in 1864. He never married, so his mother remained at this home for the rest of her life. It is located in the village of Hohenschwangau near the town of Füssen.

Heidelberg Castle
Heidelbeg castle is located 80 meters (260 ft) up the northern part of a hillside, and dominates the view of the old center of Heidelberg. The castle ruins are among the most important Renaissance structures north of the Alps. It has had a long and turbulent history since the earliest castle structure was built in the 13th century. Having been totally destroyed during the Thirty Years War, and later by the French in the 17th century, the castle was struck by lightning in 1764 and even its stones were taken to build new houses in Heidelberg. All the subsequent rebuilding has led to a variety of architectural styles which adds to the castle’s charm.

14
Travel / Visit / Tour / Best Places to Visit in Germany
« on: July 15, 2014, 12:54:49 AM »
Best known for its famous Oktoberfest and World War II history, Germany is also home to some of Europa’s most beautiful scenery, fairytale castles, important historic sites and lively party scenes. Located in the heart of Europe, Germany maintains the continent’s most powerful economy. An overview of the best places to visit in Germany:

Leipzig
The largest city in Germany’s federal state of Saxony, Leipzig is known for its vibrant arts and culture scene shaped by famous music composers like Bach, Richard Wagner and Felix Mendelssohn. Tourists today can enjoy performances of Bach’s music at the St. Thomas Church where Bach once served as choir leader and is now buried.

Rugen Island
Located in the Baltic Sea, Rugen Island is the largest island in Germany, connected to the mainland by the Rugen Bridge and Rugen Causeway. Charming villas, romantic seaside resorts and beautiful beaches all draw tourists to Rugen Island, but the star attraction is the Jasmund National Park, famous for its unique chalk cliffs rising 528 feet (161 meters) over the sea.

Romantic Rhine
Stretching between the cities of Bingen and Bonn, Germany, the Middle Rhine flows through a dramatic geological formation called the Rhine Gorge. This region features a spectacular landscape dotted with some 40 medieval castles, picturesque villages and terraced vineyards. The best way to experience the Romantic Rhine is by a riverboat cruise.

Heidelberg
With historic treasures like the medieval Old Bridge, the Heidelberg Castle, the Church of the Holy Spirit and the Knight St. George House, it is no wonder that Heidelberg is a popular tourist attraction. The city center’s main street, Haupstrasse, is packed with pubs, restaurants, museums, art galleries, shops and markets selling the likes of beer steins, cuckoo clocks and German sausages.

Neuschwanstein
The most photographed building in Germany, Neuschwanstein Castle, is also one of Europe’s most popular tourist destinations. Nestled among the breathtaking beauty of the Bavarian Alps near the town of Fussen, this fairy-tale castle served as the inspiration behind Walt Disney’s Sleeping Beauty Castle.

Berlin
A federal state and the capital city of Germany, Berlin is widely associated with its World War II history and former division of East and West Germany by the Berlin Wall during the Cold War. Since the fall of the historic wall in 1989, Berlin today is now a vast, unified city diverse in ethnic groups and abundant in sightseeing attractions, museums, sports, culture and nightlife.

Munich
Best known as the origin of the world famous Oktoberfest, Munich is one of the best places to visit in Germany with a great culture scene. Munich is home to several sophisticated opera houses and theaters like the National Theatre. The city center is an attractive blend of classic and modern architecture, teeming in historic churches, medieval walls and royal palaces as well as bustling shopping centers and nightlife venues.

15
The Global Social Business Summit is the leading forum for social business worldwide. It serves to spread awareness of social business, foster discussion and collaboration, as well as presejnt and conceive best practices. The annual event is organized by Nobel Peace Prize Laureate Prof. Muhammad Yunus and his Creative Advisor Hans Reitz, which gathers experts from private sectors, civil society, governments and academia over a few days of meetings, forums and workshops.
This year's motto will be "Shaping Social Business - To Shape the World of 2020", to set an impetus for the social busienss movement in Mexico, Latin America and the whole world. Mexico City as hosting city will mark the first time that the Global Social Business Summit will be held in the Americas. The summit is organized in partnership with Green Street The Earth's Fund in Mexico. Together with a strong network of supporting partners that include Ashoka, Banamex, Cemex, Femsa, Monterrey Institute of Technology, the National Insitute of Entrepreneurship and Televisa Foundation this summit will set yet another milestone in the global movement of social business under leadership of Nobel Peace Prize Laureate Prof. Yunus. Our ambitious aim is to transform 1 % of the total economy of a city, a province, or a country as a social business economy in the next five years.
 Please visit the official website www.gsbs2014.com for further information.
27. November 2014 - 28. November 2014

Pages: [1] 2