Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - BRE SALAM SONY

Pages: 1 [2] 3 4 ... 25
16
Hajj / প্রশ্ন উত্তরে হজ
« on: April 10, 2016, 09:42:42 PM »
প্রশ্ন : হজ্জের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত, নফল ও মুস্তাহাব সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে চাই।

উত্তর : হজ্জের ফরজ তিনটি :
১. মীক্বাত হতে ইহরাম বাধা।
২. ৯ই জিলহজ্জ তারিখ জোহরের পর হতে ১০ই জিলহজ্জের সুবহে সাদেকের পূর্ব পর্যন্ত ওকূফে আরাফা তথা আরাফার প্রান্তরে অবস্থান।
৩. ১০, ১১ বা ১২ জিলহজ্জ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্বে কাবা শরীফের তাওয়াফে জিয়ারত করা।
হজ্জের ওয়াজিব ৫টি :
১. ৯ই জিলহজ্জ তারিখ সূর্যাস্তের পর থেকে পরবর্তী বা’দ ফজর সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মুযদালিফার প্রান্তরে অবস্থান করা।
২. সাফা-মারওয়া পাহাড় দু’টির মাঝখানে সাঈ করা।
৩. মিনাতে রমী করা অর্থাৎ শয়তানের উদ্দেশ্যে কংকর মারা।
৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো বা ছাটানো।
৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা (মীক্বাতের বাহিরের বাসিন্দাদের জন্য)।
হজ্জের সুন্নাত ও মুস্তাহাব ১০টি :
১. তাওয়াফে কুদূম (হজ্জে ইফরাদ বা হজ্জে কিরানের জন্য)।
২. তাওয়াফে কুদূমের প্রথম তিন চক্করে রমল করা। আর তাওয়াফে কুদূমে রমল না করে থাকলে তাওয়াফে জিয়ারতে রমল করা।
৩. ৮ই জিলহজ্জ মক্কা হতে মিনায় গিয়ে জোহর, আসর, মাগরীব, ইশা ও ফজর এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া এবং রাতে মিনায় অবস্থান করা।
৪. ৯ই জিলহজ্জ সূর্যোদয়ের পর মিনা হতে আরাফার ময়দানের দিকে রওনা হওয়া।
৫. ওকূফে আরাফার পর তথা হতে সূর্যাস্তের পর মুযদালিফার দিকে রওনা হওয়া।
৬. ৯ই জিলহজ্জ দিবাগত রাত্রে মুযদালিফায় থাকা।
৭. ওকূফে আরাফার জন্য সেদিন জোহরের পূর্বে গোসল করা।
৮. ১০, ১১ বা ১২ জিলহজ্জ দিবাগত রাত্রগুলোতে মিনায় থাকা।
৯. মিনা হতে বিদায় হয়ে মক্কায় ফেরার পথে মুহাস্সাব নামক স্থানে কিছু সময় অবস্থান করা।
১০. ইমামের জন্যে তিন স্থানে খুতবা দেয়া। ৭ই জিলহজ্জ মক্কা শরীফে, ৯ই জিলহজ্জ আরাফায় ও ১১ই জিলহজ্জ মিনায়। [ফাতাওয়া আলমগীরী : ১/২১৯, ফাতাওয়া শামী : ২/৪৬৮-৪৬৭, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/৪৭০]
প্রশ্ন : আমার নিকট এই পরিমাণ জমি রয়েছে, যার মাধ্যমে আমার সারা বছরের জীবিকা উৎপন্ন হয়। এছাড়া আমার আর কোন ব্যবসা বাণিজ্য নেই। অবশ্য সমস্ত জমি অথবা তার কিছু অংশ বিক্রি করে দিলে হজ্জের ব্যবস্থা হতে পারে। এমতাবস্থায় জমি বিক্রি করে হজ্জ করা কি আমার উপর ফরজ?
মিনহাজ উদ্দিন, চট্টগ্রাম।
উত্তর : যদি হজ্জের খরচ পরিমাণ জমি বিক্রি করার পরও আপনার মালিকানায় জীবিকা নির্বাহ করা যায় এই পরিমাণ জমি অবশিষ্ট থাকে তাহলে আপনার উপর হজ্জ ফরজ। [আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৫৩২]
প্রশ্ন : তাওয়াফ করার সময় দৃষ্টি কোন দিকে রাখতে হবে? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর : তাওয়াফ করার সময় কাবার দিকে মুখ বা পিঠ করা ঠিক নয়। বরং সিজদার দিকে অর্থাৎ নিচের দিকে চোখের দৃষ্টি রেখে তাওয়াফ করা মুস্তাহাব। তবে হাজরে আসওয়াদ বা সেদিকে হাত কিংবা লাঠি ইত্যাদি উঠিয়ে চুম্বনের সময় কাবার দিকে নজর করতে পারে। [আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৫৪৭, মুআল্লিমুল হুজ্জাজ : ১৩০, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/৪৭২]
প্রশ্ন : আরাফাতের ময়দানে জোহর এবং আসরের নামাজ পড়ার নিয়ম কি?

উত্তর : আরাফাতের ময়দানে যদি মসজিদে নামিরাতে ইমাম সাহেবের সাথে নামাজ পড়ার সুযোগ পাওয়া যায় এবং একথাও জানা যায় যে, ইমাম মুসাফির, তাহলে জোহরের ওয়াক্তে জোহর ও আসর একত্রে পড়বে। আর যদি ইমাম মুকীম হওয়া সত্বেও কসর করে তাহলে হানাফীগণ তার ইক্তেদা করবে না। সেক্ষেত্রে বা অন্য কোন কারণে যদি ইমামের সাথে পড়ার সুযোগ না হয়, তাহলে মুসাফির হাজীগণ নিজ নিজ তাবুতে বা স্থানে জোহরের ওয়াক্তে জোহর ও আসরের ওয়াক্তে আসর কসর (দুই রাকাত করে) পড়ে নিবে। তারপর দাঁড়িয়ে উকূফে আরাফা আদায় করবে, কষ্ট হয়ে গেলে তখন বসে উকূফ করবে। উল্লেখ্য, অনেক খিমায় আসরের ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে আসরের আজান দিয়ে থাকে ঐ আজান শুনে আসর পড়বে না। হানাফী মাজহাব অনুযায়ী আসরের ওয়াক্ত হওয়ার পর আজান দিয়ে নামাজ পড়বে। [ফাতাওয়া শামী : ২/৫০৫, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/৪৭২]
প্রশ্ন : ইহরাম অবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ?

উত্তর : ইহরাম অবস্থায় নি¤েœাক্ত কাজগুলো করা নিষেধ
১. শরীরের গঠনের ভিত্তিতে সেলাই করা কোন কাপড় পরিধান করতে পারবে না। তবে মহিলাদের জন্য এ হুকুম নয়।
২. পুুরুষেরা মাথা ও মুখ ঢাকবে না। মহিলার মাথা ঢাকবে কিন্তু পর্দা বজায় রেখে মুখ স্পর্শ করে এমন নেকাব লাগাতে পারবে না। তবে মুখ থেকে একটু দূরে থাকে এমন নেকাব দ্বারা পর্দা রক্ষা করতে হবে।
৩. চুল কাটতে, ছিড়তে বা পশম টেনে তুলতে পারবে না।
৪. চুল-দাড়িতে চিরুনী বা আঙ্গুল চালাবে না, তাতে চুল-দাড়ি উঠতে বা ছিড়ে যেতে পারে।
৫. নখ কাটবে না।
৬. সুগন্ধি সাবান, তেল, আতর ও ¯েœা-পাউডার ইত্যাদি প্রসাধনী ব্যবহার করবে না।
৭. যৌন আলাপ-আলোচনা বা আচরণ করবে না।
৮. স্ত্রী সহবাস করবে না।
৯. কোন প্রাণী শিকার করা নিষেধ। এমনকি মশা, মাছি, উকুন ও ছারপোকাও মারা নিষেধ।
১০. ঝগড়া-বিবাদ করা নিষেধ।
১১. হেরেম শরীফ এলাকায় কোন প্রকার ঘাস ও লাতা-পাতা ছিড়া নিষেধ। এমনকি গাছের ডাল ভাঙ্গাও নিষেধ।
১২. পায়ের উপরের পাতা ঢেকে যায় এমন জুতা বা সেন্ডেল পরা নিষেধ।
১৩. সমস্ত গোনাহের কাজ করা নিষেধ। [হিদায়া : ১/২৩৮-৩৯, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/৪৭৬]
প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তি সুদ-ঘুষের টাকা গ্রহণ করে সম্পদশালী হয়েছে। বর্তমানে সে নিয়মিত নামাজ, রোজা ও জাকাত আদায় করছে এবং অন্যান্য শরয়ী আহকামও মেনে চলছে। এখন সেই ব্যক্তি ঘুষের টাকা দ্বারা হজ্জ আদায় করতে পারবে কি-না? এবং হারাম মাল থেকে মুক্ত হওয়ার উপায় কি?

উত্তর : কারো নিকট যদি শুধু হারাম মাল থাকে, তাহলে উক্ত ব্যক্তির উপর হজ্জ ফরজ হবে না। আর কারো নিকট যদি হালাল-হারাম মিশ্রিত মাল থাকে, তাহলে দেখতে হবে সে সমস্ত মাল হতে হারাম মালের অংশ পৃথক করলে অবশিষ্ট হালাল মাল যদি এ পরিমাণ হয় যে, তাতে হজ্জ ফরজ হয়- তাহলে উক্ত ব্যক্তির উপর হজ্জ ফরজ হবে। অন্যথায় তার উপর হজ্জ ফরজ হবে না। আর হজ্জ ফরজ হওয়ার পর তার হালাল মাল দ্বারাই হজ্জ করা জরুরী। কিন্তু কারো নিকট হজ্জ পরিমাণ হালাল মাল থাকায় তার উপর হজ্জ ফরজ হওয়ার পর হজ্জের সময় যদি হালাল মাল হাতে না থাকে, তাহলে এমন ব্যক্তির হজ্জ আদায়ের উত্তম পন্থা এই যে, সে প্রথমতঃ কারো নিকট থেকে হজ্জ আদায় করা যায়, এ পরিমাণ টাকা ঋণ নিয়ে হজ্জ আদায় করবে। এরপর হালাল মাল দ্বারা উক্ত ঋণ পরিশোধ করতে চেষ্টা করবে। আর যদি তা সম্ভব না-ই হয়, তাহলে উক্ত হারাম মাল দ্বারাই ঋণ পরিশোধ করবে এবং এজন্য আল্লাহ তা’আলার দরবারে ইস্তিগফার করতে থাকবে। আর যদি কেউ হারাম মাল দ্বারা হজ্জ আদায় করে ফেলে, তাহলে সে ব্যক্তি গোনাহগার হবে বটে, তবে হজ্জের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। কিন্তু এরূপ হজ্জ আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। অর্থাৎ এরূপ হজ্জে কোন সওয়াব হবে না। হারাম মাল ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নাজায়িজ। সুতরাং যত দ্রুত সম্ভব এর থেকে মুক্ত হতে হবে। আর এ থেকে মুক্তি লাভের উপায় হচ্ছে, উক্ত হারাম মালের মালিকের সন্ধান পাওয়া গেলে মালিকের নিকট উক্ত মাল পৌঁছে দেয়া ওয়াজিব। অন্যথায় সওয়াবের আশা না করে গরীব মিসকিনদের মাঝে সদকা করে দেয়া। উল্লেখ্য যে, উক্ত হারাম মালের পরিমাণ পুরোপুরি স্মরণ না থাকলে, নিজের প্রবল ধারণার ভিত্তিতে তা নির্ধারণ করতে হবে। [ফাতাওয়া শামী : ২/৪৫৬, ইমদাদুল ফাতাওয়া : ২/১৪ ও ১৬০, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ৩/১৯২, ফাতাওয়ায়ে রাহীমিয়া : ৩/১১৬, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/৪৮৪]
প্রশ্ন : বর্তমান জমানায় হজ্জে মহিলাদের বেপর্দা অবস্থায় ঘোরাঘুরী লক্ষ করা যায়। এমতাবস্থায় হজ্জে মাকবুলের সুরত কি? সঠিক সমাধান চাই।

উত্তর : যে হজ্জের মধ্যে কোন রকম গুনাহের কাজ হয় না অথবা যে হজ্জের মধ্যে রিয়া বা বড়াই এর উদ্দেশ্য থাকে না তাকে সম্পূর্ণরূপে হজ্জে মকবুল বা হজ্জে মাবরূর বলে। ইচ্ছে করে কোন গুনাহের কাজ করলে হজ্জ সম্পূর্ণরূপে কবুল হওয়ার আশা করা যায় না।
অতএব, হজ্জে মকবুল হাসিল করতে হলে নিজ চক্ষু ও অন্তরকে কুদৃষ্টি ও কুমন্ত্রণা থেকে বিরত রাখতে হবে। এর পরেও যদি অনিচ্ছা সত্বেও সামনে বেপর্দা মহিলা এসে যায় তাহলে তৎক্ষণাৎ দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিবে। এতে আর গুনাহ হবে না এবং হজ্জে মকবুলের সওয়াবও পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। [সূরা বাকারা : ১৯৭, বুখারী : ১/২০৬, মিশকাত : ২৬৯, কাওয়ায়িদুল ফিকহ : ২৫৯, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/৪৮৫]
প্রশ্ন : জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজর হতে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর যে তাকবীরে তাশরীক পড়া হয়, তা হানাফী মাজহাব অনুযায়ী প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর কতবার পড়া উচিত এবং মহিলাদেরও পড়তে হবে কি-না? মেহেরবানী করে কিতাবের হাওলাসহ জানাবেন।

উত্তর : জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজর হতে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর জামাতে হোক বা একাকী হোক, প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিটি মুসলমান নর-নারীর জন্য হানাফী মাজহাব অনুযায়ী একবার তাকবীরে তাশরীক পড়া ওয়াজিব। অবশ্য পুুরুষ লোকদের জন্য উক্ত দু’আ উচ্চঃস্বরে পড়া জরুরী। আর মহিলাদের আস্তে পড়তে হবে। [হিদায়া : ১/১৭৪-১৭৫, ইমদাদুল আহকাম : ১/৬৭২, রদ্দুল মুহতার : ২/১৮০, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/৪৮৬]
প্রশ্ন : যে কোন খাদ্য দ্রব্য ও পানীয় বসে খাওয়া আদব। কিন্তু জমজম কুপের পানি দাঁড়িয়ে পান করতে হয় কেন? আর এ পানি পান করার সময় কি দু’আ পড়তে হয়?

উত্তর : সব ধরনের খাদ্য দ্রব্য ও পানীয় বসে খাওয়া সুন্নাত। আর জমজম কুপের পানিও বসে পান করলে কোন গুনাহ হবে না। তবে আদবের খেলাফ হবে। কেননা, এটা পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও বরকতময় পানি। এ পানি কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে পান করতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তালীম দিয়ে গেছেন। সুতরাং এটা মুস্তাহাব।
মোদ্দাকথা, যে আমল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যেভাবে প্রমাণিত আছে, সেটা সেভাবে করাই সুন্নাত। সেখানে আমাদের বিবেক বিবেচনা অর্থহীন।
জমজম কুপের পানি পান করার সময় এ দু’আ পড়া সুন্নাত :

[কিফায়াতুল মুফতী : ৯/১০৯, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/৪৮৬]


প্রশ্ন : টিভিতে প্রচারিত হজ্জের কার্যসমূহ দেখার ব্যাপারে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন বাধা আছে কি-না? যদি নিষেধ থাকে, তাহলে কেন? আর সরাসরি সম্প্রচার করা বা পূর্বে ভিডিও করে সম্প্রচার করার মাঝে কোন পার্থক্য আছে কি-না? বিস্তারিত জানতে ইচ্ছুক।

উত্তর : বর্তমানে প্রচলিত টিভিতে কোন অনুষ্ঠান দেখা বা দেখানোর অনুমতি শরীয়তে নেই। বরং সকল প্রকার অনুষ্ঠান দেখাই কবীরা গুনাহ ও হারাম। যদিও সেটা ইসলামী অনুষ্ঠান হয়। সুতরাং হজ্জের কার্যাবলীও টিভিতে দেখা জায়িজ হবে না। সরাসরি সম্প্রচার হোক অথবা পূর্বে উক্ত দৃশ্য যন্ত্রের সাহায্যে ধারণ করে পরে সম্প্রচার করা হোক। এতদুভয়ের মাঝে কোন তফাৎ নেই। কেননা, ফিল্ম কোম্পানী এ কাজ করতে যে সকল যন্ত্র ব্যবহার করে থাকে, সবই খেল-তামাশার বস্তু। আর এমন বস্তুকে দ্বীনের মৌলিক ইবাদতের মধ্যে প্রবেশ করানো দ্বীনের অবমাননা ও দ্বীনকে তামাশার বস্তুতে পরিণত করার নামান্তর। আর এতদ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ভয়াবহ আজাবের কথা ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
তাছাড়া হজ্জের অধিকাংশ কার্যক্রমই হল আমলে তা’আব্বুদী তথা শরীয়ত কর্তৃক অবধারিত হুকুম। যার মাঝে যুক্তির বিন্দুমাত্র অবকাশও নেই। সুতরাং ইসলাম বিরোধীরা যখন এ ধরণের বিষয় টিভিতে দেখবে, তখন তারা অহেতুক যুক্তির পেছনে পড়ে নিজেরদের শরীয়ত বিরোধী দাবীসমূহ প্রমাণের অপপ্রয়াস চালাবে। আর দ্বীনের এসব বিষয় নিয়ে উপহাস করতে থাকবে।
শুধু তাই নয়; বরং হজ্জের অনুষ্ঠান দেখার সময় বেগানা মহিলাদের চেহারা থেকে মুক্ত থাকাও সম্ভব নয়। যেমন, অনুষ্ঠান আরম্ভ হওয়ার ঘোষণা সাধারণত মেয়েরাই দিয়ে থাকে। অতঃপর মাঝে মাঝে বিভিন্ন জিনিষের নাজায়িজ বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়ে থাকে। সেগুলো দর্শন করা শরীয়ত সম্মত নয়।
প্রকাশ থাকে যে, টিভির অনুষ্ঠানমালা যদি পূর্বে ধারণ করে সম্প্রচার করা হয়, তাহলে সেটা ফটো ও ছবি ব্যবহার করার হুকুমে পড়বে- যা সম্পূর্ণ হারাম। পক্ষান্তরে যদি পূর্বে ধারণ না করে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, তাহলে দ্বীন ও ইবাদতকে তামাশার বস্তুতে রূপান্তরিত করার কারণে তা নাজায়িজ হবে।
[সূরা লোকমান : ৬, সূরা নূর : ৩০-৩১, মিশকাত : ২/২৭০, ইমদাদুল মুফতীন : ২/৯৯১, জাওয়াহিরুল ফিকহ : ৪/৮৫-৮৬, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া : ৯/৪১৮-৪১৯, নিযামুল ফাতাওয়া : ২/৯৯-১০১, ফাতাওয়া রহীমিয়া : ৬/২৯২-৩০০, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/৪৮৬-৪৮৭]

প্রশ্ন : কোন মহিলা নিজের মেয়ের স্বামীকে অর্থাৎ জামাতাকে নিয়ে হজ্জে যেতে পারবে কি?

উত্তর : নারীরা হজ্জে যেতে হলে স্বামী বা দ্বীনদার মাহরাম তথা এমন পুরুষ লোক, যাদের সাথে বিবাহ বৈধ নয়, তাদেরকে সাথে নিয়ে যেতে হবে। মাহরাম নিজের বংশের কারণে, বিবাহের কারণে এবং দুধের কারণে হয় এ হিসেবে মেয়ের স্বামীকে নিয়ে হজ্জে যেতে পারবে। তবে বৈবাহিক এবং দুধপান সূত্রের মাহরামদেরকে নিয়ে বর্তমান ফিতনা ফাসাদের জমানায় হজ্জে যাওয়া হতে পরহেজ করা উচিত। তাই মেয়ের স্বামীকে নিয়ে হজ্জে না যাওয়াই শ্রেয় হবে। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যদি পিতা, ভাই বা দ্বীনদার স্বামী না পায়, তবে উক্ত মহিলাকে তার পক্ষ হতে বদলী হজ্জের ওসিয়ত করে যাওয়া জরুরী। [মু’আল্লিমুল হুজ্জাজ : ৮৬, শামী : ২/৪৬৪, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/৪৭৪]
প্রশ্ন : যদি কেউ দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে তার ফরজ হজ্জ আদায় করতে সক্ষম না হয়, তাহলে সে কোন্ ধরণের লোককে দিয়ে তার বদলী হজ্জ করাবে? বিস্তারিত জানাবেন।

উত্তর : ফরজ হজ্জের বদলী এমন ব্যক্তিকে দিয়ে করানো উত্তম, যিনি পূর্বে নিজে ফরজ হজ্জ আদায় করে নিয়েছেন। আর যদি এমন ব্যক্তিকে দিয়ে করানো হয়, যিনি পূর্বে নিজে ফরজ হজ্জ আদায় করেননি, তবে তার মাসাইল সম্পর্কে ভাল জ্ঞান আছে, তাহলেও যে পাঠাবে তার বদলী হজ্জ আদায় হবে। তবে যিনি পূর্বে হজ্জ করেছেন তাকে দিয়ে করানোই উত্তম। অবশ্য নফল হজ্জের বদলী যে কোন ব্যক্তিকে দিয়েই করানো যায়। যদি সে সজ্ঞান, সাবালক মুসলমান হয় এবং হজ্জের মাসাইল সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হয়, তবে এমন ব্যক্তির জন্য বদলী হজ্জে যাওয়া জায়েজ নয়; যার নিজের উপর হজ্জ ফরজ এবং সেই ফরজ সে এখনও আদায় করেনি। কেননা, যার উপর হজ্জ ফরজ হয়েছে, তবুও সে তা আদায় করল না, বরং তার ফরজ হজ্জ আদায়ে অবহেলা করল। এমন ব্যক্তির দ্বারা অন্যের বদলী হজ্জের হক কতটুকুই বা পালন হতে পারে?
উল্লেখ্য, যিনি বদলী ফরজ হজ্জ আদায় করবেন, তার হজ্জে ইফরাদের নিয়ত করা উত্তম। তবে হজ্জে কিরানের অনুমতি পাওয়া গেলে তাও করতে পারেন। তবে কুরবানী নিজের পক্ষ থেকে করতে হবে। প্রেরণকারীর দেয়া জরুরী নয়। কিন্তু কোন ক্রমেই হজ্জে তামাত্তু- এর নিয়ত করবে না। আর যেহেতু হিসাব রেখে অবশিষ্ট টাকা ফেরত দেয়ার অনেক ঝামেলা হয়, এ জন্য প্রেরণকারীর নিকট থেকে প্রদত্ত টাকা খরচের সাধারণ অনুমতি নেয়া উত্তম। [আলমগীরী : ১/২৫৭, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/৪৮৩]

17
জেনে নিই হজ্জ ও উমরার ফজিলত
[/b]


১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন : যে হজ্জ গোনাহ এবং খারাবী থেকে পবিত্র হয়, জান্নাতই হল তার পুরস্কার। [বুখারী ও মুসলিম]
২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন : এক উমরার পর আরেক উমরা করলে দুই উমরার মধ্যবর্তী সব গোনাহ মোচন হয়ে যায়। [প্রাগুক্ত]
৩. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন : যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ্জ করে এবং হজ্জের প্রাক্কালে অশ্লীল কথা, কাজ ও পাপ থেকে বিরত থাকে, সে মায়ের পেট থেকে জন্ম গ্রহনের দিনের ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে। [প্রাগুক্ত]
৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন : একাধারে হজ্জ ও উমরা করতে থাক। এটা পাপ ও দরিদ্রতাকে এমনভাবে মিটিয়ে দেয় যেমন আগুন লোহার ময়লা দূর করে দেয়। [তিরমিযি, নাসায়ী]

কাদের উপর হজ্জ ফরজ
১. যার নিকট মক্কা শরীফ থেকে হজ্জ করে ফিরে আসা পর্যন্ত পরিবারের আবশ্যকীয় খরচ বাদে মক্কা শরীফ যাতায়াতের মোটামুটি খরচ পরিমাণ অর্থ থাকে তার উপর হজ্জ ফরজ। ব্যবসায়িক পণ্য এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমির মূল্য এ অর্থের হিসেবে গণ্য করতে হবে।
২. মেয়ে লোকের জন্য নিজ স্বামী বা নিজের কোন বিশ্বস্ত দ্বীনদার মাহরাম পুুরুষ ব্যতীত হজ্জে যাওয়া দুরস্ত নয়। শুধু এমন কোন মহিলা থাকা যথেষ্ট নয়, যার সাথে তার মাহরাম পুরুষ রয়েছে।
৩. অন্ধের উপর হজ্জ ফরজ নয় যত ধনই থাকুক না কেন?
৪. নাবালেগের উপর হজ্জ ফরজ হয় না। নাবালেগ অবস্থায় হজ্জ করলেও বালেগ হওয়ার পর সম্বল হলে পুনরায় হজ্জ করতে হবে।
হজ্জ ফরজ হওয়ার পর না করা বা বিলম্ব করা
১. হজ্জ ফরজ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সেই বৎসরই হজ্জ করা ওয়াজিব, বিনা ওজরে দেরি করা পাপ। ছেলে মেয়ের বিবাহ শাদী দেয়ার জন্যে বা বাড়ি তৈরী করার জন্যে বিলম্ব করা কোন গ্রহণযোগ্য ওজর নয়। শেষ বয়সে হজ্জ করব; এমন ধারণাও ভুল। বরং বয়স থাকতে হজ্জ করতে গেলেই হজ্জের ক্রিয়াদি ভালভাবে আদায় করা সহজ হয়।
২. হজ্জ ফরজ হওয়ার পর আলস্য করে বিলম্ব করলে এবং পরে গরীব বা শক্তিহীন হয়ে গেলেও ঐ ফরজ তার জিম্মায় থেকে যাবে- মাফ হবে না, যে কোন উপায়ে তাকে হজ্জ করতে হবে বা মৃত্যুর পূর্বে বদলী হজ্জের ওছিয়ত করে যেতে হবে।
৩. মাতা-পিতার হজ্জের পূর্বে সন্তান হজ্জ করতে পারে না- এই ধারণা ভুল। অতএব এ ধারণার বশবর্তী হয়ে হজ্জে বিলম্ব করা গ্রহণযোগ্য ওজর নয়।
৪. হজ্জ ফরজ হওয়া সত্বেও যে হজ্জ না করে মৃত্যুবরণ করে, তার জন্য ভীষণ আজাবের সংবাদ দেয়া হয়েছে। এরূপ লোক সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে : সে ইয়াহুদি হয়ে মরুক বা নাসারা হয়ে মরুক।


হজ্জের সফরের আদবসমূহ
১. নিয়ত খালেছ করে নিবেন অর্থাৎ আল্লাহকে রাজি খুশি করার নিয়ত রাখবেন। নাম শোহ্রত, দেশ ভ্রমন, আবহাওয়া পরিবর্তন, হাজি উপাধি অর্জন ইত্যাদি নিয়ত রাখবেন না।
২. খাঁটি অন্তরে তওবা করতে হবে অর্থাৎ কৃত গোনাহের জন্য অনুতপ্ত হতে হবে, এখনই গোনাহ বর্জন করতে হবে এবং ভবিষ্যতে গোনাহ না করার পাকাপোক্ত নিয়ত করতে হবে। কারও টাকা-পয়সা বা সম্পদের হক নষ্ট করে থাকলে তার ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিতে হবে। পাওনাদার জীবিত না থাকলে তাদের উত্তরাধিকারীদের থেকে তার নিষ্পত্তি করে নিতে হবে। সেরূপ কারও সন্ধান না পেলে পাওনাদারের সওয়াবের নিয়তে পাওনা পরিমাণ অর্থ তার পক্ষ থেকে দান করে দিতে হবে। কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে তার থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে।
৩. মাতা-পিতা জীবিত থাকলে এবং তাদের খেদমতে থাকার পয়োজন থাকলে তাদের এজাজত ব্যতীত নফল হজ্জে গমন করা মাকরূহ। খেদমতের প্রয়োজন থাকলে ফরজ হজ্জে এজাজত ব্যতীত যাওয়া মাকরূহ নয়, যদি পথ ঘাট নিরাপদ থাকে। মাতা-পিতার উচিত এজাজত দিয়ে দেওয়া।
৪. সফর থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত সময়ের জন্য পরিবার পরিজন ও অধিনস্থদের প্রয়োজনীয় খরচাদির ব্যবস্থা করে যেতে হবে।
৫. কোন ঋণ নগদ আদায় করার থাকলে পাওনাদারের অনুমতি গ্রহণ করবেন। তার অনুমতি ব্যতিত হজ্জে গমনকরা মাকরূহ। তবে যদি কাউকে ঋণ আদায়ের দায়িত্ব অর্পণ করে যাওয়া যায় এবং পাওনাদারগণ তাতে সম্মত থাকে, তাহলে অনুমতি ব্যতিতও যাওয়া মাকরূহ হবে না। আর ঋণ যদি নগদ আদায় কারার না হয় বরং মেয়াদী থাকে এবং মেয়াদের পূর্বেই হজ্জ থেকে ফিরে আসার হয়, তাহলে সেই পাওনাদারের অনুমতি গ্রহণ ব্যতিতও হজ্জে গমনে কোন অসুবিধা নেই। তবে পাওনা দাওনা সম্পর্কিত একটি তালিকা তৈরী করে রেখে যাবেন।
৬. নিজের কাছে কারও থেকে ধার করা জিনিস বা কারও আমানত থাকলে তা মালিককে বুঝিয়ে দিয়ে যাওয়া চাই।
৭. সফরে গমনের পূর্বে কোন বিচক্ষণ অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাথে সফরের প্রয়োজনীয় বিষয়াদি সম্পর্কে পরামর্শ করে নিন।
৮. উত্তম সফরসঙ্গী নির্বাচন করুন। পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আলেম হলে উত্তম হয়, যার কাছে প্রয়োজনে হজ্জের মাসায়েল ইত্যাদি জেনে নেয়া যাবে। আলেম না পেলে অন্ততঃ একজন অভিজ্ঞ দ্বীনদার হাজিকে সফরসঙ্গী বানানোর চেষ্টা করবেন।
৯. হজ্জের মাসায়েল শিক্ষা করে নিবেন। হজ্জের মাসায়েল শিক্ষা করাও ফরজ। দু’আ কালামের ফজিলত আছে, তবে দু’আ কালামের উপর জোর দিতে গিয়ে জরুরী মাসায়েল থেকে অমনোযোগী ও উদাসীন হওয়া উচিত নয়। হজ্জ ও উমরা সম্পর্কিত নির্ভরযোগ্য মাসায়েলের কিতাবও সাথে রাখা চাই। যাতে প্রয়োজনের মুহূর্তে কিতাব দেখে নেয়া যায়। অনেকে তাওয়াফ, সায়ী ইত্যাদির দু’আ মুখস্থ করতে পারেন না বলে হতাশ হন। হতাশ হওয়ার কিছু নেই, একান্ত মুখস্থ করতে না পারলে এসব দু’আ ব্যতীতও হজ্জ হয়ে যাবে। তবে এসব দু’আ সুন্নাত বা মুস্তাহাব, তাই সম্ভব হলে হিম্মত করে আমল করার চেষ্টা করুন।
১০. হজ্জ উমরার সফর একটি বরকতময় সফর। এ সফরে সফরের যাবতীয় সুন্নাত আদব ইত্যাদি আমল করা চাই।[/size]


18
বিভিন্ন ইসলামীক মাসলা-মাসায়েল
জীবন জিজ্ঞাসা : এ সংখ্যার উত্তর দিয়েছেন : মুফতি সাহেব, মারকাজুল ইসলাম
রশ্ন : অনেক সময় মাদরাসার হুজুরদেরকে যাকাতের টাকা কালেকশনের সময় যাকাতদাতা পৃথকভাবে কিছু টাকা হাদিয়া দেয়। উক্ত হাদিয়া গ্রহণ করা জায়িয আছে কিনা?
উত্তর : না, উক্ত হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে না। তবে যদি তাদের মাঝে পূর্ব থেকে হাদিয়ার আদান প্রদান হয়ে থাকে, তাহলে গ্রহণ করা যাবে। তথাপি গ্রহণ না করাই উত্তম। [সহীহ বুখারী : ২/১০৬৪, সহীহ মুসলিম : ২/১২৩, ফাতহুল কাদীর : ৬/৩৭১, আদ-দুররুল মুখতার : ৮/৪৯, ইমদাদুল মুফতিয়ীন : ৮৮৩ পৃ:]

খালেদ, ঢাকা।
প্রশ্ন : এক লোক এক লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখে। পাঁচ বছর পর মুনাফাসহ এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা পায়। মুনাফা  বাবদ প্রাপ্ত এ পঞ্চাশ হাজার টাকার যাকাত দিতে হবে কিনা?
উত্তর : বর্ণিত ৫০ হাজার টাকার পুরোটাই সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া যাকাতের হকদারদের মধ্যে বন্টন করে দিতে হবে। নিজে ভোগ করা জায়িয হবে না। অতএব এর যাকাত প্রদানের প্রসঙ্গ রইলো না। [আদ্-দুররুল মুখতার : ৩/২১৮, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ২/২৮৯, ফাতাওয়া বাযযাযিয়া আলা হামেশে হিন্দিয়া : ৪/৮৬, আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/২৮৩, ইমদাদুল মুফতিয়ীন : ২/১৫]

ছাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর।
প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তির হাতে মাদরাসার গোরাবা ফান্ডের কিছু টাকা ছিলো। এক সময় বিশেষ প্রয়োজনে তিনি সেই টাকা ব্যক্তিগত কাজে খরচ করে ফেলেন। অবশ্য পরবর্তীতে তা দিয়ে দিয়েছেন। এভাবে ব্যক্তিগত কাজে গোরাবা ফান্ডের টাকা ব্যায় করাতে তার গুনাহ হয়েছেকিনা?
উত্তর : গোরাবা ফান্ডের টাকা ব্যক্তিগত কাজে লাগানো জায়িয নেই। যতো দ্রুত সম্ভব তা গরীবদের দিয়ে দেয়া চাই। কাজেই প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি গুনাহগার হয়েছে। ভবিষ্যতে আর এমনটি করবে না। [আদ-দুররুল মুখতার : ৩/১৮৮, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ২/৮৯১, খুলাছাতুল ফাতাওয়া : ১/২৪৪]

আব্দুল আউয়াল, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন : মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিলে তা  গ্রহণযোগ্য হবে কিনা?
উত্তর : সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হলো, কাযী বা বিচারকের সামনে সাক্ষী সশরীরে উপস্থিত থাকা। তাই ফোনে সাক্ষ্য দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। [জাদীদ ফিকহী মাসায়িল : ১/৪৫২, আদ-দুররুল মুখতার : ৫/৪৬১, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৩/৪৫, আল-বাহরুর রায়িক : ৭/৫৬, ফাতহুল কাদীর : ৬/৪৪৬]

আনিছুর রহমান, পাবনা।
প্রশ্ন : হাদিসে সকাল-বিকাল পড়ার ব্যাপারে যে সকল যিকির বর্ণিত আছে, সেগুলো সকাল বিকাল কোন সময় পড়তে হবে?
উত্তর : হাদিসে বর্ণিত সকালে পড়ার যিকির সমূহ ফজরের পর থেকে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত। আর বিকালে পড়ার যিকির সমূহ যোহরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পড়ার অবকাশ আছে। তবে উত্তম হলো, ফজরের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সকালের যিকির সমূহ পড়ে নেয়া। আর আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বিকালের যিকির সমূহ পড়া। তবে যেসব দু’আ ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর পড়ার কথা হাদিসে উল্লখ আছে, সেগুলো উল্লিখিত সময়েই পড়তে হবে। [আল আযকার লিন্-নববী : পৃ.৭১,রিয়াযুস সালিহীন : ৩৪৭, তাফসীরে রূহুল মা‘আনী : ১০/১৭৬, কাওয়ায়িদুল ফিক্হ : পৃ: ৩৪৬, পৃ.৪৮১, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : পৃ.৩৫৪, ৫৬৪]

শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন : যে কোনো এক্সিডেন্টে মৃত্যুবরণকারী এবং অস্বাভাবিকভাবে মৃত ব্যক্তির লাশের পোষ্টমর্টেম করা সরকারী আইনে জরুরি। তাই প্রশ্ন হচ্ছে, এটা জায়িয আছে কিনা?
উত্তর : শরী‘আতে পোষ্টমর্টেম করার অনুমতি নেই। তদন্তের প্রয়োজনে অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করবে, পোষ্টমর্টেম নয়। [সুরা বনী ইসরাঈল : ৭০, নিজামুল ফাতাওয়া : ১/৪১৩, আবু দাউদ : ২/১০২, আওযাযুল মাছালিক : ২/৫০৭, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া : ৬/৩৫৫, আহসানুল ফাতাওয়া : ৮/৩৩৮]

রহমত উল্লাহ, ঢাকা।
প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তি উত্তর দিকে ফিরে পেশাব করে পশ্চিম দিকে ফিরে পানি ব্যবহার করেছে। এভাবে পশ্চিম দিকে ফিরে পানি ব্যবহার করা জায়িয আছে কিনা?
উত্তর : হাজত পূর্ণ করার পর পশ্চিম দিকে ফিরে পানি ব্যবহার করা বেয়াদবী। তাই তা পরিহার করবে। [আদ-দুররুল মুখতার : ১/৫৫৪, মুনইয়াতুল মুসল্লী : ১/১১, আল-বাহরুর রায়িক :১/২৪৩, গুনইয়াতুল মুতামাল্লী : ১/৩৮, কিতাবুল ফিকহী আলাল মাযাহিবিল আরবা‘আ : ১/৮৮, বাদরুল মুত্তাকী বিহামেশি মাজমায়িল আনহুর : ১/৬৭]

আসমা, গাইবান্ধা।
প্রশ্ন : ৪/৫ মাস গর্ভধারিনী স্ত্রীর পেটে তার স্বামী আঘাত করে। ফলে তার পেট থেকে শুধু হাত পা বিশিষ্ট সন্তান প্রশব হয়ে যায়। এতে মহিলার রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এ অবস্থায় উক্ত রক্ত নিফাস হিসেবে গণ্য হবে নাকি এস্তেহাযা?
উত্তর : নিফাস হিসাবে গণ্য হবে। [আল-হিদায়া : ১/৭০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৩৭, তাবয়ীনুল হাকায়িক : ১/৬৭, আল-বাহরুর রায়িক : ১/৩১৮, ফাতাওয়া তাতারখানিয়াহ : ১/৩৯২]
তরিকুল ইসলাম, লাকসাম।
প্রশ্ন : অনেকে মুরব্বী এবং সম্মানী লোকদের পায়ে হাত বুলিয়ে হাতে চুমু খায়। এটা কতোটুকু শরী‘আত সম্মত জানাবেন।
উত্তর : কোনরূপ বদ আকিদা ও ভিন্ন মতাদর্শের বশবর্তী হওয়া ব্যতীত মুরব্বী বা সম্মানী লোকদের পায়ে হাত বুলিয়ে হাতে চুমু খাওয়া জায়িয আছে। খেয়াল রাখতে হবে, পায়ে হাত বুলানোর সময় যেন রুকূ এবং সিজদার সূরত না হয়ে যায়। তথাপি আকিদাগত ফিতনা ও বিভ্রান্তির এযুগে এরূপ করবে না। [আদ-দুররুল মুখতার : ২/৩৮৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩৬৯, আল-বাহরুর রায়িক : ৮/১৯৮, কিফায়াতুল মুফতী : ৯/১১৫, ফাতাওয়া রশীদিয়া : ১৬৯]

হাবিবুর রহমান, বরগুনা।
প্রশ্ন : যেসব মুসলিম শাসকদের মাঝে ইসলামী আদর্শ নেই, তাদেরকে খলীফাতুল মুসলিমীন বা শুধু খলীফা বলা যাবে কিনা?
উত্তর : ইসলামী পরিভাষায় যেসব গুণাগুণ থাকলে কোন শাসককে খলীফাতুল মুসলিমীন বা আমীরুল মুমিনীন বলা যায়, বর্তমান মুসলিম শাসকদের মধ্যে সেসব গুণাগুণ নেই। তাই তাদেরকে ইসলামী পারিভাষিক উপাধি খলীফাতুল মুসলিমীন বা আমিরুল মুমিনীন বলা যাবে না। [ইযালাতুল খাফা আন খিলাফাতিল খুলাফা : ১/১৯, তাফসীরে ইবনে কাছীর : ১/৭২, তাফসীরে মাযহারী : ১/৪৯, তাফসীরে খাযিন : ১/৪২]

আল আমীন, গাজিপুর।
প্রশ্ন : আমাদের দেশে কুরআনে কারিমের ত্রিশতম পারাটি আম্মাপারা নামে পৃথকভাবে ছাপানো পাওয়া যায়। এটি কুরআন শরিফের তারতীবে ছাপা হয়নি; বরং সম্পূর্ণ বিপরীত তারতীবে ছাপা হয়েছে। আর মকতবে বাচ্চাদেরকে এই আম্মাপারাই পড়ানো হয় এবং কুরআনে কারিমের বিপরীত তারতীবে পড়ানো হয়। এব্যাপারে শরয়ী দৃষ্টিভঙ্গী কি?
উত্তর : বাচ্চাদের শিক্ষার সুবিধার্থে এভাবে ছাপানো এবং পড়ানো দুটিই জায়িয আছে। তবে তিলাওয়াতের উদ্দেশ্যে উল্টোভাবে পড়ার অনুমতি নেই। [আদ-দুররুল মুখতার : ১/৫৪৬, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ১/৬৯৬,  ফাতাওয়া রাহীমিয়া : ১/১৯-২০, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া : ১/১৩-১৭, আহছানুল ফাতাওয়া : ৮/১৭]

মোবারক হোসেন, নেত্রকোণা।
প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তির জানা আছে সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। সে প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর হাটতে হাটতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করে। এসময় অনেকে তাকে সালাম দেয়। সালামের জওয়াব দিতে গেলে তিলাওয়াতের ব্যাঘাত ঘটে। এ অবস্থায় সালামের উত্তর দেওয়া জরুরি কিনা?
উত্তর : না, তিলাওয়াতকারীর উপর সালামের উত্তর দেওয়া জরুরি নয়।  [ফাতাওয়া শামী : ১/৬১৮, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ৩/৫৭৮, আল-বাহরুর রায়িক : ২/৯, তাবয়ীনুল হাকায়িক : ১/৫৭]

রফিকুল ইসলাম, তুরাগ, ঢাকা।
প্রশ্ন : শুনেছি মসজিদের উপরতলার প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর চেয়ে নীচতলার শেষ কাতারে দাঁড়ানোর সাওয়াব বেশি। কথাটি সঠিক কিনা জানাবেন।
উত্তর : হ্যাঁ, আপনার শ্র“ত কথাটি সঠিক। [আদ-দুররুল মুখতার : ১/৫৬৯-৫৭০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৭৯, আল-বাহরুর রায়িক : ১/৩৫৪, হাশিয়াতুত তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ : পৃ. ১২৮]

বেলাল হাওলাদার, নীলফামারী।
প্রশ্ন : যদি কেউ অতি বৃদ্ধ হওয়ার দরুণ নিজের শরীরের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করতে সক্ষম না হয়, তাহলে তার জন্য করণীয় কি?
উত্তর : এ অবস্থায় সে ব্যক্তি তার স্ত্রীর মাধ্যমে পরিষ্কার করে নিবে। আর যদি স্ত্রী না থাকে বা স্ত্রীও যদি অক্ষম হয়, তাহলে বর্তমানে বাজারে যে সব লোমনাশক ক্রীম, জেলী ইত্যাদি পাওয়া যায়, এসব ব্যবহার করে পরিষ্কার করে নিবে। [বাদায়িউস সানায়িউ : ৫/১১৯, ফাতাওয়া শামী : ৯/৫৪৯, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩৫৮, আল মুহীতুল বুরহানী : ৬/৭০, আল-বাহরুর রায়িক : ৮/১৯২]

আব্দুল কাদির, শেরপুর।
প্রশ্ন : রাস্তা ঘাটে অনেক ভেল্কিবাজ ভেল্কির খেলা দেখায়। এসব দেখা জায়িয কিনা জানাবেন।
উত্তর : না, এসমস্ত ভেল্কিবাজী দেখা জায়িয নেই। [সূরা লুকমান : ৬, মুকাদ্দিমাতু দুররিল মুখতার : ১/১২৭, ফাতাওয়া শামী: ৬/৩৯০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩৫২, আল-হিদায়া : ৪/৪৭৫, ফাতাওয়া রহীমিয়া : ৭/২৭৭]

বিলকিস আকার, নেত্রকোণা।
প্রশ্ন : গোবর বা নাপাক বস্তু থেকে সৃষ্ট গ্যাস অথবা সরাসরি শুকনো গোবর দিয়ে রান্না করা বস্তু খাওয়া যাবে কিনা?
উত্তর : হ্যাঁ, যাবে। [আল-মুহীতুল বুরহানী : ৭/৩০২, আল-হিদায়া : ৪/৪৬৮, আদ-দুররুল মুখতার : ৯/৫৫২, বাদায়িউস সানায়ি’ : ১/১৯৭]

আব্দুর রাজ্জাক, নাটোর।
প্রশ্ন : কেউ যদি চল্লিশ দিন পর্যন্ত ক্ষুরকার্য না করে, তাহলে তার নামায হবে কি না?
উত্তর : চল্লিশ দিন ক্ষুরকার্য না করার কারণে নামাযে কোনো ক্ষতি হবে না। তবে এমনটি করা মাকরূহে তাহরীমী। তাই এজন্য তার কঠিন গুনাহ হবে। [ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩৫৭, ফাতাওয়া শামী : ২/১৮১, মাজমাউল আনহুর : ২৫৫৬, আল-মুহীতুল বুরহানী : ২১৩]

আক্তার হোসেন, নেত্রকোণা।
প্রশ্ন : হিফজ বিভাগের একজন শিক্ষক ছোট এক ছাত্র দুষ্টুমি করায় শাসনের উদ্দেশ্যে কয়েকটি হালকা বেত্রাঘাত করেন। ঘটনাক্রমে একটি বেত্রাঘাত গলায় লাগে। এতে সে সাথে সাথে মাটিতে পড়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে সে সেখানে মারা যায়। এমতাবস্থায় উক্ত শিক্ষকের উপর দিয়াত আসবে কিনা?
উত্তর : হ্যাঁ, বর্ণিত অবস্থায় শিক্ষকের উপর দিয়াত ওয়াজিব হবে। [ফাতাওয়া শামী : ৪/৬৪৯, ফাতহুল কাদীর : ৫/১১৯, কিতাবুল ফিকহি আলাল মাযাহিবিল আরবা‘আ : ৫/২৫৮, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া  আদিল্লাতুহু : ৬/৩১১]
জয়নুল আবেদীন, রাঙ্গামাটি।
প্রশ্ন : যেসব লোক উলামায়ে কিরামের সমালোচনা করে, গালিগালাজ করে, তাদেরকে সালাম দেয়া তাদের সালামের উত্তর দেয়া যাবে কিনা?
উত্তর : শরয়ী কোনো কারণ ব্যতীত উলামায়ে কিরামকে গালমন্দকারী ফাসিক। এতে কোনো সন্দেহ নেই। বরং এতে তার ঈমান চলে যাওয়ারও সমূহ আশংকা রয়েছে। কাজেই তার প্রতি শ্রদ্ধা বা সম্মান প্রদর্শন হয় এমন যে কোনো কাজ করা মাকরূহে তাহারীমী। কেননা তারা কেবল লাঞ্ছনা বঞ্চনা আর অপমান পাওয়ার যোগ্য। আর ফাসিককে সালাম দেয়া তাকে সম্মান প্রদর্শনের নামান্তর। তাই উলামায়ে কিরামের গালমন্দকারীকে সালাম দেয়া মাকরূহে তাহরীমী। এমন ব্যক্তি সালাম দিলে তার উত্তর দেয়াও জরুরি নয়। [আদ-দুররুল মুখতার মাআ ফাতাওয়া শামী : ৬/৪১৫, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ২/২৭০; ২/৩২৬, আল-বাহরুর রায়িক : ১২৩/৫, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া : ৭/৪১৪]

নূরুল হুদা, পাবনা।
প্রশ্ন : একসাথে ৮/৯ টি ডিম সিদ্ধ করা হয়। পাত্র থেকে ডিম উঠানোর পর জানা যায়, দুইটি ডিম নষ্ট ছিলো। এখন বাকী ডিমগুলো একসাথে সিদ্ধ হওয়ার দরুণ খেতে কোন সমস্যা আছে কিনা?
উত্তর : বর্ণিত অবস্থায় ভালো ডিমগুলো ফাটা না হলে তা খেতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সব সময়ই ডিম সিদ্ধ করার পূর্বে তা পঁচা কিনা দেখে নিবে। [আদ-দুররুল মুখতার : ১/৫৪৪, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ১/৩১২, ফাতহুল কাদীর : ১/১৮৫, আল-মুহীতুল বুরহানী : ১/২২৭, কিতাবিল ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবা‘আ : ১/২৩]

মুহাম্মদ যুবায়ের, দিনাজপুর।
প্রশ্ন : দ্বীনের ব্যাপারে পরামর্শ করা ফরয। আর দুনিয়ার ব্যাপারে পরামর্শ করা মুস্তাহব। কথাটি কতোটুকু সঠিক?
উত্তর : কুরআনে কারিম ও পবিত্র হাদিসের মাধ্যমে জানা যায় যে, এমন বিষয় যেখানে ভিন্ন ভিন্ন রায় বা মতামতের সম্ভাবনা রয়েছে, চাই তা রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে হোক বা অন্য কোনো ব্যাপারে হোক সেক্ষেত্রে পরস্পরে পরামর্শ করা হুজুর সা. ও সাহাবায়ে কিরাম রা. এর সুন্নাত। এতে দুনিয়া ও আখিরাতে বরকতও লাভ হয়। আর যে বিষয় জনসাধারণের সাথে সম্পৃক্ত যেমন রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয় সেক্ষেত্রে পরামর্শ করা ওয়াজিব।
একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি যে, পরামর্শ শুধু এমন ক্ষেত্রেই সুন্নাত যে ক্ষেত্রে কুরআন ও হাদিসের স্পষ্ট কোনো নির্দেশ নেই। যেখানে স্পষ্ট শরয়ী হুকুম রয়েছে, সেখানে কারো সাথে পরামর্শের প্রয়োজন নেই। এমনকি তা জায়িযও নেই। পরামর্শ শুধু দুনিয়াবী ব্যাপারে নয় বরং যে শরয়ী আহকামের ব্যাপারে ইসলামী শরীআতে স্পষ্ট বিধান নেই সে সবের বেলায়ও পরামর্শ করা সুন্নাত। [মূল : তাফসীরে কুরতুবী : ৪/২৫০-২৫১,  মাআরিফুল কুরআন : ২/২১৯-২২০, আহকামুল কুরআন : ২/৬৫-৬৮, মাআরিফুল কুরআন : মুফতী মুহাম্মদ শফী রহ. : ২/২১৯-২২০, মাআরিফুল কুরআন : মাওলানা মুহাম্মদ ইদরীস কান্ধালবী রহ. : ২/৭৮, তাফসীরে ইবনে কাছীর : ১/৩৯৭]

শাখাওয়াত, মাগুরা।
প্রশ্ন : কোনো এলাকার জনৈক মাওলানা সাহেব বলেছেন, সকাল-বিকাল সুরায়ে হাশরের শেষের তিন আয়াত তিলাওয়াত করার সময়                                            তিন বার

পড়ে বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। একথাটি সঠিক কিনা দলীলসহ জানতে চাই।
উত্তর : না, সঠিক নয়। কেননা, যে হাদিসে সকাল-বিকাল সুরায়ে হাশরের শেষের তিন আয়াত পড়ার কথা বলা হয়েছে, সে হাদিসে এর পর বিসমিল্লাহ পড়ার কথা উল্লেখ নেই। [তাফসীরে ইবনে কাছীর : ৪/৩৪৪, তিরমিযী : ২/১২০, তাফসীরে রুহুল মা‘আনী : ১৪/৬৪, তাফসীরে মাযহারী : ৯/২৫৭]

আব্দুর রহীম, ঢাকা।
প্রশ্ন : ক্রামবোর্ড খেলার ব্যাপারে শরয়ী বিধান কি?
উত্তর : ক্রামবোর্ড খেলা নাজায়িয। [আদ-দুররুল মুখতার : ৯/৫৬৬, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩৫২, ফাতহুল কাদীর : ৮/৮৯৪, বাদায়িউস সানায়ি’ : ৫/১২৭, আল-বাহরুর রায়িক : ৮/২০৭, আপ কে মাসায়িল আওর উনকা হল : ৪/৩২৯, আল-ফিককুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ৩/৫৭১]

আব্দুস সাত্তার, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন : যদি কারো দাঁত স্বর্ণ বা রূপা দ্বারা বাঁধাইকৃত হয়, তবে মৃত্যুর পর তা খুলে দাফন করতে হবে কিনা?
উত্তর : যদি দাঁত মুখ থেকে বের করা কঠিন হয় এবং এর কারণে মৃত ব্যক্তির অসম্মানী হয়, তাহলে সেটি সহই দাফন করবে। অন্যথায় খুলে রেখে দাফন করবে। [আদ-দুররুল মুখতার : ২/২৩৮, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহ : ২/৫২৯, ফাতহুল কাদীর : ২/১০২, আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/২৪১]

জাকির, কুমিল্লা।
প্রশ্ন : আমার তাবীজের  উপর আরবী অক্ষরে আল্লাহ লেখা রয়েছে, তা গলায় ঝুলিয়ে পড়তে হয়। এখন যদি আমি উক্ত তাবীজ নিয়ে বাথরুমে যাওয়ার সময় কাপড়ের নীচে লুকিয়ে যাই, তাহলে কোনো সমস্যা হবে কিনা?
উত্তর : না, এতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে তা খুলে রেখে যাওয়াই উত্তম। [হাশিয়াতুত তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ : ফ. ৩, মিশকাত শরীফ : ১/৪২, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ১/২০২, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৫০, মিরকাতুল মাছাবীহ : ১/৩৫৩]

রফিকুল হক, বাগেরহাট।
প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তি প্রতি বছর তার পিতার মাগফিরাত কামনায় ইসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে ফকীর-মিসকীন ও আলিম-উলামাদের জন্য দাওয়াতের আয়োজন করে। তবে তা তার পিতার মৃত্যুর তারিখে না করে একদিন আগে বা পরে করে। এভাবে ইসালে সাওয়াবের অনুষ্ঠান করা জায়িয হবে কিনা?
উত্তর : মৃত ব্যক্তির জন্য ইসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্য কোনো দিন তারিখ জরুরি মনে না করে গরীব-মিসকীনদের খাওয়ানো যাবে। এমনকি মাইয়িতের মাগফিরাতের জন্য মাঝে মাঝে এ ধরনের খাওয়ানো ভালো। তবে ইসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে কুরআন খতম করে বিনিময় লেনদেন করা নাজায়িয ও হারাম। তাই তা করবে না। [ফাতাওয়া শামী : ৩/১৪৮, আল-বাহরুর রায়িক : ২/১৯২, বাদরুল মুত্তাকী লি হামিশে মাজমায়িল আনহুর : ১/১৮৭]

রিজওয়ান আহমেদ, ভোলা।
প্রশ্ন : এক স্থান হতে অন্য স্থানে ডাক যোগে কুরআন শরিফ পাঠালে গুনাহ হবে কিনা জানাবেন।
উত্তর : প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে যথাযথ ইহতিরামের সাথে ডাক যোগে কুরআন শরিফ পাঠালে কোনো গুনাহ হবে না। তবে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কুরআন শরিফ ডাকে পাঠাবে না। [ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/২২৩, ফাতাওয়া বাযাযিয়াহ আলা হামিশিল হিন্দিয়া : ৬/৩৭৭, ফাতাওয়া খানিয়াহ : ৪/৩৭৮, আল মুহীতুল বুরহানী : ৭/৫০]

19
Hajj / হজের সকল সংবাদ [http://hajjsangbad.com]
« on: April 10, 2016, 08:53:16 PM »
হজের সকল সংবাদ [http://hajjsangbad.com]
প্যাকেজ মূল্য জমা দিয়ে হজ আইডি গ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য জমা দিয়ে প্রিলগ্রিম আইডি গ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে নির্ধারিত কোটা সংখ্যক হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ব্যাংকে মোয়াল্লেম ফি জমা দিতে হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার ঘোষিত সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্যের বাকি টাকা জমা দিলেই কেবল প্রিলগ্রিম বা হজ আইডি দেয়া হবে। আর যারা প্রিলগ্রিম আইডি পাবেন তারাই কেবল হজে যেতে পারবেন। কিন্তু মোয়াল্লেম ফির টাকার বাইরে সর্বনি¤œ প্যাকেজের আরো প্রায় দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা কোথায় জমা দেয়া হবে এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই। এজেন্সিগুলো এ ব্যাপারে এখনো অন্ধকারে। জানতে চাইলে হাবের মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ গতকাল সন্ধ্যায় নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকার হজযাত্রীদের প্যাকেজ মূল্য ব্যাংকে জমার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাবকে ছাড়পত্র দিতে বলেছে। বুধবার ধর্ম সচিবের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় হাবের নির্বাহী কমিটির সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এজেন্সিগুলো তাদের হাজীদের সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য হাবের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়ার পরই হাব ছাড়পত্র দেবে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আগামী ১৯ এপ্রিল হাবের জরুরি সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই সভায় মূলত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে শেখ আবদুল্লাহ বলেন, এরই মধ্যেই ৪০ হাজারের বেশি হজযাত্রী অতিরিক্ত হয়ে গেছে। ফলে যাতে কোনো ভুয়া নাম তালিকায় রেখে পরে কেউ রিপ্লেসমেন্টের সুযোগ না পায় সেটি এবার নিশ্চিত করা হবে। এ জন্য সরকার হজযাত্রীদের পুরো টাকা জমার বিষয়টি নিশ্চিত হতে চাইছে। কিন্তু হাব নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না হলে কিভাবে টাকা জমার ব্যাপারে ছাড়পত্র দেবে, তা নিয়ে চিন্তায় আছে।এ দিকে এজেন্সি মালিকদের অনেকে বলছেনÑ বাড়ি ভাড়া, ক্যাটারিং সার্ভিসের টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে এজেন্সিগুলোকে সৌদি আরব পাঠাতে হবে। এ ছাড়া বিমান ভাড়ার টাকাও এজেন্সিগুলোকেই পরিশোধ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সরকার বা হাবের অ্যাকাউন্টে এজেন্সির অধীন হাজীদের সব টাকা জমা দিলে এ টাকা পাঠানো নিয়ে নতুন ঝামেলাও সৃষ্টি হবে। এজেন্সিগুলোর অনেকে বলছেন, এজেন্সিগুলো তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে তাদের নিজ নিজ হজযাত্রীদের টাকা জমার বিষয়টি নিশ্চিত করলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এ দিকে সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, আসলে সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য থেকে অনেক কম মূল্যে হজযাত্রী সংগ্রহ করায় অনেক এজেন্সির পক্ষে সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য সরকার বা হাবের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে অনেকে প্রাক-নিবন্ধন সত্ত্বেও হজযাত্রী পাঠাতে পারবেন না। সূত্র মতে, যেখানে সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য তিন লাখ চার হাজার ৯০৩ টাকা, সেখানে অনেক এজেন্সি সর্বনি¤œ দুই লাখ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় পর্যন্ত হজযাত্রী নিয়েছেন। অন্য দিকে ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বছর এ ব্যাপারে কঠোরতা আরোপ করার চেষ্টা করছে। সে ক্ষেত্রে কোনো এজেন্সি পুরো টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী তালিকা থেকে হজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে মন্ত্রণালয়। তবে গত বছরও হজের আগে প্যাজেক মূল্য কিস্তিতে জমার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। তবে সর্বশেষ পাওয়া অতিরিক্ত কোটার পাঁচ হাজার হজযাত্রী পাঠাতে নির্ধারিত দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা হাবের অ্যাকাউন্টে জমা নেয়া হয়েছিল। হজ-পরবর্তী সেই টাকা নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে  কিছু এজেন্সি। যদিও হাব নেতারা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এজেন্সিগুলোকে খরচের পর উদ্বৃত্ত হওয়া টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পাওনা টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এজেন্সি মালিক গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, হাব যেখানে গত বছর পাঁচ হাজার হজযাত্রীর টাকা জমা নিয়ে সামাল দিতে পারেনি, সেখানে ৯১ হাজার হজযাত্রীর টাকা জমা নিয়ে কিভাবে সামাল দেবে। তবে হাবের মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ এ ব্যাপারে বলেন, গত বছরও পাঁচ হাজার হজযাত্রীর টাকা নিয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি। এবারো হাবের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হলে কোনো অনিয়মের আশঙ্কা নেই। যেহেতু এজেন্সিগুলো ব্যাংকিং চ্যানেলে খরচের টাকা সৌদি আরব পাঠাবে, সে ক্ষেত্রে হাব তাদের চাহিদানুযায়ী চেক দিয়ে দিলেই তো হবে।
এ দিকে প্রাক-নিবন্ধনকারী এজেন্সিগুলোর মধ্যে ৪০২টি এজেন্সি সর্বনি¤œ কোটা ১৫০ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন করতে পারেনি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজবিষয়ক ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্যানুযায়ী ১৪৬ জনের নিচে হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধনকারী ৪০২টি এজেন্সির হজযাত্রী ৩৫ হাজার ৬১৯ জন। অন্য দিকে ১৪৬ জনের ঊর্ধ্বে প্রাক-নিবন্ধনকারী ২৯১টি এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৫৮১ জন। সব মিলিয়ে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ১৯৭ জন। ১৫০ জনের কম হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন করেছে এমন এজেন্সিগুলোকে নিজেদের মধ্যে গ্রুপ করে একটি লিড এজেন্সির মাধ্যমে তাদের হজযাত্রী পাঠানোর তালিকা দেয়ার জন্য এরই মধ্যেই ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সৌদি সরকারের নিয়মানুযায়ী একটি এজেন্সি ১৫০ জনের নিচে হজযাত্রী পাঠাতে পারবে না। অন্য দিকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলে সর্বমোট এক লাখ ৩৪ হাজার ১৮০ জনের প্রাক-নিবন্ধন শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার এক লাখ ৩০ হাজার ৬৬১ জন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনার তিন হাজার ৫১৯ জন। চলতি বছর সরকারি-বেসরকারি মিলে সর্বমোট হজযাত্রী পাঠানোর কোটা এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত হজের প্রাক-নিবন্ধন চলবে। কোটার অতিরিক্ত হজযাত্রীদের আগামী বছরের জন্য অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে জানানো হয়েছে।

[http://hajjsangbad.com][/size]

20
মক্কা জাদুঘরে সংরক্ষিত মক্কামদীনার কিছু বিরল ছবি ।না দেখলে মিস করবেন
[/b][/size]


























































21
হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ১৫০ হজ ২০১৬ তে হজে  যেতে পারবেন ১০১৭৫২ জন

হজ ও উমরাহের যেতে ইচ্ছুকদের জন্য গুরুত্বপূর্ন হলো চলতি বছর প্রত্যেকটি হজ এজেন্সী সর্বনিম্ন ১৫০ জন হজযাত্রী নিতে পারবে । প্রতি বছর যেকানে সর্বনিম্ন ছিল ৫০ জন সর্বোচ্চ ৩০০ জন হজযাত্রী নিতে পারবে । সৌদি সরকার বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রনালয় এর মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়েছেন ।কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো কেন মন্ত্রী মহোদয় এই সিদ্ধান্ত মেনে নিল ?

হজ ও উমরাহের যাবতীয় আপডেট পেতে এই ওয়েব সাইট টি আপনাদের উপকারে আসবে বলে আশা রাখি

ফেইজবুকে ও তাদের পেইজ আছে
ফেইজবুকে তাদের লিংক

এছাড়াও আছে সরকারী ওয়েব সাইট
সরকারী ওয়েব সাইট 

হজনিউজ.কম.বিডি 

এছাড়াও একটি হজ এজেন্সী আছে যাহারা নিয়মিত উন্নত সেবা প্রদানের প্রতিশুতি দিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে হজ ও উমরাহ যাত্রীদের সেবা দিয়ে আসছে

জিলহজ গ্রুপ বাংলাদেশ 
http://zilhajjgroup.com


হজ এজেন্সী মালিকদের এসোসিয়েশন এও আপনি আপনার বুকিং কৃত এজেন্টএর ডিটেইলস পেতে পারেন এখানে
হজ এজেন্সীস এসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ [হাব ]

22
Hajj / হজ্জের ধারাবাহিক কাজ
« on: February 09, 2016, 11:08:21 PM »
জিলহজ গ্রুপ বাংলাদেশ    থেকে সংগ্রীহিত - হজ্জের ধারাবাহিক কাজ

তারিখ
স্থান
করনীয় ইবাদত

৮ই যিলহজ্জের পূর্বের কাজ
মীকাত
(১) মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধবেন।

মক্কা
(২) কাবা ঘরে উমরার তাওয়াফ করবেন।
(৩) সাঈ করবেন।
(৪) চুল কেটে হালাল হয়ে যাবেন।

হজ্জের ধারাবাহিক কাজ

৮ই যিলহজ্জ তারউইয়্যার দিন
মিনা
নিজ বাসস্থান থেকে ইহরাম বেঁধে হজ্জের নিয়ত করে সূর্যোদয়ের পর মিনায় রওয়ানা হবেন। সেখানে যুহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজরের সালাত আদায় করবেন।

৯ই যিলহজ্জ (আরাফার দিন)
আরাফা ময়দান
(১) সূর্যোদয়ের পর আরাফাতে রওয়ানা হবেন।
(২) যুহরের প্রথম ওয়াক্তে যুহর ও আসর পড়বেন একত্রে পরপর দুই দুই রাকআত করে।
(৩) সূর্যাস্তের পর মুযদালিফায় রওয়ানা করবেন। মাগরিব-এশা সেখানেই পড়বেন।
(৪) সেখানে রাত্রি যাপন করে প্রথম ওয়াক্তে অন্ধকার থাকতেই ফজর পড়বেন।
(৫) আকাশ ফর্সা হওয়া পর্যন্ত কেবলামুখী হয়ে হাত তুলে দীর্ঘ সময় দোয়া ও মোনাজাতে মশগুল থাকবেন।
(৬) বড় জামারায় নিক্ষেপের জন্য ৭টি কংকর এখান থেকে কুড়াতে পারেন।

১০ ই যিলহজ্জ (ঈদের দিন)
মিনা
(১) বড় জামরায় ৭টি কংকর নিক্ষেপ করবেন।
(২) কুরবানী করবেন।
(৩) চুল কাটাবেন। অতঃপর ইহরামের কাপড় বদলিয়ে সাধারণ পোষাক পরে ফেলবেন।

মক্কা
(৪) তাওয়াফে ইফাদা করবেন। এদিন না পারলে এটি ১১ বা ১২ তারিখেও করতে পারবেন এবং তৎসঙ্গে সাঈও করবেন।

১১ ই যিলহজ্জ (আইয়ামে তাশরীক)
১ম দিন
মিনা
(১) দুপুরের পর সিরিয়াল ঠিক রেখে প্রথমে ছোট, মধ্যম ও এর পরে বড় জামরায় প্রত্যেকটিতে ৭টি করে কংকর নিক্ষেপ করবেন।
(২) মিনায় রাত্রি যাপন করবেন।

১২ ই যিলহজ্জ (আইয়ামে তাশরীক)
২য় দিন
মিনা
১) পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ৩টি জামরায় ৭+৭+৭=২১টি কংকর নিক্ষেপ করবেন। দুপুরের আগে কংকর নিক্ষেপ করবেন না।
(২) সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করবেন। তা না পারলে আজ দিবাগত রাতও মিনায় কাটাবেন।

১৩ ই যিলহজ্জ (আইয়ামে তাশরীক)
৩য় দিন
মিনা
(১) যারা গত রাত মিনায় কাটিয়েছেন তারা আজ দুপুরের পর পূর্ব দিনের নিয়মেই ৭টি করে মোট ২১ টি কংকর মারবেন। অতঃপর মিনা ত্যাগ করবেন।

অতঃপর
মক্কা
দেশে ফেরার পূর্বে বিদায়ী তাওয়াফ করবেন।

হজ্জের ধারাবাহিক কাজ






আমার সাথে হজ বিষয়ক যেকোন পরামর্শ এর জন্য আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন ।আমি ডেফোডিলের একজন গর্বিত ছাত্র। আমি গর্ব করে বলতে পারি ডেফোডিল থেকে আমি যা পেয়েছি তাহা আমার সারা জীবনের অর্জন । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আমার অহংকার । জিলহজ গ্রুপ বাংলাদেশ 

23
হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমার কিছু প্রস্তাবনা

সৌদি আরবের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ২০১৬ সালের পবিত্র হজ অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ হচ্ছে, ১০ সেপ্টেম্বর, ৯ জিলহজ ১৪৩৭ হিজরি, শনিবার।
সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের দাফতরিক কার্যক্রমগুলো এবং সব হজ ব্যবস্থাপনা অতীতের চেয়ে আরো সহজ, সুষ্ঠু, সুন্দর ও হালনাগাদ করার সুবিধার্থে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুবিবেচনার লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাবনা নি¤েœœ পেশ করা হলো :
১. সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণের মাধ্যমে বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর নিজস্ব হজ প্যাকেজ নির্ধারণের সুবিধার্থে ২০১৬ সালের সরকারি হজ প্যাকেজ আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণা দেয়া।
২. এপ্রিল ২০১৬ পর্যন্ত হজযাত্রী বুকিং সময়সীমা চালু রাখার চেষ্টা করা। যদি সৌদি সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের হজ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সুযোগ থাকে। আর স্বল্প সময়ের মধ্যে বুকিং শেষ করতে হলে, শুধু মুয়াল্লিম ফি জমা দিয়ে হজ বুকিংয়ের সুযোগ দেয়া।
৩. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের কোটা পূরণ করার সুবিধার্থে হজ প্যাকেজ ঘোষণার পরপরই একাধারে কমপক্ষে ১৫ দিন ধরে ন্যূনতম পাঁচটি জনবহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় বিজ্ঞাপন আকারে এবং কয়েকটি ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় নিয়মিত ব্রেকিং নিউজে ও দৈনিক নিয়মিত খবর পরিবেশনে হজযাত্রী বুকিং সময়সীমা ব্যাপকভাবে প্রচার করা প্রয়োজন, যাতে দেশের সর্বস্তরে খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
৪. বেসরকারি হজযাত্রীদের প্যাকেজে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খরচ ১,৭০০ টাকার ট্রলি ব্যাগটি আরো উন্নত ও মজবুত করা এবং ওই টাকা আরো কমিয়ে নেয়া। অথবা ওই টাকা প্যাকেজ থেকে বাদ দিয়ে প্রত্যেক এজেন্সিকে নিজ নিজ দায়িত্বে তৈরি করে হজযাত্রীদের ওই ট্রলি ব্যাগটি সরবরাহ করার ঘোষণা দেয়া।
৫. প্রত্যেক এজেন্সি যেহেতু নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় স্বীয় হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে, এ জন্য বেসরকারি প্যাকেজে হজ প্রশিক্ষণ ফি ৩০০ টাকা এবং সে সাথে সরকারি কল্যাণ তহবিলের নামে ২০০ টাকা খরচের খাত থেকে বাদ দেয়া। যেহেতু সরকার প্রত্যেক হজযাত্রীর নামে একটি সার্ভিস চার্জ এজেন্সির কাছ থেকে জমা নেয়।
৬. সৌদি সরকারকে প্রদেয় জনপ্রতি ব্যাংক গ্যারান্টি (অফেরতযোগ্য) এসআর ৫০´২১ = ১০৫০ টাকা প্রত্যেক এজেন্সিকে নিজ নিজ হজযাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী ফেরত দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। যেহেতু ব্যাংকিং ভাষায় গ্যারান্টির টাকা অফেরতযোগ্য হয় না।
৭. সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে হজযাত্রীদের পাসপোর্ট ডেলিভারি পাওয়ার ব্যবস্থা করা। এ জন্য প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও পাসপোর্ট তৈরি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আলোচনার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি পাসপোর্ট অফিসে ‘হজযাত্রী পাসপোর্ট তৈরি’ শিরোনামে পৃথক কাউন্টার চালু করা এবং পাসপোর্ট তৈরির আবেদন ফরমেও ‘হজযাত্রী পাসপোর্ট’ লেখার জন্য পৃথক একটি কলাম রাখা।
৮. হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে গড়পড়তা পুালিশ রিপোর্ট বাদ দিয়ে শুধু মানব পাচারমূলক সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রিপোর্ট নেয়া।
৯. হজফাইট শিডিউল ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে কার্যকর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং টিকিটের সাথে হজযাত্রীদের BOADING PASS ইস্যু করার চেষ্টা করা।
১০. হজ যাত্রীদের সেবার মান উন্নত করার সুবিধার্থে প্রত্যেক লাইসেন্সের অধীনে হজযাত্রীর কোটা সর্বনি¤œœ ৫০ জন নির্ধারিত রেখে সর্বোচ্চ ১৫০ থেকে ২০০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।
১১. হজযাত্রীদের বুকিং টাকা ব্যাংকে আগে জমা দেয়া এরপর ইন্টারনেটে নিবন্ধন ডাটার সিস্টেম চালু করা।
১২. প্রত্যেক এজেন্সির হজযাত্রীরা প্রয়োজনীয় রিপ্লেসমেন্টসহ ভিসার জন্য হজ অফিস আশকোনা কর্তৃক একটি ডিও লেটার ইস্যু করার চেষ্টা করা।
১৩. সরকার ঘোষিত শর্ত অনুযায়ী বেসরকারি হজযাত্রী তথা এজেন্সির হজযাত্রীদের প্রতি ৪৫ জনের জন্য একজন অভিজ্ঞ হজ গাইড নিয়োগের সুবিধার্থে প্রত্যেক এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রতি ৪৫ জনের জন্য একটি করে একাধিক বারকোড সরবরাহ করা।
১৪. প্রত্যেক এজেন্সির হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য দাফতরিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে আনজাম দেয়ার সুবিধার্থে সৌদি দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত মাল্টিপল বা ভিজিট ভিসার মেয়াদ মৌসমুল হজ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা অথবা কমপক্ষে হজ ফাইট শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ করা এবং একই ভিসার কমপক্ষে দুই মাস অবস্থান করার সুযোগ থাকা। ওই বিষয়ে সৌদি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৫. বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি সরকারের হজচুিক্তর সময় জেদ্দা থেকে মক্কা ও মদিনা শরিফ এবং মিনা ও আরাফাতে হজযাত্রীদের বহন করার গাড়ি, বাসগুলো সেপ্টকো, দাল্লা, মক্কা ও জাতীয় কোম্পানির উন্নতমানের গাড়ি সরবরাহ করার জন্য উল্লেখ থাকা। এ ছাড়া মিনা ও আরাফাত একই সময়ে প্রত্যেক এজেন্সির হজযাত্রীরা সিট ক্যাপাসিটি অনুযায়ী বসে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা। ১৬. মিনার তাঁবু পাহাড়ের ওপর না দিয়ে সমতলে বরাদ্দ দেয়ার প্রয়োজনীয় চেষ্টা করা।
১৭. জেদ্দা এয়ারপোর্ট আসা-যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।


আমার সাথে হজ বিষয়ক যেকোন পরামর্শ এর জন্য আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন ।আমি ডেফোডিলের একজন গর্বিত ছাত্র। আমি গর্ব করে বলতে পারি ডেফোডিল থেকে আমি যা পেয়েছি তাহা আমার সারা জীবনের অর্জন । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আমার অহংকার । জিলহজ গ্রুপ বাংলাদেশ 

24
হজ ও উমরা সংক্রান্ত বাংলাদেশের যাবতীয় অনলাইন তথ্য ভান্ডার
হজ ও উমরাহের যেতে ইচ্ছুকদের যাবতীয় আপডেট সংবাদ ও খবরা খবর পেতে দেশীয় ওয়েব সাইট

হজ এবং উমরাতে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫০০০০ জন যাত্রী সৌদি আরবে যেয়ে থাকে । আমার জানা মতে বাংলাদেশে হজ ও উমরাহ যাত্রীদের জন্য পৃথক দুইটি অনলাইন পত্রিকা আছে যাহারা শুধুমাত্র হজ উমরাহ সংক্রানত সংবাদ গুলো প্রকাশ করে থাকে ।
আপনাদের যদি হজ উমরাহ সংক্রান্ত কোন নিউজের প্রয়োজন হয় আশা করি আপনাদের জন্যই এই ওয়েব সাইটটি উপকারে আসবে বলে মনে হয় ।

হজ ও উমরাহের যাবতীয় আপডেট পেতে এই ওয়েব সাইট টি আপনাদের উপকারে আসবে বলে আশা রাখি

ফেইজবুকে ও তাদের পেইজ আছে
ফেইজবুকে তাদের লিংক

এছাড়াও আছে সরকারী ওয়েব সাইট
সরকারী ওয়েব সাইট 

হজনিউজ.কম.বিডি 

এছাড়াও একটি হজ এজেন্সী আছে যাহারা নিয়মিত উন্নত সেবা প্রদানের প্রতিশুতি দিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে হজ ও উমরাহ যাত্রীদের সেবা দিয়ে আসছে

জিলহজ গ্রুপ বাংলাদেশ 


হজ এজেন্সী মালিকদের এসোসিয়েশন এও আপনি আপনার বুকিং কৃত এজেন্টএর ডিটেইলস পেতে পারেন এখানে
হজ এজেন্সীস এসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ [হাব ]


25
Create your Own Website / International Hotel Booking Site
« on: April 26, 2015, 09:49:30 PM »
Dear DIU forum member
Assalamu'alaikum warahmatullahi wabarakatuh
finally i am making a international Cheap rated Hotel Booking site where visitor can gate very chaep rated flight booking,hotel reservation also get the car booking services.
this is free booking cencel offer before arrival.
please visit my site and give me suggestion for developing my works
http://www.allhotelfinder.com


26
চাকরি করা ছাড়াও সুন্দর আয় করা, স্বাধীন জীবন এবং অন্যান্য
গ্র্যজুয়েশন শেষ করার পর আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হয় একটি চাকরি খোজা। অনেকেই আবার গ্র্যাজুয়েশনের আগেই চাকরি খোজা শুরু করে। প্রয়োজনের তাগিদে তখন পড়া লেখা শেষ করার আগেই চাকরিতে প্রবেশ করে। এবং নাম মাত্র মূল্যে নিজের জীবনের অমূল্য সময় গুলো বিক্রি করতে থাকে।
 
পরিচিত অপরিচিত সবার কাছ থেকেই একটা প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়। কি কর তুমি? যদি কোন ইনিস্টিটিউটে ভর্তি থাকি, বলা যায়, পড়ালেখা করি। যদিও পড়া লেখা  করতে ইন্সটিটিউট এর প্রয়োজন হয় না।
যদি কোথাও না পড়ি, তখন যদি বলি কিছু করি না। তখন প্রশ্ন কর্তার অভিব্যাক্তি অবশ্যই ভালো দেখায় না। আর উত্তর যদি হয় জব করি, ঐ কম্পানিতে, তখন অবশ্যই অভিব্যাক্তি দারুণ দেখায়। কিন্তু চাকরি করা থেকে অনেক ভালো কিছু রয়েছে করার মত। চাকরি বলতে যদি বুঝায় টাকা উপার্যন করা। তবে সৎ ভাবে টাকা উপার্জন করার অনেক গুলো সুন্দর পথ রয়েছে।
 
চাকরি বলতে যতক্ষন কাজ করা, ততক্ষনই টাকা। কাজ বন্ধ তো টাকা ও বন্ধ। আর মাসের শেষে একটা এমাউন্ট। যা প্রথম সপ্তাহেই শেষ হয়ে যায়। মাসের বাকি দিন গুলো আবার এদিক ঐদিক করে চলতে হয়।
 
কেমন হয় যদি সারাক্ষনই টাকা উপার্জন হতে থাকে? কাজ করলেও, কাজ না করলেও? সারাক্ষন উপার্জন করা কি অসম্ভব কিছু? অবশ্যই না। অনেক গুলো সুন্দর পথ রয়েছে। ব্যবসা করা, ইনভেস্ট করা, ক্রিয়েটিভ কাজ করা যেমন ডিজাইনিং, ডেভেলপিং, লেখালেখি/ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, সহ আরো অনেক। এগুলো থেকে রায়ালিটি ইনকাম আসতে থাকে। প্রথম প্রথম সময় দিতে হয়। এর পর আর তেমন সময় না দিলেও হয়। প্রথম প্রথম যে সময় দিতে হয়, তা একটি চাকরি খোজার সময় থেকেও কম। অনেক কম কষ্টের।
 
চাকরি করলে নিজের বেতন বাড়বে না। বছরে দুই এক বার সামান্য কিছু বাড়ানো হয়। কিন্তু নিজের কাজ নিজে করলে ইচ্ছে করলেই বেতন বাড়িয়ে নেওয়া যায়। শুধু মাত্র পরিশ্রম একটু বাড়িয়ে দিলেই হয়।
 
চাকরি খোজার জন্য অনেকেই অনেক ট্রেনিং নেয়, বা অনেক গুলো বই পড়ে। অথচ ঐ বই বা ট্রেনিং চাকরি করার জন্য না নিয়ে নিজের স্কিল বাড়ানোর জন্য নিলে দারুণ কিছু শেখা যেতো। যে গুলো কাজে লাগিয়ে আরো ভালো কিছু করা যায়।
 
চাকরি করলে মানুষের অভিজ্ঞতা একটা বিষয়ের উপর থাকে। সব্ কিছুই দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। এক সময় নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করতে হলে তখন নিজেকে আর মানিয়ে নিতে পারে না। এতে অনেকেরই হয়তো চাকরি ছেড়ে দিতে হয়।
 
সব সময়ই মনের মধ্যে একটা ভাব থাকে, সব কিছু ঠিক মত হচ্ছে তো? চাকরি চলে যাবে না তো। বস রাগ করবে না তো। ইত্যাদি। অথচ নিজের কোন কাজ হলে এসব চিন্তা করার কোন মানে হয় না।
 
আচ্ছা, চাকরি কি মানুষকে ভিতু বানাতে সাহায্য করে না? মাস শেষে অল্প কিছু টাকা হাতে পায়। অনেকের হয়তো ঐ অল্প টাকাতেই হয়ে যায়। আবার কারো কারো অনেকের দ্বায়িত্ব নেওয়ার কারণে ঐ অল্পতে হয় না। যারা সৎ থাকতে পারে, তারা হয় বাড়তি কাজ করার চেষ্টা করে। আর না হয় অনেকেই নিজের সততাকে বিকিয়ে দেয়। নষ্ট করে মানুষের স্বাধীনতা। সবচেয়ে অমুল্য জিনিশ।
 
এছাড়া চাকরি করলে নিজের ইচ্ছে মত কখনোই ছুটি কাটানো যায় না। অনেক সময় দরকারের সময়ও ছুটি পাওয়া যায় না। এসব ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সাররা ভালো একটা সুবিধে করতে পারে। যখন দরকার তখন ছুটি কাটানো যায়। কিন্তু ফ্রিল্যান্সারদের ও সারাক্ষন কাজ করতে হয়। এক সপ্তাহ কাজ না করলে পরের সপ্তাহ খরচ করার মত টাকা থাকে না, যদি না সে আগে সেভ করে রাখে। আর সব থেকে ভালো পন্থা হচ্ছে একটা প্যাসিভ ইনকামের পথ তৈরি করা। যেখানে কাজ না করলেও একটা ইনকাম আসবে। তবে তার জন্য অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।
 
চাকরি করার প্রতি অবহেলা নয়। কিন্তু অনেকেই চাকরি পাওয়ার জন্য অনেক কিছু করে। চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে যায়। এক অফিশ থেকে আরেক অফিশে সিভি জমা দিতে দিতে নিজের অমূল্য সময় নষ্ট করে। এমনি অসৎ পন্থাও অবল্বন করে। কিন্তু চাকরি করা থেকেও যে ভালো কিছু করা যায়, তা জানানোর জন্যই এ লেখা।
 
অনেক গুলো পন্থার কথা লিখছি, চাকরি করা ছাড়াও করা যায়, সেগুলো নিয়ে লেখা যাক। প্রথমেই লিখছিলাম ব্যবসা করার কথা। ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা আমার নেই। ব্যবসা অবশ্যই চাকরি করা থেকে ভালো। নিজের ব্যবসা করার মত অভিজ্ঞতা না থাকলে যাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান আছে, তাদের সাথে পার্টনার হয় ইনভেষ্ট করা যেতে পারে।
 
যদি ইনভেস্ট করার মত টাকা না থাকে? আরো অনেক গুলো পথ রয়েছে। অফলাইনে করার মত হয়তো অনেক গুলো পথ থাকতে পারে। আমার জানা না থাকার কারণে লিখছি না। অনলাইনে যে সব কাজ করা যেতে পারে, সেগুলো নিয়ে লিখছি। তার মধ্যে ডিজাইনিং অন্যতম।
 
ডিজাইনিং
 ডিজাইনিং শিখে নিজের করা ডিজাইন গুলো অনলাইনে অনেক গুলো সাইটেই আপলোড করা যায়। যে গুলো পরে বিক্রি হলে নিজের একাউন্টে টাকা জমা হতে থাকে। প্রথম প্রথম হয়তো তেমন কোন টাকা আসবে না, কিন্তু এক সময় প্রতি মাসেই একটা ভালো রেভিনিউ আসতে থাকবে। যা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। এরকম ডিজাইন সেল করার সাইটের মধ্যে http://graphicriver.net/ অন্যতম। এছাড়া এ লেখাটিও দেখা যেতে পারে। অনলাইনে ডিজাইন/গ্রাফিক্স সেল করার ৪০টি সাইট।  http://mashable.com/2009/02/28/sell-designs-online/
 
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জানা থাকলে ওয়েব সাইট তৈরি করা যেতে পারে। একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ওয়েব সাইট তৈরি করে তা থেকে সহজেই আয় করা যায়। এডভার্টাইজ বা এফিলিয়েট এর মাধ্যমে। এখানেও প্রথম প্রথম কিছু দিন সময় দেওয়ার পর একটা নির্দিষ্ট সময় পর ভালো রেভিনিউ আসতে থাকে।
 
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ভালো ভাবে জানা থাকলে ওয়েব সাইটের জন্য টেমপ্লেট তৈরি করা যেতে পারে। যে গুলো সেল করে একটা ভালো রয়ালিটি ইনকাম জেনারেট করা যেতে পারে। এ ওয়েব টেমপ্লেট সেল করার উল্যেখযোগ্য সাইট হচ্ছে http://themeforest.net/ এরকম আরো অনেক গুলো রয়েছে অনলাইনে। একটু সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। যেমনঃ 10 Places to Sell Templates http://www.webdesignerdepot.com/2008/12/10-places-to-sell-templates/
 
ভিডিও তৈরি
নিজে কোন বিষয় দক্ষ হলে আরেক জনে কিভাবে তা শিখতে পারে, তার ভিডিও তৈরি করে সহজেই রেভিনিউ জেনারেট করা যায়।  ইউটিউব সুন্দর একটি জায়গা। এ ছাড়াও রয়েছে Coursera এর মত অনেক ওয়েব সাইট। যেখানে কোন বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল তৈরি করে সেল করা যায়। ভিডিও তৈরি করা এমন কোন কঠিন কাজ নয়।
এছাড়া কোন একটা জায়গার ভিডিও করে তা থেকেও আয় করা যায়। আপনার এলাকার কোন জায়গার উপর ভিডিও তৈরি করতে পারেন। সেখানে তো সবাই যেতে পারে না। কিন্তু অনেকেই যেতে চায় বা দেখতে চায়। আর তাই এমন ভিডিও তৈরি করে আপলোড করলেও ভালো কিছু করা যায়। সিম্পল, কিন্তু ভালো রেভিনিউ।
 
সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট
ডেভেলপমেন্ট জানলে সফটওয়ার তৈরি করা যেতে পারে। ভালো আইডিয়া থাকলে এবং ভালো সফটওয়ার তৈরি করতে পারলে একটা সফটওয়ার থেকেই যথেষ্ট রেভিনিউ আসতে থাকবে। সব সময় যে বড় কোন প্রজেক্ট করতে হবে তা না, সিম্পল কিন্তু ইফেক্টিভ কিছু দিয়েই ভালো কিছু করা সম্ভব। ক্রিয়েটিভ হলে ছোট খাতো কিন্তু কাজের সফটওয়ার তৈরি করা তেমন কঠিন কিছু না।
 
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
এছাড়া এখন মোবাইল মার্কেট গুলোতে রয়েছে ভালো ক্যারিয়ার। এন্ড্রয়েড, আইফোন বা উইন্ডোজ ফোনের জন্য অ্যাপ তৈরি করা যেতে পারে। যে সময় ধরে মানুষ চাকরি খুজবে, তার থেকে কম সময়ের মধ্যে এসব ডেভেলপমেন্ট স্কিল শেখা যায়। এক রাতেই মিলিনিয়ার হওয়ার মত অনেক গুলো সুন্দর সুন্দর গল্প রয়েছে মোবাইল অ্যাপ নিয়ে। রয়ালিটি ইনকামের জন্য অ্যাপ সেলিং অবশ্যই সুন্দর এবং ভালো একটা পন্থা।  সহজেই শেখা যায় এবং খুব দ্রুত রেভিনিউ জেনারেট করা যায়।
ফটোগ্রাফি
অনেকের কাছেই DSLR ক্যামেরা দেখা যায়। ক্যামেরা দিয়ে শুধু যে বিয়ে বা কোন জন্মদিনের পার্টির ফটোগ্রাফি করে আয় করা যায়, তা না। আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পথ রয়েছে। নিজের ফটো ব্লগ খুলে তা থেকে আয় করা যায়। কোন একটা বিষয় খুজে তার উপর ফটোগ্রাফি করা যেতে পারে। অনলাইনে অনেক গুলো সাইট রয়েছে ফটো সেল করার। যে গুলো দেখা যেতে পারে। যেমনঃ Top 10 sites to sell your photos online  http://blog.autographer.com/2013/12/top-10-sites-sell-photos-online/
 
Affiliate Marketing
Affiliate Marketing করে ও ভালো একটা রেভিনিউ জেনারেট করা যায়। তবে তো জানতে হবে কিভাবে করতে হয়! জানাটাও সহজ। কোন ইনিস্টিটিউটের দরকার পড়ে না এখন আর। Google এ গিয়ে সার্চ করলেই অনেক গুলো টিউটোরিয়াল হাজির হবে। একটা থেকে দেখা বা পড়া শুরু করলেই আস্তে আস্তে শিখে নেওয়া যাবে। দরকার ধৈর্য্যের।
 
লেখালেখি
লেখা লেখি সব সময়ই রয়ালিটি ইনকাম করার সুন্দর একটা পন্থা। ইনটারনেটের কারণে এটা আরো সহজ এবং ইফেক্টিভ। ওয়েব সাইট খুলে নিজের পছন্দের বিষয় এর উপর লিখলে এবং ওয়েব সাইটে অ্যাড দিয়ে সুন্দর একটা রেভিনিউ জেনারেট করা যায়। ফুটবল, ক্রিকেট বা যেকোন খেলা, রান্না বান্না, বই এর রিভিউ, মুভি রিভিউ সহ যে কোন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা যায়। একই সাইটকে ব্যবহার করা যায় Affiliate Marketing এর জন্য।
 
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক গুলো বিষয় রয়েছে যে গুলো নিয়ে কাজ করা যায়। রিসার্সে একটু সময় দিলেই বের করা সম্ভব। খুজে বের করতে হবে নিজে কোনটাতে ভালো। নিজের কাছে কি ভালো লাগে। এছাড়া উপরের বিষয় গুলোতে নিজে নিজে কিছু করতে না পারলে অনেক কাজ পাওয়া যায়। যাকে আমরা ফ্রিল্যান্সিং বলি আরকি! নিজে নিজে প্রথম প্রথম কিছু না করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের জ্ঞান বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। এর পর নিজের কাজ নিজেই শুরু করলে সুন্দর একটা প্যাসিভ ইনকাম এর উৎস তৈরি হবে। তখন সব সময় কাজ করার চিন্তা না করলেও হবে। ২৪ ঘন্টাই নিজের একাউণ্টে টাকা জমা হতে থাকবে। নিজে কোথায় থাকি, তা কোন ব্যাপার নয়। উপভোগ করা যাবে সুন্দর জীবন, স্বাধীন জীবন। সত্যিকারের স্বাধীনতা।

27
Online Money Earning / ইমেইল মার্কেটিং
« on: July 21, 2013, 12:13:10 PM »
ইমেইল মার্কেটিংয়ের প্রয়োজনে বাংলাদেশী Email Address এবং SMTP Server প্রয়োজন
আউটসোর্সিং এবং ইমেইল মার্কেটিং বিষয়ে এখানে অনেক লেখালেখি হয়। অনেকে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল প্রকাশ করে যাচ্ছেন। সবাই শুধু শেখাচ্ছে কিন্তু বাস্তবে কেউ সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে কিনা তা নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে। পন্ডিতেরা  চোখ কুঁচকাবেন না। কারণ আমি সঠিক কথাই বলছি।

ইমেইল মার্কেটিংয়ের কাজে যে দুটো জিনিষ সবার আগে প্রয়োজন অর্থাং প্রচুর পরিমানে ইমেইল এ্যাড্রেস এবং এই ইমেইলসমূহ ডেলিভারী দেয়ার জন্য SMTP Server.  এগুলো কোথায় এবং কিভাবে পাওয়া যাবে এর কোনও দিক নির্দেশনামূলক পোষ্ট অন্তত আমার নজরে পড়েনি। তাই যারা ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী তারা অনেকেই ধোঁয়াসার মধ্যে রয়েছে। এই সুযোগে কিছু সুযোগ সন্ধানী লোক ইমেইল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ অফার করছে। এবং ধোঁয়াসাগ্রস্থ লোকজন সেখানে গিয়ে হাজির হচ্ছে এবং পয়সা নষ্ট করে বোকা বনে যাচ্ছে। এটা খুবই দু:খজনক।

আমি ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে কিছু পড়াশোনা করেছি (অবশ্যই বিদেশী ওয়েব সাইট সমূহে) এবং আমার কাছে মনে হয়েছে ইমেইল টেমপ্লেট ডিজাইন করা খুব একটা সমস্যা না এবং টেমপ্লেট ডিজাইনের অনেক রিসোর্স ওয়েব সাইটে পাওয়া যায়। সমস্যা হচ্ছে Email Address এর ডাটাবেজ সংগ্রহ করা এবং ইমেইল সমূহ পাঠানোর জন্য একটি SMTP Server. কারণ নিজস্ব সার্ভার ছাড়া আপনি দিনে ৫০০ টির বেশী মেইল পাঠাতে পারবেন না। তাই আমার পরামর্শ হচ্ছে কেউ যদি ইমেইল মার্কেটিংয়ে কাজ করতে চান সবার আগে এই দুটি জিনিষ নিশ্চত করুন। তারপর কজে নামুন।

অহেতুক কোনও প্রতারকের প্রস্তাবে কোথাও প্রশিক্ষণ নেয়ার প্রয়োজন নেই।

শেষ কথা হচ্ছে যদি কেউ বাংলাদেশী ইমে্‌ইল address বিক্রি করতে চান আমাকে জানাতে পারেন। আমি কিনতে আগ্রহী / প্রশিক্ষণ নতে আগ্রহী। আমি SMTP Server ভাড়া নেওয়ার জন্যও আগ্রহী। এব্যাপারে কারও কাছে কোনও তথ্য থাকলে দয়া করে জানালে কৃতার্থ হবো। আমার ইমেই এড্রেস হচ্ছে hajjnewsbd@gmail.com or call 01677772929





28
Real Estate / Earthquake and its prevention
« on: May 26, 2013, 07:54:10 PM »
ভূমিকম্পের কারণ এবং এর থেকে পরিত্রাণের উপায়

কয়েকদিন পরপরই মৃদু কম্পনে সারা দেশ কম্পিত হয়ে উঠছে, এগুলো বড় একটা কম্পন আসার আগে সতর্ককারী কম্পন। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের সতর্ক করেন যাতে করে তারা অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর পথে ফিরে আসে। চলুন দেখি কুরআন ও সহীহ হাদীস অনুযায়ী ভূমিকম্পের কারণ অনুসন্ধান এবং এ থেকে কিভাবে আমরা বাঁচতে পারি তার উপায় বের করি।
কেন এত ভূমিকম্প সংগঠিত হয়? এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায় :
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, এবং শান্তি বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের, তাঁর পরিবারের উপর, তাঁর সাহাবাদের উপর এবং তাদের উপর যারা তাদের অনুসরণ করেন।
মহান আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, তাঁর ইচ্ছা এবং তিনি যা কিছু প্রেরণ করবেন সে সকল বিষয়ে তিনিই সবকিছু জানেন এবং তিনি সর্বাধিক জ্ঞানী এবং সর্বাধিক অবহিত তাঁর আইন কানুন ও আদেশ সম্পর্কে। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাহদেরকে সতর্ক করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের নিদর্শন সৃষ্টি করেন এবং বান্দাহর উপর প্রেরণ করেন যাতে করে তারা মহান আল্লাহ কর্তৃক তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন ও ভীত হয়। বান্দাহরা মহান আল্লাহর সাথে যা শিরক করে (অর্থাৎ, ইবাদত করার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর সাথে অংশিদারিত্ব করে) এবং তিনি যা করতে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি এই নিদর্শন সমূহ প্রেরণ করেন যাতে করে তারা তাদের ভুল বুঝতে পারে, তাদের বোধদয় হয় এবং তাদের রবের দিকেই একনিষ্ঠভাবে ইবাদত করে।
মহান আল্লাহ বলেন: “(আসলে) আমি ভয় দেখানোর জন্যই (তাদের কাছে আযাবের) নিদর্শনসমূহ পাঠাই” ( সূরা ইসরা ১৭:৫৯)
“অচিরেই আমি আমার (কুদরতের) নিদর্শনসমূহ দিগন্ত বলয়ে প্রদর্শন করবো এবং তাদের নিজেদের মধ্যেও (তা আমি দেখিয়ে দিবো), যতোক্ষণ পর্যন্ত তাদের উপর এটা পরিস্কার হয়ে যায় যে, এই (কুরআনই মূলত) সত্য; একথা কি যথেষ্ট নয় যে, তোমার মালিক সবকিছু সম্পর্কে অবহিত?” (সূরা হা-মীম আস সিজদা : ৫৩)
“বল: আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর, তোমাদের উপর থেকে (আসমান থেকে) অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আযাব পাঠাতে সক্ষম, অথবা তিনি তোমাদের দল-উপদলে বিভক্ত করে একদলকে আরেক দলের শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাতেও সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।” (সূরা আল আনআম : ৬৫)
আল-বুখারী তার সহীহ বর্ণনায় জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন: যখন “তোমদের উপর থেকে (আসমান থেকে) ” নাযিল হলো তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “আমি তোমার সম্মূখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি”, অথবা যখন, “ অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আযাব পাঠাতে সক্ষম” নাযিল হলো, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবললেন: “আমি তোমার সম্মূখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি”। (সহীহ আল বুখারী, ৫/১৯৩)
(আবূল-শায়খ আল-ইস্পাহানি এই আয়াতের তাফসীরে বর্ণনা করেন,
“বল: আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর, তোমাদের উপর থেকে (আসমান থেকে) ” যার ব্যাখ্যা হলো, তীব্র শব্দ, পাথর অথবা ঝড়ো হাওয়া; “অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আযাব পাঠাতে সক্ষম”, যার ব্যাখ্যা হলো, ভুমিকম্প এবং ভূমি ধ্বসের মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়া।)
নিঃসন্দেহে বর্তমানে যেসকল ভূমিকম্পগুলো ঘটছে তা মহান আল্লাহর প্রেরিত সতর্ককারী নিদর্শনগুলোর একটি যা দিয়ে তিনি তাঁর বান্দাহদের ভয় দেখিয়ে থাকেন। এই ভূমিকম্প এবং অন্যান্য সকল দূর্যোগগুলো সংগঠিত হওয়ার ফলে অনেক ক্ষতি হচ্ছে, অনেকে মারা যাচ্ছে এবং আহত হচ্ছে; এই দূর্যোগগুলো আসার কারণ হচ্ছে, শিরকী কার্যকলাপ(ইবাদতের ক্ষেত্রে অন্য কাউকে মহান আল্লাহর অংশীদার বানানো) এবং মানুষের পাপ (মহান আল্লাহ যে কাজগুলো করতে নিষেধ করেছেন সে কাজগুলো করার কারণে)।
এক্ষেত্রে মহান আল্লাহ বলেন:
“(হে মানুষ) যে বিপদ আপদই তোমাদের উপর আসুক না কেন, তা হচ্ছে তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই, এবং (তা সত্ত্বেও) আল্লাহ তাআলা তোমাদের অনেক (অপরাধ এমনিই) ক্ষমা করে দেন।” (সূরা আশ শূরা : ৩০)
“যে কল্যাণই তুমি লাভ কর (না কেন, মনে রেখো), তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, আর যেটুকু অকল্যাণ তোমার উপর আসে তা আসে তোমার নিজের থেকে”। (সূরা আন নিসা : ৭৯)
মহান আল্লাহ অতীত জাতীর উপর প্রেরিত আযাব সম্পর্কে বলেন: “অতপর এদের সবাইকে আমি (তাদের) নিজ নিজ গুণাহের কারণে পাকড়াও করেছি, এদের কারো উপর প্রচন্ড ঝড় পাঠিয়েছি (প্রচন্ড পাথরের বৃষ্টি) {যেভাবে লূত জাতির উপর প্রেরণ করা হয়েছিল}, কাউকে মহাগর্জন এসে আঘান হেনেছে {যেভাবে শুআইব (আ) এর জাতীর উপর আঘাত হেনেছিল}, কাউকে আমি যমীনের নীচে গেড়ে দিয়েছি {যেভাবে কারুন জাতীদের উপর এসেছিল}, আবার কাউকে আমি (পানিতে) ডুবিয়ে দিয়েছি {নূহ জাতী ও ফেরাউন ও তার লোকদের কে যেভাবে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল}, (মূলত) আল্লাহ তাআলা এমন ছিলেন না যে তিনি এদের উপর যুলুম করেছেন, যুলুম তো বরং তারা নিজেরাই নিজেদের উপর করেছে”। ( সূরা আল আনকাবূত : ৪০)
এখন মুসলামানদের এবং অন্যান্যদের খুবই আন্তরিকভাবে মহান আল্লাহর নিকট তওবা করা উচিত, আল্লাহর কর্তৃক নির্দিষ্ট একমাত্র দ্বীন ইসলামকে দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরা এবং আল্লাহ তাআলা যেসব শিরকী কার্যকলাপ ও পাপ কাজ করতে নিষেধ করেছেন (যেমন: নামায পরিত্যাগ না করা, যাকাত আদায় করা থেকে বিরত না হওয়া, সুদ-ঘুষ না খাওয়া, মদ পান না করা, ব্যাভিচার না করা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা না করা, গান ও বাদ্যযন্ত্র না শোনা, হারাম কাজ সমূহ ভঙ্গ না করা প্রভৃতি) তা থেকে বিরত থাকা। এটা হতে আসা করা যায়, তারা এই দুনিয়া ও পরবর্তীতে কঠিন আযাব থেকে মুক্তি পাবে এবং আল্লাহ তাদের আযাব থেকে নিরাপদে রাখবেন এবং তাদের উপর রহমত বর্ষন করবেন।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “অথচ যদি সেই জনপদের মানুষগুলো (আল্লাহ তাআর উপর) ঈমান আনতো এবং (আল্লাহ তাআলাকে) ভয় করতো, তাহলে আমি তাদের উপর আসমান-যমীনের যাবতীয় বরকতের দুয়ার খুলে দিতাম, কিন্তু (তা না করে) তারা (আমার নবীকেই) মিথ্যা প্রতিপন্ন করলো, সুতরাং তাদের কর্মকান্ডের জন্য আমি তাদের ভীষণভাবে পাকড়াও করলাম”। (সূরা আল আ’রাফ : ৯৬)
এবং আল্লাহ আহলে কিতাবধারীদের সম্পর্কে বলেন:
“যদি তারা তাওরাত ও ইনজিল (তথা তার বিধান) প্রতিষ্ঠা করতো, আর যা তাদের উপর তাদের মালিকের কাছ থেকে এখন নাযিল করা হচ্ছে (কুরআন) তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতো, তাহলে তারা অবশ্যই রিযিক পেতো তাদের মাথার উপরের (আসমান) থেকে ও তাদের পায়ের নীচের (যমীন) থেকে”। (সূরা আল মায়িদা : ৬৬)
এবং আল্লাহ আরো বলেন: ”(এ) লোকালয়ের মানুষগুলো কি এতই নির্ভয় হয়ে গেছে (তারা মনে করে নিয়েছে), আমার আযাব (নিঝুম) রাতে তাদের কাছে আসবে না, যখন তারা (গভীর) ঘুমে (বিভোর হয়ে) থাকবে! অথবা জনপদের মানুষগুলো কি নির্ভয় হয়ে ধরে নিয়েছে যে, আমার আযাব তাদের উপর মধ্য দিনে এসে পড়বে না- তখন তারা খেল-তামাশায় মত্ত থাকবে। কিংবা তারা কি আল্লাহ তাআলার কলা-কৌশল থেকেও নির্ভয় হয়ে গেছে, অথচ আল্লাহ তাআলার কলা-কৌশল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ জাতি ছাড়া অন্য কেউই নিশ্চিত হতে পারে না।” (সূরা আল আ’রাফ :৯৭-৯৯)
আল-আল্লামা ইবনে আল-কাইউম (রহ) বলেন: “মহান আল্লাহ মাঝে মাঝে পৃথিবীকে জীবন্ত হয়ে উঠার অনুমতি দেন, যার ফলে তখন বড় ধরনের ভূমিকম্প অনুষ্ঠিত হয়; এইটা মানুষগুলোকে ভীত করে, তারা মহান আল্লাহর নিকট তওবা করে, পাপ কর্ম করা ছেড়ে দেয়, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে এবং তাদের কৃত পাপ কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়”। আগেকার যুগে যখন ভূমিকম্প হতো তখন সঠিক পথে পরিচালিত সৎকর্মশীল লোকেরা বলতেন: “মহান আল্লাহ তোমাদেরকে সতর্ক করছেন”। মদীনায় যখন একবার ভূমিকম্প হয়েছিল, তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) তার জনগনকে ভাষণে বললেন: “যদি আরো একবার ভূমিকম্প সংগঠিত হয় তাহলে আমি এখানে তোমাদের সাথে থাকবো না।”
সঠিক পথে পরিচালিত সৎকর্মশীল লোকদের কাছে এরকম আরো অনেক ঘটনার বিবরণ রয়েছে।
যখন কোথাও ভূমিকম্প সংগঠিত হয় অথবা সূর্যগ্রহণ হয়, ঝড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন মানুষদের উচিত মহান আল্লাহর নিকট অতি দ্রুত তওবা করা, তাঁর নিকট নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা এবং মহান আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণ করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা যেভাবে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য গ্রহণ দেখলে বলতেন: “যদি তুমি এরকম কিছু দেখে থাক, তখন দ্রুততার সাথে মহান আল্লাহকে স্মরণ কর, তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর।” (আল-বুখারী ২/৩০ এবং মুসলিম ২/৬২৮)
দরিদ্র ও মিসকিনদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা এবং তাদের দান করা উচিত, কারণ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
“দয়া প্রদর্শন কর, তোমার প্রতি দয়া প্রদর্শন করা হবে”। ( ইমাম আহমদ কর্তৃক বর্ণিত, ২/১৬৫)
“যারা দয়া প্রদর্শন করে মহান দয়াশীল আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া দেখাবেন। পৃথিবীতে যারা আছে তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন কর, এবং স্বর্গে যিনি আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবেন।” ( আবু দাউদ কতৃক বর্ণিত ১৩/২৮৫, আত-তিরমিযী ৬/৪৩)
“যারা দয়া প্রদর্শন করবে না তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা হবে না”। (আল-বুখারী ৫/৭৫, মুসলিম ৪/১৮০৯ কর্তৃক বর্ণিত)
বর্ণিত আছে যে, যখন কোন ভূমিকম্প সংগঠিত হতো, উমর ইবনে আব্দুল আযিয (রহ) তার গভর্ণরদের দান করার কথা লিখে চিঠি লিখতেন।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা মানুষকে বিপর্যয়(আযাব) থেকে নিরাপদে রাখবে তাহলো, যারা ক্ষমতায় আছে (অর্থাৎ যারা দেশ পরিচালনা করছে) তাদের উচিত দ্রুততার সাথে সমাজে প্রচলিত অন্যায় থামিয়ে দেওয়া, তাদের শরিয়া আইন মেনে চলতে বাধ্য করা এবং সে অনুযায়ী চলা, ভাল কাজের আদেশ দেওয়া এবং খারাপ কাজ নিষেধ করা।
মহান আল্লাহ বলেন:
“মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা হচ্ছে একে অপরের বন্ধু। এরা (মানুষদের) ন্যায় কাজের আদেশ দেয়, অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে, তারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে, (জীবনের সব কাজে) আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূলে (বিধানের) অনুসরণ করে, এরাই হচ্ছে সে সব মানুষ; যাদের উপর আল্লাহ তাআলা অচিরেই দয়া করবেন; অবশ্যই আল্লাহ তাআলা পরাক্রমশালী, কুশলী।” (সূরা আত তওবা : ৭১)
“আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন যে আল্লাহ তাআলার (দ্বীনে) সাহায্য করে, অবশ্যই আল্লাহ তাআলা শক্তিমান ও পরাক্রমশালী। আমি যদি এ (মুসলমান) -দের (আমার) যমীনে (রাজনৈতিক) প্রতিষ্ঠা দান করি, তাহলে তারা (প্রথমে) নামায প্রতিষ্ঠা করবে, (দ্বিতীয়ত) যাকাত আদায় (এর ব্যবস্থা) করবে, আর (নাগরিকদের) তারা সৎকাজের আদেশ দিবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে, তবে সক কাজেরই চূড়ান্ত পরিণতি একান্তভাবে আল্লাহ তাআলারই এখতিয়ারভূক্ত।” (সূরা আল হজ্জ : ৪০-৪১)
“যে ব্যক্তি আল্লাত তাআলাকে ভয় করে, আল্লাহ তাআলা তার জন্যে (সংকট থেকে বের হয়ে আসার) একটা পথ তৈরী করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন রিযিক দান করেন যার (উৎস) সম্পর্কে তার কোন ধারণাই নেই; যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহ তাআলাই যথেষ্ট।” (সূরা আত তালাক্ব : ২-৩)
এই বিষয়ে এরকম আরো অনেক আয়াত রয়েছে।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করে দিবে, আল্লাহ তাআলা তার প্রয়োজন পূরণ করে দিবেন।” (আল-বুখারী ৩/৯৮, মুসলিম ৪/১৯৯৬)
এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “যে ব্যক্তি, এই পৃথিবীতে একজন বিশ্বাসীর দুশ্চিন্তা দূর করে দিবে, মহান আল্লাহ তাকে পুনরুত্থান দিবসের দূশ্চিন্তা থেকে নিরাপদে রাখবেন। যে ব্যক্তি, কারো কাজকে সহজ করে দিবে(যে কঠিন কাজে নিয়োজিত), মহান আল্লাহ তার দুনিয়া ও পরকালের কাজকে সহজ করে দিবেন। যে ব্যক্তি, একজন মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে মহান আল্লাহ দুনিয়া ও পরকালে তার দোষ গোপন রাখবেন। মহান আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত একজনকে সাহায্য করতে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার ভাইকে সাহায্য করতে থাকে।” (মুসলিম ৪/২০৭৪);
এই বিষয়ের উপর এরকম আরো অনেক হাদীস রয়েছে।
মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি তিনি যেন সকল মুসলিমদের খারাপ অবস্থা থেকে ভাল অবস্থার দিকে উন্নীত করেন এবং তাদেরকে হিদায়াত করেন যেন তারা ইসলামকে ভালভাবে বুঝতে পারে ও দৃঢ়তার সাথে একে আকড়ে ধরে রাখে এবং তিনি যেন তাদের সকল পাপকে ক্ষমা করে দেন। আমরা মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি, তিনি যেন যারা মুসলামানদের ক্ষমতায় আছে(সরকার) তাদের সংগঠিত করেন, এবং তাদের মাধ্যমে সত্যকে সাপোর্ট আর মিথ্যাকে দূরীভূত করে দেন, এবং শরীয়া আইন অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করার জন্য যেন তিনি তাদের সাহায্য করেন, এবং শয়তান যেন তাদেরকে ভুল পথে পরিচালিত, প্ররোচিত ও প্রতারিত করতে না পারে তাথেকে মহান আল্লাহ তাদের রক্ষা করেন, কারণ মহান আল্লাহই একমাত্র সবকিছূ করার ক্ষমতা রাখেন।
মহান আল্লাহর রহমত এবং শান্তি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর পরিবারের এবং সাহাবাদের এবং কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তাদেরকে যারা অনুসরণ করবে তাদের উপর আপতিত হোক।

29
জেদ্দায় অবস্থিত কিং আব্দুল আযীয বিশ্ববিদ্যালয় ২ বছর মেয়াদী আরবী স্কলারশিপ প্রোগ্রাম

 ২ বছর মেয়াদী আরবী স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। শুধুমাত্র ১৭-২৫ বছর বয়সী ছেলেদের জন্য ●|
আলহামদুলিল্লাহ্‌, জেদ্দায় অবস্থিত কিং আব্দুল আযীয বিশ্ববিদ্যালয় ২ বছর মেদায়ী আরবী স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ করছে।প্রোগ্রামটি শুরু হবে এই বছরের (২০১৩) সেপ্টেম্বর মাসে, ইনশাআল্লাহ্‌।প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণ ফ্রী! সাথে রয়েছে থাকা এবং তিনবেলা খাবারের সুব্যবস্থা। আরও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাসিক ভাতা!আবেদন করার জন্য আপানকে যা করতে হবে :

১. প্রথমেই আপনাকে অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। এজন্য এই লিঙ্কে যায় : http://ali.kau.edu.sa/Pages-text12.aspx
২. এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের পিডিএফ (PDF) ই-মেইল করতে হবে এই ঠিকানায় : ali@kau.edu.sa
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা পেতে এই লিঙ্কে যান : http://ali.kau.edu.sa/Pages-text10.aspx । পেইজের নীচের অংশে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া আছে।

আবেদন ফর্ম পূরণের শেষ তারিখ : বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০১৩।

(প্রোগ্রামটি শুধুমাত্র ১৭-২৫ বছর বয়সী পুরুষদের জন্য। আপনার বয়সসীমা ১৭-২৫ বছরের মধ্যে না হলে, আপনার আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।)আপনি বিবাহিত হলেও আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিজেকেই থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জেদ্দায় পৌঁছে স্ত্রীর জন্য ভিসা আবেদন করতে পারবেন


ref

30
Nutrition and Food Engineering / Benefits of Blackseed oil for Human Body
« on: February 12, 2013, 01:54:00 PM »
The Health Benefits of Black Seed

Mahfouz and El-Dakhakhny, prominent Egyptian researchers isolated the active principle nigellone from Black Seed's essential oil in 1959. There are over 100 different chemical components in the seed.


Nigella and melatin are two ingredients in Black Seed that contribute greatly to its highly diversified powers. These substances work together to provide the digestive benefits that have been revered in Black Seed. They also promote cleansing and assist with overall eliminating action.



Two of the most volatile oils found in Black seed are nigellone and thymoquinone which were fist discovered in the herb in 1985. Nigellone offers both anti-spasmodic and bronchodilating properties which contribute to Black Seed's potency against respiratory ailments. It also acts as an antihistamine which helps to reduce the negative symptoms of allergy sufferers. Thymoquinone contains excellent anti-inflammatory and analgesic properties. It is also a strong anti-oxidant and helps cleanse the body of toxins. Both nigellone and thymoquinone work in conjunction with one another to enhance Black Seed's action against respiratory ailments. It also provides a healthy alternative to the more commonly prescribed cortisone based therapies used by allergy sufferers.

Black seed provides a rich supply of polyunsaturated fatty acids. These ingredients play a key role in daily health and wellness. They help to regulate the metabolism, carry toxins to the skin's surface for elimination, balance insulin levels, regulate cholesterol, improve body circulation, and promote healthy liver function. A deficiency in polyunsaturated fatty acids can lead to a wide number of health problems including nervous system disorders, uninhibited growths, and skin diseases.

Black seed contains over 100 valuable nutrients. It is comprised of approximately 21% protein, 38% carbohydrates, and 35% plant fats and oils. The active ingredients of black seed are nigellone, thymoquinone, and fixed oils. Black seed also contains significant proportions of protein, carbohydrates and essential fatty acids. Other ingredients include linoleic acid, oleic acid, calcium, potassium, iron, zinc, magnesium, selenium, vitamin A, vitamin B, vitamin B2, niacin, and vitamin C.

A 1994 study conducted in London by King's College revealed that Black Seed has properties that inhibit certain enzymes, which also inhibit the production of certain prostaglandins. This is more proof that the rich and complex combination of elements found in Black Seed work together for a total effect.

Black Seed has over 1400 years history of use. Many ancient books and text suggest the following traditional uses for Black Seed. But please note, that these should not be understood as cures or treatments for any disease or illness.

For Cough and Asthma

Apply Black seed oil to the chest and back.

Mix a teaspoon of Black seed oil in Boiling water and inhale the vapor twice a day.

Take half a teaspoon of Black seed Oil daily in the morning.


Cystic fibrosis

Massage the chest with black seed oil, and drink a mixture of one teaspoon black seed oil with a teaspoon pure honey, morning afternoon and evening.


Diabetes

Mix a cup of whole black seeds, a cup of Water Cress Seeds (Mustard seed can be used as an alternative), half a cup of pomegranate peel and half a cup of fumitory. Grind the mixture to powder. Take half a teaspoon of the mixture together with a teaspoon of black seed oil daily before breakfast for one month.

Diarrhea

Mix a teaspoon of black seed oil with a cup of yogurt. Drink the mixture twice a day until symptoms disappear.

Dry Cough

A teaspoon of black seed oil should be mixed in coffee and taken twice a day. Rub the chest and back with black seed oil.

Eye disease & impaired vision

Rub the eyelids and the sides of the eye orbits half an hour before going to bed with black seed oil. A tablespoon of the oil should also be drunk with a cup of carrot juice. Results should be apparent in one month, insha Allaah.

Facial paralysis & tetanus

Inhaling the vapor of black seed oil and hot water can help against facial paralysis and tetanus, and eliminates their causes, insha Allaah.

Flu & nasal congestion

Placing three to four drops of black seed oil in each nostril relieves nasal congestion and head cold distress.

Gall stones & kidney stones

Prepare a formulation of 250g of ground black seed & 250g pure honey, stir thoroughly before use. Take two tablespoons of this formulation and mix thoroughly with half a cup of hot water. Finally add one teaspoon of black seed oil. This mixture is to be taken every morning before consuming any food.

Remember:

A teaspoon of black seed oil mixed in a glass of orange juice with breakfast makes you active all through the day. A teaspoon of black seed oil mixed in a hot drink after supper gives you a quiet sleep all through the night.


Diseases and their cure inshallah

Asthma, Bronchial & Respiratory problems

Mix a tablespoon of black seed oil in coffee. Take twice daily. Rub chest with black seed oil every night and inhale the vapor of black seed oil in hot water.

Backache & other kinds of rheumatism

Mildly heat a small amount of black seed oil and then stroke the rheumatic area intensely. A teaspoon of oil should also be drunk three times daily.

Beard growth

Massage the beard area with black seed oil ensuring that the oil penetrates to the roots, this stimulates the growth of the beard and prevents premature hair graying.

Breast feeding (increase the flow of breast milk)

Prepare a mixture of 250g black seeds & 250g pure honey, stir thoroughly before each dosage. Take two tablespoons of this formulation mixed with one teaspoon of black seed oil daily.

Common cold symptoms and nasal congestion

Firstly fry whole black seeds, then finely grind them into powder. Soak this in black seed oil and any vegetable oil. Place three to four drops in each nostril (N.B. this will cause excessive sneezing).

For Hypertension

Take half teaspoon of Black seed oil with any hot drink at any time. Take 2 lobes of garlic on empty stomach. Apply Black seed oil to your whole body and expose it to the sun every three days, continue the treatment for a month.

For Heart complaints & Constriction of Veins

Take half teaspoon of black seed oil mixed with any hot drink daily in the mornings, this will liquefy the fats and widen the veins and arteries.

Inflammation of the Nose and throat

Put a few drops of oil in to a cup of boiling water and inhale the vapor. Take half a teaspoon of black seed oil with lemon juice daily.

For Headache and Ear ache

Apply black seed oil to the forehead, sides of face adjacent to the ears and behind the ears. Take half teaspoon of Black seed Oil and continue for about 3 days.

For Loss of Hair & premature Graying.

Scrub the scalp thoroughly with lemon, leave it for 15 minutes, wash away with water and shampoo and dry well, thereafter apply Black seed oil to the whole scalp, continue for a few weeks.

For Eye infection, Pain and Weak sight.

Apply Black seed oil around the eyes and on the eye lid before going to sleep. Take half a teaspoon Black seed oil mixed with carrot juice. For weak sight continue treatment.

For Backache and Rheumatic pain

Warm Black seed oil slightly and apply to the area thoroughly as you are massaging the bone, not the skin and drink half teaspoon Black seed oil for 15 days.

For Vomiting

Take half teaspoon of fresh ginger juice mixed with equal amount of Black seed oil, twice a day.

For toothache

Mix a half teaspoon of Black seed oil with warm water and gargle the mouth and apply oil on the affected tooth, it will alleviate pain quickly.

Source: http://www.positive-action.net/black...20benefits.htm


The Prophet never suffered from a wound or a thorn without putting Henna on it


- Hadith, naratted by Umm Salamah
(RadiAllahu anha)

[at-Tirmidhi, al-Bayhaqi]


Listed below are some common problems and ailments which can easily be cured from the use of Black Seed:


General health

Take 1 tablespoon blackseed oil morning and night, or at least in the morning before breakfast on its own or with 1 teaspoon pure honey


Acne and Skin

Mix and heat for 2 minutes 1 cup grounded black seed ½ cup grounded pomegranate skin and ½ cup apple cider vinegar. Apply on area before going to sleep every night until it disappears. Mixture can last 3 weeks and have to be kept in cool temperature.


Baldness (Alopecia)

Rub black seed oil on trouble spots


Asthma

Take ½ teaspoon black seed boiled in water


Backache (lower)

Mix honey with ¼ teaspoon black seed and take it first thing in the morning before breakfast



Bee & Wasp stings

Take ½ teaspoon black seed boiled in water


Bladder/Kidney

Take ½ teaspoon black seed mixed with honey and warm water every morning before breakfast

Mix 2 cups grounded black seed and ½ cup pure honey. Take 1 tablespoon of mixture with 1 cup warm water every morning before breakfast. Mixture can last 15 days and have to be kept in cool temperature


Colds

Take 21 black seed, put it in a cloth and soak overnight. Use as droplets for the nose the next day

Inhale powdered black seed kept in cloth


Coughs

Take 3-4 drops of black seed oil in coffee or tea


Hemorrhoids

Take black seed in powdered form with water


High blood pressure

Mix 1 tablespoon grounded black seed, 1 tablespoon pure honey and a little garlic. Take the mixture before breakfast every morning for 20 days


Inflammation & pain of teeth & gums

Boil black seed in vinegar and use it to rinse teeth & gums Avoid using commercial toothpastes and use toothpaste made from vegetable fibre of the siwak tree which has been used for centuries by Indians, Africans and Asians as natural toothpaste.


Memory

Take ½ teaspoon powdered black seed mixed with honey 2x day


Immune system:

Take 1 tablespoon day and night


Incontinence

Take ½ teaspoon black seed with honey, then drink warm water


Jaundice

Take black seed with milk


Chronic head pains (migraine, headache)

Fry black seed and put it cotton-made cloth, tie or simply put the cloth on the forehead

Soak black seed in vinegar overnight, pound it the next day to make powder. Insert in nostril and inhale


Dry Skin

Mix honey with ¼ teaspoon black seed and take it first thing in the morning before breakfast


Wind

Mix honey with ¼ teaspoon black seed and take it first thing in the morning before breakfast


Worms

Take black seed with vinegar to get rid of worms

source: http://www.geocities.com/mutmainaa/f...seed_cure.html



Black Seed Oil (Nigella Sativa)


100% pure, cold pressed, GMO, solvent & additive free and comes from the highest quality seeds.


Extracts from "Black Seed Natures Miracle Remedy" by W.G. Goreja



For thousands of years, humans around the world have recognized the tremendous healing properties of a legendary herb - Nigella Sativa, or Black Seed.



"Black Seed heals every disease except for death." The Prophet Mohammed proclaimed over fourteen hundred years ago. It's quite a statement; but..



The protective and healing powers of Black Seed, the seeds from the plant Nigella Sativa, are so astoundingly comprehensive and varied that for thousands of years humans have regarded it as a "Miracle Cure".



Black Seed has an unprecedented strengthening effect upon the immune system, and works in a host of other ways to promote optimum health and well being. It works by assisting the body in its own natural healing processes.



This remarkable herb has a legendary status and has had a recent resurgence in Western medicine. Its efficacy is solidly backed by three thousand years of folklore and the past fifty years have seen a burgeoning amount of scientific data to further support Black Seed's renowned healing properties.



'We now realize that a complex synergy of over 100 chemicals contained in Black Seed work together to enhance and strengthen the body's immune system in a way no other singular, naturally occurring substance has ever been known to do'.



The very fact that Black Seed targets the vital workings of the immune system grants it power over a wide range of ailments, both as a treatment and preventative. Consequently, Black Seed has proved itself a forceful ally against many ailments, such as those caused by bacteria, viruses, and common allergies.



It has also proved valuable against such fatal diseases as cancer and AIDS.* When it comes to health and well-being, a strong immune system is vital, and the properties of Black Seed are key to regaining the efficient functioning of your immune system and maintaining its optimum effectiveness. Furthermore, Black Seed is a potent, antihistamine, anti-tumour,* antibacterial, and anti-inflammatory agent, and the application of these actions alone provides relief for a multitude of ailments and disorders.


Black seed has such diverse powers that, before we examine the specific uses of the herb, let's recap the variety of actions that it provides. Although many more can be listed from centuries of use, the actions that follow have all been verified through scientific research conducted over the last fifty years.


Black Seed's Mechanisms of Action

Analgesic: Relieves or dampens sensation of pain.
Anthelmintic: (Also know as vermicide or vermifuge) destroys and expels intestinal worms.
Anti-bacterial: Destroys or inhibits the growth of destructive bacteria.
Anti-Inflammatory: Reduces inflammation.
Anti-Microbial: Destroys or inhibits the growth of destructive microorganisms.
Antioxidant: Prevents or delays the damaging oxidisation of the body's cells - particularly useful against free radicals.
Anti-Pyretic: (Also known as ferbrifuge) - exhibits a 'cooling action', useful in fever reduction.
Anti-spasmodic: Prevents or eases muscle spasms and cramps.
Anti-tumour: Counteracts or prevents the formation of malignant tumours*
Carminative: Stimulates digestion and induces the expulsion of gas from the stomach and the intestines.
Diaphoretic: Induces perspiration during fever to cool and stimulate the release of toxins.
Diuretic: Stimulates urination to relieve bloating and rid the body of any excess water.
Digestive: Stimulates bile and aids in the digestive process.
Emmenagogue: Stimulates menstrual flow and activity.
Galactogogue: Stimulates the action of milk in new mothers.
Hypotensive: Reduces excess blood pressure.
Immunomodulator: Suppresses or strengthens immune system activity as needed for optimum balance.
Laxative: Causes looseness or relaxation of the bowels.

My Understanding of Black Seed Oil by John Claydon D.Hom

In what way does Black Seed oil, as a broad-spectrum remedy, differ from the other broad-spectrum remedies or superfoods, such as Chlorella, Barley Grass and Pollen?

It does not contain such a complete range of nutrients as the super foods mentioned, so falls midway between a herbal remedy and a functional food and Black Seed Oil has many health benefits. Superfoods can gradually improve the overall health by addressing the problem of cellular malnutrition - the long term basis of all chronic disease.

Cellular malnutrition in the first world is due to many factors such as farming methods that deplete the soils essential nutrients, and supply us with 'empty food'. The practice of cooking food denatures and impedes absorption, combined with impaired digestion. Other factors including eating refined foods and a toxic environment. These all contribute to cellular starvation of essential fluids and nutrients.

With regular consumption of superfoods we can gradually improve the state of our cellular nutrition, and in turn health will gradually improve, although improvements in vitality can often occur quickly. However, certain organs and systems of the body can remain below par even after a comprehensive nutritional and dietary programme has been in use for many months. In other words there are certain stubborn issues our bodies do not give up easily.

For example liver congestion, an almost universal occurrence, can be quite stubborn. You may choose to use a Liver/Gall Bladder Flush and this can often help. You can also use black seed oil (we cannot guarantee that this will clear out all your stones and 'mud' in the liver gall bladder region, it depends on many factors, but even with the flush procedure 6 or more flushes may be needed). I have found that after only a few days of using black seed oil it has improved liver function and associated digestive problems. The warming and bitter qualities seem to penetrate into blockages in the body and rapidly instigate normalisation.

Two persons with toothache were much improved soon after rubbing the oil into the effected gum. In the short term of my familiarity of this product, it appears to be one of those remedies that are very potent, highly effective, and able to target a wide range of health problems.

Some of the health conditions it has improved

Gastrointestinal dysfunction - flatulence, diarrhoea and constipation.
Liver dysfunction - underactivity, congestion, jaundice. Galls stones.
Kidney ailments - urination difficulties, urinary infections, cystitis.
Respiratory ailments - infection, cough, sore throat, congestion, bronchial inflammation, asthma. Bronchial-dilating properties.
Menstrual problems
Parasites
Hair and skin care - promotes follicle growth and helps to prevent dandruff.
Immune system - improves overall function, resistance to infection but also stabilises, helping to eliminate auto-immune diseases. Stimulates production of bone marrow.
Hypertension - Animal studies have shown benefits in this area such as a marked drop in arterial pressure after only 15 days of use. The anti-oxidant properties of black seed may account for its usefulness in treating hypertension and other cardio-vascular disorders.

Diabetes



Various animals have been studied in relation to diabetes/high blood sugar. All showed a significant decrease in glucose levels after 48 hours of supplementation with black seed oil. Blood glucose levels continued to fall for up to a few weeks, when a levelling occurred and a therapeutic balance was maintained. The prominent physician and herbalist Muhammed Salim Khan has confirmed the benefits with human subjects. The best results with diabetes will be obtained by combining black seed oil with dietary adjustment, involving a low carbohydrate diet that includes raw fats and protein (see Dietary Guidelines)



Allergies



Black seed has powerful anti-inflammatory, bronchial-dilating and anti-histamine properties, and as such is an excellent agent against allergic reactions and states. In one study on 600 allergic patients, 70% were completely cured of their allergies. The symptoms of allergy apparently included hay fever and asthma, skin disorders such as rashes, dandruff or inflammations, fatigue, bowel disturbances or lowered sex drive.



NOT TO BE TAKEN DURING PREGNANCY




Disclaimer: Regenerative Nutrition advocates a holistic approach to natural health and wellbeing. The body's ability and power to heal depends upon the totality of diet, nutrition, lifestyle and environmental factors. No claims for the cure of any disease is intended, or implied. Always consult a health care practitioner when combating disease states. The statements in this article have not been approved by the FDA.


Refers form Here

Dear Visitor I am Also Using Black Seed Oil Every Day( Alhamdulliha)
But my Opinion in our country condition
i am buying more then 8 companies black seed oil in Dhaka.now i am taken a non brand company but black seed is 100% pure.
Thanks


www.zilhajjgroup.com




Pages: 1 [2] 3 4 ... 25