Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Karim Sarker(Sohel)

Pages: 1 [2] 3 4 ... 35
16
কাশির সমস্যা কখনো কখনো সারতেই চায় না। কথা বলা দায়, রাতের ঘুমও নষ্ট। কারও কাশতে কাশতে বমি হয়ে যাচ্ছে, কখনো হচ্ছে পেটব্যথা। এ রকম পরিস্থিতিতে কেউ নিজে নিজে কাশির সিরাপ কিনে খান, কেউ অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ পেতে ডাক্তারকে চাপ দেন। কিন্তু ওষুধ কি সত্যিই খুব জরুরি?
চিকিৎসা গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, কাশির অসুখে আক্রান্ত অর্ধেক রোগীর কোনো অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন নেই। সমস্যাটা দীর্ঘমেয়াদি হলে চিন্তার বিষয় বটে। তবু কাশি নিয়ে মানুষের নানা ভুল ধারণা আছে। এ বিষয়ে কয়েকটি তথ্য—
* কাশি মানেই রোগজীবাণুর সংক্রমণ নয়। তাই কাশি কমাতে সব সময় অ্যান্টিবায়োটিক লাগে না। অ্যালার্জি, সংবেদনশীলতা, হাঁপানি, ধূমপান, নানা ধরনের রাসায়নিক ও ধোঁয়ার কারণে কাশি হয়। এমনকি নাকের পেছনে সর্দি জমা, গলনালিতে অ্যাসিড উঠে আসা বা কিছু ওষুধের জন্যও কাশি হতে পারে।
* কাশির সিরাপ আসলে কাশি কমাতে তেমন কাজে আসে না। কখনো বরং এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
* কাশি প্রচণ্ড বা দীর্ঘমেয়াদি হলে বুকের এক্স-রে, কফ ও রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে তবেই অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হবে।
* কাশি কমাতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি বেশ কার্যকর। প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল পান করুন। এতে জমে থাকা কাশি তরল হবে ও বেরিয়ে আসবে। গরম পানির ভাপ কাশি বের হতে সাহায্য করে। শুকনো কাশি বা গলা খুসখুস হলে গরম লবণপানি দিয়ে কুলকুচি বা গড়গড়া করুন। কাশির দমক কমাতে মুখে আদা, লবঙ্গ বা মিন্ট লজেন্স রাখতে পারেন।
* কাশির সঙ্গে রক্তক্ষরণ, শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড জ্বর, প্রলাপ, ধূমপায়ীর সাধারণ কাশির হঠাৎ পরিবর্তন ইত্যাদি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দুই সপ্তাহের অধিক কাশি থাকলে যক্ষ্মার পরীক্ষা করা উচিত।
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

17
গ্রীষ্মের শুরু থেকেই ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে দেখা দিয়েছে চিকুনগুনিয়া। অতি অল্প সময়ে অধিকসংখ্যক মানুষকে একই সঙ্গে আক্রান্ত করতে পারা এই ভাইরাসের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। জ্বর, র‍্যাশের সঙ্গে প্রচণ্ড গিরাব্যথা ও পেশিব্যথার কারণে এ রোগের আরেক নাম ল্যাংড়া জ্বর।

কিন্তু জ্বর ও প্রাথমিক উপসর্গ সেরে যাওয়ার পরও বেশ কিছুদিন পর্যন্ত এই গিরাব্যথার স্থায়িত্ব, কখনো কখনো সম্পূর্ণ সেরে যাওয়ার পর আবার নতুন করে গিরা ফোলা বা ব্যথা দেখা দেওয়ায় ঘাবড়ে যাচ্ছেন অনেকে। কেউ ভাবছেন এটা নতুন কোনো অসুখ, আবার ছুটছেন চিকিৎসকের কাছে। কেউ ভাবছেন চিকুনগুনিয়া হয়তো সন্ধি হাড় একেবারেই নষ্ট করে দিল।

এমনিতে ভাইরাসজনিত রোগে ব্যথানাশক ব্যবহার করা প্রায় নিষেধ, কিন্তু এই প্রচণ্ড ব্যথা-বেদনা সামাল দেবেন কীভাবে? আর জ্বর সেরে যাওয়ার পনেরো দিন, এক মাস এমনকি তার বেশি সময় পর্যন্ত ব্যথা-বেদনা না সারা কি অন্য কোনো রোগ বা বাতের লক্ষণ?

চিকুনগুনিয়াজনিত ব্যথা-বেদনার উপসর্গগুলোকে স্থায়িত্বের ওপর নির্ভর করে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। তাৎক্ষণিক, মাঝারি মেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি।

তাৎক্ষণিক

জ্বরের শুরু থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত যদি ব্যথা স্থায়ী হয় তবে তা তাৎক্ষণিক বা একিউট বলা যায়। বেশির ভাগ রোগীরই এ সময়ের মধ্যে সেরে ওঠার কথা। এ সময় সাধারণ প্যারাসিটামল বা ট্রামাডলজাতীয় ওষুধ দিয়ে এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জ্বর থাকা অবস্থায় ব্যথানাশক বা স্টেরয়েড পরিহার করতে হবে।

মাঝারি মেয়াদি

কারও কারও ব্যথা-বেদনা জ্বরের শুরু থেকে ৩ সপ্তাহের বেশি, এমনকি ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে। এ সময় ব্যথানাশকের পাশাপাশি প্রয়োজনে স্টেরয়েড ব্যবহার করা যাবে।

দীর্ঘমেয়াদি

খুব অল্পসংখ্যক ব্যক্তির ব্যথা তিন মাসের অধিক সময় পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এ পর্যায়ে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, স্পনডাইলো আর্থ্রাইটিস, লুপাস ইত্যাদি রোগের পরীক্ষা করতে হবে। তারপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী বাত নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ সেবন করতে হবে।

জ্বর ও প্রাথমিক উপসর্গগুলো পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে সেরে গেলেও চিকুনগুনিয়াজনিত বাতব্যথা আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর একটি দীর্ঘমেয়াদি চাপ ফেলতে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে ভারতসহ অন্যান্য দেশে গবেষণায় দেখা গেছে যে এ রোগ দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রচুরসংখ্যক ব্যক্তিকে প্রায় শয্যাশায়ী ও কর্মে অক্ষম করে দিয়েছিল। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। মশাবাহিত এ রোগের চিকিৎসা থেকে প্রতিরোধই শ্রেয়।

ডা. রওশন আরা

মেডিসিন ও বাতব্যথা বিশেষজ্ঞ

গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

18
Skin / শিশুর ত্বকে যত সমস্যা
« on: June 19, 2017, 05:04:46 PM »
শিশুর ত্বক কোমল ও সংবেদনশীল বলে তাতে সংক্রমণও বেশি হয়। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। শিশুরা ছোটাছুটি করে বলে ঘাম বেশি হয়। স্কুল থেকে ফিরলে পুরো শরীর ঘামে ভেজা থাকে। এ থেকে ফাঙ্গাস ও একজিমা হতে পারে। অবশ্য বংশগত ও অন্যান্য কারণেও একজিমা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে একজিমার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

আজকাল অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে। এই নোংরা পানি থেকেও শিশুদের ত্বকে ছত্রাকসহ বিভিন্ন সমস্যা হয়। ছত্রাকের সংক্রমণ একজনের থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত স্থানে মলম লাগানোর জন্য বা অন্য কোনো কারণে হাত দিলে সাবান দিয়ে হাত দ্রুত ধুয়ে নিন।

শিশুদের ত্বকের আরেকটি সমস্যার নাম ঘামাচি। নবজাতক ও ছোট শিশুদের এটি বেশি হয়। ঠান্ডা লাগবে মনে করে এদের মোটা কাপড় পরানো হয়। আলো-বাতাসপূর্ণ শীতল পরিবেশে রাখলে এমন ঘামাচি থেকে মুক্তি মেলে। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করলেও উপকার মেলে। গরম আর আর্দ্র আবহাওয়ায় শিশুদের স্কেবিস নামের আরেক ধরনের অসুখ হয়। এতে আঙুলের ফাঁক, কুঁচকি প্রভৃতি স্থানে ঘা হয় এবং রাতে খুব চুলকায়। এটা খুবই ছোঁয়াচে। আশপাশের মানুষ বিশেষ করে বাচ্চাকে যাঁরা পরিচর্যা করেন, তাঁদের থেকে এটি ছড়ায়। তাই ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিশুকে যাঁরা পরিচর্যা করেন, তাদের পরিচ্ছন্নতাও জরুরি। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:

*  শিশুকে স্পর্শ করার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন

*  শিশুকে পাতলা সুতির কাপড় পরাবেন, নিয়মিত গোসল করান

*  স্কুল থেকে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর জামা পাল্টে মুখ, হাত, বিশেষ করে পা ভালোভাবে ধুয়ে দিন

*  শিশুদের জামা ও মোজা বার বার পাল্টে দিন। মোজা থেকে পায়ে সংক্রমণ হয়

*  গরমে তেল ব্যবহার না করাই ভালো। চুলে যদি তেল দিতেই হয়, অল্প পরিমাণে দিন। শিশুর ত্বকের উপযোগী ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন। বড়দের প্রসাধন শিশুদের দেবেন না

 ডা. আবু সাঈদ

শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

19
Health Tips / পায়ের ঘা যদি না শুকায়
« on: June 19, 2017, 05:03:15 PM »
নানা কারণে পায়ে বা আঙুলে ঘা হতে পারে। কোথাও আঘাত পেলেন বা কোনো কারণে ফোসকা পড়ল, আবার কখনো বা ত্বকে চুলকানি থেকে ঘা হলো—কোনো ঘা থাকে শুকনো, কোনোটা আবার ভেজা ভেজা। কোনো ঘা থেকে পুঁজ বেরোয়। চিকিৎসা হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিক বা ড্রেসিং নিতে হবে। কিন্তু কখনো দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে বা নিয়মিত ড্রেসিং করেও পায়ের এসব ঘা শুকোচ্ছে না। তাহলে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ বটে।

পায়ের রক্তনালিতে ব্লক বা বাধা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, বার্জারস ডিজিজ, ভেনাস আলসার প্রভৃতি কারণে ঘা শুকোতে দেরি হয়। ভোগান্তিও বাড়ে। অনেক সময় পা বা পায়ের আঙুল চিরতরে হারাতে হয়। এসব ঘা সাধারণ চিকিৎসায় সারে না।

সামান্য আঘাতে পায়ের আঙুলের ভাঁজে বা আঙুলে ঘা হয়ে যেতে পারে। যদি সেটা সাধারণত শুষ্ক থাকে কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, তাহলে পায়ের রক্তনালিতে ব্লক আছে কিনা ভাবতে হবে। এদের পায়ের মাংসপেশিতে প্রায়ই ব্যথা হয়, বিশেষ করে হাঁটতে শুরু করলে। বিশ্রাম নিলে ব্যথা কমে। তার মানে, পায়ে রক্ত চলাচলে বাধা আছে। ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রক্তনালিতে ব্লক সৃষ্টির কারণ। রক্ত চলাচল বাড়ানোর চিকিৎসা নিতে হবে। রক্তপ্রবাহ চালু না করেই আঙুল বা পা কেটে ফেলা ঠিক নয়। এতে ঘা শুকোবে না এবং রোগীর দুর্ভোগ বাড়বে।

ডায়াবেটিসের রোগীদের ডায়াবেটিক ফুট নামের সমস্যা হয়। এতে রক্ত চলাচল কমে যাওয়া ছাড়াও পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত থাকে এবং পায়ের অনুভূতি কমে যায়। এ রকম সমস্যায় পায়ের ঘা শুকাতে দেরি হয়। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ও নিয়মিত ড্রেসিং করার পরও উন্নতি না হলে রক্তনালি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

পায়ে ঘা সামান্য রোগ মনে হলেও এর থেকে দীর্ঘমেয়াদি ও গুরুতর জটিলতা হতে পারে। গ্যাংগ্রিন হতে পারে, পায়ে পচন ধরতে পারে। পা বা পায়ের অংশবিশেষ কেটে ফেলার দরকারও হতে পারে। এমনকি সংক্রমণ ছড়িয়ে গেলে সেপটিসেমিয়া হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। তাই পায়ের ঘাকে অবহেলা করবেন না।

ডা. এস এম জি সাকলায়েন রাসেল

ভাসকুলার সার্জারি বিভাগ, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল

20
চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে যা জানা দরকার-
চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত রোগ। মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়ায়। ১৯৫২ সালে তানজানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সর্বপ্রথম এই রোগ ছড়ানোর কথা জানা যায়। সেখানকার কিমাকোন্ডি ভাষা থেকে চিকুনগুনিয়া নামটি এসেছে। স্থানীয়ভাবে এর অর্থ হলো ‘মোচড়ানো’। রোগীর শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ায় এই রোগের এমন নাম হয়েছে।
লক্ষণ ও উপসর্গ
সংক্রামক মশা কামড়ানোর চার থেকে সাত দিনের মধ্যে দেহে চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ দেখা যায়। এটি হলে সাধারণত হঠাৎ করে তীব্র জ্বর (১০৪° ফারেনহাইট) শুরু হয়। সেই সাথে শরীরের অস্থি সন্ধিতেও ব্যথা অনুভূত হয়। এছাড়া চিকুনগুনিয়ার আর যেসব লক্ষণ দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে, মাংস পেশি ও মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি ও চামড়ায় ফুসকুড়ি। অস্থি সন্ধির ব্যথা খুব তীব্র হতে পারে যা কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
অধিকাংশ চিকুনগুনিয়া রোগীই পুরোপুরি সেরে উঠেন। তবে অস্থি সন্ধির ব্যথা কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ারও খবর পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে চোখ, হৃদপিণ্ড, স্নায়ুতন্ত্র ও গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল সমস্যার ঘটনাও ঘটে। চিকুনগুনিয়া জটিল রূপ ধারণ করার ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না তবে বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এটি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। আক্রান্তের শরীরে উপসর্গগুলো তীব্র না হওয়ায় অনেক সময় রোগ সনাক্ত করতে সমস্যা হয় যা থেকে বিপদের আশঙ্কা থাকে।
খুব কম ক্ষেত্রেই চিকুনগুনিয়া মৃত্যুর কারণ হয়। সাধারণত দুই থেকে তিন দিনেই রোগী সুস্থ হতে শুরু করে। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস থাকে। এ সময়ের মধ্যে রোগীকে মশা কামড়ালে সেটিও ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ও ভাইরাসটি ছড়ায়।
ডেঙ্গুর সাথে চিকুনগুনিয়ার উপসর্গে মিল লক্ষ্য করা যায়। এই কারণে যেসব এলাকায় সচরাচর ডেঙ্গু হানা দেয় সেখানে চিকুনগুনিয়াকে ডেঙ্গু বলে ভুল হতে পারে। রক্তের সিরাম পরীক্ষা করে চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। জীবনে একবার এই রোগ হলে পরবর্তীতে আর তা হয় না।
যেভাবে চিকুনগুনিয়া ছড়ায়
চিকুনগুনিয়ার ভাইরাসবাহী মেয়ে মশার কামড়ে মানুষের মধ্যে এই রোগটি ছড়ায়। সাধারণত দুই জাতের এডিস মশা চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস বহন করে। ডেঙ্গুর জীবাণু বহনের জন্যও এডিস মশাকে দায়ী করা হয়।
রোগ নির্ণয়
চিকুনগুনিয়া নির্ণয়ের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। রক্তের সিরামে ইমিউনোগ্লোবিউলিন এম এবং ইমিউনোগ্লোবিউলিন এম অ্যান্টি-চিকুনগুনিয়া অ্যান্টিবডির উপস্থিতিই চিকুনগুনিয়ার প্রমাণ।
চিকিৎসা
চিকুনগুনিয়ার কোন সুনির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। সাধারণত উপসর্গ দেখে ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাণিজ্যিকভাবে চিকুনগুনিয়ার কোন প্রতিষেধক টিকা পাওয়া যায় না।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ
চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে এর বাহক মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। কনটেইনারে জমে থাকা পানিতে মশা বংশ বিস্তার করে। তাই খোলা কনটেইনারে যেন পানি না জমে থাকে সে ব্যাপারে নজর রাখতে হবে। চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়লে ঘরে মশানাশক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায়। তাই এমন কাপড় পরার পরামর্শ দেওয়া হয় যেন শরীরে মশা বসতে না পারে। শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি বা বৃদ্ধ যারা দিনের বেলা ঘুমান তাদের মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। মশার কয়েল বা ভ্যাপোরাজার এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

21
যদি কারও কাজে লাগে :
১১০০ টাকায় কিডনির ডায়ালাইসিস হবে গণস্বাস্থ্যে
কিডনি বিকল হলে রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করার একমাত্র উপায় হলো ডায়ালাইসিস। বর্তমানে বাংলাদেশে এই চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম উদাহরণ তৈরি করতে যাচ্ছে রাজধানীর ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল। কম খরচে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিতে আগামী সপ্তাহ থেকে হাসপাতালের গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারে শুরু হতে যাচ্ছে এই সেবা কা‍র্যক্রম।
বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কিডনি রোগীদের প্রতি মাসে ডায়ালাইসিস করতে খরচ হয় ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। এতে দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা খরচের ব্যয় বহন করতে হিমশিম খেতে হয়। সে অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে স্বল্প আয়ের রোগীদের জন্য মাত্র এক হাজার ১০০ টাকায় ডায়ালাইসিস করার উদ্যোগ নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট এই সেন্টারে প্রতি সেশনে এক হাজার ১০০ টাকায় দরিদ্র রোগীরা ডায়ালাইসিস করার সুযোগ পাবেন। মধ্যবিত্তদের জন্য প্রতি সেশনে খরচ পড়বে দেড় হাজার টাকা। আর উচ্চবিত্তদের জন্য সেশনপ্রতি খরচ তিন হাজার টাকা। ডায়ালাইসিস সেন্টারে থাকছে ২৪ ঘণ্টা সেবার সুযোগ। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেন্টারে আছে ১০ শয্যার একটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)।
আলোচনা সভা থেকে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে আট লাখ রোগীর ডায়ালাইসিসের দরকার। চিকিৎসা করাতে সক্ষম প্রায় ৩০ হাজার কিডনি রোগী প্রতিবছর ডায়ালাইসিস চিকিৎসা পদ্ধতির আওতায় আসেন। কিন্তু চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার রোগী মারা যান।
বক্তারা আরো জানান, বাংলাদেশে ডায়ালাইসিস মেশিন আছে প্রায় ৬৫০টি। এর উল্লেখযোগ্য অংশই বিকল। এমন বাস্তবতায় দরিদ্র রোগীদের সেবায় এগিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে গণস্বাস্থ্য নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
ডায়ালাইসিসের ব্যয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রোগীদের ভোগান্তির কিছু বেদনাদায়ক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেকোনো ভালো সেন্টারে ডায়ালাইসিস করতে তিন থেকে আট হাজার টাকা খরচ হয়। ভারতে প্রতিবার ডায়ালাইসিসে খরচ হয় এক হাজার রুপি। পাকিস্তানের করাচিতে সিন্ধ ইনস্টিটিউট অব ইউরোলজিক্যাল সায়েন্সেস ও সিন্ধ হাসপাতালে করাচিবাসীর জন্য বিনা খরচে ২৪ ঘণ্টা ডায়ালাইসিসের সুবিধা রয়েছে।

23
Health Tips / Re: ওজন কমাতে পাঁচ চা
« on: November 28, 2016, 01:09:19 PM »
Good post

25
Good post

29
মনের মতো একটা চাকরি খুঁজে পাওয়া তো সহজ কথা নয়। বহু চেষ্টায় নাহয় পেয়েই গেলেন পছন্দসই একটা চাকরি। কিন্তু অফিসের সহকর্মীটি যেন একেবারে বিধিবাম! একে তো নতুন এক জীবনে খাপ খাইয়ে নেওয়া, তার ওপর সঙ্গের কর্মীটির আচরণ যদি এমন হয় তাহলে পছন্দের চাকরিটাই হয়ে উঠতে পারে অপছন্দের।
রোজ অফিসে যাওয়াটাই যেন হয়ে ওঠে বিরক্তিময়। কিন্তু তাই বলে তো আর কাজ বাদ দিয়ে ঘরে বসে থাকা চলবে না; বরং বের করে নিতে হবে সমস্যার সমাধান।
নুসরাত জাহান—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সাবেক এই কাউন্সেলর বর্তমানে কাজ করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকো-সোশ্যাল কাউন্সেলর হিসেবে। তিনি বলেন, ‘আসলে সবার চিন্তাভাবনা এক রকম নয়। আমরা একেকজন বেড়েও উঠি একেক রকম পরিবেশে। তাই একটা কর্মস্থলে যখন বিভিন্ন মানসিকতার মানুষজন কাজ করতে আসে, তখন সবার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়।’ আসলে অফিসের সহকর্মীর সঙ্গে ঝামেলাটা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। এই সমস্যার সমাধান জানার জন্য আগে আপনাকে বুঝতে হবে যে আসলে সহকর্মীর সঙ্গে আপনার ঝামেলাটা কী নিয়ে।

সহকর্মীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব হতে পারে বিভিন্ন কারণে:
কাজের দক্ষতা সমান না হলে
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সহকর্মীটির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে কাজের দক্ষতা নিয়ে। হয়তো আপনার অধিক কর্মদক্ষতার জন্য আপনি বসের সুনজরে পড়ে গেলেন। কিন্তু আপনার সহকর্মীটি সে পর্যায়ে নেই। এর ফলে আপনাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্কটাও ক্ষণস্থায়ী হয়ে উঠতে পারে।

অফিসের পদবি
একই ভাবে আপনার পদোন্নতি হওয়ার ফলেও কিন্তু সহকর্মীটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হতে পারে। এর জন্য দায়ী আমাদের মানসিকতা। ছোট্ট শিশুদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, মা-বাবা অপর শিশুটিকে অধিক স্নেহ করলে তারা রেগে যায়। আর এমনটাই ঘটে অফিসের সহকর্মীদের মাঝে।

ভিন্ন মানসিকতা
আর একেবারে প্রথমেই বলে নেওয়া হয়েছে ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে। হয়তো আপনার পোশাকের ধরন, রুচি কিংবা আগ্রহের বিষয়টা মোটেও পছন্দ হচ্ছে না পাশের ডেস্কের সহকর্মীর। আবার আপনিও যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সহকর্মীর মতামত। ব্যস, একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি থেকে রাগারাগি।

এ ক্ষেত্রে করণীয়
সমস্যার উৎস তো জানলেন, এবার সমাধানে আসুন।
নুসরাত জাহান যে বিষয়গুলো মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন—
* হুট করেই এমন রেগে যাওয়া উচিত নয়। আপনি সহকর্মীটিকে বুঝিয়ে বলতে পারেন। যদি তিনি তারপরও এমন আচরণ করেন, তাহলে বিষয়টি এড়িয়ে চলাই ভালো।
* দুজনের এই মনোমালিন্যের কথা অফিসের কোনো তৃতীয় পক্ষকে জানানো ঠিক নয়; বরং বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, যা আপনার ক্যারিয়ারকেই নষ্ট করে দিতে পারে।
* নিজেকেও নিয়ন্ত্রণ করুন। বোঝার চেষ্টা করুন যে আমরা সবাই একই রকম নই। আমাদের প্রত্যেকের মাঝে এমন দৃষ্টিকোণ তৈরি করতে পারলে কিন্তু সমস্যা মিটে যায়। অন্যকে ছাড় দিতে শিখুন।
* যদি মনে করেন এ বিষয়ে আপনার সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করলে সমাধান হবে, তাহলে তা-ই করুন। কেননা কোনো সমস্যার সমাধান কিন্তু চুপ করে থাকলে হয় না।
* খেয়াল রাখুন, অফিসের সবাই কিন্তু আপনার বন্ধু মহল নয়। একেক সহকর্মী একেক ধরনের আচরণ পছন্দ করতেই পারেন। তাই কার সঙ্গে কী রকম আচরণ করবেন সেটা বুঝতে শিখুন।

Collected --

30
Food Habit / এই সময়ে স্যুপ
« on: November 28, 2016, 11:41:17 AM »
স্যুপ সব সময়ই স্বাদের খাবার। স্বাস্থ্যকরও বটে। শীত শীত এই সময়টায় এক বাটি স্যুপে জমবে ভালো। হোটেল আমারি ঢাকার দেওয়া কয়েকটি স্যুপের রেসিপি থাকছে এবার

ক্রিম অব চিকেন উইথ ট্রাফলক্রিম অব চিকেন উইথ ট্রাফল
উপকরণ: মাখন ৬ টেবিল চামচ, সেলারি (শাকবিশেষ) কুচি সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, ময়দা এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ, দুধ আধা কাপ, ক্রিম আধা কাপ, চিকেন স্টক ৩ কাপ, সেদ্ধ মুরগির কিমা ১ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ এবং ট্রাফল তেল ১ চা-চামচ।
প্রণালি: চুলায় বড় একটি সসপ্যান নিয়ে তাতে মাখন গলিয়ে নিন। পেঁয়াজ, রসুন ও সেলারি মাখনে ঢেলে কষাতে থাকুন। কষানো হলে ময়দা ঢেলে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ৩-৪ মিনিট রান্না করুন। তারপর দুধ, ক্রিম ও চিকেন স্টক ঢেলে নাড়ুন। মিশ্রণটি স্যুপের সঠিক ঘনত্বে আসা পর্যন্ত এবং ফুটতে থাকা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। চুলার জ্বাল কমিয়ে মুরগির কিমা ও বাকি উপকরণ পরিমাণমতো মিশিয়ে নাড়ুন। ট্রাফল তেল দেওয়ার পর চুলার আঁচ আরও কমিয়ে ২-৩ মিনিট রান্না করুন।
অন্য স্বাদে স্যুপ

বাদামি শর্বীবাদামি শর্বী
উপকরণ: কাঠবাদাম সিকি কাপ, মাখন ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, বাঁধাকপি কুচি কাপের চার ভাগের তিন ভাগ, আলু কুচি ১ কাপ, লবণ এবং রান্নার ক্রিম ২০০ মিলিলিটার।
প্রণালি: একটি গভীর নন-স্টিক পাত্রে চুলায় বসিয়ে তাতে মাখন গলিয়ে নিন। পেঁয়াজ যোগ করে মাঝারি আঁচে ২ মিনিট পর্যন্ত ভেজে নিন। আলু ও বাদাম দিয়ে আরও ২ মিনিট ভাজুন। দেড় কাপ পানি মিশিয়ে ১২ মিনিট পর্যন্ত রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। মিশ্রণটি চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এরপর মিক্সচারে নিয়ে আরও চার ভাগের তিন ভাগ কাপ পানি যোগ করে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। আবার সেই পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে তাতে ১ কাপ পানি, লবণ ও পেপার যোগ করে মধ্যম আঁচে ৫ মিনিট রান্না করুন। এরই মধ্যে ক্রিম মিশিয়ে নাড়ুন। রান্না হলে নামিয়ে নিন।
ব্রকলি ও ফুলকপির স্যুপব্রকলি ও ফুলকপির স্যুপ
উপকরণ: চিকেন স্টক ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১টি, ফুলকপি (ছোট ছোট টুকরা) ১ কাপ, ব্রকলি ছোট ছোট টুকরা আধা কাপ, লবণ ও মরিচ পরিমাণমতো, ময়দা সিকি কাপ, দুধ আধা কাপ এবং ১০০ মিলি রান্নার ক্রিম।
প্রণালি: একটি বড় পাত্রে চিকেন স্টক, পেঁয়াজ, ফুলকপি ও ব্রকলি নিন। মিশ্রণটি চুলায় দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর চুলার জ্বাল কমিয়ে দিন। সবজি সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে থাকুন। চিকেন স্যুপ, লবণ ও মরিচ যোগ করুন। অন্য একটি পাত্রে ময়দা এবং দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্যুপের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। সঠিক ঘনত্বে এলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করে মিক্সচারে ব্লেন্ড করে নিন।
 
লবস্টার বিস্ক স্যুপলবস্টার বিস্ক স্যুপ
উপকরণ: লবস্টার ১টা (ছোট টুকরা করে কাটা), শ্যালট কুচি ২ টেবিল চামচ, কচি পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, ভাঙা (ক্রাশড) রসুন ৩ কোয়া, অরসেস্টারশায়ার সস ২ চা-চামচ, টাবাস্কো সস ২ চা-চামচ, ১ চা-চামচ শুকনো টাইমা, শুকনো শেরি ৬ টেবিল চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ , গরম পানি ১ কাপ, ১ চা-চামচ লবস্টার বেজ, টমেটো পেস্ট ৪ আউন্স, তেজপাতা কয়েকটা, হুইপিং ক্রিম ২ কাপ এবং মাখন ৪ টেবিল চামচ।
প্রণালি: চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে তাতে সামান্য তেল গরম করুন। এতে শ্যালট, পেঁয়াজ ও রসুন এক মিনিট ধরে ভুনে নিন। অরসেস্টারশায়ার ও টাবাস্কো সস এবং টাইমা পাত্রে ঢেলে আরও এক মিনিট ধরে ভুনে নিন। শেরি যোগ করুন। এরপর মরিচগুঁড়া, গরম পানি ও লবস্টার বেজ যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে নিন। টমেটো পেস্ট ও তেজপাতা দিয়ে নাড়তে থাকুন। ১০ মিনিট রান্না করুন। হুইপিং ক্রিম আর মাখন মিশিয়ে মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন। সবশেষে লবস্টার যোগ করে রান্না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন।

ক্লিয়ার সি ফুড স্যুপক্লিয়ার সি ফুড স্যুপ
উপকরণ: জলপাই তেল ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ কোয়া, আদা কুচি ১ টেবিল চামচ, লেবুর খোসা মিহি কুচি ১ চা-চামচ, শুকনো মরিচগুঁড়া সিকি চা-চামচ, ৪ কাপ চিকেন স্টক, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, পাতলা টুকরা করা ৩টি গাজর, ডাইস করা ১০০ গ্রাম স্ক্যালোপ, খোসা ছাড়ানো বড় চিংড়ি টুকরা করে কাটা ১০০ গ্রাম, তিলের তেল ১ টেবিল চামচ, কচি পেঁয়াজ ৪টি (কুচি করা) এবং ধনে পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: একটি বড় সসপ্যানে তেল গরম করুন। রসুন, আদা, লেবুর খোসা এবং মরিচগুঁড়া দিয়ে গন্ধ আসা পর্যন্ত ভুনতে থাকুন। এরপর চিকেন স্টক, সয়াসস এবং লেবুর রস দিয়ে ফুটে ওঠা পর্যন্ত রান্না করুন। গাজর যোগ করুন। চুলার আঁচ কমিয়ে ১৫ মিনিট পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। স্ক্যালপ, চিংড়ি, তিলের তেল এবং পেঁয়াজ দিয়ে কয়েক মিনিট রান্না করুন। রান্না হলে নামিয়ে ধনে পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন।

Collected ---

Pages: 1 [2] 3 4 ... 35